ক্লাসগুলো ভালোভাবে করার কোনো বিকল্প নেই বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে : ড. শিরীণ আখতার
লেখা ও ছবি : জুনায়েদ খান, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের নামকরা ও অত্যন্ত প্রয়োজনীয় ‘ইনস্টিটিউট অব মেরিন সায়েন্সেস অ্যান্ড ফিশারিজ’। অনুষদের তিনটি বিভাগ আছে। মেরিন সায়েন্সেস, ওশানোগ্রাফি এবং ফিশারিজ। তিন বিভাগ মিলে পূর্ণাঙ্গ অনুষদ। তাদের এই শিক্ষাবর্ষের প্রথম বর্ষের ছাত্র, ছাত্রীদের বরণ করে নিয়েছে।
গতকাল নবীনবরণ, আলোচনাসভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়েছে।
সকাল ১১টা থেকে নতুন তৈরি গ্যালারিতে তারা তাদের ছাত্র, ছাত্রীদের বরণ করেছেন।
প্রধান অতিথি হিসেবে অংশগ্রহণ করেছেন বাংলার কৃতি অধ্যাপক, রোকেয়া ও নজরুল পদকজয়ী এবং চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম নারী উপাচার্য অধ্যাপক ড. শিরীণ আখতার।
বিশেষ অতিথি ছিলেন অ্যাকাডেমিক উপ-উপাচার্য রসায়নের বিখ্যাত অধ্যাপক বেনু কুমার দে।
সভাপতি ছিলেন ‘ইনস্টিটিউট অব মেরিন সায়েন্সেস অ্যান্ড ফিশারিজ’র ডিন এবং নবীনবরনানুষ্ঠান উদযাপন কমিটির আহবায়ক অধ্যাপক ড. মো. শফিকুল ইসলাম।
আরো বক্তব্য দিয়েছেন সমাজ বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক সিরাজ-উদ-দৌল্লাহ ও প্রক্টর অধ্যাপক ড. রবিউল হাসান ভূঁইয়া।
স্বাগত বক্তব্য দিয়েছেন মেরিন সায়েন্সেসের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ড. এম. মারুফ হোসেন, ফিশারিজের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মো. রাশেদ-উন-নবী ও ওশানোগ্রাফির চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ মোসলেম উদ্দিন।
আলোচনা করেছেন ফিশারিজের সিনিয়র অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আশরাফুল আজম খান।
বাংলাদেশের অন্যতম সেরা, সুন্দর এবং অনন্য তিনটি বিভাগের অনুষদটিতে নতুন ভর্তি হওয়া ছাত্র, ছাত্রীদের স্বাগত জানিয়েছেন তাদের উপাচার্য। অধ্যাপক ড. শিরীণ আখতার বলেছেন, ‘তোমরা যারা ভর্তি হলে, তারা খুবই মেধাবী ছাত্র, ছাত্রী। খুব কঠিন ও প্রতিযোগিতাতে ভরা ভর্তি পরীক্ষা দিয়ে বাংলাদেশের অন্যতম সেরা এই বিশ্ববিদ্যালয়ের আগামী দিনের সবচেয়ে ভালো বিভাগগুলোতে পড়তে এসেছো।’
তিনি বলেছেন, ‘সমুদ্র বিজ্ঞানের বিভাগগুলো নিয়ে এই দেশে প্রথম এই অনুষদটিই চালু হয়েছে আমাদের ক্যাম্পাসে।’
‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্ব গুণে বাংলাদেশ তার সমুদ্রসীমা নির্ধারণ ও বিজয় করতে পেরেছে। ফলে আমাদের সামুদ্রিক অর্থনীতির মাধ্যমে ভবিষ্যতের উন্নত সমৃদ্ধির দুয়ার তৈরি হয়েছে।’
“আমি আশা করবো, “ইনস্টিটিউট অব মেরিন সায়েন্সেস অ্যান্ড ফিশারিজ’র ছাত্র, ছাত্রীরা সবাই সাগর ও অথনীতির ওপর আরো পড়ালেখা এবং গবেষণা এবং কর্মের মাধ্যমে বাংলাদেশের উন্নয়নের জন্য আত্মনিয়োগ করবে। এজন্য সময়কে দাম দিতে হবে, নিয়মিত পড়ালেখা করতে হবে এবং অধ্যাপকদের আদেশ ও উপদেশগুলো মেনে চলতে হবে। তাদের ক্লাসগুলো ভালোভাবে করার কোনো বিকল্প নেই বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে। তোমরা সকলে জ্ঞান ও গবেষণায় ব্রতী হবে বলে আমরা আশা করি।”
নবীন ছাত্র, ছাত্রীদের তারা ফুল দিয়ে বরণ করেছেন। তিনটি বিভাগের অধ্যাপক, কর্মকর্তা, কর্মচারী ও আগের ব্যাচের ছাত্র, ছাত্রীরা বরনানুষ্ঠান ও তাদের সাংস্কৃতিক পরিবেশনায় অংশ নিয়েছেন। উপস্থাপনা করেছেন বিভাগের ছাত্র মোতাহার হোসেন ও ছাত্রী ফজিলাতুন্নেছা বর্ষা।
ওএস।