রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪ | ৭ পৌষ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

ভোগবাদ ও ক্ষমতার রাজনীতি সামাজিক পুঁজিকে ধ্বংস করছে 

শুধু বাংলাদেশে নয়, আমাদের প্রতিবেশী দেশ ভারত কিংবা আফ্রিকার অনেক দেশে এ ধরনের প্রবণতা দেখা যাচ্ছে। অর্থের জন্য আকাঙ্ক্ষা বৃদ্ধি দোষের কিছু নয়, কিন্তু তা যদি একমাত্রিক ও সুষম চিন্তার পরিপন্থী হয়, তাহলে চিন্তার কারণ আছে। এক্ষেত্রে কয়েকটা বিষয় রয়েছে। দুষ্টচক্রের মাধ্যমে একটা প্রবণতা আর একটা প্রবণতাকে উসকে দিচ্ছে। দুটো মিলে তৃতীয় একটা খারাপ প্রবণতা তৈরি হচ্ছে। আমাদের আকাঙ্ক্ষাগুলো পরিবর্তিত হচ্ছে। রুলিং অর্থনৈতিক মডেল যে ধরনের প্রবণতাকে ভর করে অগ্রসর হওয়ার চেষ্টা করছে তা কিন্তু একে অপরের সম্পূরক। তাই আমরা যদি বাংলাদেশের রোল মডেলের দিকে তাকাই তাহলে দেখি অতি ধনী হওয়ার হার এখানে বেশি। অর্থের প্রতি এক ধরনের আসক্তি এসেছে। আগের ব্যক্তিগত সমৃদ্ধির যে প্রবণতা ছিল তা পরিবর্তিত হয়েছে। আগে যেমন বলা হতো, লেখা পড়া করে যে, গাড়ি ঘোড়া চড়ে সে। কথাটি এখন যেন সম্পূর্ণ বিপরীত এক স্লোগান। এখন অনেকেই মনে করে লেখাপড়া করলেও ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত।

সমাজের মধ্যে প্রচলিত উদাহরণগুলো ভেঙে পড়েছে। বিত্তবান হওয়ার প্রক্রিয়ায় নিজের দক্ষতা বৃদ্ধির পাশাপাশি সমাজের প্রতি দায়িত্ববোধের দৃষ্টিকোণ লালন করে ধাপে ধাপে অগ্রসর হওয়ার নিয়ম থাকলেও বাস্তব উদাহরণে দেখা যাচ্ছে প্রচলিত বিষয়গুলোর একটিও কাজ করছে না। বরং নিয়ম ভেঙে, নিয়মকে পাশ কাটিয়ে ও তোয়াক্কা না করে সমৃদ্ধি অর্জনের সংস্কৃতি তৈরি হয়েছে। নিয়ম কোনো বিষয় নয় এ ধারণা প্রতিষ্ঠা পাওয়ার ফলে নেতিবাচক রোল মডেলগুলো প্রাধান্য পাচ্ছে। নেতিবাচক রোল মডেলগুলো দুই ধরনের। এক. কোনো ধরনের নিয়মের তোয়াক্কা না করে অপরাধ করা। দুই. সরাসরি অপরাধ না করলেও কোনো ধরনের নিয়ম অনুসরণ না করে যেকোনো উপায়ে অর্থ উপার্জনকে প্রাধান্য দেওয়া। শ্রম দিয়ে কষ্ট করে সমৃদ্ধি অর্জন নয়, অতিদ্রুত ধনী হওয়ার প্রবণতা লালন করা। তবে শ্রম দিয়ে কষ্ট করে সমৃদ্ধি অর্জনকারী লোকেরা যে একেবারেই নেই তা কিন্তু নয়। তারা আছেন কিন্তু তারা কেউ আর রোল মডেল হচ্ছেন না।

ব্যবসায়ীদের মধ্যে অনেকেই আছেন যারা সুস্থভাবে সমৃদ্ধির অন্বেষণ করছেন কিন্তু তারা রোল মডেল হিসেবে সমাজে চিহ্নিত হচ্ছেন না। কারণ অধিকাংশের মধ্যে নিয়ম ভাঙা, অনৈতিক পথ খুঁজে বের করার প্রবণতা লক্ষণীয়। ফলে অবধারিতভাবে শিক্ষার অবমূল্যায়ন ঘটে গিয়েছে। শিক্ষার প্রয়োজনীয়তা ও গুরুত্ব হারিয়েছে। বিপরীতে চলছে সনদধারী শিক্ষা ব্যবস্থা। কষ্ট করে শিক্ষিত হওয়ার প্রবণতা যেখানে অনুপস্থিত। যোগ হয়েছে ভোগবাদী দৃষ্টিভঙ্গি। দুষ্টচক্রের মাধ্যমে তা আরো ছড়িয়ে পড়ছে। কারণ সমৃদ্ধির ধারণার সঙ্গে প্রতিনিয়ত একটি করে অনৈতিক আকাঙ্ক্ষা তৈরি হচ্ছে। ছোট ফ্রিজে হচ্ছে না বড় ফ্রিজ লাগছে। একটার বদলে একাধিক গাড়ি ক্রয়ের প্রবণতা বাড়ছে। অনুষ্ঠানে একই পোশাক গহনা বারবার পরতে আপত্তি। গায়ে হলুদের অনুষ্ঠান বড় করে করা হচ্ছে। বিয়ের অনুষ্ঠান একটা নয় পাঁচটা হচ্ছে। এখানে অর্থনৈতিক বিষয়গুলো জড়িত। যেমন ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট প্রতিষ্ঠানগুলো এখানে কাজ করছে। কিন্তু এ ধরনের নিষ্প্রাণ বিয়ের অনুষ্ঠানের মতো আয়োজন আমি আগে দেখিনি। ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানিই হয়তো লোকদের বুঝিয়েছে যে, এখন বিয়ের অনুষ্ঠানগুলো এমনই হয়। সুতরাং ভোগের এ ধরনের আকাঙ্ক্ষা থেকে এক ধরনের অর্থনীতিকে অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে।

শুধু বাংলাদেশে নয়, বৈশ্বিকভাবে এ প্রবণতা বিদ্যমান।সভ্যতার জন্য অবশ্যই আরও উন্নত জীবনমানের ধারণা জরুরি। নতুন নতুন উদ্ভাবন জরুরি। আমাদের সেলফোন দরকার কিন্তু সেলফোন আসক্তি দরকার কি? সেলফোন আসক্তি শুধু সামাজিক বিষয় নয়, তা অর্থনীতির মাধ্যমে প্রবর্তিত হচ্ছে। অর্থনীতির আকাঙ্ক্ষাও এদিকে লালিত হচ্ছে। কক্সবাজারে হয়তো ভ্রমণার্থীদের সংখ্যা বাড়ছে কিন্তু তাদের ভ্রমণ অভিজ্ঞতা নিদারুণ, করুণ হচ্ছে। শোভন জীবনযাপনের ধারণা থেকে আমরা বিচ্যুত হচ্ছি। কক্সবাজারে পরিবেশ দূষণ, যানজট বেড়েছে। স্বস্তির বিষয় একটাই যে, সাগরটা সামনে আছে। আবার সবার ভ্রমণ অভিজ্ঞতা যে সুখকর, তাও নয়। সব মিলিয়ে বলব, নেতিবাচক রোল মডেলগুলো যেনতেনভাবে অর্থ উপার্জনের বার্তা দিচ্ছে। ভোগবাদকে উসকে দেওয়া হচ্ছে। ফলে ওই ধরনের অর্থনীতি আরও বেশি প্রাধান্য পাচ্ছে। এগুলো হয়েছে দুষ্টচক্রগুলোর উত্থানের কারণে। এখানে প্রাতিষ্ঠানিক কিছু বিষয়ও চলে আসে। একটা সমাজের মধ্যে অনেকগুলো রিসোর্স থাকে। প্রাকৃতিক সম্পদ যেমন একটা রিসোর্স, তেমনি রয়েছে অর্থনৈতিক সম্পদ, প্রাতিষ্ঠানিক সম্পদ ও সামাজিক পুঁজি। ক্ষমতা, রাজনীতি এগুলো এখন আর সামাজিক পুঁজির ওপর ভিত্তি করে অগ্রসর হচ্ছে না বরং সামাজিক পুজিকে ধ্বংস করে অগ্রসর হচ্ছে।

সামাজিক পুঁজিকে রিসোর্স হিসেবে দেখা হচ্ছে না বরং এর বিলুপ্তি টানা হচ্ছে। বিভাজন ও দলীয়করণ শব্দগুলো সংকীর্ণ রাজনৈতিক অর্থে বোঝা যায়। তবে সামাজিক অর্থে যদি বুঝি, তাহলে সমাজে সামাজিক পুঁজির প্রয়োজনীয়তা অনুভব করেই কিন্তু ক্ষমতা, রাজনীতি, রাষ্ট্র গঠন ও অগ্রসর হতে পারে। অথচ এখানে তারা সামাজিক পুঁজিকে অপ্রয়োজনীয় ও সম্ভাব্য প্রতিপক্ষ হিসেবে দেখছে। প্রতিটি ক্ষেত্রে সামাজিক পুঁজির বিলুপ্তি ঘটছে। সামাজিক সংগঠন, ব্যবসায়িক সংগঠন থেকে শুরু করে প্রাতিষ্ঠানিক জায়গাগুলোর প্রতিটি ক্ষেত্র বিলুপ্ত হচ্ছে। আগে গ্রামীণ সমাজের অবদান ছিল। বাজার, মসজিদগুলো ছিল সামাজিক পুঁজি গঠনের জায়গা। আমি মনে করি, স্থানীয় সরকার নির্বাচনকে দলীয় নির্বাচন করাটা সাংঘাতিক রকম ভুল পদক্ষেপ, যা সামাজিক পুঁজির ভয়ংকর অবক্ষয় ঘটিয়ে দিয়েছে। ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য এটি ধ্বংসের প্রয়োজন ছিল না। যে চিন্তা থেকে দলীয় ভিত্তিতে স্থানীয় সরকার নির্বাচন করা হচ্ছে, তা সামাজিক পুঁজির অবক্ষয়ের বড় ধরনের চালিকাশক্তি হিসেবে কাজ করেছে।

যখন সামাজিক পুঁজির অবক্ষয় হয়, তখন মেধার প্রয়োজনীয়তা উপলব্ধিরও অবক্ষয় ঘটে যায়। কারণ এ দুটো বিষয় পরস্পরের সঙ্গে সংযুক্ত। বর্তমানে তরুণ বা যুবকদের মধ্যে যেমন শিক্ষার প্রয়োজনীয়তা কমে গেছে, তেমনি যারা ক্ষমতায় আছেন তাদের কাছে মেধা আর গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নয়। মেধা বরং তাদের কাছে সমস্যা। এর জন্যই তারা মনে করে মেধাকে দূরে রাখতে হবে। একদিকে সমাজের মধ্যে, সাধারণ নাগরিকের মধ্যে শিক্ষার প্রয়োজনীয়তাটা কমে গিয়ে যেনতেনভাবে ধনী হওয়ার প্রবণতা বেড়েছে, আর যারা ক্ষমতাসীন বা রাষ্ট্রের উপরের দিকে অবস্থান করছেন, তাদের কাছে মেধা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হিসেবে নেই। আবার রাজনৈতিক দিক দিয়েও টেকসই প্রভাব বিস্তার করা সম্ভব হচ্ছে না। জনসমর্থনের বিষয়টি ক্ষমতা প্রয়োগের ওপর নির্ভরশীল হয়ে গিয়েছে। এ প্রবণতাগুলো একটি অন্যটিকে উসকে দিচ্ছে। এ ছাড়া, আরও কিছু ধাঁধা আছে। যেমন ইউনিয়ন পরিষদের বাজেট কত? এডিপির থোক বরাদ্দের পরিমাণ সম্ভবত কয়েক লাখ টাকা। পাশাপাশি সামাজিক ভাতাসহ কয়েকটি কর্মসূচি আছে। তবে তার পরিমাণ খুব বেশি নয়।

তথ্য বলছে, একটা ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন করতে এখন এক থেকে দুই কোটি টাকা ব্যয় করা হয়। তাহলে ইউনিয়ন পরিষদের বাজেট ও নির্বাচনকালীন খরচের মধ্যকার যে ধাঁধাটি রয়েছে তার উত্তর কী? গ্রামাঞ্চলে যেমন জমিজমা নিয়ে সর্বক্ষণ বিভিন্ন কাজ বা প্রকল্প হচ্ছে। যার জের ধরে সর্বক্ষণ এক ধরনের বিরোধ জারি আছে। আগে সালিশি ব্যবস্থা ছিল, এখন তা নেই, যা আছে তা অন্য ধরনের। আগের ওই সালিশি ব্যবস্থা ছিল সামাজিক পুঁজির বহিঃপ্রকাশ। এখন এ বিষয়গুলোর সমাধান ক্ষমতার অলিন্দতে আটকে আছে। ক্ষমতাও আবার একমাত্রিক নয়। কে কী ধরনের সমীকরণ তৈরি করছে তার ওপর ভিত্তি করে তথ্যপ্রবাহ, অপরাধ, মাদক ব্যবসার সুযোগ তৈরি হচ্ছে। ইউনিয়ন পরিষদের মতো এত অল্প বাজেটের জায়গায় আসতে কোটি টাকা খরচ করতে অনেকে পিছপা হচ্ছে না। কেন? আমাদের এ ধাঁধাগুলোর উত্তর ও ব্যাখ্যা খোঁজা উচিত। 

এটাও সত্য যে সমাজের কিছু অন্তর্নিহিত শক্তি থাকে। যেমন আমাদের এমন একটা শক্তি হচ্ছে প্রতিনিয়ত উদ্ভাবনের মাধ্যমে টিকে থাকা। সবাই যদি প্রচলিত শিক্ষাকে বাদ দিয়ে সমৃদ্ধি অর্জন করতে সক্ষম হতো তাহলে সবাই অতিধনী হয়ে যেত। কিন্তু সবাই তো তা হচ্ছে না। আমাদের দেশের ২০ শতাংশ লোক দারিদ্র্যসীমার নিচে বসবাস করে। কভিড-১৯-এর কারণে এ সংখ্যা বেড়েছে। কিন্তু দারিদ্র্যসীমার ঠিক উপরে যাদের বসবাস এবং যাদের গড় আয়ের পরিমাণ কম, তাদের সংখ্যা ৩০-৪০ শতাংশ। বিশাল এ জনগোষ্ঠী বড় ধরনের চাপের মুখোমুখি। অতিধনী হওয়ার প্রচণ্ড আকাঙ্ক্ষা নতুন প্রজন্মের ওপর ভর করে আছে কিন্তু তাদের মধ্য থেকে হাতে গোনা কয়েকজন সফল হচ্ছে। অবকাঠামো তৈরির মধ্যে কিন্তু অতিধনী হওয়ার পথ আছে। ফলে অপরিকল্পিত নগরায়ণ গড়ে উঠছে। শিক্ষা পদ্ধতির ক্ষেত্রে বিভিন্ন পরিবর্তন হচ্ছে, কিন্তু শিক্ষা খাতে সেই অর্থে বিনিয়োগ নেই।

প্রত্যন্ত অঞ্চলে বিশ্ববিদ্যালয়ের অবকাঠামো তৈরি করা হচ্ছে, অথচ মানসম্মত শিক্ষার বিষয়গুলো উপেক্ষিত থাকছে। নীতিনির্ধারণের জায়গাগুলোও সেই অর্থে সুষম উন্নয়নের স্বার্থগুলোকে প্রাধান্য দিচ্ছে না। নীতিনির্ধারণে ও বাস্তবায়নে অনেক বেশি স্বার্থের দ্বন্দ্ব বা কনফ্লিক্ট অব ইন্টারেস্ট বিদ্যমান। আইনের শাসনে যা অনেক বড় একটি বিষয়। স্বার্থের দ্বন্দ্ব আমাদের নীতিনির্ধারণের কেন্দ্রে বসে আছে। অনেক কিছুই স্বার্থের দ্বন্দ্ব নীতি দিয়ে পরিচালিত হচ্ছে। প্রচলিত নিয়ম মানলে অগ্রসর হওয়া যাবে না দুর্ভাগ্যজনকভাবে এ কথা প্রায় প্রতিষ্ঠিত হয়ে গিয়েছে। কিছুই হবে না সমাজের মধ্যে এ ধরনের একটা প্রবণতা চলে আসে, যা এক ধরনের হতাশার পথ তৈরি করে। আবার অনৈতিক প্রতিযোগিতায় যোগ দেওয়ার প্রবণতাও তৈরি হয়।

তবে আমাদের যেমন অতিধনী হওয়ার আকাঙ্ক্ষা আছে, তেমনি সামনে এগিয়ে যাওয়ার প্রবণতাও বিদ্যমান। এগিয়ে যাওয়ার প্রবণতাটা এসেছে স্বাধীনতার পটভূমি থেকে। অতিধনী হওয়ার আকাঙ্ক্ষাটা নেতিবাচক কিন্তু সামনে এগিয়ে যাওয়া ও নিজের অবস্থান পরিবর্তনের প্রবণতা ইতিবাচক। যেখানে সঠিক নিয়মের মধ্য দিয়ে পৌঁছতে হয়। অনেক দেশ আছে, যেখানের জনগণ শুধু সরকারি ভাতার ওপর নির্ভরশীল। কিন্তু আমাদের দেশের জনগণ বসে না থেকে নিজেদের ভাগ্য পরিবর্তনের জন্য পরিশ্রম করতে উৎসাহী। আমাদের আরো একটি বিষয় হচ্ছে মানুষ নিজের একক চেষ্টার ওপর নির্ভর করছে। কারণ তারা রাষ্ট্রের ওপর, সমাজের ওপর ভরসা পাচ্ছে না। তাই এককভাবে চেষ্টা করছে। তবে চেষ্টা সবাই করছে। অতিধনী হতে পারছে মুষ্টিমেয়। কিছু গোষ্ঠী আছে যারা নিজেদের ভোগের বিষয়টি নিশ্চিত করছে। আমলাতন্ত্র যেমন একটি গোষ্ঠী, অথবা দলের সঙ্গে সম্পৃক্ত একটি গোষ্ঠী। কিন্তু বৃহত্তর জনগোষ্ঠীর ওই নিশ্চয়তা নেই। আগে যেমন খাবারের অভাবে মৃত্যু হয়েছে, এখন তেমন হচ্ছে না। কিন্তু এখন খাবারের জন্য প্রাণান্তকর চেষ্টার পর পরবর্তী দিনের আহারের জন্য আবার একইভাবে প্রাণান্তকর চেষ্টা চালাতে হচ্ছে। প্রাণান্তকর চেষ্টা করছি আমরা কিন্তু স্বস্তি নেই। আগে ছিল তীব্র ক্ষুধার যন্ত্রণা, এখন দুবেলা দুমুঠো খাবার জুটলেও স্বস্তির বিদায় ঘটেছে। এখন আলোচনাটা আসলে দারিদ্র্যের নয়, এখন আলোচনাটা হচ্ছে স্বস্তির বিদায় সংক্রান্ত।

দুটো বিষয়ের দিকে জোর দেয়া দরকার। এ ধরনের সংকট কিন্তু বহুমাত্রিক সংকট। সামাজিক পুঁজি একটা সময় বাংলাদেশের ভিত্তি ছিল। মনে আছে, টিএসসির সামনে একটা মেয়েকে লাঞ্ছনা করা হচ্ছিল, কেউ এগিয়ে যায়নি। কেন? যখন রানা প্লাজা ধস হলো, সবাই এগিয়ে গিয়েছিল। কেন? এ ধাঁধার উত্তরের মধ্যেও বাংলাদেশের সংকটের চিত্র পাওয়া যায়। এ ধরনের পরিস্থিতিতে মানুষের এগিয়ে যেতে চাওয়াটা হয়তো আমাদের সমাজের মানুষের স্বাভাবিক প্রবণতা কিন্তু অবস্থা এমন তৈরি হয়েছে যে, এগিয়ে যাওয়ার স্পৃহাটা নিয়ন্ত্রিত হয়ে গেছে। এ ধরনের সংকটের একটা পর্যায়ে রাজনৈতিক সংস্কারের পাশাপাশি অন্যান্য সংস্কার যেমন শিক্ষা ও প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কারের প্রয়োজন, যা একটা দিক। এর পাশে আর একটা দিকের কথাও বলতে হয়। আর তা হচ্ছে সামাজিক উত্তরণ। এ উত্তরণ ঘটাতে পারবে শুধু মানুষই। ব্যক্তি মানুষের নিজে দায়িত্ববান হওয়ার যে এজেন্ডা, এটাও গুরুত্বপূর্ণ। মানুষকে নিজে দায়িত্ববান হওয়ার দায়িত্ব কাঁধে তুলে নিতে হবে। আমি যদি বলি যে, আমি নিয়ম মানব। আমি ঠিক থাকব। আমি ঠিক থেকে কী লাভ এ প্রশ্নটাই কিন্তু আমাকে আমি ঠিক না থাকার উত্তর দিয়ে দেয়। তাই এখানে আমাদের ব্যক্তিগত প্রতিজ্ঞার জায়গায় আসতে হবে যে, আমি ঠিক হব। আমি নিয়ম মানব।

আমি ভিন্নভাবে সমৃদ্ধির চিন্তা করব। আমি সমৃদ্ধি চাই কিন্তু ভোগবাদের প্রাণহীন সমৃদ্ধির অংশ হব না। ভোগের যে বিভ্রান্তিকর পথ, বিশেষ করে করোনা মহামারি ও জলবায়ুর পরিবর্তন, যা নির্দিষ্ট কোনো দেশের জন্য নয়, বৈশ্বিক। এ দুই সংকট আমাদের আরেকটা ধাক্কা দিচ্ছে। তাই একটা স্তরে নীতি সংস্কার করতে হবে। পাশাপাশি ব্যক্তিগত প্রতিজ্ঞার জায়গাগুলো এজেন্ডা হিসেবে দাঁড় করাতে হবে। পশ্চিমা কিছু জায়গায় এ ধরনের পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। মানুষের ভোগের প্রতি আকর্ষণকে অনুৎসাহিত করা হচ্ছে। যেমন অনেকেই আর গাড়ি কিনতে উৎসাহী হচ্ছে না। কারণ মানুষ উপলব্ধি করতে পারছে যে, বেঁচে থাকার জন্য এত অর্থবিত্ত সামগ্রীর দরকার নেই। বরং শহরে-নগরে প্রকৃতির পুনর্জাগরণের ক্ষেত্রগুলো আরো আকর্ষিত হচ্ছে। প্যাডেস্ট্রিয়ানাইজেশনকে উৎসাহিত করা হচ্ছে। সমাজের মধ্যে রাজনৈতিক বিষয়গুলো নিয়ে এক ধরনের আলোচনা রয়েছে। কারণ ক্ষমতার অপব্যবহার রয়েছে। রাজনৈতিক বিভিন্ন সমস্যার বিষয় রয়েছে। কিন্তু আজ যে আলোচনা আমরা করলাম তা কিন্তু অন্য একটি স্তরের। সামাজিক পর্যায়ের যে বিপর্যয় তা থেকে উত্তরণ নিয়ে। এ বিপর্যয় থেকে যারা সমাজকে উত্তরণের পথে নিয়ে যাবে সে ধরনের মানুষও তৈরি হতে হবে। তৈরি হতে হবে নিজস্ব একটা এজেন্ডায়। নতুন ব্যক্তিত্ব, নতুন ভাষা তৈরির জায়গায় কাজ করতে হবে। যেখানে নিজস্ব প্রতিজ্ঞার ক্ষেত্র তৈরি করতে হবে। অনেকে বলে যে, এটা করে কোনো লাভ হবে না। এটা ঠিক নয়। এটা করে কোনো লাভ হবে না এ সমীকরণটাকে ফেলে দিতে হবে।

লেখক: সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা 

Header Ad
Header Ad

নরসিংদীতে ছাত্রদল কর্মীকে গুলি করে হত্যা

হুমায়ুনের মেহেরপাড়া ইউনিয়ন ছাত্রদলের যুগ্ম সম্পাদক। ছবি: সংগৃহীত

রাজনৈতিক প্রতিহিংসা, আধিপত্য বিস্তার ও জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে নরসিংদীর মেহেরপাড়ায় এক ছাত্রদল কর্মীকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে।

শনিবার (২১ ডিসেম্বর) দিনগত রাত ১২টার দিকে নরসিংদীর পাঁচদোনা মেহেরপাড়া বাড়ি আগিণার খেলার মাঠ থেকে তাকে ডেকে নিয়ে গুলি করে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা।

নিহত হুমায়ুন কবির (২৬) মেহেরপাড়া ইউনিয়নের নাগরারহাট এলাকার একরামুল হকের ছেলে। তিনি মেহেরপাড়া ইউনিয়ন ছাত্রদলের সদস্য।

নিহতের স্বজনরা অভিযোগ করে বলেন, আধিপত্য বিস্তার ও জমি সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে একই এলাকার বাদল মিয়া, শাহআলম ও আতাউর মেম্বারের সঙ্গে দ্বন্দ্ব চলছিল হুমায়ুন কবিরের। দ্বন্দ্বের জেরে ইতোমধ্যে দুই পক্ষ একাধিক মামলা করেছে। গতকাল শনিবার দিনগত রাতে নিহত হুমায়ুন বাড়ির পাশের আঙ্গিনায় ব্যাডমিন্টন খেলছিল। রাত ১২টার দিকে দুটি মোটরসাইকেল যোগে শাহ আলম ও টিপুসহ চারজন হুমায়ুনের বাড়ির সামনে আসে। ওই সময় তারা হুমায়ুনকে ব্যাডমিন্টন খেলা থেকে ডেকে পাঁচদোনা বাজার মাছের আড়ৎ মসজিদের দিকে ডেকে নিয়ে যায়। সেখানে সন্ত্রাসীরা তার বুকে, পিঠে ও ঘারে পরপর তিনটি গুলি করে। এ সময় সে মাটিতে লুটিয়ে পরে। গুলির শব্দ শুনে খেলার মাঠ থেকে লোকজন এগিয়ে এলে সন্ত্রাসীরা তাদের লক্ষ্য করে গুলিবর্ষণ করে আতঙ্ক সৃষ্টি করে। পরে তারা মটোরসাইকেল যোগে পালিয়ে যায়। মুমূর্ষু অবস্থায় হুমায়ুনকে হাসপাতালে আনার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এদিকে, হুমায়ুন হত্যার বিচার দাবিতে হাসপাতাল চত্বরে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন এলাকাবাসী।

নিহত হুমায়ুনের বন্ধু ও মেহেরপাড়া ইউনিয়ন ছাত্রদলের যুগ্ম সম্পাদক সুজন ভূইয়া বলেন, ‘স্বৈরাচার পতনের আন্দোলনে সক্রিয় ভূমিকা ছিল নিহত হুমায়ুনের। তার নেতৃত্বেই পাঁচদোনা মেহেরপাড়া ও মাধবদী আন্দোলন হয়েছিল। এসব ঘটনা নিয়ে সে এলাকার অনেকের রোষানলে পড়ে। এসবের জেরে তার বাড়ি ঘরে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। প্রাণ বাঁচাতে সে পালিয়ে থাকে। ৫ তারিখের পর এলাকায় আসে। এর মধ্যেই গতকাল তাকে বাড়ির আঙ্গিনা থেকে ডেকে নিয়ে গুলি করে হত্যা করা হলো।’

নিহতের বড় ভাই আল মামুন বলেন, ‘আমাদের ১৭ শতাংশ একটি জমি দখল করে নেয় বাদল মিয়ারা। পরে মামলার রায় পাওয়ার পর আমরা জমিটি দখলে নিই। এ নিয়ে তাদের সঙ্গে দ্বন্দ্ব তীব্র হয়। এরই জের ধরে তারা আমার ভাইকে গুলি করে হত্যা করেছে। এ ছাড়া স্বৈরাচার পতন আন্দোলনে তার সক্রিয় ভূমিকা ছিল। এসব নিয়ে অনেকে তাকে দমানোর চেষ্টা করছিল।’

মাধবদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নজরুল ইসলাম বলেন, ‘ব্যাডমিন্টন খেলা শেষে অজ্ঞাত দুর্বৃত্তরা তাকে গুলি করে পালিয়ে যায়। ধারণা করা হচ্ছে, পূর্ব শত্রুতার জেরেই তাকে হত্যা করা হয়েছে। হত্যার প্রকৃত কারণ উদঘাটনসহ হত্যাকারীদের গ্রেপ্তারে কাজ করছে পুলিশ।’

Header Ad
Header Ad

শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ইন্টারপোলের রেড নোটিশের বিষয়ে নিশ্চিত নয় ট্রাইব্যুনাল

শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ইন্টারপোলের রেড নোটিশ জারি। ছবি: সংগৃহীত

সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে রেড নোটিশ জারির বিষয়ে নিশ্চিত নয় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। নোটিশ জারি হলে তা পুলিশের এনসিবি শাখা জানাবে বলে জানান তাজুল ইসলাম। 

রবিবার (২২ ডিসেম্বর) দুপুরে এক সাংবাদিক ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা বলেন।

এদিকে শেখ হাসিনাকে বন্দি প্রত্যর্পণ চুক্তির মাধ্যমে ভারত থেকে দেশে ফেরাতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আবেদন করে রেখেছেন চিফ প্রসিকিউটর। সে বিষয়ে সরকারের তরফ থেকে অগ্রগতি জানানো হয়নি।

শুধু শেখ হাসিনাই নয়, দেশের বাইরে পালিয়ে যাওয়া আওয়ামী লীগ নেতা আসাদুজ্জামান খান কামাল, হাসান মাহমুদসহ বেশ কয়েকজনের বিরুদ্ধে ইন্টারপোলের রেড নোটিশ জারির পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছে প্রসিকিউশন।

গত ১০ নভেম্বর আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল গণমাধ্যমকে জানান, হাসিনাসহ জুলাই-আগস্ট গণহত্যায় অভিযুক্ত পলাতক সকল আসামিকে ফিরিয়ে আনতে ইন্টারপোলের মাধ্যমে রেড অ্যালার্ট নোটিশ জারি করতে যাচ্ছে সরকার।

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের পুরাতন ভবনের সংস্কারকাজ পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের তিনি বলেছিলেন, পলাতক ফ্যাসিস্ট চক্র পৃথিবীর যে দেশেই থাকুক, ইন্টারপোলের মাধ্যমে তাদের ধরে এনে বিচারের মুখোমুখি করা হবে।

শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে রেড অ্যালার্ট নোটিশ জারি করতে গত ১০ নভেম্বর ইন্টারপোলকে চিঠি দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছিলেন ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম।

১২ নভেম্বর ট্রাইব্যুনাল প্রাঙ্গণে প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি বলেন, শেখ হাসিনা গণহত্যা, গুমসহ অন্যান্য মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্ত এবং মামলার আসামি। তবে তিনি পালিয়ে গেছেন এবং বর্তমানে দেশের সীমানার বাইরে অবস্থান করছেন।

এরকম একজন অপরাধীকে গ্রেফতার করতে বা তার বিরুদ্ধে রেড অ্যালার্ট নোটিশ জারি করতে আন্তর্জাতিক সংস্থা হিসেবে ইন্টারপোলকে চিঠি দেয়া হয়েছে।'

তিনি আরও জানিয়েছিলেন, চিঠিতে শেখ হাসিনাকে গ্রেপ্তার করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে আহ্বান জানানোর পাশাপাশি ইন্টারপোলকে গ্রেপ্তার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তাকে ট্রাইব্যুনালে উপস্থিত করার বাধ্যবাধকতার কথা জানানো হয়েছে।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের মুখে গত ৫ আগস্ট দেশ ছেড়ে ভারতে আশ্রয় নেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপর থেকে তিনি সেখানেই অবস্থান করছেন বলে জানিয়েছে ভারতীয় কর্তৃপক্ষ।

Header Ad
Header Ad

ভারতের কাছে হেরে বাংলাদেশের স্বপ্নভঙ্গ

ছবি: সংগৃহীত

দারুণ সব জয়ে নারী অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপে ফাইনালে উঠেছিলও বাংলাদেশ। একমাত্র হারটি ছিলো ভারতের কাছে। সেই ভারতকে ফাইনালে পেয়ে প্রতিশোধ নিতে পারেনি সুমাইয়া আক্তারের দল। কুয়ালালামপুরে ভারত আজ ৪১ রানের জয়ে বাংলাদেশের স্বপ্ন ভেঙ্গে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে।

বেউয়েমাস ওভালের ফাইনালে বাংলাদেশের বোলাররা ভারতকে আটকে রেখেছিলেন নাগালের মধ্যে। টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে ৭ উইকেটে ১১৭ রানের পূঁজি পায় ভারত।

সর্বোচ্চ ৫২ রান করেন গঙ্গাদি তৃষা। বল হাতে ফারজানা ইয়াসমিন ৩১ রানে চার উইকেট নিয়ে সবচেয়ে সফল ছিলেন। ১১৮ রানের টার্গেটে ব্যাটিংয়ে নেমে দ্বিতীয় ওভারেই উইকেট হারায় বাংলাদেশ। রানের খাতা খুলতে পারেননি মোসাম্মত ইভা। দলীয় ৮ রানে ওপেনিং জুটি ভাঙ্গার পর সুমাইয়া আক্তারকে নিয়ে ১৬ ও জুয়াইরা ফেরদৌসের সঙ্গে ২০ রানের জুটি গড়েন ফাহমিদা ছোয়া। এই ওপেনার ২৪ বলে ১৮ করে আউট হতেই ভেঙে পড়ে বাংলাদেশের ব্যাটিং লাইনআপ। ১৮ ওভার তিন বল পর্যন্ত টিকে থেকে ৭৬ রানে অলআউট হয় তারা।

৪১ রানের জয়োৎসবে মাতে ভারতীয় মেয়েরা। বাংলাদেশের ব্যাটিংয়ে সর্বোচ্চ ২২ রান করেন জুয়াইরা। এই দুজন ছাড়া আর কেউ দুই অঙ্কের ঘরে রান করতে পারেননি। ভারতের বোলিংয়ে আয়ুশি শুক্লা ১৭ রানে তিন উইকেট নেন। দুটি করে উইকেট পান পারুনিকা সিসোদিয়া ও সোনাম যাদব।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

নরসিংদীতে ছাত্রদল কর্মীকে গুলি করে হত্যা
শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ইন্টারপোলের রেড নোটিশের বিষয়ে নিশ্চিত নয় ট্রাইব্যুনাল
ভারতের কাছে হেরে বাংলাদেশের স্বপ্নভঙ্গ
এক দশক পর ফিরলো ‘আমার দেশ’ পত্রিকা
৩০০ মিলিয়ন ডলার পাচার: হাসিনা ও জয়ের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু দুদকের
ইয়েমেনে হুথিদের লক্ষ্যবস্তুতে মার্কিন বিমান হামলা
লোকসানের মিথ্যা গল্প শোনাচ্ছে ব্রিডার ফার্মগুলো
একজন ঢাকা অন্যজন কলকাতায় সংসার ভাঙছে মিথিলার
আইনজীবী আলিফ হত্যা: তদন্ত কমিটির সব সদস্যের পদত্যাগ
যে কোন সময় বাংলাদেশের পাশে নতুন দেশ
গাজীপুরে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণ হয়ে আওয়ামী লীগ নেতার স্ত্রীর মৃত্যু
বাংলাদেশে ইসলামি চরমপন্থা আসবে না: ড. ইউনূস
  সংকট কাটছে, মেট্রোর যাত্রীদের সুখবর দিল ডিএমটিসিএল
ভারতের বিপক্ষে ১১৮ রান করলেই এশিয়া কাপ ঘরে উঠবে বাংলাদেশ
বিরামপুরে শীতার্তদের মাঝে কম্বল বিতরণ
টাঙ্গাইলে আ.লীগ নেতা ও ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল আলীম আটক
শেখ হাসিনা নিজ হাতে তার বাবাকে দ্বিতীয়বার হত্যা করেছে: গয়েশ্বর
চুয়াডাঙ্গায় অবৈধ যানবাহন বন্ধ না হলে গণপরিবহন বন্ধের ঘোষণা
জুমার দিনে ফিলিস্তিনের মসজিদে আগুন দিল ইসরায়েলিরা
গাইবান্ধায় বিএনপি-জামায়াত সংঘর্ষ, আহত অন্তত ১০