মঙ্গলবার, ২১ জানুয়ারি ২০২৫ | ৭ মাঘ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

শিক্ষা ও শিক্ষার্থী: অধিকার, বঞ্চনা ও আন্দোলন

বাংলাদেশে বহু বছর ধরে শিক্ষার অধিকার নিয়ে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন চলছে। এই আন্দোলন বাংলাদেশে অনেকগুলো গণতান্ত্রিক অধ্যায় তৈরি করেছে। ১৯৬২ সালে শিক্ষার অধিকার নিয়ে যে আন্দোলন হয়, সে আন্দোলনই সামরিক শাসনের বিরুদ্ধে শক্তিশালী প্রতিরোধের সূচনা করেছিল। তার ধারাবাহিকতায় পরবর্তী সময়ে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সামরিক শাসন প্রতিরোধের এক একটা দুর্গ তৈরী হয়েছিল। শিক্ষকরাও জড়িত ছিলেন। শিক্ষার অধিকার নিয়ে আন্দোলন করতে গিয়েই তারা বুঝতে পেরেছেন যে, যে রাষ্ট্রব্যবস্থার অধীনে শিক্ষা চলছে, তার পরিবর্তন না করলে শিক্ষার অধিকারও পাওয়া যাবে না। সেজন্য তারা সামরিক শাসন বিরোধী আন্দোলন করেছেন এবং এক পর্যায়ে বাংলাদেশের স্বাধীনতার দাবি তুলেছেন। ১৯৬৯ এর গণঅভ্যুত্থান তারই ফসল। ৬৯ এর গণ অভ্যুত্থানে ১১ দফা এই ছাত্র আন্দোলনের মধ্য থেকেই উত্থাপিত হয়েছিল।

এই আন্দোলন দমাতে তখন একটা সংগঠন আইয়ুব খানের পেটোয়া বাহিনী হিসেবে কাজ করেছে। তাদের নাম হচ্ছে 'এন.এস.এফ '(ন্যাশনাল স্টুডেন্ট ফ্রন্ট)। যেখানেই শিক্ষার্থীরা শিক্ষার জন্য আন্দোলন করেছে তারা বাধা দিচ্ছিল, যেখানে শিক্ষার্থীরা শিক্ষার জন্য আন্দোলন করেছে, শিক্ষকরা প্রতিবাদ করেছে সেখানেই তারা অত্যাচার নির্যাতন করেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন হলে হলে তারা আতঙ্ক তৈরী করছিল। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষক ড. আবু মাহমুদ-এর উপরও তারা আক্রমণ চালিয়েছিল।

স্বাধীনতা যুদ্ধের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা হওয়ার পরে সেই এন.এস.এফ এর ধারাবাহিকতার অবসান ঘটবে সেটিই আমাদের প্রত্যাশা ছিল। কিন্তু আমরা দেখতে পাচ্ছি স্বাধীনতার এতোবছর পরেও সেই এন.এস.এফ জীবিত আছে। বিভিন্ন সরকারের সময় এন.এস.এফ বিভিন্ন নামে আবির্ভূত হয় এবং গত ১৪ বছরে যে সরকার রয়েছে, সে সরকারের ছাত্র সংগঠন এন.এস.এফ হিসেবে সবচাইতে ভয়ংকর হয়ে উঠেছে। সমস্ত ধরনের প্রতিবাদে-মানুষের অধিকার, শিক্ষার্থীদের অধিকার , জনগণের অধিকার সেগুলোর উপরে হামলা করা, নিপীড়ন সন্ত্রাসই তাদের প্রধান কাজ। যারা প্রশাসনে থাকে, যারা দখলদার, যারা লুটেরা পুঁজিপতি, যারা নির্যাতক তাদের সহযোগী হিসেবে ভূমিকা পালন করা যেন তাদের দায়িত্ব। যে বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা মুক্তিযুদ্ধের অঙ্গীকার ছিল তার উল্টো যাত্রাই দেখেছি আমরা বিভিন্ন সরকারের সময়ে এবং শিক্ষার ভয়াবহ বাণিজ্যিকীকরণ তার অন্যতম সহযাত্রী।

মুক্তিযুদ্ধের আগে লড়াই করেছে শিক্ষার্থীরা,মুক্তিযুদ্ধের পরেও শিক্ষার জন্য গণতন্ত্রের জন্য সেই আন্দোলন অব্যাহত রাখতে হয়েছে। আমরা আশির দশকে সামরিক শাসন বিরোধী আন্দোলন দেখেছি। আশির দশকে এরশাদের স্বৈরশাসন বিরোধী আন্দোলন ষাট দশকের মতোই ছাত্র আন্দোলন দিয়েই শুরু হয়েছিল। ১৯৮৩, ৮৪ সালে আমরা খুবই শক্তিশালী ঐক্যবদ্ধ ছাত্র আন্দোলন বিকশিত হতে দেখি। সেই আন্দোলন গড়ে তোলায় ছাত্র সংগঠনগুলো তাদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করার পর রাজনৈতিক দলগুলো তাদেরকেই অনুসরণ করেছে। ১৯৯০ সালে এরশাদের পতনের আগে সকল ছাত্র সংগঠন মিলে একটা ঐক্যমতে এসেছিল দশ দফার ভিত্তিতে।

১৯৬৯ এর ১১ দফা, ৮০ দশকের ৫ দফা, তারপর ৯০ সালের যে দশ দফা এই সবগুলোর মধ্যেই শিক্ষা সকলের গণতান্ত্রিক অধিকার হিসেবে নিশ্চিত করার কথা বলা হয়েছে, সকল নাগরিক তার আয় যাই থাকুক না কেন শিক্ষায় প্রবেশে তার কোন বাধা থাকবেনা , রাষ্ট্র সেটা নিশ্চিত করবে। কিন্তু গত ৫ দশকে আমরা রাষ্ট্রীয় যাত্রা দেখছি উল্টো। মুক্তিযুদ্ধের আগে যারা ছাত্রনেতা ছিলেন , যারা ১১ দফা দিয়েছিলেন তাদের অনেকেই পরে মন্ত্রী হয়েছেন, বড় বড় কোটিপতি হয়েছেন, এই উল্টো যাত্রায় তারাও গুরুত্বপূর্ণ অংশীদারের ভূমিকা পালন করেছেন। এটাকে বলতে হবে বিশ্বাসঘাতকতা। ৯০ এর দশ দফায় যারা ছিলেন ছাত্রনেতা তারাও পরে অনেকেই বড় বড় কর্তা হয়েছেন, তারাও এই উল্টো যাত্রাকে আরো গতি দিয়েছেন।

আজকে যে মাত্রায় সারা বাংলাদেশে শিক্ষার বাণিজ্যিকীকরণ হয়েছে তা পৃথিবীর খুব কম দেশেই হয়েছে। আমরা পুঁজিবাদের বিশ্ব ব্যবস্থার মধ্যে আছি। কিন্তু পুঁজিবাদের কেন্দ্র যে দেশ যুক্তরাষ্ট্র কিংবা পুঁজিবাদের আরেক অঞ্চল ইউরোপ এই সমস্ত জায়গাতেও শিক্ষা প্রধানত রাষ্ট্রের দায়িত্ব। যুক্তরাষ্ট্রে দ্বাদশ শ্রেণী পর্যন্ত শিক্ষা নিশ্চিত করার দায়িত্ব রাষ্ট্রের। রাষ্ট্র এগুলো নিয়েছে কী কারণে? নিয়েছে এই কারণেই যে সেই সময় সেই সমস্ত অঞ্চলে জনগণের শক্তিশালী লড়াই ছিল, পাশাপাশি সোভিয়েত ইউনিয়নের যে অস্তিত্ব ছিল যেখানে শিক্ষা , চিকিৎসা সবকিছুই ছিল জনগণের অধিকার। আশ্রয় , বাসস্থান , কাজ সবকিছুই সেখানে নিশ্চিত। সেই ব্যাবস্থার সঙ্গে মোকাবেলা করতে গিয়ে পুঁজিবাদ আপোষ করেছে।

বাংলাদেশে বর্তমানে প্রাথমিক স্তর থেকে শুরু করে বিশ্ববিদ্যালয় সর্বত্র শিক্ষা একটা কেনা বেচার জিনিস। যার কাছে বেশি টাকা থাকবে সে উচ্চ মানের শিক্ষা কিনতে পারবে, যার কাছে টাকা থাকবেনা সে পারবেনা। ক্রমান্বয়ে শিক্ষার ব্যায় বেড়ে যাচ্ছে । সরকারী স্কুল, সরকারী কলেজে বেতন কম। কিন্তু তাদের পরীক্ষাতে পাশ করতে হলে গাইড বই কিনতে হবে, প্রাইভেট টিউটরের কাছে পড়তে হবে। গাইড বই , কোচিং সেন্টারসহ বিভিন্ন ধরনের আর্থিক লেনদেন এবং শিক্ষকদের নিয়োগ বাণিজ্য সমস্ত কিছু মিলিয়ে শিক্ষা খাত মুনাফাখোরদের খাতে পরিণত হয়েছে। প্রশ্নফাঁস হচ্ছে এটারই একটা অনিবার্য পরিণতি। যদি কোচিং সেন্টারকে বাণিজ্য করতে হয় , যদি মুনাফা নিশ্চিত করতে হয় তাহলে তাদেরও চেষ্টা থাকবে এইসব । অর্থ উপার্জন, পুঁজি সঞ্চয় একটা উন্মাদনার পর্যায়ে গেছে।

বাংলাদেশে শিক্ষাখাতে বাণিজ্যিকীকরণ , দলীয়করণসহ ভয়াবহ অবনতি তাই বিস্ময়কর কোন ঘটনা নয়। এমনকি সর্বজন বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে আমরা দেখছি এখন বিশ্বব্যাংকের ঋণের টাকায় যে HEQEP কর্মসূচী চলছে সেটার মূল লক্ষ্যই হচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা, সিলেবাস সমস্ত কিছুকে একটা বাণিজ্যিক তৎপরতায় পরিণত করা। যেখানে একজন শিক্ষককে ব্যস্ত থাকতে হয় কেনাকাটা নিয়ে। বাণিজ্যিকীকরণের ফলে প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় হচ্ছে , পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদেরকে একদিকে যেমন এই HEQEP এর বিভিন্ন তৎপরতায় ব্যাস্ত থাকতে হচ্ছে, অন্যদিকে তাঁদের প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়েও ব্যস্ত থাকতে হচ্ছে। পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ে উইকেন্ড ইভনিংসহ নানা প্রাইভেট বাণিজ্য সম্প্রসারিত হয়েছে। অর্থ উপার্জন যেখানে মূল লক্ষ্য সেখানে এই তৎপরতা শিক্ষকদেরও গ্রাস করবে এটাই স্বাভাবিক।

শিক্ষকদেরও একটা বড় অংশ তাই বাণিজ্যিকীকরণের সুবিধা নিচ্ছেন নিজেদের শিক্ষকতাকে বিসর্জন দিয়ে। শিক্ষকতা , গবেষণা এখন প্রান্তিক বিষয়। এখন মূল বিষয় হচ্ছে যেকোনো ভাবে অর্থ উপার্জন করা । এই প্রক্রিয়া পুরো অর্থনীতি, রাজনীতি, সমাজ, সমস্ত কিছুকে গ্রাস করেছে, এর সাথে যুক্ত হয়েছে সন্ত্রাস। যেকোনভাবে পুঁজি সঞ্চয় যদি মূল লক্ষ্য হয় তাহলে সেই সমাজে সন্ত্রাস , সহিংসতা , আধিপত্য এগুলো বাড়বেই।

আমরা তাই দেখতে পাচ্ছি বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলো একেকটা সন্ত্রাসের আস্তানা , নির্যাতনের কারখানায় পরিণত হয়েছে। সেখানে গণরুম এবং সিট বাণিজ্যের মাধ্যমে এমন একটা পরিস্থিতি তৈরি করা হয়েছে যে কোন রকমে সিট পাওয়ার জন্য কিংবা নিরাপদে থাকার জন্য কিংবা বিশ্ববিদ্যালয়ে টিকে থাকার জন্য কিংবা মার না খাওয়ার জন্য শিক্ষার্থীদের সরকারী ছাত্র সংগঠনের কর্মসূচী, নির্দেশ অনুযায়ী যেভাবে চলতে বলা হয় সেভাবে চলতে হচ্ছে। আজকে যে ছেলেদের দেখছি বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের মিছিল করছে কিংবা হামলা করছে তাদের হাতে রাম দা , লাঠি। এই ছেলেরা তো রাম দা, লাঠি ব্যাবহার করার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়নি। রামদা , লাঠি দিয়ে তাদেরই সহপাঠীদের আক্রমণ করার জন্য তো এই ছেলেদের বাবা মা বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠাননি। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি একটা খুবই কঠিন প্রতিযোগিতা। এভাবে ভর্তি হওয়ার মাধ্যমে তাদের মেধা, তাদের অঙ্গীকার , তাদের লেখাপড়া , তাদের অভিভাবকদের ইচ্ছা সমস্ত কিছু যে পর্যায়ে থাকে, তার উপর একের পর এক আঘাত করে এই ছেলেদের বানানো হয় সন্ত্রাসী। এই ছেলেদের ক্ষমতাবানরা সন্ত্রাসী বানায় কেন ? বানায় এই বয়সের তরুণদের আরেকটা অংশকে কাবু করার জন্য কিংবা নিয়ন্ত্রণ করার জন্য।

তরুনরাই তো সৃজনশীলতা দিয়ে , বিজ্ঞানচিন্তা দিয়ে, বিশ্লেষণ দিয়ে, পুরো দেশের ভবিষ্যৎ গতিমুখ পরিবর্তন করবে। তরুণদেরই দায়িত্ব হচ্ছে , অন্যায়ের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করা, তরুনদেরই দায়িত্ব হচ্ছে অন্যায় , অবিচার , বৈষম্যকে প্রশ্ন করা। তরুণদেরই দায়িত্ব হচ্ছে যারা প্রবীণ তাঁদের ভুলভ্রান্তি , বিভিন্ন ধরণের নিপীড়নমূলক তৎপরতা রাষ্ট্রের অবিচার সেগুলোর বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধভাবে রুখে দাঁড়ানো । সেই তরুনদের মধ্যে যদি সর্বক্ষণ আতঙ্ক তৈরী করার জন্য তরুনদেরই আরেকটা অংশকে ব্যাবহার করা হয় তাহলে কী হয়? একটা দেশে যে তরুনদের ভবিষ্যতের দায়িত্ব দেওয়ার কথা সেই তরুনদের ভয় আতঙ্কে জড়সড় নির্বিকার নির্লিপ্ত জনগোষ্ঠীতে অথবা তৈরী করা হয় যন্ত্র , অস্ত্র এবং অন্যদের হাতিয়ার হিসেবে। এভাবে একটা দেশে শুধুমাত্র বিশ্ববিদ্যালয় নয় একটা দেশের ভবিষ্যৎকে ভয়াবহ পরিস্থিতির মধ্যে ফেলা হচ্ছে।

মুক্তিযুদ্ধের অভিজ্ঞতা যে দেশের আছে, মুক্তিযুদ্ধে তরুণরা তাদের যে ভূমিকা, তারুণ্যের যে প্রকাশ ঘটিয়েছেন সেই দেশে তো এইরকম চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত চলতে পারে না। সেই তরুণদের মধ্য থেকেই আসতে হবে সৃজনশীলতা , সেই তরুণদের মধ্য থেকেই আসতে হবে বিশ্লেষণী ক্ষমতা, তরুনদের মধ্য থেকেই অসতে হবে দৃঢ়তা এবং যত ধরনের নিপীড়ন বৈষম্য আছে সেটা যৌন নিপীড়ন হোক , লিঙ্গীয় বৈষম্য হোক , সাম্প্রদায়িকতা জাতি বিদ্বেষ, প্রাণ প্রকৃতি বিনাশী তৎপরতা যাইহোক এগুলোর বিরুদ্ধে সবচাইতে সরব উচ্চারণটা তরুনদের মধ্য থেকেই আসতে হবে। নইলে এই বাংলাদেশ পরিবর্তনের কোন সম্ভাবনা নাই।

লেখক: শিক্ষাবিদ

Header Ad
Header Ad

ইসরায়েলপন্থি মার্কো রুবিওকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ দিলেন ট্রাম্প

প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে মার্কো রুবিও। ছবি: সংগৃহীত

যুক্তরাষ্ট্রের নতুন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে সাবেক ফ্লোরিডা সিনেটর মার্কো রুবিওকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। মার্কো রুবিও ইসরায়েলপন্থি এবং চীনবিরোধী হিসেবে পরিচিত, এবং তার এই কট্টর অবস্থান তাকে রিপাবলিকান দলের সঙ্গে সঙ্গে ডেমোক্র্যাটদের মধ্যেও সমাদৃত করেছে।

মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) সিএনএন ও রয়টার্স এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানায়, পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে মার্কো রুবিওর নিয়োগের অনুমোদন দিয়েছে মার্কিন সিনেট। ৯৯ সিনেটরের সবাই তার পক্ষে ভোট দিয়েছেন।

মার্কো রুবিও ২০১১ সাল থেকে ফ্লোরিডার রিপাবলিকান সিনেটর হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। কয়েক বছর আগে তিনি ট্রাম্পের বিরোধিতা করলেও, সাম্প্রতিক সময়ে তাদের মধ্যে ভালো সম্পর্ক গড়ে ওঠে। মার্কো রুবিও ইসরায়েলের প্রতি তার গভীর সমর্থন এবং চীনের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানের জন্য খ্যাতি অর্জন করেছেন, যা তাকে বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য করে তোলে।

এদিকে, সোমবার (২০ জানুয়ারি) রাতে যুক্তরাষ্ট্রের ৪৭তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ গ্রহণের পর, ডোনাল্ড ট্রাম্প একগুচ্ছ নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর করেছেন। এর মধ্যে তিনি জো বাইডেনের শাসনামলে নেওয়া ৭৮টি নির্বাহী আদেশ বাতিল করেছেন। পাশাপাশি, ২০২১ সালের ক্যাপিটল হিলে দাঙ্গায় জড়িত প্রায় ১৫০০ জনকে ক্ষমা করার ঘোষণা দিয়েছেন ট্রাম্প।

Header Ad
Header Ad

ক্যাপিটল হিলে দাঙ্গায় জড়িত ১৫০০ জনকে ক্ষমা করলেন ট্রাম্প

ক্যাপিটল হিলে দাঙ্গায় জড়িত ১৫০০ জনকে ক্ষমা করলেন ট্রাম্প। ছবি: সংগৃহীত

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে দ্বিতীয় মেয়াদে শপথ নেওয়ার পর ডোনাল্ড ট্রাম্প ক্যাপিটল হিলে দাঙ্গায় অংশগ্রহণকারী প্রায় ১৫০০ জনকে ক্ষমা করেছেন। সোমবার (২০ জানুয়ারি) শপথ নেওয়ার পরপরই তিনি এ পদক্ষেপ গ্রহণ করেন।

এছাড়া, তার শপথগ্রহণের পরপরই ট্রাম্প মেক্সিকো সীমান্তে জরুরি অবস্থা ঘোষণা, পানামা খাল ফেরত নেওয়া এবং বিদেশি পণ্যের ওপর শুল্ক বৃদ্ধি করার মতো বড় পদক্ষেপের ঘোষণা দেন। তিনি বাইডেন প্রশাসনের ৭৮টি নির্বাহী আদেশও বাতিল করেন, যা দেশটির রাজনৈতিক পরিবেশে নতুন পরিবর্তন আনার ইঙ্গিত দেয়।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে, ২০২১ সালের ৬ জানুয়ারিতে ক্যাপিটল ভবনে দাঙ্গায় যুক্ত থাকার জন্য আটক প্রায় ১৫০০ জনকে ক্ষমা করেছেন ট্রাম্প। ওই দিন সাভারের ডিসি জেলের বাইরে তার সমর্থকরা অপেক্ষা করছিলেন, যখন ট্রাম্প ক্যাপিটল ওয়ান অ্যারেনায় ভাষণ দিচ্ছিলেন। ট্রাম্প তখনই ঘোষণা করেছিলেন যে, তিনি ওয়াশিংটনে ফিরে ৬ জানুয়ারির দাঙ্গায় অভিযুক্তদের ক্ষমা করবেন। এর পরপরই উপস্থিত জনতার মধ্যে উদযাপনের চিৎকার শোনা যায়, কেউ কেউ "ফ্রিডম!" বলে স্লোগান দিতে থাকেন।

ট্রাম্প ক্যাপিটল হিলে হামলা চালানোদের 'রাজনৈতিক বন্দি' হিসেবে চিহ্নিত করেছেন এবং তাদের ক্ষমা দেওয়ার কথা ঘোষণা করেন। তবে এটি স্পষ্ট নয় যে, তিনি ক্ষমার আওতায় দোষী সাব্যস্ত ব্যক্তিদের অন্তর্ভুক্ত করবেন কিনা।

২০২১ সালের ৬ জানুয়ারি, ট্রাম্প সমর্থকরা ওয়াশিংটন ডিসির ক্যাপিটল ভবনে হামলা চালায়, যেখানে সেদিন বাইডেনকে পরবর্তী প্রেসিডেন্ট হিসেবে ঘোষণা করার প্রস্তুতি চলছিল। হামলাকারীরা কংগ্রেসের অধিবেশন ভেঙে ভেতরে ঢুকে তাণ্ডব চালায় এবং বেশ কয়েকজন আইনপ্রণেতার কার্যালয় তছনছ করে দেয়। সংঘর্ষে পুলিশের এক সদস্যসহ পাঁচজন নিহত হন।

ডেমোক্র্যাটরা এই হামলার জন্য ট্রাম্পকে দায়ী করে তাকে অভিশংসনের উদ্যোগ নিয়েছিলেন, তবে সিনেটে দুই-তৃতীয়াংশ ভোটের অভাবে ট্রাম্প শাস্তি থেকে মুক্তি পান।

Header Ad
Header Ad

আন্দোলনে ছাত্রদের ওপর প্রকাশ্যে গুলি, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান গ্রেপ্তার

গ্রেপ্তার সাইদুর রহমান সুজন। ছবি: সংগৃহীত

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলাকালে ছাত্র-জনতার ওপর প্রকাশ্যে গুলি চালানোর ঘটনায় সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান সাইদুর রহমান সুজনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।

তার বিরুদ্ধে ১৪টি হত্যা মামলায় অভিযোগ রয়েছে, যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য একটি ঘটনার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়, যেখানে তাকে পিস্তল দিয়ে গুলি করতে দেখা যায়।

সোমবার (২০ জানুয়ারি) রাত সাড়ে ১০টার দিকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন সাভার মডেল থানার পরিদর্শক (ওসি তদন্ত) আশিক ইকবাল। গ্রেপ্তারের সময়, গোয়েন্দা পুলিশের একটি টিম রাজধানীর উত্তরা থেকে সাইদুর রহমান সুজনকে আটক করে।

সাইদুর রহমান সুজন সাভারের বিরুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ছিলেন এবং তিনি আওয়ামী লীগে সক্রিয় রাজনীতি করতেন। গোয়েন্দা পুলিশের দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান পরিচালনা করে তাকে গ্রেপ্তার করে।

সাভার মডেল থানার পরিদর্শক আশিক ইকবাল জানান, সুজনের বিরুদ্ধে সাভার মডেল থানায় ছাত্র আন্দোলনের সময় হত্যার অভিযোগে ১৪টি মামলা রয়েছে, এছাড়া আরও দুটি হত্যাচেষ্টা মামলাও রয়েছে। গ্রেপ্তার হওয়ার পর তাকে আদালতে হাজির করা হবে।

উল্লেখ্য, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর সাভারের রাজপথে গুলি চালানোর একটি ভিডিও ভাইরাল হয়। সেই ভিডিওতে সাইদুর রহমান সুজনের হাতে থাকা পিস্তল দিয়ে গুলি করতে দেখা যায়।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

ইসরায়েলপন্থি মার্কো রুবিওকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ দিলেন ট্রাম্প
ক্যাপিটল হিলে দাঙ্গায় জড়িত ১৫০০ জনকে ক্ষমা করলেন ট্রাম্প
আন্দোলনে ছাত্রদের ওপর প্রকাশ্যে গুলি, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান গ্রেপ্তার
দায়িত্ব নিয়েই বাইডেন আমলের ৭৮টি আদেশ বাতিল করলেন ট্রাম্প
ডোনাল্ড ট্রাম্পের দ্বিতীয়বারের শপথ: নতুন আমেরিকার সূচনা
সুইজারল্যান্ডের উদ্দেশে ঢাকা ছেড়েছেন প্রধান উপদেষ্টা
মতপ্রকাশের স্বাধীনতায় কাউকে হয়রানি করা যাবে না : জামায়াত আমির
রাজশাহীকে বড় ব্যবধানে হারিয়ে চিটাগং কিংসের পঞ্চম জয়
খাগড়াছড়িতে অবৈধভাবে পরিচালিত ১৬টি ইট ভাটা বন্ধ
ট্রাম্পের ক্ষমতা গ্রহণ নিয়ে আওয়ামী লীগের উচ্ছ্বাস কতটা বাস্তবিক?
ডাকসু ও হল সংসদ নির্বাচন: সফল আয়োজনের লক্ষ্যে তিনটি কমিটি গঠন
মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় কোটার ফলাফল স্থগিত
ফেসবুকে মাশরাফির মৃত্যু নিয়ে গুঞ্জন, যা জানা গেল
রিসোর্ট থেকে ১৬ ছাত্র-ছাত্রী আটক, কাজী ডেকে ৪ যুগলের বিয়ে
'সুগার মাম্মি' হতে চান অভিনেত্রী হুমায়রা সুবাহ
নমরুদের মতো ক্ষমতা ছিলো শেখ হাসিনার: রিজভী
১০ বছরের কারাদণ্ড থেকে খালাস পেলেন গিয়াস উদ্দিন আল মামুন
৩০০ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ: বাহার ও মেয়ের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
সরকারি-বেসরকারি চাকরি পাবেন গণঅভ্যুত্থানে আহতরা, সিভি আহ্বান
নিজে প্রাথমিক সদস্যপদ নবায়ন করে দলের কার্যক্রম উদ্বোধন করলেন তারেক রহমান