শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪ | ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

ভোগবাদ ও ক্ষমতার রাজনীতি সামাজিক পুঁজিকে ধ্বংস করছে 

শুধু বাংলাদেশে নয়, আমাদের প্রতিবেশী দেশ ভারত কিংবা আফ্রিকার অনেক দেশে এ ধরনের প্রবণতা দেখা যাচ্ছে। অর্থের জন্য আকাঙ্ক্ষা বৃদ্ধি দোষের কিছু নয়, কিন্তু তা যদি একমাত্রিক ও সুষম চিন্তার পরিপন্থী হয়, তাহলে চিন্তার কারণ আছে। এক্ষেত্রে কয়েকটা বিষয় রয়েছে। দুষ্টচক্রের মাধ্যমে একটা প্রবণতা আর একটা প্রবণতাকে উসকে দিচ্ছে। দুটো মিলে তৃতীয় একটা খারাপ প্রবণতা তৈরি হচ্ছে। আমাদের আকাঙ্ক্ষাগুলো পরিবর্তিত হচ্ছে। রুলিং অর্থনৈতিক মডেল যে ধরনের প্রবণতাকে ভর করে অগ্রসর হওয়ার চেষ্টা করছে তা কিন্তু একে অপরের সম্পূরক। তাই আমরা যদি বাংলাদেশের রোল মডেলের দিকে তাকাই তাহলে দেখি অতি ধনী হওয়ার হার এখানে বেশি। অর্থের প্রতি এক ধরনের আসক্তি এসেছে। আগের ব্যক্তিগত সমৃদ্ধির যে প্রবণতা ছিল তা পরিবর্তিত হয়েছে। আগে যেমন বলা হতো, লেখা পড়া করে যে, গাড়ি ঘোড়া চড়ে সে। কথাটি এখন যেন সম্পূর্ণ বিপরীত এক স্লোগান। এখন অনেকেই মনে করে লেখাপড়া করলেও ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত।

সমাজের মধ্যে প্রচলিত উদাহরণগুলো ভেঙে পড়েছে। বিত্তবান হওয়ার প্রক্রিয়ায় নিজের দক্ষতা বৃদ্ধির পাশাপাশি সমাজের প্রতি দায়িত্ববোধের দৃষ্টিকোণ লালন করে ধাপে ধাপে অগ্রসর হওয়ার নিয়ম থাকলেও বাস্তব উদাহরণে দেখা যাচ্ছে প্রচলিত বিষয়গুলোর একটিও কাজ করছে না। বরং নিয়ম ভেঙে, নিয়মকে পাশ কাটিয়ে ও তোয়াক্কা না করে সমৃদ্ধি অর্জনের সংস্কৃতি তৈরি হয়েছে। নিয়ম কোনো বিষয় নয় এ ধারণা প্রতিষ্ঠা পাওয়ার ফলে নেতিবাচক রোল মডেলগুলো প্রাধান্য পাচ্ছে। নেতিবাচক রোল মডেলগুলো দুই ধরনের। এক. কোনো ধরনের নিয়মের তোয়াক্কা না করে অপরাধ করা। দুই. সরাসরি অপরাধ না করলেও কোনো ধরনের নিয়ম অনুসরণ না করে যেকোনো উপায়ে অর্থ উপার্জনকে প্রাধান্য দেওয়া। শ্রম দিয়ে কষ্ট করে সমৃদ্ধি অর্জন নয়, অতিদ্রুত ধনী হওয়ার প্রবণতা লালন করা। তবে শ্রম দিয়ে কষ্ট করে সমৃদ্ধি অর্জনকারী লোকেরা যে একেবারেই নেই তা কিন্তু নয়। তারা আছেন কিন্তু তারা কেউ আর রোল মডেল হচ্ছেন না।

ব্যবসায়ীদের মধ্যে অনেকেই আছেন যারা সুস্থভাবে সমৃদ্ধির অন্বেষণ করছেন কিন্তু তারা রোল মডেল হিসেবে সমাজে চিহ্নিত হচ্ছেন না। কারণ অধিকাংশের মধ্যে নিয়ম ভাঙা, অনৈতিক পথ খুঁজে বের করার প্রবণতা লক্ষণীয়। ফলে অবধারিতভাবে শিক্ষার অবমূল্যায়ন ঘটে গিয়েছে। শিক্ষার প্রয়োজনীয়তা ও গুরুত্ব হারিয়েছে। বিপরীতে চলছে সনদধারী শিক্ষা ব্যবস্থা। কষ্ট করে শিক্ষিত হওয়ার প্রবণতা যেখানে অনুপস্থিত। যোগ হয়েছে ভোগবাদী দৃষ্টিভঙ্গি। দুষ্টচক্রের মাধ্যমে তা আরো ছড়িয়ে পড়ছে। কারণ সমৃদ্ধির ধারণার সঙ্গে প্রতিনিয়ত একটি করে অনৈতিক আকাঙ্ক্ষা তৈরি হচ্ছে। ছোট ফ্রিজে হচ্ছে না বড় ফ্রিজ লাগছে। একটার বদলে একাধিক গাড়ি ক্রয়ের প্রবণতা বাড়ছে। অনুষ্ঠানে একই পোশাক গহনা বারবার পরতে আপত্তি। গায়ে হলুদের অনুষ্ঠান বড় করে করা হচ্ছে। বিয়ের অনুষ্ঠান একটা নয় পাঁচটা হচ্ছে। এখানে অর্থনৈতিক বিষয়গুলো জড়িত। যেমন ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট প্রতিষ্ঠানগুলো এখানে কাজ করছে। কিন্তু এ ধরনের নিষ্প্রাণ বিয়ের অনুষ্ঠানের মতো আয়োজন আমি আগে দেখিনি। ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানিই হয়তো লোকদের বুঝিয়েছে যে, এখন বিয়ের অনুষ্ঠানগুলো এমনই হয়। সুতরাং ভোগের এ ধরনের আকাঙ্ক্ষা থেকে এক ধরনের অর্থনীতিকে অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে।

শুধু বাংলাদেশে নয়, বৈশ্বিকভাবে এ প্রবণতা বিদ্যমান।সভ্যতার জন্য অবশ্যই আরও উন্নত জীবনমানের ধারণা জরুরি। নতুন নতুন উদ্ভাবন জরুরি। আমাদের সেলফোন দরকার কিন্তু সেলফোন আসক্তি দরকার কি? সেলফোন আসক্তি শুধু সামাজিক বিষয় নয়, তা অর্থনীতির মাধ্যমে প্রবর্তিত হচ্ছে। অর্থনীতির আকাঙ্ক্ষাও এদিকে লালিত হচ্ছে। কক্সবাজারে হয়তো ভ্রমণার্থীদের সংখ্যা বাড়ছে কিন্তু তাদের ভ্রমণ অভিজ্ঞতা নিদারুণ, করুণ হচ্ছে। শোভন জীবনযাপনের ধারণা থেকে আমরা বিচ্যুত হচ্ছি। কক্সবাজারে পরিবেশ দূষণ, যানজট বেড়েছে। স্বস্তির বিষয় একটাই যে, সাগরটা সামনে আছে। আবার সবার ভ্রমণ অভিজ্ঞতা যে সুখকর, তাও নয়। সব মিলিয়ে বলব, নেতিবাচক রোল মডেলগুলো যেনতেনভাবে অর্থ উপার্জনের বার্তা দিচ্ছে। ভোগবাদকে উসকে দেওয়া হচ্ছে। ফলে ওই ধরনের অর্থনীতি আরও বেশি প্রাধান্য পাচ্ছে। এগুলো হয়েছে দুষ্টচক্রগুলোর উত্থানের কারণে। এখানে প্রাতিষ্ঠানিক কিছু বিষয়ও চলে আসে। একটা সমাজের মধ্যে অনেকগুলো রিসোর্স থাকে। প্রাকৃতিক সম্পদ যেমন একটা রিসোর্স, তেমনি রয়েছে অর্থনৈতিক সম্পদ, প্রাতিষ্ঠানিক সম্পদ ও সামাজিক পুঁজি। ক্ষমতা, রাজনীতি এগুলো এখন আর সামাজিক পুঁজির ওপর ভিত্তি করে অগ্রসর হচ্ছে না বরং সামাজিক পুজিকে ধ্বংস করে অগ্রসর হচ্ছে।

সামাজিক পুঁজিকে রিসোর্স হিসেবে দেখা হচ্ছে না বরং এর বিলুপ্তি টানা হচ্ছে। বিভাজন ও দলীয়করণ শব্দগুলো সংকীর্ণ রাজনৈতিক অর্থে বোঝা যায়। তবে সামাজিক অর্থে যদি বুঝি, তাহলে সমাজে সামাজিক পুঁজির প্রয়োজনীয়তা অনুভব করেই কিন্তু ক্ষমতা, রাজনীতি, রাষ্ট্র গঠন ও অগ্রসর হতে পারে। অথচ এখানে তারা সামাজিক পুঁজিকে অপ্রয়োজনীয় ও সম্ভাব্য প্রতিপক্ষ হিসেবে দেখছে। প্রতিটি ক্ষেত্রে সামাজিক পুঁজির বিলুপ্তি ঘটছে। সামাজিক সংগঠন, ব্যবসায়িক সংগঠন থেকে শুরু করে প্রাতিষ্ঠানিক জায়গাগুলোর প্রতিটি ক্ষেত্র বিলুপ্ত হচ্ছে। আগে গ্রামীণ সমাজের অবদান ছিল। বাজার, মসজিদগুলো ছিল সামাজিক পুঁজি গঠনের জায়গা। আমি মনে করি, স্থানীয় সরকার নির্বাচনকে দলীয় নির্বাচন করাটা সাংঘাতিক রকম ভুল পদক্ষেপ, যা সামাজিক পুঁজির ভয়ংকর অবক্ষয় ঘটিয়ে দিয়েছে। ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য এটি ধ্বংসের প্রয়োজন ছিল না। যে চিন্তা থেকে দলীয় ভিত্তিতে স্থানীয় সরকার নির্বাচন করা হচ্ছে, তা সামাজিক পুঁজির অবক্ষয়ের বড় ধরনের চালিকাশক্তি হিসেবে কাজ করেছে।

যখন সামাজিক পুঁজির অবক্ষয় হয়, তখন মেধার প্রয়োজনীয়তা উপলব্ধিরও অবক্ষয় ঘটে যায়। কারণ এ দুটো বিষয় পরস্পরের সঙ্গে সংযুক্ত। বর্তমানে তরুণ বা যুবকদের মধ্যে যেমন শিক্ষার প্রয়োজনীয়তা কমে গেছে, তেমনি যারা ক্ষমতায় আছেন তাদের কাছে মেধা আর গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নয়। মেধা বরং তাদের কাছে সমস্যা। এর জন্যই তারা মনে করে মেধাকে দূরে রাখতে হবে। একদিকে সমাজের মধ্যে, সাধারণ নাগরিকের মধ্যে শিক্ষার প্রয়োজনীয়তাটা কমে গিয়ে যেনতেনভাবে ধনী হওয়ার প্রবণতা বেড়েছে, আর যারা ক্ষমতাসীন বা রাষ্ট্রের উপরের দিকে অবস্থান করছেন, তাদের কাছে মেধা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হিসেবে নেই। আবার রাজনৈতিক দিক দিয়েও টেকসই প্রভাব বিস্তার করা সম্ভব হচ্ছে না। জনসমর্থনের বিষয়টি ক্ষমতা প্রয়োগের ওপর নির্ভরশীল হয়ে গিয়েছে। এ প্রবণতাগুলো একটি অন্যটিকে উসকে দিচ্ছে। এ ছাড়া, আরও কিছু ধাঁধা আছে। যেমন ইউনিয়ন পরিষদের বাজেট কত? এডিপির থোক বরাদ্দের পরিমাণ সম্ভবত কয়েক লাখ টাকা। পাশাপাশি সামাজিক ভাতাসহ কয়েকটি কর্মসূচি আছে। তবে তার পরিমাণ খুব বেশি নয়।

তথ্য বলছে, একটা ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন করতে এখন এক থেকে দুই কোটি টাকা ব্যয় করা হয়। তাহলে ইউনিয়ন পরিষদের বাজেট ও নির্বাচনকালীন খরচের মধ্যকার যে ধাঁধাটি রয়েছে তার উত্তর কী? গ্রামাঞ্চলে যেমন জমিজমা নিয়ে সর্বক্ষণ বিভিন্ন কাজ বা প্রকল্প হচ্ছে। যার জের ধরে সর্বক্ষণ এক ধরনের বিরোধ জারি আছে। আগে সালিশি ব্যবস্থা ছিল, এখন তা নেই, যা আছে তা অন্য ধরনের। আগের ওই সালিশি ব্যবস্থা ছিল সামাজিক পুঁজির বহিঃপ্রকাশ। এখন এ বিষয়গুলোর সমাধান ক্ষমতার অলিন্দতে আটকে আছে। ক্ষমতাও আবার একমাত্রিক নয়। কে কী ধরনের সমীকরণ তৈরি করছে তার ওপর ভিত্তি করে তথ্যপ্রবাহ, অপরাধ, মাদক ব্যবসার সুযোগ তৈরি হচ্ছে। ইউনিয়ন পরিষদের মতো এত অল্প বাজেটের জায়গায় আসতে কোটি টাকা খরচ করতে অনেকে পিছপা হচ্ছে না। কেন? আমাদের এ ধাঁধাগুলোর উত্তর ও ব্যাখ্যা খোঁজা উচিত। 

এটাও সত্য যে সমাজের কিছু অন্তর্নিহিত শক্তি থাকে। যেমন আমাদের এমন একটা শক্তি হচ্ছে প্রতিনিয়ত উদ্ভাবনের মাধ্যমে টিকে থাকা। সবাই যদি প্রচলিত শিক্ষাকে বাদ দিয়ে সমৃদ্ধি অর্জন করতে সক্ষম হতো তাহলে সবাই অতিধনী হয়ে যেত। কিন্তু সবাই তো তা হচ্ছে না। আমাদের দেশের ২০ শতাংশ লোক দারিদ্র্যসীমার নিচে বসবাস করে। কভিড-১৯-এর কারণে এ সংখ্যা বেড়েছে। কিন্তু দারিদ্র্যসীমার ঠিক উপরে যাদের বসবাস এবং যাদের গড় আয়ের পরিমাণ কম, তাদের সংখ্যা ৩০-৪০ শতাংশ। বিশাল এ জনগোষ্ঠী বড় ধরনের চাপের মুখোমুখি। অতিধনী হওয়ার প্রচণ্ড আকাঙ্ক্ষা নতুন প্রজন্মের ওপর ভর করে আছে কিন্তু তাদের মধ্য থেকে হাতে গোনা কয়েকজন সফল হচ্ছে। অবকাঠামো তৈরির মধ্যে কিন্তু অতিধনী হওয়ার পথ আছে। ফলে অপরিকল্পিত নগরায়ণ গড়ে উঠছে। শিক্ষা পদ্ধতির ক্ষেত্রে বিভিন্ন পরিবর্তন হচ্ছে, কিন্তু শিক্ষা খাতে সেই অর্থে বিনিয়োগ নেই।

প্রত্যন্ত অঞ্চলে বিশ্ববিদ্যালয়ের অবকাঠামো তৈরি করা হচ্ছে, অথচ মানসম্মত শিক্ষার বিষয়গুলো উপেক্ষিত থাকছে। নীতিনির্ধারণের জায়গাগুলোও সেই অর্থে সুষম উন্নয়নের স্বার্থগুলোকে প্রাধান্য দিচ্ছে না। নীতিনির্ধারণে ও বাস্তবায়নে অনেক বেশি স্বার্থের দ্বন্দ্ব বা কনফ্লিক্ট অব ইন্টারেস্ট বিদ্যমান। আইনের শাসনে যা অনেক বড় একটি বিষয়। স্বার্থের দ্বন্দ্ব আমাদের নীতিনির্ধারণের কেন্দ্রে বসে আছে। অনেক কিছুই স্বার্থের দ্বন্দ্ব নীতি দিয়ে পরিচালিত হচ্ছে। প্রচলিত নিয়ম মানলে অগ্রসর হওয়া যাবে না দুর্ভাগ্যজনকভাবে এ কথা প্রায় প্রতিষ্ঠিত হয়ে গিয়েছে। কিছুই হবে না সমাজের মধ্যে এ ধরনের একটা প্রবণতা চলে আসে, যা এক ধরনের হতাশার পথ তৈরি করে। আবার অনৈতিক প্রতিযোগিতায় যোগ দেওয়ার প্রবণতাও তৈরি হয়।

তবে আমাদের যেমন অতিধনী হওয়ার আকাঙ্ক্ষা আছে, তেমনি সামনে এগিয়ে যাওয়ার প্রবণতাও বিদ্যমান। এগিয়ে যাওয়ার প্রবণতাটা এসেছে স্বাধীনতার পটভূমি থেকে। অতিধনী হওয়ার আকাঙ্ক্ষাটা নেতিবাচক কিন্তু সামনে এগিয়ে যাওয়া ও নিজের অবস্থান পরিবর্তনের প্রবণতা ইতিবাচক। যেখানে সঠিক নিয়মের মধ্য দিয়ে পৌঁছতে হয়। অনেক দেশ আছে, যেখানের জনগণ শুধু সরকারি ভাতার ওপর নির্ভরশীল। কিন্তু আমাদের দেশের জনগণ বসে না থেকে নিজেদের ভাগ্য পরিবর্তনের জন্য পরিশ্রম করতে উৎসাহী। আমাদের আরো একটি বিষয় হচ্ছে মানুষ নিজের একক চেষ্টার ওপর নির্ভর করছে। কারণ তারা রাষ্ট্রের ওপর, সমাজের ওপর ভরসা পাচ্ছে না। তাই এককভাবে চেষ্টা করছে। তবে চেষ্টা সবাই করছে। অতিধনী হতে পারছে মুষ্টিমেয়। কিছু গোষ্ঠী আছে যারা নিজেদের ভোগের বিষয়টি নিশ্চিত করছে। আমলাতন্ত্র যেমন একটি গোষ্ঠী, অথবা দলের সঙ্গে সম্পৃক্ত একটি গোষ্ঠী। কিন্তু বৃহত্তর জনগোষ্ঠীর ওই নিশ্চয়তা নেই। আগে যেমন খাবারের অভাবে মৃত্যু হয়েছে, এখন তেমন হচ্ছে না। কিন্তু এখন খাবারের জন্য প্রাণান্তকর চেষ্টার পর পরবর্তী দিনের আহারের জন্য আবার একইভাবে প্রাণান্তকর চেষ্টা চালাতে হচ্ছে। প্রাণান্তকর চেষ্টা করছি আমরা কিন্তু স্বস্তি নেই। আগে ছিল তীব্র ক্ষুধার যন্ত্রণা, এখন দুবেলা দুমুঠো খাবার জুটলেও স্বস্তির বিদায় ঘটেছে। এখন আলোচনাটা আসলে দারিদ্র্যের নয়, এখন আলোচনাটা হচ্ছে স্বস্তির বিদায় সংক্রান্ত।

দুটো বিষয়ের দিকে জোর দেয়া দরকার। এ ধরনের সংকট কিন্তু বহুমাত্রিক সংকট। সামাজিক পুঁজি একটা সময় বাংলাদেশের ভিত্তি ছিল। মনে আছে, টিএসসির সামনে একটা মেয়েকে লাঞ্ছনা করা হচ্ছিল, কেউ এগিয়ে যায়নি। কেন? যখন রানা প্লাজা ধস হলো, সবাই এগিয়ে গিয়েছিল। কেন? এ ধাঁধার উত্তরের মধ্যেও বাংলাদেশের সংকটের চিত্র পাওয়া যায়। এ ধরনের পরিস্থিতিতে মানুষের এগিয়ে যেতে চাওয়াটা হয়তো আমাদের সমাজের মানুষের স্বাভাবিক প্রবণতা কিন্তু অবস্থা এমন তৈরি হয়েছে যে, এগিয়ে যাওয়ার স্পৃহাটা নিয়ন্ত্রিত হয়ে গেছে। এ ধরনের সংকটের একটা পর্যায়ে রাজনৈতিক সংস্কারের পাশাপাশি অন্যান্য সংস্কার যেমন শিক্ষা ও প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কারের প্রয়োজন, যা একটা দিক। এর পাশে আর একটা দিকের কথাও বলতে হয়। আর তা হচ্ছে সামাজিক উত্তরণ। এ উত্তরণ ঘটাতে পারবে শুধু মানুষই। ব্যক্তি মানুষের নিজে দায়িত্ববান হওয়ার যে এজেন্ডা, এটাও গুরুত্বপূর্ণ। মানুষকে নিজে দায়িত্ববান হওয়ার দায়িত্ব কাঁধে তুলে নিতে হবে। আমি যদি বলি যে, আমি নিয়ম মানব। আমি ঠিক থাকব। আমি ঠিক থেকে কী লাভ এ প্রশ্নটাই কিন্তু আমাকে আমি ঠিক না থাকার উত্তর দিয়ে দেয়। তাই এখানে আমাদের ব্যক্তিগত প্রতিজ্ঞার জায়গায় আসতে হবে যে, আমি ঠিক হব। আমি নিয়ম মানব।

আমি ভিন্নভাবে সমৃদ্ধির চিন্তা করব। আমি সমৃদ্ধি চাই কিন্তু ভোগবাদের প্রাণহীন সমৃদ্ধির অংশ হব না। ভোগের যে বিভ্রান্তিকর পথ, বিশেষ করে করোনা মহামারি ও জলবায়ুর পরিবর্তন, যা নির্দিষ্ট কোনো দেশের জন্য নয়, বৈশ্বিক। এ দুই সংকট আমাদের আরেকটা ধাক্কা দিচ্ছে। তাই একটা স্তরে নীতি সংস্কার করতে হবে। পাশাপাশি ব্যক্তিগত প্রতিজ্ঞার জায়গাগুলো এজেন্ডা হিসেবে দাঁড় করাতে হবে। পশ্চিমা কিছু জায়গায় এ ধরনের পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। মানুষের ভোগের প্রতি আকর্ষণকে অনুৎসাহিত করা হচ্ছে। যেমন অনেকেই আর গাড়ি কিনতে উৎসাহী হচ্ছে না। কারণ মানুষ উপলব্ধি করতে পারছে যে, বেঁচে থাকার জন্য এত অর্থবিত্ত সামগ্রীর দরকার নেই। বরং শহরে-নগরে প্রকৃতির পুনর্জাগরণের ক্ষেত্রগুলো আরো আকর্ষিত হচ্ছে। প্যাডেস্ট্রিয়ানাইজেশনকে উৎসাহিত করা হচ্ছে। সমাজের মধ্যে রাজনৈতিক বিষয়গুলো নিয়ে এক ধরনের আলোচনা রয়েছে। কারণ ক্ষমতার অপব্যবহার রয়েছে। রাজনৈতিক বিভিন্ন সমস্যার বিষয় রয়েছে। কিন্তু আজ যে আলোচনা আমরা করলাম তা কিন্তু অন্য একটি স্তরের। সামাজিক পর্যায়ের যে বিপর্যয় তা থেকে উত্তরণ নিয়ে। এ বিপর্যয় থেকে যারা সমাজকে উত্তরণের পথে নিয়ে যাবে সে ধরনের মানুষও তৈরি হতে হবে। তৈরি হতে হবে নিজস্ব একটা এজেন্ডায়। নতুন ব্যক্তিত্ব, নতুন ভাষা তৈরির জায়গায় কাজ করতে হবে। যেখানে নিজস্ব প্রতিজ্ঞার ক্ষেত্র তৈরি করতে হবে। অনেকে বলে যে, এটা করে কোনো লাভ হবে না। এটা ঠিক নয়। এটা করে কোনো লাভ হবে না এ সমীকরণটাকে ফেলে দিতে হবে।

লেখক: সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা 

Header Ad

খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করলেন মাহফুজ-আসিফ-নাহিদ

ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করে কুশল বিনিময় করেছেন উপদেষ্টা মাহফুজ আলম, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া এবং ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) বিকেলে সেনাকুঞ্জে সশস্ত্র বাহিনী দিবসের অনুষ্ঠানে তাদের এ কুশল বিনিময় হয়।

সেনাকুঞ্জে খালেদা জিয়া পৌঁছালে উপস্থিত সবাই তাকে স্বাগত জানান। অনুষ্ঠানের এক পর্যায়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ৩ সমন্বয়ক ও সরকারের উপদেষ্টা তার পাশে এসে দাঁড়ান এবং শারীরিক খোঁজখবর নেন। এ সময় খালেদা জিয়া তাদের অভিনন্দন জানান এবং দেশকে এগিয়ে নিতে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার পরামর্শ দেন।

এ সময় এই ৩ উপদেষ্টা বিএনপি চেয়ারপারসনের কাছে দোয়া চান এবং সরকারের সংস্কার কাজে তার সর্বাত্মক সহযোগিতা চান।

এদিকে সেনাকুঞ্জে গেলে খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, শহিদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের স্ত্রী খালেদা জিয়া এখানে এসেছেন। একযুগ তিনি আসার সুযোগ পাননি। আমরা গর্বিত এই সুযোগ দিতে পেরে। দীর্ঘদিনের অসুস্থতা সত্ত্বেও বিশেষ দিনে সবার সঙ্গে শরিক হওয়ার জন্য আপনাকে আবারও ধন্যবাদ। আপনার আশু রোগমুক্তি কামনা করছি।

Header Ad

দেশের বাজারে আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম

ছবি: সংগৃহীত

আবারও স্বর্ণের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। এবার ভরিতে ১ হাজার ৯৯৪ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৩৯ হাজার ৪৪৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। যা আজকেও ছিল এক লাখ ৩৭ হাজার ৪৪৯ টাকা।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) সন্ধ্যায় এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে বাজুস। শুক্রবার (২২ নভেম্বর) থেকেই নতুন এ দাম কার্যকর হবে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবি স্বর্ণের (পিওর গোল্ড) মূল্য বেড়েছে। ফলে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।

নতুন দাম অনুযায়ী, প্রতি ভরি ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম পড়বে ১ লাখ ৩৯ হাজার ৪৪৩ টাকা। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৩৩ হাজার ৯৮ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১৪ হাজার ৮৬ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৯৩ হাজার ৬৭৪ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বাজুস আরও জানায়, স্বর্ণের বিক্রয়মূল্যের সঙ্গে আবশ্যিকভাবে সরকার-নির্ধারিত ৫ শতাংশ ভ্যাট ও বাজুস-নির্ধারিত ন্যূনতম মজুরি ৬ শতাংশ যুক্ত করতে হবে। তবে গয়নার ডিজাইন ও মানভেদে মজুরির তারতম্য হতে পারে।

স্বর্ণের দাম কমানো হলেও দেশের বাজারে অপরিবর্তিত রয়েছে রুপার দাম। দেশে ২২ ক্যারেটের এক ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৫৭৮ টাকায়। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ৪৪৯ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ১১১ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৫৮৬ টাকায়।

এর আগে, সবশেষ গত ১৯ নভেম্বর দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম সমন্বয় করেছিল বাজুস। সে সময় টানা চার দফা কমার পর ভরিতে ২ হাজার ৯৪০ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৩৭ হাজার ৪৪৯ টাকা নির্ধারণ করেছিল সংগঠনটি।

এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৩১ হাজার ১৯৭ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১২ হাজার ৪৫৩ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৯২ হাজার ২৮৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল। যা কার্যকর হয়েছে গত ২০ নভেম্বর থেকে।

এ নিয়ে চলতি বছরে এখন পর্যন্ত দেশের বাজারে ৫১ বার স্বর্ণের দাম সমন্বয় করা হয়েছে। যেখানে ৩০ বার দাম বাড়ানো হয়েছে, আর কমানো হয়েছে ২১ বার।

Header Ad

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

ছবি: সংগৃহীত

দেশের জনপ্রিয় নির্মাতা আশফাক নিপুন। কাজের পাশাপাশি সামাজিক মাধ্যমেও বেশ সরব তিনি। কথা বলেন নানা ইস্যু নিয়ে। সেই ধারাবাহিকতায় সরকার পতনের পর অন্তবর্তীকালীন সরকার গঠনেও বিভিন্ন সময় নিজের আকাঙ্ক্ষা, প্রত্যাশার কথা জানিয়েছেন। পাশাপাশি রাজনৈতিক দলগুলোর উদ্দেশ্যেও বিভিন্ন বার্তা দিয়েছেন। এবার এমনি একটি বার্তায় দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি জনগনের আস্থার বিষয়ে আক্ষেপ জানালেন এই নির্মাতা।

বুধবার (২০ নভেম্বর) আশফাক নিপুন তার ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে লেখেন, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে সর্বস্তরের ছাত্র এবং সাধারণ মানুষ রাস্তায় নেমে এসেছিল, বাসায় বসে বসে দোয়া করেছিল, যার যা সামর্থ্য দিয়ে সহায়তা করেছিল। কারণ, তারা দেখেছিল লড়াইটা আওয়ামী ফ্যাসিস্ট শাসক বনাম সাধারণ ছাত্র-জনতার। এটাও অস্বীকার করার কোনো উপায় নাই যে এই আন্দোলন বেগবান করতে বিরোধী সকল দলের কর্মীদের ভূমিকা অনস্বীকার্য। তাদের সংগ্রামও গত দেড় দশকের। কিন্তু এটা যদি শুধুমাত্র রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যকার লড়াই হতো তাহলে সাধারণ মানুষ এই লড়াই থেকে দূরে থাকত। সেই প্রমাণ বিগত ১৫ বছরে আছে।

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

কারণ হিসেবে তিনি বলেন, দেশের সাধারণ মানুষ এখনো দেশের কোনো রাজনৈতিক দলকেই পুরোপুরি বিশ্বাস করতে পারে না। এটাই বাস্তবতা। এই বাস্তবতা মেনে সকল রাজনৈতিক দলগুলোর উচিত কীভাবে সাধারণ জনগণের ভেতর নিজের দলের প্রতি আস্থা তৈরি করা যায় সেই বিষয়ে নিরলস কাজ করা। এই আস্থা ক্ষমতায় গিয়ে অর্জন করা সম্ভব না। কারণ, সাধারণ মানুষ আজীবন এস্টাবলিশমেন্টের বিপক্ষে। এই আস্থা অর্জন করতে হয় ক্ষমতা বলয়ের বাইরে থেকেই।

নিপুন আরও লিখেন, অরাজনৈতিক সরকার দিয়ে দীর্ঘদিন দেশ চালানো যেমন কাজের কথা না ঠিক তেমনি রাজনৈতিক সরকার হতে চাওয়া সকল রাজনৈতিক দলগুলোর বোঝা উচিত মুক্তিযুদ্ধের পরে বাংলাদেশের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় গণঅভ্যুত্থান সংগঠিত হয়েছে সকল প্রকার পূর্বানুমান (যেমন- বর্ষাকালে আন্দোলন হয় না, নির্বাচনের আগেই কেবল জোরেশোরে আন্দোলন হয়, ঘোষণা দিয়ে বিরোধী সকল পক্ষ আন্দোলনে শামিল না হলে সফল হয় না) অগ্রাহ্য করেই। সেটা সম্ভব হয়েছে সাধারণ মানুষের ন্যায্যতার আকাঙ্ক্ষা থেকেই।

সবশেষ এই নির্মাতা লিখেছেন, ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষার দুই পয়সার দাম দেন নাই। সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষা, ইচ্ছা আর দেশপ্রেমকে পুঁজি করে অরাজনৈতিক এবং রাজনৈতিক যারাই রাজনীতি রাজনীতি খেলতে চাইবে, তাদের দশাও কোন একসময় যেন পলাতক শেখ হাসিনার মতো না হয়, সেই বিষয় নিশ্চিত করতে হবে তাদেরকেই।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করলেন মাহফুজ-আসিফ-নাহিদ
দেশের বাজারে আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম
‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’
‘বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সশস্ত্র বাহিনীর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে’: প্রধান উপদেষ্টা
নওগাঁ শহরে শৃঙ্খলা ফেরাতে বিশেষ অভিযান শুরু
২০২৬ সালের মাঝামাঝিতে নির্বাচন হতে পারে: উপদেষ্টা সাখাওয়াত
সেনাকুঞ্জে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে খালেদা জিয়ার শুভেচ্ছা বিনিময়
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহত ৫ জনকে রোবটিক হাত উপহার
সেনাকুঞ্জের পথে খালেদা জিয়া
সুযোগ পেলে শেখ হাসিনার পক্ষে মামলায় লড়ব: জেড আই খান পান্না
নির্বাচন কমিশন গঠন, সিইসি হলেন অবসরপ্রাপ্ত সচিব নাসির উদ্দীন
ডিএনএ টেস্টের ফলাফল: ভিনিসিয়ুসের পূর্বপুরুষ ছিলেন ক্যামেরুনের
জামিন পেলেন সাংবাদিক শফিক রেহমান
বিএনপি ছেড়ে আওয়ামী লীগে আসা সেই শাহজাহান ওমর গ্রেপ্তার
মিরপুর ও মহাখালীতে অটোরিকশা চালকদের সেনাবাহিনীর ধাওয়া
‘শেখ হাসিনা এখনও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী’, এমন কথা বলেননি ট্রাম্প
লেবাননে ৮ শতাধিক ইসরায়েলি সেনা নিহত
ভারতে সাজাভোগ শেষে দেশে ফিরল ২৪ বাংলাদেশি কিশোর-কিশোরী
ঢাকার বিভিন্ন পয়েন্টে অবরোধ করে ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকদের বিক্ষোভ
গাজায় ইসরায়েলের হামলায় আরও ৮৮ ফিলিস্তিনি নিহত