বৈশ্বিক প্রবৃদ্ধি কমলেও বাড়বে বাংলাদেশের: বিশ্বব্যাংক
করোনাভাইরাসের নতুন ধরন অমিক্রনের বাড়বাড়ন্তের কারণে বিশ্ব অর্থনীতি হোঁচট খাচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মতো বড় দেশের চাহিদা কমে যাওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে উন্নয়নশীল দেশগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হবে। মূল্যস্ফীতি বাড়বে বলেও ধারণা করছে বিশ্বব্যাংক। তবে বাংলাদেশ এ ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম। বৈশ্বিক প্রবৃদ্ধির হার কমলেও ২০২২ ও ২০২৩ সালে বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি বাড়বে বলে জানিয়েছে বিশ্বব্যাংক।
চলতি ২০২১-২২ অর্থবছরে বাংলাদেশের মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) প্রবৃদ্ধি ৬ দশমিক ৪ শতাংশ হতে পারে বলে জানিয়েছে বিশ্বব্যাংক। তবে অর্থনীতির বর্তমান গতিপ্রকৃতি বজায় থাকলে আগামী ২০২২-২৩ অর্থবছরে প্রবৃদ্ধির হার বেড়ে ৬ দশমিক ৯ শতাংশ হতে পারে বলে ধারণা করছে সংস্থাটি।
মঙ্গলবার (১১ জানুয়ারি) বিশ্বব্যাংকের সবশেষ ‘গ্লোবাল ইকোনমিক প্রসপেক্টস’ প্রতিবেদনে চলতি অর্থবছরে বাংলাদেশের মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) প্রবৃদ্ধির এ আভাস দেওয়া হয়।
বিশ্বব্যাংকের প্রাক্কলন অনুযায়ী, গত ২০২০-২১ অর্থবছরে জিডিপি প্রবৃদ্ধি পাঁচ শতাংশ ছিল।
করোনা মহামারির ধাক্কা সামলে রপ্তানি ও ভোগ ব্যয় বাড়তে শুরু করায় এমন আভাস দিয়েছিল। চার মাস পর বিশ্বজুড়ে করোনার আবার ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতার মধ্যে প্রবৃদ্ধির আভাস অপরিবর্তিত রাখল বিশ্ব ব্যাংক।
এর আগে গত বছর ৭ অক্টোবর প্রকাশিত আগের ষান্মাষিক প্রতিবেদনেও চলতি ২০২১-২২ অর্থবছরে জিডিপি ৬ দশমিক ৪ শতাংশ বাড়তে পারে বলে প্রাক্কলনের তথ্য দিয়েছিল আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সহযোগী সংস্থাটি।
সরকার চলতি বছরে ৭ দশমিক ২ শতাংশ প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে। বিশ্বব্যাংক, এডিবি ও আইএমএফের চেয়ে কম প্রবৃদ্ধি অর্জনের পূর্বাভাস দিয়েছে।
বিশ্বব্যাংকের চেয়ে একটু বাড়িয়ে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) চলতি অর্থবছরে ৬ দশমিক ৮ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হবে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে।
অপরদিকে আন্তর্জাতিক ঋণদাতা সংস্থা আইএমএফ বলছে, সংক্রমণের হার কমে আসায় ও সরকারের অনুকূল নীতি সহায়তা অব্যাহত থাকায় চলতি অর্থবছরে এ হার হবে ৬ দশমিক ৬ শতাংশ।
এসএ/