রবিবার, ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ | ৯ ফাল্গুন ১৪৩১
Dhaka Prokash

শিক্ষা ও শিক্ষার্থী: অধিকার, বঞ্চনা ও আন্দোলন

বাংলাদেশে বহু বছর ধরে শিক্ষার অধিকার নিয়ে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন চলছে। এই আন্দোলন বাংলাদেশে অনেকগুলো গণতান্ত্রিক অধ্যায় তৈরি করেছে। ১৯৬২ সালে শিক্ষার অধিকার নিয়ে যে আন্দোলন হয়, সে আন্দোলনই সামরিক শাসনের বিরুদ্ধে শক্তিশালী প্রতিরোধের সূচনা করেছিল। তার ধারাবাহিকতায় পরবর্তী সময়ে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সামরিক শাসন প্রতিরোধের এক একটা দুর্গ তৈরী হয়েছিল। শিক্ষকরাও জড়িত ছিলেন। শিক্ষার অধিকার নিয়ে আন্দোলন করতে গিয়েই তারা বুঝতে পেরেছেন যে, যে রাষ্ট্রব্যবস্থার অধীনে শিক্ষা চলছে, তার পরিবর্তন না করলে শিক্ষার অধিকারও পাওয়া যাবে না। সেজন্য তারা সামরিক শাসন বিরোধী আন্দোলন করেছেন এবং এক পর্যায়ে বাংলাদেশের স্বাধীনতার দাবি তুলেছেন। ১৯৬৯ এর গণঅভ্যুত্থান তারই ফসল। ৬৯ এর গণ অভ্যুত্থানে ১১ দফা এই ছাত্র আন্দোলনের মধ্য থেকেই উত্থাপিত হয়েছিল।

এই আন্দোলন দমাতে তখন একটা সংগঠন আইয়ুব খানের পেটোয়া বাহিনী হিসেবে কাজ করেছে। তাদের নাম হচ্ছে 'এন.এস.এফ '(ন্যাশনাল স্টুডেন্ট ফ্রন্ট)। যেখানেই শিক্ষার্থীরা শিক্ষার জন্য আন্দোলন করেছে তারা বাধা দিচ্ছিল, যেখানে শিক্ষার্থীরা শিক্ষার জন্য আন্দোলন করেছে, শিক্ষকরা প্রতিবাদ করেছে সেখানেই তারা অত্যাচার নির্যাতন করেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন হলে হলে তারা আতঙ্ক তৈরী করছিল। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষক ড. আবু মাহমুদ-এর উপরও তারা আক্রমণ চালিয়েছিল।

স্বাধীনতা যুদ্ধের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা হওয়ার পরে সেই এন.এস.এফ এর ধারাবাহিকতার অবসান ঘটবে সেটিই আমাদের প্রত্যাশা ছিল। কিন্তু আমরা দেখতে পাচ্ছি স্বাধীনতার এতোবছর পরেও সেই এন.এস.এফ জীবিত আছে। বিভিন্ন সরকারের সময় এন.এস.এফ বিভিন্ন নামে আবির্ভূত হয় এবং গত ১৪ বছরে যে সরকার রয়েছে, সে সরকারের ছাত্র সংগঠন এন.এস.এফ হিসেবে সবচাইতে ভয়ংকর হয়ে উঠেছে। সমস্ত ধরনের প্রতিবাদে-মানুষের অধিকার, শিক্ষার্থীদের অধিকার , জনগণের অধিকার সেগুলোর উপরে হামলা করা, নিপীড়ন সন্ত্রাসই তাদের প্রধান কাজ। যারা প্রশাসনে থাকে, যারা দখলদার, যারা লুটেরা পুঁজিপতি, যারা নির্যাতক তাদের সহযোগী হিসেবে ভূমিকা পালন করা যেন তাদের দায়িত্ব। যে বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা মুক্তিযুদ্ধের অঙ্গীকার ছিল তার উল্টো যাত্রাই দেখেছি আমরা বিভিন্ন সরকারের সময়ে এবং শিক্ষার ভয়াবহ বাণিজ্যিকীকরণ তার অন্যতম সহযাত্রী।

মুক্তিযুদ্ধের আগে লড়াই করেছে শিক্ষার্থীরা,মুক্তিযুদ্ধের পরেও শিক্ষার জন্য গণতন্ত্রের জন্য সেই আন্দোলন অব্যাহত রাখতে হয়েছে। আমরা আশির দশকে সামরিক শাসন বিরোধী আন্দোলন দেখেছি। আশির দশকে এরশাদের স্বৈরশাসন বিরোধী আন্দোলন ষাট দশকের মতোই ছাত্র আন্দোলন দিয়েই শুরু হয়েছিল। ১৯৮৩, ৮৪ সালে আমরা খুবই শক্তিশালী ঐক্যবদ্ধ ছাত্র আন্দোলন বিকশিত হতে দেখি। সেই আন্দোলন গড়ে তোলায় ছাত্র সংগঠনগুলো তাদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করার পর রাজনৈতিক দলগুলো তাদেরকেই অনুসরণ করেছে। ১৯৯০ সালে এরশাদের পতনের আগে সকল ছাত্র সংগঠন মিলে একটা ঐক্যমতে এসেছিল দশ দফার ভিত্তিতে।

১৯৬৯ এর ১১ দফা, ৮০ দশকের ৫ দফা, তারপর ৯০ সালের যে দশ দফা এই সবগুলোর মধ্যেই শিক্ষা সকলের গণতান্ত্রিক অধিকার হিসেবে নিশ্চিত করার কথা বলা হয়েছে, সকল নাগরিক তার আয় যাই থাকুক না কেন শিক্ষায় প্রবেশে তার কোন বাধা থাকবেনা , রাষ্ট্র সেটা নিশ্চিত করবে। কিন্তু গত ৫ দশকে আমরা রাষ্ট্রীয় যাত্রা দেখছি উল্টো। মুক্তিযুদ্ধের আগে যারা ছাত্রনেতা ছিলেন , যারা ১১ দফা দিয়েছিলেন তাদের অনেকেই পরে মন্ত্রী হয়েছেন, বড় বড় কোটিপতি হয়েছেন, এই উল্টো যাত্রায় তারাও গুরুত্বপূর্ণ অংশীদারের ভূমিকা পালন করেছেন। এটাকে বলতে হবে বিশ্বাসঘাতকতা। ৯০ এর দশ দফায় যারা ছিলেন ছাত্রনেতা তারাও পরে অনেকেই বড় বড় কর্তা হয়েছেন, তারাও এই উল্টো যাত্রাকে আরো গতি দিয়েছেন।

আজকে যে মাত্রায় সারা বাংলাদেশে শিক্ষার বাণিজ্যিকীকরণ হয়েছে তা পৃথিবীর খুব কম দেশেই হয়েছে। আমরা পুঁজিবাদের বিশ্ব ব্যবস্থার মধ্যে আছি। কিন্তু পুঁজিবাদের কেন্দ্র যে দেশ যুক্তরাষ্ট্র কিংবা পুঁজিবাদের আরেক অঞ্চল ইউরোপ এই সমস্ত জায়গাতেও শিক্ষা প্রধানত রাষ্ট্রের দায়িত্ব। যুক্তরাষ্ট্রে দ্বাদশ শ্রেণী পর্যন্ত শিক্ষা নিশ্চিত করার দায়িত্ব রাষ্ট্রের। রাষ্ট্র এগুলো নিয়েছে কী কারণে? নিয়েছে এই কারণেই যে সেই সময় সেই সমস্ত অঞ্চলে জনগণের শক্তিশালী লড়াই ছিল, পাশাপাশি সোভিয়েত ইউনিয়নের যে অস্তিত্ব ছিল যেখানে শিক্ষা , চিকিৎসা সবকিছুই ছিল জনগণের অধিকার। আশ্রয় , বাসস্থান , কাজ সবকিছুই সেখানে নিশ্চিত। সেই ব্যাবস্থার সঙ্গে মোকাবেলা করতে গিয়ে পুঁজিবাদ আপোষ করেছে।

বাংলাদেশে বর্তমানে প্রাথমিক স্তর থেকে শুরু করে বিশ্ববিদ্যালয় সর্বত্র শিক্ষা একটা কেনা বেচার জিনিস। যার কাছে বেশি টাকা থাকবে সে উচ্চ মানের শিক্ষা কিনতে পারবে, যার কাছে টাকা থাকবেনা সে পারবেনা। ক্রমান্বয়ে শিক্ষার ব্যায় বেড়ে যাচ্ছে । সরকারী স্কুল, সরকারী কলেজে বেতন কম। কিন্তু তাদের পরীক্ষাতে পাশ করতে হলে গাইড বই কিনতে হবে, প্রাইভেট টিউটরের কাছে পড়তে হবে। গাইড বই , কোচিং সেন্টারসহ বিভিন্ন ধরনের আর্থিক লেনদেন এবং শিক্ষকদের নিয়োগ বাণিজ্য সমস্ত কিছু মিলিয়ে শিক্ষা খাত মুনাফাখোরদের খাতে পরিণত হয়েছে। প্রশ্নফাঁস হচ্ছে এটারই একটা অনিবার্য পরিণতি। যদি কোচিং সেন্টারকে বাণিজ্য করতে হয় , যদি মুনাফা নিশ্চিত করতে হয় তাহলে তাদেরও চেষ্টা থাকবে এইসব । অর্থ উপার্জন, পুঁজি সঞ্চয় একটা উন্মাদনার পর্যায়ে গেছে।

বাংলাদেশে শিক্ষাখাতে বাণিজ্যিকীকরণ , দলীয়করণসহ ভয়াবহ অবনতি তাই বিস্ময়কর কোন ঘটনা নয়। এমনকি সর্বজন বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে আমরা দেখছি এখন বিশ্বব্যাংকের ঋণের টাকায় যে HEQEP কর্মসূচী চলছে সেটার মূল লক্ষ্যই হচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা, সিলেবাস সমস্ত কিছুকে একটা বাণিজ্যিক তৎপরতায় পরিণত করা। যেখানে একজন শিক্ষককে ব্যস্ত থাকতে হয় কেনাকাটা নিয়ে। বাণিজ্যিকীকরণের ফলে প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় হচ্ছে , পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদেরকে একদিকে যেমন এই HEQEP এর বিভিন্ন তৎপরতায় ব্যাস্ত থাকতে হচ্ছে, অন্যদিকে তাঁদের প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়েও ব্যস্ত থাকতে হচ্ছে। পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ে উইকেন্ড ইভনিংসহ নানা প্রাইভেট বাণিজ্য সম্প্রসারিত হয়েছে। অর্থ উপার্জন যেখানে মূল লক্ষ্য সেখানে এই তৎপরতা শিক্ষকদেরও গ্রাস করবে এটাই স্বাভাবিক।

শিক্ষকদেরও একটা বড় অংশ তাই বাণিজ্যিকীকরণের সুবিধা নিচ্ছেন নিজেদের শিক্ষকতাকে বিসর্জন দিয়ে। শিক্ষকতা , গবেষণা এখন প্রান্তিক বিষয়। এখন মূল বিষয় হচ্ছে যেকোনো ভাবে অর্থ উপার্জন করা । এই প্রক্রিয়া পুরো অর্থনীতি, রাজনীতি, সমাজ, সমস্ত কিছুকে গ্রাস করেছে, এর সাথে যুক্ত হয়েছে সন্ত্রাস। যেকোনভাবে পুঁজি সঞ্চয় যদি মূল লক্ষ্য হয় তাহলে সেই সমাজে সন্ত্রাস , সহিংসতা , আধিপত্য এগুলো বাড়বেই।

আমরা তাই দেখতে পাচ্ছি বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলো একেকটা সন্ত্রাসের আস্তানা , নির্যাতনের কারখানায় পরিণত হয়েছে। সেখানে গণরুম এবং সিট বাণিজ্যের মাধ্যমে এমন একটা পরিস্থিতি তৈরি করা হয়েছে যে কোন রকমে সিট পাওয়ার জন্য কিংবা নিরাপদে থাকার জন্য কিংবা বিশ্ববিদ্যালয়ে টিকে থাকার জন্য কিংবা মার না খাওয়ার জন্য শিক্ষার্থীদের সরকারী ছাত্র সংগঠনের কর্মসূচী, নির্দেশ অনুযায়ী যেভাবে চলতে বলা হয় সেভাবে চলতে হচ্ছে। আজকে যে ছেলেদের দেখছি বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের মিছিল করছে কিংবা হামলা করছে তাদের হাতে রাম দা , লাঠি। এই ছেলেরা তো রাম দা, লাঠি ব্যাবহার করার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়নি। রামদা , লাঠি দিয়ে তাদেরই সহপাঠীদের আক্রমণ করার জন্য তো এই ছেলেদের বাবা মা বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠাননি। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি একটা খুবই কঠিন প্রতিযোগিতা। এভাবে ভর্তি হওয়ার মাধ্যমে তাদের মেধা, তাদের অঙ্গীকার , তাদের লেখাপড়া , তাদের অভিভাবকদের ইচ্ছা সমস্ত কিছু যে পর্যায়ে থাকে, তার উপর একের পর এক আঘাত করে এই ছেলেদের বানানো হয় সন্ত্রাসী। এই ছেলেদের ক্ষমতাবানরা সন্ত্রাসী বানায় কেন ? বানায় এই বয়সের তরুণদের আরেকটা অংশকে কাবু করার জন্য কিংবা নিয়ন্ত্রণ করার জন্য।

তরুনরাই তো সৃজনশীলতা দিয়ে , বিজ্ঞানচিন্তা দিয়ে, বিশ্লেষণ দিয়ে, পুরো দেশের ভবিষ্যৎ গতিমুখ পরিবর্তন করবে। তরুণদেরই দায়িত্ব হচ্ছে , অন্যায়ের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করা, তরুনদেরই দায়িত্ব হচ্ছে অন্যায় , অবিচার , বৈষম্যকে প্রশ্ন করা। তরুণদেরই দায়িত্ব হচ্ছে যারা প্রবীণ তাঁদের ভুলভ্রান্তি , বিভিন্ন ধরণের নিপীড়নমূলক তৎপরতা রাষ্ট্রের অবিচার সেগুলোর বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধভাবে রুখে দাঁড়ানো । সেই তরুনদের মধ্যে যদি সর্বক্ষণ আতঙ্ক তৈরী করার জন্য তরুনদেরই আরেকটা অংশকে ব্যাবহার করা হয় তাহলে কী হয়? একটা দেশে যে তরুনদের ভবিষ্যতের দায়িত্ব দেওয়ার কথা সেই তরুনদের ভয় আতঙ্কে জড়সড় নির্বিকার নির্লিপ্ত জনগোষ্ঠীতে অথবা তৈরী করা হয় যন্ত্র , অস্ত্র এবং অন্যদের হাতিয়ার হিসেবে। এভাবে একটা দেশে শুধুমাত্র বিশ্ববিদ্যালয় নয় একটা দেশের ভবিষ্যৎকে ভয়াবহ পরিস্থিতির মধ্যে ফেলা হচ্ছে।

মুক্তিযুদ্ধের অভিজ্ঞতা যে দেশের আছে, মুক্তিযুদ্ধে তরুণরা তাদের যে ভূমিকা, তারুণ্যের যে প্রকাশ ঘটিয়েছেন সেই দেশে তো এইরকম চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত চলতে পারে না। সেই তরুণদের মধ্য থেকেই আসতে হবে সৃজনশীলতা , সেই তরুণদের মধ্য থেকেই আসতে হবে বিশ্লেষণী ক্ষমতা, তরুনদের মধ্য থেকেই অসতে হবে দৃঢ়তা এবং যত ধরনের নিপীড়ন বৈষম্য আছে সেটা যৌন নিপীড়ন হোক , লিঙ্গীয় বৈষম্য হোক , সাম্প্রদায়িকতা জাতি বিদ্বেষ, প্রাণ প্রকৃতি বিনাশী তৎপরতা যাইহোক এগুলোর বিরুদ্ধে সবচাইতে সরব উচ্চারণটা তরুনদের মধ্য থেকেই আসতে হবে। নইলে এই বাংলাদেশ পরিবর্তনের কোন সম্ভাবনা নাই।

লেখক: শিক্ষাবিদ

Header Ad
Header Ad

জশ ইংলিসের সেঞ্চুরিতে রেকর্ড গড়ে ইংল্যান্ডকে হারাল অস্ট্রেলিয়া

জশ ইংলিসের সেঞ্চুরিতে রেকর্ড গড়ে ইংল্যান্ডকে হারাল অস্ট্রেলিয়া। ছবি: সংগৃহীত

ইংল্যান্ডকে ৩৫২ রানের বিশাল লক্ষ্য দিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে অস্ট্রেলিয়া যখন মাঠে নামে, তখন তাদের সামনে ছিল এক কঠিন সংগ্রাম। তবে, চোট-ঝুঁকির মধ্যেও অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটিং শক্তি যেন এক নতুন রূপে দেখা দিলো। শুরুতে ইংল্যান্ডের বল হাতে জোফরা আর্চার এবং মার্ক উডের আক্রমণে অস্ট্রেলিয়ার ওপেনিং জুটি কিছুটা দুর্বল হলেও, সময়ের সঙ্গে সঙ্গে তারা শক্ত অবস্থানে ফিরে আসে।

জশ ইংলিস এই ম্যাচে ঝড় তোলেন এবং ইতিহাস গড়েন। তার ক্যারিয়ার সেরা সেঞ্চুরিতে অস্ট্রেলিয়া ম্যাচে জয়ের বন্দরে পৌঁছায়, যদিও ইংল্যান্ডের সামনে ছিল এক বিশাল সংগ্রাম।

প্রথমে ট্র্যাভিস হেড (৬) এবং স্টিভ স্মিথ (৫) দ্রুত আউট হয়ে গেলেও, ম্যাথু শর্ট এবং মার্নাস লাবুশেন এর জুটি অস্ট্রেলিয়াকে সামলে রাখে। দুজন মিলে ৯৫ রান যোগ করে, যেখানে লাবুশেন ৪৫ বলে ৪৭ রান করেন এবং শর্ট ৬৬ বলে ৬৩ রান করেন।

১৩৬ রানে চার উইকেট পড়ে অস্ট্রেলিয়া কিছুটা চাপে পড়লেও, অ্যালেক্স ক্যারি এবং জশ ইংলিসের দারুণ পার্টনারশিপ তাদেরকে আবার পথ দেখায়। ৩৮তম ওভারে রশিদের বলে ক্যারি আর্চারের হাত ফসকে জীবন পেয়ে হাফ সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন। তবে ক্যারি আউট হলে ইংলিস একাই কাঁধে তুলে নেন দলের জয়ের আশা।

৪৫তম ওভারের তৃতীয় বলে আর্চারকে ছক্কা মেরে প্রথম সেঞ্চুরি করেন ইংলিস, এবং পরবর্তীতে গ্লেন ম্যাক্সওয়েলও দ্রুত বাউন্ডারি হাঁকিয়ে রানের সংখ্যা বাড়িয়ে দেন। ৪৭.৩ ওভারে ইংলিস ম্যাচের শেষ ছক্কা মেরে দলের জয় নিশ্চিত করেন। ৮৬ বলে ৮ চার ও ৬ ছয়ে ১২০ রানে অপরাজিত ছিলেন তিনি, যার ফলে অস্ট্রেলিয়া ৩৫২ রানের লক্ষ্য তাড়িয়ে জয়ী হয়।

অস্ট্রেলিয়া ম্যাচে ফিল্ডিং শুরু করেছিল এবং ইংল্যান্ডের প্রথম দুই ব্যাটসম্যান—ফিল সল্ট (১০) ও জেমি স্মিথ (১৫)—কে আউট করে তারা দারুণ শুরু করে। তবে বেন ডাকেট এবং জো রুট দলের ভিত শক্ত করে ফেলে, যেখানে ডাকেট ৯৫ বলে ১১ চার ও ১ ছয়ে শতক পূর্ণ করেন। রুট ৬৮ রান করে আউট হন।

ডাকেটের অনবদ্য সেঞ্চুরির পর ইংল্যান্ডের রান বেড়ে গিয়ে ৩৫২ রানের কাছাকাছি পৌঁছায়। ১৩৪ বলে ১৫০ রান করে ডাকেট শেষ পর্যন্ত আউট হলেও, তার ইনিংসটি ছিল চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে অভিষেক ম্যাচের সর্বোচ্চ রান।

শেষ দিকে জোফরা আর্চার ১০ বলে ২১ রান করে ইংল্যান্ডের স্কোরে বড় কিছু যোগ করেন, এবং দল ৩৫৪ রানে পৌঁছে যায়। অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে ডারশুইস সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নিয়ে দলের জয় নিশ্চিত করেন।

Header Ad
Header Ad

১৫ বছর দলীয় বিবেচনায় অনেক ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা বানানো হয়েছে: উপদেষ্টা ফারুক

মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফারুক-ই-আজম। ছবি: সংগৃহীত

গত ১৫ বছর দলীয় বিবেচনায় অনেক ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা বানানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফারুক-ই-আজম।

মুক্তিবাহিনীর সর্বাধিনায়ক জেনারেল আতাউল গণি ওসমানীর মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে শনিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে আয়োজিত আলোচনাসভা ও দোয়া অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

শনিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে মুক্তিবাহিনীর সর্বাধিনায়ক জেনারেল আতাউল গণি ওসমানীর মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভা ও দোয়া অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক উপদেষ্টা বলেন, গত ১৫ বছর দলীয় বিবেচনায় অনেক ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা বানানো হয়েছে। এই প্রক্রিয়ায় কখনো কখনো খোদ মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডাররাই জড়িত ছিলেন।

এ অবস্থায় প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মান বাঁচাতে সরকার যাচাই-বাছাই শুরু করেছে জানিয়ে তিনি বলেন, সরকার প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মান অক্ষুন্ন রেখে মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা যাচাই-বাছাই করছে।

অনুষ্ঠানে বক্তারা জেনারেল ওসমানীর বীরত্বগাঁথা পাঠ্যপুস্তকে বিস্তারিতভাবে অন্তর্ভুক্ত করার দাবি তোলেন। এ সময় ওসমানী স্মৃতি পরিষদ মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে তার স্মৃতি রক্ষার্থে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে কয়েক দফা দাবি তুলে ধরেন।

Header Ad
Header Ad

দিনাজপুরের বিরামপুরে ৮ জুয়াড়ি গ্রেফতার

গ্রেফতারকৃত ৮ জুয়াড়ি। ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

দিনাজপুরের বিরামপুরে অভিযান চালিয়ে জুয়া খেলার সরঞ্জামাদিসহ আট জুয়াড়িকে গ্রেফতার করেছে থানা পুলিশ।  শনিবার তাদেরকে দিনাজপুর আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।

গ্রেফতারকৃত জুয়াড়িরা হলেন, বিরামপুর পৌরশহরের ৮নং ওয়ার্ডের জোয়াল কামড়া গ্রামের মৃত হামিদের ছেলে লিটন (৪০),আমিনুর রহমানের ছেলে জাকির হোসেন (৩০), দেলোয়ার হোসেনের ছেলে তবারক হোসেন (৩৩), মৃত মজিদ মন্ডলের ছেলে আশরাফুল (৩২), আব্দুল আজিজের ছেলে জাহিদুল (২৪), মৃত আব্দুল সামাদের ছেলে ফারুক হোসেন (৪২), মজনুর ছেলে মিজানুর রহমান (৪৬), শামসুল হকের ছেলে রাজু (২৪)।

মামলা সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার (২১ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত রাত ১২টার দিকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বিরামপুর থানা পুলিশের ১টি টহলদল বিরামপুর পৌরশহরের জোয়াল কামড়া গ্রামে জুয়ার বোর্ডে অভিযান চালান। এসময় জুয়া খেলার সরঞ্জামাদিসহ আট জুয়াড়িকে গ্রেফতার করেন। এঘটনায় ১৮৬৭সালের আইনের ৩/৪ ধারায় থানায় মামলা হয়েছে। মামলা নং-১৭, তাং ২২/০২/২০২৫ইং।

এ বিষয়ে বিরামপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মমতাজুল হক ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, গ্রেফতারকৃত আসামীদেরকে শনিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে দিনাজপুর আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

জশ ইংলিসের সেঞ্চুরিতে রেকর্ড গড়ে ইংল্যান্ডকে হারাল অস্ট্রেলিয়া
১৫ বছর দলীয় বিবেচনায় অনেক ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা বানানো হয়েছে: উপদেষ্টা ফারুক
দিনাজপুরের বিরামপুরে ৮ জুয়াড়ি গ্রেফতার
চীনে নতুন করোনা ভাইরাসের আবির্ভাব, আবারও মহামারির শঙ্কা
নওগাঁ জেলা প্রেস ক্লাবের সভাপতি রায়হান, সম্পাদক বেলায়েত
শহীদদের শ্রদ্ধা জানাতে ফুল আনতে গিয়ে ধর্ষণের শিকার চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রী
বিএনপি ক্ষমতায় গেলে প্রত্যেক শ্রমিকের অধিকার প্রতিষ্ঠা করবে: মঈন খান
জামায়াত দাবি করে ২১ শে ফেব্রুয়ারির সমস্ত কৃতিত্ব তাদের: রনি
যুবদল নেতাকে কুপিয়ে জখম, মোটরসাইকেল পুড়িয়ে আ.লীগ নেতাকে পুলিশে সোপর্দ
দীঘি নয়, ‘টগর’ সিনেমায় নায়িকা হচ্ছেন পূজা চেরী
নারী গোয়েন্দার প্রেমের ফাঁদে পড়ে ভারতের গোপন তথ্য ফাঁস (ভিডিও)
নির্বাচনের আগেই জুলাই হত্যাকাণ্ডের বিচারের দাবি নিহতদের পরিবারের
চলন্ত বাসে ডাকাতি-যৌন নিপীড়ন: মির্জাপুর থানার এএসআই বরখাস্ত
ছাত্রদের নতুন দলে যোগ দিচ্ছেন সশস্ত্র বাহিনীর সাবেক সদস্যরা
চলন্ত বাসে ডাকাতির সময় ধর্ষণের ঘটনা ঘটেনি: পুলিশ সুপার
ময়মনসিংহে দেড় শতাধিক বিড়ালের মিলনমেলা
বিচার ও পুলিশ বিভাগের সিন্ডিকেট ভেঙে দেওয়া হয়েছে: অ্যাটর্নি জেনারেল
১৩ দিনের চীন সফরে যাচ্ছেন ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নাছির
২৯ মিলিয়ন ডলারের সহায়তা পেয়েছে ২ সদস্যের একটি অপরিচিত বাংলাদেশি ফার্ম: ট্রাম্প
ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলা: প্রাণে বাঁচলেন দিতি কন্যা লামিয়া