মঙ্গলবার, ৪ মার্চ ২০২৫ | ১৯ ফাল্গুন ১৪৩১
Dhaka Prokash

যানজটে জিডিপি’র ক্ষতি আড়াই শতাংশ

ছবি : সংগৃহীত

বাংলাদেশের উন্নয়নের অধিকাংশই ঢাকাকেন্দ্রিক। যে কারণে রাজধানী ঢাকা শহরে যানজট ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। এর নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে জিডিপিতে। বছরে মোট দেশজ উৎপাদন বা জিডিপি’র সরাসরি ক্ষতি হচ্ছে ২ দশমিক ৫ শতাংশ।

এ ছাড়া প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে মাথাপিছু আয়ের ক্ষতি হচ্ছে ৫ দশমিক ৮ শতাংশ। এর বাইরে ঢাকার ওভারগ্রোথের কারণে ক্ষতি হয় জিডিপির ৬ শতাংশ।

বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (বিআইডিএস) বার্ষিক গবেষণা সম্মেলনে এসব তথ্য জানানো হয়।

বৃহস্পতিবার (২ ডিসেম্বর) সম্মেলনের দ্বিতীয় দিনে ‘ঢাকা’স ওভারগ্রোথ অ্যান্ড ইটস কস্ট’ শীর্ষক প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন পলিসি রিসার্চ ইনিসটিটিউটের (পিআরআই) পরিচালক আহমেদ আহসান।

বিআইডিএস মহাপরিচালক ড. বিনায়ক সেনের সভাপতিত্বে দ্বিতীয় দিনে প্রায় ১৫টির মতো গবেষণাপত্র উপস্থাপন করা হয়। রাজধানীর এক হোটেলে এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

আহমেদ আহসান বলেন, ‘বাংলাদেশের যত মানুষ শহরে বাস করেন, তার অধিকাংশেরই বসবাস ঢাকায়। বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যার প্রায় ১৬ কোটি। এর মধ্যে প্রধান শহরগুলোতে বাস করেন ৩১ দশমিক ৯ শতাংশ মানুষ। এর মধ্যে আবার ঢাকায় বাস করে ১১ দশমিক ২ শতাংশ মানুষ। এ ছাড়া ১০ লাখের বেশি মানুষ বাস করেন তিন শহরে। ১০ লাখের মতো মানুষ বাস করেন এমন শহর মাত্র পাঁচটি।

অন্যান্য দেশের উদাহরণ টেনে তিনি জানান, চীনের মোট জনসংখ্যা প্রায় ১৩৮ কোটি। এর মধ্যে শহরে বাস করে মাত্র ৩ দশমিক ১ শতাংশ। সবচেয়ে বড় শহরে বাস করে ১ দশমিক ৮ শতাংশ, ১০ লাখের মতো মানুষ বাস করে এমন শহর ১০২টি। আবার ভারতের জনসংখ্যা প্রায় ১৩৩ কোটি। এর মধ্যে শহরে বাস করে ৬ শতাংশ মানুষ। সবচেয়ে বড় শহরে বাস করে ২ শতাংশ মানুষ। ১০ লাখের বেশি মানুষের বসবাসের শহর রয়েছে ৫৪টি।

আহমেদ আহসান আরও বলেন, বাংলাদেশের উন্নয়নের অধিকাংশই ঢাকাকেন্দ্রিক হলেও অন্যান্য শহরগুলোতে উন্নয়নের ঘাটতি রয়েছে। এ ছাড়া বিদ্যুৎ ব্যবহারেও অন্যান্য শহরগুলো পিছিয়ে আছে। বাংলাদেশের বিদ্যুৎ উৎপাদনের সক্ষমতা অনেক। কিন্তু উৎপাদন হয় কম।

তিনি বলেন, ‘দারিদ্র্য নিরসনের হার শহরে কম, গ্রামে বেশি। এই হার জাতীয় হারের চেয়ে গ্রামে অনেক বেশি। এ ছাড়া শ্রমিকদের মজুরি হারের প্রবৃদ্ধি শহরে কমছে। আগে যেখানে প্রবৃদ্ধির এই হার ১২ শতাংশ ছিল, এখন সেটি কমে ৮ শতাংশ হয়েছে। বছরে প্রায় এক লাখ কোটি টাকার আর্থিক ক্ষতি হচ্ছে ঢাকার যানজটে। এ ক্ষতি দেশের জাতীয় বাজেটের প্রায় ২০ শতাংশের সমান।

 

জেডএ/এমএমএ/

 

Header Ad
Header Ad

উপদেষ্টা হচ্ছেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী আমিনুল ইসলাম

সহকারী অধ্যাপক ড. এম আমিনুল ইসলাম। ছবি: সংগৃহীত

প্রতিমন্ত্রীর পদমর্যাদায় শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে কর্মরত প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী অধ্যাপক ড. এম আমিনুল ইসলামকে উপদেষ্টা হিসেবে নিয়োগ পেতে যাচ্ছেন।

আগামীকাল (৫ মার্চ) সকালে শপথ গ্রহণ করে নতুন উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করবেন। মঙ্গলবার (৪ মার্চ) এ তথ্য নিশ্চিত করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। 

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক এম আমিনুল ইসলাম গত বছরের ১০ নভেম্বর শিক্ষা উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী হিসেবে নিয়োগ পান। অধ্যাপক আমিনুল ইসলাম দীর্ঘ ক্যারিয়ারে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি ২০০২ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর এবং ২০০৬ থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, সিলেটের ভাইস চ্যান্সেলরের দায়িত্বে ছিলেন।

এছাড়া, তিনি জানুয়ারি ২০১৮ থেকে আগস্ট ২০২৩ পর্যন্ত বাংলাদেশ মেডিকেল ফিজিক্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ২০১৬ সাল থেকে টিএমএসএসের অ্যাডভাইজার এবং ২০২১ সাল থেকে টিএমএসএস ক্যান্সার কেয়ার সেন্টার বাস্তবায়নের স্টিয়ারিং কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান হিসেবে কাজ করছেন।

Header Ad
Header Ad

নতুন দলের বেশিরভাগ প্রার্থীর জামানত বাজেয়াপ্ত হবে: এম এ আজিজ

রাজনৈতিক বিশ্লেষক এম এ আজিজ। ছবি: সংগৃহীত

আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে নতুন গঠিত রাজনৈতিক দলের বেশিরভাগ প্রার্থী জামানত হারাবেন বলে মন্তব্য করেছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষক এম এ আজিজ। তার মতে, স্থানীয় পর্যায়ে যথেষ্ট জনপ্রিয়তা না থাকায় এসব প্রার্থী ভোটের লড়াইয়ে টিকে থাকতে পারবেন না।

এম এ আজিজ বলেন, "নতুন দলগুলো তরুণদের নিয়ে রাজনীতি করছে, এলাকায় অর্থ ব্যয় করছে, মসজিদকেন্দ্রিক কার্যক্রম চালাচ্ছে। কিন্তু জাতীয় পর্যায়ে রাজনৈতিক শক্তি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হতে হলে স্থানীয় গণভিত্তি দরকার, যা তাদের নেই।"

তিনি আরও বলেন, "নির্বাচনে শুধু জনপ্রিয়তা থাকলেই হবে না, সংগঠনের শক্তি ও অভিজ্ঞতাও প্রয়োজন। কিছু এলাকায় দু-একজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করলেও সামগ্রিকভাবে দলের অবস্থা ভালো নয়। ফলে তাদের জামানত বাজেয়াপ্ত হওয়ার আশঙ্কা বেশি।"

তার মতে, বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে তরুণদের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ হলেও রাজনৈতিক অভিজ্ঞতার অভাবে তারা বড় চ্যালেঞ্জের মুখে পড়বে। এছাড়া, শিক্ষাঙ্গনের রাজনীতিতেও পরিবর্তন আসতে পারে বলে তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করেন।

এদিকে, কিছু বিশ্লেষকের মতে, নতুন দলগুলোর প্রার্থী সংখ্যা বাড়লেও নির্বাচনের মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা এখনও বড় দলগুলোর মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকবে। তবে তরুণদের রাজনীতিতে অংশগ্রহণ ভবিষ্যতে বড় পরিবর্তনের ইঙ্গিত দিতে পারে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

Header Ad
Header Ad

রোজাদারকে ইফতার করানোর বিশেষ পুরস্কার

ছবি: সংগৃহীত

রমজান মাসে রোজা রাখা ফরজ, যা আত্মশুদ্ধি ও আল্লাহভীতি অর্জনের অন্যতম মাধ্যম। পবিত্র কুরআনে আল্লাহ তাআলা বলেছেন, "হে মুমিনরা! তোমাদের ওপর রোজাকে ফরজ করা হয়েছে, যেমন ফরজ করা হয়েছিল পূর্ববর্তীদের জন্য। যেন তোমরা মুত্তাকি হতে পারো।" (সুরা : বাকারাহ, আয়াত : ১৮৩)

রোজার অন্যতম ফজিলত হলো- এটি মানুষের আত্মিক পরিশুদ্ধির পাশাপাশি পার্থিব ও পরকালীন জীবনে কল্যাণ বয়ে আনে।

হাদিসে এসেছে, "যে ব্যক্তি ঈমান ও প্রতিদানের আশায় রোজা রাখবে, তার অতীতের সব গুনাহ মাফ হয়ে যাবে।" (সহিহ বুখারি, হাদিস : ১৯০১)

আরেকটি হাদিসে বলা হয়েছে, "মানুষের প্রতিটি কাজ তার নিজের জন্যই— রোজা ছাড়া। এটি আমার জন্য, আমি নিজেই তার পুরস্কার দেবো। রোজাদারের মুখের গন্ধ আল্লাহর কাছে মিশকের ঘ্রাণের চেয়ে সুগন্ধযুক্ত।" (সহিহ বুখারি, হাদিস : ৫৯২৭)

এমন মর্যাদার কারণে রোজাদারকে ইফতার করানো অত্যন্ত সওয়াবের কাজ।

রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, "যে ব্যক্তি হালাল উপার্জন থেকে রোজাদারকে ইফতার করায়, তার প্রতি রাতে রহমতের ফেরেশতা দোয়া করেন। এমনকি কদরের রাতে জিবরাইল (আ.) তার সঙ্গে মুসাফা করেন।"

এই হাদিস থেকে বোঝা যায়, রোজাদারের মর্যাদা কত উচ্চ। অথচ অনেক সময় আমরা রোজাদারদের কষ্ট দিই, গিবত করি, তাদের অধিকার হরণ করি, যা রমজানের শিক্ষা পরিপন্থী।

রমজানের উদ্দেশ্য হলো— তাকওয়া অর্জন, যা আমাদের জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে প্রভাব ফেলতে হবে। শুধু অনাহারে থাকলেই রোজার প্রকৃত উদ্দেশ্য পূরণ হয় না, বরং আমাদের উচিত- হারাম থেকে বেঁচে থাকা, ন্যায়ের পথে চলা, আত্মীয়তার সম্পর্ক বজায় রাখা, অন্যের অধিকার রক্ষা করা।

সাইয়েদ আবুল হাসান আলী নদভি (রহ.) বলেছেন, "রমজানের রোজা ছোট রোজা, যা সুবহে সাদিক থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত থাকে। কিন্তু বড় রোজা হলো— সারাজীবন আল্লাহভীতি নিয়ে চলা। ছোট রোজা ফরজ করা হয়েছে, বড় রোজার যোগ্যতা অর্জনের জন্য।"

তাই আমাদের উচিত, রমজানের শিক্ষা পুরো জীবনে বাস্তবায়ন করা এবং আল্লাহর কাছে দোয়া করা, যেন তিনি আমাদের রোজাসহ সব ইবাদত কবুল করেন। আমিন।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

উপদেষ্টা হচ্ছেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী আমিনুল ইসলাম
নতুন দলের বেশিরভাগ প্রার্থীর জামানত বাজেয়াপ্ত হবে: এম এ আজিজ
রোজাদারকে ইফতার করানোর বিশেষ পুরস্কার
প্রধান উপদেষ্টার আপত্তিতেই ‘ডেভিল হান্ট’ নাম বদলের সিদ্ধান্ত
ভারতের প্রতিশোধ নাকি আবার অস্ট্রেলিয়া?
শ্রীমঙ্গলে সড়ক দুর্ঘটনায় দুই চা শ্রমিক নিহত, আহত ১৮
নির্বাচনে ৩০০ আসনেই প্রার্থী দেওয়ার প্রস্তুতি চলছে: হাসনাত আব্দুল্লাহ
মার্কিন অনুদান বন্ধে ভারতে ট্রান্সজেন্ডার হাসপাতালগুলোর কার্যক্রম স্থগিত
পদত্যাগ করেছেন ইরানের ভাইস-প্রেসিডেন্ট জাভেদ জারিফ
পুরোনো সংবিধান রেখে নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণ সম্ভব নয় : নাহিদ ইসলাম
খালেদা জিয়ার শারী‌রিক অবস্থা স্থি‌তিশীল: ডা. জা‌হিদ  
রাবির তথ্য অফিসার পদে নিয়োগ পেলেন বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের নেতা
বধ্যভূমিতে জুলাই শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাল এনসিপি  
অনিয়মের অভিযোগে কুবির রেজিস্ট্রারকে বাধ্যতামূলক ছুটি  
ইউক্রেনে সামরিক সহায়তা স্থগিতের নির্দেশ ট্রাম্পের  
নুরের ‘দলত্যাগ’ প্রসঙ্গে হান্নান মাসউদের বক্তব্যের প্রতিবাদ গণঅধিকার পরিষদের  
মধ্যরাতে ধোলাইখালে জবি শিক্ষার্থীদের সঙ্গে স্থানীয়দের সংঘর্ষ  
জাতীয় স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা জানালেন জাতীয় নাগরিক পার্টির নেতারা
বিরামপুরে কাভার্ড ভ্যান-ইজিবাইক সংঘর্ষে স্কুলছাত্রসহ নিহত ২
ট্রাম্পের ২৯ মিলিয়ন ডলার অর্থায়নের অ‌ভিযোগ সত্য নয়: পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়