মেডিকেলে ৭৩ পেয়েও চান্স হয়নি, কোটায় ৪১ পেয়েই ভর্তি!
মেডিকেল কলেজের ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষা। ছবি: সংগৃহীত
দেশের সরকারি-বেসরকারি মেডিকেল কলেজের ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষার ফলাফল রোববার (১৯ জানুয়ারি) বিকেলে প্রকাশ করা হয়েছে। এবার পাসের হার ৪৫ দশমিক ৬২ শতাংশ। অংশগ্রহণকারী পরীক্ষার্থীদের মধ্যে ৬০ হাজার ৯৫ জন ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছেন।
ফলাফলে দেখা গেছে ৩৭টি সরকারি মেডিকেল কলেজে ভর্তির জন্য ৫ হাজার ৩৭২ জন পরীক্ষার্থী প্রাথমিকভাবে নির্বাচিত হয়েছেন।
এ বছর ১০০ নম্বরের মধ্যে ৭৩ নম্বর পেয়েও অনেক শিক্ষার্থী সরকারি মেডিকেল কলেজে ভর্তির সুযোগ থেকে বঞ্চিত হয়েছেন, অন্যদিকে বিভিন্ন কোটায় ৪১-৪৬ নম্বর পেয়ে আড়াই শতাধিক শিক্ষার্থীর মিলেছে ভর্তির সুযোগ।
ফলাফল প্রকাশিত হওয়ার পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শুরু হয় তীব্র সমালোচনা। এতে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন শিক্ষার্থী- অভিভাবক ও বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের নেতারা।
স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, দেশের ৫৭টি সরকারি মেডিক্যাল কলেজে মোট ৫ হাজার ৩৮০টি আসন রয়েছে, যার মধ্যে মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের জন্য ২৬৯টি এবং পশ্চাৎপদ জনগণের জন্য ৩৯টি আসন সংরক্ষিত। মুক্তিযোদ্ধা কোটার ২৬৯টি আসনের মধ্যে ১৯৩ জন পরীক্ষায় পাস নম্বর পেয়েছেন, বাকি আসনগুলো মেধাতালিকা থেকে পূর্ণ করা হয়েছে।
কিন্তু কোটার কারণে অনেক শিক্ষার্থী বঞ্চিত হওয়ায়, সামাজিক মাধ্যমে ক্ষোভ ও নিন্দা দেখা যাচ্ছে। অনেক শিক্ষার্থীর অভিযোগ, তারা ৭০ নম্বর পেয়ে সুযোগ হারালেও, ৪১ নম্বর পাওয়া শিক্ষার্থীরা কোটার মাধ্যমে মেডিক্যালে ভর্তি হচ্ছেন।
শিক্ষার্থীরা বলছেন, এই বৈষম্য তাদের জন্য অত্যন্ত হতাশাজনক, বিশেষত ছাত্র আন্দোলনের পর তাদের স্বপ্ন ছিল যে এমন বৈষম্য দূর হবে।
মেডিকেলে ভর্তি পরীক্ষার ফলাফল পুনরায় প্রকাশের দাবি জানিয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। রবিবার (১৯ ডিসেম্বর) বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সদস্য শাহাদাত হোসেন স্বাক্ষর করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ দাবি জানানো হয়েছে।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে এক পোস্টে জাতীয় নাগরিক কমিটির মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম বলেছেন,‘ভর্তি পরীক্ষায় এখনো কিসের কোটা? আজ থেকেই এই শোষণের শেষ হতে হবে। ফুলস্টপ।’
স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. রুবীনা ইয়াসমিন জানিয়েছেন, কোটার বিষয়ে আরো যাচাই-বাছাই করা হবে। ২৩-২৪ জানুয়ারি কোটার কাগজপত্র সংগ্রহ করা হবে এবং সেগুলো যাচাইয়ের পর চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।