শনিবার, ১১ মে ২০২৪ | ২৮ বৈশাখ ১৪৩১
Dhaka Prokash

সংকট মোকাবিলায় বাংলাদেশ অনেক দেশের চেয়ে এগিয়ে

বিশ্বব্যাপী একটা আশঙ্কা, ২০২৩ সালটি একটা মহাসংকটের বছর হবে। আরও স্পষ্ট করে বলা যায় যে এবছর খাদ্য নিরাপত্তাহীনতা প্রকট হতে পারে। সেজন্য আগে থেকেই আমাদের প্রস্তুতি নেওয়া দরকার। কৃষিই যে বিপদের দিনে আমাদের রক্ষাকবচ সে কথাটি বলার অপেক্ষা রাখে না। তাই কৃষি খাতের বাড়তি বাজেট ছাড়াও তিনি সংকট মোকাবিলার জন্য আলাদা করে বাজেট করেছেন।

কৃষি গ্রামীণ মানুষের চল্লিশ শতাংশেরও বেশি কর্মসংস্থান নিশ্চিত করে। কৃষি ভালো করলে অকৃষি খাতও ভালো করে। বাড়ন্ত আধুনিক কৃষি শিল্পের কাঁচামাল ও দেশের সার্বিক অভ্যন্তরীণ চাহিদাও যোগায়। ফলে দেশে কোনো মন্দা দেখা দেয় না। ২০০৯ সালেও চলছিল বিশ্ব আর্থিক সংকট। কিন্তু সংকট মোকাবিলায় সিদ্ধহস্ত মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কৃষি, এসএমই, রপ্তানি ও প্রবাসী আয়ের উপর বিশেষ নজর দিয়ে এমন এক অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়ন কৌশল গ্রহণ করেছিলেন যার ফলে বাংলাদেশের মানুষ ওই বিশ্ব আর্থিক সংকটের আঁচই পায়নি।

উন্নয়নমুখী কেন্দ্রীয় ব্যাংক সে সময়টায় আর্থিক অন্তর্ভুক্তির কৌশল নিয়ে সরকারের মাটিঘেঁষা উন্নয়ন অভিযাত্রায় শামিল হয়েছিল। কৃষককে ১০ টাকায় হিসাব খুলে দেওয়া, বর্গাচাষিদের কম সুদে ঋণের ব্যবস্থা করা, নারী উদ্যেক্তাদের বিনা জামানতে ঋণের সুযোগ করে দেওয়াসহ অসংখ্য উদ্ভাবনীমূলক উদ্যোগ সরকারের জনবান্ধব উন্নয়ন প্রচেষ্টাকে আরও শক্ত ভিত্তির উপর দাঁড় করাতে সহযোগিতা করেছিল। অন্তর্ভুক্তিমূলক সেই উন্নয়ন কৌশল কভিড-১৯ এর অর্থনৈতিক ঝাপ্টা মোকাবিলায় যথেষ্ট কাজে লেগেছে। সরকার ও কেন্দ্রীয় ব্যাংক মিলে প্রণোদনা কর্মসূচির আদলে আর্থিক অন্তর্ভুক্তির এমন এক উপযোগী কৌশল গ্রহণ করেছিল যার কারণে বাংলাদেশের অর্থনীতি মোটেও ঝিমিয়ে পড়েনি। বরং উন্নয়নশীল ও স্বল্পোন্নত দেশগুলোর মধ্যে অন্যতম সবচেয়ে গতিশীল প্রবৃদ্ধির দেশ হিসেবে সুনাম কুড়িয়েছে।

জিডিপির প্রায় ছয় শতাংশ এই প্রণোদনার আওতায় স্বল্প সুদের ঋণ এবং সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচিকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এখনো কৃষি ও ছোট উদ্যোক্তাদের জন্য বিশেষ বিশেষ পুনঃঅর্থায়ন কর্মসূচি চালু করে বাংলাদেশ অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রবৃদ্ধির চাকাকে বেশ গতিশীল রেখেছে। বিশ্বব্যাংক ও আইএমএফ যখন সারা বিশ্বের প্রবৃদ্ধি এবছর এবং আগামী বছর তিন শতাংশের আশে পাশে রাখছে সেই সব প্রতিষ্ঠানই বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধির হার এই দুবছরই তার দ্বিগুণেরও বেশি হবে বলে তাদের অর্থনৈতিক প্রক্ষেপণে তুলে ধরেছে। এডিবি তার চেয়েও আরেকটু বেশির কথা বলছে। আর বাংলাদেশ আশা করছে তার প্রবৃদ্ধির হার এই সময়টায় সাত শতাংশের কম হবে না।

তবে এই ক্রান্তিকালে প্রবৃদ্ধি যদি প্রক্ষেপিত হারের চেয়ে খানিকটা কমও হয় তাতে দোষের কিছু নেই। এই মুহূর্তের বড় সংকট কী করে মূল্যস্ফীতিকে নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়? শুধু বাংলাদেশ নয় সারা বিশ্বজুড়েই বইছে এই প্রবল মূল্যস্ফীতির লু হাওয়া। এর ফলে মানুষের প্রকৃত আয় কমে যাচ্ছে। দারিদ্র্যের হারও বাড়ন্ত। বিশেষ করে খাদ্যমূল্যস্ফীতির দাপট বেশ আক্রমণাত্মক।

অথচ এই মূল্যস্ফীতির উৎস অভ্যন্তরীণ নয়। আমদানি করা এই মূল্যস্ফীতির পেছনে একদিকে কোভিডের কারণে পর্যুদস্ত আন্তর্জাতিক সরবরাহ চেইন (বিশেষ করে বাড়ন্ত জাহাজ ভাড়া) এবং তদুপরি ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের ফলে জ্বালানি, গ্যাস ও ভোজ্য তেলের পাশাপাশি খাদ্যমূল্য দারুণ হারে বেড়ে যাওয়ার কারণগুলো কাজ করছে। এর মধ্যে মড়ার উপর খাড়ার ঘা হিসেবে নেমে এসেছে ডলারের দাম বৃদ্ধি। কোভিডের সময় যুক্তরাষ্ট্রও ব্যাপক হারে তার অর্থনীতিতে অর্থ ঢেলেছিল। সেই অর্থ বাজার থেকে তুলে নেওয়ার লক্ষ্যে যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় ব্যাংক তার মৌলিক নীতি হার বাড়িয়েই চলেছে। এরই মধ্যে কয়েকবারে তিন শতাংশের মতো মৌলিক সুদ হার বাড়িয়েছে ফের।

যেহেতু যুক্তরাষ্ট্রে এখনো মূল্যস্ফীতি আট শতাংশের বেশি তাই সহজেই এই নীতি হার বাড়ানোর কৌশল থেকে সরে আসবে না ফের। এর ফলে অন্যান্য মুদ্রার বিপরীতে ডলারের দাম বাড়ছে তো বাড়ছেই। বড় অর্থনীতির দেশগুলোর মুদ্রার বাস্কেটের মূল্যমানের চেয়ে এরই মধ্যে প্রায় তেরো-চৌদ্দ শতাংশ বেড়েছে ডলারের দাম। আর আমাদের মতো দেশের মুদ্রার তো কথাই নেই। যুক্তরাজ্য, ইউরোপ ও জাপান তাদের মুদ্রার মান ধরে রাখার জন্য রিজার্ভ থেকে বিদেশি মুদ্রা ছেড়ে দিচ্ছে। রেপো রেট বাড়াচ্ছে। কিন্তু একমাত্র জাপান ছাড়া আর সব উন্নত দেশেই মূল্যস্ফীতি নয় শতাংশের বেশি। শুণ্য মূল্যস্ফীতির দেশ জাপানের মূল্যস্ফীতিও তার টার্গেট দুই শতাংশ কবেই অতিক্রম করে গেছে।

বিশ্বের চল্লিশ শতাংশ বাণিজ্য হয় ডলারে। বিশ্ব বন্ড বাজার প্রায় পুরোটায় ডলারনির্ভর। ডলারের দাম বাড়ায় একদিকে আমদানির খরচ বাড়ছে তো বাড়ছেই, অন্যদিকে বিদেশে ডলার মূল্যের বন্ড বিক্রি করে বিনিয়োগকারীরা ছুটছে মার্কিন ট্রেজারি বন্ড কেনার জন্য। সেদেশে বন্ড থেকে পাওয়া লাভের অংক লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। আর শ্রীলংকার মতো যেসব দেশ ডলার বন্ড বাজারে ছেড়েছিল তারা আর বিক্রিচ্ছুক বিনিয়োগকারীদের ডলারে দাম শোধ করতে হিমশিম খাচ্ছে। শ্রীলংকা তো নিজেকে দেওলিয়া ঘোষণা করে এই সংকট থেকে বাঁচবার কতোই না চেষ্টা করে যাচ্ছে।

অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্রের বন্ড মার্কেট তেজি হচ্ছে এবং একই সঙ্গে ডলারের দামও বাড়ছে। এই পরিস্থিতিতে ফের যাতে তার নীতি হার আর না বাড়ায় সেজন্য জাতিসংঘ পর্যন্ত আহ্বান জানিয়েছে। কেননা এর প্রভাবে বিশ্ব অর্থনৈতিক মন্দার শঙ্কা বেড়েই চলেছে। এর শিকার দুর্বল অর্থনীতির উন্নয়নশীল দেশগুলোর ম্যাক্রো অর্থনীতির স্থিতিশীলতাকে নড়বড়ে করে দিচ্ছে। অন্য দিকে উন্নত দেশগুলোর মূল্যস্ফীতি বেড়ে যাওয়ায় তাদের ক্রেতাদের ক্রয়ক্ষমতা কমে যাচ্ছে। এর নেতিবাচক প্রভাব গিয়ে পড়ছে আমাদের মতো রপ্তানিকারক দেশগুলোর উপর।

বিশেষ করে মূলত বস্ত্র রপ্তানির দেশ বলে বাংলাদেশের বিদেশি মুদ্রা আয়ের বেশ খানিকটা ঝুঁকি তো তৈরি হচ্ছেই। এমনিতেই হঠাৎ আমদানি খরচ বেড়ে যাওয়ায় বড় ধরনের বাণিজ্য ঘাটতি দেখা দিয়েছিল বাংলাদেশ। তবে বাংলাদেশ ব্যাংক ও সরকার বিলাসী ও কম অপ্রয়োজনীয় পণ্য আমমদানি নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে কয়েক মাস ধরেই অনেকগুলো নীতি গ্রহণ করেছে। ঋণের মার্জিন বাড়িয়ে দেওয়া, বেশি মূল্যের এলসি নিবিড়ভাবে মনিটর করা, ডলার খরচ কমানোর জন্য প্রশাসনিক অনেক কৃচ্ছ কর্মসূচি হাতে নেয় এবং অপ্রয়োজনীয় উন্নয়ন প্রকল্পের বাস্তবায়নের গতি থামিয়ে দেওয়ার মতো সুবিবেচনামূলক নীতিমালার সুফল পেতে শুরু করেছে বাংলাদেশ। তা ছাড়া দেশে আরও বেশি ডলার প্রবাসী ও বিদেশি বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে আনার জন্য টাকার বড় ধরনের অবমূল্যায়ন এবং নিয়মনীতি সহজ করার উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশ। তাই বাণিজ্য ঘাটতি ও চলতি হিসেবে ঘাটতি গত তিন মাসে বেশ কমেছে। এর ফলে প্রায় এক বছর পরে হলেও রিজার্ভ ক্ষয়ের ধারাটি থেমেছে।

ধীরে হলেও রিজার্ভ ফের বাড়তে শুরু করেছে। ডলারের একাধিক হারের বদলে সবার জন্য গ্রহণযোগ্য একটি হারের দিকে এগোতে পারলে প্রবাসী ও রপ্তানি আয়ের গতি আরও বাড়বে বলেই মনে হয়। সামনের দিনগুলোতে একদিকে বৈদেশিক মুদ্রার আয় বাড়বে এবং অন্যদিকে আমদানি খরচ কমবে আশা করা যায়। দুইয়ে মিলে ডলার-টাকা বিনিময় হার স্থিতিশীল হবে এবং রিজার্ভের পরিমাণ ধীরে ধীরে বাড়তে থাকবে।

এই প্রেক্ষাপটে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর বিশ্ব মহামন্দার হুশিয়ারিকে গুরুত্বের সাথে গ্রহণ করে আমাদের খুবই বিচক্ষণতার সাথে পা ফেলতে হবে। সেজন্য মোদ্দা কিছু নীতি অনুসরণ করা গেলে এই মহাসংকট মোকাবিলায় বাংলাদেশ অনেক দেশের চেয়েই ভালো করবে।

সুনির্দিষ্ট নীতিকাঠামোর উপর ভরসা করে হিসাব করে এগোলে নিশ্চয় চলমান মন্দা বা আগামী দিনের মহামন্দা মোকাবিলা করেই বাংলাদেশের উন্নয়নের সুনাম ধরে রাখতে পারবো। এজন্য সবাইকে একযোগে কাজ করে যেতে হবে।

ড. আতিউর রহমান: অর্থনীতিবিদ ও বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর।

এসএন

Header Ad

স্বর্ণের দাম আরও বাড়ল

ছবি: সংগৃহীত

দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম আরও বেড়েছে। সবচেয়ে ভালো মানের অর্থাৎ ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের ভরির দাম সর্বোচ্চ ১ হাজার ৮৩২ টাকা বাড়ানো হয়েছে। এতে ভালো মানের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ১৭ হাজার ২৮১ টাকা হয়েছে।

শ‌নিবার (১১ মে) বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বাজুস) মূল্য নির্ধারণ ও মূল্য পর্যবেক্ষণ স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান মাসুদুর রহমানের সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

রোববার (১২ মে) থেকে এই দাম কার্যকর করা হবে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস)। নতুন মূল্য অনুযায়ী, সব থেকে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ হাজার ৮৩২ টাকা বাড়িয়ে নির্ধারণ করা হয়েছে ১ লাখ ১৭ হাজার ২৮২ টাকা। ২১ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ হাজার ৭৫০ টাকা বাড়িয়ে ১ লাখ ১১ হাজার ৯৫১ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

এছাড়া ১৮ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ হাজার ৫০৫ টাকা বাড়িয়ে ৯৫ হাজার ৯৬০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। আর সনাতন পদ্ধতির এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ হাজার ২৪৯ টাকা বাড়িয়ে ৭৯ হাজার ৩৩৯ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

অবশ্য স্বর্ণের গহনা কিনতে ক্রেতাদের এর থেকে বেশি অর্থ গুনতে হবে। কারণ বাজুস নির্ধারণ করা দামের ওপর ৫ শতাংশ ভ্যাট যোগ করে স্বর্ণের গহনা বিক্রি করা হয়। সেই সঙ্গে ভরি প্রতি মজুরি ধরা হয় ন্যূনতম ৩ হাজার ৪৯৯ টাকা। ফলে আগামীকাল থেকে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের গহনা কিনতে ক্রেতাদের ১ লাখ ২৬ হাজার ৬৪৫ টাকা গুনতে হবে।

এর আগে ৮ মে সব থেকে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ৪ হাজার ৫০২ টাকা বাড়িয়ে নির্ধারণ করা হয় ১ লাখ ১৫ হাজার ৪৫০ টাকা। ২১ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ৪ হাজার ৩০৪ টাকা বাড়িয়ে ১ লাখ ১০ হাজার ২০১ টাকা নির্ধারণ করা হয়। এছাড়া ১৮ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ৩ হাজার ৬৮৬ টাকা বাড়িয়ে ৯৪ হাজার ৪৫৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়। আর সনাতন পদ্ধতির এক ভরি স্বর্ণের দাম ২ হাজার ৬০১ টাকা বাড়িয়ে ৭৮ হাজার ৯০ টাকা নির্ধারণ করা হয়।

এর আগে গত সোমবার (৬ মে) সব থেকে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ৭৩৫ টাকা বাড়িয়ে ১ লাখ ১০ হাজার ৯৪৮ টাকা, ২১ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ৬৯৯ টাকা বাড়িয়ে ১ লাখ ৫ হাজার ৮৯৭ টাকা, ১৮ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ৫৯৫ টাকা বাড়িয়ে ৯০ হাজার ৭৬৯ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির এক ভরি স্বর্ণের দাম ৫০১ টাকা বাড়িয়ে ৭৫ হাজার ৪৮৯ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল।

আফগানিস্তানে আকস্মিক বন্যা, একদিনে দুই শতাধিক মৃত্যু

ছবি: সংগৃহীত

আফগানিস্তানে আকস্মিক বন্যায় একদিনেই দুই শতাধিক মানুষের মৃত্যু হয়েছে। জাতিসংঘ জানিয়েছে, শুক্রবার দেশটির বাগলান প্রদেশে ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে সৃষ্ট আকস্মিক বন্যায় এই প্রাণহানির ঘটনা ঘটে। খবর এএফপির

আফগানিস্তানে কর্মরত জাতিসংঘের অঙ্গ সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল অর্গানাইজেশন ফর মাইগ্রেশন (আইওএম) জানিয়েছে, শুক্রবার ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে সৃষ্ট আকস্মিক বন্যায় দুই শতাধিক মানুষের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় ভেসে গেছে কয়েক হাজার বাড়িঘর।

আইওএমের জরুরি সাড়াদান বিভাগের প্রধান জানিয়েছেন, বাগলান প্রদেশের জাহিদ জেলায় অন্তত ১০০ জন নিহত হয়েছে এবং এখানে দেড় হাজারের বেশি বাড়িঘর ভেসে গেছে। আইওএম অবশ্য আফগানিস্তানের জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষকেই সূত্র হিসেবে ব্যবহার করেছে।

তবে তালেবান সরকার জানিয়েছে, শুক্রবার রাত পর্যন্ত তারা জাহিদ জেলায় ৬২ জনের মৃত্যুর খবর পেয়েছে।

তালেবান সরকারের মুখপাত্র জাবিহুল্লাহ মুজাহিদ আজ শনিবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে শেয়ার করা এক টুইটে বলেছেন, ‘আমাদের শত শত নাগরিক এই বিপর্যয়কর বন্যায় মারা গেছে।’

রংপুর মেডিকেলের আইসিইউ ইউনিটে আগুন

ছবি: সংগৃহীত

রংপুর মেডিকেল কলেজ (রমেক) হাসপাতালের আইসিইউ ইউনিটের ৩ নম্বর এসিতে বিদ্যুতের শর্ট সার্কিট হয়ে আগুনের ঘটনা ঘটেছে।

শনিবার বিকেল ৪টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। এতে প্রায় আধাঘণ্টা বিদ্যুৎহীন ছিল ওয়ার্ডটি। তবে, বড় ধরনের কোনো দুর্ঘটনা ঘটেনি।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বেলা ৩টায় হাসপাতালের আইসিইউ ইউনিটের এসিতে হঠাৎ আগুনের সূত্রপাত হয়। এতে হাসপাতালে অবস্থান করা সবাই আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। যদিও এক ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।

তারা আরও জানায়, এ ঘটনায় বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়েছে পুরো হাসপাতাল। এতে ব্যাপক ভোগান্তিতে পড়েছেন রোগীরা।

এ বিষয়ে কর্তৃপক্ষ বলছে, আইসিইউ ইউনিটের এসিতে আগুন লাগার এক ঘণ্টার মধ্যেই আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। তবে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসলেও ৪ ঘণ্টা ধরে হাসপাতালে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রয়েছে।

ওই ওয়ার্ডের দায়িত্বরত সিকিউরিটি গার্ড হায়দার আলী বলেন, এখানে বিদ্যুতের শর্ট সার্কিট হয়। সঙ্গে সঙ্গে আমরা সেটা নিয়ন্ত্রণ করি।

আইসিইউ ওয়ার্ডের ইনচার্জ জামাল উদ্দিন মিন্টু জানান, ৩টা ৫৫ মিনিটে ওই ওয়ার্ডের ৩ নম্বর এসির সার্কিট পুড়ে যায়। সঙ্গে সঙ্গে সেটি বন্ধ করে জরুরি লাইন চালু করা হয়। মেইন লাইন থেকে বিদ্যুৎ আধা ঘণ্টা বন্ধ ছিল। এখন সব কিছু ঠিক আছে।

সর্বশেষ সংবাদ

স্বর্ণের দাম আরও বাড়ল
আফগানিস্তানে আকস্মিক বন্যা, একদিনে দুই শতাধিক মৃত্যু
রংপুর মেডিকেলের আইসিইউ ইউনিটে আগুন
আওয়ামী লীগ নয়, দেশ চালাচ্ছে অদৃশ্য শক্তি: মির্জা ফখরুল
পতঞ্জলি নিয়ে বিপাকে পড়েছেন ভারতের যোগগুরু বাবা রামদেব
রাত ১টার মধ্যে ৮০ কিমি বেগে ঝড়ের ‍পূর্বাভাস, হুঁশিয়ারি সংকেত
বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ দল ঘোষণা আগামীকাল
সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারালেন 'অড সিগনেচার'-এর পিয়াল
অর্থনীতি চাঙা করতে গাঁজা চাষ বৈধ করতে যাচ্ছে পাকিস্তান!
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রন্থাগারে ‘বিসিএস প্রস্তুতি’ বন্ধ হচ্ছে
বিদেশিদের এনআইডি করতে লাগবে না দ্বৈত নাগরিকত্ব সনদ
চুয়াডাঙ্গায় বজ্রাঘাতে প্রাণ গেল ২ কৃষকের
ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি, জাতিসংঘের সনদ ছিঁড়ে ফেললেন ক্ষুব্ধ ইসরায়েলি রাষ্ট্রদূত
স্প্যান বসানো শেষ, ডিসেম্বরে বঙ্গবন্ধু রেলসেতুর উদ্বোধন
পুলিশি বাধা উপেক্ষা করে শাহবাগে চাকরির বয়স ৩৫ প্রত্যাশীদের অবরোধ
ম্যাংগো স্পেশাল ট্রেন চালু হবে ১০ জুন: রেলমন্ত্রী
২৩ নাবিকসহ এমভি আবদুল্লাহ এখন বাংলাদেশের জলসীমায়
নিজের মুখেই পিএসজি ছাড়ার ঘোষণা দিলেন এমবাপ্পে
মা, স্ত্রী ও তিন সন্তানকে নৃশংসভাবে হত্যার পর যুবকের আত্মহত্যা
বিয়ে না করেই দ্বিতীয়বার মা হচ্ছেন একতা কাপুর