স্মার্ট আইডি কার্ড শুরু করছে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়
লেখা ও ছবি : চৌধুরী মাসাবি, প্রতিনিধি, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়
প্রতিষ্ঠাবাষিকী তেমন ধুমধামের সঙ্গে করতে পারেননি টাকার অভাবে। পরে ড. মুহম্মদ জাফর ইকবালকে দাওয়াত করে এনে সে ক্ষতি পুষিয়ে দিয়েছেন বাংলাদেশের অন্যতম সরকারী-কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ. এফ. এম. আবদুল মঈন।
এবার তার প্রশাসন অসাধারণ উদ্যোগ নিয়েছে। আস্তে, আস্তে বাংলাদেশের প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়েই চালু হয়ে যাবে তাদের ‘স্মার্ট আইডি কাড’ বা ছাত্র, ছাত্র, শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারীদের ‘ কম্পিউটারাইজড পরিচয়পত্র’।
প্রযুক্তিবান্ধব, কম্পিউটারনিভর এই পরিচয়পত্রগুলোর মাধ্যমে ছাত্র, ছাত্রীদের জীবন ও কর্মের নিরাপত্তা এবং উন্নয়ন শতভাগ হবে। পরিচয়পত্রের রিপোর্টে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে ঢাকাপ্রকাশ ২৪.কমের প্রতিনিধি ও অন্যতম ছাত্র চৌধুরী মাসাবিকে জানিয়েছেন তার শিক্ষকরা-‘১৬ বছর আমাদের বয়স। খুব দ্রুতই আমরা এই স্মার্ট আইডি কার্ড দেব। প্রতিটি কার্ডে আগের মতো ছাত্র, ছাত্রীদের রোলনম্বর, সবার পরিচয় এবং আলাদা কার্ড নাম্বার কম্পিউটারে থাকবে। ফলে নকল বা হারানোর ভয় কোনো নেই। পাঞ্চ করে মূল ফটক দিয়ে প্রবেশ করতে হবে। এর বাদেও দফায়, দফায় নানা সুবিধা দেবে কার্ডটি। কিউআর কোড থাকবে বলে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের ই-মেইল, ফ্যাক্স, গবেষণা, ডিজিটাল আর্কাইভ, ওয়েব সাইট প্রবেশ সুবিধা লাভ করতে পারবেন সবাই। কম্পিউটার প্রযুক্তিতে যাত্রা করলাম আমরা।’
এই দাবী পূরণে খুব খুশি রুমা আক্তার। এই ছাত্রীর ভাষ্য, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো উচ্চতর শিক্ষা ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানে কাগজের আইডি কার্ড গ্রহণযোগ্য হতে পারে না। ফলে আমাদের অনেক দিনের দাবী পূরণ হলো।’
৫ জুন বিশ্ব পরিবেশ দিবসে অনন্য ঘোষণাটি প্রদান করে ও প্রথম দফায় ছাত্র, ছাত্রীদের স্মার্ট আইডি কার্ড প্রস্তুত শুরু করতে নির্দেশ দিয়েছেন কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ. এফ. এম. আবদুল মঈন। তিনি কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. আসাদুজ্জামানকে আহবায়ক করে ৭ সদস্যের স্মার্ট কার্ড নির্মাণ ও বিতরণ কমিটি গড়ে দিয়েছেন।
কমিটির আহবায়ক জানিয়েছেন, ‘কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারটি হলের প্রতিটির নোটিশ বোর্ডে এর মধ্যে টাঙানো হয়েছে-প্রতি ছাত্র, ছাত্রীকে তাদের হল অফিসে ১৫০ টাকা ফি প্রদান করে স্মার্ট আইডি কার্ডের আবেদন ফরম পূরণ করতে হবে।’
ভাষার জন্য প্রথম দাবী তোলা সংসদ সদস্য শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্তের নামে প্রতিষ্ঠিত হলের প্রভোষ্ট অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মিজানুর রহমান তার ছাত্র, সাংবাদিককে জানিয়েছেন, ‘আমরা ১৫তম আবর্তন থেকে স্মার্ট কার্ড চালু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। তবে এই শিক্ষাবষের অনেকে তাদের হলের সংযুক্তি জানে না বলে আবেদন করতে পারেনি। ফলে এখন থেকে যেকোনো বর্ষের যেকোনো ছাত্র, ছাত্রী যখন, তখন আবেদন করতে পারছে।’
তিনি জানিয়েছেন, ‘আগের আইডি কাডে মেয়াদ থাকলেও নতুন কার্ড নেবার সময় পুরোনোটি জমা দিতে হবে।’
স্মাট আইডি কার্ড কমিটির সদস্য সচিব এমদাদুল হক জানিয়েছেন, ‘অত্যন্ত উন্নত ও প্রযুক্তিবান্ধব স্মার্ট আইডি কার্ড প্রদান শুরু করবে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়।’
কমিটির প্রধান অধ্যাপক ড. মো. আসাদুজ্জামান তার ছাত্রকে জানিয়েছেন, ‘১৫ জুনের মধ্যে যারা আবেদন করবে, তারা প্রথমে পাবে। এর মধ্যে শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারীদের দেব। এরপর আবার আমরা ওদের জন্য তারিখ জানাব।’
ওএস।