রবিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৫ | ১৪ বৈশাখ ১৪৩২
Dhaka Prokash

বাংলাদেশ নিজের শক্তিতে দাঁড়িয়েছে

চলমান বিশ্ব অর্থনৈতিক সংকট সত্ত্বেও বাংলাদেশের অর্থনীতি জোর কদমেই এগিয়ে চলেছে। অন্য অনেক দেশের মতোই কোভিড-১৯ এর কারণে বেশ খানিকটা থমকে দাঁড়িয়েছিল বাংলাদেশের অর্থনীতি। প্রায় দেড় দশক ধরে গড়ে সাড়ে ৬ শতাংশেরও বেশি হারে বেড়ে চলা এই অর্থনীতি ২০২০-২১ সালে কমে ৪ শতাংশের মতো হারে বেড়েছিল। এরপর স্বচেষ্টায় ঘুরে দাঁড়াচ্ছিল এই অর্থনীতি। কিন্তু ২০২২ সলের শুরুর দিকে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ ফের আমাদের অর্থনীতিকে চাপের মধ্যে ফেলে দেয়। বিশেষ করে দীর্ঘদিন ধরে যে ম্যাক্রো অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা বজায় রেখেছিল বাংলাদেশ, তা বড় ধরনের বাধার মুখে পড়ে। রিজার্ভ কমতে থাকে। টাকার দামও কমে। মূল্যস্ফীতি বাড়ে। অনানুষ্ঠানিক খাতের কোটি পরিবারের গরিব ও কম আয়ের মানুষের জন্য বিনা অথবা কম মূল্যে খাবার সরবরাহের মতো বিরাট সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচি হাতে নিতে হয় সরকারকে।

শক্তিশালী কৃষি খাত, রপ্তানি এবং প্রবাস আয় বাংলাদেশের অর্থনীতিকে এ সব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে সচল রাখতে বড় ভূমিকা রেখে চলেছে। সে কারণেই বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অর্জনকে প্রশংসার চোখে দেখে সারাবিশ্ব। এর প্রকাশ ঘটে কয়েক দিন আগে বাংলাদেশ সফরে আসা বিশ্বব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক অ্যাক্সেল ফন ট্রোটসেনবার্গের কথায়। বিশেষ করে পদ্মা সেতুর অর্থায়ন নিয়ে বিশ্বব্যাংকের ভূমিকায় যে অস্বস্তি বাংলাদেশের ছিল, তা যেন অনেকটাই কেটে গেছে। নিজের অর্থে ওই সেতু নির্মাণ করে বিশ্বের কাছে যে আত্মশক্তিতে বলীয়ান অগ্রযাত্রার নজির বাংলাদেশ রেখেছে, তার প্রভাব মনে হয় বিশ্বব্যাংকের ওপর মহলেও পড়েছে। তাই আমি অবাক হইনি যখন তিনি বলেন, ‘সামষ্টিক অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনা, রপ্তানি বহুমুখীকরণ, আর্থিক খাত, জ্বালানি এবং জলবায়ু সহনশীলতার খাতে জোরালো সংস্কারের মাধ্যমে বাংলাদেশ দীর্ঘমেয়াদি প্রবৃদ্ধি অর্জন করতে পারে।’

অন্তর্ভুক্তিমূলক ও টেকসই উন্নয়নে বাংলাদেশের সফলতার ট্র্যাক রেকর্ডই যে এমন আশাবাদের উৎস, সেটিও তার আনুষ্ঠানিক বক্তব্যে উঠে এসেছে। তিনি এ দেশকে ‘৫০ বছরে বিশ্বের শ্রেষ্ঠ উন্নয়ন গল্পের একটি’ হিসেবে অভিহিত করেছেন।

বিশ্বব্যাংক ব্যবস্থাপনা পরিচালকের এই আশাবাদ এমনি এমনি তৈরি হয়নি। এর ভিত্তি বাংলাদেশের উদ্যোক্তা জনগণ এবং সাহসী নেতৃত্বই তলে তলে তৈরি করেছেন।

উল্লেখ্য, এক যুগেরও বেশি আগে ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ গড়ার যে অভিযাত্রা শুরু হয়েছিল, তার পরিণতিতে একদিকে যেমন অন্তর্ভুক্তিমূলক ও টেকসই প্রবৃদ্ধি এসেছে, অন্যদিকে আমাদের আর্থ-সামাজিক ভিত্তিটিও অতীতের যেকোনো সময়ের তুলনায় শক্তিশালী হয়েছে। সেই নিজস্ব শক্তির কল্যাণেই বাংলাদেশ করোনাজনিত সংকট সাফল্যের সঙ্গে মোকাবিলার পাশাপাশি সাম্প্রতিক সময়ের ভূ-রাজনৈতিক অস্থিরতাজনিত অর্থনৈতিক চাপ সামলানোর ক্ষেত্রেও বেশিরভাগ দেশের চেয়ে বেশি সুসংহত অবস্থায় রয়েছে।

গেল ডিসেম্বরে ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ দিবস’ উপলক্ষে বক্তৃতায় তাই প্রধানমন্ত্রী পরবর্তী দুই দশকের মধ্যে ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ গড়ে তোলার নতুন অভিযাত্রা শুরুর ঘোষণা দিয়েছেন। জানিয়েছেন, তার সরকার ‘স্মার্ট সিটিজেন, স্মার্ট ইকোনমি, স্মার্ট গভর্নমেন্ট ও স্মার্ট সোসাইটি’—এই চারটি ভিত্তি মজবুতকরণের মাধ্যমে ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত বাংলাদেশ গঠনের জন্য এরই মধ্যে কাজ করতে শুরু করেছে। এই পরিকল্পনা ও প্রত্যয় আশাব্যঞ্জক তো বটেই, একই সঙ্গে আমাদের নিজস্ব সামাজিক পুঁজি ও সম্ভাবনাময় আর্থ-সামাজিক ভিত্তির সম্মিলনে যে আত্মশক্তি পুরো সমাজে সঞ্চারিত হয়েছে, তার প্রতিফলনও এখানে ঘটেছে।

এই আত্মবিশ্বাস অবশ্যই ভিত্তিহীন নয়। স্বাধীনতার পর থেকে এ যাবৎ মৌলিক সামষ্টিক অর্থনৈতিক সূচকগুলোর পরিবর্তনের দিকে একটু নজর দিলেই এই আত্মবিশ্বাসের উৎসর সন্ধান মেলে। স্বাধীনতার পরে একেবারে শূন্য থেকে যাত্রা শুরু করেছিলেন বঙ্গবন্ধু। ১৯৭২-এ মাথাপিছু আয় ছিল ৯১ ডলারের কম (কারেন্ট ইউএস ডলারে)।

বিশ্বব্যাংকের তথ্য থেকে দেখা যায়, চার বছরেরও কম সময়ে বঙ্গবন্ধুর দূরদর্শী নেতৃত্বের কল্যাণে ১৯৭৫-এ সেই মাথাপিছু আয় ২৬০ ডলার ছাড়িয়ে যায় (অর্থাৎ প্রায় তিন গুণ বেড়ে যায়)। বঙ্গবন্ধুকে হারিয়ে উল্টোপথে যাত্রা শুরু করেছিল অর্থনীতি। মাথাপিছু আয় বাড়ার বদলে কমতে শুরু করে। ১৯৭৫-এর পর্যায়ে উঠে আসতে অপেক্ষা করতে হয়েছিল আরও ১৩-১৪ বছর। তার পরও আগের সেই গতি ফিরে পেতে সময় লেগেছে আরও বেশি। মাঝখানে ১৯৯৬ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত কিছুটা উল্লম্ফন ঘটানো সম্ভব হয়েছিল আবারও বঙ্গবন্ধুর আদর্শের কল্যাণমুখী সরকার ক্ষমতা গ্রহণের পর। কিন্তু আবারও এই অভিযাত্রায় ছেদ পড়ে। তবে ২০০৯ সালে বঙ্গবন্ধুকন্যা দ্বিতীয়বারের মতো দেশের দায়িত্বভার কাঁধে নেওয়ার পর আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। ওই সময় মাথাপিছু আয় ছিল ৬৩০ ডলার। ১৩ বছরের মধ্যে (২০২১ সালে) তা বেড়ে হয় দুই হাজার ৪৫৭ ডলার। সর্বশেষ ২০২২-এর হিসাব বলছে, এই আয় এখন দুই হাজার ৮০০ ডলার ছাড়িয়েছে। স্বাধীনতার পর থেকে এই হিসাবে মাথাপিছু আয় যতটুকু বেড়েছে তার ৮০ শতাংশের বেশিই বেড়েছে গত ১৩-১৪ বছরে। অর্থাৎ ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ বাস্তবায়নের সাম্প্রতিক সময়ের অভিযাত্রার ফলে আমাদের মাথাপিছু আয় বৃদ্ধিতে নাটকীয় গতি সঞ্চারিত হয়েছে। একই কথা প্রযোজ্য রপ্তানি ও আমদানির ক্ষেত্রেও।

স্বাধীনতা-উত্তরকালে বার্ষিক রপ্তানির পরিমাণ (কারেন্ট প্রাইস হিসাবে) ১২০ গুণেরও বেশি বেড়ে ৫০ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়েছে, আর এই প্রবৃদ্ধির ৬১ শতাংশ হয়েছে গত ১৩-১৪ বছরে। একইভাবে আমদানি যে ৮৩ গুণ বেড়েছে তার ৬৯ শতাংশই ঘটেছে ২০০৮-০৯ পরবর্তী সময়ে। রেমিট্যান্স প্রবাহেও এই সর্বশেষ ১৩-১৪ বছরে সবচেয়ে বড় উল্লম্ফন আমরা দেখেছি (পাঁচ দশকের মোট প্রবৃদ্ধির ৬০ শতাংশ এই সময়ে ঘটেছে)। আমাদের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ সাম্প্রতিক সময়ের বৈশ্বিক সংকটের কারণে কিছুটা ক্ষয়িত হয়েছে। তবে মনে রাখতে হবে বিশ্বব্যাংকের হিসাব মতে, এই রিজার্ভের পরিমাণ ২০০৮-০৯ ছিল ছয় বিলিয়নেরও কম, আর পরের ১২-১৩ বছরে তা বেড়ে হয়েছে ৪৬ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি।

ড. আতিউর রহমান: বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর

আরএ/

Header Ad
Header Ad

পাকিস্তানের সঙ্গে বাণিজ্য বন্ধে ভারতের ১.১৪ বিলিয়ন ডলার ক্ষতির শঙ্কা

ছবি: সংগৃহীত

কাশ্মীরের পহেলগামে বন্দুকধারীদের হামলার পর ভারত-পাকিস্তান সম্পর্কে নতুন করে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে। এ হামলার জন্য ইসলামাবাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে নয়া দিল্লি সিন্ধু নদী পানিবণ্টন চুক্তি স্থগিতসহ একাধিক কড়া পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে।

এর প্রতিক্রিয়ায় পাকিস্তান গত বৃহস্পতিবার ভারতের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ও চুক্তি স্থগিতের সিদ্ধান্ত নেয়। পাশাপাশি, ভারতীয় বিমানের জন্য নিজেদের আকাশসীমাও বন্ধ করে দেওয়ার ঘোষণা দেয় ইসলামাবাদ। এমন তথ্য জানিয়েছে দ্য এক্সপ্রেস ট্রিবিউন।

রোববার (২৭ এপ্রিল) প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে পাকিস্তান বিজনেস ফোরামের (পিবিএফ) কর্মকর্তারা জানান, পাকিস্তানের সঙ্গে বাণিজ্য বন্ধ হওয়ার ফলে ভারত বছরে প্রায় ১.১৪ বিলিয়ন ডলার ক্ষতির মুখে পড়তে পারে। পিবিএফের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৪ সালের এপ্রিল থেকে ২০২৫ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত ভারত পাকিস্তানে প্রায় ৫০০ মিলিয়ন ডলারের পণ্য রপ্তানি করেছে, যেখানে একই সময়ে পাকিস্তান থেকে ভারতের আমদানি ছিল মাত্র ৪.২ মিলিয়ন ডলার।

এছাড়াও, পাকিস্তানের মাধ্যমে আফগানিস্তানে প্রবেশ করা ভারতীয় পণ্যের পরিমাণ ছিল প্রায় ৬৪০ মিলিয়ন ডলার। এই নিষেধাজ্ঞার ফলে সেই বাণিজ্যেও বড় ধরনের বিঘ্ন ঘটবে, যার ফলে ভারতের আর্থিক ক্ষতি আরও বাড়বে বলে সতর্ক করেছে পিবিএফ।

পাকিস্তান বিজনেস ফোরামের সভাপতি খাওয়া মেহবুব উর রহমান বলেন, "পাকিস্তান সশস্ত্র বাহিনীকে সমর্থন জানিয়ে ভারতের অগ্রহণযোগ্য প্ররোচনার বিরুদ্ধে আমাদের জাতীয় ঐক্য গড়ে তুলতে হবে।" তিনি আরও বলেন, "ভারত বারবার পাকিস্তানকে দোষারোপের পুরনো অভ্যাস থেকে বেরিয়ে আসতে পারছে না, যা আমাদের ধৈর্যের সীমা ছাড়িয়ে গেছে।"

পিবিএফের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট আমনা মুনাওয়ার আয়ান পাহেলগাম হামলার পর ভারতের আনিত অভিযোগগুলোকে ‘অবিচারপূর্ণ মিথ্যা’ বলে অভিহিত করেছেন এবং ভারতের কাশ্মীর নীতির তীব্র সমালোচনা করেছেন।

ফোরামের চিফ অর্গানাইজার আহমদ জাওয়াদ বলেন, "ভারতের সিন্ধু পানিচুক্তি স্থগিতের সিদ্ধান্ত অবৈধ এবং এটি দক্ষিণ এশিয়ার শান্তির জন্য মারাত্মক হুমকি।" তিনি আরও উল্লেখ করেন, "পারস্পরিক শ্রদ্ধা ও সমতার ভিত্তিতে সমাধান না হওয়া পর্যন্ত ভারত-পাকিস্তান বাণিজ্য বন্ধ রাখা উচিত।"

পাকিস্তান বিজনেস ফোরাম দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় জাতীয় ঐক্যের আহ্বান জানিয়েছে এবং একইসঙ্গে ভারতের আগ্রাসী নীতির বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছে।

Header Ad
Header Ad

দেশের পথে প্রধান উপদেষ্টা

দেশের পথে প্রধান উপদেষ্টা। ছবি: সংগৃহীত

চারদিনের কাতার সফর শেষে ইতালিতে পোপ ফ্রান্সিসের শেষকৃত্য অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে দেশের পথে রওনা হয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। রোববার (২৭ এপ্রিল) বাংলাদেশ সময় দুপুর ১টায় তিনি ইতালির রোম ত্যাগ করেন।

রোম সফরকালে ড. ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন ভ্যাটিকান সিটির প্রভাবশালী দুই কার্ডিনাল—সিলভানো মারিয়া টমাসি ও জ্যাকব কুভাকাদ। বৈঠকে তারা ভূ-রাজনৈতিক বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে আলোচনা করেন এবং বিশেষভাবে পোপ ফ্রান্সিস ও ড. ইউনূসের মানবকল্যাণমুখী কর্মকাণ্ড নিয়ে কথা বলেন।

কার্ডিনালরা প্রয়াত পোপ ফ্রান্সিসকে ইউনূসের একজন “ঘনিষ্ঠ বন্ধু” বলে উল্লেখ করেন এবং বলেন, দু’জনই বিশ্বজুড়ে দারিদ্র্য বিমোচনে কাজ করেছেন। তারা ড. ইউনূসের অবদানের ভূয়সী প্রশংসা করে বলেন, “আপনি যেমন দারিদ্র্যের বিরুদ্ধে লড়াই করেছেন, পোপ ফ্রান্সিসও তা-ই করেছেন নিজের পথ থেকে।”

শনিবার রোমের ব্যাসিলিকা অব সেন্ট মেরিতে পোপ ফ্রান্সিসকে সমাহিত করা হয়। এরপরই কার্ডিনালদের সঙ্গে ড. ইউনূসের পৃথক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। জানা গেছে, আগামী সপ্তাহেই ভ্যাটিকান সিটিতে নতুন পোপ নির্বাচনের জন্য কার্ডিনালদের মধ্যে বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে, যেখানে এই দুই কার্ডিনাল নিজরাও সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে বিবেচিত।

Header Ad
Header Ad

রাজনীতির চেয়ারে ঘুণপোকা ধরেছে, এটি সংস্কার করা প্রয়োজন: ব্যারিস্টার ফুয়াদ

আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টির সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ। ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টির সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ বলেছেন, ‘আমাদের রাজনীতির চেয়ারে ঘুণপোকা ধরেছে। এজন্য চেয়ারটি সংস্কার করা প্রয়োজন। এখন সময় এসেছে ঘুণপোকা ধরা চেয়ারটি পরিবর্তন করার।’

শনিবার (২৬ এপ্রিল) সন্ধ্যায় চুয়াডাঙ্গা জেলা এবি পার্টি আয়োজিত মতবিনিময় ও আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি বিষয়ে তিনি বলেন, ‘প্রফেসর ইউনুস যদি এই সময়টাতে হাল না ধরতেন, ২২৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলার পাচার হওয়া বাংলাদেশে দুর্ভিক্ষ হতে পারতো এবং আওয়ামী লীগের দাবি অনুযায়ী ক্ষমতা হারানোর পর তাদের লক্ষ লক্ষ নেতাকর্মী মারা যেতে পারতো। এসবের কিছুই হয়নি।’ 

মতবিনিময় ও আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন এবি পার্টি চুয়াডাঙ্গা জেলা শাখার আহ্বায়ক আলমগীর হোসেন। এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন এবি পার্টির কেন্দ্রীয় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এ্যাডভোকেট আব্দুল্লাহ আল মামুন রানা।

সভায় বক্তারা বলেন, এবি পার্টি জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠায় কাজ করছে এবং আগামী দিনের রাজনীতিতে একটি ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ। এসময় দলকে তৃণমূল পর্যন্ত আরও সংগঠিত ও শক্তিশালী করতে সদস্যদের ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহ্বান জানানো হয়।

সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ব্যারিস্টার ফুয়াদ বলেন, ‘বর্তমানে অন্তর্বর্তীকালীন ইউনুস সরকার কিছু সম্ভাবনাময় অগ্রগতি দেখিয়েছে। বিদেশি বিনিয়োগকারীরা এখন বাংলাদেশের প্রতি আগ্রহ দেখাচ্ছে। রেমিটেন্সের গতি বেড়েছে, যা দেশের অর্থনীতির জন্য ইতিবাচক।

তিনি বলেন, ‘বর্তমান সরকার চাইলে জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় নির্বাচন হতে পারে। এতে নির্বাচন কমিশনের সক্ষমতা যাচাই হয়ে যাবে।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

পাকিস্তানের সঙ্গে বাণিজ্য বন্ধে ভারতের ১.১৪ বিলিয়ন ডলার ক্ষতির শঙ্কা
দেশের পথে প্রধান উপদেষ্টা
রাজনীতির চেয়ারে ঘুণপোকা ধরেছে, এটি সংস্কার করা প্রয়োজন: ব্যারিস্টার ফুয়াদ
উত্তাল ইউআইইউ ক্যাম্পাস, ভিসি-ডিনসহ ১১ কর্মকর্তার পদত্যাগ
এপ্রিলেই দেশে ফিরছেন খালেদা জিয়া, সঙ্গে থাকবেন দুই পুত্রবধূ
বাংলাদেশ ব্যাংকের অধীনে বিশাল নিয়োগ, পদ ৬০৮
ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টায় ফ্যাসিবাদী শাসক পালাতে বাধ্য হয়েছে: আলী রীয়াজ
মহেশপুর সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে দুই বাংলাদেশি নিহত
যেকোনো মূল্যে নিজের পানির অধিকার রক্ষা করবে পাকিস্তান: ‍শেহবাজ শরীফ
স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম নির্বাসিত কবি দাউদ হায়দার মারা গেছেন
পাকিস্তানে সেনাবাহিনী-সন্ত্রাসী গোলাগুলি, দুই সেনাসদস্যসহ নিহত ১৭
টাঙ্গাইলে ট্রাক-সিএনজি মুখোমুখি সংঘর্ষে চালকসহ নিহত ২
হজের ফ্লাইট শুরু মঙ্গলবার, উদ্বোধন করবেন ধর্ম উপদেষ্টা
ইরানের বন্দরে ভয়াবহ বিস্ফোরণে নিহত বেড়ে ১৪, আহত সাড়ে ৭ শতাধিক
ধর্ষণের শিকার জুলাই আন্দোলনে শহীদের মেয়ের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার
সিন্ধুর পানি ছাড়ল ভারত, হঠাৎ বন্যায় ডুবলো পাকিস্তানের কাশ্মীর
রিয়ালের হৃদয়ভাঙা রাত, কোপা দেল রে চ্যাম্পিয়ন বার্সেলোনা
উত্তরায় সেলফি তুলতে গিয়ে ট্রেনের ধাক্কায় তরুণ-তরুণীর মৃত্যু
জাতীয় গ্রিডে যান্ত্রিক ত্রুটিতে ১০ জেলায় বিদ্যুৎ বিভ্রাট
আবারও দুই ধাপে ৬ দিনের ছুটি পাচ্ছেন সরকারি চাকরিজীবীরা