বুধবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | ৩ আশ্বিন ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

দেশে ব্যবসার পরিবেশ থাকলে আগ্রহী হবে বিনিয়োগকারীরা

পৃথিবী জুড়ে একটি অস্থির অবস্থা বিরাজ করছে। আমি মনে করি, প্রথমত আমাদের অভ্যন্তরীণ অর্থনৈতিক ভারসাম্য ঠিক রাখা দরকার। অর্থনৈতিক সুযোগ সুবিধা বিষয়ে যত কথা বলা হোক না কেন আসলে বাস্তবতা ঠিক সেরকম নয়। উদাহরণস্বরূপ বলা যায়, দেশের শেয়ার বাজারে কিছু লিস্টেড বিদেশি কোম্পানি আছে। এসব কোম্পানি যদি তাদের মুনাফা না পায় তারা এখানে কেন আসবে? আরও একটি দুঃখের বিষয় হলো, বাংলাদেশে সবচেয়ে কম ফরেন কারেন্সি ইনভেস্টমেন্ট হয় । কাজেই সবকিছু মিলিয়ে আমাদের ইকোনোমিক অবস্থা কিন্তু ভাল বলা যাবে না। সেটি থেকে উত্তরণের লক্ষ্যেই বিদেশি বিনিয়োগকারীদের সামনে বাংলাদেশের সম্ভাবনার গল্পগুলো তুলে ধরতে হবে অর্থাৎ সম্ভাবনার দুয়ার খুলে দিতে হবে।

তবে আমি মনে করি যে, আমাদের পলিসি তৈরিতেও অনেক সীমাবদ্ধতা আছে। আগে নিজের ঘর ঠিক করতে হবে। আমার কথা হচ্ছে, ব্যবসা বান্ধব কাগজে কলমে যথেষ্ট আছে কিন্তু বাস্তবে এর প্রতিফলন নেই। আমাদের দেশে বড় ব্যবসায়ীরা ভালো সুযোগ-সুবিধা পাচ্ছে ঠিকই কিন্তু সেটিই যথেষ্ট নয়। কারণ আমাদের এখানে সুষ্ঠু নীতিমালা নেই। তাছাড়া এখানে ঘন ঘন নীতি বদল হয়। যে কারণে বিদেশিরা অসন্তুষ্ট হয় এবং বিনিয়োগে আগ্রহী হয় না। এখানে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে একটি এলে আরেকটি তাকে অনুসরণ করে।

সে অর্থে আমি মনে করি যে, আমাদের এখানে ব্যবসাবান্ধব পরিবেশ নেই। আমাদের পথে পথে দুর্নীতি। তাছাড়া এখানে ব্যবসার সংস্কৃতিও ক্ষতিকারক। কারণ ব্যবসা যারা করবেন, তাদের সে বিষয়ে জ্ঞান নেই। আজকাল ব্যবসার নামে সবই চাঁদাবাজি চলে। চাঁদাবাজিই হয়ে গেছে বড় ব্যবসার অনুষঙ্গ এবং নিয়ম বহির্ভূতভাবে এগুলো করা হচ্ছে। যে কারণে এদেশে স্বাভাবিকভাবেই ব্যবসা করা দিন দিন কঠিন হয়ে পড়েছে ।

এখন বলতে হবে দুর্যোগগুলো সারা বিশ্বব্যাপী। বাংলাদেশ থেকে প্রচুর পরিমাণে ডলার বাইরে চলে যাচ্ছে। অর্থ পাচার যদি কিছুটা রোধ করা যেত সেটি হলেও আমাদের এতটা চাপের মধ্যে থাকতে হত না। কথা হচ্ছে যদি সুস্থিরতা না আসে, সেখানে কিন্তু বিপদ আমাদের তাড়া করবে। বিশ্বাসের ঘাটতি হলে আরও বেশি অসুবিধা হবে। অর্থনীতি ও ম্যানেজমেন্টের মধ্য দিয়ে যদি বিশ্বাসের ঘাটতি শুরু হয়ে যায়, তখন তাড়াহুড়ো হতে থাকবে। চারিদিকে নাই নাই দুর্যোগ আসছে। তখন খুব ক্ষতি হয়ে যায়।

বাংলাদেশের প্রকল্প যেগুলো সম্পন্ন হওয়ার পথে, সেগুলো সম্পন্ন করে ফেলা উচিত। এমন কিছু ঘটে নাই যে লোড নেওয়া উচিত। আইএমএফ থেকে লোন নিতে গেলে আইএমএফ অনেকগুলো শর্ত দেয়, বাংলাদেশ সরকারের জন্য সেটি এতটা সহজ হবে না। বাংলাদেশ অপ্রয়োজনীয় ভর্তুকি দিচ্ছে। তখন ঘাটতি বাজেট বাড়তে থাকে, তখন বিদেশ থেকে ঋণ নেয়, ভেতর থেকেও ঋণ নেয়। বিদেশ থেকে ঋণ নিলে সেটি সমস্যা সৃষ্টি করে বেশি। চলতি হিসেবে ঘাটতি যেন ধারাবাহিকভাবে না চলে, এটি দেখতে হবে। আমরা যতটা এক্সপোর্ট করতে পারি ততটা যদি ইমপোর্ট করতে পারি তাহলে ঠিক আছে । এর বাইরে গেলে আমরা বিপদে পড়ব ।

কাজেই আমি মনে করি, আমাদের মেধায় মননে অনেক বেশি পরিশুদ্ধ হতে হবে। কাজেই সুনির্দিষ্ট নীতিমালা ছাড়া ব্যবসার পরিবেশ কোনোভাবেই ফলপ্রসূ হবে না। দেশে ব্যবসার পরিবেশ থাকলে এমনিতেই ব্যবসায়ীরা বিনিয়োগে আগ্রহী হবে।

আবু আহমেদ: অধ্যাপক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

আরএ/

Header Ad

একসঙ্গে ফিরছিলেন বাসায়, গাড়ির ধাক্কায় প্রাণ গেল স্ত্রীর

ছবি: সংগৃহীত

টাঙ্গাইলের মির্জাপু‌রে কর্মস্থল থেকে বাসায় যাওয়ার পথে শিউলি আক্তার (৪৫) নামে এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় তার স্বামী শরিফুল ইসলা‌ম আহত হয়েছেন। তিনি মির্জাপুর কুমু‌দিনী মে‌ডি‌কেল হাসপাতা‌লে ভ‌র্তি রয়েছেন।

বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) সকালে মির্জাপুর থানার উপ-প‌রিদর্শক (এসআই) জহুরুল ইসলাম এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে মঙ্গলবার (১৭ সে‌প্টেম্বর) রাত ১১টার দি‌কে ঢাকা-টাঙ্গাইল-যমুনা সেতু মহাসড়‌কের মির্জাপুর ক‌্যা‌ডেট ক‌লে‌জের সাম‌নে এ ঘটনা ঘ‌টে। 

নিহত শিউলি আক্তারের বাড়ী চাঁদপুর। তিনি মির্জাপু‌রের স্কয়ার ফার্মা‌সিউটিক‌্যাল লি‌মি‌ডে‌টের প্রোডাক্টশন বিভা‌গের সহকা‌রী টিম লিডার এবং আহত তার স্বামী শ‌রিফুল একই কোম্পানীর ইঞ্জি‌নিয়ারিং বিভা‌গে কর্মরত ছিলেন। 

মির্জাপুর থানার উপ-প‌রিদর্শক (এসআই) জহুরুল ইসলাম জানান, রা‌তে তারা কর্মস্থল থে‌কে মোটরসাইকেল‌ যো‌গে বাসায় যা‌চ্ছি‌লেন। সড়কের মির্জাপুর ক‌্যা‌ডেট ক‌লে‌জের সাম‌নে পৌঁছলে অজ্ঞাত প‌রিবহন মোটরসাইকেল‌টি‌কে ধাক্কা দি‌লে ঘটনাস্থ‌লেই শিউলি মারা যায়। এতে গুরুত্বর আহত হয় তার স্বামী। পরে তা‌কে উদ্ধার ক‌রে মির্জাপুর কুমু‌দিনী হাসপাতা‌লে ভ‌র্তি করা হ‌য়ে‌ছে। 

যৌথ বাহিনীর অভিযানে আটক যুবদল নেতার মৃত্যু

ছবি: সংগৃহীত

ময়মনসিংহে যৌথ বাহিনীর অভিযানে আটকের পর সাইদুল ইসলাম (৪০) নামে এক যুবদল নেতার মৃত্যু হয়েছে। সে মহানগর যুবদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। সোমবার (১৬ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাত সাড়ে ১০টার পর নগরীর গোলপুকুর পাড় এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করা হয়। নিহত সাইদুল ইসলাম নগরীর গোলপুকুর পাড় এলাকার বাসিন্দা আব্দুস ছালামের ছেলে।

সূত্র জানায়, গত ৫ আগস্টের পর সাইদুল ইসলামের বিরুদ্ধে জমি দখল, বালুর ঘাট দখল, স্থানীয় ব‍্যবসায়িদের কাছ থেকে চাঁদাবাজি, অস্ত্র প্রদর্শনসহ নানা অপকর্মের অভিযোগ উঠে। এসব ঘটনায় সম্প্রতি যৌথ বাহিনীর কাছে একাধিক অভিযোগ দায়ের হলে সোমবার দিবাগত রাতে সাইদুল ইসলামকে আটকে অভিযান চালায় যৌথ বাহিনীর একটি দল। এতে আটক হয় সাইদুল। পরে রাত দেড়টার দিকে সাইদুল ইসলামকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ (মমেক) হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব‍্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত বলে ঘোষণা করে।

হাসপাতালের উপপরিচালক জাকিউল ইসলাম জানান, রাত ১টার দিকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা সাইদুরসহ বেশ কয়েকজনকে হাসপাতালে নিয়ে আসে। এর মধ্যে সাইদুল মারা যায়। বাকিদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে নিয়ে যায় যৌথ বাহিনী।

তবে এ বিষয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কোন সদস্য মন্তব্য করতে রাজি হননি। একজন ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে নিহতের সুরতহাল সম্পন্ন করা হয়। পরে মঙ্গলবার বিকেলে স্বজনদের কাছে মরদেহ বুঝিয়ে দেয়া হয়। রাতে জানাজার শেষে নিহত সাইদুলের দাফন সম্পন্ন হয়।

এ ঘটনায় কোতোয়ালী মডেল থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা দায়ের করা হয়েছে। তবে এ বিষয়ে পরিবারের কোন সদস্যও মন্তব্য করতে রাজি হননি।

ভারতে এক কেজির ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ৩০০০ রুপিতে

ফাইল ছবি

বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার ইলিশ রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা দেওয়ায় ইলিশ নিয়ে হিমশিম খাচ্ছে ভারতীয়রা। ওপার বাংলার কলকাতার বাজারে আকাশচুম্বী দামে বিক্রি হচ্ছে ইলিশ। এতে করে ব্যাপক চাহিদা গিয়ে ভিন্ন উপায় অবলম্বন করতে হচ্ছে ভারতীয় ব্যবসায়ীদের।

ভারতের মাছ বিক্রেতারা কেউ কেউ অবৈধভাবে ইলিশ আমদানি করছেন অথবা সীমিত আকারে হিমায়িত মজুত করা ইলিশ আকাশচুম্বী দামে বিক্রি করছেন। বিভিন্ন গণমাধ্যমের প্রতিবেদন থেকে জানা যাচ্ছে এক কেজি ওজনের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে তিন হাজার রুপিতে। নিষেধাজ্ঞার আগে কলকাতা ও দিল্লিতে প্রতি কেজি ইলিশ বিক্রি হতো ১২০০ থেকে ১৫০০ রুপিতে।

এদিকে দিল্লির সিআর পার্ক মার্কেট-১ এর এক মাছবিক্রেতা জানান, তিনি এবং আরও অনেকে অবৈধভাবে ইলিশ এনে প্রতি কেজি তিন হাজার রুপিতে বিক্রি করছেন। তিনি বলেন, দুর্গা পূজা আসছে, আর বাঙালি ক্রেতারা ইলিশ চায়। আমাদের তাদের চাহিদা মেটাতে হবে।

কলকাতার বিখ্যাত গড়িয়াহাট বাজারের একজন পাইকারি মাছবিক্রেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে তিনি বলেন, গোপন চ্যানেলে অবৈধভাবে মাছ ভারতে আসছে। এখন চাহিদার কারণে দাম একটু বেশিই হয়েছে। উৎসব শেষ হলে এক মাস পরে দাম কমবে বলেও জানান তিনি।

সর্বশেষ সংবাদ

একসঙ্গে ফিরছিলেন বাসায়, গাড়ির ধাক্কায় প্রাণ গেল স্ত্রীর
যৌথ বাহিনীর অভিযানে আটক যুবদল নেতার মৃত্যু
ভারতে এক কেজির ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ৩০০০ রুপিতে
সাবেক এমপি সেলিম আলতাফ গ্রেপ্তার
ম্যাজিস্ট্রেসি পাওয়ারে কী কী করতে পারবে সেনাবাহিনী ?
দুই মাসের ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা পেল সেনাবাহিনী
শুক্রবারও চলবে মেট্রোরেল, চালু হচ্ছে কাজীপাড়া স্টেশন
গতিশীল প্রবাসী আয় রিজার্ভের পতন ঠেকাচ্ছে: বাংলাদেশ ব্যাংক
রংধনু গ্রুপের পরিচালক মিজান গ্রেপ্তার
‘জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনে’ প্রধান উপদেষ্টার ১০০ কোটি টাকার অনুদান
অন্তর্বর্তী সরকারকে ব্যর্থ হতে দেওয়া যাবে না: তারেক রহমান
দুবাইফেরত যাত্রীর সাবান-শ্যাম্পু হাতিয়ে বরখাস্ত ৩ কর্মকর্তা
সাবেক রেলপথমন্ত্রী নূরুল ইসলামের রিমান্ড স্থগিত
ভাইরাল হওয়া মালা খানের স্বামী ও দুই মেয়ে থাকেন কানাডায়, ঢাকায় আছে গরু-ছাগলের খামার!
পদত্যাগ করলেন ভারতের দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল
যে গ্রামের নাম শুনলেই ভেঙে যায় বিয়ে, মেলে না চাকরি!
এখনই রাজনৈতিক দল খোলার কোনো অভিপ্রায় আমাদের নেই : উপদেষ্টা আসিফ
বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক আরও এগিয়ে নিতে ভারত আগ্রহী: জয়শঙ্কর
আইসিসির লেভেল ৩ কোচ হলেন মোহাম্মদ আশরাফুল
নেতাকর্মীদের প্রতি আওয়ামী লীগের দুই নির্দেশনা