কেমন কাটল প্রিয়াঙ্কা-নিকের ৩ বছরের সংসার?
ছবি: সংগ্রহ
কয়েকদিন আগে নিক আর প্রিয়াঙ্কা উদ্যাপন করলেন তাঁদের তৃতীয় বিবাহবার্ষিকী। তার আগেই তাঁদের বিবাহবিচ্ছেদের গুঞ্জন উঠেছিল। প্রিয়াঙ্কা তাঁর নাম থেকে স্বামী নিকের ‘জোনাস’ পদবি মুছে ফেলার পরই এই গুজব শুরু হয়েছিল। অবশ্য পরে জানা গেছে, এসব সত্য নয়। তো, কেমন কাটল তাঁদের তিন বছরের যৌথ জীবন? গণমাধ্যমকে প্রিয়াঙ্কা সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, তাঁদের ভালোবাসা আরও গাঢ় হয়েছে, যৌথ জীবন আরও সুন্দর হয়েছে।
নিক জোনাস প্রসঙ্গে প্রিয়াঙ্কা বলেন, ‘আমরা একে অপরের হৃদয়কে অনুভব করি। আর আমরা যা-ই করি না কেন, সব সময় পরস্পরকে প্রাধান্য দিই। আমাদের ব্যক্তিগত জীবন একান্তই আমাদের। আমরা একে অপরের পেশাগত জীবনে নাক গলাই না। আর এ ব্যাপারে আমি খুবই স্পষ্ট। আমরা একে অপরের বিষয়ে মতামত দিই। কিন্তু শেষ পর্যন্ত একজনই সিদ্ধান্ত নেয়। কারণ, আমরা দীর্ঘ সময় ধরে কঠোর পরিশ্রম করে আমাদের ক্যারিয়ার গড়েছি।’
নিক স্বামী হিসেবে কেমন, জবাবে সাবেক এই বিশ্বসুন্দরী বলেন, ‘আমি আগেই বলেছি, নিজের বাড়ি ছেড়ে লন্ডনে থাকা আমার জন্য খুব কষ্টের ছিল। ও আমার সঙ্গে দেখা করার জন্য সব ছেড়ে চলে আসত। নিক এত দূর থেকে ছুটে আসত শুধু আমার সঙ্গে ডিনার করার জন্য। তারপর আবার ফিরে যেত। আসলে ও মানুষ হিসেবে দুর্দান্ত। আমি মনে করি, আমাদের সবার একজনের প্রতি আরেকজনের এভাবে খেয়াল রাখা উচিত।’
বয়সের পার্থক্য ১০ বছর। কিন্তু ভালবাসায় বয়সকে বাধা হতে দেননি প্রিয়াঙ্কা চোপড়া, নিক জোনাস। অনেকেরই ধারণা ছিল, দশ বছরের বড় স্ত্রীর উপর বিয়ের কয়েক বছরের মধ্যেই আগ্রহ হারাবেন নিক। এবং তাঁদের বিবাহ বিচ্ছেদ আজ নয় তো কাল হবেই। কিন্তু সমস্ত জল্পনা, গুঞ্জনে জল ঢেলে রূপকথার গল্পের মতো একে অপরের পাশে থেকে এগিয়ে চলেছেন নিক-প্রিয়াঙ্কা।
২০১৮ সালে ১ ও ২ ডিসেম্বর চোখ ধাঁধানো বিয়ের অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয় প্রিয়াঙ্কা-নিকের। একটি হিন্দু রীতি মেনে, অন্যটি খ্রিস্টান রেওয়াজে। দীর্ঘ এক বছর কাজের সূত্রে লন্ডনে থাকেন প্রিয়াঙ্কা। অন্যদিকে লস অ্যাঞ্জেলেসে থাকেন নিক। কাজের সূত্রে দুইজন দুই জায়গায় থাকলেও নিয়মিত তাঁরা দেখা করেন। একসঙ্গে কিছু সময় পাড় করেন। দুজনের ব্যস্ততা, নিন্দুকের গুজব কোনো কিছু প্রভাব ফেলতে পারেনি তাঁদের যৌথ জীবনে। ইতিমধ্যে বিবাহবার্ষিকীর আয়োজন দেখে সারা বিশ্বের কোটি ভক্ত তার প্রমাণ পেয়ে গেছেন।