আম বিক্রি করছেন বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের অফিসার
লেখা ও ছবি : ইসরুল কায়েস, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি
অফিস না করে আম বিক্রি করার গুরুতর অভিযোগ আছে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের শারীরিক শিক্ষা দপ্তরের ক্রীড়া প্রশিক্ষক মো. নুর ইসলামের বিপক্ষে।
ঢাকাপ্রকাশ ২৪.কমের বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক ও অন্যতম ছাত্র ইমরুল কায়েস লিখেছেন, “আজ ৮ জুন, বুধবার দুপুর ১২ টায় শারীরিক শিক্ষা দপ্তরের কর্মকর্তা নুর ইসলামকে পাশের ভোলা রোডের ফুটপাতে দোকান সাজিয়ে আম বিক্রি করতে দেখা গিয়েছে। তিনি ব্যানারও বানিয়েছেন ‘পরিচালনায়- মো. নুর ইসলাম’।”
প্রতি বছরই তিনি কর্মকর্তা অফিস ফাঁকি দিয়ে পাইকারি ও খুচরা আমের ব্যবসা করেন। তার আম বিক্রি ওপেন সিক্রেট।
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সবাই জানলেও কেউ তার বিপক্ষে লজ্জ্বায় মুখ খোলেননি। তবে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক কর্মকর্তা-কর্মচারী তার আমের ক্রেতা হয়েছেন।
তার এই ব্যবসা কেন্দ্রের অন্যতম প্রত্যক্ষদর্শী দশনের ছাত্র নাঈম ইসলাম বলেছেন, ‘বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন কর্মকর্তা অফিস না করে, টাকার লোভে ফুটপাতে বসে আম বিক্রি করবেন, কোনোভাবেই শোভনীয় নয়। দেখলে আমাদেরই মাথা নিচু হয়ে যায়।’
আম কেনার কথা বলে ক্রেতা সেজে শারিরীক শিক্ষা দপ্তরের প্রশিক্ষক নুর ইসলামের সঙ্গে এই প্রতিবেদক যোগাযোগ করেছেন। তিনি আমের বিষয়ে খুব উৎসাহী, ‘আমার বাড়ি চাঁপাইনবাবগঞ্জে। নিজস্ব আমের বাগান আছে। সেখান আম এনে পাইকারি ও খুচরা বিক্রি করি।’
এরপর বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাস ও অফিস চলার সময় আম বিক্রি করেন কীভাবে? তিনি বাধ্য হয়ে ফোনটি রেখে দেন।
এই অভিযোগ নিয়ে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের শারীরিক শিক্ষা দপ্তরের পরিচালক রিফাত মাহমুদের সঙ্গে কথা বলেন এই প্রতিনিধি। তিনি উত্তর দিয়েছেন, ‘আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন কর্মকর্তা আম বিক্রি করবে, আসলে লজ্জাজনক। কাম্য নয়। তাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাবমূর্তি নষ্ট হয়।’
তিনি বলেছেন, ‘পরিচালক হওয়ার আগে থেকে তার আম বিক্রির কথা জানতাম। আজকের অফিস চলাকালীন সময়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেতরে ও বাইরে এই ধরণের কোনো কার্যক্রমের সঙ্গে সে যাতে যুক্ত না হয়, সেজন্য কঠোরভাবে নিষেধ করেছি।’
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের শারীরিক শিক্ষা দপ্তরের পরিচালক বলেছেন, ‘এরপর কোনো লিখিত অভিযোগ পেলেও বিশ্ববিদ্যালয় অধ্যাদেশ অনুসারে নুর ইসলামের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
ওএস।