আসামের সবচেয়ে টাকা নেওয়া শিল্পী জুবিন গার্গ সুস্থ
আসামের গায়ক জুবিন গার্গ জানিয়েছেন, বাড়ি ফিরেছেন ও তিনি আবার কাজ শুরু করতে প্রস্তুত।
এর আগে রোগে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন।
ভারতের গানের তালিকায় হঠাৎ প্রচন্ড ঝড় তুলেছিল তার যে গান, যার জন্য তিনি দেশ জুড়ে প্রবল বিখ্যাত, নাম ‘ইয়া আলী’। সিনেমার নাম ‘গ্যাংস্টার’।
বেরিয়েছে ২০০৬ সালে।
একটি বেসরকারী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল জুবিন গার্গকে, মঙ্গলবার আসামের ডিব্রুগড়ে।
বিস্তৃত চা বাগানের এলাকা হিসেবে বিখ্যাত, আছে ব্রক্ষ্মপুত্র। এ এক প্রশাসনিক শহর।
একটি রিসোর্টে এখানে এসেছিলেন গার্গ।
বেখেয়ালি হয়ে গিয়ে পড়ে যাবার পর তাকে হাসপাতালে নিতে হয়েছে।
শনিবার মধ্য রাতে ইনস্ট্রাগ্রামে ভক্তদের স্বাস্থ্য নিয়ে ভালো আছেন জানিয়েছেন তিনি।
জুবিন গার্গ লিখেছেন, ‘আমি বাড়ি ফিরেছি এবং কাজ শুরু করতে প্রস্তুত।’
আসামিয়া, বাঙালি ও হিন্দি ছবিতে গান করেছেন এবং কটি ছবিতে সঙ্গীত পরিচালনাও করেছেন।
এছাড়াও আসামিজ ছবিতে অভিনয় ও কটি ছবি পরিচালনা করেছেন।
সেগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য, ‘কাঞ্চনজঙ্ঘা’, ‘মিশন চায়না’ ও ‘মন যায়’।
জুবিন গার্গের আসল নাম জুবিন বরঠাকুর।
৫২ বছরের মানুষটি গায়ক, সঙ্গীত পরিচালক, সুরকার, গীতিকার ও সঙ্গীত প্রযোজক, অভিনেতা, সিনেমা পরিচালক, চলচ্চিত্র প্রযোজক, সিনেমার চিত্রনাট্যকার ও দাতা।
তিনি আসামিজ, বাংলা, হিন্দি ভাষার ছবিতে গান এবং সঙ্গীত পরিচালনাও করছেন।
আঞ্চলিক অনেক ভাষায়ও চাহিদানুসারে গেয়ে চলেছেন। আছে বিষ্ণুপ্রিয়া মণিপুরী (বাংলা-আসামিজ, বাংলা ও তিব্বতীয় ব্রাক্ষ্মণদের ভাষা থেকে জন্ম নেওয়া নতুন ভাষা), আসামের সবচেয়ে বড় আদিবাসী জাতির ভাষা বরো, ইংরেজি, আসামের গোলপারিয়া অঞ্চলের মানুষদের আঞ্চলিক ভাষা গোলপারিয়া, কান্নাড়া ইত্যাদি মোট ১৭টি আঞ্চলিক ও আদিবাসী ভাষা।
এই গায়ক ১২টি বাদ্যযন্ত্র বাজাতে পারঙ্গম।
আসামের সবচেয়ে বেশি টাকা নেওয়া শিল্পীর নামটি হলো জুবিন গার্গ।
২০২২ সালের মে মাসে একটি বিবৃতিতে তিনি জানিয়েছেন, সফলভাবে মোট ৩২ হাজার গান রেকর্ড করেছেন।
শীঘ্রই গিনেজ বুকে আবেদন করবেন।
তবে গান ও স্বাস্থ্যের ব্যস্ততায় করা হয়নি।
ওএস।