শুক্রবার, ৭ মার্চ ২০২৫ | ২২ ফাল্গুন ১৪৩১
Dhaka Prokash

‘পদ্মা সেতু’ দেশের অর্থনীতির নতুন লাইফ লাইন

সব ষড়যন্ত্রের জাল ছিন্ন করে প্রমত্তা পদ্মার বুকে নির্মিত হয়েছে বাংলাদেশের সক্ষমতার প্রতীক স্বপ্নের পদ্মা সেতু। দেশের দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ১৯ জেলা তো বটেই বাংলাদেশের অর্থনীতির নতুন লাইফ লাইন পদ্মা সেতু উদ্বোধন হচ্ছে আজ। যা দেশের অর্থনীতিতে প্রায় ২ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জনে বড় ভূমিকা রাখবে।

প্রায় ৩০ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটারের দেশের অন্যতম বড় যোগাযোগ অবকাঠামো স্বপ্নসারথি পদ্মা সেতু নির্মাণের ফলে পাল্টে যাবে দেশের অর্থনীতি। আমূল পরিবর্তন আসবে দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলায়। ব্যাপকভাবে সম্প্রসারণ হবে ব্যবসা-বাণিজ্য। গড়ে উঠবে শিল্প কারখানা। সমৃদ্ধির পথে হাঁটবে বাংলাদেশ। বিশ্ব দরবারে বাংলাদেশ যাবে অনন্য উচ্চতায়।

পদ্মা নদীর কারণে রাজধানীর সঙ্গে ঢাকা বিভাগেরই পাঁচটি জেলার সরাসরি সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন ছিল বছরের পর বছর। শুধু ঘণ্টার পর ঘণ্টা নয়, দিনও পার হয়ে গেছে পদ্মা নদী পাড়ি দিতে। ইচ্ছা থাকলেও অনেকে বাবা-মা থেকে শুরু করে আত্মীয়-স্বজনের চিকিৎসা করাতে পারেননি নদী পারাপারের বিড়ম্বনায়। অর্থনৈতিক ক্ষতিও কম হয়নি দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের জেলাগুলোর।

বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির সভাপতি মো. হেলাল উদ্দিন ঢাকাপ্রকাশকে বলেন, ‘পদ্ম সেতু শুধু একটি সেতু না এটি হচ্ছে সারা বিশ্বে বাংলাদেশকে নতুন করে চেনার পথ। দেশের সক্ষমতা জানান দেওয়ার আওয়াজ। এর ফলে ব্যবসা-বাণিজ্যে তথা অর্থনীতিতে আমূল পরিবর্তন ঘটবে। কারণ ঢাকা বিভাগের জনগণই আগে দিনের মধ্যে রাজধানীর সুফল পেত না। খুলনা ও এর আশপাশের জেলায় রপ্তানিমুখী বড় শিল্পকারখানা নেই। যাতায়াত সহজ না হওয়ায় ব্যবসা-বাণিজ্যেও অনেক পিছিয়ে ছিল। কিন্তু পদ্মা সেতুর আশির্বাদে শুধু দক্ষিণাঞ্চলের ২১ জেলা নয়, সারা দেশ এর সুফল পাবে। কৃষকের ফসল আর পচবে না। কৃষকের উৎপাদিত ফসলসহ মাছ, চাল, মৌসুমি ফল সহজেই রাজধানীসহ অন্যান্য জেলায় পৌঁছবে। দক্ষিণাঞ্চলের মানুষকে নৌপথে ঢাকায় আসতে ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হবে না। কয়েক ঘণ্টার মধ্যে রাজধানীতে পৌঁছে যাবে। কৃষক পণ্যের ন্যায্য দাম পাবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘ মানুষ দিনের মধ্যেই কাজ শেষে বাড়িতে ফিরতে পারবে। শুধু তাই নয়, বিভিন্ন বন্দর, অর্থনৈতিক অঞ্চল নির্মাণও হবে। এ জন্য দক্ষিণাঞ্চলে ইতোমধ্যে জমির দাম অনেক দাম বেড়ে গেছে। দ্রুত শিল্পায়ন হবে। এভাবে বিভিন্নভাবে অবদান রাখবে পদ্মা সেতু। উৎপাদনমুখী কর্মকাণ্ডের কারণে মোট দেশজ উৎপাদনে (জিডিপি) প্রায় ২ শতাংশ অবদান রাখবে। সারা বাংলাদেশ হাতের তালুতে আসবে।’

ব্যবসা-বাণিজ্যে অপার সম্ভাবনার দ্বার খুলে দিচ্ছে পদ্মা সেতু। দেশের অর্থনীতিকে চাঙ্গা করার পথ দেখাচ্ছে। ব্যবসা-বাণিজ্যের ব্যাপক প্রসারের সুযোগ করছে। এই বাণিজ্য শুধু দেশে নয়, অন্যান্য দেশের সঙ্গেও যুক্ত হওয়ার পথ দেখাচ্ছে। বাড়বে রপ্তানি। সৃষ্টি হবে কর্মসংস্থান। বেকারত্ব ঘুচবে কয়েকগুণ। শিল্প কারখানার পাশাপাশি ব্যাপকভাবে বিস্তার লাভ করবে কৃষি নির্ভর অর্থনীতিও।

অর্থনীতিবিদরা আগেই গবেষণা করে দেখেছেন পদ্মা সেতু চালু হলে ব্যাপকভাবে কর্মচাঞ্চল্য গড়ে উঠবে। মোট দেশজ উৎপাদনে (জিডিপি) প্রায় ২ শতাংশ অবদান রাখবে। পদ্মা নদীর কারণে বছরের পর বছর দেশের একটা বড় জনগোষ্ঠী বঞ্চিত ছিল সবরকম সুযোগ সুবিধা থেকে। সেটি এখন দূর হয়ে গেছে। একসময় যেমন উত্তরবঙ্গ বিচ্ছিন্ন ছিল। কিন্তু যমুনা নদীতে সেতু নির্মাণের পর উত্তরবঙ্গের মানুষের জীবনযাত্রার মান যেমন বেড়েছে, আর্থসামাজিক অবস্থা পরিবর্তন হয়েছে, ঠিক তেমনি শিল্পায়নে বিপ্লব ঘটেছে দেশের উত্তরজনপদে।

পদ্মা সেতু নির্মাণ হওয়ার ফলে একই চিত্র দেখা যাবে দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের জেলাগুলোতেও। এই অঞ্চলে আগামী কয়েক বছরে শিল্পায়নে বিপ্লব ঘটবে। মানুষের কর্মযজ্ঞ বাড়বে। এক কথায় পদ্মার ওই পারের ২১ জেলার অর্থনীতি যেমন বদলে যাবে, তেমনি দেশের অর্থনীতিতেও বড় পরিবর্তন আসবে।

যশোরের বেনাপোল ও সাতক্ষীরার ভোমরা স্থল বন্দর দেশের অর্নীতির চাকা সচল করতে কয়েকগুণ সক্রিয় হয়ে উঠবে। একইভাবে মোংলা ও পটুয়াখালীর পায়রা সমুদ্রবন্দরও অর্থনীতিতে বড় ভূমিকা রাখবে।

আশা করা হচ্ছে, পদ্মা সেতুর কারণে দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের কৃষিপণ্য সহজেই ঢাকায় পৌঁছবে। এতে করে রাজধানী ঢাকাসহ আশপাশের সকল জেলায় কৃষিপণ্যের সরবরাহ বাড়বে। কৃষিপণ্যের দামও সাধারণের নাগালের মধ্যে থাকবে। কৃষকরাও তার উৎপাদিত ফসলের ন্যায্য মূল্য পাবে। এতে করে অর্থনীতির চাকা দ্রুতগতিতে ঘুরবে।

পদ্মা সেতু শুধু দেশীয় দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল বা দেশের অন্যান্য জেলার অর্থনীতে ভূমিকা রাখবে না, বৈদশিক মুদ্রা অর্জনেও বড় ভূমিকা রাখবে। এই সেতুর কারণে ভারতে, নেপাল, ভুটানসহ আশপাশের দেশের সঙ্গে বাণিজ্যে বড় ভূমিকা রাখবে এমনটাই মনে করছেন অর্থনৈতিক বিশ্লেষকরা। পদ্মা সেতুতে যখন রেল লাইন চালু হবে এবং দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সঙ্গে রেল যোগাযোগ সহজ হয়ে উঠবে তখন আরও বেশি সুবিধা পাওযা যাবে।

পদ্মা সেতুর স্বপ্নসারথি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ইতিমধ্যে বলেছেন, ‘পদ্মা সেতুকে ঘিরে নতুন অর্থনৈতিক অঞ্চল ও হাইটেক পার্ক গড়ে তোলা হবে। দেশের দক্ষিণাঞ্চলে দ্বিতীয় পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের জন্য একটি জায়গা খোঁজা হচ্ছে।’

পদ্মা সেতুর ফলে বাংলাদেশের যে সামর্থ্য সেটা বিশ্বে ইতিবাচক ভাবমূর্তি তুলে ধরবে। এই সেতু ভারত ও শ্রীলঙ্কার মধ্যে মোটর পরিবহন কানেকটিভিতে আছে। এশিয়ান হাইওয়ে ও রেললাইন লিংকেও যুক্ত হবে। এর পরিচিতি কেবলমাত্র যে বাংলাদেশে থাকবে তা না, আঞ্চলিক ও উপআঞ্চলিক পর্যায়ে চলে যাবে। এর গুরুত্ব বিশ্বেও যাবে। পর্যটনেরও অপার সম্ভাবনা।

যোগাযোগের ক্ষেত্রে বিপ্লব ঘটানো পদ্মা সেতু যেমন রাজধানীর সঙ্গে দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের জেলাগুলোর দূরত্ব কমাবে, তেমনি মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনেও রাখবে বড় ভূমিকা। এই সেতুর কারণে পদ্মার ওই পারের পর্যটন শিল্পেও বড় পরিবর্তনের প্রত্যাশা করছেন সংশ্লিষ্টরা। পর্যটকদের কাছে এখন পর্যন্ত বিশ্বের একমাত্র ম্যানগ্রোভ ফরেস্ট সুন্দরবন আর সাগরকন্যা কুয়াকাটা অন্যতম পর্যটন স্পট। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মাজারকে কেন্দ্র করে ইতিমধ্যে বড় একটি পর্যটন স্পট হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে টুঙ্গিপাড়া। সেখানেও অপার সম্ভাবনা রয়েছে। এগুলোর বাইরে আরও বহু পর্যটন কেন্দ্র রয়েছে যেগুলো এখনও পর্যটকদের কাছে ওইভাবে প্রকাশ পায়নি। পদ্মা সেতুর কারণে অন্ধকারে থাকা পর্যটন স্পটগুলো আলোকিত হবে। গড়ে উঠবে কর্মসংস্থান। অর্থনৈতিক বাঁক বদলে রাখবে গুরুত্ত্বপূর্ণ ভূমিকা।

যাত্রাপথের বিড়ম্বনা দূর হওয়ায় এখন দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলমুখী হবেন দেশি-বিদেশি পর্যটকরা। সহজেই যেতে পারবেন সুন্দরবন, কুয়াকাটা, বঙ্গবন্ধুর মাজার, মেহেরপুরের বৈদ্যনাথতলা কিংবা অন্যান্য জেলার পর্যটন স্পটগুলোতে। অর্থনীতির পরিবর্তনে এসব পর্যটনস্পটগুলো হয়ে উঠবে বড় সম্ভাবনাময় খাত।

এনএইচবি/এসএন

 

Header Ad
Header Ad

সেন্ট্রাল আফ্রিকান রিপাবলিকের রাষ্ট্রপতি পদকে ভূষিত হলেন সেনাপ্রধান

পদক গ্রহণ করছেন সেনাবাহিনী প্রধান জেনালের ওয়াকার-উজ-জামান। ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামানকে সেন্ট্রাল আফ্রিকান রিপাবলিকের প্রেসিডেন্ট পদে ভূষিত করা হয়েছে। সেন্ট্রাল আফ্রিকান রিপাবলিকের জনগণের সার্বিক উন্নয়নে, বিশেষ করে চিকিৎসা খাতে তার গুরুত্বপূর্ণ অবদানকে স্বীকৃতি প্রদান করেই তাকে এই সম্মাননা দেওয়া হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) এক বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানায় আইএসপিআর।

আইএসপিআর জানায়, সেন্ট্রাল আফ্রিকান রিপাবলিক সফর শেষে আজ বৃহস্পতিবার দেশে ফিরেছেন সেনাবাহিনী প্রধান। সফরকালে সেন্ট্রাল আফ্রিকান রিপাবলিকে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে নিয়োজিত বাংলাদেশি কন্টিনজেন্টসমূহ ও বাংলাদেশি শান্তিরক্ষীদের বিভিন্ন কার্যক্রম সম্পর্কে সেনাবাহিনী প্রধানকে অবহিত করা হয়। এ সময় তিনি তাঁর মূল্যবান দিকনির্দেশনা প্রদান করেন। সেনাবাহিনী প্রধান স্পেশাল রিপ্রেজেনটেটিভ অব দ্য সেক্রেটারি জেনারেল ভ্যালেন্টাইন রুগাবিজা এবং ফোর্স কমান্ডার লে. জেনারেল হামফ্রে নায়নির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। এ সময় তিনি জাতিসংঘ শান্তিরক্ষায় বাংলাদেশের শান্তিরক্ষীদের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা করেন।

ছবি: সংগৃহীত

সেনাবাহিনী প্রধান সেন্ট্রাল আফ্রিকান রিপাবলিক্যান ফোর্স (এফএসিএ) এর প্রধান জেনারেল মামাদু জেফিরিনের সাথে দ্বি-পাক্ষিক বৈঠকে অংশ নেন। বৈঠকে সেনাবাহিনী প্রধান দুই দেশের সেনাবাহিনীর মধ্যকার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক এবং পারস্পরিক সহযোগিতার বিষয়ে আলোচনা করেন। পরবর্তীতে প্রেসিডেন্ট, সেন্ট্রাল আফ্রিকান রিপাবলিক এবং সেনাবাহিনী প্রধান বাংলাদেশ সেনাবাহিনী কর্তৃক শান্তিরক্ষী মিশনের অধীনে বেসামরিক লোকদের সহায়তার অংশ হিসেবে সেন্ট্রাল আফ্রিকান রিপাবলিক এ নির্মিত তোয়াদেরা কমিউনিটি ক্লিনিকের উদ্বোধন করেন। এছাড়া সেনাবাহিনী প্রধান সেন্ট্রাল আফ্রিকান রিপাবলিকের প্রেসিডেন্ট ফসটিন আরচেঞ্জ তৌদেরার সঙ্গে দ্বি-পাক্ষিক বৈঠকে অংশগ্রহণ করেন। সেন্ট্রাল আফ্রিকান রিপাবলিকের জনগণের সার্বিক উন্নয়নের জন্য বিশেষ করে চিকিৎসা ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ প্রেসিডেন্ট সেন্ট্রাল আফ্রিকান রিপাবলিক বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সেনাবাহিনী প্রধানকে সম্মানসূচক রাষ্ট্রপতি পদকে ভূষিত করেন।

এছাড়া সেনাবাহিনী প্রধান সেন্ট্রাল আফ্রিকান রিপাবলিকের বাংগি এলাকায় নিয়োজিত বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর কন্টিনজেন্টসমূহ পরিদর্শন করেন। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী প্রধানের এ সফর সেন্ট্রাল আফ্রিকান রিপাবলিক ও বাংলাদেশের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক আরও জোরদারের পাশাপাশি সেখানে অবস্থিত বাংলাদেশি শান্তিরক্ষীদের মনোবল বৃদ্ধিতে সহায়তা করবে বলে আশা করা যায়।

উল্লেখ্য, সেনাবাহিনী প্রধান গত ৩ মার্চ সেন্ট্রাল আফ্রিকান রিপাবলিক সফরে যান।

Header Ad
Header Ad

তৃতীয় বিয়ে করলেন অভিনেতা মিলন, পাত্রী কে?

অভিনেতা আনিসুর রহমান মিলন ও তার স্ত্রী শিপা। ছবি: সংগৃহীত

আবারও বিয়ের পিঁড়িতে বসলেন ছোট ও বড়পর্দার জনপ্রিয় অভিনেতা আনিসুর রহমান মিলন। প্রায় এক মাস আগেই ভালোবাসার মাস ফেব্রুয়ারিতে বিয়ে সারেন এ অভিনেতা।

বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন নির্মাতা চয়নিকা চৌধুরী। মিলন ও তার স্ত্রীকে দেখতে অভিনেতার বাড়ি থেকে ৫টি ছবি পোস্ট করেন তিনি।

পোস্ট করা ছবির ক্যাপশনে বিবাহিত জীবনের জন্য শুভকামনাও জানান চয়নিকা। শুধু যে চয়নিকা নব দম্পতিকে দেখতে গিয়েছিলেন এমন নয়। ছোট পর্দার অনেক অভিনয়শিল্পীই আজ মিলনের বাড়ি হাজির হন নতুন বউ দেখতে।

জানা যায়, মিলনের স্ত্রীর নাম শিপা। গত ৮ ফেব্রুয়ারি চট্টগামে দুই পরিবারের সদস্যদের উপস্থিতিতে তাদের বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হয়।

উল্লেখ্য, অভিনেতার প্রথম স্ত্রীর নাম ছিল লুসি গোমেজ। ১৯৯৯ সালে তাদের বিয়ে হয়। ২০১৩ সালে তাদের দীর্ঘ দাম্পত্য জীবনের সমাপ্তি ঘটে। এরপর দ্বিতীয় স্ত্রী পলির সঙ্গে মিলনের বিয়ে ও চার বছরের সংসার জীবনের গুঞ্জন শোনা গেলেও তা অস্বীকার করে আসছিলেন অভিনেতা।

তবে ২০১৩ সালের অক্টোবরে শ্রীলঙ্কায় স্ত্রী-পুত্র সামাজিক মাধ্যম ফেসবুকে ছবি প্রকাশ করেন আনিসুর রহমান মিলন। সেই ছবি থেকে জানা যায়, তার স্ত্রীর নাম পলি আহমেদ এবং সন্তানের নাম মিহ্রান।

এরপর তিনি যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী পলি আহমেদকে বিয়ে করেন। যিনি ২০২২ সালে ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে মারা যান।

Header Ad
Header Ad

ইউপি চেয়ারম্যানের অ্যাকাউন্টে সাড়ে ১৪ হাজার কোটি টাকা লেনদেন, দুদকের মামলা

ব্রাহ্মন্দি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান লাক মিয়া। ছবি: সংগৃহীত

সাড়ে ১৪ হাজার কোটি টাকার সন্দেহজনক লেনদেন ও প্রায় ৫৫ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার উপজেলার ব্রাহ্মন্দি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান লাক মিয়া ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) দুপুরে দুদক কার্যালয়ে সংস্থাটির মহাপরিচালক আক্তার হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এর আগে এদিন দুদক প্রধান কার্যালয়ের উপপরিচালক সোহানুর রহমান বাদি হয়ে লাক মিয়ার নামে মামলা করেন।

মামলার এজহারে বলা হয়, লাক মিয়া চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে নিজ ক্ষমতার অপব্যবহারপূর্বক ঘুস ও দুর্নীতির মাধ্যমে তার জ্ঞাত আয়ের উৎসের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ ৫৫ কোটি ২৩ লক্ষ ৫২ হাজার ৯৫১ টাকা মূল্যের সম্পত্তির মালিকানা অর্জনপূর্বক দখলে রাখে।

তার নামে ৪৯টি ব্যাংক হিসাবে ১৪ হাজার ৩৭৬ কোটি ১৮ লক্ষ ৫২ হাজার ৫০১ টাকা অস্বাভাবিক লেনদেনের মাধ্যমে অপরাধলব্ধ অবৈধ অর্থ জ্ঞাতসারে হস্তান্তর, স্থানান্তর ও রূপান্তর করে। যার কারণে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ২৭(১) ধারা এবং মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর ৪ (২) ও ৪(৩) ধারা তৎসহ দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন, ১৯৪৭ এর ৫(২) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন।

এদিকে একই অভিযোগে লাক মিয়ার স্ত্রী মাহমুদা বেগমের বিরুদ্ধেও মামলা করেন দুদকের প্রধান কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক আশিকুর রহমান।

মাহমুদা বেগমের বিরুদ্ধে করা মামলার এজহারে বলা হয়, স্বামীর সহায়তায় জ্ঞাত আয়ের উৎসের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ ১৪ কোটি ৫০ লক্ষ ২৩ হাজার ১৯৭ টাকা মূল্যের সম্পদের মালিকানা অসাধু উপায়ে অর্জনপূর্বক দখলে রেখে এবং ১৪টি ব্যাংক হিসাবে জ্ঞাত আয়ের উৎসের সাথে অসঙ্গতিপূর্ণ ৪৬১ কোটি ১৬ লক্ষ ৮৬ হাজার ১৪৬ টাকা অস্বাভাবিক ও সন্দেহজনক লেনদেনের মাধ্যমে অপরাধলব্ধ অবৈধ অর্থ জ্ঞাতসারে হস্তান্তর, স্থানান্তর ও রুপান্তর করে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ২৭ (১) ধারা, মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর ৪(২) ও ৪(৩) ধারা এবং দন্ডবিধির ১০৯ ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে তার বিরুদ্ধে মামলা করা হয়।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

সেন্ট্রাল আফ্রিকান রিপাবলিকের রাষ্ট্রপতি পদকে ভূষিত হলেন সেনাপ্রধান
তৃতীয় বিয়ে করলেন অভিনেতা মিলন, পাত্রী কে?
ইউপি চেয়ারম্যানের অ্যাকাউন্টে সাড়ে ১৪ হাজার কোটি টাকা লেনদেন, দুদকের মামলা
লাইফ সাপোর্টে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য আরেফিন সিদ্দিক
যশোর সীমান্ত থেকে ৫ কোটি ১২ লাখ টাকার ভারতীয় মালামাল জব্দ
অনেক কো-আর্টিস্ট, ডিরেক্টর তখন আমার সঙ্গে কাজ করতে চাইতেন না: প্রভা
ভয়াবহ দাবানলের কবলে যুদ্ধবিধ্বস্ত সিরিয়া, ২০ স্থানে ছড়িয়েছে আগুন (ভিডিও)
নাগরিক পার্টি ছাড়লেন আবু হানিফ, ফিরে গেলেন গণ অধিকার পরিষদে
প্রথম দ্বিপাক্ষিক সফরে চীন যাচ্ছেন প্রধান উপদেষ্টা
রোজায় বেড়েছে আনারসের চাহিদা, দ্রুত পাকাতে রাসায়নিক ব্যবহারে স্বাস্থ্যঝুঁকি
সন্তানের জন্য ‘ডন থ্রি’ সিনেমা থেকে সরে দাঁড়ালেন কিয়ারা
অস্থিরতার কারণে এ বছর নির্বাচন কঠিন হবে: রয়টার্সকে নাহিদ ইসলাম
চিকিৎসা শেষে বাসায় ফিরলেন মির্জা ফখরুল
বিয়ে বাড়িতে প্রবেশের আগমুহূর্তে বরের মৃত্যু
মুশফিক অযু ছাড়া ব্যাট-বল স্পর্শ করতেন না: মুশফিকের স্ত্রী
বৈশ্বিক সন্ত্রাসবাদ সূচকে ভারত, পাকিস্তান ও যুক্তরাষ্ট্রের চেয়েও ভালো উন্নতি বাংলাদেশের
ছাত্র-জনতা কোথাও অভিযান চালাতে পারে না: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
ফ্রান্সে মুসলিম খেলোয়াড়দের রোজায় নিষেধাজ্ঞা
স্বাধীনতা পুরস্কার পাচ্ছেন আবরার ফাহাদসহ ৯ বিশিষ্ট ব্যক্তি
রাবিতে সভাপতি নিয়োগ নিয়ে দুই পক্ষের ধস্তাধস্তি