চলে গেলেন দ্য ওয়ারের লান্স রেড্ডিক
একজন বিখ্যাত চরিত্রাভিনেতা ছিলেন লান্স রেড্ডিক। তিনি তীব্র, ঠান্ডা ও অশুভ চরিত্রগুলোতে একচেটিয়া অভিনয় করেছেন টিভি ও সিনেমাগুলোতে। তার বিখ্যাত সিনেমাগুলোর মধ্যে আছে ‘দ্যা ওয়ার’, ‘ফ্রিঞ্জ’ ও ‘জন উইক’ সিরিজ। তার মৃত্যু সংবাদ জানানো হলো গতকাল। বিখ্যাত এই মাকিন কৃষ্ণাঙ্গ অভিনেতা ও গায়ক চলে গেলেন ৬০ বছর বয়সে।
শুক্রবার (১৭ মার্চ) ভোরে তিনি মারা গিয়েছেন। একটি বিবৃতিতে এই তথ্যটি জানিয়েছেন তার পাবলিসিস্টি মিয়া হানসেন। স্বাভাবিক কারণে তার মৃত্যু হয়েছে বলে উল্লেখ করেছেন তিনি। এর বেশি জানাননি। তিনি এইচবিও’র দ্যা ওয়ারের জন্যই সবচেয়ে বিখ্যাত।
সহ-অভিনেতার প্রতি শোক প্রকাশ করে দ্যা ওয়ারের ওয়েনডেল পিয়েরস বলেছেন, ‘একজন মানুষ বিপুল শক্তিসম্পন্ন ও যার আছে দারুণ লাবণ্য। তিনি যেমন মেধাবী অভিনেতা ছিলেন তেমনি একজন সঙ্গীতবিদ ছিলেন। তিনি ক্লাসের প্রতীক ছিলেন।’
‘জন উইকচ্যাপ্টার ফোর’র পরিচালক চাড স্টারহেলস্কি বলেছেন, ‘এই ক্ষতিতে গভীরভাবে শোকাহত ও আমার হৃদয় ভেঙে গেল।’
তার সবচেয়ে বিখ্যাত টিভি ছবি দ্যা ওয়্যার’র নির্মাতা ডেভিড সাইমন বলেছেন, ‘অতিমাত্রা দক্ষ পেশাদার, অনুরক্ত সাহায্যকারী, ভালোবাসাময় ও ভদ্রলোক, বিশ্বস্ত বন্ধু। চলে যেতে পারে কিন্তু না আমি চলে যাবো না। এটি লুন্ঠন।’
২০০৯ সালে দ্যা লস অ্যাঞ্জেলস টাইমসকে একটি স্বাক্ষাৎকারে তিনি বলেছিলেন, ‘আমি হৃদয় থেকে একজন শিল্পী। আমি অনুভব করি যে কাজটি আমি করি সেখানে আমি খুব ভালো। যখন নাটকের স্কুলে পড়তে গিয়েছিলাম, অন্তত অন্য ছাত্রছাত্রীদের মতোই মেধাবী ছিলাম। কিন্তু আমি একজন কালো মানুষ হওয়ার কারণে এবং দেখতে ভালো না হওয়ায় জেনেছিলাম, আমাকে আমার স্বর্বস্ব দিয়ে অভিনয় করতে হবে। নিজের সেরা কাজটি করতে হবে সবখানে। কেননা আমি কী হতে চাই সেজন্য এবং সবার নজর কাড়তে।’
তিনি ইয়েল ইউনিভাসিটির ড্রামা স্কুলে পড়েছেন।
তার আগামী কাজগুলোর মধ্যে আছে টোয়েন্টিথ সেঞ্চুরির ‘হোয়াইট ম্যান ক্যান্ট জাম্প’ নামের রিমেক ছবি ও নেটফ্লিক্সের আত্মজৈবনিক সিনেমা সাবেক কংগ্রেস সদস্য শার্লি চিজেমের ওপর ‘শার্লি’।
তিনি ‘জন উইক’, ‘ব্যালেরিনা’ ও ‘দ্যা কেইন মিউটিনি কোর্ট মার্শাল’ টিভি সিনেমাগুলোতেও অভিনয় করা শুরু করেছিলেন।
২০২১ সালে রেজিনা কিং’র ‘ওয়ান নাইট ইন মিয়ামি’ ছবির জন্য তিনি এসএজি অ্যাওয়ার্ডের জন্য মনোনীত হয়েছিলেন।
‘বস’ শোতে তিনি টানা সাতটি বছর কাজ করেছেন।
তবে এই টিভির কাজের বিষয়ে তিনি এপিকে বলেছেন, ‘আমি কখনো টেভিভিশনের প্রতি আগ্রহী ছিলাম না। সবসময় একে একটি সমাপ্তি হিসেবে দেখেছি। আরো অনেক অভিনেতার মতো আমিও কেবল মঞ্চ এবং সিনেমা করতেই আগ্রহী ছিলাম। এইচবিও’র একজন মানসম্পন্ন, ধারালো ও শিল্পীত কর্মীর জন্য অনুসন্ধানের পর আমার শুরুটি হলো। এরপর আমার কাজের ভুবনটি ‘৬০ ও ‘৭০ দশকের মহান ছবিগুলোর মতোই হলো।”
তার সাদা স্ত্রী স্টেফানি রেড্ডিক, দুটি সন্তান নিকোল রেড্ডিক ও ক্রিস্টোফার রেড্ডিক আছে।
ওএফএস/এএস