স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের ভূমিকা পাঠ্যবইয়ে প্রয়োজন : ড. হাফিজা খাতুন
পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় আজ শনিবার, ৪ নভেম্বর, ২০২২ আয়োজন করেছে একটি বিশেষ অনুষ্ঠান। নাম ‘মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিচারণ অনুষ্ঠান’। প্রধান অতিথি ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক ড. নাসরিন আহমাদ। তিনি সাবেক উপ-উপাচার্য শিক্ষা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। লাভ করেছেন ‘বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব পদক’। এদেশের প্রধান পরিবেশবিদদের অন্যতম এই কীর্তিমান অধ্যাপক।
তার মুক্তিযুদ্ধের জীবনের আয়োজনে সভাপতি ছিলেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম ছাত্রী ব্লু ও তার সহ-অধ্যাপক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূগোল ও পরিবেশ বিজ্ঞানের নামকরা শিক্ষক-গবেষক পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম নারী উপাচার্য ড. হাফিজা খাতুন।
বিশেষ অতিথি ছিলেন উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. এস. এম. মোস্তফা কামাল খান।
বিশেষ অতিথি ছিলেন কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. এ. কে. এম. সালাহ উদ্দিন।
অধ্যাপক ড. নাসরিন আহমাদের মুক্তিযুদ্ধের দিনগুলো তাদের ভীষণভাবে আলোড়িত ও মুগ্ধ করেছে। বাঙালির মুক্তিসংগ্রামের অনন্য জীবনে ফিরিয়ে নিয়েছে।
এরপর সভাপতির ভাষণে একসময়ের সহকর্মী উপাচার্য অধ্যাপক ড. হাফিজা খাতুন বলেছেন, ‘১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মহান শব্দ সৈনিকদের যে অনুভূতি ও জীবন ছিল, একই অনুভূতি এবং বোধ আমাদের মধ্যে আজ আপার মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। আমরা তা লালন করে যাব। আমরা যারা একটি স্বাধীন দেশের মাধ্যমে মুক্তি চেয়েছিলাম, তাদের সেই জীবনের স্বাদ দিয়েছেন বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক ড. নাসরিন আহমাদ। স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের ভূমিকা নিয়ে আরো অনেক গবেষণা করা দরকার। জড়িত মহৎদের বীরত্বগাথা পাঠ্যবইয়ে প্রয়োজন। তাদের ভূমিকা তুলে ধরে আগামী প্রজম্মকে এই ইতিহাস জানাতে হবে। তবেই জীবনের ত্যাগ ও প্রচেষ্টা স্বার্থক হবে।’
বিশেষ অতিথি উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. এস. এম. মোস্তফা কামাল খান বলেছেন, ‘৩০ লাখ শহিদের রক্তের বিনিময়ে ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর আমরা যে দেশ পেয়েছি, সে দেশের কোনো মানুষ ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট লালন করতে পারে না, ৩ নভেম্বরের জেল হত্যা লালন করতে পারে না, ২১ আগস্ট ধারণ করতে পারে না। আমরা বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সোনার বাংলা, বিদ্রোহী ও আমাদের জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম, ফকির লালন সাঁই, রূপসী বাংলার কবি জীবনানন্দ দাশের সেই বাংলাদেশ চাই। সেখানে ধর্ম-বর্ণ-মানুষ নির্বিশেষে সাম্যের সাথে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার সবাই একসঙ্গে বসবাস করতে পারব। এজন্য আমাদের অধ্যাপক ও ছাত্র, ছাত্রীদের অনেক করণীয় আছে।’
বিশেষ অতিথি কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. এ কে. এম. সালাহ উদ্দিন বলেন, ‘আমাদের স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের মহান শব্দ সৈনিকেরা বাঙালীর স্বাধীনতা যুদ্ধে রত মুক্তিযোদ্ধাদের অনুপ্রাণিত করতেন। তাদের ভূমিকা নতুন প্রজম্মের কাছে আরো ছড়িয়ে দিতে হবে।’
লেখা : ফারুক হোসেন চৌধুরী, উপ-পরিচালক, জনসংযোগ ও প্রকাশনা দপ্তর, পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়। ছবি : ইমরান আহমেদ।
ওএফএস।