রবিবার, ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ | ১০ ফাল্গুন ১৪৩১
Dhaka Prokash

খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩০ শিক্ষকের একযোগে পদত্যাগ

ছবি সংগৃহিত

খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (খুকৃবি) ৩০ জন শিক্ষক একযোগে পদত্যাগ করেছেন। পদত্যাগকারী শিক্ষকদের মধ্যে ২০ জন বিভাগীয় প্রধান ও প্রভোস্ট-পরিচালক এবং ১০ জন শিক্ষক রয়েছেন। গত ৬ ডিসেম্বর তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার বরাবর পদত্যাগপত্র পাঠিয়েছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার খন্দকার মাজহারুল আনোয়ার শিক্ষকদের পদত্যাগপত্র পাওয়ার কথা স্বীকার করেছেন। এর আগে শিক্ষকদের একটি অংশ গত ৪ ডিসেম্বর থেকে লাগাতার কর্মবিরতি শুরু করেন।

সোমবার (০৪ ডিসেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এসব শিক্ষকরা গতকাল মঙ্গলবার (৫ ডিসেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার খন্দকার মাজহারুল আনোয়ার বরাবর পদত্যাগ পত্র জমা দিয়েছেন। একইসঙ্গে কর্মবিরতি শুরু করেন। পৃথক পৃথক পদত্যাগপত্রে শিক্ষকরা সবাই স্বাক্ষর করেছেন। রেজিস্ট্রার মাজহারুল আনোয়ার বলেন, গত বুধবার শিক্ষকরা পদত্যাগ করেছেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের অস্থায়ী ছাত্র হলের সহকারী প্রভোস্ট ও শিক্ষক সমিতির সভাপতি ড. মো. আসাদুজ্জামান বলেন, ‘আমিসহ ৩০ জন শিক্ষক পদত্যাগ করেছি। প্রত্যেকে পৃথকভাবে পদত্যাগপত্র দিয়েছি। কিন্তু জমা দিতে গেলে অফিস থেকে তা গ্রহণ না করে পদত্যাগপত্রগুলো একত্র করে ফরওয়ার্ডিংসহ জমা দিতে আমাদের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।’

পদত্যাগী শিক্ষকরা বলছেন, শিক্ষকদের একাংশের নিয়োগ সংক্রান্ত জটিলতার সমাধান, পদোন্নতি ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনার বাস্তবায়ন দাবিতে তারা গত ৬ ডিসেম্বর পদত্যাগ করেন। এর আগে ৪ ডিসেম্বর বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভায় পদত্যাগের এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। পৃথক পদত্যাগপত্রে শিক্ষকরা সবাই স্বাক্ষর করেছেন। শিক্ষকরা বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার খন্দকার মাজহারুল আনোয়ার বরাবর পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন। এদিকে, শিক্ষকদের আন্দোলনে বিপাকে পড়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়টির শিক্ষার্থীরা। সেশনজটে পড়ার আশঙ্কা করছেন তারা।

জানা যায়, ২০১৮ সালে প্রতিষ্ঠিত বিশ্ববিদ্যালয়টিতে নিয়োগ-বাণিজ্য, অনিয়ম, শিক্ষকদের নিয়োগ বাতিলের নির্দেশ, সাবেক উপাচার্যের ছেলেমেয়ের চাকরিচ্যুতিসহ নানা কারণে সারা বছরই আলোচনায় ছিল দেশের উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি। শিক্ষকদের পদোন্নতি এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন দেওয়ার দাবিতে গত ১৬ অক্টোবর থেকে কর্মবিরতি শুরু করেন শিক্ষক সমিতির প্রায় সব শিক্ষক। গত ৯ নভেম্বর তারা কর্মবিরতি প্রত্যাহার করেন।

গত ৬ নভেম্বর শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। এতে উপাচার্যের স্বজনদের চাকরিচ্যুতিসহ ২৬ জন শিক্ষককে বিভিন্ন মেয়াদে শাস্তি দেওয়া হয়। গত ১৮ নভেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সভায় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আশিকুল আলমের বিষয়ে তদন্ত কমিটি এবং অপর শিক্ষক মেহেদী আলমকে অব্যাহতি দেয়। মন্ত্রণালয়ের অন্য সিদ্ধান্তগুলো অনুমোদন করে সিন্ডিকেট।

বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি বলছে, শিক্ষা মন্ত্রণালয় যে প্রতিবেদন জমা দিয়েছে তাতে মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনার কোন কিছুই বাস্তবায়িত হয়নি। ফলে গত ১ বছরের বেশি সময় ধরে ঝুলে থাকা শিক্ষকগণের পদোন্নতি আরও দীর্ঘায়িত হবে। শিক্ষকদের আশংকা, শিক্ষা মন্ত্রনালয়ের উক্ত নির্দেশনা দ্রুত বাস্তবায়নে কালক্ষেপন ও বৈষম্যে করা হচ্ছে। এতে শিক্ষা মন্ত্রনালয়ের দেয়া শর্ত পূরণ হচ্ছে না এবং শিক্ষকগণের পদোন্নতি সমস্যা সমাধানের কোন সম্ভাবনাও দেখছে না।

বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আশিকুল আলম জানান, আমাদের বিষয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয় যে সিদ্ধান্ত দিয়েছেন, আমরা ৭৩ জন শিক্ষক সেটা মেনে নিয়েছি। তারপরও শিক্ষকদের পদোন্নতি আটকে রাখা হয়েছে। উপাচার্য স্যার যদি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত অনুমোদন দিয়ে দেন, তাহলেই জটিলতা কেটে যায়। কিন্তু সেটা করা হচ্ছে না।

দাবি আদায়ে পদত্যাগ করা শিক্ষক-কর্মকর্তারা হলেন- মাইক্রোবায়োলজি অ্যান্ড পাবলিক হেলথ্ বিভাগের প্রধান মো. সালাউদ্দিন, ফিশারিজ বায়োলজি এন্ড টেকনোলজি বিভাগের প্রধান রাবেয়া আক্তার, এনাটমি বিভাগের প্রধান ড. নৌশিন জাহান, এগ্রিকালচারাল কেমিস্ট্রি বিভাগের প্রধান আবু রাশেদ মো. মওকিব, বায়োকেমিস্ট্রি এন্ড মলিকুলার বায়োলজি বিভাগের প্রধান শরিফুল ইসলাম, ফিশারি রিসোর্সেস অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট বিভাগের প্রধান সঞ্জীব কুমার বর্মন, এগ্রিকালচারাল ফাইন্যান্স, কো-অপারেটিভস অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের প্রধান সৌরভ মোহন সাহা, এনাটমি অ্যান্ড হিস্টোলজি বিভাগের প্রধান স্বরূপ কুমার কুণ্ডু।

ওশানোগ্রাফি বিভাগের প্রধান জেসমিন আরা, ক্রপ বোটানি বিভাগের প্রধান কেয়া আক্তার, এনিম্যাল সায়েন্স বিভাগের প্রধান মো. উজ্জ্বল হোসেন, সয়েল সায়েন্স বিভাগের প্রধান মো. জোনায়েত, সোসিওলজি অ্যান্ড রুরাল ডেভেলপমেন্ট বিভাগ প্রধান কাজী মৌসুমী আক্তার, এগ্রিকালচারাল ইকোনমিক্স বিভাগের প্রধান আনিকা তাহসিন মৌ, এগ্রিকালচারাল স্ট্যাটিস্টিক্স বিভাগের প্রধান হুমায়রা ইয়াসমিন, ল্যাঙ্গুয়েজ অ্যান্ড কমিউনিকেশন স্টাডিজ বিভাগের প্রধান পূজা রায়, কৃষি শক্তি ও যন্ত্র বিভাগের প্রধান মোছা. সাবিনা আলীম, ফার্ম স্ট্রাকচার অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রধান গাজী তমিজ উদ্দিন, ফিজিওলজি বিভাগের প্রধান জান্নাতুল ফোরদৌস, পোল্ট্রি সায়েন্স বিভাগের প্রধান শারমিন জামান।

এছাড়া ওশানোগ্রাফি বিভাগের প্রভাষক ও ফিস হেলথ ম্যানেজমেন্ট বিভাগের বশির আহমেদ, ফিশারিজ অ্যান্ড কোয়ালিটি কন্ট্রোল বিভাগের ভাস্কর চন্দ্র মজুমদার তার সাময়িক ও প্রশাসনিক দায়িত্ব থেকে পদত্যাগ করেছেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের অস্থায়ী ছাত্র হলের সহকারী প্রভোস্ট ড. মো. আসাদুজ্জামান, অস্থায়ী ছাত্রী হলের সহকারী প্রভোস্ট আতিয়া বিশ্বাস ও পাপিয়া খাতুন, ইন্টার্নাল কোয়ালিটি অ্যাসুরেন্স সেলের পরিচালক ড. নৌশিন জাহান, ফার্ম পাওয়ার অ্যান্ড মেশিনারিজ বিভাগের শিক্ষক ও পরিবহন পরিচালনা কমিটির আহ্বাবায়ক মো. তুহিনুল হাসান, অস্থায়ী ক্যাম্পাস ১-এর নিরাপত্তা কমিটির সদস্য জয়শংকর বৈদ্য, অস্থায়ী ক্যাম্পাস ২-এর নিরাপত্তা কমিটির সদস্য ভাস্কর চন্দ্র মজুমদার, খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের রিচার্জ এণ্ড এডুকেশন সিস্টেমের সদস্য বিদ্যুৎ মাতুব্বর, অস্থায়ী ক্যাম্পাস ১-এর নিরাপত্তা কমিটির আহ্বায়ক স্বরূপ কুমার কুণ্ডু, অস্থায়ী ক্যাম্পাস ২-এর নিরাপত্তা কমিটির আহ্বায়ক শরীফুল ইসলামও পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন।

এদিকে, শিক্ষকদের আন্দোলনে বিপাকে পড়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়টির শিক্ষার্থীরা। সেশনজটে পড়ার আশঙ্কা করছেন তারা। শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে অবিলম্বে জটিলতা নিরসনে কার্যকর পদক্ষপ গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে।

উল্লেখ্য, খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে বর্তমানে ১০৬ জন শিক্ষক, ৩৫০ জন শিক্ষার্থী এবং প্রায় ৩১০ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী রয়েছেন। এর মধ্যে উচ্চশিক্ষা এবং মাতৃত্বকালীন ছুটিতে রয়েছেন প্রায় ২০ জন শিক্ষক। বাকিরা এখন দুই ভাগে বিভক্ত। অনেক শিক্ষক রোববার কর্মবিরতিতে সাড়া দেননি। মূলত সমিতির সাধারণ সম্পাদক আশিকুল আলমের বিরুদ্ধে তদন্ত কমিটি হওয়ায় সাবেক উপাচার্যের অনুসারী শিক্ষকরা কর্মবিরতি শুরু করেছেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক আবুল কাশেম চৌধুরী বলেন, আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেটের অনুমোদন সাপেক্ষে মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা বাস্তবায়নে কাজ করছি। শিক্ষকের নিয়োগ সংক্রান্ত জটিলতা, শিক্ষকের পদোন্নতির এ বিষয়গুলো সাবেক উপাচার্যের আমলের। তবুও আমরা বিষয়গুলো সমাধানে কাজ করছি। কিছু বিষয় আদালতের প্রক্রিয়াধীন রয়েছেন। এর বাইরে যে বিষয়গুলো আছে, সেগুলো শিগগিরই সমাধান হয়ে যাবে।

একযোগে অন্তত ৩০ জন শিক্ষকের পদত্যাগের বিষয়ে জানতে চাইলে অধ্যাপক আবুল কাশেম বলেন, তারা কীভাবে, কোন প্রক্রিয়ায় পদত্যাগ করেছেন বা কেন পদত্যাগ করেছেন সেটা—আমাদের জানা নেই। এটা আপনারা অনুসন্ধান করে দেখতে পারেন, তাদের পদত্যাগপত্রে কে বা কারা স্বাক্ষর করেছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান জটিলতাগুলো সমাধানের পথে, এই মুহূর্তে তারা কার স্বার্থে পদত্যাগ করেছেন সেটিও আসলে সামনে আসা দরকার।

Header Ad
Header Ad

দুর্ঘটনায় আহত ছেলেকে হাসপাতালে দেখতে যাওয়ার পথে সড়কে প্রাণ গেল মায়ের

ছবি : ঢাকাপ্রকাশ

নওগাঁর মান্দায় মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় আহত ছেলেকে হাসপাতালে দেখতে যাওয়ার পথে ভটভটির ধাক্কায় জায়েদা বিবি (৬৫) নামের এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। রোববার (২৩ফেব্রুয়ারি) দুপুর ২টার দিকে নওগাঁ-রাজশাহী মহাসড়কের বিজয়পুর মোড় এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত জায়েদা বিবি উপজেলার কুসুম্বা ইউনিয়নের হাজীগোবিন্দপুর গ্রামের মৃত মনসুর রহমানের স্ত্রী।

নিহতের ছেলে আল মামুন বলেন, তাঁর বড় ভাই অবসরপ্রাপ্ত সেনাসদস্য রহিদুল ইসলাম রোববার সকালে উপজেলা সদরের প্রসাদপুর বাজার থেকে মোটরসাইকেল নিয়ে বাড়ি ফেরার পথে সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হন। স্থানীয় লোকজন তাঁকে উদ্ধার মান্দা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। ভাইয়ের দুর্ঘটনার খবর জানতে পেরে তাঁর মা জায়েদা বিবি ভটভটিতে চড়ে হাসপাতালে যাচ্ছিলেন। পথে বিজয়পুর মোড় এলাকায় রাস্তা পারাপারের সময় একটি ভটভটি ধাক্কায় তিনি পাকা রাস্তায় পড়ে গুরুতর আহত হন। তাকে উদ্ধার করে মান্দা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখান থেকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে নেওয়ার পথে তাঁর মায়ের মৃত্যু হয়।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে মান্দা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনসুর রহমান জানান, অভিযোগ না থাকায় আইনি প্রক্রিয়া শেষে নিহত জায়েদা বিবির মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

Header Ad
Header Ad

অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা দ্রুত মৃত্যু ডেকে আনে!

ছবি: সংগৃহীত

নিয়ন্ত্রণের বাইরে থাকা ঘটনা নিয়ে অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর মারাত্মক প্রভাব ফেলতে পারে বলে সতর্ক করেছেন বিশেষজ্ঞরা।

ক্রমাগত দুশ্চিন্তা শরীরের স্ট্রেস-রেসপন্স সিস্টেমকে সক্রিয় রাখে, যা দীর্ঘমেয়াদে ক্রনিক স্ট্রেসের জন্ম দেয় এবং এমনকি অকাল মৃত্যুর কারণও হতে পারে।

গবেষণায় দেখা গেছে, দীর্ঘমেয়াদি মানসিক চাপ শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল করে দেয়, ফলে সংক্রমণ ও বিভিন্ন জটিল রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যায়। উচ্চ রক্তচাপ ও হৃদরোগের মতো মারাত্মক কার্ডিওভাসকুলার সমস্যার সঙ্গেও এটি সরাসরি সম্পর্কিত।

বিশেষজ্ঞরা জানান, দীর্ঘ সময় ধরে কর্টিসলসহ বিভিন্ন স্ট্রেস হরমোনের অতিরিক্ত নিঃসরণ হজমজনিত সমস্যা, পেশির টান, অনিদ্রা ও মাথাব্যথার কারণ হতে পারে।

এছাড়া, অনিয়ন্ত্রিত বিষয় নিয়ে অতিরিক্ত উদ্বেগ ধূমপান, অতিরিক্ত খাদ্যগ্রহণ বা মাদকাসক্তির মতো ক্ষতিকর অভ্যাস গড়ে তুলতে পারে, যা আরও ভয়াবহ স্বাস্থ্যঝুঁকি সৃষ্টি করে।

তবে, মানসিক চাপ ও উদ্বেগ কমানোর জন্য সচেতনতা ও সঠিক দিকনির্দেশনা অনুসরণ করলে এ সমস্যা মোকাবিলা করা সম্ভব। বিশেষজ্ঞরা পরামর্শ দেন, নিয়মিত শারীরিক ব্যায়াম, পর্যাপ্ত ঘুম, মেডিটেশন এবং মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য পেশাদার সহায়তা নেওয়া এসব সমস্যা সমাধানে কার্যকর হতে পারে।

সূত্র: আমেরিকান সাইকোলজিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন

Header Ad
Header Ad

জীবন থাকতে কোনো স্থানীয় নির্বাচন করতে দেওয়া হবে না: ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক

বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক কমিটির সদস্য ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন। ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক কমিটির সদস্য ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন বলেছেন, জীবন থাকতে কোনো স্থানীয় সরকার নির্বাচন হবে না।

রোববার বিকেলে নিজের ভেরিফাইড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে তিনি এ মন্তব্য করেন।

ওই পোস্টে ইশরাক লিখেছেন, "জীবন থাকতে কোনো স্থানীয় সরকার ফরকার হবে না। তার আগে অন্তত ঢাকার প্রাণকেন্দ্র দক্ষিণ ঢাকায় আমার সঙ্গে যুদ্ধ করে, আমাকে কবরে পাঠিয়ে তারপর করতে পারলে করবে।"

তিনি আরও লিখেছেন, "এই সরকারকে এর চাইতে স্পষ্ট ভাষায় আর কিছু বলার নাই। আর আমাদের দলীয় কেউ যদি ভুলেও স্বপ্ন দেখেন, যেই হন না কেন আপনাদের চিনবো না। অতএব এলাকায় ফ্যাসিবাদের স্থান দেওয়ার আগে ১০০ বার চিন্তা করে নিয়েন। আগে বরখাস্তকৃত কমিশনের/কাউন্সিলর পদধারী হাসিনার কিলার বাহিনীদের বিচার, শাস্তি ও নির্মূল করতে হবে।"

 

তরুণ এই বিএনপি নেতা তার পোস্টে বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের নিজস্ব পরিকল্পনায় স্থানীয় নির্বাচন থাকতে পারে। কিছু নতুন দল বা ছোট দল নিজেদের অবস্থান সুসংহত করার চেষ্টা করতে পারে। তবে তার মতে, "এই মার্কাবিহীন স্থানীয় সরকার নির্বাচনের মাধ্যমে খুনি হাসিনার অমানুষ জালেম বাহিনীর উত্থান ঘটবে।"

তিনি আরও উল্লেখ করেন, "আমাদের স্পষ্ট দলীয় সিদ্ধান্ত রয়েছে এই ব্যাপারে। এর বাইরে, ঢাকা দক্ষিণের সাবেক মেয়র প্রার্থী বা মহানগর বিএনপির সদস্য হিসেবে, বা একজন সাধারণ রাজনৈতিক কর্মী হিসেবে, যে অবস্থানেই বিবেচনা করা হোক না কেন, আমি জানিয়ে দিচ্ছি—ঢাকার অলিগলির রাজনীতি কীভাবে চলে তা আমি জানি।"

ইশরাক হোসেন তার পোস্টের শেষ অংশে বলেন, "ঢাকা ও অন্যত্র স্থানীয় সরকার নির্বাচনের যে কোনো উদ্যোগকে চক্রান্ত হিসেবেই গণ্য করা হবে। হাসিনার কমিশনার/কাউন্সিলরা কিভাবে হয় এবং তারা কীভাবে ফিরে আসতে পারে, সেটাও আমাদের মুখস্থ।"

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

দুর্ঘটনায় আহত ছেলেকে হাসপাতালে দেখতে যাওয়ার পথে সড়কে প্রাণ গেল মায়ের
অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা দ্রুত মৃত্যু ডেকে আনে!
জীবন থাকতে কোনো স্থানীয় নির্বাচন করতে দেওয়া হবে না: ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক
২৫ ফেব্রুয়ারি ‘জাতীয় শহীদ সেনা দিবস’ ঘোষণা, সরকারি ছুটি নিয়ে যা জানা গেল!
ঢাবির মধুর ক্যান্টিনে ছাত্রশিবিরের সংবাদ সম্মেলন, ছাত্রদলের নিন্দা
ভারতে ৫ বছর ধরে নিকটজনদের কাছে ধর্ষণের শিকার কিশোরী
ইলন মাস্ককে বাংলাদেশ সফর ও স্টারলিংক চালুর আমন্ত্রণ প্রধান উপদেষ্টার
পাঁচ দফা দাবিতে মেডিকেল শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ, একাডেমিক শাটডাউন ও লংমার্চের ঘোষণা
নির্বাচন নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের দুটি সময়সীমা নির্ধারণ: সিইসি
নিজ বাড়িতে গুলিবিদ্ধ অভিনেতা আজাদ, আহত মা ও স্ত্রী
আহতদের চিকিৎসা বন্ধে ‘নো ট্রিটমেন্ট, নো রিলিজ’ শেখ হাসিনার নির্দেশ ছিলো
এস আলম পরিবারের ৮,১৩৩ কোটি টাকার শেয়ার অবরুদ্ধের নির্দেশ
প্রথমবার বাংলাদেশ-পাকিস্তান সরাসরি বাণিজ্য চালু
৪ ডিআইজিকে বাধ্যতামূলক অবসর, জানা গেল নাম
পুলিশ প্রজাতন্ত্রের স্বাধীন কর্মচারী, কোনো দলের নয়: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
ধর্ষণের প্রতিবাদে আসাদ গেটে ছাত্র-জনতার সড়ক অবরোধ
স্ত্রীর সামনে বিএনপি নেতাকে পিটিয়ে হত্যা, গ্রেপ্তার ২
দুই ফুসফুসেই নিউমোনিয়া, পোপ ফ্রান্সিসের অবস্থা ‘আশঙ্কাজনক’
সংস্কার কমিশনের সুপারিশ: জুনেই স্থানীয় সরকার নির্বাচন
নওগাঁয় রাতে সড়কে গাছ ফেলে ডাকাতি