স্ত্রীকে গলা কেটে হত্যার পর স্বামীর আত্মহত্যার চেষ্টা!
রাজধানীর ভাটারা সোলমাইদ এলাকার একটি বাসা থেকে গলাকাটা অবস্থায় বন্যা আক্তার (১৮) নামে এক নারীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। সেখান থেকে গুরুতর জখম ও রক্তাক্ত অবস্থায় বন্যার স্বামী মো. সুজনকে (২২) উদ্ধার করা হয়েছে। পুলিশের ধারণা, পারিবারিক কলহের জেরে স্বামী তার স্ত্রীকে গলা কেটে হত্যা করে নিজেও আত্মহত্যার চেষ্টা করেন।
রবিবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) রাতে এই ঘটনা ঘটে। রাত আনুমানিক ১১টার দিকে আহত সুজনকে চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে ভর্তি করা হয়।
হাসপাতালে বন্যার মামা মো. কবির হোসেন বলেছেন, বন্যা ও সুজন গত ৪-৫ মাস আগে প্রেমের সম্পর্কে বিয়ে করেন। এরপর থেকে তারা ভাটারা সোলমাইদ অটোস্ট্যান্ড সংলগ্ন একটি টিনশেড বাসায় ভাড়া থাকা শুরু করেন। বন্যা একটি পোশাক তৈরির কারখানায় আর সুজন রাজমিস্ত্রির কাজ করেন। বাবা-মায়ের সঙ্গেও বন্যার যোগাযোগ নেই। তাদের বাড়ি নীলফামারীর জলঢাকা উপজেলায়। বন্যার বাবার নাম আ. গফুর।
তিনি আরও বলেন, রবিবার সন্ধ্যার দিকে বন্যা তার মামা কবির হোসেনকে ফোন দিয়ে বলেন, দ্রুত তাদের বাসায় যেতে। তবে, কী হয়েছে সে বিষয়ে তখন কিছুই জানায়নি। পরবর্তীতে কবির হোসেন তাদের বাসায় গিয়ে রুমের দরজা ভেতর থেকে বন্ধ দেখতে পান। অনেক ডাকাডাকির পরও দরজা না খোলায় এক পর্যায়ে প্রতিবেশীর সহযোগিতায় স্টিলের দরজাটি ভেঙে ভেতরে ঢোকেন। ঢুকে দেখেন ফ্লোরে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে আছে বন্যা। আর তার শরীরের উপরে পড়ে আছে সুজন। তাদের দুজনেই গলায় জখম।
বন্যা মারা গেলেও নাড়াচড়া করতে দেখেন সুজনকে। সঙ্গে সঙ্গে সুজনকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে যান। তাদের ধারণা, ধারাল অস্ত্র দিয়ে স্ত্রীর গলা কেটে তারপর নিজের আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন সুজন।
এই বিষয়ে ভাটারা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) গোলাম মোস্তফা বলেন, ঘটনাস্থলে ওই নারী মারা গেছেন। জানা গেছে, তাদের বাসার দরজা সকাল থেকে বন্ধ ছিল। রাতে স্বজনরা ওই বাসায় গিয়ে ভেতর থেকে দরজা বন্ধ পায়। পরে দরজা ভেঙে ভেতরে ঢুকে দেখতে পায় ওই নারীর গলায় ও তার স্বামী সুজনের গলায় ধারালো অস্ত্রের আঘাত রয়েছে। নারীর স্বামী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
তিনি আরও বলেন, ধারণা করা হচ্ছে পারিবারিক কলোহের জেরে স্বামী তার স্ত্রীকে গলা কেটে হত্যা করে নিজেও আত্মহত্যার চেষ্টা করেন।
কেএম/এসএন