শাবিপ্রবির প্রধান ফটকে গতিরোধক, কমেছে ঝুঁকি
দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর অবশেষে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) প্রধান ফটকে নির্মিত হয়েছে গতিরোধক (স্পিডব্রেকার)। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সড়কের দুপাশে তিনটি করে মোট ছয়টি গতিরোধক নির্মাণ করা হয়েছে। ফলে এখন কমেছে গাড়ির গতি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের লোকপ্রশাসন বিভাগের স্নাতকোত্তর শিক্ষার্থী সাবিহা সায়মন পুষ্প বলেন, রাস্তায় স্পিডব্রেকার না থাকায় খুব দ্রুত গাড়ি চলাচল করত। কয়েকদিন আগে এক জুনিয়র গাড়ি চাপায় আহত হয়। এ নিয়ে প্রক্টরকে কয়েকবার অনুরোধ করেছি স্পিডব্রেকার নির্মাণের দাবি জানিয়ে। এখন স্পিডব্রেকার হয়েছে। আশাকরি এখন শিক্ষার্থীরা নিরাপদে রাস্তা পার হতে পারবে।
বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর অধ্যাপক ড. কামরুজ্জামান চৌধুরী জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনের সিলেট-সুনামগঞ্জ মহাসড়কের সংস্কার কাজ করছিল সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগ। ফলে এখানে কিছু করার এখতিয়ার তাদের নেই। যেহেতু প্রতিদিন এ সড়কের এ পাশ থেকে ওই পাশে হাজার হাজার শিক্ষার্থী, শিক্ষকসহ অনেকেই যাতায়াত করেন। আর যেহেতু এটি মহাসড়ক তাই এ রাস্তায় গণপরিবহণের গতি নিয়ন্ত্রণ আবশ্যক।
তিনি আরও বলেন, সড়ক সংস্কার কাজ শুরুর মাঝে আমি দায়িত্ব পেয়েছি। তারপর থেকেই যথাযথ কর্তৃপক্ষকে কয়েকবার বলেছি দ্রুত সময়ের মধ্যে গতিরোধক নির্মাণ করতে। আজ দুপুরে গতিরোধক চোখে পড়েছে।
সার্বিক বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ বলেন, আমরা বিষয়টি সম্পর্কে অবগত হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকৌশল দপ্তরের মাধ্যমে সড়ক ও জনপথ বিভাগে চিঠি পাঠিয়েছি। যেহেতু এটি প্রধান ফটক সংলগ্ন স্থান তাই প্রতিদিন শিক্ষক শিক্ষার্থীরা ঝুঁকি নিয়ে রাস্তা পারাপার হতে হয়। সওজ এখন গতিরোধক নির্মাণ করে দিয়েছেন।
উপাচার্য আরও বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে ফুটওভার ব্রিজও নির্মাণ করা হচ্ছে। আশা রাখছি, দ্রুতই এই ফুটওভার ব্রিজ চালু হবে। তখন ঝুঁকি আরও কমবে। সেই সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের সবার প্রতি আহ্বান থাকবে সড়ক পারাপারের সময় যেন সবাই সচেতন থাকে।
উল্লেখ্য, সিলেট-সুনামগঞ্জ মহাসড়কের বিভিন্ন অংশে সংস্কারকাজ চলছে। এরই অংশ হিসেবে সিলেট নগরীর আখালিয়া হতে কুমারগাঁও বাসস্ট্যান্ড পর্যন্ত রাস্তাসংস্কার কাজে পিচ ঢালাইয়ের পরিবর্তে আরসিসি রড-সিমেন্ট-কংক্রিটের কার্পেটিং ব্যবহার করা হয়েছে। পূর্বের পিচ ঢালাইয়ের রাস্তায় শাবিপ্রবির প্রধান ফটকসংলগ্ন এলাকায় স্পিডব্রেকার থাকলেও নতুন সংস্কার করা রাস্তায় কোনো স্পিডব্রেকার ছিল না। বেপরোয়া যান চলাচলের ফলে দেখা দিয়েছিল বড় ধরনের দুর্ঘটনার শঙ্কা। স্পিডব্রেকারের সঙ্গে প্রধান ফটকসংলগ্ন মহাসড়কে জেব্রা ক্রসিং অতীব প্রয়োজন হয়ে উঠেছে বলে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে জানিয়ে আসছিলেন শিক্ষার্থীরা ।
এসএন