সোমবার, ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ | ৩ ফাল্গুন ১৪৩১
Dhaka Prokash

বশেমুরবিপ্রবি’র সাংবাদিক সমিতির বর্তমান কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা

গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (বশেমুরবিপ্রবি) সাংবাদিক সমিতির বর্তমান কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়েছে। মেয়াদ শেষ হওয়ার পরেও অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল, উপদেষ্টাদের সঙ্গে অসদাচরণ এবং রাতে অফিসে সাধারণ সম্পাদক পরান কর্তৃক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাগর দের উপর হামলাসহ একাধিক কারণে এই কমিটিকে বিলুপ্ত করা হয়৷

শুক্রবার (১৫ এপ্রিল) বশেমুরবিপ্রবি সাংবাদিক সমিতির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি এবং আজীবন উপদেষ্টা মো. রেজোয়ান হোসেন স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ বিষয়টি জানানো হয়। 

উক্ত বিজ্ঞপ্তিতে শাফিউল কায়েস (আহ্বায়ক), সাগর দে (সদস্য সচিব) ও আব্দুস সালাম (সদস্য) কে নিয়ে তিন সদস্য বিশিষ্ট আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও উল্লেখ করা হয়, “বশেমুরবিপ্রবি সাংবাদিক সমিতি-২০১৫ সালে গঠন করা হয়েছিল বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিকদের স্বার্থ রক্ষার্থে এবং বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত সাংবাদিকদের মধ্যে একতা ও সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক তৈরির লক্ষ্যে। কিন্তু জিনিয়া-পরান কমিটি বিভিন্ন সময়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যান্য সাংবাদিক সংগঠনের সঙ্গে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সরাসরি কলহে লিপ্ত হতে দেখা যায়, যা সংগঠনের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ম করে এবং সাংবাদিক সমিতি যে লক্ষ্যে গঠন করা হয়েছিল তার সম্পূর্ণ পরিপন্থী কাজ এটি। জিনিয়া-পরান ক্ষমতায় আসার পর থেকে সাংবাদিক সমিতির একক নিয়ন্ত্রণ হাতে নিতে বিভিন্ন কৌশলে সংগঠনের সিনিয়রদের মাইনাস করার খেলায় মেতে ওঠে।

বৃহস্পতিবার (১৪ এপ্রিল) সাংবাদিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মাইনুদ্দিন পরান সামান্য মতবিরোধের জেরে সাগর দে কে জনসম্মুখে বেধড়ক মারধর করে এবং দ্রুত পালিয়ে যায়। এমন ঘটনা সাংবাদিক সমিতির ইতিহাসে এই প্রথম। এ ছাড়াও কিছুদিন আগে সাংবাদিক সমিতির সদস্য শাফিউল কায়েসকে নিউজ সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে এবং ব্যক্তিগত আক্রোশের জেরে নানাভাবে হেনস্থা করা হয়। সমিতিতে নতুন সদস্য নিয়োগের ক্ষেত্রে জিনিয়া-পরান কমিটি তাদের অনুগতদের সমিতিতে অন্তর্ভুক্ত করে দলীয়করণ শুরু করে, যাতে করে একচেটিয়া সিদ্ধান্ত গ্রহণে সুবিধা হয়। মেয়াদ শেষ হবার পরেও সাংগঠনিক সম্পাদক নিয়োগসহ নানা স্বেচ্ছাচারিতার প্রমাণ পাওয়া গেছে এই কমিটির বিরুদ্ধে।

এ ছাড়াও মুজিববর্ষ উপলক্ষে একটি ম্যাগাজিন প্রকাশের জন্য ২০১৯ সালে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছ থেকে একটি ভালো অঙ্কের টাকা পায় সাংবাদিক সমিতি। এ ছাড়াও সাংবাদিক সমিতির সাংগঠনিক কার্যক্রম পরিচালনার লক্ষ্যে একটি বাৎসরিক বাজেট পাস করার জন্য এই কমিটি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সঙ্গে কয়েকবার সাক্ষাৎ করেছে। তবে সাক্ষাতের ফলাফল কি, টাকা আদৌ পাওয়া গেছে কিনা, পাওয়া গেলেও কত টাকা পাওয়া গেছে সে সম্পর্কে উপদেষ্টারা বা সমিতির অন্যান্য সদস্যরা অবগত নয়। সর্বশেষ সাংবাদিক সমিতির একচ্ছত্র নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে জিনিয়া-পরান কমিটির মেয়াদ শেষ হওয়ার পরেও ক্ষমতায় আঁকড়ে থাকার জন্য কার্যনির্বাহী মিটিং ডেকে তাদের ক্ষমতায় থাকার মেয়াদ বাড়িয়ে নেওয়ার মতো গঠনতন্ত্র বিরোধী ও স্বৈরাচারী নজির স্থাপন করে।”

এ ব্যাপারে বশেমুরবিপ্রবি সাংবাদিক সমিতির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি এবং আজীবন উপদেষ্টা মো. রেজোয়ান হোসেন জানান, ‘দীর্ঘদিন এই কমিটির নামে অনেক অভিযোগ ছিল। মেয়াদ শেষ হবার পরেও অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করে রেখেছিল এরা। প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি হিসেবে কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করেছি এবং একটি নিরপেক্ষ ও সর্বজন গ্রাহ্য সাংবাদিক সমিতি গঠনের জন্য আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করেছি।’

তিনি আরও বলেন, ‘এমন ঘটনা সাংবাদিক সমিতিতে এই প্রথম। ক্ষমতার অপব্যবহার চুড়ান্ত পর্যায়ে গেলে একজন সেক্রেটারি তার সংগঠনের সদস্যকে পেটাতে পারে।’

এদিকে এ বিষয়ে বিলুপ্ত কমিটির সাবেক সাধারণ সম্পাদক পরান বলেন, ‘কমিটি বিলুপ্ত যে করেছে সেটা সম্পূর্ণ অনিয়ম৷ সমিতির বাকি সদস্য যারা আছে তারা বাকি সিদ্ধান্ত নিবে৷ এই যে সিদ্ধান্তের সঙ্গে সালাম নামের যে ছেলের নাম আসছে সে নিজেও জানে না এটা৷ এ রকম একটা বিষয় সম্পূর্ণ অনিয়ম অগণতান্ত্রিক এবং তার (উপদেষ্টা) কোনো এখতিয়ারই নেই এটা করার৷ কমিটির কোনো সিদ্ধান্ত নিতে হলে সেটা কার্যনির্বাহী কমিটি সিদ্ধান্ত নিবে৷’

হামলার ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি জানান, ‘হামলা বলতে এখানে কোনও হামলার ঘটনা ঘটেনি৷ সমিতির যে ইন্টার্নাল মিটিং ছিল সেখানে মতবিরোধ ছিল৷ এতটুকুই৷ মতবিরোধে কিছু উচ্চবাচ্চ হইছে৷ যাস্ট এটাই৷ ওই ধরনের কিছু ঘটেনি৷ এটাকে অন্যখাতে প্রবাহিত করার জন্য এমন ঘটনা সাজানো হয়েছে৷”

এসআইএইচ

Header Ad
Header Ad

নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের সাবেক কেন্দ্রীয় নেত্রী দোলনা আক্তার গ্রেপ্তার

দোলনা আক্তার । ছবি: সংগৃহীত

নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের সাবেক কেন্দ্রীয় নেত্রী ও আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় বন ও পরিবেশ বিষয়ক উপকমিটির সদস্য দোলনা আক্তারকে (২৭) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। রবিবার রাতে কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার নিজ গ্রামের বাড়ি থেকে তাকে আটক করা হয়। তিনি ফুলবাড়ী সদর ইউনিয়নের কবিরমামুদ গ্রামের দুলাল হোসেনের কন্যা।

পুলিশ জানিয়েছে, রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেশত্যাগের পর দোলনা আক্তার আত্মগোপনে চলে যান এবং দীর্ঘদিন ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় লুকিয়ে ছিলেন। সাম্প্রতিক সময়ে সারাদেশে চালু হওয়া ‘ডেভিল হান্ট’ অভিযানের মধ্যে গ্রেপ্তার এড়াতে তিনি নিজ গ্রামের বাড়িতে আশ্রয় নেন। তবে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তার অবস্থান শনাক্ত করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করে।

ফুলবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মামুনুর রশীদ জানিয়েছেন, গত ৪ আগস্ট ফুলবাড়ীতে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে হামলার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় দোলনা আক্তারকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। আগামীকাল (সোমবার) তাকে আদালতের মাধ্যমে কুড়িগ্রাম জেলহাজতে পাঠানো হবে।

Header Ad
Header Ad

গঙ্গা পানি চুক্তি নবায়নসহ বিভিন্ন বিষয়ে জয়শঙ্করের সঙ্গে বৈঠক পররাষ্ট্র উপদেষ্টার

ওমানের মাস্কটে ৮ম ইন্ডিয়ান ওশান কনফারেন্সের অবকাশে জয়শঙ্করের সঙ্গে বৈঠক করেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা। ছবি: সংগৃহীত

ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের সঙ্গে বৈঠক করেছেন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন। রোববার (১৬ ফেব্রুয়ারি) ওমানের মাস্কটে আয়োজিত অষ্টম ইন্ডিয়ান ওশান কনফারেন্সের অবকাশে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এটি ছিল গত ৫ আগস্ট বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিবর্তনের পর দুই নেতার মধ্যে দ্বিতীয় বৈঠক।

বৈঠকে দুই দেশের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দ্বিপাক্ষিক বিষয়ে আলোচনা হয়। বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দেওয়া বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, উভয়পক্ষ পারস্পরিক সহযোগিতা বৃদ্ধির পাশাপাশি দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় একসঙ্গে কাজ করার প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন।

পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন বিশেষভাবে গঙ্গা পানি চুক্তির নবায়ন সংক্রান্ত আলোচনার প্রয়োজনীয়তার কথা তুলে ধরেন। একই সঙ্গে তিনি দক্ষিণ এশীয় আঞ্চলিক সহযোগিতা সংস্থা (সার্ক) স্থায়ী কমিটির বৈঠক আয়োজনের ওপরও গুরুত্বারোপ করেন এবং ভারতকে বিষয়টি বিবেচনার অনুরোধ জানান।

বৈঠকে দুই দেশের সীমান্ত পরিস্থিতি এবং সীমান্তরক্ষী বাহিনীর শীর্ষ পর্যায়ের আলোচনা নিয়েও আলোচনা হয়। উভয়পক্ষ আশা প্রকাশ করেন যে, এই আলোচনার মাধ্যমে সীমান্ত সম্পর্কিত বিভিন্ন সমস্যা সমাধানের পথ প্রশস্ত হবে।

এদিকে, সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) থেকে শুরু হতে যাওয়া বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ও ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্সের (বিএসএফ) চার দিনব্যাপী সীমান্ত সম্মেলন নিয়েও বৈঠকে আলোচনা হয়। জুলাই মাসের গণ-অভ্যুত্থানের পর এই প্রথমবার দুই দেশের সীমান্ত রক্ষাকারী বাহিনীর মহাপরিচালক পর্যায়ের বৈঠক অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। বিজিবির মহাপরিচালকের নেতৃত্বে ১৪ সদস্যের বাংলাদেশ প্রতিনিধিদল এই সম্মেলনে অংশ নেবে।

বৈঠক শেষে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স হ্যান্ডেলে এক পোস্টে জয়শঙ্কর জানান, আলোচনায় দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে, যেখানে বিমসটেকসহ অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলোও অন্তর্ভুক্ত ছিল।

Header Ad
Header Ad

মিঠাপুকুরে এক যুগেও চালু হয়নি ইকোপার্ক, শত কোটি টাকার প্রকল্প প্রশ্নবিদ্ধ

ছবি : ঢাকাপ্রকাশ

রংপুরের মিঠাপুকুরে ইকোপার্ক নির্মাণের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছিল এক দশকেরও বেশি সময় আগে। এটি ছিল উপজেলার একমাত্র বিনোদনকেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলার প্রকল্প। তবে বাস্তবে এটি পরিণত হয়েছে মাদকসেবী, বখাটে ও অসামাজিক কার্যকলাপকারীদের অভয়ারণ্যে।

২০১৩ সালে প্রকল্পের উদ্বোধন করেন কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ ও স্থানীয় সংসদ সদস্য এইচ এন আশিকুর রহমান। তখন প্রকল্পের মোট ব্যয় নির্ধারণ করা হয় ১০০ কোটি টাকা। তবে দীর্ঘ এক যুগেও প্রকল্পের কাজ পুরোপুরি সম্পন্ন হয়নি। বরং, বরাদ্দ বাড়লেও উন্নয়ন কার্যক্রম তেমন অগ্রগতি লাভ করেনি।

বাংলাদেশ জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ ও ইকোট্যুরিজম উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় ২২৬ একর জায়গায় মিঠাপুকুর ইকোপার্ক গড়ে তোলার পরিকল্পনা করা হয়। এতে বিশ্রামাগার, রান্নাঘর, পার্কিং এলাকা, পর্যবেক্ষণ টাওয়ার, গোলঘর, টিকিট কাউন্টার, প্রবেশদ্বার, নিরাপত্তাকক্ষ, গণশৌচাগার, পানির ট্যাংক, পানির সরবরাহ লাইন, পুরাতন বন বিশ্রামাগার উন্নয়ন, চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারীদের ব্যারাক, পার্ক অফিস ভবন, ডিসপ্লে মানচিত্র, আমব্রেলা শেড, স্পিনার, পাকা বেঞ্চ নির্মাণসহ নানা উন্নয়নমূলক কাজের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছিল।

কিন্তু বাস্তবে, শুধুমাত্র সীমানা প্রাচীর ও কিছু দায়সারা কাজ ছাড়া প্রকল্পটির তেমন কোনো দৃশ্যমান উন্নয়ন হয়নি। এমনকি ইকোপার্কের প্রধান ফটক আজও সাধারণের জন্য উন্মুক্ত করা হয়নি।

স্থানীয়দের মতে, এই প্রকল্পের শত কোটি টাকার বরাদ্দ কোথায় গেল, তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে। মিঠাপুকুর ইকোপার্কটি রংপুরের শঠিবাড়ী-দিনাজপুরের আফতাবগঞ্জ আঞ্চলিক মহাসড়কের পাশে অবস্থিত। একই মহাসড়কের ২৫ কিলোমিটার পশ্চিমে দিনাজপুরের নবাবগঞ্জ আসনের সংসদ সদস্য শিবলী সাদিকের ব্যক্তিগত বিনোদনকেন্দ্র 'স্বপ্নপুরী' রয়েছে। স্থানীয়রা ধারণা করছেন, স্বপ্নপুরীর জনপ্রিয়তা ধরে রাখতে মিঠাপুকুর ইকোপার্কের উন্নয়ন ইচ্ছাকৃতভাবে বন্ধ রাখা হয়েছে এবং বরাদ্দকৃত অর্থ লোপাট করা হয়েছে।

সরেজমিনে ইকোপার্ক পরিদর্শন করে দেখা যায়, সেখানে গরু, ছাগল ও ঘোড়া চরছে। প্রবেশদ্বারে কোনো পাহারাদার নেই, চারপাশে সীমানা প্রাচীর থাকলেও একাধিক জায়গায় ভাঙা। এসব পথ দিয়ে বহিরাগত ও মাদকসেবীরা অবাধে প্রবেশ করে সেখানে মাদকের আসর বসায়। দর্শনার্থীরা আসলেও নিরাপত্তার অভাবে দ্রুত ফিরে যান। বিভিন্ন অবকাঠামোর যন্ত্রপাতি অযত্নে নষ্ট হতে বসেছে।

স্থানীয় ১৩ নম্বর গোপালপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হারুন অর রশিদ তালুকদার বলেন, "ইকোপার্কের প্রকল্পে কত কোটি টাকার কাজ হয়েছে, তার সঠিক তথ্য মন্ত্রণালয়ের নথিতেও খুঁজে পাওয়া যায়নি। ইউনিয়ন পরিষদেও কোনো নথি জমা হয়নি। মূলত ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ডিজেল এন্টারপ্রাইজ নিজের ইচ্ছামতো কাজ করেছে।"

এ বিষয়ে বিএনপির মিঠাপুকুর উপজেলা সদস্য সচিব মোঃ মোতাহারুল ইসলাম নিক্সন পাইকাড় বলেন, "আওয়ামী লীগ সরকার জনগণের প্রতি কোনো জবাবদিহিতা রাখেনি। তাদের নেতাকর্মীরা যেখানে যা পেরেছে লুটপাট করেছে। আমরা যখন বিরোধী দলে ছিলাম, তখনও জানতে পেরেছি যে এখানে ১০০ কোটি টাকার প্রকল্প চলছে। কিন্তু বাস্তবে কাজের অগ্রগতি নেই বললেই চলে।"

তিনি আরও বলেন, "এইচ এন আশিকুর রহমান সংসদে বাজেট বরাদ্দ এনে তার ছেলে রাশেক রহমানের মাধ্যমে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ডিজেল এন্টারপ্রাইজকে কাজ দিয়েছেন। তবে কাজের মান কিংবা প্রকৃত বাস্তবায়ন হয়নি।"

মিঠাপুকুর ইকোপার্ক প্রকল্পের দীর্ঘসূত্রিতা ও অর্থ লোপাটের অভিযোগের বিষয়টি খতিয়ে দেখা দরকার বলে অনেকেই মনে করেন। বরাদ্দকৃত অর্থের সঠিক ব্যবহার না হলে, এটি শুধুই একটি ব্যর্থ প্রকল্প হিসেবে থেকে যাবে। স্থানীয়দের প্রত্যাশা, প্রকল্পটি পুনরায় কার্যকর করা হোক এবং এলাকাবাসীকে কাঙ্ক্ষিত বিনোদনকেন্দ্র উপহার দেওয়া হোক।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের সাবেক কেন্দ্রীয় নেত্রী দোলনা আক্তার গ্রেপ্তার
গঙ্গা পানি চুক্তি নবায়নসহ বিভিন্ন বিষয়ে জয়শঙ্করের সঙ্গে বৈঠক পররাষ্ট্র উপদেষ্টার
মিঠাপুকুরে এক যুগেও চালু হয়নি ইকোপার্ক, শত কোটি টাকার প্রকল্প প্রশ্নবিদ্ধ
মসজিদে নববীর প্রধান ইমাম হলেন শেখ আব্দুল রহমান আল হুদাইফি
মালিতে পরিত্যক্ত সোনার খনি ধসে পড়ে অন্তত ৪৮ জন নিহত
কেমন হলো টাইগারদের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির জার্সি
‘হজযাত্রী প্রতি অতিরিক্ত ৩০ হাজার টাকা বেশি নিয়ে আমরা ভাগ করে নেব’
হঠাৎ তিস্তার পানি বৃদ্ধি: অবস্থান কর্মসূচির ঘোষণার পর খুলল ৬ জলকপাট
বইমেলায় স্যানিটারি ন্যাপকিন বিক্রির অভিযোগে দুটি স্টল বন্ধ
ভ্যালেন্টাইনের সঙ্গে পরিচয় করানোর নামে লাইভে এসে কাপড় বেচলেন পরীমণি
উত্তরপূর্ব ভারতের ৫৫ শতাংশ মানুষ শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠানোর পক্ষে
দেশকে কারা নেতৃত্ব দেবে তা বাছাই করার সময় এসেছে: তারেক রহমান
বিদ্রোহ থেকে সরে এলেও অনুশীলনে যোগ দিচ্ছেন না সাবিনারা
প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগপ্রত্যাশীদের সচিবালয়মুখী পদযাত্রায় পুলিশের বাধা, জলকামান নিক্ষেপ
নির্বাচনের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে শঙ্কা, গৃহযুদ্ধের আশঙ্কা ব্যারিস্টার মামুনের
গান গাইতে গাইতেই মারা যেতে চান আশা ভোঁসলে
ইলন মাস্কের ইন্টারনেট বাংলাদেশে: সুবিধা কি, খরচ কত?  
ভারতের তামিলনাড়ুর শতবর্ষী ম্যাগাজিনে মোদির ব্যঙ্গচিত্র, ওয়েবসাইট ব্লক নিয়ে বিতর্ক
সেন্টমার্টিনে কোস্টগার্ডের অভিযানে ৩০ হাজার পিস ইয়াবা উদ্ধার
শেখ হাসিনার পতন হলেও দেশে এখনো গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হয়নি: রিজভী