ঢাবির মলচত্বরে তৈরি হবে শতবার্ষিক স্মৃতিস্তম্ভ

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শতবর্ষ পূর্তিকে স্মরণীয় করে রাখতে মলচত্বরে ‘শতবার্ষিক স্মৃতিস্তম্ভ: অসীমতার স্তম্ভে বিশালতা, অন্তর্ভুক্ততা ও উদারতা’ তৈরি করা হবে।
Centenary Monument: A Monument of Infinity Reflecting Vastness, Inclusiveness and Magnanimity এর জন্য ইতোমধ্যে উন্মুক্ত প্রতিযোগিতার মাধ্যমে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও ইনস্টিটিউট অব আর্কিটেক্টস্ বাংলাদেশের (আইএবি) যৌথ উদ্যোগে একটি বিশেষায়িত জুরিবোর্ডের মাধ্যমে স্থাপত্য নকশা নির্বাচন করা হয়েছে।
পরিবেশ, প্রকৃতি ও নৈসর্গিক সৌন্দর্যের সাথে শিক্ষার্থী ও দর্শনার্থীদের মিথস্ক্রিয়া ঘটবে এবং যুগে যুগে নতুন প্রজন্মের শিক্ষার্থীদের কাছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মৌলিক দর্শন ও উদার নৈতিক মানবিক মূল্যবোধের বার্তা পৌঁছে দেবে, বলে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের প্রত্যাশা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, শতবার্ষিক এ স্মৃতিস্তম্ভের বেদির আয়তন ৭ হাজার ২০০ বর্গফুট (দৈর্ঘ্য ১২০ ফুট ও প্রস্থ ৬০ ফুট), মূল স্তম্ভের দৈর্ঘ্য ৭০ ফুট, প্রস্থ ৩০ ফুট ও উচ্চতা ২৫ ফুট। এর ওয়াটার গার্ডেনের ব্যাস ৬০ ফুট ও গভীরতা ৫ ফুট। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের গৌরবান্বিত শতবর্ষের প্রকাশ হিসেবে ১০০টি বাতি থাকবে এবং ২০টি হিস্ট্রি প্যানেল নির্মাণ করা হবে।
এ ছাড়াও এখানে শিক্ষার্থীদের জন্য বসার ব্যবস্থা, সাইকেল স্ট্যান্ড, রিসাইকেল বিন, চার্জিং পয়েন্টসহ বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা থাকবে। মনুমেন্ট নির্মাণের জন্য মলচত্বর এলাকার গাছপালা ঠিক রেখে পেভমেন্ট, রোড, ড্রেন ও বৈদ্যুতিক কাজ সম্পন্ন করা হবে।
এর আগে এক অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান বলেন, ‘শতবার্ষিক স্মৃতিস্তম্ভে পরিবেশ, প্রকৃতি ও নৈসর্গিক সৌন্দর্যের সঙ্গে শিক্ষার্থী ও দর্শনার্থীদের মিথস্ক্রিয়া ঘটবে। যুগে যুগে এটি নতুন প্রজন্মের শিক্ষার্থীদের কাছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মৌলিক দর্শন ও উদারনৈতিক মানবিক মূল্যবোধের বার্তা পৌঁছে দেবে।’
উল্লেখ্য, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শতবর্ষপূর্তি ও মহান স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উৎসব উপলক্ষে ‘Construction of Centenary Monument: Celebrating 100 years of the University of Dhaka and Golden Jubilee of Independence of Bangladesh’ শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় ‘শতবর্ষ মনুমেন্ট'-এর স্থাপনা নকশা প্রতিযোগিতা আয়োজন করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
প্রতিযোগিতায় দেশের স্বনামধন্য ৫৬টি স্থাপত্য প্রতিষ্ঠান অংশ নেয়। এর মধ্যে ‘নিন আর্কিটেক্টস’ বিজয়ী হয়।
এসএন
