রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪ | ৭ পৌষ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

জনসংখ্যানীতি,উন্নয়ন এবং 'থ্রি জিরো এজেন্ডা'

দেশে 'জনশুমারি ও গৃহগণনা ২০২২' এর প্রাথমিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। সেখানে আমরা দেখেছি, দেশের বর্তমান জনসংখ্যা সাড়ে ১৬ কোটি। এর চূড়ান্ত প্রতিবেদন পেতে হয়তো আমাদের আরেকটু অপেক্ষা করতে হবে। প্রাথমিক প্রতিবেদনে এটা স্পষ্ট, দেশে জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার কমছে।

স্বাধীনতার পর থেকেই জনমিতি যে প্রবণতার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে, তা ইতিবাচক বলে আমি মনে করি। কিন্তু জনসংখ্যাকে শুধু সংখ্যার নিরিখে দেখলেই চলবে না। একে জনসম্পদ হিসেবে রূপান্তর ঘটানোর জন্য উন্নয়নের দিকটি গুরুত্বপূর্ণ। সেদিক থেকে আমাদের ১৯৯৪ সালে অনুষ্ঠিত ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্স অন পপুলেশন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট-আইসিপিডি লক্ষ্যমাত্রার দিকে নজর ফেরানো আবশ্যক।

সম্প্রতি পাওয়ার অ্যান্ড পার্টিসিপেশন রিসার্চ সেন্টার-পিপিআরসি এবং ইউএনএফপিএর যৌথ আয়োজনে রাজধানীতে আমরা একটি কর্মশালার আয়োজন করি। এর উদ্দেশ্য ছিল ওই কনফারেন্সের আলোকে আগামী দশকের মধ্যে জনসংখ্যা ও উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের প্রতিশ্রুতি স্মরণ করিয়ে দেওয়া।

বস্তুত আমলাতান্ত্রিক ধারণা থেকে বেরিয়ে জনসংখ্যা নীতিকে পর্যবেক্ষণ করার ক্ষেত্রে ১৯৯৪ সালে স্থির করা আইসিপিডি লক্ষ্যমাত্রা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। ২০১৯ সালে ওই কনফারেন্সের ২৫ বছর পূর্তিতে আইসিপিডি ২৫-এ কর্মপরিকল্পনা পরিবর্তন করে 'থ্রি জিরো এজেন্ডা' বা তিন ক্ষেত্রে হ্রাস করার পরিকল্পনা স্থির করে। এর লক্ষ্যগুলোর মধ্যে রয়েছে-পরিবার পরিকল্পনা পদ্ধতি ব্যবহারের ক্ষেত্রে (১) অপূরণকৃত চাহিদাকে শূন্যে নামিয়ে আনা; (২) প্রতিকারযোগ্য মাতৃমৃত্যুর হারকে শূন্যে নামিয়ে আনা এবং লিঙ্গভিত্তিক সহিংসতা সম্পূর্ণরূপে দূরীকরণ ও ঝুঁকিপূর্ণ বাল্যবিয়ে নিশ্চিহ্নকরণ।

বলা বাহুল্য, জনসংখ্যানীতির এ লক্ষ্যমাত্রা বাস্তবায়নে বাংলাদেশ এগিয়ে থাকলেও কিছু ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা এখনও বিদ্যমান। বিশেষ করে কভিড-১৯ মহামারি সমস্যাগুলোকে আরও জটিল করে তুলেছে। জনসংখ্যা ব্যবস্থাপনায় বাংলাদেশের সাফল্য অর্জনে অব্যাহত প্রতিশ্রুতি বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। প্রজনন স্বাস্থ্য সম্পর্কে জ্ঞানের অভাব থেকেই বাল্যবিয়ে এবং অপরিকল্পিত গর্ভধারণের মতো সমস্যার সৃষ্টি হয়।

একইসঙ্গে দায়মুক্তির সংস্কৃতি এবং সুষ্ঠু বিচারের অভাবের ফলে লিঙ্গভিত্তিক সহিংসতা থেমে নেই। আমাদের জাতীয় জনসংখ্যানীতি ২০১২-এর কিছু দিক সংশোধন জরুরি। জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণে বাংলাদেশের উল্লেখযোগ্য সাফল্য থাকলেও বর্তমানে এই খাত লক্ষ্য অর্জনে অনেকখানি পিছিয়ে পড়েছে। জনসংখ্যা নীতি নিয়ে এক ধরনের বিভ্রান্তি লক্ষ্য করা যাচ্ছে। প্রাতিষ্ঠানিক ডেলিভারির ওপর একমাত্রিক জোর দেওয়ার সঙ্গে বিশ্ব গড়ের তিন গুণ সিজারিয়ান জন্মহারকে মিলিয়ে দেখাও জরুরি।

তবে লক্ষ্য করার বিষয়, আমরা প্রথমবারের মতো অষ্টম পঞ্চবার্ষিক (২০২০-'২৫) পরিকল্পনায় দেখেছি, জনসংখ্যা-সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ কিছু বিষয় যুক্ত করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে- জনসংখ্যা ব্যবস্থাপনায় উন্নতি, ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ট ও বয়স, জনসংখ্যা ফ্রন্টের চ্যালেঞ্জ। অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায় ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্টের সুফল পাওয়ার পথ প্রশস্তকরণ। এ পরিকল্পনায় জনসংখ্যানীতির ক্ষেত্রে যেসব অগ্রাধিকার গ্রহণ করা হয়েছে সেগুলো যথার্থ বলে মনে করি। যৌন শিক্ষা ও প্রজনন স্বাস্থ্য কর্মসূচিকে শক্তিশালী করা হয়েছে।

বিশেষ করে পিছিয়ে পড়া জেলা, গ্রামীণ দরিদ্র ও শহুরে বস্তিবাসীকে টার্গেট করে যেভাবে পরিবার পরিকল্পনার আধুনিক ব্যবস্থা গ্রহণের কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে, তা নিঃসন্দেহে ইতিবাচক ভূমিকা পালনে সক্ষম। একইসঙ্গে গ্রামীণ স্বাস্থ্য ব্যবস্থার উন্নয়ন; ক্লিনিক ও হাসপাতালের সংখ্যা এবং প্রশিক্ষিত জনশক্তি বৃদ্ধির মাধ্যমে ২০২৫ সালের মধ্যে প্রশিক্ষিত জনশক্তি দ্বারা ৫৯ থেকে ৭২ শতাংশ সন্তান প্রসবের পরিকল্পনা আইসিপিডি লক্ষ্যমাত্রার আলোকে গুরুত্বপূর্ণ।

তবে এখানেও মূল প্রশ্ন-কাগজে এসব ভালো পরিকল্পনা ও লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হলেও বাস্তবায়ন কৌশল আসলে কতটুকু কাজে দিচ্ছে। আশঙ্কার পরিসংখ্যান হচ্ছে, মাতৃমৃত্যু হ্রাস করার হার স্থবির হয়ে আছে। কিশোরী গর্ভধারণের হার বাংলাদেশে দক্ষিণ এশিয়ায় সর্বোচ্চ। নারীর প্রতি সহিংসতা বাড়ছে বৈ কমছে না এবং মানসম্মত কর্মসংস্থান উপযোগী শিক্ষার অভাবে অত্যধিক শিক্ষিত বেকারত্ব বিরাজমান, যা ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ট অর্জনের অন্তরায়।

ড. হোসেন জিল্লুর রহমান: অর্থনীতিবিদ ও এক্সিকিউটিভ চেয়ারম্যান, পিপিআরসি

 

Header Ad
Header Ad

আনিসুল হকের তিন ব্যাংকে ২১ কোটি টাকার সন্ধান পেয়েছে দুদক

সাবেক আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সাবেক মন্ত্রী আনিসুল হক। ছবিঃ সংগৃহীত

সাবেক আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সাবেক মন্ত্রী আনিসুল হকের ৩ ব্যাংকে মোট ১৬টি ব্যাংক হিসাবের সন্ধান পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এসব হিসাবগুলোতে প্রায় ২১ কোটি টাকা জমা থাকার তথ্য পাওয়া গেছে। যা ইতোমধ্যে ফ্রিজ করা হয়েছে।

রোববার (২২ ডিসেম্বর) দুদক সূত্রে জানা যায়।

আনিসুল হকের হিসাবগুলোর মধ্যে ব্র্যাক ব্যাংক বনানী শাখার ৬টি হিসাবের মধ্যে ফিক্সড ডিপোজিট হিসেবে ৫ কোটি টাকা এবং অন্য এক হিসাবে এসসি গোল্ডেন বেনিফিটস নামে ৫০ লাখ ৮১ হাজার টাকা জমা থাকার তথ্য পাওয়া গেছে। এছাড়া, সিটিজেন ব্যাংক ও স্ট্যান্ডার্ড চাটার্ড ব্যাংকের ৯টি হিসাব থেকে মোট ১৫ কোটি ১১ লাখ ৮৩ হাজার টাকা পাওয়া গেছে।

এ বিষয়ে দুদকের উপপরিচালক (জনসংযোগ) মো. আকতারুল ইসলাম গণমাধ্যমকে জানান, অনুসন্ধান কার্যক্রম চলমান রয়েছে। বর্তমানে নথিপত্র সংগ্রহ এবং যাচাই-বাছাইয়ের কাজ চলছে। অনুসন্ধান টিম প্রতিবেদন দাখিল করলে কমিশন আইন অনুযায়ী পরবর্তী সিদ্ধান্ত নিবে।

এ বিষয়ে দুদকের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, শত শত কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ ও পাচারের অভিযোগ থাকলেও দুদক দালিলিক প্রমাণ ছাড়া আইনি পদক্ষেপ নিতে পারে না। আমাদের তথ্য ও সংগ্রহ এবং যাচাই-বাছাইয়ের কাজ চলমান রয়েছে। যা অংশ হিসাবে তিন ব্যাংকে প্রায় ২১ কোটি টাকা জমা থাকার প্রমাণ পাওয়া গেছে এবং ফ্রিজ করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ওই টাকা তার আয়ের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ বলেই আপাতত মনে হয়েছে। চূড়ান্ত প্রতিবেদন হাতে পেলে বিস্তারিত বলা যাবে।

আনিসুল হক ও তার ঘনিষ্ঠ সহযোগী অ্যাডভোকেট তৌফিকা করিমসহ সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে গত ৭ অক্টোবর থেকে অনুসন্ধান শুরু করে দুদক। যার মধ্যে সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক এবং তার ঘনিষ্ঠ সহযোগী অ্যাডভোকেট তৌফিকা করিমের বিরুদ্ধে শত কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ রয়েছে। এছাড়া অপর এক সহযোগী ফারহানা ফেরদৌস নামে অপর এক নারীর বিরুদ্ধে আসা পৃথক আর একটি অভিযোগও আমলে নিয়ে অনুসন্ধান করছে দুদকের অনুসন্ধান টিম।

Header Ad
Header Ad

নরসিংদীতে ছাত্রদল কর্মীকে গুলি করে হত্যা

হুমায়ুনের মেহেরপাড়া ইউনিয়ন ছাত্রদলের যুগ্ম সম্পাদক। ছবি: সংগৃহীত

রাজনৈতিক প্রতিহিংসা, আধিপত্য বিস্তার ও জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে নরসিংদীর মেহেরপাড়ায় এক ছাত্রদল কর্মীকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে।

শনিবার (২১ ডিসেম্বর) দিনগত রাত ১২টার দিকে নরসিংদীর পাঁচদোনা মেহেরপাড়া বাড়ি আগিণার খেলার মাঠ থেকে তাকে ডেকে নিয়ে গুলি করে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা।

নিহত হুমায়ুন কবির (২৬) মেহেরপাড়া ইউনিয়নের নাগরারহাট এলাকার একরামুল হকের ছেলে। তিনি মেহেরপাড়া ইউনিয়ন ছাত্রদলের সদস্য।

নিহতের স্বজনরা অভিযোগ করে বলেন, আধিপত্য বিস্তার ও জমি সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে একই এলাকার বাদল মিয়া, শাহআলম ও আতাউর মেম্বারের সঙ্গে দ্বন্দ্ব চলছিল হুমায়ুন কবিরের। দ্বন্দ্বের জেরে ইতোমধ্যে দুই পক্ষ একাধিক মামলা করেছে। গতকাল শনিবার দিনগত রাতে নিহত হুমায়ুন বাড়ির পাশের আঙ্গিনায় ব্যাডমিন্টন খেলছিল। রাত ১২টার দিকে দুটি মোটরসাইকেল যোগে শাহ আলম ও টিপুসহ চারজন হুমায়ুনের বাড়ির সামনে আসে। ওই সময় তারা হুমায়ুনকে ব্যাডমিন্টন খেলা থেকে ডেকে পাঁচদোনা বাজার মাছের আড়ৎ মসজিদের দিকে ডেকে নিয়ে যায়। সেখানে সন্ত্রাসীরা তার বুকে, পিঠে ও ঘারে পরপর তিনটি গুলি করে। এ সময় সে মাটিতে লুটিয়ে পরে। গুলির শব্দ শুনে খেলার মাঠ থেকে লোকজন এগিয়ে এলে সন্ত্রাসীরা তাদের লক্ষ্য করে গুলিবর্ষণ করে আতঙ্ক সৃষ্টি করে। পরে তারা মটোরসাইকেল যোগে পালিয়ে যায়। মুমূর্ষু অবস্থায় হুমায়ুনকে হাসপাতালে আনার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এদিকে, হুমায়ুন হত্যার বিচার দাবিতে হাসপাতাল চত্বরে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন এলাকাবাসী।

নিহত হুমায়ুনের বন্ধু ও মেহেরপাড়া ইউনিয়ন ছাত্রদলের যুগ্ম সম্পাদক সুজন ভূইয়া বলেন, ‘স্বৈরাচার পতনের আন্দোলনে সক্রিয় ভূমিকা ছিল নিহত হুমায়ুনের। তার নেতৃত্বেই পাঁচদোনা মেহেরপাড়া ও মাধবদী আন্দোলন হয়েছিল। এসব ঘটনা নিয়ে সে এলাকার অনেকের রোষানলে পড়ে। এসবের জেরে তার বাড়ি ঘরে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। প্রাণ বাঁচাতে সে পালিয়ে থাকে। ৫ তারিখের পর এলাকায় আসে। এর মধ্যেই গতকাল তাকে বাড়ির আঙ্গিনা থেকে ডেকে নিয়ে গুলি করে হত্যা করা হলো।’

নিহতের বড় ভাই আল মামুন বলেন, ‘আমাদের ১৭ শতাংশ একটি জমি দখল করে নেয় বাদল মিয়ারা। পরে মামলার রায় পাওয়ার পর আমরা জমিটি দখলে নিই। এ নিয়ে তাদের সঙ্গে দ্বন্দ্ব তীব্র হয়। এরই জের ধরে তারা আমার ভাইকে গুলি করে হত্যা করেছে। এ ছাড়া স্বৈরাচার পতন আন্দোলনে তার সক্রিয় ভূমিকা ছিল। এসব নিয়ে অনেকে তাকে দমানোর চেষ্টা করছিল।’

মাধবদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নজরুল ইসলাম বলেন, ‘ব্যাডমিন্টন খেলা শেষে অজ্ঞাত দুর্বৃত্তরা তাকে গুলি করে পালিয়ে যায়। ধারণা করা হচ্ছে, পূর্ব শত্রুতার জেরেই তাকে হত্যা করা হয়েছে। হত্যার প্রকৃত কারণ উদঘাটনসহ হত্যাকারীদের গ্রেপ্তারে কাজ করছে পুলিশ।’

Header Ad
Header Ad

শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ইন্টারপোলের রেড নোটিশের বিষয়ে নিশ্চিত নয় ট্রাইব্যুনাল

শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ইন্টারপোলের রেড নোটিশ জারি। ছবি: সংগৃহীত

সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে রেড নোটিশ জারির বিষয়ে নিশ্চিত নয় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। নোটিশ জারি হলে তা পুলিশের এনসিবি শাখা জানাবে বলে জানান তাজুল ইসলাম। 

রবিবার (২২ ডিসেম্বর) দুপুরে এক সাংবাদিক ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা বলেন।

এদিকে শেখ হাসিনাকে বন্দি প্রত্যর্পণ চুক্তির মাধ্যমে ভারত থেকে দেশে ফেরাতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আবেদন করে রেখেছেন চিফ প্রসিকিউটর। সে বিষয়ে সরকারের তরফ থেকে অগ্রগতি জানানো হয়নি।

শুধু শেখ হাসিনাই নয়, দেশের বাইরে পালিয়ে যাওয়া আওয়ামী লীগ নেতা আসাদুজ্জামান খান কামাল, হাসান মাহমুদসহ বেশ কয়েকজনের বিরুদ্ধে ইন্টারপোলের রেড নোটিশ জারির পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছে প্রসিকিউশন।

গত ১০ নভেম্বর আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল গণমাধ্যমকে জানান, হাসিনাসহ জুলাই-আগস্ট গণহত্যায় অভিযুক্ত পলাতক সকল আসামিকে ফিরিয়ে আনতে ইন্টারপোলের মাধ্যমে রেড অ্যালার্ট নোটিশ জারি করতে যাচ্ছে সরকার।

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের পুরাতন ভবনের সংস্কারকাজ পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের তিনি বলেছিলেন, পলাতক ফ্যাসিস্ট চক্র পৃথিবীর যে দেশেই থাকুক, ইন্টারপোলের মাধ্যমে তাদের ধরে এনে বিচারের মুখোমুখি করা হবে।

শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে রেড অ্যালার্ট নোটিশ জারি করতে গত ১০ নভেম্বর ইন্টারপোলকে চিঠি দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছিলেন ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম।

১২ নভেম্বর ট্রাইব্যুনাল প্রাঙ্গণে প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি বলেন, শেখ হাসিনা গণহত্যা, গুমসহ অন্যান্য মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্ত এবং মামলার আসামি। তবে তিনি পালিয়ে গেছেন এবং বর্তমানে দেশের সীমানার বাইরে অবস্থান করছেন।

এরকম একজন অপরাধীকে গ্রেফতার করতে বা তার বিরুদ্ধে রেড অ্যালার্ট নোটিশ জারি করতে আন্তর্জাতিক সংস্থা হিসেবে ইন্টারপোলকে চিঠি দেয়া হয়েছে।'

তিনি আরও জানিয়েছিলেন, চিঠিতে শেখ হাসিনাকে গ্রেপ্তার করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে আহ্বান জানানোর পাশাপাশি ইন্টারপোলকে গ্রেপ্তার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তাকে ট্রাইব্যুনালে উপস্থিত করার বাধ্যবাধকতার কথা জানানো হয়েছে।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের মুখে গত ৫ আগস্ট দেশ ছেড়ে ভারতে আশ্রয় নেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপর থেকে তিনি সেখানেই অবস্থান করছেন বলে জানিয়েছে ভারতীয় কর্তৃপক্ষ।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

আনিসুল হকের তিন ব্যাংকে ২১ কোটি টাকার সন্ধান পেয়েছে দুদক
নরসিংদীতে ছাত্রদল কর্মীকে গুলি করে হত্যা
শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ইন্টারপোলের রেড নোটিশের বিষয়ে নিশ্চিত নয় ট্রাইব্যুনাল
ভারতের কাছে হেরে বাংলাদেশের স্বপ্নভঙ্গ
এক দশক পর ফিরলো ‘আমার দেশ’ পত্রিকা
৩০০ মিলিয়ন ডলার পাচার: হাসিনা ও জয়ের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু দুদকের
ইয়েমেনে হুথিদের লক্ষ্যবস্তুতে মার্কিন বিমান হামলা
লোকসানের মিথ্যা গল্প শোনাচ্ছে ব্রিডার ফার্মগুলো
একজন ঢাকা অন্যজন কলকাতায় সংসার ভাঙছে মিথিলার
আইনজীবী আলিফ হত্যা: তদন্ত কমিটির সব সদস্যের পদত্যাগ
যে কোন সময় বাংলাদেশের পাশে নতুন দেশ
গাজীপুরে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণ হয়ে আওয়ামী লীগ নেতার স্ত্রীর মৃত্যু
বাংলাদেশে ইসলামি চরমপন্থা আসবে না: ড. ইউনূস
  সংকট কাটছে, মেট্রোর যাত্রীদের সুখবর দিল ডিএমটিসিএল
ভারতের বিপক্ষে ১১৮ রান করলেই এশিয়া কাপ ঘরে ‍তুলবে বাংলাদেশ
বিরামপুরে শীতার্তদের মাঝে কম্বল বিতরণ
টাঙ্গাইলে আ.লীগ নেতা ও ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল আলীম আটক
শেখ হাসিনা নিজ হাতে তার বাবাকে দ্বিতীয়বার হত্যা করেছে: গয়েশ্বর
চুয়াডাঙ্গায় অবৈধ যানবাহন বন্ধ না হলে গণপরিবহন বন্ধের ঘোষণা
জুমার দিনে ফিলিস্তিনের মসজিদে আগুন দিল ইসরায়েলিরা