রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষায় অভিভাবকরা খুশি
লেখা ও ছবি : আসিফ আহমেদ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়।
৩ জুন, গতকাল বাংলাদেশের অন্যতম সেরা ও পুরোনো বিশ্ববিদ্যালয় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাণিজ্য অনুষদের বিভাগগুলোর ভর্তি পরীক্ষা গ্রহণ করেছে। মোট ১ হাজার ৮শ ৬১ জন ছাত্র, ছাত্রী এই পরীক্ষায় অবতীর্ণ হয়েছেন।
এর আগে প্রাচ্যের অক্সফোর্ডের জন্য আঞ্চলিক কেন্দ্র হিসেবে আরো ছয়টি সরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো তারা ‘খ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা গ্রহণ করেছেন। মানবিক অনুষদে ভর্তি হতে তখন মোট ৭ হাজার ২শ ১৯ জন পরীক্ষা দিয়েছেন। এই অনুষদের বিভাগগুলোতে মোট আসন আছে ১ হাজার ৭শ ৮৮টি। ফরম বিক্রি করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় মোট ৫৮ হাজার ৫শ ৫১টি। প্রতিটি আসনে ভর্তি পরীক্ষা দিয়েছেন সারা দেশের মোট ৩৩ জন ছাত্র, ছাত্রী।
আসিফ আহমেদ আরো জানিয়েছেন, ‘নিয়মানুসারে খ ইউনিটে ৬০ নম্বরের এমসিকিউ বা মাল্টিপল চয়েজ কোয়েশ্চেন ছিল। ১শ নম্বরের বাকি ৪০ নম্বর ছিল লিখিত। প্রতিটি বিভাগের জন্য ৪৫ মিনিট করে পরীক্ষা দিতে হয়েছে প্রত্যেক ভর্তিচ্ছুকে।’
‘এই ১শ নম্বরের সঙ্গে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিকের মোট নম্বরকে শতকরা ১০ করে মোট ২০ নম্বর হিসেবে যে যে ফলাফল করেছেন, তার ভিত্তিতে মোট ফলাফল তৈরি করা হবে।’
আঞ্চলিক কেন্দ্র হিসেবে নতুন চালু হওয়া এই ভর্তি পরীক্ষা পদ্ধতিতে ছাত্র, ছাত্রীরা খুশি। নয়ন শেখ বলেছেন, ‘আমাদের বাসা রাজশাহীতে। ফলে বাড়ি থেকে এসে সহজে পরীক্ষা দিতে পারলাম। অনেক কষ্ট কমলো। বাসে বা ট্রেনে অনেক কষ্ট করে ঢাকা যেতে হলো না, কোথায় থাকবো, কখন পরীক্ষা দিতে যাবো, যানজট হবে কী না-এই সমস্যাগুলোর একটিও পোহাতে হয়নি। মন দিয়ে ভর্তি পরীক্ষা দেবার এর চেয়ে ভালো কোনো পদ্ধতি হতে পারে না।
সিগ্ধা দাস বলেছেন, ‘আমরা অত্যন্ত সুশৃংখলভাবে পরীক্ষা দিয়ে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সুনাম আরো বাড়িয়েছি। অনেক খরচ কম হয়েছে ঢাকায় যেতে না হওয়ায়।’ তিনি জানিয়েছেন, ‘আমার তো ঢাকায় কোনো আত্মীয়জন থাকেন না। ফলে রাজধানীতে পরীক্ষা দিতে গেলে অনেক কষ্ট হতো।’
সিদ্ধা জানিয়েছেন, তিনি চাঁপাইনবাবগঞ্জের মেয়ে।
তাদের মতো মা-বাবারাও এই শিক্ষা উদ্যোগে অত্যন্ত সন্তুষ্ট ও খুশি হয়েছেন বলে জানিয়েছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের এই ছাত্র এবং ক্যাম্পাসটির অন্যতম সাংবাদিক।
তিনি বলেছেন, “রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘গ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় পরীক্ষার ডিউটি দিয়েছেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. গোলাম সাব্বির সাত্তার।”
‘এই বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই উপাচার্য-শিক্ষা অধ্যাপক ড. চৌধুরী মোহাম্মদ জাকারিয়া এবং অ্যাকাডেমিক-অধ্যাপক ড. সুলতান উল ইসলাম তাদের পরীক্ষার ডিউটি পালন করেছেন।’
নিরাপত্তার কঠোর দেখভাল করেছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. আসাবুল হক।
ছাত্র উপদেষ্টা তারেক নূর, জনসংযোগ দপ্তরের প্রশাসক ও গণযোগাযোগ এবং সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক প্রদীপ কুমার পান্ডেসহ প্রধান অধ্যাপকরা তাদের দায়িত্ব সুচারুভাবে পালন করেছেন।
ওএস।