বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪ | ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

উন্নয়নের ধারাবাহিকতায় অর্থের যোগান বড় চ্যালেঞ্জ

কয়েক বছরে বাংলাদেশে ধারাবাহিক উন্নয়ন হয়েছে। আমরা এলডিসি থেকে উত্তরণ করেছি। এর ফলে আমাদের প্রত্যাশা ও আকাঙ্ক্ষা বেড়েছে। এর আলোকে আমি যদি ২০২৩-২৪ এর বাজেটের কথা চিন্তা করি, তাহলে বেশ কিছু চ্যালেঞ্জ রয়েছে। আমরা বলছি, আমাদের বাজেটের আকার বড় হয়েছে। কিন্তু জিডিপির মাত্রায় যদি আমরা দেখি, এটি কিন্তু এখনো ৫-৬ শতাংশ। অর্থাৎ এটা ১৪-১৫ শতাংশের বেশি না। দক্ষিণ এশিয়ায় সরকারের যেই ব্যয়, সে অনুযায়ী জিডিপির অংশ হিসেবে আমাদের এটা সবচেয়ে কম। সুতরাং প্রথম যেই সমস্যাটা আমাদের বাজেট প্রণেতাদের মুখোমুখি হতে হয় সেটা হলো আমাদের আরও অর্থের প্রয়োজন। অর্থের সংকুলান করাটাই এখন একটা বড় চ্যালেঞ্জ।

আসন্ন অর্থবছরের বাজেটে অর্থের সংকুলান করাই এখন বড় চ্যালেঞ্জ। বাজেটের তিনটি দিকের মধ্যে একটি হলো সম্পদ আহরণ, দ্বিতীয়টি সম্পদের বণ্টন এবং তৃতীয়টি হলো সম্পদ বণ্টনের দক্ষতা। সম্পদ আহরণের দিক থেকে যদি বলি, যে চ্যালেঞ্জের প্রেক্ষিতে বাজেটটি প্রণয়ন করা হয়েছে— আমাদের একটি মূল্যস্ফীতির চাপ আছে, কোভিড থেকে আমাদের অর্থনীতির ঘুরে দাঁড়ানোর প্রয়োজনীয়তা আছে। সাধারণ মানুষের ঘুরে দাঁড়ানোর প্রেক্ষিতে তাদের জীবন মানের নিশ্চয়তা বিধানের একটি প্রয়োজনীয়তা আছে। এটির প্রেক্ষিতে যদি দেখা যায়, তাহলে আমি বলব সেখানে কিছু কিছু প্রচেষ্টা আছে, যাতে করে বিনিয়োগকে প্রণোদিত করা যায়। সাধারণ মানুষের মূল্যস্ফীতির চাপকে সহনীয় করা যায়। তারপরও আমার মনে হয় যে, কিছু কিছু জায়গায় বাজেটে দুর্বলতা রয়ে গেছে।

সম্পদ আহরণের ক্ষেত্রে আমাদের আরও উচিত হবে আরও বেশি প্রচেষ্টা গ্রহণ। আমাদের দেশে এখনো অপ্রত্যক্ষ করের উপরেই রয়ে গেছে। কাজেই প্রত্যক্ষ কর আহরণের দিকে আমাদের আরও বেশি নজর দেওয়া উচিত। স্থানীয় শিল্পকে সংরক্ষণ দেওয়ার একটি প্রচেষ্টা আছে আমদানি শুল্ক বাড়িয়ে এবং উৎপাদনের উপর শুল্ক কমিয়ে। আমার মনে হয় যারা নিম্নবিত্ত আছে তাদের স্বস্তি দেওয়ার জন্য করের আয় সীমা না বাড়লেও নিম্নতম করের উপর যে এক লাখ টাকার ৫ শতাংশ এর যে একটি স্ল্যাব আছে সেটিকে আরও বাড়িয়ে এটি করা যেতে পারত। তাহলে যারা স্বল্প আয়ের মানুষ তাদের কর কিছুটা কম দিতে হতো। সর্বোচ্চ যে কর যেটি ৩০ শতাংশ থেকে ২৫ শতাংশ এ নামানো হয়েছিল, কোভিডের সময়ে উচ্চ আয়ের মানুষদের তেমন একটা নেতিবাচক প্রভাব পড়েনি। আর বিতরণের দিক থেকে অগ্রাধিকারপ্রাপ্ত খাতগুলো ঠিকই ছিল। কিন্তু আমরা দেখেছি যে সামাজিক সুরক্ষাখাতে যদিও বরাদ্দ কিছুটা টাকার অংকে বেড়েছে, আমরা যেটি দেখি পেনশন, বেতন, সঞ্চয়পত্রে সরকারের ভর্তুকি, এটিকে বাদ দিলে সামাজিক সুরক্ষায় প্রকৃত ব্যয় তিন হাজার কোটি টাকা কমে গেছে।

শিক্ষাখাতে শিশুদের দুই বছরের ব্যত্যয় হয়েছে, শিক্ষালাভের ক্ষেত্রে, সেখানে শিক্ষাখাতে বরাদ্দটুকু আরও বৃদ্ধি করা দরকার বলে আমি মনে করি। বিশেষত ২০১৮ সালের বাজেটে বলা হয়েছিল চাইল্ড বাজেট আলাদা করে দেওয়া হবে ১৫.৫ শতাংশ পুরো বাজেটের এবার সে বিষয়েও কিছু বলা হয়নি। আমার মনে হয় যে, শিশু ও মাতৃত্বকালীন প্রকল্প অর্থাৎ সব মা ও শিশুকে এর আওতায় নিয়ে আসা, সেক্ষেত্রেও বরাদ্দ বৃদ্ধি করা দরকার বলে আমার মনে হয়েছে।

সামগ্রিকভাবে আমাদের দেশে সরকারি ব্যয় জিডিপির ১৫.৫ শতাংশ এর মতো। এটি কিন্তু দক্ষিণ এশিয়াতে সর্বনিম্ন। আমাদের সেটি বাড়াতে হবে এবং সেটি করতে হলে আমাদেরও সম্পদ আহরণ বাড়াতে হবে। এসব জায়গাগুলোতে আরও বিনিয়োগ করা দরকার। কর প্রস্তাবে যেটি বলা হয়েছে যে, বাইরের টাকা দেশে আনার জন্য প্রণোদনা দেওয়া, বাইরের টাকা ১৫ শতাংশ দেখিয়ে সেটিকে লিগ্যালাইজ করা, সেটিকে দেশে নিয়ে আসতে গেলে ১০ শতাংশ অথবা টাকার ক্ষেত্রে ৭ শতাংশ ইত্যাদি যেসব সুযোগ দেওয়া হয়েছে সেটি আমি মনে করি, নৈতিকভাবে অগ্রহণযোগ্য, অর্থনৈতিকভাবে অযৌক্তিক এবং রাজনৈতিকভাবেও এটি সমর্থনযোগ্য নয়।

অর্থনৈতিকভাবে কতটুকু কী হবে জানি না, তবে ন্যায়ের শাসনে ব্যত্যয় হবে বলে মনে করি। সুতরাং কীভাবে দেশ থেকে অর্থপাচার না হয়, সেদিকে খেয়াল করে, যে আইন কানুনগুলো আছে সেগুলো যদি কাজে লাগানো যায়, অর্থনৈতিকভাবে শূন্যসহিষ্ণুতা বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী যে কথাটি সবসময় বলেন, সেদিকে আমাদের নজর দেওয়া উচিত বলে আমি মনে করি।

ড. মোস্তাফিজুর রহমান: অধ্যাপক ও সম্মানীয় ফেলো, সিপিডি

আরএ/

Header Ad

ভারতে সাজাভোগ শেষে দেশে ফিরল ২৪ বাংলাদেশি কিশোর-কিশোরী

ভারতে সাজাভোগ শেষে দেশে ফিরল ২৪ বাংলাদেশি কিশোর-কিশোরী। ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

বিভিন্ন মেয়াদে সাজাভোগ শেষে দেশে ফিরল ভারতে পাচার হওয়া ২৪ বাংলাদেশি কিশোর-কিশোরী। এদের মধ্যে ১৩ জন কিশোর ও ১১ জন কিশোরী রয়েছে। বুধবার (২০নভেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে তাদেরকে ভারতীয় ইমিগ্রেশন পুলিশ বেনাপোল চেকপোস্ট ইমিগ্রেশন পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে।

ফেরত আসাদের তিনটি এনজিও সংস্থা গ্রহণ করেছে। এর মধ্যে রাইটস যশোর ১১ জন, বাংলাদেশ মহিলা আইনজীবী সমিতি ৭ জন এবং জাস্টিস এন্ড কেয়ার ৬ জনকে গ্রহণ করেছে। এরা দেশের পটুয়াখালি,কক্সবাজার, সাতক্ষীরা জেলার বাসিন্দা।

জাস্টিস এন্ড কেয়ারের সিনিয়র প্রোগ্রাম অফিসার মুহিত হোসেন বলেন, অবৈধভাবে ভারতে অনুপ্রবেশের পর সেদেশের পুলিশ বিভিন্ন এলাকা থেকে তাদের আটক করে। পরে তাদেরকে আদালতে পাঠায় পুলিশ। অবৈধ অনুপ্রবেশের অভিযোগে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা হয় তাদের। সাজা শেষ হওয়ার পর ভারতীয় বিভিন্ন মানবাধিকার সংস্থা তাদের নিজস্ব শেল্টারহোমে রাখে। দুই দেশের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কাগজপত্রের আনুষ্ঠানিকতা শেষে আজ বেনাপোল দিয়ে বাংলাদেশে হস্তান্তর করেন ভারতীয় পুলিশ।

বেনাপোল ইমিগ্রেশনের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ইমতিয়াজ ভূঞা জানান,পাচার হওয়া বাংলাদেশি ২৪ জনকে ইমিগ্রেশনের আনুষ্ঠানিকতা শেষে বেনাপোল পোর্ট থানায় সোপর্দ করা হয়েছে। সেখান থেকে তিনটি এনজিও সংস্থা তাদের গ্রহণ করে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করবে।

Header Ad

ঢাকার বিভিন্ন পয়েন্টে অবরোধ করে ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকদের বিক্ষোভ

ঢাকার বিভিন্ন পয়েন্টে অবরোধ করে ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকদের বিক্ষোভ। ছবি: সংগৃহীত

রাজধানীর মহাখালী, মোহাম্মদপুর, মিরপুর, গাবতলী ও ডেমরা এলাকায় ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকরা সড়ক অবরোধ করেছেন। এতে এসব এলাকায় তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। ভোগান্তিতে পড়েছেন মানুষ।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ৯টা থেকে ১০টার মধ্যে এসব এলাকায় রিকশাচালকরা জড়ো হন। পুলিশ তাদের সরে যেতে বললেও তারা সড়ক ছাড়েননি।

প্রত্যক্ষদর্শী জানান, গাবতলীতে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করছে ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকরা। এর ফলে পাটুরিয়া ও যমুনা সেতু থেকে আসা গাড়ির আটকা আছে। ফলে রাজধানী থেকে কোনো গাড়ি বের হতে পারছে না এবং কোনো গাড়ি ঢুকতেও পারছে না।

এর আগে, বুধবারও (২০ নভেম্বর) রাজধানীর বিভিন্ন সড়কে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করেন রিকশাচালকরা।

মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) বিচারপতি ফাতেমা নজীব ও বিচারপতি মাহমুদুর রাজীর হাইকোর্ট বেঞ্চ ঢাকা মহানগর এলাকায় তিন দিনের মধ্যে ব্যাটারিচালিত রিকশা চলাচল বন্ধের আদেশ দিয়েছিলেন। এতে স্বরাষ্ট্র সচিব, স্থানীয় সরকার সচিব, আইজিপি, ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনার, ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন কর্তৃপক্ষসহ সংশ্লিষ্টদের আদালতের এ আদেশ বাস্তবায়ন করতে বলা হয়েছে।

প্যাডেলচালিত রিকশা সংগঠন মালিক ঐক্যজোটের সভাপতি জহুরুল ইসলাম মাসুম ও সাধারণ সম্পাদক মো. মমিন আলী এ বিষয়ে রিট পিটিশনটি দায়ের করেছিলেন। রাজধানীতে বর্তমানে প্রায় ১২ লাখ রিকশা চলাচল করছে। যার বড় একটি অংশ ব্যাটারিচালিত।

Header Ad

গাজায় ইসরায়েলের হামলায় আরও ৮৮ ফিলিস্তিনি নিহত

ছবি: সংগৃহীত

ইসরায়েলি বর্বর হামলায় গাজা ভূখণ্ডের উত্তরাঞ্চলে কমপক্ষে ৮৮ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এতে করে উপত্যকাটিতে মোট নিহত প্রায় ৪৪ হাজার ও আহত হয়েছেন আরও লক্ষাধিক ফিলিস্তিনি।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) এক প্রতিবেদনে সংবাদমাধ্যমটি বলছে, ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী উত্তর গাজায় ব্যাপক হামলা চালাচ্ছে এবং এই অঞ্চলের বেইত লাহিয়া ও গাজা শহরের শেখ রাদওয়ান পাড়ায় দুটি আক্রমণে ৮৮ ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে বলে আল জাজিরা আরবি জানিয়েছে।

গত বছরের অক্টোবর থেকে এ পর্যন্ত মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৪৩ হাজার ৯৮৫ জনে পৌঁছেছে। এ সময়ে আরও অন্তত ১ লাখ ৪ হাজার ৯২ জন ব্যক্তিও আহত হয়েছেন।

এদিকে বেইত লাহিয়ায় ইসরায়েলের হামলার নিহতদের অধিকাংশই নারী ও শিশু। বেইত লাহিয়ার কামাল আদওয়ান হাসপাতালের পরিচালক ডা. হুসাম আবু সাফিয়া আল জাজিরা আরবিকে বলেছেন, উত্তরাঞ্চলীয় এই শহরে ইসরায়েলের হামলার পরে কয়েক ডজন লোকের মৃতদেহ হাসপাতালে আনা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, ধ্বংসস্তূপে আটকে পড়াদের বাঁচানোর কোনো উপায় নেই। কারণ, ইসরায়েলি বাহিনী উত্তর গাজা অবরোধ করে রেখেছে এবং ফিলিস্তিনি সিভিল ডিফেন্সের জরুরি কর্মীদের ওই এলাকায় কাজ করতে বাধা দিয়েছে।

এর আগে, বেইত লাহিয়ায় ইসরায়েলের হামলায় অন্তত ৬৬ জন নিহত হয়েছে। আহত হয়েছেন আরও ডজন খানেক মানুষ বলে জানানো হয়েছিল।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

ভারতে সাজাভোগ শেষে দেশে ফিরল ২৪ বাংলাদেশি কিশোর-কিশোরী
ঢাকার বিভিন্ন পয়েন্টে অবরোধ করে ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকদের বিক্ষোভ
গাজায় ইসরায়েলের হামলায় আরও ৮৮ ফিলিস্তিনি নিহত
সাবেক এমপি শাহজাহান ওমরের বাড়িতে হামলা-ভাঙচুর
১২ বছর পর সেনাকুঞ্জে যাচ্ছেন খালেদা জিয়া
ধামরাইয়ে শ্রমিকবাহী বাস-ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষ, নিহত ৪
শিখা অনির্বাণে রাষ্ট্রপতি ও প্রধান উপদেষ্টার শ্রদ্ধা
সশস্ত্র বাহিনী দিবস আজ, বিশেষ মোনাজাতের মধ্যদিয়ে কর্মসূচি শুরু
সেন্টমার্টিনে যেতে নিবন্ধনসহ যা করতে হবে পর্যটকদের
সিটি কলেজ অন্যত্র সরিয়ে নেওয়াসহ ৯ দাবি ঢাকা কলেজ কর্তৃপক্ষের
ট্রাইব্যুনাল চাইলে বিচার কাজের অডিও ভিজ্যুয়াল প্রচার করতে পারবে
বিসিবির ঘোষিত পুরস্কারের অর্থ বুঝে পেলেন সাবিনারা
২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে ৫ মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ১০৩৪
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের অধীনে বিশাল নিয়োগ, নেবে ৫৩০ জন
খোদা বকশ-আলী ইমামরা গণতন্ত্রের বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছেন : রিজভী
গোবিন্দগঞ্জে ট্রাকের চাকায় পিষ্ট হয়ে পথচারীর মৃত্যু
ব্যাংককে একান্তে সময় কাটাচ্ছেন রাফসান-জেফার!
নতুন আইজিপি হিসেবে নিয়োগ পেলেন বাহারুল আলম
হাসিনা সরকার বাংলাদেশের ক্রীড়াঙ্গনকে ধ্বংস করে ফেলেছে: আমিনুল হক
ডিএমপির নতুন কমিশনার শেখ সাজ্জাদ আলী