শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪ | ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

শিক্ষা ও শিক্ষার্থী: অধিকার, বঞ্চনা ও আন্দোলন

বাংলাদেশে বহু বছর ধরে শিক্ষার অধিকার নিয়ে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন চলছে। এই আন্দোলন বাংলাদেশে অনেকগুলো গণতান্ত্রিক অধ্যায় তৈরি করেছে। ১৯৬২ সালে শিক্ষার অধিকার নিয়ে যে আন্দোলন হয়, সে আন্দোলনই সামরিক শাসনের বিরুদ্ধে শক্তিশালী প্রতিরোধের সূচনা করেছিল। তার ধারাবাহিকতায় পরবর্তী সময়ে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সামরিক শাসন প্রতিরোধের এক একটা দুর্গ তৈরী হয়েছিল। শিক্ষকরাও জড়িত ছিলেন। শিক্ষার অধিকার নিয়ে আন্দোলন করতে গিয়েই তারা বুঝতে পেরেছেন যে, যে রাষ্ট্রব্যবস্থার অধীনে শিক্ষা চলছে, তার পরিবর্তন না করলে শিক্ষার অধিকারও পাওয়া যাবে না। সেজন্য তারা সামরিক শাসন বিরোধী আন্দোলন করেছেন এবং এক পর্যায়ে বাংলাদেশের স্বাধীনতার দাবি তুলেছেন। ১৯৬৯ এর গণঅভ্যুত্থান তারই ফসল। ৬৯ এর গণ অভ্যুত্থানে ১১ দফা এই ছাত্র আন্দোলনের মধ্য থেকেই উত্থাপিত হয়েছিল।

এই আন্দোলন দমাতে তখন একটা সংগঠন আইয়ুব খানের পেটোয়া বাহিনী হিসেবে কাজ করেছে। তাদের নাম হচ্ছে 'এন.এস.এফ '(ন্যাশনাল স্টুডেন্ট ফ্রন্ট)। যেখানেই শিক্ষার্থীরা শিক্ষার জন্য আন্দোলন করেছে তারা বাধা দিচ্ছিল, যেখানে শিক্ষার্থীরা শিক্ষার জন্য আন্দোলন করেছে, শিক্ষকরা প্রতিবাদ করেছে সেখানেই তারা অত্যাচার নির্যাতন করেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন হলে হলে তারা আতঙ্ক তৈরী করছিল। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষক ড. আবু মাহমুদ-এর উপরও তারা আক্রমণ চালিয়েছিল।

স্বাধীনতা যুদ্ধের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা হওয়ার পরে সেই এন.এস.এফ এর ধারাবাহিকতার অবসান ঘটবে সেটিই আমাদের প্রত্যাশা ছিল। কিন্তু আমরা দেখতে পাচ্ছি স্বাধীনতার এতোবছর পরেও সেই এন.এস.এফ জীবিত আছে। বিভিন্ন সরকারের সময় এন.এস.এফ বিভিন্ন নামে আবির্ভূত হয় এবং গত ১৪ বছরে যে সরকার রয়েছে, সে সরকারের ছাত্র সংগঠন এন.এস.এফ হিসেবে সবচাইতে ভয়ংকর হয়ে উঠেছে। সমস্ত ধরনের প্রতিবাদে-মানুষের অধিকার, শিক্ষার্থীদের অধিকার , জনগণের অধিকার সেগুলোর উপরে হামলা করা, নিপীড়ন সন্ত্রাসই তাদের প্রধান কাজ। যারা প্রশাসনে থাকে, যারা দখলদার, যারা লুটেরা পুঁজিপতি, যারা নির্যাতক তাদের সহযোগী হিসেবে ভূমিকা পালন করা যেন তাদের দায়িত্ব। যে বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা মুক্তিযুদ্ধের অঙ্গীকার ছিল তার উল্টো যাত্রাই দেখেছি আমরা বিভিন্ন সরকারের সময়ে এবং শিক্ষার ভয়াবহ বাণিজ্যিকীকরণ তার অন্যতম সহযাত্রী।

মুক্তিযুদ্ধের আগে লড়াই করেছে শিক্ষার্থীরা,মুক্তিযুদ্ধের পরেও শিক্ষার জন্য গণতন্ত্রের জন্য সেই আন্দোলন অব্যাহত রাখতে হয়েছে। আমরা আশির দশকে সামরিক শাসন বিরোধী আন্দোলন দেখেছি। আশির দশকে এরশাদের স্বৈরশাসন বিরোধী আন্দোলন ষাট দশকের মতোই ছাত্র আন্দোলন দিয়েই শুরু হয়েছিল। ১৯৮৩, ৮৪ সালে আমরা খুবই শক্তিশালী ঐক্যবদ্ধ ছাত্র আন্দোলন বিকশিত হতে দেখি। সেই আন্দোলন গড়ে তোলায় ছাত্র সংগঠনগুলো তাদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করার পর রাজনৈতিক দলগুলো তাদেরকেই অনুসরণ করেছে। ১৯৯০ সালে এরশাদের পতনের আগে সকল ছাত্র সংগঠন মিলে একটা ঐক্যমতে এসেছিল দশ দফার ভিত্তিতে।

১৯৬৯ এর ১১ দফা, ৮০ দশকের ৫ দফা, তারপর ৯০ সালের যে দশ দফা এই সবগুলোর মধ্যেই শিক্ষা সকলের গণতান্ত্রিক অধিকার হিসেবে নিশ্চিত করার কথা বলা হয়েছে, সকল নাগরিক তার আয় যাই থাকুক না কেন শিক্ষায় প্রবেশে তার কোন বাধা থাকবেনা , রাষ্ট্র সেটা নিশ্চিত করবে। কিন্তু গত ৫ দশকে আমরা রাষ্ট্রীয় যাত্রা দেখছি উল্টো। মুক্তিযুদ্ধের আগে যারা ছাত্রনেতা ছিলেন , যারা ১১ দফা দিয়েছিলেন তাদের অনেকেই পরে মন্ত্রী হয়েছেন, বড় বড় কোটিপতি হয়েছেন, এই উল্টো যাত্রায় তারাও গুরুত্বপূর্ণ অংশীদারের ভূমিকা পালন করেছেন। এটাকে বলতে হবে বিশ্বাসঘাতকতা। ৯০ এর দশ দফায় যারা ছিলেন ছাত্রনেতা তারাও পরে অনেকেই বড় বড় কর্তা হয়েছেন, তারাও এই উল্টো যাত্রাকে আরো গতি দিয়েছেন।

আজকে যে মাত্রায় সারা বাংলাদেশে শিক্ষার বাণিজ্যিকীকরণ হয়েছে তা পৃথিবীর খুব কম দেশেই হয়েছে। আমরা পুঁজিবাদের বিশ্ব ব্যবস্থার মধ্যে আছি। কিন্তু পুঁজিবাদের কেন্দ্র যে দেশ যুক্তরাষ্ট্র কিংবা পুঁজিবাদের আরেক অঞ্চল ইউরোপ এই সমস্ত জায়গাতেও শিক্ষা প্রধানত রাষ্ট্রের দায়িত্ব। যুক্তরাষ্ট্রে দ্বাদশ শ্রেণী পর্যন্ত শিক্ষা নিশ্চিত করার দায়িত্ব রাষ্ট্রের। রাষ্ট্র এগুলো নিয়েছে কী কারণে? নিয়েছে এই কারণেই যে সেই সময় সেই সমস্ত অঞ্চলে জনগণের শক্তিশালী লড়াই ছিল, পাশাপাশি সোভিয়েত ইউনিয়নের যে অস্তিত্ব ছিল যেখানে শিক্ষা , চিকিৎসা সবকিছুই ছিল জনগণের অধিকার। আশ্রয় , বাসস্থান , কাজ সবকিছুই সেখানে নিশ্চিত। সেই ব্যাবস্থার সঙ্গে মোকাবেলা করতে গিয়ে পুঁজিবাদ আপোষ করেছে।

বাংলাদেশে বর্তমানে প্রাথমিক স্তর থেকে শুরু করে বিশ্ববিদ্যালয় সর্বত্র শিক্ষা একটা কেনা বেচার জিনিস। যার কাছে বেশি টাকা থাকবে সে উচ্চ মানের শিক্ষা কিনতে পারবে, যার কাছে টাকা থাকবেনা সে পারবেনা। ক্রমান্বয়ে শিক্ষার ব্যায় বেড়ে যাচ্ছে । সরকারী স্কুল, সরকারী কলেজে বেতন কম। কিন্তু তাদের পরীক্ষাতে পাশ করতে হলে গাইড বই কিনতে হবে, প্রাইভেট টিউটরের কাছে পড়তে হবে। গাইড বই , কোচিং সেন্টারসহ বিভিন্ন ধরনের আর্থিক লেনদেন এবং শিক্ষকদের নিয়োগ বাণিজ্য সমস্ত কিছু মিলিয়ে শিক্ষা খাত মুনাফাখোরদের খাতে পরিণত হয়েছে। প্রশ্নফাঁস হচ্ছে এটারই একটা অনিবার্য পরিণতি। যদি কোচিং সেন্টারকে বাণিজ্য করতে হয় , যদি মুনাফা নিশ্চিত করতে হয় তাহলে তাদেরও চেষ্টা থাকবে এইসব । অর্থ উপার্জন, পুঁজি সঞ্চয় একটা উন্মাদনার পর্যায়ে গেছে।

বাংলাদেশে শিক্ষাখাতে বাণিজ্যিকীকরণ , দলীয়করণসহ ভয়াবহ অবনতি তাই বিস্ময়কর কোন ঘটনা নয়। এমনকি সর্বজন বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে আমরা দেখছি এখন বিশ্বব্যাংকের ঋণের টাকায় যে HEQEP কর্মসূচী চলছে সেটার মূল লক্ষ্যই হচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা, সিলেবাস সমস্ত কিছুকে একটা বাণিজ্যিক তৎপরতায় পরিণত করা। যেখানে একজন শিক্ষককে ব্যস্ত থাকতে হয় কেনাকাটা নিয়ে। বাণিজ্যিকীকরণের ফলে প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় হচ্ছে , পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদেরকে একদিকে যেমন এই HEQEP এর বিভিন্ন তৎপরতায় ব্যাস্ত থাকতে হচ্ছে, অন্যদিকে তাঁদের প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়েও ব্যস্ত থাকতে হচ্ছে। পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ে উইকেন্ড ইভনিংসহ নানা প্রাইভেট বাণিজ্য সম্প্রসারিত হয়েছে। অর্থ উপার্জন যেখানে মূল লক্ষ্য সেখানে এই তৎপরতা শিক্ষকদেরও গ্রাস করবে এটাই স্বাভাবিক।

শিক্ষকদেরও একটা বড় অংশ তাই বাণিজ্যিকীকরণের সুবিধা নিচ্ছেন নিজেদের শিক্ষকতাকে বিসর্জন দিয়ে। শিক্ষকতা , গবেষণা এখন প্রান্তিক বিষয়। এখন মূল বিষয় হচ্ছে যেকোনো ভাবে অর্থ উপার্জন করা । এই প্রক্রিয়া পুরো অর্থনীতি, রাজনীতি, সমাজ, সমস্ত কিছুকে গ্রাস করেছে, এর সাথে যুক্ত হয়েছে সন্ত্রাস। যেকোনভাবে পুঁজি সঞ্চয় যদি মূল লক্ষ্য হয় তাহলে সেই সমাজে সন্ত্রাস , সহিংসতা , আধিপত্য এগুলো বাড়বেই।

আমরা তাই দেখতে পাচ্ছি বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলো একেকটা সন্ত্রাসের আস্তানা , নির্যাতনের কারখানায় পরিণত হয়েছে। সেখানে গণরুম এবং সিট বাণিজ্যের মাধ্যমে এমন একটা পরিস্থিতি তৈরি করা হয়েছে যে কোন রকমে সিট পাওয়ার জন্য কিংবা নিরাপদে থাকার জন্য কিংবা বিশ্ববিদ্যালয়ে টিকে থাকার জন্য কিংবা মার না খাওয়ার জন্য শিক্ষার্থীদের সরকারী ছাত্র সংগঠনের কর্মসূচী, নির্দেশ অনুযায়ী যেভাবে চলতে বলা হয় সেভাবে চলতে হচ্ছে। আজকে যে ছেলেদের দেখছি বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের মিছিল করছে কিংবা হামলা করছে তাদের হাতে রাম দা , লাঠি। এই ছেলেরা তো রাম দা, লাঠি ব্যাবহার করার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়নি। রামদা , লাঠি দিয়ে তাদেরই সহপাঠীদের আক্রমণ করার জন্য তো এই ছেলেদের বাবা মা বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠাননি। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি একটা খুবই কঠিন প্রতিযোগিতা। এভাবে ভর্তি হওয়ার মাধ্যমে তাদের মেধা, তাদের অঙ্গীকার , তাদের লেখাপড়া , তাদের অভিভাবকদের ইচ্ছা সমস্ত কিছু যে পর্যায়ে থাকে, তার উপর একের পর এক আঘাত করে এই ছেলেদের বানানো হয় সন্ত্রাসী। এই ছেলেদের ক্ষমতাবানরা সন্ত্রাসী বানায় কেন ? বানায় এই বয়সের তরুণদের আরেকটা অংশকে কাবু করার জন্য কিংবা নিয়ন্ত্রণ করার জন্য।

তরুনরাই তো সৃজনশীলতা দিয়ে , বিজ্ঞানচিন্তা দিয়ে, বিশ্লেষণ দিয়ে, পুরো দেশের ভবিষ্যৎ গতিমুখ পরিবর্তন করবে। তরুণদেরই দায়িত্ব হচ্ছে , অন্যায়ের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করা, তরুনদেরই দায়িত্ব হচ্ছে অন্যায় , অবিচার , বৈষম্যকে প্রশ্ন করা। তরুণদেরই দায়িত্ব হচ্ছে যারা প্রবীণ তাঁদের ভুলভ্রান্তি , বিভিন্ন ধরণের নিপীড়নমূলক তৎপরতা রাষ্ট্রের অবিচার সেগুলোর বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধভাবে রুখে দাঁড়ানো । সেই তরুনদের মধ্যে যদি সর্বক্ষণ আতঙ্ক তৈরী করার জন্য তরুনদেরই আরেকটা অংশকে ব্যাবহার করা হয় তাহলে কী হয়? একটা দেশে যে তরুনদের ভবিষ্যতের দায়িত্ব দেওয়ার কথা সেই তরুনদের ভয় আতঙ্কে জড়সড় নির্বিকার নির্লিপ্ত জনগোষ্ঠীতে অথবা তৈরী করা হয় যন্ত্র , অস্ত্র এবং অন্যদের হাতিয়ার হিসেবে। এভাবে একটা দেশে শুধুমাত্র বিশ্ববিদ্যালয় নয় একটা দেশের ভবিষ্যৎকে ভয়াবহ পরিস্থিতির মধ্যে ফেলা হচ্ছে।

মুক্তিযুদ্ধের অভিজ্ঞতা যে দেশের আছে, মুক্তিযুদ্ধে তরুণরা তাদের যে ভূমিকা, তারুণ্যের যে প্রকাশ ঘটিয়েছেন সেই দেশে তো এইরকম চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত চলতে পারে না। সেই তরুণদের মধ্য থেকেই আসতে হবে সৃজনশীলতা , সেই তরুণদের মধ্য থেকেই আসতে হবে বিশ্লেষণী ক্ষমতা, তরুনদের মধ্য থেকেই অসতে হবে দৃঢ়তা এবং যত ধরনের নিপীড়ন বৈষম্য আছে সেটা যৌন নিপীড়ন হোক , লিঙ্গীয় বৈষম্য হোক , সাম্প্রদায়িকতা জাতি বিদ্বেষ, প্রাণ প্রকৃতি বিনাশী তৎপরতা যাইহোক এগুলোর বিরুদ্ধে সবচাইতে সরব উচ্চারণটা তরুনদের মধ্য থেকেই আসতে হবে। নইলে এই বাংলাদেশ পরিবর্তনের কোন সম্ভাবনা নাই।

লেখক: শিক্ষাবিদ

Header Ad

৮ ক্রিকেটারসহ ৯ জনকে নিষিদ্ধ করলো বিসিবি

ছবি: সংগৃহীত

তৃতীয় বিভাগ ক্রিকেটে আচরণবিধি লঙ্ঘনের দায়ে ৮ ক্রিকেটারসহ মোট ৯ জনকে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড। নিয়ম অমান্য করায় এই ক্রিকেটারদের প্রত্যেককে ১ বছরের নিষেধাজ্ঞা এবং ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা করেছে বিসিবি।

শুক্রবার (২২ নভেম্বর) বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদের পক্ষে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ খবর জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, আচরণ বিধি লঙ্ঘনের দায়ে ৮ ক্রিকেটার ও এক ক্লাব কর্তাকে ১ বছরের জন্য নিষিদ্ধ এবং সবাইকে কমপক্ষে ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা গুনতে হবে।

এতে আরও বলা হয়েছে, ঘরোয়া ক্রিকেটের কোনো পর্যায়েই শৃঙ্খলাভঙ্গের কোনো ধরনের ঘটনায় নমনীয় হবে না বিসিবি। তাই এটিকে ক্রিকেটার ও কর্মকর্তাদের প্রতি বার্তা হিসেবে নেওয়া যায় যে, আচরণবিধি ভঙ্গের ঘটনায় বোর্ড কঠোর পদক্ষেপ নেবে।

ওই ৮ ক্রিকেটার হলেন, তেজগাঁও একাডেমির ইয়াসিন আরাফাত, রিফাত আল ইমন (অনিক), তাসিন আহমেদ রনবি, রাব্বি হাসান, পারভেজ আহমেদ জয়। স্যাফায়ার স্পোর্টিং ক্লাবের রানা খান, সাইফুল ইসলাম শাওন ও মোহাম্মদ হৃদয়। আর তেজগাঁও ক্লাবের কর্মকর্তা রবিন।

জানা গেছে, গত সোমবার পিকেএসফ ১ নম্বর মাঠে হওয়া সুপার লিগের ম্যাচে তেজগাঁও ক্রিকেট একাডেমি ও স্যাফায়ার স্পোর্টিং ক্লাবের ক্রিকেটাররা হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়ে। পরে ক্রিকেট কমিটি অব ঢাকা মেট্রোপলিসের টেকনিক্যাল কমিটি ঘটনার প্রমাণ সাপেক্ষে তাদের শাস্তি দেয়।

Header Ad

উপদেষ্টাদের যাচ্ছেতাই কর্মকাণ্ড মেনে নেওয়া হবে না: রিজভী

বক্তব্য রাখছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী। ছবি: সংগৃহীত

দেশের জনগণের দুর্ভোগের মধ্যে উপদেষ্টাদের অযাচিত কার্যকলাপ কোনোভাবেই মেনে নেওয়া হবে না বলে সতর্ক করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী। শুক্রবার (২২ নভেম্বর) বিকেলে নয়াপল্টনে শ্রমিক সমাবেশে তিনি এই মন্তব্য করেন।

রিজভী বলেন, জনগণের দুর্ভোগ আগের মতোই রয়ে গেছে। অন্তর্বর্তী সরকার নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে না। উপদেষ্টারা চাকরিজীবীর মতো কাজ করছেন। তাদের কাজে বিপ্লবের গতিশীলতা নেই।

তিনি বলেন, বিদেশে বসে শেখ হাসিনা গুজব ছড়িয়ে দুর্বৃত্তদের উসকানি দিচ্ছে। ক্ষমতা নিশ্চিত করার জন্যই গত ১৫ বছর পুলিশ দিয়ে হত্যা ও নির্যাতন চালানো হয়েছে।

বিএনপির এই নেতা অভিযোগ করেন, কারাগারের সালমান এফ রহমান বহাল তবিয়তে রয়েছেন। সেখানে সে খুব তৎপরতা চালাচ্ছে।

রুহুল কবির রিজভী বলেন, ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা এখনও বঞ্চিত হচ্ছে। আন্দোলনে ছিল এমন পরিচয়ে কিছু মানুষ সব পদ দখল করে নিচ্ছে।

এ সময় আন্দোলনে হতাহতদের মাসিক ভাতা ও ভরণপোষণের দায়িত্ব সরকারকে নিতে হবে বলেও জানান বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব।

Header Ad

ভিসা কবে উন্মুক্ত করবে সেটা ভারতের নিজস্ব ব্যাপার: হাসান আরিফ

ছবি: সংগৃহীত

ভূমি এবং বেসামরিক বিমান, পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা এ এফ এম হাসান আরিফ জানিয়েছেন, ভারত বাংলাদেশিদের জন্য কবে থেকে ভিসা উন্মুক্ত করে দিবে, তা ভারতের নিজস্ব ব্যাপার, এটা নিয়ে সরকারের কোনো বক্তব্য দেয়ার কিছু নেই।

শুক্রবার (২২ নভেম্বর) গাজীপুরের কালিয়াকৈরের সফিপুর নবনির্মিত ওয়ামি কমপ্লেক্সের উদ্বোধন কালে এসব কথা বলেন তিনি।

হাসান আরিফ বলেন, দেশের পর্যটন বিকাশে তার মন্ত্রণালয় বিশদ পরিকল্পনা নিয়েছে। এ বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য পরবর্তীতে সাংবাদিকদের জানানো হবে।

এ সময় তিনি বলেন, জিয়াউর রহমানের দানকৃত জমিতে গড়ে তোলা হবে হাসপাতালসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান। সমাজে অবস্থার কারণে বিভিন্নভাবে রোহিঙ্গাদের দেশ থেকে বিতাড়িত করেছে। ওয়ামী তাদের জন্য কাজ করে যাচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, শিক্ষা ক্ষেত্রে আমরা পিছিয়ে আছি। তবে শিক্ষার পাশাপাশি যুব সমাজকে এগিয়ে নিতে ওয়ামি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে চলেছে। অন্যতম মুসলিম দেশ হিসেবে বাংলাদেশের উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে সৌদি আরবের গুরুত্বপূর্ণ অবদানের কথা উল্লেখ করে তিনি উপস্থিত সৌদি রাষ্ট্রদূতের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান।

এ সময় আরও বক্তব্য রাখেন, সৌদি রাষ্ট্রদূত ঈসা ইউসুফ ঈসা আল দুহাইলান,ওয়ামী সচিবালয়ের অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি জেনারেল প্রফেসর ড. আব্দুল হামিদ ইউসুফ আল মাজরু, ওয়ামী কার্যালয়ের বৈদেশিক অফিস ও আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের ডিরেক্টর সাআ’দ আব্দুল্লাহ বিন জাবর ও ত্রাণ বিভাগের কর্মকর্তা আব্দুল মালেক আল আমের প্রমুখ। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন, গাজীপুর জেলা প্রশাসক নাফিসা আরেফিন, জেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কাউছার আহামেদ, উপজেলা সহকারী ভূমি কমিশনার দিল আফরোজ।

এর আগে পবিত্র কুরআন তেলাওয়াতের পর ভ্রাতৃপ্রতিম বাংলাদেশ ও সৌদি আরবের জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। নবনির্মিত ওয়ামি কমপ্লেক্স ভবনে রয়েছে দ্বিতল বিশিষ্ট সুপরিসর মসজিদ, ১০০ জন এতিম শিশুর জন্য উন্নত মানসম্পন্ন আবাসন ব্যবস্থা, ১টি ক্যাডেট মাদ্রাসা, ১টি নুরানী ও হিফজ মাদরাসা, ১টি লাইব্রেরি হল, ১টি হলরুম ও কনফারেন্স রুম, তরুণ শিক্ষার্থীদের ডিজিটাল লার্নিং জন্য একটি আইটি প্রশিক্ষণ সেন্টার ও ডাইনিং হল। এ ছাড়াও কমপ্লেক্স এর অবশিষ্ট পরিকল্পনার মধ্যে একটি হাসপাতাল, স্কুল, ভোকেশনাল সেন্টার, প্রশিক্ষণার্থীদের জন্য ডরমিটরি ও প্লে গ্রাউন্ড নির্মাণের বিষয় তিনি উল্লেখ করেন।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

৮ ক্রিকেটারসহ ৯ জনকে নিষিদ্ধ করলো বিসিবি
উপদেষ্টাদের যাচ্ছেতাই কর্মকাণ্ড মেনে নেওয়া হবে না: রিজভী
ভিসা কবে উন্মুক্ত করবে সেটা ভারতের নিজস্ব ব্যাপার: হাসান আরিফ
জুরাইন রেলক্রসিং ছাড়লেন রিকশাচালকরা, ৪ ঘণ্টা পর ট্রেন চলাচল শুরু
পাঁচ দেশে যাওয়ার ব্যাপারে বাংলাদেশিদের জন্য সতর্কতা
সাফজয়ী নারী ফুটবলার আইরিনকে নওগাঁয় সংবর্ধনা
বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের স্কলারশিপ দেবে পাকিস্তান
বেনাপোলে সীমান্ত থেকে বিপুল পরিমাণ ফেনসিডিল উদ্ধার
পুলিশ-অটোরিকশা চালক সংঘর্ষ, ঢাকা-পদ্মা সেতু ট্রেন চলাচল বন্ধ
ভারতীয় সাবমেরিনের সঙ্গে মাছ ধরা নৌকার সংঘর্ষ, নিখোঁজ ২
সংসার ভাঙার দুদিন পরই সুখবর দিলেন এ আর রহমান
ঢাকায় পৌঁছেছেন বাইডেনের বিশেষ প্রতিনিধি
আ.লীগকে নির্বাচনের সুযোগ দেওয়ার বিষয়ে যা বললেন হাসনাত আব্দুল্লাহ
যুদ্ধবিধ্বস্ত লেবানন থেকে ফিরলেন আরও ৮২ বাংলাদেশি
পাকিস্তানে যাত্রীবাহী গাড়িতে সন্ত্রাসী হামলা, নিহত ৪৫
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ১৮ সদস্যের কেন্দ্রীয় কমিটি গঠন
তামিমকে অধিনায়ক করে বাংলাদেশের দল ঘোষণা
নতুন নির্বাচন কমিশন শপথ নেবে রোববার
গাজায় ইসরায়েলি হামলায় নিহতের সংখ্যা ছাড়াল ৪৪ হাজার
খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করলেন মাহফুজ-আসিফ-নাহিদ