চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে আইটি ইনকিউবেটর হবে
লেখা ও ছবি : জুনায়েদ খান, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি
বাংলাদেশের অন্যতম প্রাচীন ও সেরা চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে যৌথভাবে বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষ একটি বিশেষ সেমিনার করেছেন।
জানানো হয়েছে, চুয়েটের (চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়) পর চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়েও একটি আইটি ইনকিউবেটর তৈরি করা হবে।
৫ জুন, ক্লাস শেষে বেলা তিনটায় সেমিনারটির আয়োজন করা হয়েছে বিজ্ঞান অনুষদের এক নম্বর গ্যালারিতে।
শিরোনাম ‘চতুর্থ শিল্প বিপ্লব : প্রতিদ্বদ্ধিতাগুলো এবং বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর পাঠ ও গবেষণা, প্রস্তুতি।’
প্রধান অতিথি হিসেবে আলোচনা করেছেন মন্ত্রিপরিষদের সমন্বয় ও সংস্কার বিভাগের সাবেক সচিব এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের দায়িত্বে নিয়োজিত সিনিয়র সচিব এন. এম. জিয়াউল আলম পি.এ.এ.। তিনি ‘ইনোভেশন অ্যাওয়ার্ড’ লাভ করেছেন সিলেটের কমিশনার হিসেবে।
বিশেষ অতিথি ছিলেন চট্টগ্রামের ‘প্রথম নারী উপাচার্য’, ‘রোকেয়া’ ও ‘নজরুল’ পদক জয়ী অধ্যাপক ড. শিরীণ আখতার।
বিশেষ অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকাডেমিক উপ-উপাচার্য ও রসায়নের নামী অধ্যাপক বেনু কুমার দে।
আলোচনা করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. রবিউল হাসান ভূঁইয়া, বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ নাসিম হাসান।
স্বাগত বক্তব্য দিয়েছেন আইসিটি সেল, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিচালক অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ খাইরুল ইসলাম।
এই বিশেষ সেমিনারে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ও বাংলাদেশ হাইটেক পার্কের আমন্ত্রণে আইসিটি বিভাগের একটি বিশেষজ্ঞ দল রিসোর্স পারসন হিসেবে অংশ নিয়েছেন।
পরিচালনা করেছেন কৃতি ছাত্রী নুজহান ইয়াসমিন নিহা।
‘ইনোভেশন অ্যাওয়ার্ড’ জয়ী এন. এম. জিয়াউল আলম পি.এ.এ প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তাদের আমন্ত্রণ জানানোয় বিশ্ববিদ্যালয়কে ধন্যবাদ দিয়েছেন। বলেছেন, ‘দেশরত্ন শেখ হাসিনার সুযোগ্য পুত্র, আইটি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়ের নেতৃত্বে ২০২১ সালে ডিজিটাল বাংলাদেশ লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করেছে। এখন ২০৪১ সালের স্মার্ট বাংলাদেশ হচ্ছে।’
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের দায়িত্বে নিয়োজিত সিনিয়র সচিব এরপর বলেছেন, ‘চতুর্থ শিল্প বিল্পবের চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবেলার জন্য চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় উপযুক্ত ও উর্বর একটি ক্ষেত্র। এই বিশ্ববিদ্যালয়ে যথেষ্ট মেধাবী শিক্ষক, গবেষক ও শিক্ষার্থীরা রয়েছেন। তাদের মেধার ভান্ডারকে যথাযথভাবে কাজে লাগালে শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবেলায় তারা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারবেন।’
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির সিনিয়র সচিব ঘোষণা করেছেন, ‘বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও প্রযুক্তি খাতকে সম্প্রসারণের ধারাবাহিক কাজে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি আইটি ইনকিউবেটর নির্মাণের পরিকল্পনা আছে।’
উপাচার্য অধ্যাপক ড. শিরীণ আখতার বলেছেন, ‘বিশ্ব এখন দ্রুতগতিতে সামনের দিকে এগিয়ে চলেছে। তাল মিলিয়ে চলতে আমাদেরও এগিয়ে যেতে হবে। বাংলাদেশে চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবেলায় অধ্যাপক-গবেষক ও আইটি বিশেষজ্ঞদের আন্তরিকতা, উদ্যাম নিয়ে আগামী প্রজন্মের সন্তানদের দক্ষ করে গড়ে তুলতে হবে। তথ্য প্রযুক্তির সুফলগুলো সাধারণ জনগণের কল্যাণে নিবেদিত করতে প্রযুক্তিখাতে দক্ষ জনশক্তির কোনো বিকল্প নেই। বাংলাদেশের এই বিশাল তরুণ, মেধাবী শক্তিকে আধুনিক জ্ঞানবিজ্ঞান, প্রযুক্তিতে চৌকষ করে গড়ে তুলতে হবে।’
সেমিনার শেষে অতিথিদের চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্রেস্ট প্রদান করা হয়েছে।
ওএস।