ঈদকে ঘিরে ব্যস্ততা বাড়ছে কাপড়ের মার্কেটে
আসছে ঈদুল ফিতর। ঈদ আসলেই নতুন পোশাকের চাহিদা বেড়ে যায় কয়েকগুণ। নতুন জামা ছাড়া তো ঈদই যেন জমে না। দেশব্যাপী কাপড়ের চাহিদা বাড়ায় ভিড় বেড়েছে ঢাকার অন্যতম পাইকারি মার্কেট ইসলামপুরে। ক্রেতা আকর্ষণ করতে সাজিয়ে রাখা হয়েছে বাহারি ডিজাইনের কাপড়।
গত কয়েকদিন সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, মালামাল বিক্রিতে ব্যস্ত দোকানি ও কর্মীরা। কেউবা কাপড় দেখাচ্ছেন, কেউ কেউ করছেন দরদাম। এক ক্রেতাকে দেখানো শেষ হলেও অন্য ক্রেতাকে কাপড় দেখাতে ব্যস্ত সময় পার করছেন তারা।
ইসলামপুরে রয়েছে বেশ কয়েকটি বড় মার্কেট। তার মধ্যে অন্যতম চায়না মার্কেট, এসি মার্কেট, লায়ন টাওয়ার, ইসলামপুর প্লাজা, জাহাঙ্গীর টাওয়ার, সুরমা টাওয়ার, দৌলত কমপ্লেক্স, রয়েল টাওয়ার, হায়াত-দৌলত শপিংমল, আইসিটিটি টাওয়ার, জেফসেল মার্কেট, কেহাবুল্লাহ মার্কেট, মনসুর মার্কেট, হামিদ ম্যানশন ইত্যাদি।
ব্যবসায়ীদের দাবি, ঢাকার অন্যতম পাইকারি মার্কেট ইসলামপুর। দেশের বিভিন্ন জেলাসহ নিউমার্কেট, গাউছিয়া, চাঁদনী চক, মিরপুর, ধানমন্ডি, সায়েদাবাদ, সদরঘাট, পল্টন, মোহাম্মদপুর, উত্তরা, বেইলিরোড থেকেও আসছেন ক্রেতারা।
জানা যায়, ইসলামপুর মার্কেটে রয়েছে প্রায় ১৩ হাজার দোকান। এসব দোকানের সঙ্গে জড়িত প্রায় দেড় লাখ মানুষ। দেশের মানুষের চাহিদার যোগান দিতে তৈরি করা হয় শাড়ি, লুঙ্গি, থ্রি-পিস ইত্যাদি। দেশের যোগান দিয়ে দেশের বাইরেও যায় এসব।
ব্যবসায়ীরদের তথ্যমতে, আগের চেয়ে কাপড়ের দাম বেড়েছে। শার্টের কাপড় প্রতি পিস ৩০০-৮০০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। এর মধ্যে থাইল্যান্ড শাররাত ২৫০-৪৫০ টাকা, ভারতীয় অরবিন্দু ৫০০-৮০০, চায়না ৩৫০-৫০০, ভারতীয় অন্য শার্ট ৩০০-১২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
ভারতীয় কাপড়ের পিস ৩০০-১৫০০ টাকা পর্যন্ত, কোরিয়া ৩০০-৭০০ টাকা, চায়না ৩০০-৭০০ টাকা, থ্রি-পিস ৩০০-৬০০ টাকা, বুটিক ২৫০-৬০০, লিনেন ৪০০-৫০০ টাকা , জয়পুরী ৫০০-৬০০, সিল্ক ১০০০-১৬০০ টাকা।
এ ছাড়া পাঞ্জাবি ও জামার জন্য কাপড় পাওয়া যাচ্ছে ১৩০-৪০০ টাকা (প্রতি গজ) দামে।
হাবিবুল্লাহ মার্কেটের মরিয়ম ক্লথের মালিক আহসানউল্লাহ জানান, বেচাবিক্রি আলহামদুলিল্লাহ ভালো। এর আগে তো দুইটা বছর করোনার জন্য ব্যবসা করতে পারি নাই। এবার ব্যবসা আছে, আস্তে ধীরে হয়তো আরও বাড়বে।
মুনসুর ক্যাসেল মার্কেটের রিয়া ফেব্রিকসের বিক্রেতা সুমন জানান, গত কয়েকদিনের চেয়ে এখন একটু ভালো। তবে শেষ দশ দিনে ভিড় বাড়বে। সবকিছুর দাম বেশি তো। মানুষের হাতে টাকা আসলেই ভিড় বাড়বে।
ময়মনসিংহ থেকে কাপড় কিনতে আসা একরামুল জানান, কাপড় কিনতে আসছি অনেক সকালে। পুরান ঢাকায় অনেক যানজট থাকে। অন্যান্য বারের চেয়ে কাপড়ের দাম এবার একটু বেশি। মালামাল কিনেছি, দেখা যাক।
এসজি