‘পুশকিন’কে মনে করলো রণদা প্রসাদ সাহা বিশ্ববিদ্যালয়
লেখা ও ছবি : আসিফ খান, রণদা প্রসাদ সাহা বিশ্ববিদ্যালয়, নারায়ণগঞ্জ।
বাংলাদেশে রাশিয়ান দূতাবাসের ‘রাশিয়ান হাউস’ ও বাংলাদেশের বরণ্যে দানবীর ও ‘কুমুদিনী ওয়েল ফেয়ার ট্রাস্ট’র প্রতিষ্ঠাতা একাত্তরে শহীদ রণদা প্রসাদ সাহার নামে প্রতিষ্ঠিত নারায়ণগঞ্জের ‘রণদা প্রসাদ সাহা বিশ্ববিদ্যালয়’ যৌথভাবে একটি বিশেষ আয়োজন সম্পন্ন করলো।
রুশ বিপ্লবের কেন্দ্রভূমি ও সমাজতন্ত্রের অনতম পীঠস্থান সোভিয়েত রাশিয়ার অন্যতম কবি, আধুনিক রাশিয়ান সাহিত্যের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা পুশকিন (আলেকজান্দার সার্জেইইভিচ পুশকিন)’র ২শ ২৩তম প্রতিষ্ঠাবাষিকী পালন করেছেন এই বিখ্যাত দুই প্রতিষ্ঠান।
আজ ৬ জুন, ১৭৯৯ সালে জন্মেছেন পুশকিন। মোটে ৩৭ বছর বয়সে মারা গিয়েছেন তিনি ১৮৩৭ সালে। তাকে ‘আধুনিক রাশিয়ান সাহিত্যের জনক’ হিসেবে সম্মানিত করা হয়।
নারায়ণগঞ্জের স্থায়ী ক্যাম্পাসে পুশকিনের জন্মদিনে প্রথম পর্বে হয়েছে আলোচনা সভা। অতিথি হিসেবে অংশ নিয়েছেন রাশিয়া বিশেষজ্ঞ, বিখ্যাত সাংবাদিক ও আজকের পত্রিকার উপ-সম্পাদক, শহীদ সিরাজুদ্দীন হোসেনের ছেলে সাংবাদিক জাহীদ রেজা নূর। বিশেষ অতিথি ছিলেন ঢাকায় রাশিয়ান দূতাবাসের ডেপুটি চিফ একেতিরিনা আর সিনিওনোভা ও রাশিয়ান হাউজের পরিচালক মাক্সিম দেবরাখোতাভ। তারা রাশিয়ান সবচেয়ে বড় কবিদের অন্যতম আলেকজান্দার পুশকিনের লেখা কবিতা আবৃত্তি ও অনুবাদ পরিবেশন করেন। রাশিয়ার শিল্পীরাও অংশ নিয়েছেন। এরপর নাচ পরিবেশন।
বাংলাদেশের অন্যতম সেরা এই বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র, শিক্ষক ও কুমুদিনী ওয়েল ফেয়ার ট্রাস্ট্রের গণ্যমান্যরা আয়োজনে ছিলেন ও অংশগ্রহণ করেছেন।
পুশকিনের জীবনের ওপর একটি প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শিত হয়েছে।
বাংলাদেশের বরণ্যে দানবীর শহীদ রনদা প্রসাদ সাহার জীবন ও কর্মের ওপর শ্রদ্ধাঞ্জলি হিসেবে একটি প্রামাণ্যচিত্র ছিল।
প্রধান অতিথি ছিলেন রনদা প্রসাদ সাহার নাতি ও কুমুদিনী ওয়েল ফেয়ার ট্রাস্ট্রের বোর্ড অব ট্রাস্ট্রিজের চেয়ারম্যান রাজীব প্রসাদ সাহা।
ধন্যবাদ ও সভাপতিত্ব করেছেন রনদা প্রসাদ সাহা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মণীন্দ্র কুমার রায়।
পুশকিনের জন্মবার্ষিকী পরিচালনা করেছেন ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদের প্রভাষক দীবা মন্ডল।
ছবি : রণদা প্রসাদ সাহা বিশ্ববিদ্যালয়ে রাশিয়ার গণ্যমান্যরা, আরপি সাহা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীরা, পুশকিন, আরপি সাহা, জাহীদ রেজা নূর ও রাজীব প্রসাদ সাহা।
ওএস।