শুক্রবার, ২৮ মার্চ ২০২৫ | ১৪ চৈত্র ১৪৩১
Dhaka Prokash

হাওয়া’র ঝড়ে উড়ে যাচ্ছে সমালোচনা

চারদিকে টিকিটের হাহাকার। কোথাও কোথাও কালোবাজারিরাও জেগে উঠেছে। অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু যেন সিনেমার সোনালী অতীতকে ফিরিয়ে আনার জোর ইঙ্গিত দিচ্ছে। স্যোশাল মিডিয়াতে সিনেমা মুক্তির আগেই তুমুল ভাইরাল হয়েছে এর গান। অভিনেত্রী ও অভিনেতাদের নিয়ে চলছে আলোচনা। বাংলা সিনেমা নিয়ে এমন উন্মাদনা, উচ্ছ্বাস ও উদ্দীপনা কত বছর আগে দেখা গেছে তা কড় গুণে সঠিক হিসাব বলতে পারবে না কেউ।

রাজধানীসহ দেশের ২৪ সিনেমা হলে ২৯ জুলাই মুক্তি পাওয়া ‘হাওয়া’ সিনেমা নিয়ে চলছে রীতিমত বন্দনা। মুক্তির কয়েকদির পরও মিলছে না এর টিকিট। অনেক মাল্টিপ্লেক্সে ৪ আগস্ট পর্যন্ত অগ্রিম টিকিট বিক্রি হয়ে গেছে। স্টার সিনেপ্লেক্স কর্তৃপক্ষ দর্শকদের চাপে বাধ্য হয়ে ৫টি হলে প্রতিদিন ২৬ শো’য়ের ব্যবস্থা করেছে। তারপরও টিকিট দিতে হিমশিম খাচ্ছে তারা। কেরানীগঞ্জের লায়ন সিনেমা হল কর্তৃপক্ষ হলিউডের ‘থর: লাভ অ্যান্ড থান্ডার’ সিনেমাটি নামিয়ে ‘হাওয়া’র শো বাড়িয়েছে।

এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, জনসমাগম বেশি হওয়ার কারণে আমরা হাওয়া সিনেমার ৩টা স্পেশাল শো বাড়িয়ে দিয়েছি আমাদের থ্রিডি হলে। তাই ‘থর: লাভ অ্যান্ড থান্ডার’ সিনেমাটা আপাতত চালানো হবে না। পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত থর সিনেমাটা বন্ধ থাকবে।

পরিচালক মেজবাউর রহমান সুমন তার প্রথম সিনেমার মাধ্যমেই পাল্টে দিয়েছে সিনেমার গতিপথ। সিনেমাপ্রেমিরা বলছে, সিনেমার সুদিন ফিরছে হাওয়া’র হাত ধরে। সিনেমা দেখে আবেগে আনন্দে দিশেহারা হচ্ছে দর্শক। ‘হাওয়া’ সিনেমার যে ঝড় বইছে তা থামাতে হাতেগোনা কয়েকজন মানুষ সিনেমাটি নিয়ে প্রপাগান্ডা ছড়াচ্ছে স্যোশাল মিডিয়ার বিভিন্ন গ্রুপে। তাদের ভাষ্য, ‘হাওয়া’ নকল গল্পের সিনেমা। এটি নাকি ১৯৮৫ সালে মুক্তিপাওয়া রাজ্জাক, জসিম, অঞ্জনা, রোজিনা অভিনীত ‘অভিযান’ সিনেমার গল্পের নকল। অথচ গল্পের ধরন গতি-প্রকৃতি প্রেক্ষাপট পুরোটাই ভিন্ন। তারপরও নির্দিষ্ট কিছু মানুষ সময়ের সবচেয়ে আলোচিত সিনেমাটি নিয়ে টেনে হেঁচড়ে নামানোর চেষ্টা করছে। তবে ‘হাওয়া’র প্রতি দর্শকদের আগ্রহ ও ভালোবাসার কারণে ‘হাওয়া’র ঝড়ে উড়ে যাচ্ছে সব সমালোচনা।

সাধারণ দর্শকরাই প্রতিবাদী সুরে বলছে ‘হাওয়া’ মৌলিক গল্পের সিনেমা। ‘হাওয়া’ ভঙ্গুর ঢাকাই সিনেমাকে নতুন করে প্রাণ ফিরিয়ে দেওয়া সিনেমা। বাংলাদেশের সিনেমাকে এগিয়ে নিতে ‘হাওয়া’র মতো সিনেমা আরও বেশি বেশি নির্মাণ জরুরি।

জনপ্রিয় চিত্রনায়ক রিয়াজ ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, ‘হাওয়া সিনেমা নিয়ে যে আলোচনা ও উন্মাদনা তৈরি হয়েছে তা বাংলা সিনেমার জন্য অতি আনন্দের। কেউ কেউ আবার এই সিনেমাটি নিয়ে সমালোচনা করছে এটা খুব দুঃখজনক। তাদের সংখ্যা হাতেগোনা। সমালোচনাকারীরা কারও কারও ভক্তও আবার। হিংসা থেকেই এমন সমালোচনার বিষ ছড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে তারা। তবে হাওয়া সিনেমার নির্মাণ, গল্প, অভিনয় ও দর্শকরাই সেসব সমালোচনাকারীদের সঠিক জবাব দিচ্ছে এবং দেবে। বাংলা সিনেমার জয় হোক’।

এই সিনেমায় প্রধান চরিত্রে অভিনয় করা অভিনেতা চঞ্চল চৌধুরী বলেন, ‘সমালোচনা করার জন্য সব সময় কিছু মানুষ তৈরি থাকে। তাদের কাজই সমালোচনা করা। হাওয়া নিয়ে দর্শকদের যে ভালোবাসা পাচ্ছি তা কল্পনাকেও হার মানাচ্ছে। মুক্তির আগেই হাওয়া নিয়ে যে আলোচনা শুরু হয়েছিল মুক্তির পর তাই কিছুটা চাপ অনুভব করছিলাম। এখন আর সেই চাপ নেই। কারণ দর্শকরা যেভাবে হাওয়াকে গ্রহণ করেছে তাতে তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতার শেষ নেই।’

এতে অভিনয় করেছেন চঞ্চল চৌধুরী, নাজিফা তুষি, শরিফুল রাজ, সুমন আনোয়ার, সোহেল মন্ডল, নাসির উদ্দিন খান, মাহমুদ আলম, বাবলু বোস প্রমুখ।

এএম/এমএমএ/

Header Ad
Header Ad

জাতীয় ঈদগাহে ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত সকাল সাড়ে ৮টায়

ফাইল ছবি

এবার ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে সকাল সাড়ে ৮টায় অনুষ্ঠিত হবে। তবে, যদি আবহাওয়া অনুকূলে না থাকে, তাহলে ঈদের জামাত সকাল ৯টায় জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে অনুষ্ঠিত হবে।

সম্প্রতি ঈদুল ফিতর উদযাপন উপলক্ষে অনুষ্ঠিত আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত সভায় সভাপতিত্ব করেন উপদেষ্টা আ ফ ম খালিদ হোসেন।

সভায় জানানো হয়, যদি আবহাওয়া ভাল থাকে, তবে জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে সকাল সাড়ে ৮টায় ঈদের প্রধান জামাত আয়োজন করা হবে। কিন্তু, যদি আবহাওয়া প্রতিকূল থাকে, তাহলে ঈদ জামাত বায়তুল মোকাররমে সকাল ৯টায় অনুষ্ঠিত হবে।

এছাড়া, যদি আবহাওয়া দুর্যোগপূর্ণ হয়ে ওঠে, তবে ঈদের জামাতের স্থান পরিবর্তন করতে একটি বিশেষ কমিটি গঠন করা হবে। এই কমিটি ঢাকা বিভাগীয় কমিশনারের নেতৃত্বে, ইসলামিক ফাউন্ডেশন, এসএসএফ, ডিএমপি কমিশনার, আবহাওয়া অধিদপ্তর, স্পারসো এবং তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে গঠন করা হবে।

কমিটি নির্ধারিত সময়ের আগে, দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে প্রধান জামাত বায়তুল মোকাররম মসজিদে স্থানান্তরিত করার সিদ্ধান্ত নেবে।

এছাড়া, এবার প্রধান জামাতের প্রথম কাতারটি গত বছরের তুলনায় দীর্ঘ করা হবে যাতে ভিআইপিরা প্রথম কাতারে দাঁড়াতে পারেন। ঈদগাহ মাঠে আসা মুসল্লিদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এ বছর চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ৩১ মার্চ অথবা ১ এপ্রিল ঈদুল ফিতর উদযাপিত হবে।

Header Ad
Header Ad

সন্‌জীদা খাতুনের শেষ ইচ্ছা: চিকিৎসা গবেষণার জন্য দেহ দান

সন‌্জীদা খাতুন। ছবি: সংগৃহীত

বাঙালি সংস্কৃতির প্রখর আলো ছড়িয়ে যাওয়ার এক অমূল্য প্রতীক, ছায়ানটের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ও সভাপতি সন‌্জীদা খাতুন তার জীবনাবসানের পরও বাঙালির জন্য এক মহান দৃষ্টান্ত রেখে গেছেন। তার শেষ ইচ্ছা ছিল দেহ দান, যা অঙ্গ প্রতিস্থাপন এবং গবেষণার কাজে ব্যবহৃত হবে।

তার মৃত্যুর পর, সন‌্জীদা খাতুনের ছেলে পার্থ তানভীর নভেদ জানিয়েছেন, “এটি ছিল সন‌্জীদা খাতুনের ২৭ বছর আগের সিদ্ধান্ত। সেই সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আমরা, তার পরিবার, মরদেহ দান করার ব্যাপারে সম্মত হয়েছি এবং আজকের দিনে (বৃহস্পতিবার) মরদেহ দান করার প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে।”

এমন একজন কিংবদন্তি, যিনি বাঙালির সাংস্কৃতিক পরিচয় ও ঐতিহ্যের জন্য কাজ করেছেন, সন‌্জীদা খাতুন ছিলেন এক আলোকবর্তিকা। গানে গানে, সুরে সুরে তিনি বাঙালির আত্মপরিচয়ের সন্ধান দিয়েছেন।

মঙ্গলবার (২৫ মার্চ) ঢাকার স্কয়ার হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন সন‌্জীদা খাতুন। মৃত্যুর পর, সেদিন রাতে তার মরদেহ রাখা হয় হাসপাতালের হিমঘরে। পরের দিন, বুধবার দুপুরে তার কফিন ছায়ানট ভবনে নেওয়া হয়, যেখানে গানে গানে তাকে শেষ শ্রদ্ধা জানান ছায়ানটের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।

এরপর, তার মরদেহ নিয়ে যাওয়া হয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগে, যেখানে তাকে শেষ শ্রদ্ধা জানানো হয়। পরবর্তীতে, সন‌্জীদা খাতুনের মরদেহ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে রাখা হয় এবং সেখানে শিল্পী, সংস্কৃতিকর্মী ও সর্বস্তরের মানুষ তাকে শেষ বিদায় জানান।

বৃহস্পতিবার, সন‌্জীদা খাতুনের পরিবার বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে গিয়ে তার মরদেহ দান করার প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেন। এটি তার শেষ মহৎ কর্ম, যা ভবিষ্যত প্রজন্মের জন্য এক অনুপ্রেরণা হয়ে থাকবে।

Header Ad
Header Ad

গোবিন্দগঞ্জের কামদিয়া ইউনিয়ন ছাত্রলীগের আহ্বায়ক জাকিরুল গ্রেফতার

গ্রেফতার জাকিরুল। ছবি: সংগৃহীত

গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার কামদিয়া ইউনিয়ন নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের আহ্বায়ক জাকিরুলকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (২৭ মার্চ) দুপুরে গোবিন্দগঞ্জ বন্দর এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়।

জাকিরুল গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার বইল গ্রামের বাসিন্দা মতিয়ার আলীর ছেলে। তিনি কামদিয়া ইউনিয়নে নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের আহ্বায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন।

গোবিন্দগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এই গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। জানা গেছে, জাকিরুলের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ রয়েছে, এবং তিনি বিভিন্ন সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে পুলিশের নজরে ছিলেন।

গ্রেফতারের বিষয়ে জানতে চাইলে গোবিন্দগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) বুলবুল বলেন, "জাকিরুলকে আজ গ্রেফতার করা হয়েছে এবং তার বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ রয়েছে। তবে, তাকে কোন মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছে, সে বিষয়ে এখনো নিশ্চিত কোনো তথ্য জানাতে পারছি না। এ ঘটনায় আরও বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহের কাজ চলছে।"

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

জাতীয় ঈদগাহে ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত সকাল সাড়ে ৮টায়
সন্‌জীদা খাতুনের শেষ ইচ্ছা: চিকিৎসা গবেষণার জন্য দেহ দান
গোবিন্দগঞ্জের কামদিয়া ইউনিয়ন ছাত্রলীগের আহ্বায়ক জাকিরুল গ্রেফতার
কু-প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় চাকরি হারানোর অভিযোগ এক নারী পোশাককর্মীর
লাইলাতুল কদরের সন্ধানে ইবাদতে মশগুল ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা
৫ সংস্কার কমিশনের মেয়াদ বাড়লো
চুয়াডাঙ্গায় যুবকের কোমরে মিলল ৩ কোটি ৭৮ লাখ টাকার স্বর্ণ
জীবন-মৃত্যু আল্লাহর হাতে: বিষ্ণোইয়ের হুমকি প্রসঙ্গে সালমান খান
গুলশানে কয়েদির বেশে দেখা মিলল আফরান নিশোর
বঙ্গবন্ধু এভিনিউ এখন থেকে ‘শহীদ আবরার ফাহাদ এভিনিউ’
পিএসএলে খেলার ছাড়পত্র পেলেন লিটন-নাহিদ-রিশাদ
দেশের ইতিহাসে রেকর্ড সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স এলো মার্চে
ব্যাটারিচালিত ভ্যানে শোডাউন দিয়ে নিজ এলাকায় আখতার হোসেন
আশরাফুল আলম খোকন ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
এবার এমপি পদ ফেরত চাইলেন হিরো আলম
মেসিকে বিশ্বকাপ নিয়ে বিরক্ত না করার অনুরোধ স্কালোনির
স্বাধীনতা দিবসের শুভেচ্ছা জানিয়ে বাংলাদেশকে যে বার্তা দিলেন ট্রাম্প
মেয়র হিসেবে শপথ নেব কি না, সেটা দলীয় বিষয়: ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক
নওগাঁয় পুলিশ সুপারের বডিগার্ড পরিচয়ে চাঁদা দাবি, গ্রেফতার ১
ডিসেম্বরে নির্বাচনের কথা বললেও জুনে চলে যায় কীভাবে, প্রশ্ন রিজভীর