সৌর কণা ও অভিজ্ঞতা বিনিময়ের আলোচনা চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে
লেখা ও ছবি : জুনায়েদ খান, প্রতিনিধি, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ফলিত রসায়ন ও কেমি-কৌশল বিভাগের উদ্যোগে পর, পর দুটি বৈজ্ঞানিক সেমিনার হয়ে গেল আজ।
বিষয়বস্তু ছিল ‘পোরোভস্কাইট’ নামের একটি বিশেষ ধরণের সৌরকণা ও ‘অভিজ্ঞতা বিনিময়’।
নাম হলো ‘হাইলি ইফিশিয়েন্ট পোরভস্কাইট সোলার সেলস’ এবং ‘এক্সপেরিয়েন্স শেয়ারিং অন পাবলিকেশন্স ইন হাইলি ইমপ্যাক্ট জার্নালস’।
সকাল সাড়ে ১০টায় বিভাগীয় সেমিনারে এই বৈজ্ঞানিক সেমিনার দুটি শুরু হয়েছে।
মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেছেন এই বিভাগের সাবেক ছাত্র ও জাপানের কানাজাওয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে ন্যানো-ম্যাটেরিয়াল রিসার্চ ইনস্টিটিউটে সহকারী অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত ড. মো. শহীদুজ্জামান সোহেল।
প্রধান অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. শিরীণ আখতার।
বিশেষ অতিথি ছিলেন কেমিস্ট্রি বিভাগের অধ্যাপক ও অ্যাকাডেমিক উপ-উপাচার্য বেনু কুমার দে।
আরো ছিলেন বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ নাসিম হাসান।
বিভাগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন ছিলেন।
এই বিভাগের বর্তমান সভাপতি ও জাপানের কানাজাওয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে শিক্ষা-গবেষণা চুক্তির সমন্বয়কারী অধ্যাপক ড. সুমন বড়ুয়া সভাপতিত্ব করেছেন।
তারা সবাই বৈজ্ঞানিক আলোচনায় অংশ নিয়েছেন।
নিজের বক্তৃতায় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ও উপাচার্য বলেছেন, ‘যে দেশ বিজ্ঞানে যত উন্নত, তারা উন্নতির দিকে ততটাই এগিয়ে চলেন। যেকোনো সেমিনার ও সিম্পোজিয়াম এবং আলোচনা বিশ্ববিদ্যালয়ের চরিত্রে শিক্ষক-ছাত্র এবং গবেষকদের জ্ঞানকে সমৃদ্ধ করে। কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ের ভান্ডারকে সমৃদ্ধতর করতে কর্মশালা, সেমিনার, সিম্পোজিয়াম ও গবেষণার কোনো বিকল্প নেই। আমাদের চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় এই ক্ষেত্রে অত্যন্ত সমৃদ্ধ।’
এরপর অধ্যাপক ড. শিরীণ আখতার আজকের সেমিনারে আলোচনা করেছেন, ‘সৌরকণার মাধ্যমে গড়ে ওঠা সৌরশক্তিকে আরো বেশি করে মানুষের কাজে লাগাতে, কল্যাণের জন্য একে সহজলভ্য করতে সারা বিশ্বের উন্নত দেশগুলো ঝাঁপিয়ে পড়েছেন। তারা দিন-রাত গবেষণা করে চলেছেন। আমাদের দেশও পিছিয়ে নেই। আস্তে, আস্তে এগিয়ে যাচ্ছে। উন্নত দেশে এই ধরণের গবেষণা সেমিনারের মাধ্যমে শিল্প-কারখানাতেও সৌরশক্তি ব্যবহারের পথ সুগম হয়েছে। আমাদের এই সেমিনার শিক্ষক-ছাত্র-গবেষকের অনুধাবন ও জ্ঞান আদান এবং প্রদানেও উন্নততর দিকে এগিয়ে নিয়ে যাবে।’
তিনি বলেছেন, ‘শিক্ষক-ছাত্র-ছাত্রী-গবেষকদের করা মানসম্পন্ন গবেষণা কর্ম ছাপা হলে ও আন্তর্জাতিক জার্নালে প্রকাশিত হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের মানও বাড়ে। এই মাপকাঠি আমাদের আমাদের আন্তর্জাতিকতায় ভালো জায়গা করে দেয়। ফলে এমন সেমিনার আরো করতে হবে। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে আমরা সাহায্য করে যাব।’
সেমিনারটি উপস্থাপনা করেছেন বিভাগীয় প্রভাষক রাশেদুল আজিম।
গবেষণা সেমিনারটিতে ফলিত রসায়ন ও কেমি-কৌশল বিভাগের অধ্যাপক, গবেষক ও ছাত্র, ছাত্রীরা ছাড়াও আগ্রহী অনেকে ছিলেন।
ওএস।