প্রথমবারের মতো কান চলচ্চিত্র উৎসবে সৌদি আরবের সিনেমা
কান চলচ্চিত্র উৎসবে সৌদি আরবের সিনেমা। ছবি: সংগৃহীত
নব্বইয়ের দশকে সৌদি আরবে নিষিদ্ধ ছিল শিল্প ও চিত্রকর্ম। দীর্ঘদিন এভাবেই চলেছে। তবে ২০১৮ সালের দিকে অর্থনীতিকে চাঙা করতে সেই নিষেধাজ্ঞা উঠিয়ে নেন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান। এরপর থেকেই উন্নতির পথে এগিয়ে চলছে শিল্প-সংস্কৃতির চর্চা।
এবার আরও এক ইতিহাস গড়েছে সৌদি আরবের সিনেমা। প্রথমবারের মতো দেশটি জায়গা করে নিয়েছে বিশ্ব চলচ্চিত্রের মর্যাদাকর কান চলচ্চিত্র উৎসবে। আসন্ন ৭৭তম আসরের স্বর্ণপাম বিভাগে অফিসিয়াল মনোনয়ন পেয়েছে তৌসিফ আলজায়েদি পরিচালিত সিনেমা ‘নোরা’।
ইতিমধ্যে ৭৭তম কান চলচ্চিত্র উৎসবের অফিশিয়াল মনোনয়নের তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। ৭৮ বছরে প্রথমবারের মতো কান উৎসবে সৌদি আরব থেকে অফিশিয়াল শাখায় অংশ নিচ্ছে সিনেমা ‘নোরা’।
এটি পরিচালনা করেছেন তৌসিফ আলজায়েদি। সিনেমাটিতে উঠে এসেছে নব্বইয়ের দশকের রক্ষণশীল এক সমাজের গল্প। যেখানে দেখানো হবে সেসময়ের সৌদি সমাজবাস্তবতার চিত্র। সিনেমাটিতে তৎকালীন সময়ের একটি মেয়ের সংগ্রাম চিত্রায়িত করা হয়েছে। আর নোরার মূল চরিত্রে অভিনয় করেছেন মারিয়া বাহরাভি।
কান উৎসব পরিচালক থিঁয়েরি ফ্রেমো এক সংবাদ সম্মেলনে উৎসবে মনোনয়নের তালিকা প্রকাশ করেন। তিনি জানান, এই বছর কান উৎসবে দুই হাজারের বেশি সিনেমা জমা পড়ে। আগামী ১৫ থেকে ২৫ মে পর্যন্ত চলবে উৎসব।
উল্লেখ্য, এ বছর কান উৎসবে দুই হাজারের বেশি সিনেমা জমা পড়েছিল। সেখান থেকে মূল প্রতিযোগিতা স্বর্ণপাম বিভাগে জায়গা করে নিয়েছে ১৯টি চলচ্চিত্র। অন্যদিকে, এবারের আসরে সম্মানসূচক পাম ডি’অর পাচ্ছেন ‘স্টার ওয়ার্স’ স্রষ্টা জর্জ লুকাস।
এবারের উৎসবে আরও কিছু উল্লেখযোগ্য মুহূর্তের সাক্ষী হবেন সিনেপ্রেমীরা। দীর্ঘ ৩০ বছর পরে স্বর্ণপাম পুরস্কারের জন্য লড়ার সুযোগ পেয়েছে ভারতের সিনেমা ‘অল উই ইমাজিন আস লাইট’। মুম্বাইয়ের দুই নার্সকে নিয়েই এগিয়েছে সিনেমাটির কাহিনি। এটি নির্মাণ করেছেন পায়েল কাপাডিয়া। এ ছাড়া ব্রিটিশ-ভারতীয় চলচ্চিত্র নির্মাতা সন্ধ্যা সুরির সিনেমা ‘সন্তোষ’ উৎসবের আঁ সার্তে রিগা বিভাগের জন্য নির্বাচিত হয়েছে। সিনেমা দুটির পরিচালক দুজন নারী।
এর আগে ভারত থেকে একসঙ্গে শুধু নারী পরিচালকের মনোনয়নের খবর শোনা যায়নি। এবারের উৎসবে জায়গা করে নিয়েছে চীনের চলচ্চিত্রও। মূল প্রতিযোগিতা বিভাগে লড়বে নির্মাতা ঝাঁ জং কে পরিচালিত ‘কট বাই টাইড’।