সোমবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৪ | ৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

সংকটকালে কৃষিই অর্থনীতির চালিকাশক্তি

ঐতিহাসিকভাবেই বাংলাদেশের সামষ্টিক অর্থনৈতিক চালিকাশক্তি কৃষি। সংকট মোকাবিলার ক্ষেত্রে রক্ষাকবচ হিসেবে কাজ করে এসেছে এদেশের কৃষি খাত। অর্থনীতিকে সুরক্ষা দেওয়ার পাশাপাশি অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রবৃদ্ধির চাকাকে গতিশীল রাখার ক্ষেত্রেও প্রধানতম শক্তির জায়গা হিসেবে আমরা সবসময় পেয়েছি এদেশের কৃষি, কৃষক এবংকৃষি উদ্যোক্তাদের। স্বাধীনতার পরপরই বঙ্গবন্ধু তার অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়ন দর্শনের ধারাবাহিকতায় যুদ্ধোত্তর দেশে কৃষি পুনর্গঠনে দিয়েছিলেন সর্বোচ্চ মনোযোগ। তাই তার প্রথম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনায় কৃষি ও পানিসম্পদ খাতকে সর্বোচ্চ (২৪ শতাংশ) বরাদ্দ পেতে দেখি।

অস্থির বৈশ্বিক বাস্তবতায় সদ্য স্বাধীন দেশকে এগিয়ে নিতে রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় শিল্প খাতের বিকাশের পাশাপাশি তিনি কৃষি ও কৃষকের সুরক্ষা নিশ্চিত করাকেও সমান গুরুত্ব দিয়েছেন। ওই সময়টায় এখনকার মতো সারা বিশ্বেই তেলের দাম বেড়ে গিয়েছিল। খাদ্য সংকটও ছিল তীব্র। তাই কৃষি উৎপাদনে গুরুত্ব দেওয়াটা ছিল খুবই প্রাসঙ্গিক। বঙ্গবন্ধুর শাসনামলে মাত্র সাড়ে তিন বছরের মধ্যে দেশের মাথাপিছু আয় দ্বিগুণেরও বেশি বৃদ্ধি পাওয়ার পেছনে তার এই কৃষিমুখী নীতি ও উন্নয়নদর্শন অত্যন্ত গুরুত্ববহ ভূমিকা রেখেছে। তার দ্বিতীয় বিপ্লবের মূল প্রস্তাবনাতেও প্রধান জায়গায় ছিল কৃষি কেন্দ্রিক সমবায় আন্দোলন।

বঙ্গবন্ধুকে হারানোর পর দেশ পথ হারিয়েছিল।বঙ্গবন্ধুর শুরু করা সবুজ বিপ্লবও গতি হারিয়েছিল।  বহু বছর পর গেল শতাব্দীর একেবারে শেষে এসে আবার যখন বঙ্গবন্ধু কন্যা দেশের হাল ধরেন তখন আমরা আবার ফিরতে পেরেছি টেকসই কৃষি উন্নয়নের পথে। মাঝে দেশবিরোধীদের কারণে এইঅভিযাত্রায় ছেদ পড়ে। তবে ২০০৯ থেকে দ্বিতীয় দফায় তিনি প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্বকাঁধে নেওয়ার পর থেকে দেশের কৃষি খাতকে আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। এ সময়ে কৃষির সার্বিক ও টেকসই উন্নয়নের প্রতিফলন আমরা দেখতে পাই খাদ্য উৎপাদন সূচক, বৈশ্বিক ক্ষুধা সূচক ইত্যাদিতে বাংলাদেশের দ্রুত অগ্রগতিতে। 

বর্তমানে চলমান বৈশ্বিক অর্থনৈতিক সংকটকালে এই কৃষিনীতির যে দিকটিতে বিশেষভাবে আলোকপাত করা দরকার তা হলো এ ধরনের সংকট মোকাবিলায় আমাদের কৃষি খাতের অবদান, সক্ষমতা ও সম্ভাবনা। ২০০৮-০৯-এও বিশ্ব আর্থিক ব্যবস্থার সংকটকালে অনেকে বাংলাদেশের সামষ্টিক অর্থনৈতিক ভবিষ্যৎ নিয়ে ভাবিত হয়ে পড়েছিলেন। কিন্তু সেসময় সরকারের যথাযথ নির্দেশনা ও সহায়তায় কেন্দ্রীয় ব্যাংক রিয়েলইকোনমিতে ঋণের প্রবাহ বাড়ানোর উদ্যোগ নিয়েছিল। 

মূলত ডিজিটাল পদ্ধতিতে আর্থিক সেবা প্রান্তিক মানুষের কাছে বিশেষ করে কৃষিনির্ভর জনগণের কাছে পৌঁছে দেওয়াইছিল এই আর্থিক অন্তর্ভুক্তির অভিযানের মূলনীতি। যথাযথ অর্থায়নের মাধ্যমে বহুমুখীকৃষির বিকাশ, নতুন কৃষি উদ্যোক্তা তৈরি এবং সর্বোপরি কৃষকের ক্ষমতায়নের লক্ষ্যকে সামনে নিয়ে এগোনো আর্থিক অন্তর্ভুক্তির এই অভিযান তখন সুফল দিয়েছিল। ৪০ শতাংশ কর্মশক্তি যেই কৃষি খাতে যুক্ত সেখানে ঋণের প্রবাহ বাড়ানোর ফলে বৈশ্বিক মন্দার মধ্যেও তাদের সুরক্ষা দেওয়া সম্ভব হয়েছিল।একইসঙ্গে কৃষিতে ভর্তুকির পরিমাণও বাড়িয়েছিল সরকার। সারের দাম ব্যাপক হারে কমিয়ে ছিল সরকার।কৃষকের হাতে টাকা থাকায় দেশের অভ্যন্তরীণ চাহিদাও বেগবান হয়েছিল।আর এর সুফল পেয়েছে অর্থনীতির অন্যান্য খাতও। ফলে ওই মন্দা থেকে অর্থনীতিকে কেবল সুরক্ষিত করা গিয়েছিল তাই নয়, পাশাপাশি প্রবৃদ্ধির চাকাকে অতীতের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেগবান করাও সম্ভব হয়েছিলে। 

একইভাবে সর্বশেষ করোনা জনিত অর্থনৈতিক স্থিতাবস্থার সময়ও কৃষি আমাদের অর্থনীতির রক্ষাকবচ হিসেবে কাজ করেছে। সে সময় যথাযথ প্রণোদনাসহ নানা রাষ্ট্রীয় ও সামাজিক উদ্যোগ নিয়ে কৃষির সুরক্ষা দেওয়া হয়েছিল। ফলে খাদ্য উৎপাদন ও খাদ্য সরবরাহ বহাল থেকে ছিল। এমনকি শহরাঞ্চলে অস্থায়ী বেকারত্বের শিকার হয়ে যারা গ্রামে ফিরেছিলেন তাদেরও একটি বড় অংশের সহায় হয়েছিলএই কৃষি খাতই। এভাবেই বারেবারে দেশের কৃষি খাত সামষ্টিক অর্থনীতিকে সুরক্ষা দেওয়ার পরীক্ষায় ভালোভাবে উত্তির্ণ হয়েছে।

করোনাজনিত সংকট থেকে পুনরুত্থান শুরু হতে না হতেই অনাকাঙ্ক্ষিত রুশ-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে নতুন চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে গোটা বিশ্ব অর্থনীতি। প্রত্যাশিতভাবে সংকটের প্রভাব পড়ছে এদেশেও। বিশ্ব খাদ্য সংস্থা এবং বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি হুঁশিয়ারি দিচ্ছে যে আগামী বছর বিশ্বজুড়েই ব্যাপক খাদ্য ঘাটতি দেখা দেবে। চলতি বছর সারাবিশ্বেই যে জলবায়ু পরিবর্তনের উথালপাথাল দেখা গেছে তাতেই খাদ্য উৎপাদন নিয়ে এই আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। তা ছাড়া বিশ্বের শস্য ভাণ্ডার বলে পরিচিত ইউক্রেন ও রাশিয়ায় যুদ্ধ চলতে থাকায় তাদের কৃষি উৎপাদন ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

যুদ্ধের কারণে খাদ্য পরিবহনেও সমস্যা হচ্ছে। এতে আমাদের মতো দেশে যুদ্ধের নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। গম ও ভোজ্য তেলসহ অনেক খাদ্যপণ্যের দাম বেড়ে গেছে। খাদ্য সরবরাহ পেতেও অসুবিধা হচ্ছে। এসবই আমাদের আমদানি মূল্যস্ফীতি বাড়ানোর পেছনে কাজ করছে। আর এবছর আমাদের দেশসহ এই অঞ্চলে বর্ষাকালে বৃষ্টি হয়নি। তবে বর্ষাকালের শেষ প্রান্তে এসে বেশ বৃষ্টি হয়েছে। এর ইতিবাচক প্রভাব আমন ফসলের ওপর পড়বে বলে মনে হয়।জমিতে রস থাকবে বলে বোরো ধান উৎপাদনেও কম সেচ লাগবে। তা সত্ত্বেও বিশ্ব খাদ্য পরিস্থিতি মোটেও সুবিধার মনে হচ্ছে না। সারাবিশ্বের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ব্যাপক হারে কমে যাবে বলে বিশ্ব ব্যাংক ও আইএমএফ তাদের অর্থনৈতিক আউটলুক বা প্রক্ষেপণে একাধিকবার বলেই চলেছে। আইএমএফ আশঙ্কা করছে আগামী বছর বিশ্ব অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ২.৯ শতাংশ হবে।গত ১৩-১৪ বছরেদেশকে একটি শক্তিশালী সামষ্টিক অর্থনৈতিক ভিত্তির ওপর দাঁড় করানো গেছে বলে চলমান সংকটের মধ্যেও বাংলাদেশ অন্যঅধিকাংশ দেশের চেয়ে ভালো করছে। আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সহযোগী এবং রেটিং এজেন্সিগুলোও তাই বলছে। 

তবে চ্যালেঞ্জ যে রয়েছে তা তো মানতেইহ বে। একইসঙ্গে মনে রাখতে হবে যে, এই সংকট উত্তরণের ক্ষেত্রেও কৃষি সবচেয়ে শক্তিশালী রক্ষাকবচ হতে পারে। এ জন্য দরকার সময়োচিত নীতি গ্রহণ ও তার যথাযথ বাস্তবায়ন। প্রধানমন্ত্রীর কথা অনুযায়ী কৃষিকেই আমাদের সবচেয়ে বড় রক্ষাকবচ হিসেবে গ্রহণ করতে হবে। সেজন্য যথোপযুক্ত বাজেটারি সহায়তা ছাড়াও সহজ শর্তে ঋণ, সম্প্রসারণ এবং মার্কেটিং সমর্থন দিয়ে যেতে হবে।বঙ্গবন্ধু পুরস্কার পেয়েছেন যেসব কৃষক এবং যাদের নাম প্রস্তাব করা হয় সেগুলোর তথ্য ভাণ্ডার কৃষি মন্ত্রণালয়ে আছে। এরা আধুনিক কৃষক। এদের জন্য বিশেষ ঋণের ব্যবস্থা করা যায়।

সোলার সেচের বিকাশে আরও মনোযোগী হতে হবে। সরকার কৃষি যান্ত্রিকিকরণের জন্য যে ভর্তুকির ব্যবস্থা করেছে সেখান থেকে সোলার সেচ প্রকল্পও অনুরূপ ভর্তুকি দেওয়া হোক।পাশাপাশি বাংলাদেশ ব্যাংকের দেওয়া পঁচিশ হাজার কোটি টাকার তহবিল থেকে কয়েক লক্ষ সোলার পাম্পের জন্য ঋণের ব্যবস্থা করা যেতে পারে।গবেষণা ও উদ্ভাবন সমর্থনের পাশাপাশি কৃষির উন্নয়নের জন্য মার্কেটিং ও গুদামজাত করার জন্য ঋণ দেওয়া যায়।কৃষি পণ্যের জন্য ই-কমার্স উৎসাহ দেওয়ার অংশ হিসেবে ট্রেড লাইসেন্সবিহীন ছোট ঋণ মোবাইল ও এজেন্ট ব্যাংকিং-এর মাধ্যমে ব্যাংকগুলো যেন ন্যানো ঋণ মডেলে দেয় তার নির্দেশনা বাংলাদেশ ব্যাংক দিতে পারে।

আজকাল অনেক শিক্ষিত নারীও আধুনিক কৃষি উদ্যোগ নিচ্ছেন। তাদের জন্য আলাদা কিছু ঋণ ও রাজস্ব সুবিধার কথা নিশ্চয় ভাবা যায়।কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের মাধ্যমে বাংলাদেশ ব্যাংকের চালু করা স্টার্টআপ উদ্যোগ ত্বরান্বিত করা গেলে মন্দ হয় না। এবারের মন্দায় আমাদের কৃষি এবং ছোট উদ্যোগ প্রণোদিত করতেই হবে।

কৃষিভিত্তিক শিল্পের প্রসারের পাশাপাশি কৃষি প্রক্রিয়াজাত পণ্যের রপ্তানি বাড়ানোর জন্য সব ধরনের নীতি সমর্থন দিতে হবে।বদলে যাওয়া গ্রাম বাংলায় অকৃষি খাতের প্রসারের জন্য ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তাদের হাতে প্রয়োজনীয় পুঁজি জোগান দিয়ে যেতে হবে। এসব কর্মসূচি বাস্তবায়নের গতি কতটা তা দেখার জন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংক ডিজিটাল মনিটরিং জোরদার করতে পারে। এই কর্মসূচি যেন অব্যাহত থাকে সেই দিকে খেয়াল রাখতে হবে।

ব্যাংকগুলো ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোগে ঋণ দিতে উৎসাহী করার জন্য সরকার বাংলাদেশ ব্যাংকের মাধ্যমে ক্রেডিট গ্যারান্টি স্কিমের জন্য অর্থ বরাদ্দ করেছে। সোলার পাম্পও এই কর্মসূচির সুবিধা দেওয়া যেতে পারে। তাহলে কৃষিতে বিনিয়োগের হার বাড়বে। প্রয়োজনে এই গ্যারান্টি স্কিমের জন্য বাজেটারি বরাদ্দ আরও বাড়ানো যেতে পারে। ন্যানো ক্রেডিট ও ছোট ব্যবসায়ীদের জন্য ডিজিটাল ফাইন্যান্সের আওতায় ট্রেড লাইসেন্স ছাড়াই ঋণ দেওয়ার যে উদ্যোগ বাংলাদেশ ব্যাংক নিয়েছে তা অবশ্যই প্রশংসনীয়। আধুনিক কৃষি উদ্যোক্তাদেরও এই সুযোগ দেওয়া হোক। কৃষিতে বিনিয়োগ বাড়িয়ে চলেছে সরকার। সম্প্রতি  কৃষিমন্ত্রী বলেছেন যে এ বছর ২৮ হাজার কোটি বিনিয়োগ করেছে। আগামী বছর কৃষিতে এই বিনিয়োগ ৪৬ হাজার কোটি করবে বলে তিনি আশা করছেন কৃষির প্রতি  নীতিনির্ধারকদের এই মনোযোগ এই সংকটকালে খুবই প্রাসঙ্গিক বলে মনে হয়।

লেখক: বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর

Header Ad

৩০ দিনের মধ্যে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে তদন্ত শেষ করার নির্দেশ

সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ছবি: সংগৃহীত

সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে জুলাই-অগাস্ট গণহত্যা মামলায় এক মাসের মধ্যে তদন্ত শেষ করার নির্দেশ দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। সোমবার (১৮ নভেম্বর) ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বে তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল এ আদেশ দেন।

আগামী ১৭ ডিসেম্বরের মধ্যে তদন্তের অগ্রগতি প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে। এদিন কার্যতালিকায় ছিল শেখ হাসিনার মামলা। এছাড়া ওবায়দুল কাদেরসহ ৪৫ জনের মামলাও রয়েছে কার্যতালিকায়।

গত ১৭ অক্টোবর শেখ হাসিনাসহ ৪৬ জনের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির মধ্য দিয়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের বিচারিক কার্যক্রম শুরু হয়।

এদিকে একইদিন সকাল ১০টার দিকে জুলাই-আগস্টের গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধে জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেফতার হওয়া সাবেক মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীসহ ১৩ জনকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়।

পরে বেলা ১১টার দিকে তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগের শুনানি শুরু হয়। শুনানিতে চিফ প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট তাজুল ইসলাম বলেন, গত ১৫ বছরের শাসনামলে এমন কোনও মানবতাবিরোধী অপরাধ নেই যেটা শেখ হাসিনা করেননি। আর উপস্থিত এই আসামিরা এসব অপরাধ সংগঠনে সহযোগিতা করে গেছেন।

Header Ad

মৃত্যুর আগে ফেসবুক লাইভে অডিও বার্তা, পত্নীতলায় সুমন হত্যা ঘিরে রহস্য

সুমন হোসেন। ছবি: সংগৃহীত

নওগাঁর পত্নীতলা-মহাদেবপুর সীমানার বিলছাড়া এলাকা থেকে এক যুবকের মৃতদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। ওই যুবকের নাম সুমন হোসেন। তিনি বিলছাড়া গ্রামের ময়েন উদ্দিনের ছেলে।

সোমবার (১৮ নভেম্বর) দুপুরে পত্নীতলা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এনায়েতুর রহমান ঢাকাপ্রকাশকে নিশ্চিত করে বলেন, ‘স্থানীয়রা গাছে ঝুলন্ত অবস্থায় সুমনের মৃতদেহ দেখতে পান। থানায় খবর দিলে পুলিশ গিয়ে মৃতদেহ উদ্ধার করে।’

ওসি বলেন, ‘সুমন ডিজিটাল মার্কেটে ব্যবসার সাথে জড়িত ছিলেন। গত কাল রাতে ‘সুমন হোসেন’ নামে একটি ফেসবুক আইডি থেকে করা লাইভে কিছু কথা শোনা যায়। পাঁচ মিনিট ৪৬ সেকেন্ডের ওই অডিওতে অভিযোগ করা হয়, বুলবুল নামে এক ব্যক্তির কাছ থেকে সুদের বিনিময়ে ৭০ হাজার টাকা ধার করেন সুমন। সাথে ফাঁকা ব্যাংক চেক ও স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর নেয়া হয়। কিন্তু পরে বুলবুল তার কাছ থেকে ১০ লাখ ৪৫ হাজার টাকা পান বলে চাপ দিতে থাকেন। এক পর্যায়ে গত রাতে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে ১০ লাখ টাকা নিয়ে বাড়ি ফেরার পথে তাকে ধাওয়া করা হয়। ওই রেকর্ডে দাবি করা হয় তার মৃত্যুর জন্য বুলবুল নামে ওই ব্যক্তিই দায়ী।’

তবে ওসি বলেন, ‘ওই ফেসবুক আইডিটি আসলেই সুমনের কিনা কিংবা লাইভের অডিও’র ওই ব্যক্তিটি কে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। বুলবুল নামে কোনো ব্যক্তির সাথে সুমনের আসলেই কোনো আর্থিক লেনদেন ছিল কিনা তা জানার চেষ্টা করছে পুলিশ। এসবের সত্যতা বের হলেই আসল রহস্য উন্মোচন হবে। মৃতদেহটি ময়না ‍তদন্তের জন্য নওগাঁ জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।’

সুমন হোসেন হত্যার বিচার দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল। ছবি: সংগৃহীত

এদিকে সোমবার (১৮ নভেম্বর) বেলা পৌনে ১২টায় নওগাঁর পত্নীতলা উপজেলায় নজিপুর বাসস্ট্যান্ডে এলাকায় ব্যবসায়ী সুমন হোসেন হত্যার বিচার দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করে সাধারণ ব্যবসায়ীরা।

Header Ad

গিলেস্পিই থাকছেন পাকিস্তানের প্রধান কোচ

ছবি: সংগৃহীত

গিলেস্পিকে সরিয়ে পাকিস্তানের প্রধান কোচের দায়িত্ব পেতে যাচ্ছেন পিসিবির নির্বাচক কমিটির আহ্বায়ক আকিব জাবেদ- রোববার (১৭ নভেম্বর) সন্ধ্যায় এমন একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে ইএসপিএন ক্রিকইনফো। তবে সেই খবর ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড। দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে টেস্ট সিরিজ পর্যন্ত গিলেস্পিই থাকছেন দলটির প্রধান কোচ।

তবে ক্রিকইনফোর সেই খবরকে ভিত্তিহীন দাবি করে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি) নিশ্চিত করেছে, দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে টেস্ট সিরিজ পর্যন্ত গিলেস্পিই প্রধান কোচের দায়িত্বে থাকছেন।

গত রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে ক্রিকইনফোর খবরটি শেয়ার দিয়ে পিসিবি লিখেছে, ‘পিসিবি এই গল্পকে (প্রতিবেদনকে) দৃঢ়ভাবে ভুল বা মিথ্যা প্রমাণ করছে। পূর্বঘোষণা অনুযায়ী, দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে দুটি লাল বলের ম্যাচে জেসন গিলেস্পিই কোচের দায়িত্ব পালন করবেন।’

পিসিবি গত এপ্রিলে গিলেস্পিকে টেস্ট এবং গ্যারি কারস্টেনকে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টির প্রধান কোচ হিসেবে নিয়োগ দেয়। তবে গত ২৮ অক্টোবর পাকিস্তান দল অস্ট্রেলিয়ার উদ্দেশে রওনা হওয়ার আগমুহূর্তে কারস্টেন গদত্যাগ করলে গিলেস্পিকে এই সফরের কোচের দায়িত্ব দেওয়া হয়।

পাকিস্তান দল বর্তমানে অস্ট্রেলিয়া সফর করছে। বাংলাদেশ সময় আজ দুপুরে দলটি অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে শেষ টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলতে নামছে। সেখান থেকে জিম্বাবুয়ে সফরে যাবেন বাবর আজম-মোহাম্মদ রিজওয়ান-শাহিন আফ্রিদিরা। এরপর জিম্বাবুয়ে থেকে দক্ষিণ আফ্রিকায়। জিম্বাবুয়েতে ৩টি করে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি খেলবে পাকিস্তান। দক্ষিণ আফ্রিকায় তাদের পূর্ণাঙ্গ সফর। প্রোটিয়াদের বিপক্ষে দুটি টেস্টের আগে ৩টি করে টি-টোয়েন্টি ও ওয়ানডে খেলবে পাকিস্তান।

পিসিবির ঘোষণা অনুযায়ী, গিলেস্পি দক্ষিণ আফ্রিকায় টেস্ট সিরিজে পাকিস্তানের প্রধান কোচ থাকছেন, তা নিশ্চিত। কিন্তু জিম্বাবুয়ে ও দক্ষিণ আফ্রিকায় সীমিত ওভারের সিরিজগুলোতে পাকিস্তানের প্রধান কোচ কে হবেন, তা এখনো জানানো হয়নি।

এদিকে পাকিস্তানের সাদা বলের কোচ হওয়ার ইচ্ছা একাধিকবার প্রকাশ্যে জানিয়েছেন সাবেক পেসার ও বর্তমান নির্বাচক আকিব জাভেদ। শেষ পর্যন্ত কাকে দায়িত্ব দেয় পিসিবি, তা জানতে আরও কিছুদিন অপেক্ষায় থাকতে হচ্ছে।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

৩০ দিনের মধ্যে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে তদন্ত শেষ করার নির্দেশ
মৃত্যুর আগে ফেসবুক লাইভে অডিও বার্তা, পত্নীতলায় সুমন হত্যা ঘিরে রহস্য
গিলেস্পিই থাকছেন পাকিস্তানের প্রধান কোচ
প্রাক্তনকে স্বপ্নে দেখা কিসের ইঙ্গিত?
তিতুমীর কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয় করার দাবিতে সড়ক ও রেলপথ অবরোধ
বেনাপোল বন্দর দিয়ে চাল আমদানি শুরু
অগ্রাহায়নের শুরুতেই চুয়াডাঙ্গায় জেঁকে বসেছে শীত, দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড
শীতকালে যেসব ইবাদতের কথা বলেছেন নবীজি (সা.)
প্রেমের টানে বিয়ের দাবিতে ভারতীয় তরুণী বাংলাদেশে
মাল্টিপ্লেক্সে রেকর্ড আয় করল শাকিবের ‘দরদ’
মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্ত ১৩ জন ট্রাইব্যুনালে হাজির
অন্তর্বর্তী সরকারের মেয়াদ চার বছরের কম হবে: ড. ইউনূস
দর্শকদের ‘ভুয়া ভুয়া’ স্লোগানে চলে গেলেন পরীমণি
সাকিবকে নিয়ে চেন্নাইয়ে জল্পনা!
নারায়ণগঞ্জে টিস্যুর গুদামে আগুন, নিয়ন্ত্রণে ১৪ ইউনিট
নিষিদ্ধ ‘ছাত্রলীগের আবরণে’ নতুন রাজনৈতিক দলের আত্মপ্রকাশ
নিখোঁজের চারদিন পর নদী থেকে শিশুর মরদেহ উদ্ধার
নির্বাচনের ট্রেন যাত্রা শুরু করেছে: প্রধান উপদেষ্টা
ঢাবি ছাত্রদলের ৬ নেতাকে অব্যাহতি
গাইবান্ধায় আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি কারাগারে