রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪ | ৭ পৌষ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

বাংলাদেশ নিজের শক্তিতে দাঁড়িয়েছে

চলমান বিশ্ব অর্থনৈতিক সংকট সত্ত্বেও বাংলাদেশের অর্থনীতি জোর কদমেই এগিয়ে চলেছে। অন্য অনেক দেশের মতোই কোভিড-১৯ এর কারণে বেশ খানিকটা থমকে দাঁড়িয়েছিল বাংলাদেশের অর্থনীতি। প্রায় দেড় দশক ধরে গড়ে সাড়ে ৬ শতাংশেরও বেশি হারে বেড়ে চলা এই অর্থনীতি ২০২০-২১ সালে কমে ৪ শতাংশের মতো হারে বেড়েছিল। এরপর স্বচেষ্টায় ঘুরে দাঁড়াচ্ছিল এই অর্থনীতি। কিন্তু ২০২২ সলের শুরুর দিকে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ ফের আমাদের অর্থনীতিকে চাপের মধ্যে ফেলে দেয়। বিশেষ করে দীর্ঘদিন ধরে যে ম্যাক্রো অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা বজায় রেখেছিল বাংলাদেশ, তা বড় ধরনের বাধার মুখে পড়ে। রিজার্ভ কমতে থাকে। টাকার দামও কমে। মূল্যস্ফীতি বাড়ে। অনানুষ্ঠানিক খাতের কোটি পরিবারের গরিব ও কম আয়ের মানুষের জন্য বিনা অথবা কম মূল্যে খাবার সরবরাহের মতো বিরাট সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচি হাতে নিতে হয় সরকারকে।

শক্তিশালী কৃষি খাত, রপ্তানি এবং প্রবাস আয় বাংলাদেশের অর্থনীতিকে এ সব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে সচল রাখতে বড় ভূমিকা রেখে চলেছে। সে কারণেই বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অর্জনকে প্রশংসার চোখে দেখে সারাবিশ্ব। এর প্রকাশ ঘটে কয়েক দিন আগে বাংলাদেশ সফরে আসা বিশ্বব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক অ্যাক্সেল ফন ট্রোটসেনবার্গের কথায়। বিশেষ করে পদ্মা সেতুর অর্থায়ন নিয়ে বিশ্বব্যাংকের ভূমিকায় যে অস্বস্তি বাংলাদেশের ছিল, তা যেন অনেকটাই কেটে গেছে। নিজের অর্থে ওই সেতু নির্মাণ করে বিশ্বের কাছে যে আত্মশক্তিতে বলীয়ান অগ্রযাত্রার নজির বাংলাদেশ রেখেছে, তার প্রভাব মনে হয় বিশ্বব্যাংকের ওপর মহলেও পড়েছে। তাই আমি অবাক হইনি যখন তিনি বলেন, ‘সামষ্টিক অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনা, রপ্তানি বহুমুখীকরণ, আর্থিক খাত, জ্বালানি এবং জলবায়ু সহনশীলতার খাতে জোরালো সংস্কারের মাধ্যমে বাংলাদেশ দীর্ঘমেয়াদি প্রবৃদ্ধি অর্জন করতে পারে।’

অন্তর্ভুক্তিমূলক ও টেকসই উন্নয়নে বাংলাদেশের সফলতার ট্র্যাক রেকর্ডই যে এমন আশাবাদের উৎস, সেটিও তার আনুষ্ঠানিক বক্তব্যে উঠে এসেছে। তিনি এ দেশকে ‘৫০ বছরে বিশ্বের শ্রেষ্ঠ উন্নয়ন গল্পের একটি’ হিসেবে অভিহিত করেছেন।

বিশ্বব্যাংক ব্যবস্থাপনা পরিচালকের এই আশাবাদ এমনি এমনি তৈরি হয়নি। এর ভিত্তি বাংলাদেশের উদ্যোক্তা জনগণ এবং সাহসী নেতৃত্বই তলে তলে তৈরি করেছেন।

উল্লেখ্য, এক যুগেরও বেশি আগে ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ গড়ার যে অভিযাত্রা শুরু হয়েছিল, তার পরিণতিতে একদিকে যেমন অন্তর্ভুক্তিমূলক ও টেকসই প্রবৃদ্ধি এসেছে, অন্যদিকে আমাদের আর্থ-সামাজিক ভিত্তিটিও অতীতের যেকোনো সময়ের তুলনায় শক্তিশালী হয়েছে। সেই নিজস্ব শক্তির কল্যাণেই বাংলাদেশ করোনাজনিত সংকট সাফল্যের সঙ্গে মোকাবিলার পাশাপাশি সাম্প্রতিক সময়ের ভূ-রাজনৈতিক অস্থিরতাজনিত অর্থনৈতিক চাপ সামলানোর ক্ষেত্রেও বেশিরভাগ দেশের চেয়ে বেশি সুসংহত অবস্থায় রয়েছে।

গেল ডিসেম্বরে ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ দিবস’ উপলক্ষে বক্তৃতায় তাই প্রধানমন্ত্রী পরবর্তী দুই দশকের মধ্যে ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ গড়ে তোলার নতুন অভিযাত্রা শুরুর ঘোষণা দিয়েছেন। জানিয়েছেন, তার সরকার ‘স্মার্ট সিটিজেন, স্মার্ট ইকোনমি, স্মার্ট গভর্নমেন্ট ও স্মার্ট সোসাইটি’—এই চারটি ভিত্তি মজবুতকরণের মাধ্যমে ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত বাংলাদেশ গঠনের জন্য এরই মধ্যে কাজ করতে শুরু করেছে। এই পরিকল্পনা ও প্রত্যয় আশাব্যঞ্জক তো বটেই, একই সঙ্গে আমাদের নিজস্ব সামাজিক পুঁজি ও সম্ভাবনাময় আর্থ-সামাজিক ভিত্তির সম্মিলনে যে আত্মশক্তি পুরো সমাজে সঞ্চারিত হয়েছে, তার প্রতিফলনও এখানে ঘটেছে।

এই আত্মবিশ্বাস অবশ্যই ভিত্তিহীন নয়। স্বাধীনতার পর থেকে এ যাবৎ মৌলিক সামষ্টিক অর্থনৈতিক সূচকগুলোর পরিবর্তনের দিকে একটু নজর দিলেই এই আত্মবিশ্বাসের উৎসর সন্ধান মেলে। স্বাধীনতার পরে একেবারে শূন্য থেকে যাত্রা শুরু করেছিলেন বঙ্গবন্ধু। ১৯৭২-এ মাথাপিছু আয় ছিল ৯১ ডলারের কম (কারেন্ট ইউএস ডলারে)।

বিশ্বব্যাংকের তথ্য থেকে দেখা যায়, চার বছরেরও কম সময়ে বঙ্গবন্ধুর দূরদর্শী নেতৃত্বের কল্যাণে ১৯৭৫-এ সেই মাথাপিছু আয় ২৬০ ডলার ছাড়িয়ে যায় (অর্থাৎ প্রায় তিন গুণ বেড়ে যায়)। বঙ্গবন্ধুকে হারিয়ে উল্টোপথে যাত্রা শুরু করেছিল অর্থনীতি। মাথাপিছু আয় বাড়ার বদলে কমতে শুরু করে। ১৯৭৫-এর পর্যায়ে উঠে আসতে অপেক্ষা করতে হয়েছিল আরও ১৩-১৪ বছর। তার পরও আগের সেই গতি ফিরে পেতে সময় লেগেছে আরও বেশি। মাঝখানে ১৯৯৬ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত কিছুটা উল্লম্ফন ঘটানো সম্ভব হয়েছিল আবারও বঙ্গবন্ধুর আদর্শের কল্যাণমুখী সরকার ক্ষমতা গ্রহণের পর। কিন্তু আবারও এই অভিযাত্রায় ছেদ পড়ে। তবে ২০০৯ সালে বঙ্গবন্ধুকন্যা দ্বিতীয়বারের মতো দেশের দায়িত্বভার কাঁধে নেওয়ার পর আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। ওই সময় মাথাপিছু আয় ছিল ৬৩০ ডলার। ১৩ বছরের মধ্যে (২০২১ সালে) তা বেড়ে হয় দুই হাজার ৪৫৭ ডলার। সর্বশেষ ২০২২-এর হিসাব বলছে, এই আয় এখন দুই হাজার ৮০০ ডলার ছাড়িয়েছে। স্বাধীনতার পর থেকে এই হিসাবে মাথাপিছু আয় যতটুকু বেড়েছে তার ৮০ শতাংশের বেশিই বেড়েছে গত ১৩-১৪ বছরে। অর্থাৎ ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ বাস্তবায়নের সাম্প্রতিক সময়ের অভিযাত্রার ফলে আমাদের মাথাপিছু আয় বৃদ্ধিতে নাটকীয় গতি সঞ্চারিত হয়েছে। একই কথা প্রযোজ্য রপ্তানি ও আমদানির ক্ষেত্রেও।

স্বাধীনতা-উত্তরকালে বার্ষিক রপ্তানির পরিমাণ (কারেন্ট প্রাইস হিসাবে) ১২০ গুণেরও বেশি বেড়ে ৫০ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়েছে, আর এই প্রবৃদ্ধির ৬১ শতাংশ হয়েছে গত ১৩-১৪ বছরে। একইভাবে আমদানি যে ৮৩ গুণ বেড়েছে তার ৬৯ শতাংশই ঘটেছে ২০০৮-০৯ পরবর্তী সময়ে। রেমিট্যান্স প্রবাহেও এই সর্বশেষ ১৩-১৪ বছরে সবচেয়ে বড় উল্লম্ফন আমরা দেখেছি (পাঁচ দশকের মোট প্রবৃদ্ধির ৬০ শতাংশ এই সময়ে ঘটেছে)। আমাদের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ সাম্প্রতিক সময়ের বৈশ্বিক সংকটের কারণে কিছুটা ক্ষয়িত হয়েছে। তবে মনে রাখতে হবে বিশ্বব্যাংকের হিসাব মতে, এই রিজার্ভের পরিমাণ ২০০৮-০৯ ছিল ছয় বিলিয়নেরও কম, আর পরের ১২-১৩ বছরে তা বেড়ে হয়েছে ৪৬ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি।

ড. আতিউর রহমান: বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর

আরএ/

Header Ad
Header Ad

নরসিংদীতে ছাত্রদল কর্মীকে গুলি করে হত্যা

হুমায়ুনের মেহেরপাড়া ইউনিয়ন ছাত্রদলের যুগ্ম সম্পাদক। ছবি: সংগৃহীত

রাজনৈতিক প্রতিহিংসা, আধিপত্য বিস্তার ও জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে নরসিংদীর মেহেরপাড়ায় এক ছাত্রদল কর্মীকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে।

শনিবার (২১ ডিসেম্বর) দিনগত রাত ১২টার দিকে নরসিংদীর পাঁচদোনা মেহেরপাড়া বাড়ি আগিণার খেলার মাঠ থেকে তাকে ডেকে নিয়ে গুলি করে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা।

নিহত হুমায়ুন কবির (২৬) মেহেরপাড়া ইউনিয়নের নাগরারহাট এলাকার একরামুল হকের ছেলে। তিনি মেহেরপাড়া ইউনিয়ন ছাত্রদলের সদস্য।

নিহতের স্বজনরা অভিযোগ করে বলেন, আধিপত্য বিস্তার ও জমি সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে একই এলাকার বাদল মিয়া, শাহআলম ও আতাউর মেম্বারের সঙ্গে দ্বন্দ্ব চলছিল হুমায়ুন কবিরের। দ্বন্দ্বের জেরে ইতোমধ্যে দুই পক্ষ একাধিক মামলা করেছে। গতকাল শনিবার দিনগত রাতে নিহত হুমায়ুন বাড়ির পাশের আঙ্গিনায় ব্যাডমিন্টন খেলছিল। রাত ১২টার দিকে দুটি মোটরসাইকেল যোগে শাহ আলম ও টিপুসহ চারজন হুমায়ুনের বাড়ির সামনে আসে। ওই সময় তারা হুমায়ুনকে ব্যাডমিন্টন খেলা থেকে ডেকে পাঁচদোনা বাজার মাছের আড়ৎ মসজিদের দিকে ডেকে নিয়ে যায়। সেখানে সন্ত্রাসীরা তার বুকে, পিঠে ও ঘারে পরপর তিনটি গুলি করে। এ সময় সে মাটিতে লুটিয়ে পরে। গুলির শব্দ শুনে খেলার মাঠ থেকে লোকজন এগিয়ে এলে সন্ত্রাসীরা তাদের লক্ষ্য করে গুলিবর্ষণ করে আতঙ্ক সৃষ্টি করে। পরে তারা মটোরসাইকেল যোগে পালিয়ে যায়। মুমূর্ষু অবস্থায় হুমায়ুনকে হাসপাতালে আনার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এদিকে, হুমায়ুন হত্যার বিচার দাবিতে হাসপাতাল চত্বরে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন এলাকাবাসী।

নিহত হুমায়ুনের বন্ধু ও মেহেরপাড়া ইউনিয়ন ছাত্রদলের যুগ্ম সম্পাদক সুজন ভূইয়া বলেন, ‘স্বৈরাচার পতনের আন্দোলনে সক্রিয় ভূমিকা ছিল নিহত হুমায়ুনের। তার নেতৃত্বেই পাঁচদোনা মেহেরপাড়া ও মাধবদী আন্দোলন হয়েছিল। এসব ঘটনা নিয়ে সে এলাকার অনেকের রোষানলে পড়ে। এসবের জেরে তার বাড়ি ঘরে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। প্রাণ বাঁচাতে সে পালিয়ে থাকে। ৫ তারিখের পর এলাকায় আসে। এর মধ্যেই গতকাল তাকে বাড়ির আঙ্গিনা থেকে ডেকে নিয়ে গুলি করে হত্যা করা হলো।’

নিহতের বড় ভাই আল মামুন বলেন, ‘আমাদের ১৭ শতাংশ একটি জমি দখল করে নেয় বাদল মিয়ারা। পরে মামলার রায় পাওয়ার পর আমরা জমিটি দখলে নিই। এ নিয়ে তাদের সঙ্গে দ্বন্দ্ব তীব্র হয়। এরই জের ধরে তারা আমার ভাইকে গুলি করে হত্যা করেছে। এ ছাড়া স্বৈরাচার পতন আন্দোলনে তার সক্রিয় ভূমিকা ছিল। এসব নিয়ে অনেকে তাকে দমানোর চেষ্টা করছিল।’

মাধবদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নজরুল ইসলাম বলেন, ‘ব্যাডমিন্টন খেলা শেষে অজ্ঞাত দুর্বৃত্তরা তাকে গুলি করে পালিয়ে যায়। ধারণা করা হচ্ছে, পূর্ব শত্রুতার জেরেই তাকে হত্যা করা হয়েছে। হত্যার প্রকৃত কারণ উদঘাটনসহ হত্যাকারীদের গ্রেপ্তারে কাজ করছে পুলিশ।’

Header Ad
Header Ad

শেখ হাসিনাকে গ্রেপ্তার করতে ইন্টারপোলে রেড নোটিশ জারি

শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ইন্টারপোলের রেড নোটিশ জারি। ছবি: সংগৃহীত

জুলাই-আগস্ট গণহত্যা মামলার প্রধান আসামি পলাতক শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ইন্টারপোলে রেড নোটিশ জারি করা হয়েছে বলে জানিয়েছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম।

রোববার (২২ ডিসেম্বর) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের নিজ কার্যালয়ে তিনি সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।

তিনি জানান, ইন্টারপোলে রেড নোটিশ জারির মাধ্যমে হাসিনাসহ পলাতক আসামিদের ফেরত আনতে চায় সরকার।

এর আগে, গত ১০ নভেম্বর আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল গণমাধ্যমকে বলেন, শেখ হাসিনাসহ জুলাই-আগস্ট গণহত্যায় অভিযুক্ত পলাতক সব আসামিকে ফিরিয়ে আনতে ইন্টারপোলের মাধ্যমে রেড অ্যালার্ট নোটিশ জারি করতে যাচ্ছে সরকার।

পরে ১২ নভেম্বর এক প্রেস ব্রিফিংয়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম বলেন, শেখ হাসিনা গণহত্যা, গুমসহ অন্যান্য মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্ত এবং মামলার আসামি। তবে তিনি পালিয়ে গেছেন এবং বর্তমানে দেশের সীমানার বাইরে অবস্থান করছেন। এরকম একজন অপরাধীকে গ্রেপ্তার করতে বা তার বিরুদ্ধে রেড অ্যালার্ট নোটিশ জারি করতে আন্তর্জাতিক সংস্থা হিসেবে ইন্টারপোলকে চিঠি দেওয়া হয়েছে।

১২ নভেম্বর ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউশন সংস্থা থেকে এ তথ্য জানানো হয়।

গত ১৭ অক্টোবর জুলাই-আগস্টে সংঘটিত গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগের মামলায় পৃথক মামলায় শেখ হাসিনা,ওবায়দুল কাদেরসহ ৪৬ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। অন্যান্য যাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয় তারা হলেন, শেখ হাসিনা বোন শেখ রেহানা, শেখ হাসিনার মন্ত্রিপরিষদের সদস্য মোহাম্মদ এ আরাফাত, আসাদুজ্জামান খান কামাল, আনিসুল হক, দীপু মনি, আ ক ম মোজাম্মেল হক, শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়, সাবেক মন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, শেখ সেলিম, ব্যারিস্টার ফজলে নূর তাপস, শেখ ফজলে শামস পরশ, সাবেক আইজিপি আবদুল্লাহ মামুন, ডিবি হারুন, পুলিশের সাবেক কর্মকর্তা বিপ্লব কুমার সরকার, প্রলয় কুমার জোয়ার্দার, সাবেকডিএমপি হাবিবুর রহমান, সাবেক র‌্যাব ডিজি হারুন অর রশিদ, সাবেক সেনা কর্মকর্তা জিয়াউল আহসান, শেখ হাসিনার সাবেক উপদেষ্টা তারেক আনাম সিদ্দিকী,বিচারপতি মানিক, ড. জাফর ইকবাল, সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা মনিরুল ইসলামসহ ৪৬ জন।

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বে তিন বিচারপতির বেঞ্চ এ আদেশ দেন। অপর দুই জন হলেন, বিচারপতি মো. শফিউল আলম মাহমুদ ও বিচারপতি মো. মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী।

এর আগে পৃথক মামলায় ৪৬ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আবেদন জানান চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম।

Header Ad
Header Ad

ভারতের কাছে হেরে বাংলাদেশের স্বপ্নভঙ্গ

ছবি: সংগৃহীত

দারুণ সব জয়ে নারী অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপে ফাইনালে উঠেছিলও বাংলাদেশ। একমাত্র হারটি ছিলো ভারতের কাছে। সেই ভারতকে ফাইনালে পেয়ে প্রতিশোধ নিতে পারেনি সুমাইয়া আক্তারের দল। কুয়ালালামপুরে ভারত আজ ৪১ রানের জয়ে বাংলাদেশের স্বপ্ন ভেঙ্গে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে।

বেউয়েমাস ওভালের ফাইনালে বাংলাদেশের বোলাররা ভারতকে আটকে রেখেছিলেন নাগালের মধ্যে। টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে ৭ উইকেটে ১১৭ রানের পূঁজি পায় ভারত।

সর্বোচ্চ ৫২ রান করেন গঙ্গাদি তৃষা। বল হাতে ফারজানা ইয়াসমিন ৩১ রানে চার উইকেট নিয়ে সবচেয়ে সফল ছিলেন। ১১৮ রানের টার্গেটে ব্যাটিংয়ে নেমে দ্বিতীয় ওভারেই উইকেট হারায় বাংলাদেশ। রানের খাতা খুলতে পারেননি মোসাম্মত ইভা। দলীয় ৮ রানে ওপেনিং জুটি ভাঙ্গার পর সুমাইয়া আক্তারকে নিয়ে ১৬ ও জুয়াইরা ফেরদৌসের সঙ্গে ২০ রানের জুটি গড়েন ফাহমিদা ছোয়া। এই ওপেনার ২৪ বলে ১৮ করে আউট হতেই ভেঙে পড়ে বাংলাদেশের ব্যাটিং লাইনআপ। ১৮ ওভার তিন বল পর্যন্ত টিকে থেকে ৭৬ রানে অলআউট হয় তারা।

৪১ রানের জয়োৎসবে মাতে ভারতীয় মেয়েরা। বাংলাদেশের ব্যাটিংয়ে সর্বোচ্চ ২২ রান করেন জুয়াইরা। এই দুজন ছাড়া আর কেউ দুই অঙ্কের ঘরে রান করতে পারেননি। ভারতের বোলিংয়ে আয়ুশি শুক্লা ১৭ রানে তিন উইকেট নেন। দুটি করে উইকেট পান পারুনিকা সিসোদিয়া ও সোনাম যাদব।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

নরসিংদীতে ছাত্রদল কর্মীকে গুলি করে হত্যা
শেখ হাসিনাকে গ্রেপ্তার করতে ইন্টারপোলে রেড নোটিশ জারি
ভারতের কাছে হেরে বাংলাদেশের স্বপ্নভঙ্গ
এক দশক পর ফিরলো ‘আমার দেশ’ পত্রিকা
৩০০ মিলিয়ন ডলার পাচার: হাসিনা ও জয়ের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু দুদকের
ইয়েমেনে হুথিদের লক্ষ্যবস্তুতে মার্কিন বিমান হামলা
লোকসানের মিথ্যা গল্প শোনাচ্ছে ব্রিডার ফার্মগুলো
একজন ঢাকা অন্যজন কলকাতায় সংসার ভাঙছে মিথিলার
আইনজীবী আলিফ হত্যা: তদন্ত কমিটির সব সদস্যের পদত্যাগ
যে কোন সময় বাংলাদেশের পাশে নতুন দেশ
গাজীপুরে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণ হয়ে আওয়ামী লীগ নেতার স্ত্রীর মৃত্যু
বাংলাদেশে ইসলামি চরমপন্থা আসবে না: ড. ইউনূস
  সংকট কাটছে, মেট্রোর যাত্রীদের সুখবর দিল ডিএমটিসিএল
ভারতের বিপক্ষে ১১৮ রান করলেই এশিয়া কাপ ঘরে উঠবে বাংলাদেশ
বিরামপুরে শীতার্তদের মাঝে কম্বল বিতরণ
টাঙ্গাইলে আ.লীগ নেতা ও ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল আলীম আটক
শেখ হাসিনা নিজ হাতে তার বাবাকে দ্বিতীয়বার হত্যা করেছে: গয়েশ্বর
চুয়াডাঙ্গায় অবৈধ যানবাহন বন্ধ না হলে গণপরিবহন বন্ধের ঘোষণা
জুমার দিনে ফিলিস্তিনের মসজিদে আগুন দিল ইসরায়েলিরা
গাইবান্ধায় বিএনপি-জামায়াত সংঘর্ষ, আহত অন্তত ১০