‘চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা নব গবেষণা অব্যাহত রাখবেন : উপাচার্য
লেখা ও ছবি : জুনায়েদ খান, প্রতিনিধি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়
১৬ মে, ২০২২ সাল, গতকাল, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় বিজ্ঞান অনুষদ ‘ক্রিটিক্যাল মেটালস ফর ক্লিন অ্যানার্জি : ডিমান্ড অ্যান্ড সাসটেইনেবল টেকনোলজিস ফর লিথিয়াম অ্যান্ড নিকেল প্রডাকশন' সেমিনারটি করল।
সকাল সাড়ে ১১টায় বিজ্ঞান গ্যালারি-১ এ শুরু হয়েছিল।
প্রধান অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. শিরীণ আখতার।
বিশেষ অতিথি অ্যাকাডেমিক উপ-উপাচার্য ও রসায়ন বিভাগের সাবেক অধ্যাপক বেনু কুমার দে।
সভাপতি ছিলেন বিজ্ঞান অনুষদের ডিন ও রসায়নের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ নাসিম হাসান।
মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেছেন কানাডার ‘প্রসেস রিসার্চ অরটেক ইনকরপোরেশন’র প্রধান টেকনোলজি অফিসার ও প্রবাসী বাঙালি ড. মো. আবদুল হালিম।
স্বাগত বক্তব্য দিয়েছেন ‘বিজ্ঞান অনুষদ সেমিনার কমিটি’র আহবায়ক ও রসায়নের অধ্যাপক ড. মনির উদ্দিন।
বক্তব্যের শুরুতেই উপাচার্য আয়োজকদের সেমিনারটির জন্য ধন্যবাদ জানিয়েছেন।
অধ্যাপক ড. শিরীণ আকতার বলেছেন, “ক্রিটিক্যাল মেটালস ফর ক্লিন অ্যানার্জি : ডিমান্ড অ্যান্ড সাসটেইনেবল টেকনোলজিস ফর লিথিয়াম অ্যান্ড নিকেল প্রডাকশন' সেমিনারের মূল বৈজ্ঞানিক প্রাবন্ধিক ড. আবদুল হালিম আমাদেরই সাবেক ছাত্র। উন্নত বিশ্বে তিনি নানা ধরণের গবেষণা করে চলেছেন। শিক্ষক হিসেবে আমাদের জন্য খুব গর্বের।”
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বলেছেন, ‘বিজ্ঞানের অভাবনীয় অগ্রযাত্রাগুলোতে উন্নত বিশ্ব এখন উদ্ভাসিত। সারা দুনিয়াতে অধ্যাপক-গবেষকদের নিরন্তন গবেষণাগুলো বিজ্ঞানের ভুবনকে যেমন সমৃদ্ধ করে চলেছে, তেমনি পৃথিবীকেই আলোকিত করে যাচ্ছে।’
‘এখন আধুনিক পৃথিবীতে নবায়নযোগ্য শক্তিগুলোর উৎপাদন বিশেষ গুরুত্ব লাভ করেছে। ফলে লিথিয়াম ও নিকেল বিজ্ঞানীদের কাছে খুব গুরুত্বপূর্ণ ধাতু হিসেবে আরো গবেষণার বিষয় হয়েছে।’
‘ভবিষ্যতে শক্তির উৎপাদন ও সঞ্চয়ে এই ধাতুগুলোর বিষয়ে আরো বিস্তৃত গবেষণা চলছে। আমাদেরও উন্নত দেশগুলোর সঙ্গে একত্রে চলতে এবং উন্নততর জীবনের প্রয়োজনে লিথিয়াম ও নিকেলের উৎপাদন এবং ব্যবহারে টেকসই প্রযুক্তিগুলো তৈরির কোনো বিকল্প নেই।’
‘আমি আহবান জানাই, আমাদের চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ও গবেষকরা নব প্রযুক্তিগুলোর উদ্ভাবনের জন্য তাদের গবেষণা অব্যাহত রাখবেন।’
সেমিনারের শেষে অধ্যাপক ড. আবদুল হালিমকে তিনি চট্টগ্রাম বিশ্বদ্যিালয়ের পক্ষ থেকে ‘সম্মাননা স্মারক’ উপহার দিয়েছেন।
এই সেমিনারে রসায়নসহ অনুষদের বিভাগগুলোর আগ্রহী ছাত্র, ছাত্রী, অধ্যাপক ও গবেষকরা অংশগ্রহণ করেছেন।
ওএস।