শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪ | ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩০ শিক্ষকের একযোগে পদত্যাগ

ছবি সংগৃহিত

খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (খুকৃবি) ৩০ জন শিক্ষক একযোগে পদত্যাগ করেছেন। পদত্যাগকারী শিক্ষকদের মধ্যে ২০ জন বিভাগীয় প্রধান ও প্রভোস্ট-পরিচালক এবং ১০ জন শিক্ষক রয়েছেন। গত ৬ ডিসেম্বর তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার বরাবর পদত্যাগপত্র পাঠিয়েছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার খন্দকার মাজহারুল আনোয়ার শিক্ষকদের পদত্যাগপত্র পাওয়ার কথা স্বীকার করেছেন। এর আগে শিক্ষকদের একটি অংশ গত ৪ ডিসেম্বর থেকে লাগাতার কর্মবিরতি শুরু করেন।

সোমবার (০৪ ডিসেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এসব শিক্ষকরা গতকাল মঙ্গলবার (৫ ডিসেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার খন্দকার মাজহারুল আনোয়ার বরাবর পদত্যাগ পত্র জমা দিয়েছেন। একইসঙ্গে কর্মবিরতি শুরু করেন। পৃথক পৃথক পদত্যাগপত্রে শিক্ষকরা সবাই স্বাক্ষর করেছেন। রেজিস্ট্রার মাজহারুল আনোয়ার বলেন, গত বুধবার শিক্ষকরা পদত্যাগ করেছেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের অস্থায়ী ছাত্র হলের সহকারী প্রভোস্ট ও শিক্ষক সমিতির সভাপতি ড. মো. আসাদুজ্জামান বলেন, ‘আমিসহ ৩০ জন শিক্ষক পদত্যাগ করেছি। প্রত্যেকে পৃথকভাবে পদত্যাগপত্র দিয়েছি। কিন্তু জমা দিতে গেলে অফিস থেকে তা গ্রহণ না করে পদত্যাগপত্রগুলো একত্র করে ফরওয়ার্ডিংসহ জমা দিতে আমাদের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।’

পদত্যাগী শিক্ষকরা বলছেন, শিক্ষকদের একাংশের নিয়োগ সংক্রান্ত জটিলতার সমাধান, পদোন্নতি ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনার বাস্তবায়ন দাবিতে তারা গত ৬ ডিসেম্বর পদত্যাগ করেন। এর আগে ৪ ডিসেম্বর বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভায় পদত্যাগের এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। পৃথক পদত্যাগপত্রে শিক্ষকরা সবাই স্বাক্ষর করেছেন। শিক্ষকরা বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার খন্দকার মাজহারুল আনোয়ার বরাবর পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন। এদিকে, শিক্ষকদের আন্দোলনে বিপাকে পড়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়টির শিক্ষার্থীরা। সেশনজটে পড়ার আশঙ্কা করছেন তারা।

জানা যায়, ২০১৮ সালে প্রতিষ্ঠিত বিশ্ববিদ্যালয়টিতে নিয়োগ-বাণিজ্য, অনিয়ম, শিক্ষকদের নিয়োগ বাতিলের নির্দেশ, সাবেক উপাচার্যের ছেলেমেয়ের চাকরিচ্যুতিসহ নানা কারণে সারা বছরই আলোচনায় ছিল দেশের উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি। শিক্ষকদের পদোন্নতি এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন দেওয়ার দাবিতে গত ১৬ অক্টোবর থেকে কর্মবিরতি শুরু করেন শিক্ষক সমিতির প্রায় সব শিক্ষক। গত ৯ নভেম্বর তারা কর্মবিরতি প্রত্যাহার করেন।

গত ৬ নভেম্বর শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। এতে উপাচার্যের স্বজনদের চাকরিচ্যুতিসহ ২৬ জন শিক্ষককে বিভিন্ন মেয়াদে শাস্তি দেওয়া হয়। গত ১৮ নভেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সভায় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আশিকুল আলমের বিষয়ে তদন্ত কমিটি এবং অপর শিক্ষক মেহেদী আলমকে অব্যাহতি দেয়। মন্ত্রণালয়ের অন্য সিদ্ধান্তগুলো অনুমোদন করে সিন্ডিকেট।

বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি বলছে, শিক্ষা মন্ত্রণালয় যে প্রতিবেদন জমা দিয়েছে তাতে মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনার কোন কিছুই বাস্তবায়িত হয়নি। ফলে গত ১ বছরের বেশি সময় ধরে ঝুলে থাকা শিক্ষকগণের পদোন্নতি আরও দীর্ঘায়িত হবে। শিক্ষকদের আশংকা, শিক্ষা মন্ত্রনালয়ের উক্ত নির্দেশনা দ্রুত বাস্তবায়নে কালক্ষেপন ও বৈষম্যে করা হচ্ছে। এতে শিক্ষা মন্ত্রনালয়ের দেয়া শর্ত পূরণ হচ্ছে না এবং শিক্ষকগণের পদোন্নতি সমস্যা সমাধানের কোন সম্ভাবনাও দেখছে না।

বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আশিকুল আলম জানান, আমাদের বিষয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয় যে সিদ্ধান্ত দিয়েছেন, আমরা ৭৩ জন শিক্ষক সেটা মেনে নিয়েছি। তারপরও শিক্ষকদের পদোন্নতি আটকে রাখা হয়েছে। উপাচার্য স্যার যদি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত অনুমোদন দিয়ে দেন, তাহলেই জটিলতা কেটে যায়। কিন্তু সেটা করা হচ্ছে না।

দাবি আদায়ে পদত্যাগ করা শিক্ষক-কর্মকর্তারা হলেন- মাইক্রোবায়োলজি অ্যান্ড পাবলিক হেলথ্ বিভাগের প্রধান মো. সালাউদ্দিন, ফিশারিজ বায়োলজি এন্ড টেকনোলজি বিভাগের প্রধান রাবেয়া আক্তার, এনাটমি বিভাগের প্রধান ড. নৌশিন জাহান, এগ্রিকালচারাল কেমিস্ট্রি বিভাগের প্রধান আবু রাশেদ মো. মওকিব, বায়োকেমিস্ট্রি এন্ড মলিকুলার বায়োলজি বিভাগের প্রধান শরিফুল ইসলাম, ফিশারি রিসোর্সেস অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট বিভাগের প্রধান সঞ্জীব কুমার বর্মন, এগ্রিকালচারাল ফাইন্যান্স, কো-অপারেটিভস অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের প্রধান সৌরভ মোহন সাহা, এনাটমি অ্যান্ড হিস্টোলজি বিভাগের প্রধান স্বরূপ কুমার কুণ্ডু।

ওশানোগ্রাফি বিভাগের প্রধান জেসমিন আরা, ক্রপ বোটানি বিভাগের প্রধান কেয়া আক্তার, এনিম্যাল সায়েন্স বিভাগের প্রধান মো. উজ্জ্বল হোসেন, সয়েল সায়েন্স বিভাগের প্রধান মো. জোনায়েত, সোসিওলজি অ্যান্ড রুরাল ডেভেলপমেন্ট বিভাগ প্রধান কাজী মৌসুমী আক্তার, এগ্রিকালচারাল ইকোনমিক্স বিভাগের প্রধান আনিকা তাহসিন মৌ, এগ্রিকালচারাল স্ট্যাটিস্টিক্স বিভাগের প্রধান হুমায়রা ইয়াসমিন, ল্যাঙ্গুয়েজ অ্যান্ড কমিউনিকেশন স্টাডিজ বিভাগের প্রধান পূজা রায়, কৃষি শক্তি ও যন্ত্র বিভাগের প্রধান মোছা. সাবিনা আলীম, ফার্ম স্ট্রাকচার অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রধান গাজী তমিজ উদ্দিন, ফিজিওলজি বিভাগের প্রধান জান্নাতুল ফোরদৌস, পোল্ট্রি সায়েন্স বিভাগের প্রধান শারমিন জামান।

এছাড়া ওশানোগ্রাফি বিভাগের প্রভাষক ও ফিস হেলথ ম্যানেজমেন্ট বিভাগের বশির আহমেদ, ফিশারিজ অ্যান্ড কোয়ালিটি কন্ট্রোল বিভাগের ভাস্কর চন্দ্র মজুমদার তার সাময়িক ও প্রশাসনিক দায়িত্ব থেকে পদত্যাগ করেছেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের অস্থায়ী ছাত্র হলের সহকারী প্রভোস্ট ড. মো. আসাদুজ্জামান, অস্থায়ী ছাত্রী হলের সহকারী প্রভোস্ট আতিয়া বিশ্বাস ও পাপিয়া খাতুন, ইন্টার্নাল কোয়ালিটি অ্যাসুরেন্স সেলের পরিচালক ড. নৌশিন জাহান, ফার্ম পাওয়ার অ্যান্ড মেশিনারিজ বিভাগের শিক্ষক ও পরিবহন পরিচালনা কমিটির আহ্বাবায়ক মো. তুহিনুল হাসান, অস্থায়ী ক্যাম্পাস ১-এর নিরাপত্তা কমিটির সদস্য জয়শংকর বৈদ্য, অস্থায়ী ক্যাম্পাস ২-এর নিরাপত্তা কমিটির সদস্য ভাস্কর চন্দ্র মজুমদার, খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের রিচার্জ এণ্ড এডুকেশন সিস্টেমের সদস্য বিদ্যুৎ মাতুব্বর, অস্থায়ী ক্যাম্পাস ১-এর নিরাপত্তা কমিটির আহ্বায়ক স্বরূপ কুমার কুণ্ডু, অস্থায়ী ক্যাম্পাস ২-এর নিরাপত্তা কমিটির আহ্বায়ক শরীফুল ইসলামও পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন।

এদিকে, শিক্ষকদের আন্দোলনে বিপাকে পড়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়টির শিক্ষার্থীরা। সেশনজটে পড়ার আশঙ্কা করছেন তারা। শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে অবিলম্বে জটিলতা নিরসনে কার্যকর পদক্ষপ গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে।

উল্লেখ্য, খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে বর্তমানে ১০৬ জন শিক্ষক, ৩৫০ জন শিক্ষার্থী এবং প্রায় ৩১০ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী রয়েছেন। এর মধ্যে উচ্চশিক্ষা এবং মাতৃত্বকালীন ছুটিতে রয়েছেন প্রায় ২০ জন শিক্ষক। বাকিরা এখন দুই ভাগে বিভক্ত। অনেক শিক্ষক রোববার কর্মবিরতিতে সাড়া দেননি। মূলত সমিতির সাধারণ সম্পাদক আশিকুল আলমের বিরুদ্ধে তদন্ত কমিটি হওয়ায় সাবেক উপাচার্যের অনুসারী শিক্ষকরা কর্মবিরতি শুরু করেছেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক আবুল কাশেম চৌধুরী বলেন, আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেটের অনুমোদন সাপেক্ষে মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা বাস্তবায়নে কাজ করছি। শিক্ষকের নিয়োগ সংক্রান্ত জটিলতা, শিক্ষকের পদোন্নতির এ বিষয়গুলো সাবেক উপাচার্যের আমলের। তবুও আমরা বিষয়গুলো সমাধানে কাজ করছি। কিছু বিষয় আদালতের প্রক্রিয়াধীন রয়েছেন। এর বাইরে যে বিষয়গুলো আছে, সেগুলো শিগগিরই সমাধান হয়ে যাবে।

একযোগে অন্তত ৩০ জন শিক্ষকের পদত্যাগের বিষয়ে জানতে চাইলে অধ্যাপক আবুল কাশেম বলেন, তারা কীভাবে, কোন প্রক্রিয়ায় পদত্যাগ করেছেন বা কেন পদত্যাগ করেছেন সেটা—আমাদের জানা নেই। এটা আপনারা অনুসন্ধান করে দেখতে পারেন, তাদের পদত্যাগপত্রে কে বা কারা স্বাক্ষর করেছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান জটিলতাগুলো সমাধানের পথে, এই মুহূর্তে তারা কার স্বার্থে পদত্যাগ করেছেন সেটিও আসলে সামনে আসা দরকার।

Header Ad

সংসার ভাঙার দুদিন পরই সুখবর দিলেন এ আর রহমান

এ আর রহমান ও তার প্রাক্তন স্ত্রী সায়রা। ছবি: সংগৃহীত

এ আর রহমান বিচ্ছেদের ঘোষণা করার পর থেকে তাকে নিয়ে নানা খবর ছড়িয়েছে। একদিকে যেমন রহমান ও তার প্রাক্তন স্ত্রী সায়রার সম্পর্ক নিয়ে নানা আলোচনা। অন্যদিকে সুরকারের সহশিল্পী মোহিনীর সঙ্গে পরকীয়া নিয়ে গুঞ্জন রটেছে। তবে এই নিয়ে মোহিনী বা রহমানের তরফ থেকে কোনও মন্তব্য পাওয়া যায়নি। ঠিক এরই মাঝে নতুন পোস্ট করে এ আর রহমান ভক্তদের দিলেন সুখবর।

শুক্রবার (২২ নভেম্বর) রহমান তার সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিও পোস্ট দিয়েছেন রহমান। এতে তিনি জানান, দক্ষিণী সিনেমা ‘দ্য গোট লাইফ’র আবহসংগীতের জন্য হলিউড মিউজিক অ্যাওয়ার্ডসে সেরার পুরস্কার পেয়েছেন তিনি। এ সিনেমার পুরো টিমকে এ ভিডিওর মাধ্যমে ধন্যবাদ জানিয়েছেন এ সংগীতজ্ঞ।

সোশ্যাল মিডিয়ায় এ আর রহমানের বিচ্ছেদ ঘোষণার কয়েক ঘণ্টা পরেই তার সহশিল্পী মোহিনীও স্বামী ম্যাকের সঙ্গে ডিভোর্সের ঘোষণা দেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় এ দুই ঘটনার মধ্য়েই মিল খুঁজে পেয়েছেন নেটিজেনরা। এমনকী মোহিনীর সঙ্গে পরকীয়ার কারণেই রহমান এ ডিভোর্সের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন- এমনটাও বলছেন কেউ কেউ।

 মোহিনী-এ আর রহমান। ছবি: সংগৃহীত

এ আর রহমান ও মোহিনীকে জড়িয়ে বিতর্ক শুরু হতেই মুখ খুলেছে রহমানের সবেক স্ত্রী সায়রা বানুর আইনজীবী বন্দনা শাহ। তিনি গণমাধ্যমকে জানালেন, ‘এসব বিতর্কের কোনো অর্থ নেই। মোহিনীর ডিভোর্সের সঙ্গে রহমানে ও সায়রার ডিভোর্সের কোনো সূত্র নেই। এটা তাদের একেবারে নিজস্ব সিদ্ধান্ত। তাই অযথা বিতর্ক না করাই ভালো’।

তিনি আরও বলেন, ‘প্রত্য়েকটি দীর্ঘ বিবাহিত জীবনই ভালো-মন্দের মধ্য়ে দিয়ে এগিয়ে যায়। আমি খুবই খুশি তারা খুব সচেতনভাবে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এ বিচ্ছেদ একেবারেই খারাপ বৈবাহিক জীবনের ফল নয়। সায়রা ও রহমান দুজনেই দুজনকে সম্মান করেন’।

১৯৯৫ সালে রহমান ও সায়রা বানুর বিয়ে হয়েছিল। দেখাশোনা করেই নাকি এই বিয়ে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু দীর্ঘ ২৯ বছর তারা একসঙ্গে কাটিয়েছেন। তাদের ঘরে তিন সন্তানের জন্ম হয়েছে।

Header Ad

ঢাকায় পৌঁছেছেন বাইডেনের বিশেষ প্রতিনিধি

কেলি এম ফে রজরিগেজ (বামে) এবং থিয়া লি। ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশে টেকসই অর্থনীতি, স্থিতিশীলতা, প্রবৃদ্ধির পাশাপাশি অর্থবহ ও মানসম্পন্ন চাকরির ক্ষেত্রে সহযোগিতার লক্ষে ৪ দিনের সরকারি সফরে ঢাকায় পৌঁছেছেন বাইডেনের বিশেষ প্রতিনিধি দল। প্রতিনিধি দলের নেতৃত্বে রয়েছেন আন্তর্জাতিক শ্রমবিষয়ক বিশেষ প্রতিনিধি কেলি এম ফে রজরিগেজ এবং শ্রম বিভাগের পক্ষে ডেপুটি আন্ডার সেক্রেটারি থিয়া লি।

শুক্রবার (২২ নভেম্বর) সকালে ঢাকায় পৌঁছে শ্রমিকের কাজের পরিবেশ এবং বিস্তারিত নিয়ে শ্রমিক সংগঠন সলিডারিটি সেন্টারের সঙ্গে বৈঠক করেছেন তারা। এদিন দুপুরে বৈঠক করবে আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা আইএলওর সঙ্গে। এছাড়াও সরকারি প্রতিটি পক্ষের সঙ্গে বৈঠকের কথা রয়েছে।

জানা গেছে, প্রতিনিধিদল অন্তর্বর্তী সরকারের কর্মকর্তা, বেসরকারি খাতের গার্মেন্টস উৎপাদক এবং শ্রমিক ইউনিয়ন স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে দেখা করবে। প্রতিনিধি দলটি তৈরি পোশাক খাতে বিনিয়োগ করা আমেরিকান কোম্পানির প্রতিনিধি এবং বৈশ্বিক শ্রম বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে বাংলাদেশের অর্থনীতি, গণতন্ত্র এবং শ্রমিকদের সর্বোত্তমভাবে কীভাবে সহায়তা করা যায় সে বিষয়ে আলোচনা করবে।

এই সফর অর্থনৈতিক উন্নয়ন, আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত শ্রমের মান, সেইসঙ্গে টেকসই প্রবৃদ্ধি এবং ব্যাপকভাবে ভাগ করা সমৃদ্ধির উন্নতি ও অগ্রগতির জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিশ্রুতির উপর জোর দেয়।

Header Ad

আ.লীগকে নির্বাচনের সুযোগ দেওয়ার বিষয়ে যা বললেন হাসনাত আব্দুল্লাহ

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ। ছবি: সংগৃহীত

আওয়ামী লীগকে নির্বাচনের সুযোগ দেওয়ার বিষয়ে নিজের বক্তব্য স্পষ্ট করেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ। বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে একটি পোস্টের মাধ্যমে এ বিষয়ে নিজেরে অবস্থান জানিয়েছেন তিনি।

ফেসবুকে পোস্টে হাসনাত আব্দুল্লাহ লেখেন, ‘বিচার নিশ্চিতের পূর্বে আওয়ামী লীগকে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড ও নির্বাচনের সুযোগ দেওয়া মানে চব্বিশের অভ্যুত্থানের শহীদদের রক্তের সঙ্গে গাদ্দারি করা।’

এর আগে বৃহস্পতিবার মার্কিন সাময়িকী টাইম ম্যাগাজিনের প্রকাশিত এক সাক্ষাৎকারে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, ক্ষমতায় থাকাকালীন আওয়ামী লীগ যেসব হত্যাকাণ্ড এবং ক্ষমতার অপব্যবহার করেছে, সেগুলোর বিচার শেষে দলটিকে নির্বাচন করতে দেওয়া হবে।

তিনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগের যারা হত্যা ও ক্ষমতার অপব্যহারের সঙ্গে জড়িত, যখন তাদের বিচার সম্পন্ন হবে, তখনই দলটিকে নির্বাচনে স্বাগত জানানো হবে। অন্যরা নির্বাচনে অংশ নিতে যতটা স্বাধীন তারাও ততটাই স্বাধীন। আমরা তাদের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক অঙ্গনে লড়াই করব।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

সংসার ভাঙার দুদিন পরই সুখবর দিলেন এ আর রহমান
ঢাকায় পৌঁছেছেন বাইডেনের বিশেষ প্রতিনিধি
আ.লীগকে নির্বাচনের সুযোগ দেওয়ার বিষয়ে যা বললেন হাসনাত আব্দুল্লাহ
যুদ্ধবিধ্বস্ত লেবানন থেকে ফিরলেন আরও ৮২ বাংলাদেশি
পাকিস্তানে যাত্রীবাহী গাড়িতে সন্ত্রাসী হামলা, নিহত ৪৫
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ১৮ সদস্যের কেন্দ্রীয় কমিটি গঠন
তামিমকে অধিনায়ক করে বাংলাদেশের দল ঘোষণা
নতুন নির্বাচন কমিশন শপথ নেবে রোববার
গাজায় ইসরায়েলি হামলায় নিহতের সংখ্যা ছাড়াল ৪৪ হাজার
খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করলেন মাহফুজ-আসিফ-নাহিদ
দেশের বাজারে আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম
‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’
‘বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সশস্ত্র বাহিনীর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে’: প্রধান উপদেষ্টা
নওগাঁ শহরে শৃঙ্খলা ফেরাতে বিশেষ অভিযান শুরু
২০২৬ সালের মাঝামাঝিতে নির্বাচন হতে পারে: উপদেষ্টা সাখাওয়াত
সেনাকুঞ্জে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে খালেদা জিয়ার শুভেচ্ছা বিনিময়
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহত ৫ জনকে রোবটিক হাত উপহার
সেনাকুঞ্জের পথে খালেদা জিয়া
সুযোগ পেলে শেখ হাসিনার পক্ষে মামলায় লড়ব: জেড আই খান পান্না
নির্বাচন কমিশন গঠন, সিইসি হলেন অবসরপ্রাপ্ত সচিব নাসির উদ্দীন