এখন থেকে কর ‘আদায়’ নয়, বলব ‘আহরণ’: এনবিআর চেয়ারম্যান
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম। ছবি: সংগৃহীত
মানুষ কর দেয়াটাকে বোঝা মনে করে উল্লেখ করে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম বলেছেন, করদাতার সঙ্গে সুসম্পর্ক গড়তে কর আদায় শব্দটা না বলে কর আহরণ বলতে হবে।
বৃহস্পতিবার (৩০ নভেম্বর) বেলা ১১টায় জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের মাল্টিপারপাস হলে জাতীয় আয়কর দিবস-২০২৩ উপলক্ষে ‘নতুন আয়কর আইন এবং কর পরিপালন: পরিবর্তিত প্রেক্ষিত’ শীর্ষক এক সেমিনারে এ কথা বলেন এনবিআর চেয়ারম্যান।
তিনি বলেন, মানুষ কর দেয়াটা একটা বোঝা মনে করেন। কাজেই করদাতার সঙ্গে আমাদের সুসম্পর্ক গড়তে হবে। তাই কর আদায় শব্দটা বলব না। এখন থেকে আমরা বলব কর আহরণ।
আগে করদাতার অনীহা, ভয়, শঙ্কা দূর করতে হবে উল্লেখ করে আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম বলেন, কর কেন দিতে হবে, তা মানুষকে বোঝাতে হবে। কর দিলে আপনি পাবেন একটি সমৃদ্ধ বাংলাদেশ। এটিই সবাইকে বোঝাতে হবে।
তিনি বলেন, এ মুহূর্তে আমাদের এক কোটি আয়কর রিটার্ন দাখিল দরকার, কিন্তু আসছে মাত্র ৩০ থেকে ৩৫ লাখ। এটি আমরা কীভাবে বাড়াতে পারি, সেটি দেখতে হবে।
এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, ‘আমরা নতুন পদ্ধতি টিআরপি চালু করতে যাচ্ছি। সেটি হলে রিটার্ন জমা আরও সহজ হবে।’
এ সেমিনারে এনবিআর জানিয়েছে, বিগত ১২ বছরে আয়কর আহরণে প্রায় ৩ গুণ প্রবৃদ্ধি হয়েছে। কোভিড-১৯ ও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ পরিস্থিতির মধ্যেও বিগত অর্থবছরে আয়কর সংগ্রহে প্রবৃদ্ধি হয়েছে। এ ছাড়া স্বাধীনতার পর থেকে ক্রমবর্ধমান হারে আয়করের হিস্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে।
গত পাঁচ দশকে মোট রাজস্বে প্রত্যক্ষ করের হিস্যা ক্রমান্বয়ে প্রায় চার গুণ বৃদ্ধি পেয়ে ২০২২-২৩ অর্থবছরে ৩৫ শতাংশে উন্নীত হয়েছে বলেও উল্লেখ করা হয়। সেমিনারে আরও জানানো হয়, ২০২২-২৩ অর্থবছর থেকে টিআইএন গ্রহণের সংখ্যা বেড়েছে ৫০ শতাংশেরও বেশি। এ ছাড়া চলতি অর্থবছর আয়কর আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ১ লাখ ৫৩ হাজার ৬৫ কোটি টাকা।