বৃহস্পতিবার, ১২ ডিসেম্বর ২০২৪ | ২৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

উন্নয়নের ধারাবাহিকতায় অর্থের যোগান বড় চ্যালেঞ্জ

কয়েক বছরে বাংলাদেশে ধারাবাহিক উন্নয়ন হয়েছে। আমরা এলডিসি থেকে উত্তরণ করেছি। এর ফলে আমাদের প্রত্যাশা ও আকাঙ্ক্ষা বেড়েছে। এর আলোকে আমি যদি ২০২৩-২৪ এর বাজেটের কথা চিন্তা করি, তাহলে বেশ কিছু চ্যালেঞ্জ রয়েছে। আমরা বলছি, আমাদের বাজেটের আকার বড় হয়েছে। কিন্তু জিডিপির মাত্রায় যদি আমরা দেখি, এটি কিন্তু এখনো ৫-৬ শতাংশ। অর্থাৎ এটা ১৪-১৫ শতাংশের বেশি না। দক্ষিণ এশিয়ায় সরকারের যেই ব্যয়, সে অনুযায়ী জিডিপির অংশ হিসেবে আমাদের এটা সবচেয়ে কম। সুতরাং প্রথম যেই সমস্যাটা আমাদের বাজেট প্রণেতাদের মুখোমুখি হতে হয় সেটা হলো আমাদের আরও অর্থের প্রয়োজন। অর্থের সংকুলান করাটাই এখন একটা বড় চ্যালেঞ্জ।

আসন্ন অর্থবছরের বাজেটে অর্থের সংকুলান করাই এখন বড় চ্যালেঞ্জ। বাজেটের তিনটি দিকের মধ্যে একটি হলো সম্পদ আহরণ, দ্বিতীয়টি সম্পদের বণ্টন এবং তৃতীয়টি হলো সম্পদ বণ্টনের দক্ষতা। সম্পদ আহরণের দিক থেকে যদি বলি, যে চ্যালেঞ্জের প্রেক্ষিতে বাজেটটি প্রণয়ন করা হয়েছে— আমাদের একটি মূল্যস্ফীতির চাপ আছে, কোভিড থেকে আমাদের অর্থনীতির ঘুরে দাঁড়ানোর প্রয়োজনীয়তা আছে। সাধারণ মানুষের ঘুরে দাঁড়ানোর প্রেক্ষিতে তাদের জীবন মানের নিশ্চয়তা বিধানের একটি প্রয়োজনীয়তা আছে। এটির প্রেক্ষিতে যদি দেখা যায়, তাহলে আমি বলব সেখানে কিছু কিছু প্রচেষ্টা আছে, যাতে করে বিনিয়োগকে প্রণোদিত করা যায়। সাধারণ মানুষের মূল্যস্ফীতির চাপকে সহনীয় করা যায়। তারপরও আমার মনে হয় যে, কিছু কিছু জায়গায় বাজেটে দুর্বলতা রয়ে গেছে।

সম্পদ আহরণের ক্ষেত্রে আমাদের আরও উচিত হবে আরও বেশি প্রচেষ্টা গ্রহণ। আমাদের দেশে এখনো অপ্রত্যক্ষ করের উপরেই রয়ে গেছে। কাজেই প্রত্যক্ষ কর আহরণের দিকে আমাদের আরও বেশি নজর দেওয়া উচিত। স্থানীয় শিল্পকে সংরক্ষণ দেওয়ার একটি প্রচেষ্টা আছে আমদানি শুল্ক বাড়িয়ে এবং উৎপাদনের উপর শুল্ক কমিয়ে। আমার মনে হয় যারা নিম্নবিত্ত আছে তাদের স্বস্তি দেওয়ার জন্য করের আয় সীমা না বাড়লেও নিম্নতম করের উপর যে এক লাখ টাকার ৫ শতাংশ এর যে একটি স্ল্যাব আছে সেটিকে আরও বাড়িয়ে এটি করা যেতে পারত। তাহলে যারা স্বল্প আয়ের মানুষ তাদের কর কিছুটা কম দিতে হতো। সর্বোচ্চ যে কর যেটি ৩০ শতাংশ থেকে ২৫ শতাংশ এ নামানো হয়েছিল, কোভিডের সময়ে উচ্চ আয়ের মানুষদের তেমন একটা নেতিবাচক প্রভাব পড়েনি। আর বিতরণের দিক থেকে অগ্রাধিকারপ্রাপ্ত খাতগুলো ঠিকই ছিল। কিন্তু আমরা দেখেছি যে সামাজিক সুরক্ষাখাতে যদিও বরাদ্দ কিছুটা টাকার অংকে বেড়েছে, আমরা যেটি দেখি পেনশন, বেতন, সঞ্চয়পত্রে সরকারের ভর্তুকি, এটিকে বাদ দিলে সামাজিক সুরক্ষায় প্রকৃত ব্যয় তিন হাজার কোটি টাকা কমে গেছে।

শিক্ষাখাতে শিশুদের দুই বছরের ব্যত্যয় হয়েছে, শিক্ষালাভের ক্ষেত্রে, সেখানে শিক্ষাখাতে বরাদ্দটুকু আরও বৃদ্ধি করা দরকার বলে আমি মনে করি। বিশেষত ২০১৮ সালের বাজেটে বলা হয়েছিল চাইল্ড বাজেট আলাদা করে দেওয়া হবে ১৫.৫ শতাংশ পুরো বাজেটের এবার সে বিষয়েও কিছু বলা হয়নি। আমার মনে হয় যে, শিশু ও মাতৃত্বকালীন প্রকল্প অর্থাৎ সব মা ও শিশুকে এর আওতায় নিয়ে আসা, সেক্ষেত্রেও বরাদ্দ বৃদ্ধি করা দরকার বলে আমার মনে হয়েছে।

সামগ্রিকভাবে আমাদের দেশে সরকারি ব্যয় জিডিপির ১৫.৫ শতাংশ এর মতো। এটি কিন্তু দক্ষিণ এশিয়াতে সর্বনিম্ন। আমাদের সেটি বাড়াতে হবে এবং সেটি করতে হলে আমাদেরও সম্পদ আহরণ বাড়াতে হবে। এসব জায়গাগুলোতে আরও বিনিয়োগ করা দরকার। কর প্রস্তাবে যেটি বলা হয়েছে যে, বাইরের টাকা দেশে আনার জন্য প্রণোদনা দেওয়া, বাইরের টাকা ১৫ শতাংশ দেখিয়ে সেটিকে লিগ্যালাইজ করা, সেটিকে দেশে নিয়ে আসতে গেলে ১০ শতাংশ অথবা টাকার ক্ষেত্রে ৭ শতাংশ ইত্যাদি যেসব সুযোগ দেওয়া হয়েছে সেটি আমি মনে করি, নৈতিকভাবে অগ্রহণযোগ্য, অর্থনৈতিকভাবে অযৌক্তিক এবং রাজনৈতিকভাবেও এটি সমর্থনযোগ্য নয়।

অর্থনৈতিকভাবে কতটুকু কী হবে জানি না, তবে ন্যায়ের শাসনে ব্যত্যয় হবে বলে মনে করি। সুতরাং কীভাবে দেশ থেকে অর্থপাচার না হয়, সেদিকে খেয়াল করে, যে আইন কানুনগুলো আছে সেগুলো যদি কাজে লাগানো যায়, অর্থনৈতিকভাবে শূন্যসহিষ্ণুতা বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী যে কথাটি সবসময় বলেন, সেদিকে আমাদের নজর দেওয়া উচিত বলে আমি মনে করি।

ড. মোস্তাফিজুর রহমান: অধ্যাপক ও সম্মানীয় ফেলো, সিপিডি

আরএ/

Header Ad
Header Ad

প্রধান বিচারপতির সঙ্গে সংবিধান সংস্কার কমিশনের সাক্ষাৎ

প্রধান বিচারপতি ও সংবিধান সংস্কার কমিশনের সদস্যরা ।। ছবিঃ সংগৃহীত

প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন সংবিধান সংস্কার কমিশনের সদস্যরা।

বুধবার (১১ ডিসেম্বর) প্রধান বিচারপতির কার্যালয়ে এ সৌজন্য সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়।

সাক্ষাৎকালে সংবিধান সংস্কার কমিশনের কার্যক্রমের অগ্রগতির বিষয়ে আলোচনা হয়। বৈঠকে সংবিধান ও বিচার ব্যবস্থার প্রয়োজনীয় সংস্কারের মাধ্যমে কীভাবে বিচারকার্যকে হস্তক্ষেপমুক্ত করা যায় এবং বিচারকে সহজে জনসাধারণের কাছে পৌঁছে দেওয়া যায়, সে বিষয়ে প্রধান বিচারপতি ও কমিশনের সদস্যরা মতবিনিময় করেন।

এসময় সংবিধান সংস্কার কমিশনের প্রধান অধ্যাপক আলী রীয়াজের নেতৃত্বে কমিশনের সদস্য ব্যারিস্টার ইমরান সিদ্দিক, অধ্যাপক মোহাম্মদ ইকরামুল হক, ড. শরীফ ভূঁইয়া, ব্যারিস্টার এম মঈন আলম ফিরোজী, ফিরোজ আহমেদ, মো. মুসতাইন বিল্লাহ উপস্থিত ছিলেন।

Header Ad
Header Ad

সরকারি চাকরির আবেদন ফি কমিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি

সরকারি চাকরির আবেদন ফি কমিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি।। ছবিঃ সংগৃহীত

বিসিএসসহ সব ধরনের সরকারি প্রতিষ্ঠানে নিয়োগ পরীক্ষার আবেদন ফি সর্বোচ্চ ২০০ টাকা নির্ধারণ করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে সরকার।

বুধবার (১১ ডিসেম্বর) সরকারি কর্ম কমিশনের সঙ্গে পরামর্শ করে বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (বয়স, যোগ্যতা ও সরাসরি নিয়োগের জন্য পরীক্ষা) বিধিমালা, ২০১৪ সংশোধন করে প্রজ্ঞাপন জারি করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।

এর আগে বিসিএস পরীক্ষার আবেদন ফি ছিল ৭০০ টাকা, এটিকে ২০০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। বিসিএসে মৌখিক পরীক্ষার নম্বর ২০০ থেকে কমিয়ে ১০০ করা হয়েছে। ফলে বিসিএসে আগে ১১০০ নম্বরের পরীক্ষা হলেও এখন থেকে ১০০০ নম্বরের পরীক্ষা হবে।

সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়স বেড়ে ৩২ বছর নির্ধারণ করায় বিধিমালা সংশোধন করে সরকারি চাকরিতে প্রবেশের সর্বোচ্চ বয়স ৩২ বছর করা হয়েছে।

সরকারি চাকরিতে আবেদন ফি কমানোর সিদ্ধান্ত গত ২৭ নভেম্বর থেকে কার্যকর ধরা হয়েছে। গত ৪ ডিসেম্বর প্রশাসনিক উন্নয়ন সংক্রান্ত সচিব কমিটি সরকারি চাকরিতে সর্বোচ্চ আবেদন ফি ২০০ টাকা নির্ধারণ করে দেয়।

Header Ad
Header Ad

২১ হাজার ৯৪৩ কোটি টাকার জ্বালানি তেল কিনবে সরকার

জালানী তেল।। ছবিঃ সংগৃহীত

সিঙ্গাপুর, সংযুক্ত আরব আমিরাত এবং সোদি আরব থেকে ২১ হাজার ৯৪৩ কোটি ৭৩ লাখ ৪০ হাজার টাকার জ্বালানি তেল আমদানির অনুমোদন দিয়েছে সরকার। এরমধ্যে ১১ হাজার ২৩৩ কোটি ৫৭ লাখ টাকার অপরিশোধিত জ্বালানি তেল (ক্রড অয়েল) এবং ১০ হাজার ৭১০ কোটি ১৬ লাখ ৪০ হাজার টাকার পরিশোধিত জ্বালানি তেল রয়েছে।

বুধবার (১১ ডিসেম্বর) সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির সভায় এই জ্বালানি তেল আমদানির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের আওতায় সংযুক্ত আরব আমিরাতের আবুধাবি ন্যাশনাল অয়েল কোম্পানি (এডিএসওসি) থেকে ২০২৫ সালের জন্য ৬ লাখ টন মারবান গ্রেজের অপরিশোধিত জ্বালানি তেল (ক্রুড অয়েল) আমদানি অনুমোদন দিয়েছে সরকার। এতে ব্যয় ধরা হয়েছে ৫ হাজার ২০৮ কোটি ৩৬ লাখ ৪০ হাজার টাকা।

জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে সৌদি আরবের সৌদি এরাবিয়ান অয়েল কোম্পানি থেকে ২০২৫ সালের জন্য ৭ লাখ টন এরাবিয়ান লাইট ক্রড (এএলসি) গ্রেডের অপরিশোধিত জ্বালানি তেল (ক্রড অয়েল) আমদানির অনুমোদন দিয়েছে উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি।

বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের (বিপিসি) মাধ্যমে এই জ্বালানি তেল আমদানি করা হবে। এতে মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ৬ হাজার ২৫ কোটি ২০ লাখ ৬০ হাজার টাকা।

জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের আর এক প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে ২০২৫ সালের জানুয়ারি-জুন সময়ে আন্তর্জাতিক কোটেশন (দরপত্র) প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ১০ হাজার ৭১০ কোটি ১৬ লাখ ৪০ হাজার টাকার পরিশোধিত জ্বালানি তেল আমদানির প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি।

সিঙ্গাপুরের ইউনিপেক সিঙ্গাপুর প্রাইভেট লিমিটেড, ভিটল এশিয়া প্রাইভেট লিমিটেড এবং দুবাইয়ের ওকিউ ট্রেডিং লিমিটেড থেকে এই পরিশোধিত জ্বালানি তেল আমদানি করা হবে।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

প্রধান বিচারপতির সঙ্গে সংবিধান সংস্কার কমিশনের সাক্ষাৎ
সরকারি চাকরির আবেদন ফি কমিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি
২১ হাজার ৯৪৩ কোটি টাকার জ্বালানি তেল কিনবে সরকার
ঢাকা সফর নিয়ে দিল্লিতে ব্রিফ করলেন বিক্রম মিশ্রি
টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌপথে ট্রলার চলাচল বন্ধ
সাত দিনের মধ্যে সম্পদের হিসাব দেবে দুদকের নতুন কমিশন
ভারতের ষড়যন্ত্র মোকাবিলায় দেশ ঐক্যবদ্ধ: রিজভী
শীতে দৈনিক দুই কোয়া রসুন খান দেখুন কি হয়!
লালমনিরহাটের নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগ নেতা গ্রেপ্তার
ভুয়া মুক্তিযোদ্ধাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে
সন্দ্বীপকে নদীবন্দর ঘোষণা নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের
বিএনপির লং মার্চ: আগরতলা সীমান্তে সতকর্তা বাড়িয়েছে ভারত
ম্যানসিটির পর আর কোনো ক্লাবের দায়িত্ব নিবেন না গার্দিওলা
আমাকে নেওয়ার ক্ষমতা এদেশের পুরুষদের নেই: বাঁধন
টাঙ্গাইল হানাদার মুক্ত দিবসে মুক্তিযোদ্ধা দলের বিজয় র‍্যালি
মাহফিলে ভারতীয় অভিনেত্রীর সৌন্দর্য বর্ণনা, ক্ষমা চাইলেন আমির হামজা
পাসপোর্ট নিয়ে প্রবাসীদের সুখবর দিলেন আইন উপদেষ্টা
সরকারি কর্মকর্তাদের বিদেশ ভ্রমণে কঠোর নির্দেশনা জারি
অনিয়ম সব জায়গাতেই, তবে পার্বত্য এলাকায় একটু বেশি: প্রধান উপদেষ্টা
আজকের দিনে পাক হানাদার মুক্ত হয় টাঙ্গাইল, উত্তোলন করা হয় স্বাধীন পতাকা