ই-নথি ব্যবস্থাপনার যুগে পাবনার বিশ্ববিদ্যালয়
লেখা ও ছবি : মো. বাবুল হোসেন
‘ই-নথি ব্যবস্থাপনা’য় কর্মকর্তাদের নিয়ে একটি বিশেষ কর্মশালা শুরু হয়েছে আজ, পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে। সকাল ৯টায় উদ্বোধন করেছেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. হাফিজা খাতুন। দুই দিনের কর্মশালাটি শেষ হবে আগামীকাল রবিবার।
কাগজবিহীন করা বা তথ্য ভান্ডারকে কম্পিউটারাইজ করা এবং ব্যবহারই হলো ই-নথি। যে অফিসে এভাবে তাদের কার্যক্রম হয়, সেখানে ই-নথিতে অফিস চলে। এভাবে কাজ করাকে বলে ‘ই-নথি ব্যবস্থাপনা’। যেকোনো অফিসের সময় বাঁচে, কাজ কমে, মুখস্থ ও মনোযোগ কম দিতে হয় এভাবে কাজ করলে। সময়ের কাজ সময়ে খুব তাড়াতাড়ি করা হয়। বাংলাদেশ সরকারের অ্যাকসেস টু ইনফরমেশন বা এটুআই ই-নথি ব্যবস্থাপনা ২০১৬ সাল থেকে বাস্তবায়ন করছেন।
নিজের বিশ্ববিদ্যালয়ে কম্পিউটারাইজ ব্যবস্থাপনা প্রশিক্ষণ কর্মশালাটিতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এশিয়াটিক সোসাইটি, বাংলাদেশের নির্বাচিত একমাত্র নারী সহ-সভাপতি ও কৃতি গবেষক উপাচার্য অধ্যাপক ড. হাফিজা খাতুন বলেছেন, “ই নথি’র মাধ্যমে যেকোনো দলিল, গবেষণা উপাত্ত, নথিপত্র, তথ্য ও তথ্যভান্ডার কম্পিউটার, ল্যাপটপ, স্মার্টফোনের এক স্থান থেকে অন্য জায়গায় সঙ্গে, সঙ্গে অত্যন্ত সহজে স্থানান্তর করা যায়। খুব সহজে কার্যাদি সম্পন্ন করা হয়। ফলে ই-নথি ব্যবস্থাপনা অত্যন্ত জরুরী। এর গোপনীয়তা ও রক্ষণ অত্যন্ত মানসম্পন্ন।’
বাংলাদেশের অন্যতম বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের আধুনিক কালের কর্মকর্তাদের তাদের প্রথম নারী উপাচার্য বলেছেন, ‘নতুন ও ভালো যেকোনো কিছুকে আমাদের সবাইকেই গ্রহণ করতে হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন হিসেবে নিজের এবং ক্যাম্পাসের অর্জিত জ্ঞান সবার মধ্যে বিতরণ করতে হবে। সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে নিজেদের প্রশিক্ষিত করার জন্য উদ্যোগী হতে হবে। এই ধরণের প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণের মানসিকতা থাকতে হবে। যেকোনো বিশ্ববিদ্যালয়কে এগিয়ে নিতে হলে সম্মিলিতভাবে কাজ হয়। কাজের মাধ্যমে আমাদের অন্যদের কাছে রোল মডেল হতে হবে। আপনারা তেমনটি হবেন বলে আমি আশাবাদী।’
বিশেষ অতিথি উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. এস. এম. মোস্তফা কামাল খান বলেছেন, “ই-নথি বৈপ্লবিকভাবে প্রবেশ করেছে তথ্য দুনিয়ায়। এই পরিবর্তনের সঙ্গেও খাপ খাইয়ে নেওয়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর ধর্ম। আমাদেরও খাপ খাইয়ে চলতে হবে। তারুণ্যের এই বিশ্ববিদ্যালয় আমাদের সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় এগিয়ে যায়। যেকোনো প্রতিষ্ঠানকে নিজের মনে ধারণ করতে হয়। ভালোবাসতে হয়। আমাদের বেতন-ভাতা-সুবিধা দেয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা হিসেবে সামাজিক মর্যাদা বাড়ায়। দায়িত্ব ও কর্তব্য নিয়ে কাজ করতে হয় বলে নতুন ই-নথি ব্যবস্থাপনা খুব জরুরী।”
পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের আইকিউএসি (কোয়ালিটি অ্যাসুরেন্স সেল)’র পরিচালক অধ্যাপক ড. খায়রুল আলম ই-নথি ব্যবস্থাপনায় সভাপতি। অতিথি সিএসই বিভাগের চেয়ারম্যান ড. মো. আবদুর রহিম।
প্রধান প্রশিক্ষক বা ‘রিসোর্স পারসন’ বাংলাদেশ লোক প্রশাসন প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের রিসার্চ অ্যান্ড কনসালটেন্সি বিভাগের প্রধান ড. মোহাম্মদ জিয়াউল ইসলাম।
প্রশিক্ষণে মোট ৩০ জন অফিসার অংশগ্রহণ করছেন বলে সবশেষে জানিয়েছেন পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ ও প্রকাশনা দপ্তরের কর্মকর্তা মো. বাবুল হোসেন। তিনি আরো লিখেছেন, তাদের প্রশিক্ষণ কর্মশালা গ্রহণ করা হচ্ছে কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ (সিএসই)’র কম্পিউটার ল্যাব বা গবেষণাগারে।
ওএস।