বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম নারী উপাচার্য হলেন ড. শুচিতা শরমিন
অধ্যাপক ড. শুচিতা শরমিন। ছবি: সংগৃহীত
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেভলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক ড. শুচিতা শরমিন। তিনি বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের পঞ্চম এবং প্রথম নারী উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন।
সোমবার (২৩ সেপ্টেম্বর) তাকে নিয়োগ দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের উপসচিব মো. শাহীনুর ইসলাম।
তাকে নিয়োগ দেওয়ার প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, রাষ্ট্রপতি ও চ্যান্সেলরের অনুমোদনক্রমে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় আইন, ২০০৬ এর ১০ (১) ধারা অনুযায়ী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেভলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক শুচিত শরমিনকে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসেবে ছয় শর্তে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
শর্ত হলো- উপাচার্য হিসেবে তার নিয়োগের মেয়াদ যোগদানের দিন থেকে চার বছর, উপাচার্য পদে তিনি তার বর্তমান পদের সমপরিমাণ বেতন-ভাতাদি পাবেন। তিনি বিধি অনুযায়ী উপাচার্য পদের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট অন্যান্য সুবিধা ভোগ করবেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে তিনি সার্বক্ষণিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে অবস্থান করবেন। রাষ্ট্রপতি ও চ্যান্সেলর প্রয়োজনে যে কোনো সময় এ নিয়োগ বাতিল করতে পারবেন।
শুচিতা শারমিন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মনোবিজ্ঞানে প্রথম শ্রেণিতে বিএসসি এবং এমএসসি সম্পন্ন করে ২০০৩ সালে প্রভাষক পদে ওই বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মজীবন শুরু করেন। তিনি ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজে পিএইচডি করছেন। এ ছাড়াও তিনি ডক্টরাল রিসার্চ স্কলার হিসেবে কর্পোরেট কমিউনিটি ইনভলভমেন্টে ও সুইজারল্যান্ড এবং ভারতের দ্বারা যৌথভাবে পরিচালিত দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাসে গবেষণায় অংশ নেন।
শুচিতা শারমিন জাপানের কিউশু ইউনিভার্সিটির রিসার্চ স্কলার ছিলেন এবং সেখানে তিনি ইনটেনসিভ জাপানিজ ল্যাঙ্গুয়েজ কোর্স সম্পন্ন করেন। ওই বিশ্ববিদ্যালয়ে আচরণ ও স্বাস্থ্য বিজ্ঞান বিভাগে গবেষণা পরিচালনা করেন। বাংলাদেশ, জাপান, সুইজারল্যান্ড, যুক্তরাজ্য, নেপাল, মালয়েশিয়া এবং ভারতে তার স্নাতক এবং স্নাতকোত্তর বিশ্ববিদ্যালয়ে বিভিন্ন বিষয়ে নিমন্ত্রিত হয়ে বক্তৃতা ও গবেষণা করেছেন। আন্তর্জাতিক জার্নালে তার ৪৫টিরও বেশি নিবন্ধ এবং তিনটি বই প্রকাশিত হয়েছে।
উল্লেখ্য, ৫ অগাস্ট সরকার পতনের পর উপাচার্য অধ্যাপক মোহাম্মদ বদরুজ্জামান ভূঁইয়া শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে পদত্যাগ করেন। এরপর থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ে কোনো উপাচার্য ছিলেন না। শিক্ষার্থীরা উপাচার্য নিয়োগের জন্য ৪৮ ঘণ্টা সময় বেঁধে দেয়। তবে তার আগেই নতুন উপাচার্য পেয়েছে শিক্ষার্থীরা।