কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সিএসআরের নীতিমালা জারি
শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও পরিবেশ রক্ষায় ব্যয় ৮০ শতাংশ
করপোরেট সামাজিক দায়বদ্ধতার (সিএসআর) মোট খরচের ৩০ শতাংশ শিক্ষা এবং ৩০ শতাংশ স্বাস্থ্য খাতে খরচ করতে হবে। এছাড়া পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় খরচ করতে হবে ২০ শতাংশ। তাছাড়া বাকি ২০ শতাংশ অর্থ খরচ করতে হবে সংস্কৃতি, সংস্কৃতি, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা, খেলাধুলা ও বিনোদনে। এভাবে কোন কোন উপখাতে এই অর্থ খরচ করা যাবে তা সুনির্দিষ্ট করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক সিএসআর নীতিমালা প্রণয়ন করেছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সাসটেইনেবল ফিন্যান্স বিভাগের মহাব্যবস্থাপক খোন্দকার মোর্শেদ মিল্লাতের সই করা নতুন নীতিমালা ৯ জানুয়ারি জারি করে তফসিলভুক্ত ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালকদের দ্রুত কার্যকর করতে বলা হয়েছে। এ ব্যাপারে খোন্দকার মোর্শেদ মিল্লাতের নেতৃত্বে একটি কমিটি ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য সিএসআর নীতিমালা প্রণয়ন করেছে।
নীতিমালায় বলা হয়েছে, ব্যাংকগুলো চাইলে এর বাইরে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ও মন্ত্রণালয়ের তহবিলে সিএসআরের অর্থ দিতে পারবে। তবে শিশুশ্রম আছে এমন খাতে সিএসআরের টাকা খরচ করা যাবে না। এছাড়া সামাজিক মূল্যবোধের জন্য ক্ষতিকর, আন্তর্জাতিক ক্রীড়া-বিনোদন এবং ব্র্যান্ডিং ও বিজ্ঞাপনেও এ টাকা ব্যয় করা যাবে না।
২০০৮ সালে বাংলাদেশ ব্যাংক প্রথম উদ্যোগ নেয় সিএসআর কার্যক্রমে। এরপর বিভিন্ন ভাবে তা কার্যকর করতে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে নির্দেশ দেয়। করোনাকালে সিএসআর খাতের ৫০ শতাংশ স্বাস্থ্যখাতে খরচের নির্দেশনা দেয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক। গত বছরের ছয় মাসে (জানুয়ারি-জুন) ব্যাংকগুলো ৪৬১ কোটি ৪২ লাখ টাকা সিএসআর ব্যয়ে করে, যার মধ্যে শুধু স্বাস্থ্য খাতে খরচ করা হয় ২৩৭ কোটি ৯৮ লাখ টাকা।
সিএসআর প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে এসডিজির সঙ্গে সম্পৃক্ত। তাই বাংলাদেশ ব্যাংক ঝুঁকিপূর্ণ ও সুবিধা বঞ্চিতদের জন্য সিএসআর কার্যকর করার জন্য এই নীতিমালা প্রণয়ন করা হয়েছে।
জেএ/এসআইএইচ