শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪ | ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

অতিরিক্ত ভারে নড়বড়ে জাবি প্রশাসন

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) বিভিন্ন প্রশাসনিক পদ সাময়িক, চুক্তি ও ভারপ্রাপ্তদের দিয়েই নড়বড়ে অবস্থায় পরিচালিত হচ্ছে। অথচ বিশ্ববিদ্যালয় অ্যাক্ট-১৯৭৩ অনুযায়ী এ প্রতিষ্ঠানটির নির্বাহী ক্ষমতা প্রশাসনের হাতে ন্যস্ত। তবে দীর্ঘদিন ধরে ভারপ্রাপ্ত দায়িত্ব দিয়ে প্রশাসনিক কার্যক্রম পরিচালনায় যোগ্যরা বঞ্চিত হচ্ছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয় অ্যাক্টের ১২ এর ৬ ধারা অনুযায়ী, উপাচার্য প্রয়োজনে উপ-উপাচার্য ও কোষাধ্যক্ষ বাদে সব পদে অনধিক ছয় মাসের জন্য ভারপ্রাপ্ত হিসেবে প্রয়োজনীয় লোকবল নিয়োগ দিতে পারেন। তবে ছয় মাসের অধিক ভারপ্রাপ্ত দায়িত্ব দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক কার্যক্রম পরিচালিত হলেও প্রশাসন নিরব।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের গুরুত্বপূর্ণ ২০টি প্রশাসনিক পদে ভারপ্রাপ্ত প্রধান দিয়েই কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। এর মধ্যে ১৮টি পদে ভারপ্রাপ্ত হিসেবে নিয়োগপ্রাপ্তদের মেয়াদ (ছয় মাস) অনেক আগে পার হলেও স্বপদে বহাল রয়েছেন তারা।

বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারকে প্রশাসনিক কার্যক্রমের প্রাণ বলা হলেও জাবির রেজিস্ট্রার কার্যালয় গত চার বছর ধরে ভারপ্রাপ্ত প্রধান দিয়ে চলেছে। সর্বশেষ এ মাসে সাবেক ভারপ্রাপ্ত রেজিস্টার রহিমা কানিজকে এক বছরের চুক্তিতে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। তবে গত বছরের ৩০ অক্টোবর চাকরির মেয়াদ শেষ হলেও সেশন বেনিফিটের কারণ দেখিয়ে এ বছরের ২৯ জুন পর্যন্ত নিজ কর্মস্থলে কাজ করেছেন তিনি।

এ ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ও আ ফ ম কামালউদ্দিন হলের প্রভোস্ট আ স ম ফিরোজ উল হাসান, কম্পট্রোলার মো. মোসানুল কবীর, সমাজবিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক আকবার হোসেন, বিজনেস স্টাডিজ অনুষদের ডিন নীলাঞ্জন সাহা, আইন অনুষদের ডিন তাপস কুমার দাস, ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক মুহম্মদ নজরুল ইসলাম, আল বেরুনি হলের প্রভোস্ট মো. আশরাফুল আলম, প্রকৌশল অফিসের প্রধান আবদুস সালাম মো. শরীফ, চিকিৎসা কেন্দ্রের প্রধান মেডিকেল অফিসার ডা. মো. শামছুর রহমান, পরিকল্পনা ও উন্নয়ন অফিসের পরিচালক প্রকৌশলী নাসির উদ্দিন, জনসংযোগ অফিসের পরিচালক ড. মোহাম্মদ মহিউদ্দিন, শারীরিক শিক্ষা অফিসের পরিচালক বেগম নাছরীন, পরিবহন অফিসের শিক্ষক অধ্যাপক মুহাম্মদ ছায়েদুর রহমান, গ্রন্থাগার শিক্ষক অধ্যাপক এম শামীম কায়সার, বিজ্ঞান কারখানার শিক্ষক অধ্যাপক মো. সালাহউদ্দিন, আইসিটি সেলের শিক্ষক অধ্যাপক মোহাম্মদ শরীফ উদ্দিন ও অতিরিক্ত শিক্ষক অধ্যাপক মো. গোলাম মোয়াজ্জাম ভারপ্রাপ্ত হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।

এ ব্যাপারে দর্শন বিভাগের অধ্যাপক রায়হান রাইন বলেন, 'আমরা এ বিষয় নিয়ে আগেও কথা বলেছি যে এতগুলো ভারপ্রাপ্ত দিয়ে এতদিন কীভাবে চলে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। প্রশাসন এতগুলো ভারপ্রাপ্ত রাখেন যাতে ওই পদে যারা থাকেন তারা প্রশাসনের অধীনস্ত হয়েই থাকেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য এটা অবশ্যই ভাল নয়। বিশ্ববিদ্যালয় ঠিকঠাক চলার জন্য এতগুলো ভারপ্রাপ্ত রাখার কোনো মানে নেই। এখন সব ক্ষেত্রেই এরকম চলছে। মানে কোনো প্রশাসনই দায়িত্ব কাজগুলো করে না। দায়িত্ব নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভালোর জন্য বা বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়নের জন্য এ রকম পদক্ষেপ নিতে চান না। এটা খুবই দুঃখজনক। যেমন আগের প্রশাসন তাড়াহুড়ো করে কোনো মাস্টারপ্ল্যান ছাড়া, নগর পরিকল্পনাবিদদের অংশগ্রহণ ছাড়া যেখানে সেখানে ভবন নির্মাণ করে গেছেন। বর্তমান প্রশাসন আগের প্রশাসনের মতই তাড়াহুড়ো করে নিজের পছন্দমত জায়গায় গাছপালা কেটে ভবন নির্মাণ করছেন।'

ভারপ্রাপ্ত শিক্ষকরা তাদের মেয়াদ শেষ হওয়ার পরও চুপ থাকেন এটা কি তাদের নৈতিকতার সঙ্গে যায়? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, 'এটা তো কোনো দিক দিয়ে কাম্য নয়। হোক সেটা আইনগত দিক বা নৈতিকতার দিক। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন নিজের স্বার্থ হাসিলের জন্য এ রকম নিয়োগ দিয়ে থাকেন। যেন তারা তাদের অধীনস্ত থাকে, তাদের পকেটে থাকেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনস্ত হয়ে থেকে কাজ করার জন্য ভারপ্রাপ্ত কিছু বলেন না বলে আমার মনে হয়।'

তিনি বলেন, 'সব বিষয় নিয়ে শিক্ষার্থীরা আন্দোলন করবে এটা তো কাম্য নয়। কিন্তু এটা হচ্ছে না। দেখা যাচ্ছে সব বিষয় নিয়েই শিক্ষার্থীদের আন্দোলন করতে হচ্ছে।'

এ ব্যাপারে ছাত্র ইউনিয়ন জাবি সংসদের সভাপতি রাকিবুল রনি বলেন, 'উপাচার্য কোনো পদে ভারপ্রাপ্ত কাউকে বসালেও তা অনধিক ৬ মাসের জন্য হওয়ার কথা। অথচ জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় দিনের পর দিন, বছরের পর বছর ভারপ্রাপ্ত দিয়ে চলছে। এতে দুইটা ঘটনা ঘটে। এক প্রশাসনিক স্থবিরতা, যার সবচেয়ে বড় ভুক্তভোগী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা আর অন্যটি হলো পদ কিংবা ক্ষমতার বিনিময়ে উপাচার্যের প্রতি সীমাহীন আনুগত্য। বর্তমান উপাচার্যও সাময়িক সময়ের জন্য নিয়োগ পেয়েছেন।'

তিনি বলেন, 'উপাচার্য, ডিন, সিনেট, সিন্ডিকেট সকল পর্ষদের নির্বাচনের চর্চা অব্যাহত থাকলে স্থবিরতা, স্বেচ্ছাচারিতার পরিবর্তে কিছুটা হলেও গণতান্ত্রিকতা এবং নিষ্ঠার চর্চা আমরা দেখতে পেতাম। সেসব চর্চা তো নেই, উল্টো পুরো বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের বিভিন্ন স্থর ভারপ্রাপ্তের ভারে ধুঁকছে দীর্ঘদিন ধরে।'

এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. নূরুল আলমকে একাধিকবার মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

এদিকে গত ২ মার্চ সাবেক উপাচার্যের দায়িত্বের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক মো. নূরুল আলমকে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক অফিস আদেশে উপাচার্যের রুটিন দায়িত্ব দেওয়া হয়। পরবর্তীতে ১৭ এপ্রিল শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক প্রজ্ঞাপনে নূরুল আলমকেই বিশ্ববিদ্যালয়ের সাময়িক উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়।

এসজি/

Header Ad

গোপনে দুইজনকে বিয়ে, কাউকেই অধিকার বঞ্চিত করেননি জান্নাতুল

ছবি: সংগৃহীত

একইসঙ্গে দুই স্বামীর সঙ্গেই সংসার করছেন জান্নাতুল ফেরদৌস নামের এক নারী। স্ত্রীর অধিকার থেকে বঞ্চিত করেননি দুই স্বামীর কাউকেই। গোপনে মন জয় করে চলছিলেন দুই স্বামীর। প্রায় দুই বছর দুই স্বামীর সংসার করার পর অবশেষে বিষয়টি জানাজানি হলে এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।

চার বছরের প্রেমের সম্পর্কের পর ২০২২ সালের ২৭ অক্টোবর নোটারি পাবলিকের কার্যালয়ে হলফনামার মাধ্যমে গোপনে বিয়ে করেন রাজবাড়ী সদরের আলীপুর ইউনিয়নের ইন্দ্রনারায়ণপুর গ্রামের আবু হানিফ শেখের ছেলে ইউটিউবার সাগর শেখ ও আলীপুর গ্রামের নুরুল ইসলাম ভূঁইয়ার মেয়ে জান্নাতুল ফেরদৌস।

বাবা, মা ও ভাই প্রবাসে থাকায় বাবার বাড়িতে একাই বসবাস করতেন জান্নাতুল। সেখানে যাতায়াত করতেন স্বামী সাগর শেখ। সংসার জীবন ভালোই চলছিল এ দম্পতির। হঠাৎ জান্নাতুলের বাবা প্রবাস থেকে দেশে ফেরায় শ্বশুরবাড়ি যাতায়াত বন্ধ হয়ে যায় সাগরের। এরই মধ্যে প্রথম বিয়ের কথা গোপন রেখে পরিবারের সিদ্ধান্তে অন্য এক যুবককে দ্বিতীয় বিয়ে করেন জান্নাতুল।

এদিকে স্ত্রীকে আনুষ্ঠানিকভাবে নিজের বাড়িতে তুলে না নেয়ায় শ্বশুরবাড়ি গিয়ে স্ত্রীর সঙ্গে নিয়মিত সময় কাটান জান্নাতুলের দ্বিতীয় স্বামী। প্রথম স্বামী সাগরের দাবি, প্রায় দুই বছর ধরে তার সঙ্গেও স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক ঠিক রেখে চলছিলেন জান্নাতুল।

স্ত্রীর পরিবার তাকে মেনে না নেয়ায় তার বোনের বাসাসহ বিভিন্ন স্থানে একান্তে সময় কাটাতেন স্বামী-স্ত্রী। চলতি মাসের ২ নভেম্বর তারা একসঙ্গে নিজেদের দ্বিতীয় বিবাহবার্ষিকী পালন করেছেন বলেও দাবি করেন সাগর।

তবে দুই সপ্তাহ আগে স্ত্রীর সঙ্গে দ্বিতীয় স্বামীর ঘনিষ্ঠতার বিষয়ে জানতে পারেন সাগর। আর এতেই বাঁধে বিপত্তি। তার সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করে দেন জান্নাতুল। এখন দ্বিতীয় স্বামী নিয়েই সংসার করতে আগ্রহী তিনি। বাধ্য হয়ে স্ত্রীকে ফিরে পেতে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদে অভিযোগ দায়েরের পাশাপাশি আদালতে মামলা করেছেন সাগর।

সাগর শেখ বলেন, জান্নাতুল ও আমার বিয়ের বিষয়টি জান্নাতুলের মা ও বোন জানতো। বিয়ের পর আমাদের সংসার জীবন ভালোই কাটছিল। তবে হঠাৎ করে জান্নাতুলের বাবা প্রবাস থেকে দেশে ফেরায় তাদের বাড়িতে আমার যাতায়াত বন্ধ হয়ে যায়। আমাদের বিয়ের চার মাসের মাথায় আমি ভিডিও কন্টেন্ট তৈরির কাজে কয়েকদিনের জন্য রাজবাড়ীর বাইরে যাই।

কাজ থেকে এসে শুনি আমার স্ত্রী জান্নাতুল অন্য এক ছেলেকে বিয়ে করেছে। আমি আমার স্ত্রীকে প্রশ্ন করলে সে বলে, ‘পরিবারের চাপে বিয়ে করেছি। ওই ছেলের সঙ্গে আমার কোন সম্পর্ক হয়নি। আমি তোমার স্ত্রী আছি, তোমারই থাকবো। আমার আম্মু দেশে আসলে আমি তোমার কাছে চলে আসবো।’

সাগর বলেন, ‘আমি জান্নাতুলদের বাড়ি যাতায়াত করতে না পারার কারণে বিভিন্ন সময় আমরা রাজবাড়ী শহরে আমার বোনের বাসায় ঘনিষ্ঠ সময় কাটাতাম। ওর কলেজে আনা-নেয়াসহ সবকিছু আমিই করতাম। এমনকি গত ২ নভেম্বরও আমরা আমার বোনের বাসায় আমাদের দ্বিতীয় বিবাহ বার্ষিকী পালন করেছি।

তবে বিবাহ বার্ষিকী পালনের দুদিন পরে আমি জানতে পারি জান্নাতুলের সঙ্গে ওই ছেলের (দ্বিতীয় স্বামীর) ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক চলছে। ওই ছেলে নিয়মিত জান্নাতুলের বাবার বাড়িতে এসে তার সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সময় কাটাচ্ছে। এ বিষয়ে আমি জান্নাতুলকে প্রশ্ন করলে সে আমাকে গালাগালি করে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়। এক পর্যায়ে সে আমার সঙ্গে সংসার করবে না বলেও জানায়।’

তিনি বলেন, ‘সম্প্রতি জান্নাতুলের মা প্রবাস থেকে দেশে ফিরেছে। তিনিও এখন আমাকে মেয়ের জামাই হিসেবে অস্বীকার করছেন। অথচ তার মেয়ের সঙ্গে আমার প্রেম থেকে শুরু করে বিয়ে পর্যন্ত সবকিছুই তিনি জানতেন।

এখন বাধ্য হয়ে আমি আমার স্ত্রীকে ফিরে পেতে আলীপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের কাছে গত ১১ নভেম্বর লিখিত অভিযোগ করেছি। এছাড়া ১৭ নভেম্বর রাজবাড়ীর বিজ্ঞ ১নং আমলি আদালতে মামলা করেছি।’

সাগর আরও বলেন, ‘আমাকে ডিভোর্স না দিয়ে আমার স্ত্রী অন্য আরেকজনকে বিয়ে করে আমার সঙ্গে প্রতারণা করেছে। সে আমাকেও ম্যানেজ করে চলেছে, একইভাবে তার দ্বিতীয় স্বামীকেও ম্যানেজ করে চলেছে।

এটা আইন ও ধর্মীয় দুই দিক থেকেই অপরাধ। এছাড়া আমি এ পর্যন্ত আমার স্ত্রীর পেছনে ২৫ থেকে ৩০ লাখ টাকা ব্যয় করেছি। তারপরও আমি আমার স্ত্রীকে ফেরত চাই। তাকে আমি আমার জীবনের চেয়েও বেশি ভালোবাসি।’

এদিকে, বিষয়টি নিয়ে ক্যামেরার সামনে কথা বলতে রাজী হননি জান্নাতুলের দ্বিতীয় স্বামী। তবে তার দাবি, জান্নাতুলের সঙ্গে সাগরের প্রেমের সম্পর্ক ছিল বলে তিনি জানতেন। সাগরের সঙ্গে বিয়ের বিষয়টি তিনি জানতেন না।

জান্নতুলের দ্বিতীয় স্বামীর বাবা বলেন, ‘কোন এক সূত্রে আমার শ্বশুর জান্নাতুলদের বাড়িতে বেড়াতে গিয়ে তাকে পছন্দ করে। পরে আমি গিয়ে তার বাবার কাছে বিয়ের প্রস্তাব দিলে বিয়ের দিন ধার্য হয়। বিয়ের আগের দিন সাগর নামে এক ছেলে আমার ছেলেকে ফোন করে বলে জান্নাতুলের সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক আছে।

সে জান্নাতুলের সঙ্গে নিজের একটি ছবিও আমার ছেলেকে পাঠায়। এরপর আমি ওই এলাকায় আমার আত্মীয়দের কাছে খোঁজ নিয়ে জানতে পারি জান্নাতুলের সঙ্গে সাগরের কোন সম্পর্ক ছিল না। এছাড়া জান্নাতুলকেও আমি সরাসরি প্রশ্ন করলে সেও সম্পর্কের বিষয়টি অস্বীকার করে।

পরে ঘরোয়া আয়োজনে জান্নাতুলের সঙ্গে আমার ছেলের বিয়ে হয়। এখন সাগর নামে ছেলেটি জান্নাতুলকে তার স্ত্রী হিসেবে দাবি করছে। আমি যতদূর জেনেছি সাগরের স্ত্রী ও সন্তান আছে। এখন বিষয়টি আইনগতভাবেই সমাধান হবে।

আর জান্নাতুল ফেরদৌসের সঙ্গে কথা বলতে তার বাবার বাড়িতে গেলে ভেতরে ঢোকার অনুমতি মেলেনি।’

বাইরে দাঁড় করিয়ে রেখে তার মা হাচিনা বেগম বলেন, ‘সাগরের সঙ্গে আমার মেয়ের বিয়ে হয়েছিল৷ তবে বিয়ের দুই মাসের মাথায় তাদের ডিভোর্স হয়ে যায়। আমার মেয়ে তো ছোট বুঝে নাই, যে কারণে সেসময় ওরা ডিভোর্সের কাগজ ছিঁড়ে ফেলেছে। এর ৪/৫ মাস পরে আমার মেয়ের আবার বিয়ে হয়েছে। সাগর আমার মেয়েকে চাপে ফেলে এতোদিন তার সঙ্গে সময় কাটাতে বাধ্য করেছে।’

আলীপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আবু বকর সিদ্দিক জানান, ‘সাগর ও জান্নাতুলের বিবাহ বিচ্ছেদ হলে তার নোটিশের একটি কপি ইউনিয়ন পরিষদে আসার কথা। এরকম কোন কপি কখনো পাননি তারা।’

তিনি বলেন, ‘সাগর আমার ইউনিয়ন পরিষদে অভিযোগ করেছে। আমিও খোঁজ নিয়ে জানতে পেরেছি সাগর জান্নাতুলের প্রথম স্বামী। সে সাগরকে তালাক না দিয়েই বিয়ের চার মাসের মাথায় অন্য এক ছেলেকে বিয়ে করে। প্রায় দুই বছর সে চালাকি করে দুই স্বামীর সঙ্গেই সংসার করেছে। সাগরের কাছ থেকে জান্নাতুল অনেক টাকা-পয়সা খেয়েছে বলেও আমি জানতে পেরেছি।’

আবু বক্কার বলেন, ‘সাগরের অভিযোগের ভিত্তিতে আমি জান্নাতুলের বাবাকে নোটিশের মাধ্যমে ইউনিয়ন পরিষদে ডাকি। তবে নোটিশ পেয়ে তিনি তার ছোটভাই ও তাদের এলাকার ইউপি সদস্য আবুল কালামকে সঙ্গে নিয়ে আমার বাড়িতে এসে বলেন, আমি যেন পরিষদে বসে বিষয়টি সমাধান করে দেই। তবে এর ১/২ দিন পরে তিনি জানান, এ বিষয়ে তারা বসতে চান না।

আইনগতভাবে তারা বিষয়টি সমাধান করতে চান। পরে আবার তারা বসতে সম্মত হলে জান্নাতুল ও তার বাবা এবং তাদের এলাকার ইউপি সদস্য আবুল কালামসহ পরিষদের অন্য সদস্যদের নিয়ে বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) সন্ধ্যায় ইউনিয়ন পরিষদে বসেছিলাম। সাগরও সেখানে ছিল। তবে সেখানে জান্নাতুল বলে দিয়েছে সে কোনভাবেই সাগরের সঙ্গে ঘর সংসার করবে না।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের পুরুষ শাসিত সমাজে নারীরা নির্যাতিত হয়। কিন্তু ছেলেরা যে কতোটুকু নির্যাতিত হয় তা এই সম্পর্কের জের দেখলে বোঝা যায়। আমাদের সমাজে ছেলেরা আরও বেশি নির্যাতিত হচ্ছে। সেটা নীরবে নিভৃতে ছেলেরা সহ্য করে যাচ্ছে। আমি আশা করবো আপনারা সাংবাদিক ভাইয়েরা বিষয়টি তুলে ধরবেন।

আপনাদের সংবাদের মাধ্যমে মানুষ যাতে সচেতন হতে পারে। আজকে আমার ইউনিয়নে এমন ঘটনা ঘটেছে। আর কোন ইউনিয়নে যেন এমন ঘটনা কোনদিন না ঘটে।’

Header Ad

শহীদ আব্দুল্লাহর বাড়িতে জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য মোবারক হোসেন

ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

২৪ এর গনঅভূ্থানে ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম যোদ্ধা, সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের তৃতীয় বর্ষের মেধাবী শিক্ষার্থী, শহীদ আব্দুল্লাহর বাড়িতে যান বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য মোবারক হোসেন।

এ সময় মোবাইল ফোনে লাউডস্পিকারে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা.শফিকুর রহমান বলেন, আব্দুল্লাহ দেশের জন্য মানুষের জন্য মানবতার কল্যাণের জন্য জীবনকে উৎস্বর্গ করে আল্লাহর দরবারে চলে গেছেন, আল্লাহ তাকে শহীদ হিসাবে কবুল করুন। শহীদরা মরে না। তারা আল্লাহর জীম্মায় জীবন্ত থাকে। এ সময় শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করেন তিনি।

শনিবার (২৩ নভেম্বর) দুপুর ১২ টার দিকে যশোরের বেনাপোল পোর্ট থানার বড় আঁচড়া গ্রামে বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য মোবারক হোসেন আব্দুল্লাহর বাড়িতে গিয়ে শোকসন্তপ্ত পরিবারের খোঁজ খবর নেন,কবর জিয়ারত করেন এবং তার রুহের মাগফেরাত কামনা করে দোয়া ও মোনাজাত করেন।

এর আগে তিনি নাভারণ দারুল আমান ট্রাষ্টে ওলামা সম্মেলনে যোগদান করেন। পরে ২০১৬ সালে গুম হওয়া ইসলামি ছাত্র শিবিরে নেতা রেজোয়ানের বাড়িতে যান এবং খোঁজ খবর ও সমবেদনা জানান।

এসময় তিনি জানান, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে মৃত্যু বরনকারী সকলে ন্যায় বিচার পাবেন বলে পরিবারের সদস্যদের সান্তনা দেন। এবং গনঅভূ্থানে নিহত সকল পরিবারের সাথে বাংলাদেশ জামায়াত ইসলাম আছে থাকবে।

এসময় উপস্থিত ছিলেন, কেন্দ্রীয় কর্ম পরিষদ সদস্য মাওলানা আজিজুর রহমান, যশোরের জেলা আমীর অধ্যক্ষ মাওলানা গোলাম রসূল, সাবেক জেলা আমীর মাওলানা হাবীবুর রহমান, জেলা জামায়াতের নেতা মাওলানা আবু জাফর, মাওঃ শিহাব উদ্দিন শার্শা থানা আমীর রেজাউল ইসলাম, সেক্রেটারী মাওলানা ইউসুফ আলী ও ঝিকরগাছা থানা আমীর মাওলানা আসাদুল আলম প্রমূখ।

Header Ad

বিরামপুরে আদিবাসী নারীর লাশ উদ্ধার

ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

দিনাজপুরের বিরামপুরে বিশনি পাহান (৫৫) নামের এক আদিবাসী নারীর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

শনিবার (২৩ নভেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টায় উপজেলার কাটলা ইউনিয়নের ময়না মোড় এলাকার ধানক্ষেত থেকে ওই নারীর হাতবাঁধা লাশ উদ্ধার করা হয়। নিহত বিশনি পাহান উপজেলার কাটলা ইউনিয়নের বেণুপুর গ্রামের সাধন পাহানের মেয়ে।

নিহতের ভাই চরকা পাহান বলেন, আমার ছোট বোনের স্বামী বিশনি পাহানকে ছেড়ে চলে গেছেন। সে প্রতিরাতেই নেশা করতো। বাবা মারা যাওয়ার পর থেকেই আমার বাড়িতে থাকতো আমার বোন। আমার বোন এলাকায় মানুষের জমিতে কৃষি কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করতো। শুক্রবার বিকেলে এলাকার এক ব্যক্তির জমিতে ধান কাটার কাজ শেষ করে আর বাড়িতে ফেরেননি। রাতে অনেক খোঁজাখুঁজির পরও তাকে কোথাও পাওয়া যায়নি। শনিবার সকালে ধানক্ষেতে হাতবাঁধা অবস্থায় তার লাশ পাওয়া যায়।

বিরামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমতাজুল হক জানান, এলাকাবাসীর দেওয়া খবরে ঘটনাস্থল থেকে আদিবাসী এক নারীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তবে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা যাচ্ছে তাকে কে বা কাহারা হত্যা করেছে। তদন্ত করলেই প্রকৃত ঘটনা বেরিয়ে আসবে।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

গোপনে দুইজনকে বিয়ে, কাউকেই অধিকার বঞ্চিত করেননি জান্নাতুল
শহীদ আব্দুল্লাহর বাড়িতে জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য মোবারক হোসেন
বিরামপুরে আদিবাসী নারীর লাশ উদ্ধার
বিএনপির কাঁধে অনেক দ্বায়িত্ব: তারেক রহমান
'জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় নির্বাচন হওয়া উচিত'- তোফায়েল আহমেদ
৩ মাসে জ্বালানি খাতে সাশ্রয় হয়েছে ৩৭০ কোটি টাকা : জ্বালানি উপদেষ্টা
জুটি বাধলেন মিঠুন চক্রবর্তী-আফসানা মিমি
দেশ ও মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠায় দ্রুত নির্বাচনের কোনো বিকল্প নেই : তারেক রহমান
২৪ ঘণ্টার মধ্যে বঙ্গোপসাগরে লঘুচাপের আশঙ্কা
অক্টোবরে সড়কে প্রাণ গেছে ৪৭৫ জনের
গায়ানায় দলের সঙ্গে যোগ দিলেন সাকিব
আইপিএল নিলামের আগেই নিষিদ্ধ হলেন ভারতের ২ ক্রিকেটার
গাজীপুরে পিকনিকের বাসে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ৩ শিক্ষার্থীর মৃত্যু
কবে বিয়ে করবেন জানালেন তামান্না ভাটিয়া
পঞ্চগড়ে ৫০০ টাকায় সন্তান বিক্রি, অতঃপর যা ঘটল...
অ্যান্টিগায় প্রথম দিন শেষে স্বস্তিতে টাইগাররা
সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারালেন পরীমণির প্রথম স্বামী
বিচারের আগে আ.লীগের মাঠে থাকার সুযোগ নেই: উপদেষ্টা নাহিদ
মাকে হত্যার পর থানায় হাজির ছেলে
৮ ক্রিকেটারসহ ৯ জনকে নিষিদ্ধ করলো বিসিবি