শাবিপ্রবিতে অগ্নি প্রতিরোধ, নির্বাপণ ও উদ্ধারের প্রশিক্ষণ কর্মশালা
শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে অগ্নি প্রতিরোধ, নির্বাপণ ও উদ্ধারের প্রশিক্ষণ শুরু হয়েছে। দুই দিনব্যাপী এ প্রশিক্ষণের প্রথম দিন সোমবার সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের হ্যান্ডবল গ্রাউন্ডে ওই বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেন সিলেটের ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স শাখার একটি টিম। এর আগে অগ্নি প্রতিরোধ, নির্বাপণ ও উদ্ধারের প্রশিক্ষণ কর্মসূচির উদ্বোধন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ।
এসময় উপাচার্য বলেন, আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে অনেকগুলো ভবন নির্মাণ হচ্ছে। সেগুলোতে বিদ্যুৎ বা অন্যান্য উৎস থেকে আগুন লাগলে তৎক্ষণাৎ কিভাবে উদ্ধার অভিযান চালাবো আমাদের নিরাপত্তাকর্মী বা সংশ্লিষ্ট যারা আছে তারা সে বিষয়ে জানে না। সে বিষয়ে প্রশিক্ষণ নিশ্চিত করতে পারিনি। আজকে যে সচেতনতাটা আমাদের মাঝে তৈরি হবে। এটা চলবে। আমদের মাঝে তা সঞ্চারিত হবে। আমরা নিয়ম নীতি মেনে অগ্নি নির্বাপকের যন্ত্র ব্যবহার করবো।
সিলেট ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স শাখার উপপরিচালক মো.মনিরুজ্জামান বলেন, আগুন যদি লাগে তাহলে নির্বাপণ ও উদ্ধারের দিকটি আসে। কিন্তু আমরা যদি প্রতিরোধ করতে পারি তাহলে নির্বাপণের প্রশ্নটি এমনিতেই আসবে না। প্রতিরোধ জিনিসটি এমন যে, ধরেন এ বিশ্ববিদ্যালয়ে অনেকগুলো অগ্নি নির্বাপক যন্ত্র ঝুলানো আছে। ঝুলানো অর্থ হল আগুন লাগলে নির্বাপণ করতে হবে। কিন্তু সচেতন থাকলে আগুন লাগারও সম্ভাবনা থাকে না। আর এটাই হল প্রতিরোধ। এছাড়া আজকে আমরা নির্বাপণ ও উদ্ধারের বিভিন্ন কলাকলাকৌশল জানতে পারবো।
নির্বাপণ ও উদ্ধারের বিভিন্ন কলাকলাকৌশল হাতে কলমে দেখান ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের ইন্সপেক্টর আতিকুর রহমান ও মোস্তাফিজুর রহমান। শাবিতে কর্মরত বেসরকারি কোম্পানি যমুনা সিকিউরিটি গার্ড লি. এর নিরাপত্তা কর্মকর্তা হাবিব রহমান জানান, তাদের ৮০ জন নিরাপত্তাকর্মী প্রশিক্ষণ পেয়েছেন। এছাড়া ২০ থেকে ২৫ জন সরকারি নিরাপত্তাকর্মীও প্রশিক্ষণ পেয়েছেন। এছাড়া মঙ্গলবার সকালে আরও শতাধিক নিরাপত্তাকর্মীকে প্রশিক্ষণের আওতায় আনা হবে বলে জানান তিনি।
প্রশিক্ষণের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক আনোয়ারুল ইসলাম, ছাত্র উপদেশ ও নির্দেশনা পরিচালক আমিনা পারভীন, রেজিস্ট্রার মুহাম্মদ ইশফাকুল হেসেন, বিভিন্ন অনুষদের ডিন, দপ্তারের কর্মকর্তা ও কর্মচারিরা উপস্থিত ছিলেন। প্রশিক্ষণের সার্বিক সহযোগিতায় ছিলেন বাংলাদেশ ন্যাশনাল ক্যাডেট কোরের (বিএনসিসি) বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সদস্যরা।
এএজেড