শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে শাবিপ্রবিতে শিক্ষকদের একাংশের মানববন্ধন
উপাচার্যের পদত্যাগ দাবিতে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (শাবিপ্রবি) আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে মানববন্ধন করলেন শিক্ষকদের একাংশ।
বুধবার (১৯ জানুয়ারি) বেলা ১২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে বিনা ব্যানারে সাধারণ শিক্ষক পরিচয়ে এ মানববন্ধনে অংশ নেন তারা। আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা 'শ্লোগানের মাধ্যমে শিক্ষকদের হেয় করছেন' উল্লেখ করে তারা এ মানববন্ধন করেন।
এসময় শিক্ষকরা বলেন, 'শিক্ষকরা জাতির বিবেক। আমরা ছাত্রদের গড়ে তুলি। তারা আমাদের সন্তানের মতো। আন্দোলন করতে গিয়ে তারা নারী-শিক্ষকদের চরিত্র নিয়ে প্রশ্ন তুলছে, শ্লোগান দিচ্ছে, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আমাদের হেয় প্রতিপন্ন করে কুরুচিপূর্ণ স্ট্যাটাস দিচ্ছে। একজন শিক্ষকের জন্য সব শিক্ষক নিয়ে তারা এভাবে বলতে পারে না। আমরা এমন ঘটনায় ক্ষুব্ধ!
তবে শিক্ষকদের একাংশের এ মানববন্ধনে শিক্ষক সমিতির কোনো নেতাকে দেখা যায়নি।
এদিকে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের আন্দোলন ভিন্ন দিকে প্রবাহিত করার জন্য ১০/১২ জন শিক্ষক মিথ্যা প্রোপাগান্ডা ছড়াচ্ছেন। আমাদের লজ্জা হচ্ছে যে, শিক্ষার্থীরা পুলিশের হাতে মার খেয়েছে, এ ব্যাপারে ওই শিক্ষকরা কোনো কথাই বলেননি। অথচ আজ তারা মানববন্ধন করে আমাদের আন্দোলনের বিরুদ্ধে জানালেন।’
এর আগে গতকাল মঙ্গলবার (১৮ জানুয়ারি) বিকাল সোয়া পাঁচটায় শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলতে আসেন শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. তুলসি কুমার দাস ও সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মুহিবুল আলমসহ প্রতিনিধি দল। তখন শিক্ষার্থীরা 'ভুয়া, ভুয়া' শ্লোগান দিয়ে তাদের প্রত্যাখ্যান করেন। পরে রাত ১০টায় আন্দোলকারী শিক্ষার্থীরা উপাচার্যের পদত্যাগের জন্য বুধবার ১২টা পর্যন্ত সময় বেঁধে দেন। এর মধ্যে উপাচার্য পদত্যাগ না করলে শিক্ষার্থীরা আমরণ অনশনে যাওয়ার ঘোষণা দেন। তাদের বেঁধে দেওয়া সময়ে উপাচার্য পদত্যাগ না করায় দুপুর ১টার দিকে উপাচার্যের বাসভবনের সামনে জড়ো হয়ে অনশনের প্রস্তুতি নিতে দেখা গেছে।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার (১৩ জানুয়ারি) রাত থেকে সিরাজুন্নেছা ছাত্রী হলের প্রভোস্টের পদত্যাগসহ তিন দফা দাবিতে ছাত্রীরা আন্দোলন শুরু করেন। এর এক পর্যায় রোববার (১৬ জানুয়ারি) দাবি আদায়ে ছাত্রীরা উপাচার্যকে অবরুদ্ধ করে রাখলে পুলিশ উপাচার্যকে উদ্ধার করতে গিয়ে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর লাঠিচার্জ, রাবার ব্যুলেট, টিয়ার গ্যাস নিক্ষেপ করে। শিক্ষার্থীরাও ইটপাটকেল নিক্ষেপ করলে অর্ধশত শিক্ষার্থী আহত হন এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রকল্যাণ উপদেষ্টা ও কয়েকজন পুলিশ সদস্য আহত হন।
এসইউ/এমএসপি