সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪ | ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

‘হাওয়া’ নিয়ে দর্শকদের প্রত্যাশার চাপ আমাদের ভেতর সংক্রমিত হচ্ছে: চঞ্চল চৌধুরী

নন্দিত অভিনেতা চঞ্চল চৌধুরী অভিনীত সিনেমা ‘হাওয়া’। মেজবাউর রহমান সুমন পরিচালিত এ সিনেমাটি রাজধানীসহ দেশের ২৪টি প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাচ্ছে শুক্রবার (২৯ জুলাই)। ইতোমধ্যেই এই সিনেমার গান ও ট্রেলার প্রকাশের পর অন্যরকম আলোচনা তৈরি হয়েছে। সিনেমা ও অন্যান্য প্রসঙ্গে ঢাকাপ্রকাশ-এর সঙ্গে কথা বলেছেন চঞ্চল চৌধুরী।

ঢাকাপ্রকাশ: যেহেতু গভীর সমুদ্রে চিত্রায়িত হয়েছে ‘হাওয়া’। তাই এতে কাজের অভিজ্ঞতা কেমন?

চঞ্চল চৌধুরী: এখানে কাজ করাটা খুব চ্যালেঞ্জিং ছিল। সমতলে শুটিং করা আর সমুদ্রের গভীরে শুটিং করা এক বিষয় নয়। কারণ সমুদ্রে শুটিং করা অনেক ঝুঁকিপূর্ণ। অনেক প্রতিবন্ধকতা থাকে। এগুলো মাথায় নিয়ে, মোকাবিলা করেই শুটিং করতে হয়েছে। শুটিং করতে গিয়ে নানা ধরনের বিপত্তি ঘটেছে। এটা কিন্তু পাড়ের কাছাকাছি শুটিং হয়নি। একদম গভীর সমুদ্রে শুটিং হয়েছে। সেন্টমার্টিন থেকে দুই ঘণ্টা ট্রলার চালিয়ে যেখানে গেলে কূলকিনারা দেখা যায় না, সেখানে শুটিং হয়েছে। পুরো শুটিং হয়েছে নৌকায়। ৪৫ দিন শুটিং করেছি আমরা। ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের কারণে ৪-৫ দিন শুটিং থেমে ছিল। এ ছাড়া বাকি দিন কাজ করতে হয়েছে। সবকিছু মিলিয়ে কাজটি করতে গিয়ে অনেক সংগ্রাম করতে হয়েছে আমাদের। সবাইকে অনেক পরিশ্রম করতে হয়েছে। বিশেষ করে ওই পরিবেশের সঙ্গে মানিয়ে নিয়ে সমুদ্রের মাঝখানে থাকা, প্রচণ্ড রোদে পুড়ে, গরমে, খরায় সেই সঙ্গে আবার ঘূর্ণিঝড়ের সঙ্গে যুদ্ধ করা, বিশাল বিশাল ঢেউ। সবকিছু মিলিয়েই খুব চ্যালেঞ্জিং একটা কাজ ছিল।

ঢাকাপ্রকাশ: গান ও ট্রেলার প্রকাশের পর ‘হাওয়া’ সিনেমা নিয়ে দর্শকদের প্রত্যাশা এখন তুঙ্গে। সিনেমাটি মুক্তির পর দর্শকদের প্রত্যাশা কি পূরণ করতে পারবে?

চঞ্চল চৌধুরী: প্রত্যাশার চাপটা একটু বেশি হয়ে গেছে। দর্শকদের প্রত্যাশার চাপ আবার আমাদের ভেতর সংক্রমিত হচ্ছে। কারণ নিজের কাজ ভালো হয়েছে এটা আমি কখনো বলি না। এটা বলার অভ্যাসও আমার নাই। তবে আমরা সাধ্যমতো চেষ্টা করেছি। দর্শকদের প্রত্যাশা কতটুকু মিটবে সেটা জানি না। তবে ‘হাওয়া’ সিনেমাটি দেখে দর্শকরা হতাশ হবেন না এটা আমি বলতে পারি।

ঢাকাপ্রকাশ: চঞ্চল চৌধুরী যখন যে সিনেমায় কাজ করেন পুরো আলোটাই তার উপর থাকে। অর্থাৎ দর্শকদের চোখ ও আলোচনা তাকে ঘিরেই হয়। এই সিনেমার ক্ষেত্রেও কি তাই?

চঞ্চল চৌধুরী: না, এখানে আমি হয়তো প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেছি। অন্য যে চরিত্রগুলো আছে সেগুলোও সমান গুরুত্বপূর্ণ। লিড ক্যারেক্টারটা আমিই করেছি। তবে অন্য চরিত্রগুলোও অনেক গুরুত্বপূর্ণ। যেমন- নারী চরিত্র একটি, সেটিও অনেক গুরুত্বপূর্ণ।

ঢাকাপ্রকাশ: ‘হাওয়া’ সিনেমার টিকিট নিয়ে চারদিকে হাহাকার চলছে। হলগুলোতে আগামী কয়েকদিনের অগ্রিম টিকিট বিক্রি হয়ে গেছে। দর্শকদের মাঝেও সিনেমাটি নিয়ে উন্মাদনা তৈরি হয়েছে। এটা কেমন লাগছে?

চঞ্চল চৌধুরী: এটা আমার জন্য আলাদা একটা ভালো লাগা। সবচেয়ে ভালো লাগা যেটা সেটা হচ্ছে, সিনেমার সুদিন যদি ফিরে আসে ‘হাওয়া’র হাত ধরে তাহলে আমার চেয়ে বেশি খুশি কেউ হবে না। তবে একটা কথা হচ্ছে হাওয়ার মতো দু-একটা সিনেমা দিয়ে তো সিনেমার সুদিন ফিরিয়ে আনা সম্ভব না। হাওয়ার পরে আরও ভালো ভালো, বড় বড় ডিরেক্টর, শিল্পীদের সিনেমা আসতে হবে। বছরে তিন চারটা ভালো সিনেমা মুক্তির ধারাবাহিকতা বজায় থাকতে হবে।

‘পরাণ’ সিনেমাটি ভালো যাচ্ছে। যদিও আমি ব্যস্ততার কারণে সিনেমাটি দেখতে পারিনি। এ সিনেমার মাধ্যমে দর্শক হলে ফিরতে শুরু করেছে। সেই জায়গা থেকে ‘হাওয়া’ দিয়ে যদি দর্শক চূড়ান্তভাবে হলে ফিরতে শুরু করে, তবে এটা আমাদের জন্য হবে অত্যন্ত আনন্দের। কিন্তু পরের সিনেমার ক্ষেত্রেও এ ধারাবাহিকতা রাখতে হবে। আর দর্শকদের প্রতি আমি কৃতজ্ঞ তারা ‘হাওয়া’ সিনেমার গান, ট্রেলার যেভাবে সানন্দে গ্রহণ করেছেন এবং সিনেমাটি নিয়ে তাদের উৎসাহ, উদ্দীপনা যাই বলি, আমি মনে করি এটা আমাদের বাংলা সিনেমার জন্য অনেক ইতিবাচক।

ঢাকাপ্রকাশ: আপনার অভিনীত সব সিনেমা নিয়েই অন্যরকম আলোচনা হয়। ‘হাওয়া’ কি আপনার অভিনীত পূর্বের সিনেমাগুলোর রেকর্ড ভাঙতে পারবে?

চঞ্চল চৌধুরী: এটাতো আমি বলতে পারি না। রিলিজের পর দর্শক ভালো বলতে পারবে। এটা আমার মুখ দিয়ে বলা উচিতও নয়। আমার কাজ হচ্ছে ঠিক মতো অভিনয়টা করা। সেটা আমি চেষ্টা করি ভালো গল্পের ও ভালো পরিচালকের সিনেমায় কাজ করতে। এটা হচ্ছে আমার সিদ্ধান্ত। আমি যার তার সঙ্গে যেকোনো ধরনের গল্পে বা চরিত্রে অভিনয় করি না। আমি প্রজেক্ট বাছাই করার ক্ষেত্রে অনেক সময় নেই। আর প্রজেক্ট বাছাই করতে গিয়ে অনেক লোভ সংবরণ করতে হয়। কারণ আমি জানি আমি বছরে দশটা সিনেমায় চাইলে অভিনয় করতে পারব। সেখান থেকে অনেক টাকাও রোজগার করতে হয়তো পারব। কিন্তু সেটা না করে দুই, তিন বছরে একটা সিনেমায় অভিনয় করি। তার মানে আমাকে অর্থনৈতিক লোভটাও সংবরণ করতে হয়। নিজের প্রতি একনিষ্ট ও সৎ থাকতে হয়। সবচেয়ে বড় কথা হচ্ছে দর্শকদের প্রতি একটা দায়বদ্ধতা আছে। এত বছর ধরে কাজ করছি। দর্শকদের তো আমার সিনেমায় প্রতি একটু আলাদা প্রত্যাশা আছে। সেই জায়গা থেকে দর্শকদের প্রত্যাশা পূরণের জন্য আমাকে চেষ্টা করতে হয়। সেটা পূরণ করতে পারব কিনা জানি না। তবে আমার চেষ্টাটা আমি করি।

ঢাকাপ্রকাশ: ‘হাওয়া’ দর্শক কেনো দেখবে?

চঞ্চল চৌধুরী: ‘হাওয়া’র পোস্টার, ট্রেলার, গান প্রকাশের পর দর্শকদের মধ্যে একটা আগ্রহ তৈরি হয়েছে। সেই আগ্রহের জায়গা থেকেই ‘হাওয়া’ দেখবে তারা। আর দর্শক বুঝতেই পারছে অ্যাটলিস্ট খারাপ কিছু হয়নি। সিনেমাপ্রেমী দর্শকরা যদি মনে করেন সিনেমা শিল্পের উন্নতি চায়, সিনেমা শিল্পটা আবার ঘুরে দাঁড়াক, তাহলে সেই দায়বদ্ধতা থেকেই দর্শক হলে এসে সিনেমাটি দেখবে।

ঢাকাপ্রকাশ: এ সিনেমায় কাজ করতে গিয়ে আপনাকে অনেক বেশি পান খেতে হয়েছে। পান খাওয়ার অভ্যাস কি এখনো আছে?

চঞ্চল চৌধুরী: এটা চরিত্রের জন্যই করতে হয়েছে। চরিত্রের লুকের জন্য দাঁতটা যাতে কালো হয় এজন্য পান খেতে হয়েছে।

আর শুটিংয়ের সময় হঠাৎ করেই পান খেলে তো দাঁত কালো হয় না। তাই দাঁত কালো করার জন্য নিয়মিত পান খেতে হয়েছে। একমাস এটা একটা অভ্যাসও হয়ে গিয়েছিল। শুটিং থেকে আসার পরই সেই অভ্যাস আর নেই। তবে ডাবিংয়ের সময় আবার পান খেতে হয়েছে।

এএম/এমএমএ/

Header Ad

পার্থ টেস্টে অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়ে রেকর্ড জয় ভারতের

ছবি: সংগৃহীত

অস্ট্রেলিয়ান উইকেটকিপার ব্যাটসম্যান অ্যালেক্স ক্যারির ব্যাট ফাঁকি দিয়ে বল স্টাম্পে আঘাত হানার সাথে সাথেই ভোঁ দৌড় দিলেন ভারতীয় তরুণ পেসার হার্ষিত রানা। ততক্ষণে যে অপেক্ষা ফুরিয়েছে ভারতেরও। ৫৩৪ রানের বিশাল টার্গেট তাড়া করতে নেমে অস্ট্রেলিয়ার দ্বিতীয় ইনিংস থেমে গেছে ২৩৮ রানে। তাতে করে ২৯৫ রানের ঐতিহাসিক এক জয়ে বোর্ডার-গাভাস্কার ট্রফির সিরিজে ১-০ এগিয়ে গেল টিম ইন্ডিয়া।

এদিকে অসিদের বিপক্ষে পার্থ টেস্ট জয়ে ৪৬ বছরের পুরোনো রেকর্ড ভেঙে দিয়েছে ভারত। অস্ট্রেলিয়ার মাঠে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে টেস্টে ভারতের সবচেয়ে বেশি ব্যবধানে জয়ের কীর্তি এটাই। এর আগে ১৯৭৮ সালে মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ডে ভারত ২২২ রানে হারিয়েছিল অস্ট্রেলিয়াকে।

জয়ের জন্য অস্ট্রেলিয়ার সামনে লক্ষ্য ছিল ৫৩৪ রান। পাহাড়সম এ রানের পেছনে ছুটতে গিয়ে রোববারই তারা ৪.২ ওভারে ১২ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়ে। সোমবার নবম ওভারেই অসিরা হারায় উসমান খাজাকে। এরপর ট্রাভিড হেডের সঙ্গে পঞ্চম উইকেটে ৬২ রান যোগ করেন স্মিথ। ৬০ বলে ১৭ রান সিরাজের বলে ফেরেন স্মিথ। ৫ উইকেটে ১০৪ রান নিয়ে লাঞ্চে যায় অস্ট্রেলিয়া।

লাঞ্চ বিরতির পর আক্রমণাত্মক খেলতে থাকেন হেড ও মার্শ। তবে দ্রুতই দুজনকে ফেরায় ভারত। ১০১ বলে ৮৯ রান করা হেডকে পন্টের ক্যাচ বানিয়ে ফিরিয়েছেন বুমরাহ। আর ৬৭ বলে ৪৭ রান করা মিচেল মার্শকে বোল্ড করেছেন নীতিশ রেড্ডি। এরপরই জয়ের ক্ষণ গণনা শুরু করে ভারত। স্টার্ক-লায়নকে ফেরালেন ওয়াশিংটন সুন্দর। ৯ উইকেট হারানোর পরও অস্ট্রেলিয়ার হাল ধরেছিলেন অ্যালেক্স ক্যারি। হ্যাজলউডকে নিয়ে এক প্রান্ত আগলে রেখে খেলছিলেন। ইনিংসের ৫৯তম ওভারের ৪র্থ বলে ক্যারিকে বোল্ড করে ফেরান রানা। এতে ২৯৫ রানের বড় ব্যবধানে জিতে বোর্ডার -গাভাস্কার ট্রফিতে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেল ভারত।

পার্থ টেস্টে ভারতের জয়ের নায়ক অধিনায়ক জাসপ্রিত বুমরাহ। এ পেসার প্রথম ইনিংসে নেন ৩০ রানে ৫ উইকেট। এরপর দ্বিতীয় ইনিংসে ৪২ রানে পকেটে নেন ৩টি উইকেট। সব মিলিয়ে ৭২ রানে ৮ উইকেট নিয়ে ম্যাচসেরার পুরস্কার জিতেছেন এ ডানহাতি পেসার।

Header Ad

বদলগাছীতে বাসের ধাক্কায় ৭ মাসের অন্তঃসত্ত্বা নারী নিহত, আহত ২

ঘাতক বাসটিকে আটকে রেখেছেন বিক্ষুব্ধ জনতা। ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

নওগাঁর বদলগাছী উপজেলার বদলগাছী- মাতাজিহাট সড়কে বাস ও ভ্যানের মুখোমুখি সংঘর্ষে সাত মাসের অন্তঃসত্ত্বা এক নারী নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরো ২ জন। সোমবার (২৫ নভেম্বর) দুপুর সাড়ে ১২ টায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

পুলিশ জানায়, নিহত ওই নারী সদর ইউনিয়নের ভাতসাইল গ্রামের যতিনের (হিটলার) স্ত্রী সন্জিতা রানী (১৮)। দুর্ঘটনায় আহতরা হলেন- উপজেলার সদর ইউনিয়নের চাকরাইল গ্রামের আলতাব হোসেন (৬৫) এবং ভাতসাইল গ্রামের চরমন বালা (৫০) আহত এবং নিহত সবাই ভ্যানের যাত্রী বলে জানিয়েছেন উদ্ধারকারী ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা।

জানা যায়, নজিপুর থেকে বদলগাছী হয়ে নওগাঁ যাচ্ছিল (চট্টমেট্টো ব ৫৭৩৪) বাসটি। অন্যদিকে ভ্যানটি বদলগাছী থেকে যাত্রী নিয়ে ভাতসাইল গ্রামে যাচ্ছিল। আপেল শো-রুমের সামনে বাস-ভ্যানের মুখোমুখি সংঘর্ষ হলে এ ঘটনা ঘটে।

উদ্ধারকাজে অংশ নেওয়া বদলগাছী ফায়ার সার্ভিস এবং সিভিল ডিফেন্স স্টেশনের স্টেশন অফিসার রেজাউল করিম বলেন, বাস এবং ভ্যানের মুখোমুখি সংঘর্ষের খবর দুপুর ১২:০০ টার দিকে পাই। ঘটনাস্থলে গিয়ে আমরা আহত ভ্যানের চালকসহ ১ জনকে মৃত এবং আরো ১ জন কে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করি। ভ্যান চালক এবং ১ জন যাত্রী কে মুমূর্ষু অবস্থায় উদ্ধার করে বদলগাছী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠানো হয়।

দুর্ঘটনার কারণ জানতে চাইলে রেজাউল করিম বলেন, যে জায়গায় দুর্ঘটনা ঘটেছে।সে জায়গায় রাস্তাটি খাড়াখন্দে ভরা। ভ্যানটি বদলগাছী চারমাথা থেকে যাত্রী নিয়ে ভাতসাইল গ্রামের দিকে যাচ্ছিল। অপরদিকে বাসটি নজিপুর থেকে বদলগাছী হয়ে নওগাঁ যাওয়ার পথে আপেল মোটরসাইকেল শো-রুমের সামনে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। আহতরা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আছে।

স্থানীয়রা জানান, যেখানে দুর্ঘটনা হয়েছে। সেখানে রাস্তাটি দীর্ঘদিন ধরে জলাবদ্ধতা তৈরি হয়েছিল। ইট দেওয়ার ফলে রাস্তাটি উঁচু নিচু হয়ে আছে সেখানে। সড়ক জনপদ এবং ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের নজরদারি আর ধীরগতিতে রাস্তায় কাজ হওয়ায় এমন দুর্ঘটনা প্রায় ঘটছে বলে জানান তারা।

বদলগাছী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.শাহজাহান আলী বলেন, এ ঘটনায় ঘাতক বাসটিকে আটক করা হয়েছে। নিহতের ঘটনায় থানায় আইনানুগ ব্যবস্থা চলমান রয়েছে। পাশাপাশি আহতদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে।

Header Ad

মামলা না নিলে ওসিকে এক মিনিটে বরখাস্ত করে দেবো: ডিএমপি কমিশনার

ডিএমপির নবনিযুক্ত কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী। ছবি: সংগৃহীত

রাজধানীর কোনো থানায় মামলা না নিলে সেই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) এক মিনিটেই বরখাস্ত করে দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) নবনিযুক্ত কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী।

সোমবার (২৫ নভেম্বর) ডিএমপি সদর দপ্তরে অটোরিকশা, অটোভ্যান ও ইজিবাইক চালকদের সঙ্গে বৈঠকে তিনি এ হুঁশিয়রি দেন।

বৈঠকে একজন রিকশাচালক দাবি করে বলেন, তাকে কামরাঙ্গীরচর এলাকায় রোববার ও এর আগে একদিন মারধর করা হয়। এমন অভিযোগের প্রেক্ষিতে ডিএমপি কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী বলেন, আপনি মামলা করেননি কেন? মামলাযোগ্য হলে অবশ্যই ওসিদের মামলা নিতে হবে। মামলা না নিলে সেই থানার ওসিকে এক মিনিটে বরখাস্ত করা হবে।

চাঁদাবাজির বিষয়ে ডিএমপি কমিশনার বলন, রিকশা-ভ্যানে কোনো চাঁদাবাজি হবে না। গরীবদের কষ্টার্জিত অর্থ কেউ নিতে পারবে না। স্থানীয় লোকাল মাস্তানরা চাঁদাবাজির টাকা ভাগ করে খায়। যদি পুলিশের কোনো লোক চাঁদাবাজির সঙ্গে জড়িত থাকে তাহলে তার আর রক্ষা নেই। গরীবের কষ্টার্জিত টাকা কেউ নিলেই ব্যবস্থা।

চাঁদাবাজি বন্ধে কমিটি করার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, রিকশাচালকরা থানার ওসিকে নিয়ে কমিটি করেন। কমিটি চাঁদাবাজি বন্ধে কাজ করবে।

এর আগে বেলা ১১টার দিকে দুটি রিকশাচালকদের সংগঠন ডিএমপি সদর দপ্তরে ডিএমপি কমিশনারের সঙ্গে বৈঠকে বসেন। বৈঠকে রিকশাচালকরা তাদের বিভিন্ন দাবি-দাওয়া তুলে ধরেন। তারা দাবি করেন, পেটের দায়ে অটোরিকশা মূল সড়কে উঠতে হয়। কিছু এলাকার গলিতেও ঢুকতে দেওয় না। এজন্য বাধ্য হয়ে আমরা মূল সড়কে উঠে পড়তে হয়। আমাদের সহযোগিতা করলে উপকৃত থাকতাম।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

পার্থ টেস্টে অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়ে রেকর্ড জয় ভারতের
বদলগাছীতে বাসের ধাক্কায় ৭ মাসের অন্তঃসত্ত্বা নারী নিহত, আহত ২
মামলা না নিলে ওসিকে এক মিনিটে বরখাস্ত করে দেবো: ডিএমপি কমিশনার
মাদ্রাসা শিক্ষার্থীকে যৌন নিপীড়নের মামলায় যুবকের যাবজ্জীবন
বিগ ব্যাশ খেলার অনুমতি পেলেন রিশাদ
শাকিব খানের সঙ্গে আইটেম গানে নুসরাত
রাজধানীর মোল্লা কলেজে হামলা-ভাঙচুর, শিক্ষার্থীদের দখলে সড়ক
ওয়ানডে সিরিজেও অনিশ্চিত মুশফিক
জানুয়ারিতে আসছে ছাত্রদের নতুন রাজনৈতিক দল
বছরে দুইবারের বেশি বিদেশ যেতে পারবেন না চিকিৎসকরা
বুবলীকে টয়লেট দিবসের শুভেচ্ছা অপুর
কেজি দরে বিক্রি হওয়া ভাস্কর্যটি মুক্তিযোদ্ধার নয়, আওয়ামী লীগের অপপ্রচার
ফলোঅন এড়িয়ে ১৮১ রানে পিছিয়ে বাংলাদেশ
অটোরিকশা চলাচলে আপিল করবে সরকার
পুতুলের সূচনা ফাউন্ডেশনের ব্যাংক হিসাব জব্দের নির্দেশ
ইসরায়েলি হামলায় গাজায় নিহত আরও ৩৫ ফিলিস্তিনি
ভারতে যৌন ব্যবসায় বাধ্য করা হচ্ছে বাংলাদেশি তরুণীদের
ব্রাজিলকে ২-০ গোলে হারিয়ে ফাইনালের টিকিট পেল আর্জেন্টিনা
আওয়ামী লীগের ২ সাবেক সংসদ সদস্যের অন্তর্বর্তীকালীন জামিন
পলাশবাড়ীতে যৌথবাহিনীর অভিযানে অস্ত্র-গুলিসহ যুবক গ্রেফতার