খুচরা বাজারে পাইকারির চেয়ে দিগুণ দামে বিক্রি হচ্ছে তরমুজ
ভ্যাপসা গরমে স্বস্তিদায়ক ফল হিসেবে তরমুজের জুড়ি মেলা ভার। গরম এলেই বাড়ে তরমুজের চাহিদা। রাজধানীর মার্কেটগুলোতে দেখা যায়, পাইকারি বাজারের চেয়ে খুচরা বাজারে দিগুণ দামে বিক্রি হচ্ছে তরমুজ। কেউ কেউ বিক্রি করেছন কেজি দরে। সম্প্রতি রাজধানীর বিভিন্ন জায়গার বাজার ঘুরে এ অবস্থা দেখা যায়।
সবচেয়ে বেশি তরমুজ আসে সদরঘাটের বাদামতলী ঘাটে। বাদামতলী ঘাটে দেখা মেলে সারি সারি তরমুজের ট্রলারের। জানা যায়, ছোট তরমুজ (২-৩ কেজি) বিক্রি হচ্ছে ৫০০০- ৮০০০ টাকা শতক, মাঝারি তরমুজ (৪-৫) কেজি বিক্রি হচ্ছে ১০-১২ হাজার টাকা শতক এবং বড় তরমুজ বিক্রি হচ্ছে (৭-১২ কেজি) ১৭-২১ হাজার টাকা শতক।
কিন্তু খুচরা মার্কেটে দেখা মেলে ভিন্ন এক চিত্র। পাইকারি মার্কেটের চেয়ে প্রায় দিগুণ দামে বিক্রি হচ্ছে তরমুজ। কেজি প্রতিও অনেকেই বিক্রি করছে তরমুজ। কেজি রাখা হচ্ছে ৪০-৭০ টাকা কেজি। অনেক জায়গায় কেজি প্রতি আগে বিক্রি করলেও এখন তা বিক্রি করছেন পিস হিসেবে তবে দাম প্রায় সমানই। খুচরা মার্কেটে ছোট তরমুজের দাম রাখা হচ্ছে ১৪০-২০০ টাকা, মাঝারি তরমুজের দাম রাখা হচ্ছে প্রতি পিস ২২০-৩৫০ টাকা এবং বড় তরমুজ বিক্রি হচ্ছে প্রতি পিস ৪০০-৫০০ টাকা।
তরমুজের দামের ব্যাপার অসন্তোষ জানিয়ে শিহাব নামের একজন ক্রেতা ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, এখন তরমুজের মৌসুম তবুও দাম বেশি। সিন্ডিকেটের কারণে নাকি তরমুজের দাম বাড়ে। এসব ব্যাপারে সরকারের নজরদারি করা প্রয়োজন।
পুরান ঢাকার ধূপখোলা মাঠের তরমুজ বিক্রেতা আলী ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, এখন বিক্রি খুব বেশি নেই তবে রমজানে বিক্রি বাড়বে। রমজানে হয়তো দাম বাড়বে তরমুজের।
তরমুজের দাম দিগুণ রাখা হচ্ছে এমন অভিযোগে তিনি ঢাকাপ্রকাশ-এর প্রতিবেদককে এড়িয়ে যান।
বাদামতলী ঘাটের পাইকারি বিক্রেতা মামুন শেখ বলেন, আমরা তো কম দামেই বিক্রি করে। অনেক সময় মাল (তরমুজ) পাওয়া না গেলে হয়তো দাম বেশি হয়।
খুচরা মার্কেটে দাম বেশির কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, এটা তারাই ভালো বলতে পারবে, আমি এ ব্যাপারে বলতে পারব না।
এসএন