গণ বিশ্ববিদ্যালয় বাংলার দুটি ব্যাচের শিক্ষা সমাপনী

সাভারের বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয় ‘গণ বিশ্ববিদ্যালয়’র বাংলা বিভাগের স্নাতক ২১তম ও স্নাতকোত্তর ১৭তম ব্যাচে বাজলো বিদায়ের সুর।
দুটি ব্যাচের পাশ করা ছাত্র, ছাত্রীদের নিয়ে আয়োজিত হলো ‘শিক্ষা সমাপনী-২০২২’।
২৭ সেপ্টেম্বর, বৃহস্পতিবার, সকাল ১০টায় অ্যাকাডেমিক ভবনের ৪শ ১৭ নম্বর রুমে বিদায়ের আয়োজন শুরু হয়েছিল।
বাংলা বিভাগের প্রধান বাংলা অ্যাকাডেমির সাবেক মহাপরিচালক অধ্যাপক ড. মনসুর মুসা সভপতিত্ব করেছেন।
প্রধান অতিথি হিসেবে অংশগ্রহণ করেছেন উপাচার্য (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ড. এম. আবুল হোসেন।
বিশেষ অতিথি ছিলেন কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক এম. সিরাজুল ইসলাম ও রেজিস্ট্রার এস. তাসাদ্দেক আহমেদ।
বাংলার অধ্যাপকরা সবাই, প্রশাসনিক কর্মকর্তারা এবং বিদায়ী দুই ব্যাচের ছাত্র, ছাত্রীরা অংশগ্রহণ করেছেন।
অনার্স ও মাস্টার্স পাশ করে যাওয়া এই ছাত্র, ছাত্রীদের অধ্যাপক ড. মনসুর মুসা বলেছেন, ‘আমি জীবনে অনেক জায়গায় শিক্ষকতা করেছি। তবে তোমাদের গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র, ছাত্রীদের মতো অধ্যাপকদের প্রতি এমন আনুগত্য ও বাঙালী সাংস্কৃতিকবোধ আর কোথাও দেখিনি।’
প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য (ভারপ্রাপ্ত) ড. মো. আবুল হোসেন বলেছেন, ‘আমাদের গণ বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলা অন্যতম বিভাগ। বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি সমৃদ্ধ লাইব্রেরি আছে। যেখানে সব বিষয়ের বই পাওয়া যায়। বিসিএসের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। আমি অনার্স এবং মাস্টার্সের ছেলেমেয়েদের বলব, এখন থেকে নিয়মিত লাইব্রেরিতে পাঠচর্চা কর ও আগ্রহ গড়ে তোল। ফলে ভালো চাকরি পাবে। আমাদের বাংলা বিভাগে শিক্ষক স্বল্পতা আছে আমরা জানি। সে বিষয়ে আমাদের সুনজর রয়েছে। আমি বিশ্ববিদ্যালয়কে অন্যতম একটি প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তুলতে চাই।’
বিদায়বেলায় তারা সবাই আবেগে আপ্লুত হয়ে পড়েন। অত্যন্ত ভালোবাসার মধ্যে তাদের পড়ালেখার জীবনের শেষ দিনটি কেটেছে।
নিজের মনের কথা বলতে গিয়ে অনাস ২১তম ব্যাচের ছাত্র ধীরা ঢালী বলেছেন, ‘গণ বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হবার সময় ভাবিনি, ক্যাম্পাসটিকে এত ভালোবেসে ফেলব। আমরা একটি স্বপ্নের ক্যাম্পাস থেকে সবাই এক বুক স্বপ্ন নিয়ে সামনের দিকে এগিয়ে চলেছি। সবার কাছে আমরা দোয়া চাই।’
স্নাতক ২১ ও স্নাতকোত্তর ১৭তম ব্যাচের ‘শিক্ষা সমাপনী-২০২২’ অনুষ্ঠানটি দুটি অংশে অনুষ্ঠিত হয়েছে। সকাল ১০টা ঘটিকা থেকে আলোচনা সভা। এরপর দুপুরের খাবার।
তারপর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। উপহার দেওয়া হয়েছে ছাত্র, ছাত্রীদের সবাইকে। সবশেষে ছিল শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক পরিবেশনা।
লেখা ও ছবি : ইউনূস রিয়াজ।
ওএফএস।
