শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪ | ৬ পৌষ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

সংকট মোকাবিলায় বাংলাদেশ অনেক দেশের চেয়ে এগিয়ে

বিশ্বব্যাপী একটা আশঙ্কা, ২০২৩ সালটি একটা মহাসংকটের বছর হবে। আরও স্পষ্ট করে বলা যায় যে এবছর খাদ্য নিরাপত্তাহীনতা প্রকট হতে পারে। সেজন্য আগে থেকেই আমাদের প্রস্তুতি নেওয়া দরকার। কৃষিই যে বিপদের দিনে আমাদের রক্ষাকবচ সে কথাটি বলার অপেক্ষা রাখে না। তাই কৃষি খাতের বাড়তি বাজেট ছাড়াও তিনি সংকট মোকাবিলার জন্য আলাদা করে বাজেট করেছেন।

কৃষি গ্রামীণ মানুষের চল্লিশ শতাংশেরও বেশি কর্মসংস্থান নিশ্চিত করে। কৃষি ভালো করলে অকৃষি খাতও ভালো করে। বাড়ন্ত আধুনিক কৃষি শিল্পের কাঁচামাল ও দেশের সার্বিক অভ্যন্তরীণ চাহিদাও যোগায়। ফলে দেশে কোনো মন্দা দেখা দেয় না। ২০০৯ সালেও চলছিল বিশ্ব আর্থিক সংকট। কিন্তু সংকট মোকাবিলায় সিদ্ধহস্ত মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কৃষি, এসএমই, রপ্তানি ও প্রবাসী আয়ের উপর বিশেষ নজর দিয়ে এমন এক অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়ন কৌশল গ্রহণ করেছিলেন যার ফলে বাংলাদেশের মানুষ ওই বিশ্ব আর্থিক সংকটের আঁচই পায়নি।

উন্নয়নমুখী কেন্দ্রীয় ব্যাংক সে সময়টায় আর্থিক অন্তর্ভুক্তির কৌশল নিয়ে সরকারের মাটিঘেঁষা উন্নয়ন অভিযাত্রায় শামিল হয়েছিল। কৃষককে ১০ টাকায় হিসাব খুলে দেওয়া, বর্গাচাষিদের কম সুদে ঋণের ব্যবস্থা করা, নারী উদ্যেক্তাদের বিনা জামানতে ঋণের সুযোগ করে দেওয়াসহ অসংখ্য উদ্ভাবনীমূলক উদ্যোগ সরকারের জনবান্ধব উন্নয়ন প্রচেষ্টাকে আরও শক্ত ভিত্তির উপর দাঁড় করাতে সহযোগিতা করেছিল। অন্তর্ভুক্তিমূলক সেই উন্নয়ন কৌশল কভিড-১৯ এর অর্থনৈতিক ঝাপ্টা মোকাবিলায় যথেষ্ট কাজে লেগেছে। সরকার ও কেন্দ্রীয় ব্যাংক মিলে প্রণোদনা কর্মসূচির আদলে আর্থিক অন্তর্ভুক্তির এমন এক উপযোগী কৌশল গ্রহণ করেছিল যার কারণে বাংলাদেশের অর্থনীতি মোটেও ঝিমিয়ে পড়েনি। বরং উন্নয়নশীল ও স্বল্পোন্নত দেশগুলোর মধ্যে অন্যতম সবচেয়ে গতিশীল প্রবৃদ্ধির দেশ হিসেবে সুনাম কুড়িয়েছে।

জিডিপির প্রায় ছয় শতাংশ এই প্রণোদনার আওতায় স্বল্প সুদের ঋণ এবং সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচিকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এখনো কৃষি ও ছোট উদ্যোক্তাদের জন্য বিশেষ বিশেষ পুনঃঅর্থায়ন কর্মসূচি চালু করে বাংলাদেশ অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রবৃদ্ধির চাকাকে বেশ গতিশীল রেখেছে। বিশ্বব্যাংক ও আইএমএফ যখন সারা বিশ্বের প্রবৃদ্ধি এবছর এবং আগামী বছর তিন শতাংশের আশে পাশে রাখছে সেই সব প্রতিষ্ঠানই বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধির হার এই দুবছরই তার দ্বিগুণেরও বেশি হবে বলে তাদের অর্থনৈতিক প্রক্ষেপণে তুলে ধরেছে। এডিবি তার চেয়েও আরেকটু বেশির কথা বলছে। আর বাংলাদেশ আশা করছে তার প্রবৃদ্ধির হার এই সময়টায় সাত শতাংশের কম হবে না।

তবে এই ক্রান্তিকালে প্রবৃদ্ধি যদি প্রক্ষেপিত হারের চেয়ে খানিকটা কমও হয় তাতে দোষের কিছু নেই। এই মুহূর্তের বড় সংকট কী করে মূল্যস্ফীতিকে নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়? শুধু বাংলাদেশ নয় সারা বিশ্বজুড়েই বইছে এই প্রবল মূল্যস্ফীতির লু হাওয়া। এর ফলে মানুষের প্রকৃত আয় কমে যাচ্ছে। দারিদ্র্যের হারও বাড়ন্ত। বিশেষ করে খাদ্যমূল্যস্ফীতির দাপট বেশ আক্রমণাত্মক।

অথচ এই মূল্যস্ফীতির উৎস অভ্যন্তরীণ নয়। আমদানি করা এই মূল্যস্ফীতির পেছনে একদিকে কোভিডের কারণে পর্যুদস্ত আন্তর্জাতিক সরবরাহ চেইন (বিশেষ করে বাড়ন্ত জাহাজ ভাড়া) এবং তদুপরি ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের ফলে জ্বালানি, গ্যাস ও ভোজ্য তেলের পাশাপাশি খাদ্যমূল্য দারুণ হারে বেড়ে যাওয়ার কারণগুলো কাজ করছে। এর মধ্যে মড়ার উপর খাড়ার ঘা হিসেবে নেমে এসেছে ডলারের দাম বৃদ্ধি। কোভিডের সময় যুক্তরাষ্ট্রও ব্যাপক হারে তার অর্থনীতিতে অর্থ ঢেলেছিল। সেই অর্থ বাজার থেকে তুলে নেওয়ার লক্ষ্যে যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় ব্যাংক তার মৌলিক নীতি হার বাড়িয়েই চলেছে। এরই মধ্যে কয়েকবারে তিন শতাংশের মতো মৌলিক সুদ হার বাড়িয়েছে ফের।

যেহেতু যুক্তরাষ্ট্রে এখনো মূল্যস্ফীতি আট শতাংশের বেশি তাই সহজেই এই নীতি হার বাড়ানোর কৌশল থেকে সরে আসবে না ফের। এর ফলে অন্যান্য মুদ্রার বিপরীতে ডলারের দাম বাড়ছে তো বাড়ছেই। বড় অর্থনীতির দেশগুলোর মুদ্রার বাস্কেটের মূল্যমানের চেয়ে এরই মধ্যে প্রায় তেরো-চৌদ্দ শতাংশ বেড়েছে ডলারের দাম। আর আমাদের মতো দেশের মুদ্রার তো কথাই নেই। যুক্তরাজ্য, ইউরোপ ও জাপান তাদের মুদ্রার মান ধরে রাখার জন্য রিজার্ভ থেকে বিদেশি মুদ্রা ছেড়ে দিচ্ছে। রেপো রেট বাড়াচ্ছে। কিন্তু একমাত্র জাপান ছাড়া আর সব উন্নত দেশেই মূল্যস্ফীতি নয় শতাংশের বেশি। শুণ্য মূল্যস্ফীতির দেশ জাপানের মূল্যস্ফীতিও তার টার্গেট দুই শতাংশ কবেই অতিক্রম করে গেছে।

বিশ্বের চল্লিশ শতাংশ বাণিজ্য হয় ডলারে। বিশ্ব বন্ড বাজার প্রায় পুরোটায় ডলারনির্ভর। ডলারের দাম বাড়ায় একদিকে আমদানির খরচ বাড়ছে তো বাড়ছেই, অন্যদিকে বিদেশে ডলার মূল্যের বন্ড বিক্রি করে বিনিয়োগকারীরা ছুটছে মার্কিন ট্রেজারি বন্ড কেনার জন্য। সেদেশে বন্ড থেকে পাওয়া লাভের অংক লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। আর শ্রীলংকার মতো যেসব দেশ ডলার বন্ড বাজারে ছেড়েছিল তারা আর বিক্রিচ্ছুক বিনিয়োগকারীদের ডলারে দাম শোধ করতে হিমশিম খাচ্ছে। শ্রীলংকা তো নিজেকে দেওলিয়া ঘোষণা করে এই সংকট থেকে বাঁচবার কতোই না চেষ্টা করে যাচ্ছে।

অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্রের বন্ড মার্কেট তেজি হচ্ছে এবং একই সঙ্গে ডলারের দামও বাড়ছে। এই পরিস্থিতিতে ফের যাতে তার নীতি হার আর না বাড়ায় সেজন্য জাতিসংঘ পর্যন্ত আহ্বান জানিয়েছে। কেননা এর প্রভাবে বিশ্ব অর্থনৈতিক মন্দার শঙ্কা বেড়েই চলেছে। এর শিকার দুর্বল অর্থনীতির উন্নয়নশীল দেশগুলোর ম্যাক্রো অর্থনীতির স্থিতিশীলতাকে নড়বড়ে করে দিচ্ছে। অন্য দিকে উন্নত দেশগুলোর মূল্যস্ফীতি বেড়ে যাওয়ায় তাদের ক্রেতাদের ক্রয়ক্ষমতা কমে যাচ্ছে। এর নেতিবাচক প্রভাব গিয়ে পড়ছে আমাদের মতো রপ্তানিকারক দেশগুলোর উপর।

বিশেষ করে মূলত বস্ত্র রপ্তানির দেশ বলে বাংলাদেশের বিদেশি মুদ্রা আয়ের বেশ খানিকটা ঝুঁকি তো তৈরি হচ্ছেই। এমনিতেই হঠাৎ আমদানি খরচ বেড়ে যাওয়ায় বড় ধরনের বাণিজ্য ঘাটতি দেখা দিয়েছিল বাংলাদেশ। তবে বাংলাদেশ ব্যাংক ও সরকার বিলাসী ও কম অপ্রয়োজনীয় পণ্য আমমদানি নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে কয়েক মাস ধরেই অনেকগুলো নীতি গ্রহণ করেছে। ঋণের মার্জিন বাড়িয়ে দেওয়া, বেশি মূল্যের এলসি নিবিড়ভাবে মনিটর করা, ডলার খরচ কমানোর জন্য প্রশাসনিক অনেক কৃচ্ছ কর্মসূচি হাতে নেয় এবং অপ্রয়োজনীয় উন্নয়ন প্রকল্পের বাস্তবায়নের গতি থামিয়ে দেওয়ার মতো সুবিবেচনামূলক নীতিমালার সুফল পেতে শুরু করেছে বাংলাদেশ। তা ছাড়া দেশে আরও বেশি ডলার প্রবাসী ও বিদেশি বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে আনার জন্য টাকার বড় ধরনের অবমূল্যায়ন এবং নিয়মনীতি সহজ করার উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশ। তাই বাণিজ্য ঘাটতি ও চলতি হিসেবে ঘাটতি গত তিন মাসে বেশ কমেছে। এর ফলে প্রায় এক বছর পরে হলেও রিজার্ভ ক্ষয়ের ধারাটি থেমেছে।

ধীরে হলেও রিজার্ভ ফের বাড়তে শুরু করেছে। ডলারের একাধিক হারের বদলে সবার জন্য গ্রহণযোগ্য একটি হারের দিকে এগোতে পারলে প্রবাসী ও রপ্তানি আয়ের গতি আরও বাড়বে বলেই মনে হয়। সামনের দিনগুলোতে একদিকে বৈদেশিক মুদ্রার আয় বাড়বে এবং অন্যদিকে আমদানি খরচ কমবে আশা করা যায়। দুইয়ে মিলে ডলার-টাকা বিনিময় হার স্থিতিশীল হবে এবং রিজার্ভের পরিমাণ ধীরে ধীরে বাড়তে থাকবে।

এই প্রেক্ষাপটে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর বিশ্ব মহামন্দার হুশিয়ারিকে গুরুত্বের সাথে গ্রহণ করে আমাদের খুবই বিচক্ষণতার সাথে পা ফেলতে হবে। সেজন্য মোদ্দা কিছু নীতি অনুসরণ করা গেলে এই মহাসংকট মোকাবিলায় বাংলাদেশ অনেক দেশের চেয়েই ভালো করবে।

সুনির্দিষ্ট নীতিকাঠামোর উপর ভরসা করে হিসাব করে এগোলে নিশ্চয় চলমান মন্দা বা আগামী দিনের মহামন্দা মোকাবিলা করেই বাংলাদেশের উন্নয়নের সুনাম ধরে রাখতে পারবো। এজন্য সবাইকে একযোগে কাজ করে যেতে হবে।

ড. আতিউর রহমান: অর্থনীতিবিদ ও বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর।

এসএন

Header Ad
Header Ad

টাঙ্গাইলে আ.লীগ নেতা ও ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল আলীম আটক

টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলার সল্লা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সল্লা ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল আলীম। ছবি: সংগৃহীত

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে হামলা ও মারধরের মামলায় টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে আব্দুল আলীম (৫২) নামে এক ইউপি চেয়ারম্যানকে আটক করা হয়েছে।

শনিবার (২১ ডিসেম্বর) বিকাল সাড়ে ৩ টার দিকে উপজেলার ইউনিয়নের সল্লা বাসস্ট্যান্ড এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়।

আটককৃত আব্দুল আলীম উপজেলার সল্লা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সল্লা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান।

এ ব্যাপারে কালিহাতী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবুল কালাম ভুঁইয়া করে জানান, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে হামলা এবং মারধর করাসহ বিভিন্ন মামলায় তাকে আটক করা হয়। তিনি থানা হেফাজতে রয়েছে। রবিবার (২২ ডিসেম্বর) সকালে তাকে টাঙ্গাইল আদালতে পাঠানো হবে।

Header Ad
Header Ad

শেখ হাসিনা নিজ হাতে তার বাবাকে দ্বিতীয়বার হত্যা করেছে: গয়েশ্বর

ছবি: সংগৃহীত

সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজ হাতে তার বাবা শেখ মুজিবুর রহমানকে ‘দ্বিতীয়বার হত্যা করেছেন’ বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সাবেক মন্ত্রী গয়েশ্বর চন্দ্র রায়।

শনিবার (২১ ডিসেম্বর) দুপুরে ময়মনসিংহের হালুয়াঘাটে উত্তর জেলা বিএনপির সদস্য সালমান ওমর রুবেলের আয়োজনে ফ্রি চক্ষু ক্যাম্প অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।

১৫ আগস্টের কথা উল্লেখ করে গয়েশ্বর চন্দ্র বলেন, এক ১৫ আগস্টে (১৯৭৫ সাল) শেখ মুজিবুরের জানাজায় লোক পেলাম না, আর এত বছর পরে ১৫ আগস্টে (২০২৪ সাল) কোনো জায়গায় মাহফিলের আওয়াজ পেলাম না। এতে বলা যায়, শেখ হাসিনা নিজ হাতে তার বাবাকে দ্বিতীয়বার হত্যা করেছেন।

তিনি আরও বলেন, শেখ হাসিনা তার বাবাকে এমন মারা মেরেছে যে মসজিদে তার জন্য দোয়া করবে এমন লোকও খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। কারণ আওয়ামী লীগ তাদের নেতার প্রতি অকৃতজ্ঞ। ওদের কিন্তু বরকত ভালো না। যার কারণে তাদের ঝাঁকে ঝাঁকে দেশ থেকে পালাতে হয়েছে। আমি ভারত সরকারকে বলবো, আপনারা তো এতদিন দেশ চালাইলেন, এইবার ফেরত দেন। হালুয়াঘাট বর্ডার দিয়ে ফেরত দেন আমরা রিসিভ করব। আমরা কথা দিলাম আমরা আপনাদের ওপর ন্যায়বিচার করব।

বিএনপির এই নেতা বলেন, বন্ধুত্ব কি আওয়ামী লীগ ও শেখ হাসিনার সঙ্গে করবেন নাকি বাংলাদেশের ১৮ কোটি মানুষের সঙ্গে করবেন? ১৮ কোটি মানুষের সঙ্গে যদি বন্ধুত্ব হয় সেটা হবে প্রকৃত বন্ধুত্ব। সেটা দীর্ঘস্থায়ী হবে। শুধু একজনের সঙ্গে বন্ধুত্ব করলে কোনো লাভ হবে না। ভারতের সীমান্তবর্তী এলাকায় দাঁড়িয়ে বলছি স্বার্থ হাসিলের জন্য বন্ধুত্ব নয়, সার্বভৌমত্ব রক্ষার্থে বন্ধুত্ব রাখতে চাই। আমাদের স্বার্থে বিসর্জন দিয়ে নয়, কর্তৃত্বের মাধ্যমেও নয়, বন্ধুত্বের মাধ্যমে।

তিনি আরও বলেন, ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর আমরা স্বাধীনতা অর্জন করেছি, আর ৫ আগস্ট আমরা স্বৈরাচারমুক্ত বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করেছি। এই অর্জন আমাদের ধরে রাখতে হবে।

এ সময় গয়েশ্বর চন্দ্র রায় ঐতিহাসিক ৭ নভেম্বরের গুরুত্ব ও তাৎপর্য ব্যাখ্যা করে বলেন, শেখ মুজিবুর রহমান দেশে একদলীয় বাকশাল কায়েম করেছিলেন। এরপর তিনি মারা যাওয়ার পর দেশের মানুষ ৭ নভেম্বর একটি বিপ্লবের মাধ্যমে দেশে বহুদলীয় গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা করেছিলেন। যার নেতৃত্ব দিয়েছিলেন শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান।

বিএনপি নেতা সালমান ওমর রুবেল আয়োজিত এই ফ্রি চক্ষু ক্যাম্প অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সংগঠনিক সম্পাদক আবু ওয়াহাব আকন্দ ওয়াহিদ। এ সময় প্রায় ৩ হাজার চক্ষু রোগীকে প্রাথমিক চিকিৎসা ও ছানি পড়া রোগীদের বিনামূল্যে ছানি অপারেশনের জন্য সিলেকশন করা হয়।

Header Ad
Header Ad

চুয়াডাঙ্গায় অবৈধ যানবাহন বন্ধ না হলে গণপরিবহন বন্ধের ঘোষণা

চুয়াডাঙ্গায় অবৈধ যানবাহন বন্ধ না হলে গণপরিবহন বন্ধের ঘোষণা। ছবি: সংগৃহীত

চুয়াডাঙ্গায় সকল সড়ক ও আঞ্চলিক মহাসড়কে ব্যাটারিচালিত ভ্যান (পাখিভ্যান) ও  ইজিবাইক চলাচল বন্ধের দাবি জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন মালিক শ্রমিক ঐক্য পরিষদ। আগামীকাল রোববারের মধ্যে প্রশাসন তাদের দাবি বাস্তবায়নে কার্যকর উদ্যোগ না নিলে সোমবার সকাল থেকে জেলার সকল পথে পরিবহন চলাচল বন্ধের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।

শনিবার (২১ ডিসেম্বর) দুপুরে চুয়াডাঙ্গা জেলা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কার্যালয়ে আয়োজিত  এক সংবাদ সম্মেলনে এই হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়।  সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক একেএম মঈন উদ্দিন লিখিত বক্তব্য উপস্থাপন এবং শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি এম জেনারেল ইসলাম কর্মসূচি ঘোষণা করেন।

এসময় তিনি আরও বলেন, ৫ আগস্টের আগে জেলায় ব্যাটারি চালিত ইজিবাইক,পাখিভ্যান, থ্রি হুইলার সহ অন্য অবৈধ যানগুলো যেভাবে চলাচল করতো, সেভাবেই তারা চলাচল করুক এই দাবিতে আজকের এই সংবাদ সম্মেলন। প্রশাসন বারবার প্রতিশ্রুতি দিয়ে তারা সেটা রক্ষা করেনি।

কর্মসূচি ঘোষণাকালে বলা হয়, ২৩ ডিসেম্বর সোমবার থেকে টানা দুইদিন পরিবহন চলাচল বন্ধের মধ্যে প্রশাসন যদি বসে সমাধানের উদ্যোগ না নেয়, তাহলে আগামী ২৬ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার থেকে অভ্যন্তরীণ পথের পাশাপাশি দূরপাল্লার সকল রুটে পরিবহন বন্ধ করে দেওয়া হবে। এসময় চুয়াডাঙ্গা জেলা মালিক শ্রমিক ঐক্য পরিষদের সভাপতি হাসান ইমাম বকুল, সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম সহ সকল নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

টাঙ্গাইলে আ.লীগ নেতা ও ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল আলীম আটক
শেখ হাসিনা নিজ হাতে তার বাবাকে দ্বিতীয়বার হত্যা করেছে: গয়েশ্বর
চুয়াডাঙ্গায় অবৈধ যানবাহন বন্ধ না হলে গণপরিবহন বন্ধের ঘোষণা
জুমার দিনে ফিলিস্তিনের মসজিদে আগুন দিল ইসরায়েলিরা
গাইবান্ধায় বিএনপি-জামায়াত সংঘর্ষ, আহত অন্তত ১০
আশ্বস্ত করছি বাংলাদেশে জঙ্গিবাদ মাথাচাড়া দেবে না: প্রধান উপদেষ্টা
সত্যি কি থাপ্পড় মেরেছিলেন শাহরুখ, ৯ বছর পর মুখ খুললেন হানি সিং
মেয়ে থেকে ছেলেতে রূপান্তর, বগুড়ার শ্রাবণী এখন শ্রাবণ
বাড়ি ফেরার পথে সড়কে ঝরে গেল বাবা-ছেলের প্রাণ
ছাত্রলীগ নেতা মুক্তাদির শিক্ষার্থীদের হাতে আটক, থানায় সোপর্দ
এ দেশে মেজরিটি–মাইনরিটি বলে কিছু নেই: জামায়াতের আমির
আজ বছরের দীর্ঘতম রাত, সবচেয়ে ছোট দিন আগামীকাল
রাজনীতিবিদকে বিয়ে করতে চান ফারজানা সিঁথি
গুমের ঘটনায় ভারতের সম্পৃক্ততা পেয়েছে কমিশন
জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহীদ ও আহতদের প্রাথমিক তালিকা প্রকাশ
পাকিস্তানে জঙ্গি হামলায় ১৬ সেনা নিহত
বাধ্যতামূলক অবসরপ্রাপ্ত সচিব ইসমাইল বিমানবন্দরে গ্রেপ্তার
হামজাকে নিয়ে যা বললেন বাফুফে সভাপতি তাবিথ আউয়াল
বহু ভাষা, বহু সংস্কৃতি, বহু ধর্মের বিকাশে কাজ করতে চায় কমিশন: ফারুকী
অবৈধ অনুপ্রেবেশের অভিযোগে ত্রিপুরায় শিশুসহ ৬ বাংলাদেশি গ্রেফতার