ট্রেনের নিরাপত্তায় কমলাপুর স্টেশনে ডগ স্কোয়াড মোতায়েন
ছবি: সংগৃহীত
বিএনপি-জামায়াতসহ সমমনা দলগুলোর ডাকা হরতাল-অবরোধের সময় রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে কয়েকটি ট্রেনে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। এসব কারণে ট্রেন ও যাত্রীদের নিরাপত্তায় কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনে ডগ স্কোয়াড মোতায়েন করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)-৩।
এছাড়া ট্রেন ছাড়ার আগে মেটাল ডিটেক্টর দিয়ে স্ক্যানিংও করা হবে। বৃহস্পতিবার বিকেল থেকে কমলাপুর রেলস্টেশনে এই ডগ স্কোয়াড মোতায়েন করা হয়।
এর আগে র্যাব-৩ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আরিফ মহিউদ্দিন আহমেদ গণমাধ্যমকে জানান, জনগণের জানমাল রক্ষায় বিশেষ নিরাপত্তা হিসেবে কমলাপুর রেলস্টেশনে এখন থেকে ডগ স্কোয়াড কাজ করবে। এছাড়া স্টেশন ছাড়ার আগে প্রতিটি ট্রেনে মেটাল ডিটেক্টর দিয়ে স্ক্যানিং করা হবে। আন্ত:নগর মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেস ট্রেনে আগুনের ঘটনায় গোয়েন্দা নজরদারি চালানো হচ্ছে। নাশকতার বিরুদ্ধে সোচ্চার আছে র্যাব। এখন থেকে সার্বক্ষণিক গোয়েন্দা নজরদারি করা হবে।
আরিফ মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেস ট্রেনে আগুন দেয়ার ঘটনায় চার-পাঁচজনকে চিহ্নিত করা হয়েছে। এদের মধ্যে দুজন বিরোধীদলের কর্মী। তাদের সঙ্গে দুজন ভাসমান মাদকসেবীও ছিলেন। দু-একদিনের মধ্যে সবাইকে গ্রেপ্তার করা হবে। সবাই নজরদারির মধ্যে রয়েছে।
প্রসঙ্গত, নেত্রকোণার মোহনগঞ্জ থেকে গত সোমবার রাত ১১ টার দিকে ছেড়ে আসে যাত্রীবাহী আন্ত:নগর মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেস ট্রেন। ট্রেনটি বিমানবন্দর স্টেশন ছেড়ে আসার পর মঙ্গলবার ভোর ৫টার দিকে নাশকতাকারীরা বনানী এলাকায় আগুন ধরিয়ে দেয়। ট্রেন তেজগাঁও স্টেশনে এসে থামে। তবে ততক্ষণে ট্রেনের ৩টি বগি সম্পূর্ণ পুড়ে যায়্। এ ঘটনায় ‘জ’ বগিতে থাকা নারীও শিশুসহ ৪ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। পরিচয় শনাক্ত হওয়ার পর তাদের স্বজনদের কাছে মরদেহ বুঝিয়ে দেওয়া হয়।
পরে রেল কর্তৃপক্ষ মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেস ট্রেনেআগুন দেওয়ার ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করে। এ ঘটনায় অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে ওই ট্রেনের পরিচালক খালেদ মোশারফ বাদী হয়ে মঙ্গলবার রাতে মামলা করেন। তবে ঘটনাটির ছায়া তদন্ত করছে একাধিক সংস্থা।