বুধবার, ২২ জানুয়ারি ২০২৫ | ৮ মাঘ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

সংকটকালে কৃষিই অর্থনীতির চালিকাশক্তি

ঐতিহাসিকভাবেই বাংলাদেশের সামষ্টিক অর্থনৈতিক চালিকাশক্তি কৃষি। সংকট মোকাবিলার ক্ষেত্রে রক্ষাকবচ হিসেবে কাজ করে এসেছে এদেশের কৃষি খাত। অর্থনীতিকে সুরক্ষা দেওয়ার পাশাপাশি অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রবৃদ্ধির চাকাকে গতিশীল রাখার ক্ষেত্রেও প্রধানতম শক্তির জায়গা হিসেবে আমরা সবসময় পেয়েছি এদেশের কৃষি, কৃষক এবংকৃষি উদ্যোক্তাদের। স্বাধীনতার পরপরই বঙ্গবন্ধু তার অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়ন দর্শনের ধারাবাহিকতায় যুদ্ধোত্তর দেশে কৃষি পুনর্গঠনে দিয়েছিলেন সর্বোচ্চ মনোযোগ। তাই তার প্রথম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনায় কৃষি ও পানিসম্পদ খাতকে সর্বোচ্চ (২৪ শতাংশ) বরাদ্দ পেতে দেখি।

অস্থির বৈশ্বিক বাস্তবতায় সদ্য স্বাধীন দেশকে এগিয়ে নিতে রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় শিল্প খাতের বিকাশের পাশাপাশি তিনি কৃষি ও কৃষকের সুরক্ষা নিশ্চিত করাকেও সমান গুরুত্ব দিয়েছেন। ওই সময়টায় এখনকার মতো সারা বিশ্বেই তেলের দাম বেড়ে গিয়েছিল। খাদ্য সংকটও ছিল তীব্র। তাই কৃষি উৎপাদনে গুরুত্ব দেওয়াটা ছিল খুবই প্রাসঙ্গিক। বঙ্গবন্ধুর শাসনামলে মাত্র সাড়ে তিন বছরের মধ্যে দেশের মাথাপিছু আয় দ্বিগুণেরও বেশি বৃদ্ধি পাওয়ার পেছনে তার এই কৃষিমুখী নীতি ও উন্নয়নদর্শন অত্যন্ত গুরুত্ববহ ভূমিকা রেখেছে। তার দ্বিতীয় বিপ্লবের মূল প্রস্তাবনাতেও প্রধান জায়গায় ছিল কৃষি কেন্দ্রিক সমবায় আন্দোলন।

বঙ্গবন্ধুকে হারানোর পর দেশ পথ হারিয়েছিল।বঙ্গবন্ধুর শুরু করা সবুজ বিপ্লবও গতি হারিয়েছিল।  বহু বছর পর গেল শতাব্দীর একেবারে শেষে এসে আবার যখন বঙ্গবন্ধু কন্যা দেশের হাল ধরেন তখন আমরা আবার ফিরতে পেরেছি টেকসই কৃষি উন্নয়নের পথে। মাঝে দেশবিরোধীদের কারণে এইঅভিযাত্রায় ছেদ পড়ে। তবে ২০০৯ থেকে দ্বিতীয় দফায় তিনি প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্বকাঁধে নেওয়ার পর থেকে দেশের কৃষি খাতকে আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। এ সময়ে কৃষির সার্বিক ও টেকসই উন্নয়নের প্রতিফলন আমরা দেখতে পাই খাদ্য উৎপাদন সূচক, বৈশ্বিক ক্ষুধা সূচক ইত্যাদিতে বাংলাদেশের দ্রুত অগ্রগতিতে। 

বর্তমানে চলমান বৈশ্বিক অর্থনৈতিক সংকটকালে এই কৃষিনীতির যে দিকটিতে বিশেষভাবে আলোকপাত করা দরকার তা হলো এ ধরনের সংকট মোকাবিলায় আমাদের কৃষি খাতের অবদান, সক্ষমতা ও সম্ভাবনা। ২০০৮-০৯-এও বিশ্ব আর্থিক ব্যবস্থার সংকটকালে অনেকে বাংলাদেশের সামষ্টিক অর্থনৈতিক ভবিষ্যৎ নিয়ে ভাবিত হয়ে পড়েছিলেন। কিন্তু সেসময় সরকারের যথাযথ নির্দেশনা ও সহায়তায় কেন্দ্রীয় ব্যাংক রিয়েলইকোনমিতে ঋণের প্রবাহ বাড়ানোর উদ্যোগ নিয়েছিল। 

মূলত ডিজিটাল পদ্ধতিতে আর্থিক সেবা প্রান্তিক মানুষের কাছে বিশেষ করে কৃষিনির্ভর জনগণের কাছে পৌঁছে দেওয়াইছিল এই আর্থিক অন্তর্ভুক্তির অভিযানের মূলনীতি। যথাযথ অর্থায়নের মাধ্যমে বহুমুখীকৃষির বিকাশ, নতুন কৃষি উদ্যোক্তা তৈরি এবং সর্বোপরি কৃষকের ক্ষমতায়নের লক্ষ্যকে সামনে নিয়ে এগোনো আর্থিক অন্তর্ভুক্তির এই অভিযান তখন সুফল দিয়েছিল। ৪০ শতাংশ কর্মশক্তি যেই কৃষি খাতে যুক্ত সেখানে ঋণের প্রবাহ বাড়ানোর ফলে বৈশ্বিক মন্দার মধ্যেও তাদের সুরক্ষা দেওয়া সম্ভব হয়েছিল।একইসঙ্গে কৃষিতে ভর্তুকির পরিমাণও বাড়িয়েছিল সরকার। সারের দাম ব্যাপক হারে কমিয়ে ছিল সরকার।কৃষকের হাতে টাকা থাকায় দেশের অভ্যন্তরীণ চাহিদাও বেগবান হয়েছিল।আর এর সুফল পেয়েছে অর্থনীতির অন্যান্য খাতও। ফলে ওই মন্দা থেকে অর্থনীতিকে কেবল সুরক্ষিত করা গিয়েছিল তাই নয়, পাশাপাশি প্রবৃদ্ধির চাকাকে অতীতের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেগবান করাও সম্ভব হয়েছিলে। 

একইভাবে সর্বশেষ করোনা জনিত অর্থনৈতিক স্থিতাবস্থার সময়ও কৃষি আমাদের অর্থনীতির রক্ষাকবচ হিসেবে কাজ করেছে। সে সময় যথাযথ প্রণোদনাসহ নানা রাষ্ট্রীয় ও সামাজিক উদ্যোগ নিয়ে কৃষির সুরক্ষা দেওয়া হয়েছিল। ফলে খাদ্য উৎপাদন ও খাদ্য সরবরাহ বহাল থেকে ছিল। এমনকি শহরাঞ্চলে অস্থায়ী বেকারত্বের শিকার হয়ে যারা গ্রামে ফিরেছিলেন তাদেরও একটি বড় অংশের সহায় হয়েছিলএই কৃষি খাতই। এভাবেই বারেবারে দেশের কৃষি খাত সামষ্টিক অর্থনীতিকে সুরক্ষা দেওয়ার পরীক্ষায় ভালোভাবে উত্তির্ণ হয়েছে।

করোনাজনিত সংকট থেকে পুনরুত্থান শুরু হতে না হতেই অনাকাঙ্ক্ষিত রুশ-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে নতুন চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে গোটা বিশ্ব অর্থনীতি। প্রত্যাশিতভাবে সংকটের প্রভাব পড়ছে এদেশেও। বিশ্ব খাদ্য সংস্থা এবং বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি হুঁশিয়ারি দিচ্ছে যে আগামী বছর বিশ্বজুড়েই ব্যাপক খাদ্য ঘাটতি দেখা দেবে। চলতি বছর সারাবিশ্বেই যে জলবায়ু পরিবর্তনের উথালপাথাল দেখা গেছে তাতেই খাদ্য উৎপাদন নিয়ে এই আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। তা ছাড়া বিশ্বের শস্য ভাণ্ডার বলে পরিচিত ইউক্রেন ও রাশিয়ায় যুদ্ধ চলতে থাকায় তাদের কৃষি উৎপাদন ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

যুদ্ধের কারণে খাদ্য পরিবহনেও সমস্যা হচ্ছে। এতে আমাদের মতো দেশে যুদ্ধের নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। গম ও ভোজ্য তেলসহ অনেক খাদ্যপণ্যের দাম বেড়ে গেছে। খাদ্য সরবরাহ পেতেও অসুবিধা হচ্ছে। এসবই আমাদের আমদানি মূল্যস্ফীতি বাড়ানোর পেছনে কাজ করছে। আর এবছর আমাদের দেশসহ এই অঞ্চলে বর্ষাকালে বৃষ্টি হয়নি। তবে বর্ষাকালের শেষ প্রান্তে এসে বেশ বৃষ্টি হয়েছে। এর ইতিবাচক প্রভাব আমন ফসলের ওপর পড়বে বলে মনে হয়।জমিতে রস থাকবে বলে বোরো ধান উৎপাদনেও কম সেচ লাগবে। তা সত্ত্বেও বিশ্ব খাদ্য পরিস্থিতি মোটেও সুবিধার মনে হচ্ছে না। সারাবিশ্বের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ব্যাপক হারে কমে যাবে বলে বিশ্ব ব্যাংক ও আইএমএফ তাদের অর্থনৈতিক আউটলুক বা প্রক্ষেপণে একাধিকবার বলেই চলেছে। আইএমএফ আশঙ্কা করছে আগামী বছর বিশ্ব অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ২.৯ শতাংশ হবে।গত ১৩-১৪ বছরেদেশকে একটি শক্তিশালী সামষ্টিক অর্থনৈতিক ভিত্তির ওপর দাঁড় করানো গেছে বলে চলমান সংকটের মধ্যেও বাংলাদেশ অন্যঅধিকাংশ দেশের চেয়ে ভালো করছে। আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সহযোগী এবং রেটিং এজেন্সিগুলোও তাই বলছে। 

তবে চ্যালেঞ্জ যে রয়েছে তা তো মানতেইহ বে। একইসঙ্গে মনে রাখতে হবে যে, এই সংকট উত্তরণের ক্ষেত্রেও কৃষি সবচেয়ে শক্তিশালী রক্ষাকবচ হতে পারে। এ জন্য দরকার সময়োচিত নীতি গ্রহণ ও তার যথাযথ বাস্তবায়ন। প্রধানমন্ত্রীর কথা অনুযায়ী কৃষিকেই আমাদের সবচেয়ে বড় রক্ষাকবচ হিসেবে গ্রহণ করতে হবে। সেজন্য যথোপযুক্ত বাজেটারি সহায়তা ছাড়াও সহজ শর্তে ঋণ, সম্প্রসারণ এবং মার্কেটিং সমর্থন দিয়ে যেতে হবে।বঙ্গবন্ধু পুরস্কার পেয়েছেন যেসব কৃষক এবং যাদের নাম প্রস্তাব করা হয় সেগুলোর তথ্য ভাণ্ডার কৃষি মন্ত্রণালয়ে আছে। এরা আধুনিক কৃষক। এদের জন্য বিশেষ ঋণের ব্যবস্থা করা যায়।

সোলার সেচের বিকাশে আরও মনোযোগী হতে হবে। সরকার কৃষি যান্ত্রিকিকরণের জন্য যে ভর্তুকির ব্যবস্থা করেছে সেখান থেকে সোলার সেচ প্রকল্পও অনুরূপ ভর্তুকি দেওয়া হোক।পাশাপাশি বাংলাদেশ ব্যাংকের দেওয়া পঁচিশ হাজার কোটি টাকার তহবিল থেকে কয়েক লক্ষ সোলার পাম্পের জন্য ঋণের ব্যবস্থা করা যেতে পারে।গবেষণা ও উদ্ভাবন সমর্থনের পাশাপাশি কৃষির উন্নয়নের জন্য মার্কেটিং ও গুদামজাত করার জন্য ঋণ দেওয়া যায়।কৃষি পণ্যের জন্য ই-কমার্স উৎসাহ দেওয়ার অংশ হিসেবে ট্রেড লাইসেন্সবিহীন ছোট ঋণ মোবাইল ও এজেন্ট ব্যাংকিং-এর মাধ্যমে ব্যাংকগুলো যেন ন্যানো ঋণ মডেলে দেয় তার নির্দেশনা বাংলাদেশ ব্যাংক দিতে পারে।

আজকাল অনেক শিক্ষিত নারীও আধুনিক কৃষি উদ্যোগ নিচ্ছেন। তাদের জন্য আলাদা কিছু ঋণ ও রাজস্ব সুবিধার কথা নিশ্চয় ভাবা যায়।কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের মাধ্যমে বাংলাদেশ ব্যাংকের চালু করা স্টার্টআপ উদ্যোগ ত্বরান্বিত করা গেলে মন্দ হয় না। এবারের মন্দায় আমাদের কৃষি এবং ছোট উদ্যোগ প্রণোদিত করতেই হবে।

কৃষিভিত্তিক শিল্পের প্রসারের পাশাপাশি কৃষি প্রক্রিয়াজাত পণ্যের রপ্তানি বাড়ানোর জন্য সব ধরনের নীতি সমর্থন দিতে হবে।বদলে যাওয়া গ্রাম বাংলায় অকৃষি খাতের প্রসারের জন্য ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তাদের হাতে প্রয়োজনীয় পুঁজি জোগান দিয়ে যেতে হবে। এসব কর্মসূচি বাস্তবায়নের গতি কতটা তা দেখার জন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংক ডিজিটাল মনিটরিং জোরদার করতে পারে। এই কর্মসূচি যেন অব্যাহত থাকে সেই দিকে খেয়াল রাখতে হবে।

ব্যাংকগুলো ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোগে ঋণ দিতে উৎসাহী করার জন্য সরকার বাংলাদেশ ব্যাংকের মাধ্যমে ক্রেডিট গ্যারান্টি স্কিমের জন্য অর্থ বরাদ্দ করেছে। সোলার পাম্পও এই কর্মসূচির সুবিধা দেওয়া যেতে পারে। তাহলে কৃষিতে বিনিয়োগের হার বাড়বে। প্রয়োজনে এই গ্যারান্টি স্কিমের জন্য বাজেটারি বরাদ্দ আরও বাড়ানো যেতে পারে। ন্যানো ক্রেডিট ও ছোট ব্যবসায়ীদের জন্য ডিজিটাল ফাইন্যান্সের আওতায় ট্রেড লাইসেন্স ছাড়াই ঋণ দেওয়ার যে উদ্যোগ বাংলাদেশ ব্যাংক নিয়েছে তা অবশ্যই প্রশংসনীয়। আধুনিক কৃষি উদ্যোক্তাদেরও এই সুযোগ দেওয়া হোক। কৃষিতে বিনিয়োগ বাড়িয়ে চলেছে সরকার। সম্প্রতি  কৃষিমন্ত্রী বলেছেন যে এ বছর ২৮ হাজার কোটি বিনিয়োগ করেছে। আগামী বছর কৃষিতে এই বিনিয়োগ ৪৬ হাজার কোটি করবে বলে তিনি আশা করছেন কৃষির প্রতি  নীতিনির্ধারকদের এই মনোযোগ এই সংকটকালে খুবই প্রাসঙ্গিক বলে মনে হয়।

লেখক: বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর

Header Ad
Header Ad

বিএনপি ৩১ দফা বাস্তবায়নে জাতির কাছে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ: আমীর খসরু

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। ছবি: সংগৃহীত

দেশ ও প্রবাসীদের কল্যাণে ভবিষ্যতে নজর দেওয়া হবে জানিয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, আমরা শেখ হাসিনার পতনের আগেই ৩১ দফা এবং সাত বছর আগে ভিশন-২০৩০ ঘোষণা করেছি, যা বাস্তবায়নে আমরা জাতির কাছে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ।

বুধবার (২২ জানুয়ারি) জাতীয় প্রেসক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

আমীর খসরু বলেন, সরকারকে সহযোগিতা করছি, যাতে দেশ যত দ্রুত সম্ভব একটি স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসে। এর বিকল্প নেই। এর বাইরে অন্য কোনো রাজনৈতিক প্রক্রিয়া করতে গেলে মানুষের মনে সন্দেহ ও ভিন্ন ধারণা তৈরি হবে। সেটা হবে অগণতান্ত্রিক।

তিনি বলেন, স্বৈরাচার শেখ হাসিনা সরকার পতনের আন্দোলন ড্রাইভ করেছে বিএনপি। এই আন্দোলনের মূল চালিকাশক্তি ছিলো তারেক রহমান ও বেগম খালেদা জিয়া।

তিনি আরও বলেন, আজকে অনেকেই এই আন্দোলনের ক্রেডিট নিতে চায়। অথচ তারা আন্দোলন শুরুর অনেক পরে এসেছে। তারা জানে না বিদেশে কিভাবে আন্দোলন হয়েছে। লন্ডন, ইউরোপ, আমেরিকা, মধ্যপ্রাচ্যে কিভাবে আন্দোলন হয়েছে তারা জানে না।

এ সময় আন্দোলনে প্রবাসীদের ভূমিকাকে ডকুমেন্টস বা বই আকারে তুলে ধরার আহ্বান জানিয়ে আমীর খসরু বলেন, ইতিহাস সংরক্ষণ না করলে তা ভবিষ্যৎ ইতিহাসে জায়গা পাবে না। তাই প্রবাসীদের এই আন্দোলনে অংশগ্রহণ বই বা ডকুমেন্ট করে জাতির সামনে তুলে ধরতে হবে। এই প্রক্রিয়ায় বিএনপি সর্বোচ্চ সহায়তা করবে বলেও জানান তিনি।

আলোচনা সভায় প্রবাসীরা জাতীয় সংসদ ও মন্ত্রী সভায় তাদের প্রতিনিধিত্বের দাবি তুলে ধরেন।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির সাবেক সভাপতি আব্দুল লতিফ সম্রাট, গিয়াস আহমেদ, বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য আব্দুল লতিফ জুলি, সুইডেন বিএনপির সাবেক সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদ, ফ্লোরিডা বিএনপির সভাপতি এমরান হক চাকলাদার, আব্দুল খান হারুন, অস্ট্রেলিয়া স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতিব মুসলেমউদ্দীন হাওলাদার আরিফ প্রমুখ।

Header Ad
Header Ad

বাবা-মা চাচ্ছিলেন না আমি পৃথিবীতে আসি : অপু বিশ্বাস

অপু বিশ্বাস। ছবি: সংগৃহীত

ঢালিউড কুইন’খ্যাত অভিনেত্রী অপু বিশ্বাস। শোবিজে তার পথচলা দুই যুগেরও বেশি। ভক্ত-দর্শকদের তিনি উপহার দিয়েছেন অসংখ্য ব্যবসাসফল সিনেমা।

সাবলীল অভিনয় ও সৌন্দর্য দিয়ে সিনেমাপ্রেমীদের হৃদয়ে জায়গা করে নিয়েছেন এই চিত্রনায়িকা। দীর্ঘ এই পথচলায় কারণে-অকারণে অসংখ্য খবরের শিরোনাম হয়েছেন তিনি। কাজের পাশাপাশি উঠে এসেছে নায়িকার ব্যক্তিজীবনও।

দীর্ঘ এই পথচলায় অপ্রকাশিত এক সত্য এবার প্রকাশ্যে আনলেন অপু বিশ্বাস। জানালেন, নায়িকার জন্মের সময় তার বাবা-মা দ্বিধায় ছিলেন। তারা চাননি আর কোনো সন্তানের জন্ম দিতে। দেবাশীষ বিশ্বাসের উপস্থাপনায় ‘বিশ্বাসে মেলায় বন্ধু’তে হাজির হয়ে এসব কথা বলেন অপু।

নায়িকার কথায়, ‘বাবা মা ওই সময় তো এত বুঝতেন না। যতটুকু মার মুখে শোনা- পাঁচ মাস পর হওয়ার পর জানতে পেরেছেন যে, আমি আসছি। তখন মা-বাবা চাচ্ছিলেন না…। যেহেতু আমার তিন ভাই-বোন অলরেডি ছিলেন।’

বাবার চেয়ে কাকা ছিলেন অপুর সবচেয়ে কাছের মানুষ। সে কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘কাকা আমার সবকিছু। একদম স্কুল থেকে সবকিছু। বাবাও অনেক ভালোবাসেন। কিন্তু আমার সমস্ত আবদার ছিল কাকার কাছে।’

Header Ad
Header Ad

৪ দফা দাবিতে ম্যাটস শিক্ষার্থীদের শাহবাগ মোড় অবরোধ করে বিক্ষোভ

ছবি: সংগৃহীত

চার দফা দাবিতে ‘সাধারণ ম্যাটস শিক্ষার্থী ঐক্য পরিষদ’-এর ব্যানারে আজ বুধবার রাজধানীর শাহবাগ মোড় অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন ম্যাটস শিক্ষার্থীরা। বিক্ষোভের কারণে শাহবাগ মোড় এলাকায় যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।

আজ সকাল ১০টা ৪০ মিনিটে ম্যাটস শিক্ষার্থীরা প্রথমে কারওয়ান বাজার এলাকায় মেট্রোরেল স্টেশনের নিচে মূল সড়কের এক পাশে বিক্ষোভ শুরু করেন। বেলা সোয়া ১১টার দিকে তাঁরা শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরের সামনে গিয়ে সমাবেশ করেন এবং দুপুর ১২টা ৫০ মিনিটে শাহবাগ মোড়ে অবস্থান নিয়ে অবরোধ শুরু করেন।

শিক্ষার্থীরা জানিয়েছেন, তিন মাস ধরে আন্দোলন করেও তাঁদের দাবি পূরণ হয়নি। তাঁদের চার দফা দাবি হলো:

১. দশম গ্রেডে শূন্য পদে দ্রুত নিয়োগ ও নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি।
২. কোর্স কারিকুলাম সংশোধন এবং প্রতিষ্ঠানের নাম পরিবর্তন করে মেডিকেল ইনস্টিটিউট করা।
৩. ‘অ্যালাইড-হেলথ প্রফেশনাল বোর্ড’ বাতিল করে স্বতন্ত্র ‘মেডিকেল এডুকেশন বোর্ড অব বাংলাদেশ’ গঠন।
৪. আন্তর্জাতিক মানদণ্ডের ক্লিনিক্যাল বিষয়ে উচ্চশিক্ষার সুযোগ প্রদান।

শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ খালিদ মনসুর বলেন, আন্দোলনকারীদের বুঝিয়ে সরানোর চেষ্টা করা হচ্ছে, তবে তাঁরা এখনও কথা শুনছেন না।

আন্দোলনের ফলে শাহবাগ এলাকার যানবাহন চলাচল পুরোপুরি বন্ধ হয়ে গেছে, যা আশপাশের এলাকায়ও প্রভাব ফেলেছে।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

বিএনপি ৩১ দফা বাস্তবায়নে জাতির কাছে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ: আমীর খসরু
বাবা-মা চাচ্ছিলেন না আমি পৃথিবীতে আসি : অপু বিশ্বাস
৪ দফা দাবিতে ম্যাটস শিক্ষার্থীদের শাহবাগ মোড় অবরোধ করে বিক্ষোভ
নিজের সিনেমায় নিজের লেখা গান গাইলেন মোশাররফ করিম
আদালতে চকলেট খেতে চাইলেন সাবেক শিল্প প্রতিমন্ত্রী
আগামী ৩ দিনের আবহাওয়ার পূর্বাভাস নিয়ে যা জানা গেল
৯ বছরেও শেষ হয়নি রিজার্ভ চুরির মামলার তদন্ত, দায়িত্ব নিতে চায় দুদক
গাজায় ধ্বংসস্তূপ সরাতেই বেরিয়ে আসছে কঙ্কাল, পচাগলা ১২০ মরদেহ উদ্ধার
বোমা পাওয়া যায়নি বাংলাদেশ বিমানের ফ্লাইটে, নিরাপদে নামলো যাত্রীরা
কারওয়ান বাজারে পুলিশের সাথে আন্দোলনকারীদের ধস্তাধস্তি
প্রথমবার ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হারিয়ে বিশ্বকাপের আশা বাঁচিয়ে রাখল বাংলাদেশ
৭ টেলিকম প্রতিষ্ঠানের লাইসেন্স বাতিল
বাংলাদেশ বিমানের ফ্লাইটে বোমা হামলার হুমকি, চলছে তল্লাশি
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে গাছ থেকে ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার
জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের দায়িত্ব ছাড়লেন সারজিস আলম
শিশুদেরও গোপন কারাগারে রেখেছিলেন হাসিনা, দেওয়া হতো না মায়ের দুধ!
অভিযানকালে জুয়াড়িদের হামলা, ডিবি পুলিশের ৭ সদস্য আহত
৯ গোলের রুদ্ধশ্বাস ম্যাচে অবিশ্বাস্য জয়, নকআউট পর্বে বার্সেলোনা
চালের দাম বাড়ার আর সুযোগ দেব না, বরং কমবে: খাদ্য উপদেষ্টা
খালেদা জিয়ার লিভার প্রতিস্থাপন সম্ভব হচ্ছে না, চলছে বিকল্প চিকিৎসা