শুক্রবার, ৩১ জানুয়ারি ২০২৫ | ১৬ মাঘ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

ভোগবাদ ও ক্ষমতার রাজনীতি সামাজিক পুঁজিকে ধ্বংস করছে 

শুধু বাংলাদেশে নয়, আমাদের প্রতিবেশী দেশ ভারত কিংবা আফ্রিকার অনেক দেশে এ ধরনের প্রবণতা দেখা যাচ্ছে। অর্থের জন্য আকাঙ্ক্ষা বৃদ্ধি দোষের কিছু নয়, কিন্তু তা যদি একমাত্রিক ও সুষম চিন্তার পরিপন্থী হয়, তাহলে চিন্তার কারণ আছে। এক্ষেত্রে কয়েকটা বিষয় রয়েছে। দুষ্টচক্রের মাধ্যমে একটা প্রবণতা আর একটা প্রবণতাকে উসকে দিচ্ছে। দুটো মিলে তৃতীয় একটা খারাপ প্রবণতা তৈরি হচ্ছে। আমাদের আকাঙ্ক্ষাগুলো পরিবর্তিত হচ্ছে। রুলিং অর্থনৈতিক মডেল যে ধরনের প্রবণতাকে ভর করে অগ্রসর হওয়ার চেষ্টা করছে তা কিন্তু একে অপরের সম্পূরক। তাই আমরা যদি বাংলাদেশের রোল মডেলের দিকে তাকাই তাহলে দেখি অতি ধনী হওয়ার হার এখানে বেশি। অর্থের প্রতি এক ধরনের আসক্তি এসেছে। আগের ব্যক্তিগত সমৃদ্ধির যে প্রবণতা ছিল তা পরিবর্তিত হয়েছে। আগে যেমন বলা হতো, লেখা পড়া করে যে, গাড়ি ঘোড়া চড়ে সে। কথাটি এখন যেন সম্পূর্ণ বিপরীত এক স্লোগান। এখন অনেকেই মনে করে লেখাপড়া করলেও ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত।

সমাজের মধ্যে প্রচলিত উদাহরণগুলো ভেঙে পড়েছে। বিত্তবান হওয়ার প্রক্রিয়ায় নিজের দক্ষতা বৃদ্ধির পাশাপাশি সমাজের প্রতি দায়িত্ববোধের দৃষ্টিকোণ লালন করে ধাপে ধাপে অগ্রসর হওয়ার নিয়ম থাকলেও বাস্তব উদাহরণে দেখা যাচ্ছে প্রচলিত বিষয়গুলোর একটিও কাজ করছে না। বরং নিয়ম ভেঙে, নিয়মকে পাশ কাটিয়ে ও তোয়াক্কা না করে সমৃদ্ধি অর্জনের সংস্কৃতি তৈরি হয়েছে। নিয়ম কোনো বিষয় নয় এ ধারণা প্রতিষ্ঠা পাওয়ার ফলে নেতিবাচক রোল মডেলগুলো প্রাধান্য পাচ্ছে। নেতিবাচক রোল মডেলগুলো দুই ধরনের। এক. কোনো ধরনের নিয়মের তোয়াক্কা না করে অপরাধ করা। দুই. সরাসরি অপরাধ না করলেও কোনো ধরনের নিয়ম অনুসরণ না করে যেকোনো উপায়ে অর্থ উপার্জনকে প্রাধান্য দেওয়া। শ্রম দিয়ে কষ্ট করে সমৃদ্ধি অর্জন নয়, অতিদ্রুত ধনী হওয়ার প্রবণতা লালন করা। তবে শ্রম দিয়ে কষ্ট করে সমৃদ্ধি অর্জনকারী লোকেরা যে একেবারেই নেই তা কিন্তু নয়। তারা আছেন কিন্তু তারা কেউ আর রোল মডেল হচ্ছেন না।

ব্যবসায়ীদের মধ্যে অনেকেই আছেন যারা সুস্থভাবে সমৃদ্ধির অন্বেষণ করছেন কিন্তু তারা রোল মডেল হিসেবে সমাজে চিহ্নিত হচ্ছেন না। কারণ অধিকাংশের মধ্যে নিয়ম ভাঙা, অনৈতিক পথ খুঁজে বের করার প্রবণতা লক্ষণীয়। ফলে অবধারিতভাবে শিক্ষার অবমূল্যায়ন ঘটে গিয়েছে। শিক্ষার প্রয়োজনীয়তা ও গুরুত্ব হারিয়েছে। বিপরীতে চলছে সনদধারী শিক্ষা ব্যবস্থা। কষ্ট করে শিক্ষিত হওয়ার প্রবণতা যেখানে অনুপস্থিত। যোগ হয়েছে ভোগবাদী দৃষ্টিভঙ্গি। দুষ্টচক্রের মাধ্যমে তা আরো ছড়িয়ে পড়ছে। কারণ সমৃদ্ধির ধারণার সঙ্গে প্রতিনিয়ত একটি করে অনৈতিক আকাঙ্ক্ষা তৈরি হচ্ছে। ছোট ফ্রিজে হচ্ছে না বড় ফ্রিজ লাগছে। একটার বদলে একাধিক গাড়ি ক্রয়ের প্রবণতা বাড়ছে। অনুষ্ঠানে একই পোশাক গহনা বারবার পরতে আপত্তি। গায়ে হলুদের অনুষ্ঠান বড় করে করা হচ্ছে। বিয়ের অনুষ্ঠান একটা নয় পাঁচটা হচ্ছে। এখানে অর্থনৈতিক বিষয়গুলো জড়িত। যেমন ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট প্রতিষ্ঠানগুলো এখানে কাজ করছে। কিন্তু এ ধরনের নিষ্প্রাণ বিয়ের অনুষ্ঠানের মতো আয়োজন আমি আগে দেখিনি। ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানিই হয়তো লোকদের বুঝিয়েছে যে, এখন বিয়ের অনুষ্ঠানগুলো এমনই হয়। সুতরাং ভোগের এ ধরনের আকাঙ্ক্ষা থেকে এক ধরনের অর্থনীতিকে অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে।

শুধু বাংলাদেশে নয়, বৈশ্বিকভাবে এ প্রবণতা বিদ্যমান।সভ্যতার জন্য অবশ্যই আরও উন্নত জীবনমানের ধারণা জরুরি। নতুন নতুন উদ্ভাবন জরুরি। আমাদের সেলফোন দরকার কিন্তু সেলফোন আসক্তি দরকার কি? সেলফোন আসক্তি শুধু সামাজিক বিষয় নয়, তা অর্থনীতির মাধ্যমে প্রবর্তিত হচ্ছে। অর্থনীতির আকাঙ্ক্ষাও এদিকে লালিত হচ্ছে। কক্সবাজারে হয়তো ভ্রমণার্থীদের সংখ্যা বাড়ছে কিন্তু তাদের ভ্রমণ অভিজ্ঞতা নিদারুণ, করুণ হচ্ছে। শোভন জীবনযাপনের ধারণা থেকে আমরা বিচ্যুত হচ্ছি। কক্সবাজারে পরিবেশ দূষণ, যানজট বেড়েছে। স্বস্তির বিষয় একটাই যে, সাগরটা সামনে আছে। আবার সবার ভ্রমণ অভিজ্ঞতা যে সুখকর, তাও নয়। সব মিলিয়ে বলব, নেতিবাচক রোল মডেলগুলো যেনতেনভাবে অর্থ উপার্জনের বার্তা দিচ্ছে। ভোগবাদকে উসকে দেওয়া হচ্ছে। ফলে ওই ধরনের অর্থনীতি আরও বেশি প্রাধান্য পাচ্ছে। এগুলো হয়েছে দুষ্টচক্রগুলোর উত্থানের কারণে। এখানে প্রাতিষ্ঠানিক কিছু বিষয়ও চলে আসে। একটা সমাজের মধ্যে অনেকগুলো রিসোর্স থাকে। প্রাকৃতিক সম্পদ যেমন একটা রিসোর্স, তেমনি রয়েছে অর্থনৈতিক সম্পদ, প্রাতিষ্ঠানিক সম্পদ ও সামাজিক পুঁজি। ক্ষমতা, রাজনীতি এগুলো এখন আর সামাজিক পুঁজির ওপর ভিত্তি করে অগ্রসর হচ্ছে না বরং সামাজিক পুজিকে ধ্বংস করে অগ্রসর হচ্ছে।

সামাজিক পুঁজিকে রিসোর্স হিসেবে দেখা হচ্ছে না বরং এর বিলুপ্তি টানা হচ্ছে। বিভাজন ও দলীয়করণ শব্দগুলো সংকীর্ণ রাজনৈতিক অর্থে বোঝা যায়। তবে সামাজিক অর্থে যদি বুঝি, তাহলে সমাজে সামাজিক পুঁজির প্রয়োজনীয়তা অনুভব করেই কিন্তু ক্ষমতা, রাজনীতি, রাষ্ট্র গঠন ও অগ্রসর হতে পারে। অথচ এখানে তারা সামাজিক পুঁজিকে অপ্রয়োজনীয় ও সম্ভাব্য প্রতিপক্ষ হিসেবে দেখছে। প্রতিটি ক্ষেত্রে সামাজিক পুঁজির বিলুপ্তি ঘটছে। সামাজিক সংগঠন, ব্যবসায়িক সংগঠন থেকে শুরু করে প্রাতিষ্ঠানিক জায়গাগুলোর প্রতিটি ক্ষেত্র বিলুপ্ত হচ্ছে। আগে গ্রামীণ সমাজের অবদান ছিল। বাজার, মসজিদগুলো ছিল সামাজিক পুঁজি গঠনের জায়গা। আমি মনে করি, স্থানীয় সরকার নির্বাচনকে দলীয় নির্বাচন করাটা সাংঘাতিক রকম ভুল পদক্ষেপ, যা সামাজিক পুঁজির ভয়ংকর অবক্ষয় ঘটিয়ে দিয়েছে। ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য এটি ধ্বংসের প্রয়োজন ছিল না। যে চিন্তা থেকে দলীয় ভিত্তিতে স্থানীয় সরকার নির্বাচন করা হচ্ছে, তা সামাজিক পুঁজির অবক্ষয়ের বড় ধরনের চালিকাশক্তি হিসেবে কাজ করেছে।

যখন সামাজিক পুঁজির অবক্ষয় হয়, তখন মেধার প্রয়োজনীয়তা উপলব্ধিরও অবক্ষয় ঘটে যায়। কারণ এ দুটো বিষয় পরস্পরের সঙ্গে সংযুক্ত। বর্তমানে তরুণ বা যুবকদের মধ্যে যেমন শিক্ষার প্রয়োজনীয়তা কমে গেছে, তেমনি যারা ক্ষমতায় আছেন তাদের কাছে মেধা আর গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নয়। মেধা বরং তাদের কাছে সমস্যা। এর জন্যই তারা মনে করে মেধাকে দূরে রাখতে হবে। একদিকে সমাজের মধ্যে, সাধারণ নাগরিকের মধ্যে শিক্ষার প্রয়োজনীয়তাটা কমে গিয়ে যেনতেনভাবে ধনী হওয়ার প্রবণতা বেড়েছে, আর যারা ক্ষমতাসীন বা রাষ্ট্রের উপরের দিকে অবস্থান করছেন, তাদের কাছে মেধা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হিসেবে নেই। আবার রাজনৈতিক দিক দিয়েও টেকসই প্রভাব বিস্তার করা সম্ভব হচ্ছে না। জনসমর্থনের বিষয়টি ক্ষমতা প্রয়োগের ওপর নির্ভরশীল হয়ে গিয়েছে। এ প্রবণতাগুলো একটি অন্যটিকে উসকে দিচ্ছে। এ ছাড়া, আরও কিছু ধাঁধা আছে। যেমন ইউনিয়ন পরিষদের বাজেট কত? এডিপির থোক বরাদ্দের পরিমাণ সম্ভবত কয়েক লাখ টাকা। পাশাপাশি সামাজিক ভাতাসহ কয়েকটি কর্মসূচি আছে। তবে তার পরিমাণ খুব বেশি নয়।

তথ্য বলছে, একটা ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন করতে এখন এক থেকে দুই কোটি টাকা ব্যয় করা হয়। তাহলে ইউনিয়ন পরিষদের বাজেট ও নির্বাচনকালীন খরচের মধ্যকার যে ধাঁধাটি রয়েছে তার উত্তর কী? গ্রামাঞ্চলে যেমন জমিজমা নিয়ে সর্বক্ষণ বিভিন্ন কাজ বা প্রকল্প হচ্ছে। যার জের ধরে সর্বক্ষণ এক ধরনের বিরোধ জারি আছে। আগে সালিশি ব্যবস্থা ছিল, এখন তা নেই, যা আছে তা অন্য ধরনের। আগের ওই সালিশি ব্যবস্থা ছিল সামাজিক পুঁজির বহিঃপ্রকাশ। এখন এ বিষয়গুলোর সমাধান ক্ষমতার অলিন্দতে আটকে আছে। ক্ষমতাও আবার একমাত্রিক নয়। কে কী ধরনের সমীকরণ তৈরি করছে তার ওপর ভিত্তি করে তথ্যপ্রবাহ, অপরাধ, মাদক ব্যবসার সুযোগ তৈরি হচ্ছে। ইউনিয়ন পরিষদের মতো এত অল্প বাজেটের জায়গায় আসতে কোটি টাকা খরচ করতে অনেকে পিছপা হচ্ছে না। কেন? আমাদের এ ধাঁধাগুলোর উত্তর ও ব্যাখ্যা খোঁজা উচিত। 

এটাও সত্য যে সমাজের কিছু অন্তর্নিহিত শক্তি থাকে। যেমন আমাদের এমন একটা শক্তি হচ্ছে প্রতিনিয়ত উদ্ভাবনের মাধ্যমে টিকে থাকা। সবাই যদি প্রচলিত শিক্ষাকে বাদ দিয়ে সমৃদ্ধি অর্জন করতে সক্ষম হতো তাহলে সবাই অতিধনী হয়ে যেত। কিন্তু সবাই তো তা হচ্ছে না। আমাদের দেশের ২০ শতাংশ লোক দারিদ্র্যসীমার নিচে বসবাস করে। কভিড-১৯-এর কারণে এ সংখ্যা বেড়েছে। কিন্তু দারিদ্র্যসীমার ঠিক উপরে যাদের বসবাস এবং যাদের গড় আয়ের পরিমাণ কম, তাদের সংখ্যা ৩০-৪০ শতাংশ। বিশাল এ জনগোষ্ঠী বড় ধরনের চাপের মুখোমুখি। অতিধনী হওয়ার প্রচণ্ড আকাঙ্ক্ষা নতুন প্রজন্মের ওপর ভর করে আছে কিন্তু তাদের মধ্য থেকে হাতে গোনা কয়েকজন সফল হচ্ছে। অবকাঠামো তৈরির মধ্যে কিন্তু অতিধনী হওয়ার পথ আছে। ফলে অপরিকল্পিত নগরায়ণ গড়ে উঠছে। শিক্ষা পদ্ধতির ক্ষেত্রে বিভিন্ন পরিবর্তন হচ্ছে, কিন্তু শিক্ষা খাতে সেই অর্থে বিনিয়োগ নেই।

প্রত্যন্ত অঞ্চলে বিশ্ববিদ্যালয়ের অবকাঠামো তৈরি করা হচ্ছে, অথচ মানসম্মত শিক্ষার বিষয়গুলো উপেক্ষিত থাকছে। নীতিনির্ধারণের জায়গাগুলোও সেই অর্থে সুষম উন্নয়নের স্বার্থগুলোকে প্রাধান্য দিচ্ছে না। নীতিনির্ধারণে ও বাস্তবায়নে অনেক বেশি স্বার্থের দ্বন্দ্ব বা কনফ্লিক্ট অব ইন্টারেস্ট বিদ্যমান। আইনের শাসনে যা অনেক বড় একটি বিষয়। স্বার্থের দ্বন্দ্ব আমাদের নীতিনির্ধারণের কেন্দ্রে বসে আছে। অনেক কিছুই স্বার্থের দ্বন্দ্ব নীতি দিয়ে পরিচালিত হচ্ছে। প্রচলিত নিয়ম মানলে অগ্রসর হওয়া যাবে না দুর্ভাগ্যজনকভাবে এ কথা প্রায় প্রতিষ্ঠিত হয়ে গিয়েছে। কিছুই হবে না সমাজের মধ্যে এ ধরনের একটা প্রবণতা চলে আসে, যা এক ধরনের হতাশার পথ তৈরি করে। আবার অনৈতিক প্রতিযোগিতায় যোগ দেওয়ার প্রবণতাও তৈরি হয়।

তবে আমাদের যেমন অতিধনী হওয়ার আকাঙ্ক্ষা আছে, তেমনি সামনে এগিয়ে যাওয়ার প্রবণতাও বিদ্যমান। এগিয়ে যাওয়ার প্রবণতাটা এসেছে স্বাধীনতার পটভূমি থেকে। অতিধনী হওয়ার আকাঙ্ক্ষাটা নেতিবাচক কিন্তু সামনে এগিয়ে যাওয়া ও নিজের অবস্থান পরিবর্তনের প্রবণতা ইতিবাচক। যেখানে সঠিক নিয়মের মধ্য দিয়ে পৌঁছতে হয়। অনেক দেশ আছে, যেখানের জনগণ শুধু সরকারি ভাতার ওপর নির্ভরশীল। কিন্তু আমাদের দেশের জনগণ বসে না থেকে নিজেদের ভাগ্য পরিবর্তনের জন্য পরিশ্রম করতে উৎসাহী। আমাদের আরো একটি বিষয় হচ্ছে মানুষ নিজের একক চেষ্টার ওপর নির্ভর করছে। কারণ তারা রাষ্ট্রের ওপর, সমাজের ওপর ভরসা পাচ্ছে না। তাই এককভাবে চেষ্টা করছে। তবে চেষ্টা সবাই করছে। অতিধনী হতে পারছে মুষ্টিমেয়। কিছু গোষ্ঠী আছে যারা নিজেদের ভোগের বিষয়টি নিশ্চিত করছে। আমলাতন্ত্র যেমন একটি গোষ্ঠী, অথবা দলের সঙ্গে সম্পৃক্ত একটি গোষ্ঠী। কিন্তু বৃহত্তর জনগোষ্ঠীর ওই নিশ্চয়তা নেই। আগে যেমন খাবারের অভাবে মৃত্যু হয়েছে, এখন তেমন হচ্ছে না। কিন্তু এখন খাবারের জন্য প্রাণান্তকর চেষ্টার পর পরবর্তী দিনের আহারের জন্য আবার একইভাবে প্রাণান্তকর চেষ্টা চালাতে হচ্ছে। প্রাণান্তকর চেষ্টা করছি আমরা কিন্তু স্বস্তি নেই। আগে ছিল তীব্র ক্ষুধার যন্ত্রণা, এখন দুবেলা দুমুঠো খাবার জুটলেও স্বস্তির বিদায় ঘটেছে। এখন আলোচনাটা আসলে দারিদ্র্যের নয়, এখন আলোচনাটা হচ্ছে স্বস্তির বিদায় সংক্রান্ত।

দুটো বিষয়ের দিকে জোর দেয়া দরকার। এ ধরনের সংকট কিন্তু বহুমাত্রিক সংকট। সামাজিক পুঁজি একটা সময় বাংলাদেশের ভিত্তি ছিল। মনে আছে, টিএসসির সামনে একটা মেয়েকে লাঞ্ছনা করা হচ্ছিল, কেউ এগিয়ে যায়নি। কেন? যখন রানা প্লাজা ধস হলো, সবাই এগিয়ে গিয়েছিল। কেন? এ ধাঁধার উত্তরের মধ্যেও বাংলাদেশের সংকটের চিত্র পাওয়া যায়। এ ধরনের পরিস্থিতিতে মানুষের এগিয়ে যেতে চাওয়াটা হয়তো আমাদের সমাজের মানুষের স্বাভাবিক প্রবণতা কিন্তু অবস্থা এমন তৈরি হয়েছে যে, এগিয়ে যাওয়ার স্পৃহাটা নিয়ন্ত্রিত হয়ে গেছে। এ ধরনের সংকটের একটা পর্যায়ে রাজনৈতিক সংস্কারের পাশাপাশি অন্যান্য সংস্কার যেমন শিক্ষা ও প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কারের প্রয়োজন, যা একটা দিক। এর পাশে আর একটা দিকের কথাও বলতে হয়। আর তা হচ্ছে সামাজিক উত্তরণ। এ উত্তরণ ঘটাতে পারবে শুধু মানুষই। ব্যক্তি মানুষের নিজে দায়িত্ববান হওয়ার যে এজেন্ডা, এটাও গুরুত্বপূর্ণ। মানুষকে নিজে দায়িত্ববান হওয়ার দায়িত্ব কাঁধে তুলে নিতে হবে। আমি যদি বলি যে, আমি নিয়ম মানব। আমি ঠিক থাকব। আমি ঠিক থেকে কী লাভ এ প্রশ্নটাই কিন্তু আমাকে আমি ঠিক না থাকার উত্তর দিয়ে দেয়। তাই এখানে আমাদের ব্যক্তিগত প্রতিজ্ঞার জায়গায় আসতে হবে যে, আমি ঠিক হব। আমি নিয়ম মানব।

আমি ভিন্নভাবে সমৃদ্ধির চিন্তা করব। আমি সমৃদ্ধি চাই কিন্তু ভোগবাদের প্রাণহীন সমৃদ্ধির অংশ হব না। ভোগের যে বিভ্রান্তিকর পথ, বিশেষ করে করোনা মহামারি ও জলবায়ুর পরিবর্তন, যা নির্দিষ্ট কোনো দেশের জন্য নয়, বৈশ্বিক। এ দুই সংকট আমাদের আরেকটা ধাক্কা দিচ্ছে। তাই একটা স্তরে নীতি সংস্কার করতে হবে। পাশাপাশি ব্যক্তিগত প্রতিজ্ঞার জায়গাগুলো এজেন্ডা হিসেবে দাঁড় করাতে হবে। পশ্চিমা কিছু জায়গায় এ ধরনের পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। মানুষের ভোগের প্রতি আকর্ষণকে অনুৎসাহিত করা হচ্ছে। যেমন অনেকেই আর গাড়ি কিনতে উৎসাহী হচ্ছে না। কারণ মানুষ উপলব্ধি করতে পারছে যে, বেঁচে থাকার জন্য এত অর্থবিত্ত সামগ্রীর দরকার নেই। বরং শহরে-নগরে প্রকৃতির পুনর্জাগরণের ক্ষেত্রগুলো আরো আকর্ষিত হচ্ছে। প্যাডেস্ট্রিয়ানাইজেশনকে উৎসাহিত করা হচ্ছে। সমাজের মধ্যে রাজনৈতিক বিষয়গুলো নিয়ে এক ধরনের আলোচনা রয়েছে। কারণ ক্ষমতার অপব্যবহার রয়েছে। রাজনৈতিক বিভিন্ন সমস্যার বিষয় রয়েছে। কিন্তু আজ যে আলোচনা আমরা করলাম তা কিন্তু অন্য একটি স্তরের। সামাজিক পর্যায়ের যে বিপর্যয় তা থেকে উত্তরণ নিয়ে। এ বিপর্যয় থেকে যারা সমাজকে উত্তরণের পথে নিয়ে যাবে সে ধরনের মানুষও তৈরি হতে হবে। তৈরি হতে হবে নিজস্ব একটা এজেন্ডায়। নতুন ব্যক্তিত্ব, নতুন ভাষা তৈরির জায়গায় কাজ করতে হবে। যেখানে নিজস্ব প্রতিজ্ঞার ক্ষেত্র তৈরি করতে হবে। অনেকে বলে যে, এটা করে কোনো লাভ হবে না। এটা ঠিক নয়। এটা করে কোনো লাভ হবে না এ সমীকরণটাকে ফেলে দিতে হবে।

লেখক: সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা 

Header Ad
Header Ad

প্রথম আরব নেতা হিসেবে সিরিয়া সফরে কাতারের আমির

ছবি: সংগৃহীত

প্রথমবারের মতো কোনো আরব নেতা সিরিয়া সফরে গেলেন কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানি। বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) স্থানীয় সময় তিনি সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কে পৌঁছান। চীনের রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা সিনহুয়া এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, সিরিয়ায় প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের সরকারের পতনের পর এই প্রথমবার কোনো সরকারপ্রধান বা রাষ্ট্রপ্রধান দেশটি সফর করলেন। বর্তমানে সিরিয়ার অন্তর্বর্তী প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন আহমেদ আল-শারা। সফরের সময় দামেস্ক আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে উপস্থিত থেকে কাতারের আমিরকে স্বাগত জানান তিনি।

কাতারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র এক বিবৃতিতে জানান, নতুন সিরীয় প্রশাসনের সঙ্গে কাতার মাঠপর্যায়ে কাজ করতে আগ্রহী। বিশেষ করে সিরিয়ার জনগণের জন্য চলমান চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সহযোগিতা করা, ইসরায়েলি দখলদারিত্ব প্রতিহত করা এবং সিরিয়ার ওপর থেকে আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারে সহায়তা করার প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে দেশটি।

বিশ্লেষকদের মতে, কাতারের আমিরের এই সফর মধ্যপ্রাচ্যের ভূ-রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন আনতে পারে। দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক অস্থিরতার পর এই সফর দুই দেশের সম্পর্ক পুনর্গঠনে ভূমিকা রাখবে বলে আশা করা হচ্ছে।

Header Ad
Header Ad

শহীদ ইয়ামিনকে হত্যা করল কে? পুলিশের তদন্তে নতুন বিতর্ক

ছবি: সংগৃহীত

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শহীদ শাইখ আশহাবুল ইয়ামিন হত্যাকাণ্ডে পুলিশের সংশ্লিষ্টতা নেই বলে প্রতিবেদন দিয়েছে তদন্ত কমিটি। তবে এই প্রতিবেদন নিয়ে ব্যাপক বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। অভিযোগ উঠেছে, তদন্ত কর্মকর্তারা পুলিশের দায় এড়াতে পক্ষপাতমূলক প্রতিবেদন দিয়েছেন এবং ইয়ামিনকে সন্ত্রাসী হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন।

সমালোচকরা বলছেন, শেখ হাসিনার শাসনামলে পুলিশের নৈতিক অবক্ষয় এতটাই চরমে পৌঁছেছে যে গণঅভ্যুত্থানের পরও তারা নিজেদের পরিবর্তন করতে পারেনি। বরং, কঠিন চাপে থেকেও পুলিশের বিতর্কিত কর্মকাণ্ড মাঝে মাঝেই প্রকাশ পাচ্ছে।

তদন্ত প্রতিবেদনে পুলিশের দাবি, ইয়ামিন এপিসি (সাঁজোয়া যান) কারে উঠলে বাইরে থেকে সন্ত্রাসীরা গুলি ছোঁড়ে, যা তাকে আহত করে। এরপর এএসআই মোহাম্মদ আলী তাকে নামানোর চেষ্টা করেন, কিন্তু তার হাতে ব্যথা থাকায় ফসকে পড়ে যান ইয়ামিন। পুলিশ আরও জানায়, জনগণের কাছে হস্তান্তরের জন্য তাকে রোড ডিভাইডারে রাখা হয়, যাতে কেউ তাকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে পারে।

তবে এই বক্তব্যের সঙ্গে ঘটনাস্থলের ভিডিও ফুটেজের কোনো মিল পাওয়া যায়নি। ভিডিও বিশ্লেষণে দেখা যায়, পুলিশের সদস্যরা নীল রঙের এপিসি কারের ওপর ইয়ামিনকে ফেলে রেখে টহল চালায় এবং ছাত্র-জনতার ওপর গুলি চালায়। কিছুক্ষণ পর এপিসি কারটি সাভারের রানা প্লাজা ও ভ্যাট অফিসের মাঝামাঝি এলাকায় আসে। এরপর এপিসির ভেতর থেকে এক পুলিশ সদস্য দরজা খুলে দেয় এবং আরেকজন ইয়ামিনকে টেনে-হিঁচড়ে রাস্তায় ফেলে দেয়।

ভিডিওতে আরও দেখা যায়, গুলিবিদ্ধ ইয়ামিন তখনও জীবিত ছিলেন। প্রচণ্ড কষ্টে নিশ্বাস নিতে দেখা যায় তাকে। তার পরনে ছিল নেভি ব্লু ট্রাউজার ও খয়েরি রঙের জামা। এপিসি থেকে ফেলে দেওয়ার পর তার দুই হাত দুই দিকে ছড়িয়ে যায় এবং একটি পা এপিসির বাঁ দিকের চাকার সঙ্গে আটকে থাকে। মৃত ভেবে পুলিশের সদস্যরা তার পায়ে আর গুলি না করে রাস্তার এক প্রান্ত থেকে অপর প্রান্তে টেনে রোড ডিভাইডারের পাশে ফেলে দেয়। এরপর আরও দুই পুলিশ সদস্য নেমে এসে তাকে সার্ভিস লেনে ফেলে রেখে চলে যায়।

পুলিশের এই প্রতিবেদনকে ‘চরম পক্ষপাতদুষ্ট’ উল্লেখ করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় একে অগ্রহণযোগ্য বলে ঘোষণা দিয়েছে। মন্ত্রণালয়ের এক সভায় সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় যে, তদন্ত কর্মকর্তারা শুধু পুলিশ সদস্যদের বক্তব্য নিয়েছেন, অথচ কোনো প্রত্যক্ষদর্শী, সংবাদকর্মী বা সাধারণ মানুষের সাক্ষ্য নেননি। এ কারণে তদন্ত প্রক্রিয়াকে পক্ষপাতদুষ্ট ও অবিশ্বাস্য বলে মনে করা হচ্ছে।

এছাড়া, সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ এক প্রতিবেদনে পুলিশের আচরণকে ‘ভয়ংকর বর্বরতা’ হিসেবে উল্লেখ করেছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, তদন্ত কমিটির তিন পুলিশ সদস্য দায়িত্বে চরম অবহেলা করেছেন এবং অপেশাদারসুলভ আচরণ করেছেন। তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য জননিরাপত্তা বিভাগের রাজনৈতিক শাখাকে সুপারিশ করা হয়েছে।

স্থানীয়দের অভিযোগ, পুলিশ নীল এপিসি কার থেকে ইয়ামিনের গুলিবিদ্ধ দেহ রাস্তায় ফেলে আতঙ্ক সৃষ্টি করতে চেয়েছিল। ঘটনাটি ঘটে সাভারের আশুলিয়া এলাকায়। কোনো ময়নাতদন্ত বা আনুষ্ঠানিক মৃত্যুসনদ না দিয়েই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ইয়ামিনের লাশ হস্তান্তর করে।

ঢাকা ও সাভার রেঞ্জের ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তারা ইয়ামিনের মৃত্যুর ঘটনায় মামলা না করার জন্য পরিবারকে ভয়ভীতি দেখায়। পরে, পরিবার তাকে সাভারের তালবাগে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করতে চাইলে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা মিজানুর রহমান মিজান বাধা দেন। শেষ পর্যন্ত ব্যাংক টাউন কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।

তদন্ত প্রতিবেদন অনুযায়ী, পুলিশ দায় মুক্তি পেয়েছে। কিন্তু ভিডিও ফুটেজের ভয়ংকর দৃশ্যগুলো ও প্রত্যক্ষদর্শীদের বর্ণনার সঙ্গে পুলিশের বক্তব্যের কোনো মিল নেই। তাহলে, শহীদ ইয়ামিনকে হত্যা করল কে? পুলিশের তদন্তে যদি সত্য প্রকাশ না পায়, তবে স্বাধীন তদন্ত কমিটির মাধ্যমে পুনরায় এই হত্যাকাণ্ডের বিচার দাবি উঠেছে। নিহত ইয়ামিনের পরিবার এবং আন্দোলনকারীরা ন্যায়বিচারের জন্য লড়াই চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছে।

Header Ad
Header Ad

রংপুর থেকে গ্রেফতার সাবেক সমাজকল্যাণ মন্ত্রী নুরুজ্জামান

ছবি: সংগৃহীত

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হামলা ও একাধিক হত্যা মামলায় সাবেক সমাজকল্যাণ মন্ত্রী মোহাম্মদ নুরুজ্জামানকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) রাত ৯টায় রংপুর মহানগরীর সেন্ট্রাল রোডের পোস্ট অফিসের গলির এক বাসা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার (অপরাধ) মোহাম্মদ শিবলী কায়সার।

উল্লেখ্য, ৫ আগস্টের পর থেকে মোহাম্মদ নুরুজ্জামান আত্মগোপনে ছিলেন। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর দীর্ঘদিনের নজরদারির পর অবশেষে তাকে গ্রেফতার করা হলো।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

প্রথম আরব নেতা হিসেবে সিরিয়া সফরে কাতারের আমির
শহীদ ইয়ামিনকে হত্যা করল কে? পুলিশের তদন্তে নতুন বিতর্ক
রংপুর থেকে গ্রেফতার সাবেক সমাজকল্যাণ মন্ত্রী নুরুজ্জামান
কোটা পদ্ধতি পুনরায় পর্যালোচনার নতুন ৩ সিদ্ধান্ত অন্তর্বর্তী সরকারের
আমরা কারও কাছে চাঁদা চাইনি, চাইবোও না: জামায়াত আমির
নওগাঁ বারের নির্বাচনে সব পদে বিএনপি প্যানেলের জয়
আরব আমিরাতে চাঁদ দেখা গেছে, পবিত্র শবে বরাত ১৪ ফেব্রুয়ারি
ডিপসিকের চেয়েও কার্যকর নতুন এআই আনার দাবি আলিবাবার
প্রাথমিক শিক্ষার মান উন্নয়ন ও গুণগত পরিবর্তনই আমাদের মূল লক্ষ্য: গণশিক্ষা উপদেষ্টা
বাণিজ্য মেলায় সংঘর্ষ, আহত ১৬
শেখ হাসিনাসহ জড়িতদের বিচার দাবিতে আমরণ অনশনে বৈষম্যবিরোধী ছাত্ররা
পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নিলে নিজেই জানিয়ে দিবো: তথ্য উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম
সাত কলেজের জন্য হচ্ছে ‘জুলাই ৩৬ বিশ্ববিদ্যালয়’
ভোটারদের আস্থা পুনরুদ্ধারে উদ্যোগ নিতে বলেছে ইইউ: ইসি সচিব
রংপুরের টানা চতুর্থ হার, প্লে-অফের দৌড়ে টিকে রইলো খুলনা
চিরতরে বন্ধ হয়ে যাচ্ছে ঢাকার মধুমিতা সিনেমা হল
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে 'জয় বাংলা' স্লোগান, আটক ৫
প্রধান উপদেষ্টার উদ্বোধনে শুরু হচ্ছে একুশে বইমেলা
সুইডেনে পবিত্র কোরআন পোড়ানো সেই যুবককে গুলি করে হত্যা
বাংলাদেশ পুলিশে ১৬টি শূন্য পদে নিয়োগ, আবেদন শুরু ২ ফেব্রুয়ারি