জেলখানাকে তার বাবার বাড়ি বলে জানত শেখ রাসেল: অধ্যাপক ড. গোলাম সাব্বির সাত্তার
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি।
বঙ্গবন্ধুর শেষ সন্তান শেখ রাসেলের জন্ম ১৯৬৪ সালের ১৮ অক্টোবর ৷ ১৯৭৫ সালের সেনা অভ্যুত্থানে শেখ মুজিব হত্যার সময় পরিবারের অন্যদের সঙ্গে ১০ বছরের ছেলেটিকে মেরে ফেলা হয়েছে।
শেখ রাসেল দিবস উপলক্ষে আজ সকাল ৮টায় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ তাজউদ্দিন আহমদ সিনেট ভবন থেকে র্যালি প্যারিস রোড হয়ে তাদের শেখ রাসেল মডেল স্কুলে শেষ হয়েছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শ্রদ্ধার্ঘ্য।
সকাল সাড়ে ৮ টায় সেখানে উপাচার্য অধ্যাপক ড. গোলাম সাব্বির সাত্তার শেখ রাসেলের প্রতিকৃতিতে পুষ্পমাল্য অর্পণ, স্কুল প্রাঙ্গণে গাছের চারা রোপণ করেছেন।
স্কুলের শিক্ষার্থীরা রাসেলের জন্মদিনে কেক কেটে খেয়েছে। তারা সমবেত জাতীয় সংগীত পরিবেশন করেছে।
তারপর তাদের চিত্রাঙ্কন ও রচনা প্রতিযোগিতার শুরু হয়েছে। এর মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের আয়োজনে আলোচনা সভা।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য এবং প্রধান অতিথি বলেছেন, ‘শেখ রাসেল আমাদের অনন্য নাম। বাংলাদেশের শিশু, কিশোর, তরুণ, বৃদ্ধসহ সকল শ্রেণীর মানুষের ভালোবাসা। জেলখানায় যখন শেখ রাসেল তার বাবার সাথে দেখা করতে যেত, সেখান থেকে আসতে চাইত না। শেখ রাসেল মনে করতো-জেলখানা তার বাবার বাড়ি।’
শেখ রাসেলকে জানার উপদেশ দিয়ে উপাচার্য বলেন, ‘শেখ রাসেলকে জানা আমাদের সকলের প্রয়োজন। রাসেলকে নিয়ে শতাধিক বই আছ। আমাদের সকলেই বইগুলো নিজে পড়া ও ছোটদের পড়তে আগ্রহী করা উচিত। আমাদেরও ছেলে, মেয়ে আছে; আমাদের উচিত তাদেরও শেখ রাসেলের মতো গড়ে তোলার চেষ্টা করা। বঙ্গবন্ধুর এই আদর্শকে ছোট থেকেই চর্চা করানো।’
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কনিষ্ঠ পুত্র শেখ রাসেলের ৫৯ তম জন্মদিন ও আলোচনায় স্কুলের প্রধান শিক্ষক লিসা মেহজাবিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে ছিলেন-অ্যাকাডেমিক উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. সুলতান-উল ইসলাম, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. অবায়দুর রহমান প্রামানিক, রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. মো. আবদুস সালাম, ছাত্র-উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. তারেক নূর, প্রক্টর অধ্যাপক ড. আসাবুল হক, জনসংযোগ দফতরের প্রশাসক অধ্যাপক ড. প্রদীপ কুমার পান্ডে, সহকারী প্রক্টর, স্কুল পরিচালনা পরিষদ সদস্যরা, শিক্ষক, অভিভাবকসহ প্রায় দু’শতাধিক ছাত্র, ছাত্রী।
তারা তাদের পুরস্কার এবং সার্টিকেটগুলো প্রদান করেছে।
ওএফএস।