মঙ্গলবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৪ | ৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের নেই কোনো প্রতিষ্ঠাকালীন স্মৃতি

২০০৬ সালের ২৮মে কুমিল্লার কোটবাড়ি এলাকায় কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিত্তিপ্রস্তর উদ্ভোদন করেন ততকালীন প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া। ৫০ একর জমির উপর একটি একাডেমি ভবন, প্রশাসনিক ভবন ও তিনটি হল নিয়ে যাত্রা শুরু করে বিশ্ববিদ্যালয়। অবকাঠামোগত উন্নয়নের ফলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভবনগুলোতে নেই কোনো প্রতিষ্ঠাকালীন ছাপ। অপরদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের অস্তিত্বের সঙ্গে জড়িত ভিত্তিপ্রস্তর এবং প্রতিষ্ঠাকালীন ফটক ভেঙ্গে ফেলা হয়েছে অভ্যন্তরীণ রাস্তা সংস্কার ও মহাসড়কের সাথে আন্ডারপাস নির্মাণে। তিন বছর আগে ভেঙ্গে ফেলা ভিত্তিপ্রস্তরের হদিস জানেনা প্রশাসন।

এসব পুনঃস্থাপনের কোনো উদ্যোগ নেয়নি বিশ্ববিদ্যালয় কতৃপক্ষ। এ জন্য ক্ষোভ প্রকাশ করছে শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার দপ্তর সূত্রে জানা যায়, ২০০৬ সালে শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর কতৃক পাঁচ তালা একটি প্রশাসনিক ভবন, তিন তালা দুইটি ছেলেদের হল, একটি মেয়েদের হল ও অ্যাকাডেমিক ভবন নির্মাণ করা হয়। পরে হলগুলো ও অ্যাকাডেমিক ভবন দুই তালা বাড়িয়ে পাঁচ তালা করা হয়।

বিভিন্ন সময় আরো নতুন তিনটি অ্যাকাডেমিক ভবন, দুইটি হল, ভিসি বাংলো, ডরমেটরি, ক্যাফেটেরিয়া, গেস্টহাউজ নির্মাণ করা হয়। ২০১৫ সালে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার ও ২০১৭ সালে বঙ্গব›ধুর ভার্ষ্কায নির্মাণ করা হয়। যার একটিও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্টাকালীন স্মৃতি বহন করেনা।

অপরদিকে ২০০৬ সালে বিশ্ববিদ্যালয়ের মূলফটকের মুখে ভিত্তিপ্রস্তর ও ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের বেলতলী বিশ^রোড়ের মুখে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফটক স্থাপন করে শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর। এ দুটি ছিলো বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যতম প্রতিষ্টাকালীন স্মৃতি। যাতে উল্ল্যেখ ছিলো বিশ্ববিদ্যালয় কখন ও কোথায় প্রতিষ্টা হয়েছে এবং প্রতিষ্টার পিছনে কার কার অবদান ছিলো।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ২০১৯ সালে মূলফটক থেকে শহীদ মিনার পর্যন্ত পাকা রাস্তা নির্মাণে ভেঙ্গে ফেলা হয় ভিত্তপ্রস্তরটি। তৎকালীন প্রশাসন জানায় বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরীণ রাস্তা সম্প্রসারণ এবং সৌন্দর্য বর্ধনের জন্য ভিত্তিপ্রস্তরটি ভাঙা হচ্ছে। যা পুনঃস্থাপন করা হবে। কিন্তু রাস্তা নির্মাণের ৩ বছর পার হলেও পুনঃস্থাপন করা হয়নি ভিত্তিপ্রস্তরটি। এমনকি খোঁজ নিয়েও ভিত্তি প্রস্তরের নামফকের কোনো হদিস পাওয়া যায়নি।

কোথায় গেলো ভিত্তিপ্রস্তরের নামফলক
রাস্তা নির্মাণের দায়িত্বে থাকা সহকারী প্রকৌশলী মোঃ বিল্লাল হোসের সঙ্গে কথা বলে জানা যায় তখন তিনি অসুস্থ থাকায় কাজ দেখতে আসতে পারেননি। ভিত্তিপ্রস্তরটি ভেঙ্গে নাম ফলকটি কোথায় জমা দেওয়া হয়েছে তা তিনি সুস্পষ্ট জানেন না, তবে উন্নয়ন ও পরিকল্পনা দপ্তরে থাকতে পারে বলে ধারণা করেন।

উন্নয়ন ও পরিকল্পনা দপ্তরের উপ-পরিচালক ড.মোঃ শাহাবুদ্দিনের কাছে এ বিষয়ে খোজ নিলে তিনি জানান, ভিত্তি প্রস্তরের নাম ফলকটি বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টোর শাখায় জমা দেওয়া হয়েছে। স্টোর শাখায় খোঁজ নিয়েও তার কোনো হদিস মেলেনি। স্টোর শাখা থেকে জানানো হয় দপ্তর বা বিভাগ থেকে কোন জিনিস গ্রহণ করলে তার কাগজ হয়ে থাকে, কিন্তু ভিত্তিপ্রস্তরের নাম ফলক সংগ্রহের কোন কাগজ পাওয়া যায়নি।

ভিত্তিপ্রস্তর পুনঃস্থাপন না করায় ক্ষোভ প্রকাশ করে একাধিক শিক্ষার্থী
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী রাজিব বলেন, ভিত্তি প্রস্তর কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের অস্তিত্বের সাথে জড়িত। যদি কোনো রাজনৈতিক উদ্দেশ্য না থাকে, রাস্তা নির্মাণের কাজে ভাঙ্গা হলেও প্রশাসন এতদিনে স্থাপন করেনি কেনো? আর তা যদি হদিস না মেলে এ বিষয়ে প্রশাসনের গাফিলতি। আগামীতে যারা কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হবে এবং দেখতে আসবে তারা কিভাবে বুঝবে, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় প্রথম কোথায় স্থাপিত হয়েছিলো।

বর্তমানে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস থেকে দেড় কিলোমিটার দুরে নতুন করে ২০০ একর জমির উপর নতুন ক্যাম্পাস নির্মাণ করা হচ্ছে। সকল অনুষদ, প্রশাসনিক ভবন এবং হল সহ অন্যান্য ভবন গুলো নতুন করে নির্মিত হচ্ছে। যার কারণে সর্বপ্রথম কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস কোথায় স্থাপিত হয়েছে আগামীতে শিক্ষার্থীদের মনে এ নিয়ে দন্দ তৈরি হওয়ার আশংকা করছে সংশ্লিষ্টরা।

এ বিষয়ে উপাচার্য ড.এ এফ এম আব্দুল মঈন বলেন, আগের উপাচার্যের সময় তা ভাঙ্গা হয়েছে তাই আমি এ বিষয়ে কিভাবে কি হয়েছে ঠিক বলতে পারবো না। ফাইল দেখে খোঁজ নিয়ে জানাতে হবে।

ভেঙ্গে ফেলা হলো ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের পাশে প্রতিষ্ঠাকালীন ফটক
ভিত্তি প্রস্তর ছাড়াও কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাকালীন স্মৃতির মধ্যে রয়েছে প্রতিষ্ঠাকালীন ফটক। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের বেলতলী বিশ্বরোড এলাকায় সরকারি জায়গার উপর ২০০৬ সালে ফটকটি নির্মাণ করা হয় এ ফটক। ততকালীন শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর এ ফটক নির্মাণ করে দেয়। কিন্তু বেলতলী বিশ্বরোড এলাকায় আন্ডারপাস নির্মাণে ভেঙ্গে ফেলা হয় ফটকটি।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গত বছরের ২৮ জুলাই জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় বেলতলীসহ কুমিল্লার বিভিন্ন স্থানে তিনটি আন্ডারপাস ও একটি ইউলুপ নির্মাণের জন্য একটি প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়। ওই প্রকল্পের আওতায় সম্প্রতি বেলতলীতে আন্ডারপাস নির্মাণের জন্য কাজ শুরু করা সড়ক ও জনপদ উন্নয়ন অধিদপ্তরের (সওজ) তথ্য মতে, মহাসড়কের পাশে অবস্থিত কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাকালীন প্রধান ফটকটি সওজের অধিগ্রহণকৃত ভূমিতে নির্মাণ করা হয়েছিল। সেখানে অবস্থিত বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক অপসারণ করা ছাড়া আন্ডারপাস নির্মাণ সম্ভব নয়।

বিষয়টি নিয়ে সম্প্রতি কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের সাঙ্গে মিটিং করেছে সড়ওক ও জনপদ অধিদপ্তরের (সওজ) প্রতিনিধিরা। সভা শেষে সওজকে আরেকটি ফটক নির্মাণের দাবি জানিয়েছে কুবি কর্তৃপক্ষ। আরেকটি ফটক নির্মাণ করে দিতে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে চিঠি দিয়েছে বলে নিশ্চিত করে রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) মো. আমিরুল হক চৌধুরী।

এ বিষয়ে উপাচার্য অধ্যাপক ড.এফএম আবদুল মঈনের সাথে কথা বললে তিনি প্রকৌশল দপ্তররে খোঁজ নিতে বলেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকৌশল দপ্তরে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সওজ কতৃক একটি চিঠিতে জানানো হয়, ২৬শে অক্টোবর ২০২২ তারিখে যোগাযোগ মন্ত্রনালয়ের স্টিয়ারিং কমিটির সভায় কুবির গেইটটি করে দেওয়ার আবেদন করা হয়।

সভায় সড়ক ও জনপদ অধিদপ্তরকে (সওজ) ডিপিপি (৫৬৮ কোটি ৯৩ লক্ষ টাকার বাজেট) যথাযথ যুক্তি সাপেক্ষ প্ল্যান রিভাইজ (ব্যায় বৃদ্ধি) করে পাঠানোর অনুমতি দেয় যোগাযোগ মন্ত্রণালয় থেকে। প্ল্যান রিভাইজের বিষয়ে সওজ, কুমিল্লার নির্বাহী প্রকৌশলী বলেন, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফটক ছাড়াও আরো কয়েকটি জায়গায় ভূমি অধিগ্রহণ করতে হবে। তাই ভূমির দাম ঠিক করে পুরোটা একেবারে রিভাইজ করে জমা দিবো।

প্রশাসনের অনীহা
শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মধ্যে গুঞ্জন রয়েছে ভিত্তি প্রস্তরের নাম ফলকে বেগম খালেদা জিয়ার নাম ও ফটকে বেগম খালেদা জিয়ার নামসহ আরো ততকালীন ১৫ জন সংসদ সদস্যের নাম থাকায় তা পুনঃস্থাপনে প্রশাসনের অনিহা রয়েছে।

এ বিষয়ে সাদা দল সমর্থিত শিক্ষক ড. মো. আবদুল হাকিম বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার পিছনে যার অবদান থাকুক কোনো রাজনীতিকরনের কারনে যেন সরিয়া ফেলা ঠিক নয়। এটা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসের সঙ্গে জড়িত। আমি অনুরোধ করবো উপাচার্য কে তিনি যেনো ভিত্তিপ্রস্তর এবং বেলতলীর ফটকটি পুনঃস্থাপনে উদ্যোগ নেয়।

এর আগে ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বরে প্রধান ফটকে থাকা বেগম খালেদা জিয়া এবং বিএনপি সরকারের মন্ত্রীদের নামফলকের মুছে দেয় বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগ।

ভিত্তি প্রস্তর ও ফটক পুনঃস্থাপন নিয়ে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের সদস্য সচিব মোস্তাফিজুর রহমান শুভ বলেন, 'বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি, রেজিস্ট্রার ও ছাত্রলীগ যৌথভাবে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নাম সংকলিত ভিত্তিপ্রস্তর ভেঙ্গে ফেলেছে।

আমরা তাৎক্ষণিক ভিসির কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেছিলেন, ভেতরের রাস্তা প্রশস্ত করতে সাময়িকের জন্য ভিত্তিপ্রস্তরটি সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। কিন্তু তিন বছর পেরিয়ে গেলেও এখনো ভিত্তিপ্রস্তরটি প্রতিস্থাপন করা হয়নি। এখন প্রতিষ্ঠাকালীন ফটকটিও ভেঙ্গে ফেলা হয়েছে। পুনঃস্থাপন হবে কিনা এ বিষয়ে আমাদের আশঙ্কা রয়েছে। আমি ভিসি স্যারকে দ্রæত সময়ের মধ্যে ভিত্তিপ্রস্তর ও ফটকটি পুনঃস্থাপনে যথাযথ উদ্যোগ গ্রহনে অনুরোধ করছি।'

বিশ্ববিদ্যালয়ের এ স্থাপনা দুটি পুনঃস্থাপনের বিষয়ে জানতে উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড.মোঃ হুমায়ুন কবির জানান, উপাচার্য মহোদয় ফটকটি পুনঃস্থাপনে যথেষ্ট চেষ্টা করছেন। আর ভিত্তি প্রস্তর পুনঃস্থাপনে কি যেতে পারে এ বিষয়টি খতিয়ে দেখতে হবে।
এএজেড

Header Ad

উত্তরা থেকে সাবেক খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম গ্রেফতার

ঢাকা-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও সাবেক খাদ্যমন্ত্রী মো. কামরুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। সোমবার (১৮ নভেম্বর) রাত সাড়ে ১০টার দিকে রাজধানীর উত্তরা-১২ নম্বর সেক্টর থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার রেজাউল করিম মল্লিক গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, আজ রাতে উত্তরা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। তার বিরুদ্ধে হত্যাসহ অনেকগুলো মামলা আছে। গ্রেফতারের পর কামরুল ইসলামকে মিন্টু রোডের ডিবি কার্যালয়ে নেয়া হয়েছে।

উল্লেখ্য, গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতন হয়। তখন থেকেই অনেক আওয়ামী লীগ নেতার মতো আত্মগোপনে ছিলেন কামরুল ইসলাম।

২০১৪ সালের ১৩ জানুয়ারি থেকে ২০১৯ সালের ৬ জানুয়ারি পর্যন্ত খাদ্যমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন কামরুল ইসলাম। এর আগে, তিনি ২০০৮ থেকে ২০১৪ পর্যন্ত বাংলাদেশ সরকারের আইন বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ছিলেন।

Header Ad

নতুন করে কার প্রেমে মজলেন পরীমনি!

চিত্রনায়িকা পরীমনি। ছবি: সংগৃহীত

চিত্রনায়ক শরিফুল রাজের সঙ্গে ডিভোর্সের পর দুই ছেলে-মেয়েকে নিয়েই এখন চলছে পরীমনির সংসার। বর্তমানে ‘সিঙ্গেল মাদার’ হিসেবে সন্তানদের বড় করে তুলছেন তিনি। ব্যক্তিগত জীবনে প্রেম, বিয়ে কিংবা বিচ্ছেদের কারণে বহুবার খবরের শিরোনামে উঠে এসেছেন তিনি। এবারও তার ব্যতিক্রম হলো না। ফের পরীর প্রেমের খবরে তোলপাড় নেটদুনিয়া।

সোমবার (১৮ নভেম্বর) ভোর রাতে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে একটি ভিডিও শেয়ার করেছেন পরীমনি। ক্যাপশনে লিখেছেন, ‘হ্যাঁ, আমি আবারও প্রেমে পড়েছি।’ সঙ্গে জুড়ে দিয়েছেন লাভ ও বাটারফ্লাই ইমোজি।

চিত্রনায়িকা পরীমনি। ছবি: সংগৃহীত

ওই ভিডিওতে দেখা যায়, চলন্ত গাড়িতে কারও হাতের ওপর হাত রেখেছেন পরীমনি। যদিও নায়িকার পাশে থাকা পুরুষটির চেহারা প্রকাশ করেননি তিনি। ভিডিওটি দেখার পর থেকেই ভীষণ উচ্ছ্বসিত পরীমনির ভক্ত-অনুরাগীরা। প্রিয় নায়িকার জীবনে নতুন কারও আবির্ভাব যেন খুব স্বাভাবিকভাবেই নিয়েছেন তারা।

নেতিবাচক মন্তব্যও ভিড় করেছে পরীমনির কমন্টেসবক্সে। কারণ, বছরজুড়েই নানান সাক্ষাৎকারে নায়িকার মুখে শোনা যায় নতুন কারও সঙ্গে সম্পর্কে জড়ানো তার পক্ষে সম্ভব না। দাম্পত্য জীবনে যে কষ্ট সহ্য করেছেন, যে খারাপ সময় পেরিয়ে এসেছেন সেই কাঁটা রাস্তায় আর পা ফেলবেন না তিনি। আর কোনো সম্পর্কের মায়ায় নিজেকে জড়াতে চান না পরীমনি।

 

ডিভোর্সের পর থেকে বারবার একটা কথাই তিনি জানিয়েছিলেন যে, ছেলে-মেয়ে তার দুটি ডানা। নতুন সম্পর্কের দরকার নেই পরীর। এমনকি ওই মানুষটির ছায়াও আর মাড়াতে চান না তিনি। অথচ বছর না পেরোতেই সুর পাল্টে ঠিকই নতুন প্রেমে মজেছেন এই নায়িকা।

গত বছর দাম্পত্য জীবনের টানাপোড়েনে ভেঙে যায় রাজ-পরীমনির সংসার। বিচ্ছেদের পর থেকে ছেলেকে নিয়ে একাই দিন পার করছিলেন তিনি। এসবের মাঝেই তার জীবনে আগমন ঘটে ছোট্ট আরেক পরীর। যাকে নিজের মেয়ের পরিচয়ে দত্তক নেন পরীমনি। বর্তমানে দুই সন্তানকে নিয়ে বেশ সুখেই জীবন কাটাচ্ছেন তিনি। পাশাপাশি কাজও করছেন তিনি। এবার নায়িকার জীবনে এসেছে ভালোবাসার নতুন মানুষ।

Header Ad

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পাকিস্তানি শিক্ষার্থী ভর্তিতে বাধা থাকছে না

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। ছবি: সংগৃহীত

পাকিস্তানের সঙ্গে ২০১৫ সালে ছিন্ন করা সম্পর্ক পুনরায় স্থাপনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি)। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ে পাকিস্তানি শিক্ষার্থী ভর্তিতে আর কোনো বাধা রইলো না।

সোমবার (১৮ নভেম্বর) বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক সায়মা হক বিদিশা।

তিনি বলেন, পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্কের যে নিষেধাজ্ঞার বিষয়টি ছিল তা গত বুধবারের সিন্ডিকেট সভায় প্রত্যাহার করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। উপাচার্য বিষয়টি অনুমোদন দিলে সিন্ডিকেটের সিদ্ধান্ত কার্যকর করা হবে।

তিনি আরও বলেন, পাকিস্তানের সঙ্গে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের যে বিভিন্ন অ্যাকাডেমিক সম্পর্ক ছিল সেগুলো আবারও চালু হবে। পাকিস্তানের শিক্ষার্থীরা আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে পারবে। আমাদের শিক্ষার্থীরা সেখানকার বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে সভা সেমিনার করতে যেতে পারবে।

গত বুধবার (১৩ নভেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক নিয়াজ আহমেদ খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সিন্ডিকেট সভায় উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক সায়মা হক বিদিশা, উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক মামুন আহমেদসহ সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

গত ৫ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশে নিযুক্ত পাকিস্তানের হাইকমিশনার সৈয়দ আহমেদ মারুফ নিয়াজ আহমেদ খানের সঙ্গে তার কার্যালয়ে সাক্ষাৎ করেন। এ সময় পাকিস্তানের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে ঢাবির সম্পর্ক উন্নয়নের ক্ষেত্রে জোরদার করার কথা বলেন।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

উত্তরা থেকে সাবেক খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম গ্রেফতার
নতুন করে কার প্রেমে মজলেন পরীমনি!
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পাকিস্তানি শিক্ষার্থী ভর্তিতে বাধা থাকছে না
ভারতীয় চ্যানেল ‘রিপাবলিক বাংলা’র বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হাইকোর্টে রিট
পুলিশ ভেরিফিকেশনে রাজনৈতিক পরিচয় না দেখার সুপারিশ
পা‌কিস্তানের হাইক‌মিশনারের সেল‌ফিতে উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ
বিএনপি ক্ষমতায় গেলে রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলো হবে শহীদদের নামে: তারেক রহমান
আবারও শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রী হলেন হরিণী অমরাসুরিয়া
শেখ হাসিনার নতুন ফোনালাপ ফাঁস, প্রবাসীদের নিয়ে ভয়াবহ ষড়যন্ত্র!
এস আলমের শেয়ার বিক্রি করে ১০ হাজার কোটি টাকা আদায় করবে ইসলামী ব্যাংক
অন্তর্বর্তী সরকার যত বেশি সময় নেবে, তত বেশি সমস্যা তৈরি হবে: মির্জা ফখরুল
ট্রেলারেই রেকর্ড গড়ল ‘পুষ্পা ২’
হাতজোড় করে দোয়া চাইলেন জুনাইদ আহমেদ পলক
শহীদ আব্দুল্লাহর বাড়িতে উপদেষ্টা হাসান আরিফ, করলেন কবর জিয়ারত
ট্রাম্পের সঙ্গে ব্যক্তিগত কোনো সমস্যা নেই: প্রধান উপদেষ্টা
সরকার চাইলে তারেক রহমানকে দেশে ফিরতে সহায়তা করবে যুক্তরাজ্য
সৌদি আরবে কনসার্ট করবেন জেমস
৩০ দিনের মধ্যে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে তদন্ত শেষ করার নির্দেশ
মৃত্যুর আগে ফেসবুক লাইভে অডিও বার্তা, পত্নীতলায় সুমন হত্যা ঘিরে রহস্য
গিলেস্পিই থাকছেন পাকিস্তানের প্রধান কোচ