সোমবার, ৩১ মার্চ ২০২৫ | ১৭ চৈত্র ১৪৩১
Dhaka Prokash

কর্তৃত্ববাদী শাসনব্যবস্থায় ফিরতে চায় চীন

গত চল্লিশ বছরে চীন কিন্তু অর্থনৈতিকভাবে যথেষ্ট শক্তিশালী হয়েছে। এর ফলে যেটি হয়েছে, চীনের দারিদ্র্যসীমার নিচে যে জনসংখ্যা ছিল, তাদের একটি বড় অংশকে চীন উপরের দিক নিয়ে আসতে পেরেছে। তারাই কিন্তু বর্তমানে চীনের অর্থনীতির প্রধান চালিকা শক্তি। সেই বিবেচনায়ই চীন আসলে উন্নয়নশীল দেশের কাতার থেকে পৃথিবীর দ্বিতীয় অর্থনীতির দেশে রূপান্তরিত হয়েছে।

অনেকেই বলছেন যে, এই ধারা যদি অব্যাহত থাকে, তাহলে চীন হয়তো পৃথিবীর এক নম্বর অর্থনৈতিক দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হতে পারে ২০৫০ সাল নাগাদ। এখন এই যে ধারাগুলো বলা হলো, চীন তার অর্থনৈতিকতভাবে কাঠামো বজায় রেখেছে। রাজনৈতিক কাঠামোও মোটামুটিভাবে উদার অবস্থায় ছিল। তারা কূটনৈতিক ক্ষেত্রেও উদারনীতি ব্যবস্থা করেছে। এবারে চীনাদের উপর বিশেষ করে মার্কিনিদের পাশ্চাত্য জগতের পক্ষ থেকে আস্তে আস্তে যে চাপটি বাড়ছে, সেই চাপের পাশাপাশি কোভিডকালীন তাদের উপর চাপ এবং এখন ইউক্রেন-রাশিয়া পরিপ্রেক্ষিতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং প্রাশ্চাত্য শক্তি সম্মিলিতভাবে চীনের উপর একটি চাপ সৃষ্টি করছে। সেই প্রেক্ষাপটে এবারের কংগ্রেসে নতুন দিক নির্দেশনা অথবা নতুন পথ খোলার চেষ্টা করেছে।

চীনারা এখন মনে করছে, অর্থাৎ কংগ্রেস মনে করেছে যে, এখন আমরা চারদিকে বাইরের আক্রমণের মুখে আছি এবং বাইরে এতদিন যে সুযোগ সুবিধাগুলো পেতাম, রপ্তানি বাণিজ্যসহ অনেকক্ষেত্রেই, সেগুলো বাধাগ্রস্ত হওয়ার সম্ভাবনা শুরু হয়েছে। সেকারণেই চীনের একটি অন্তর্মুখী অর্থনীতির দিকে যাওয়ার একটি প্রবণতা দেখতে পাচ্ছি। অভ্যন্তরীণভাবে তারা একটি শক্তিশালী অর্থনীতি গঠনের চেষ্টা করছে।

দ্বিতীয় যে জায়গাটি রয়েছে, সেখানে যদি যেতে হয়, অর্থাৎ জাতীয় পুনরুজ্জীবনের কথা শি জিন পিং প্রথমবারে এসে বলেছিলেন, আমরা জাতীয়ভাবেই পুনরুজ্জীবন ঘটাতে চাই। দ্বিতীয়বারেও বলছেন যে, আমরা জাতীয় পুনরুজ্জীবন ঘটাতে চাই। সেকারণেই প্রথমবারের রাজনৈতিক ধারাবাহিকতা সেটিই একটুখানি ছেদ ঘটিয়ে প্রথমবারে কিন্তু চীনের রাষ্ট্রপ্রধান হিসেবে কিন্তু তিনি অভিষিক্ত হলেন। চল্লিশ বছরের রাজনৈতিক সংস্কৃতি তার থেকে একটুখানি ব্যতিক্রম। এটি অনেকেরই দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে।কর্তৃত্ববাদী শাসনব্যবস্থায় তারা ফিরে যাচ্ছেন। এবার অনেকেই বলছেন, তিনি সংবিধান সংশোধন করে যে ঘোষণা দিয়েছেন, এর মাধ্যমে তিনি হয়তো আজীবন প্রেসিডেন্ট থেকে যাবেন।

এখন এটি প্রতীয়মান হচ্ছে যে, চীনারা তাদের কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা করার জন্য আগ্রহী হয়ে পড়েছে এবং সেখানে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সেটিকে প্রতিহত করার জন্য সক্রিয় হয়েছে। এদের ভেতর এক ধরনের প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক অবস্থান তৈরি হয়েছে। এধরনের প্রতিদ্বন্দ্বিতা চীনের জন্য সুখকর মনে হয় না। কারণ চীনের উত্থান মূলত ছিল শান্তিপূর্ণ। তবে বর্তমান প্রেক্ষাপটে বলা যায় চীন আন্তর্জাতিক অঙ্গনে কিছুটা বেকায়দায় পড়েছে। কাজেই তাদের বাইরের পৃথিবীর সঙ্গে সম্পর্কের জায়গাটি পুনর্বিন্যাস করতে হবে।

তাদের হাতে সম্পদের পরিমাণ কমে আসছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র প্রযুক্তি রপ্তানির ক্ষেত্রে যেমন তার বিধিনিষেধ আরোপ করেছে। তাদের অগ্রগতিক কূটনীতি পরিচালনা করার কারণে পৃথিবীতে একটি ধারণা তৈরি হয়েছে যে চীনারা তাদের কর্তৃত্ব নতুন করে প্রতিষ্ঠা করার জন্য আগ্রহী হয়ে পড়েছে এবং সেটিকে প্রতিহত করতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট ইতোমধ্যে সচেষ্ট হয়েছে। ফলে উভয়দিকেই এক ধরনের পরস্পর প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক অবস্থান তৈরি হয়েছে। এ ধরনের প্রতিদ্বন্দ্বিতা চীনের জন্য খুব একটা ভালো কথা নয়। চীন তাদের অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে এবং রাজনৈতিক ক্ষেত্রে যে মডেলটা অনুসরণ করছে, বহির্বিশ্বে তার আবেদন খুব একটা নেই বলেই মনে হয়। তবে প্রতীয়মান হচ্ছে যে, প্রতিযোগিতার মধ্য দিয়েই একক নীতি অনুসরণ করেই চীন সম্মুখে এগিয়ে যেতে চায়।

লেখক: সাবেক রাষ্ট্রদূত

এসএন

 

 

Header Ad
Header Ad

যশোরের শার্শা সীমান্তে যুবকের লাশ উদ্ধার, আটক ১

ছবি : ঢাকাপ্রকাশ

যশোরের শার্শা উপজেলার সীমান্ত এলাকা থেকে জামাল হোসেন (২৫) নামে এক যুবকের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহত যুবক সাতক্ষীরা জেলার কলারোয়া থানার কাদপুর গ্রামের আইয়ুব হোসেনের ছেলে। ঘটনায় জড়িত সন্দেহে পুলিশ একজনকে আটক করেছে।

রোববার (৩০ মার্চ) রাতে উপজেলার গোগা ইউনিয়নের ইছাপুর গ্রামের শফি ইটভাটা সংলগ্ন সেতাই-বালুন্ডা সড়কের পাশে লাশটি পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়রা পুলিশে খবর দেন। পরে শার্শা থানার ওসি কে এম রবিউল ইসলাম নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছে লাশ উদ্ধার করে।

ওসি কেএম রবিউল ইসলাম জানান, "লাশের পাশে একটি অ্যাপাচি ৪ভি কালো রঙের মোটরসাইকেল এবং হত্যার কাজে ব্যবহৃত কিছু মেহগনি গাছের চলাকাঠ পাওয়া গেছে। নিহতের মুখ ও মাথায় একাধিক আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।"

প্রাথমিকভাবে নিহতের মোবাইল ফোনের সূত্র ধরে তার পরিচয় শনাক্ত করা হয়।

স্থানীয়দের বরাতে পুলিশ জানায়, নিহত জামাল হোসেন মাদক চোরাচালানের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। তিনি সাতক্ষীরা জেলার কলারোয়া সীমান্ত এলাকা থেকে ফেনসিডিল বহন করে শার্শা ও বেনাপোল পোর্ট থানার বিভিন্ন মাদক কারবারিদের কাছে সরবরাহ করতেন।

পুলিশের সন্দেহভাজন তালিকায় থাকা কাদপুর গ্রামের আলী হোসেন খাঁর ছেলে জাহিদ হাসানকে আটক করা হয়েছে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।

এদিকে, নিহতের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য যশোর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।

পুলিশ জানিয়েছে, হত্যাকাণ্ডের কারণ ও এর সঙ্গে জড়িতদের শনাক্ত করতে তদন্ত চলছে।

Header Ad
Header Ad

চীনে বিশাল তেলক্ষেত্র আবিষ্কার, মজুদ ১০ কোটি টনের বেশি

ছবি: সংগৃহীত

চীনের জাতীয় তেল কোম্পানি চায়না ন্যাশনাল অফশোর অয়েল কর্পোরেশন (CNOOC) জানিয়েছে, তারা পূর্ব দক্ষিণ চীন সাগরে একটি বিশাল তেলক্ষেত্র আবিষ্কার করেছে। ধারণা করা হচ্ছে, নতুন এই খনিতে ১০ কোটি টনেরও বেশি অপরিশোধিত তেলের মজুদ রয়েছে।

সোমবার (৩১ মার্চ) দেশটির রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা সিনহুয়া জানায়, নতুন আবিষ্কৃত হুইঝো ১৯-৬ তেলক্ষেত্রটি দক্ষিণ চীনের গুয়াংডং প্রদেশের শেনজেন শহর থেকে প্রায় ১৭০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত।

সিএনওওসি জানিয়েছে, পরীক্ষামূলক খনন থেকে প্রতিদিন ৪১৩ ব্যারেল অপরিশোধিত তেল এবং ৬৮ হাজার ঘনমিটার প্রাকৃতিক গ্যাস উত্তোলন করা সম্ভব হয়েছে। প্রতিষ্ঠানটির প্রধান নির্বাহী ঝোউ সিনহুয়াই এই আবিষ্কারকে ‘দক্ষিণ চীন সাগরের পূর্বাঞ্চলীয় জলসীমায় ধারাবাহিক সাফল্যের অংশ’ বলে অভিহিত করেছেন।

তিনি আরও বলেন, “সিএনওওসি পরপর দুই বছর ১০০ মিলিয়ন টনের বেশি মজুদের তেলক্ষেত্র আবিষ্কার করেছে, যা চীনের অফশোর তেল ও গ্যাস উৎপাদনের ক্রমাগত বৃদ্ধির ইঙ্গিত দেয়।”

মার্কিন জ্বালানি তথ্য প্রশাসন বলছে, দক্ষিণ চীন সাগরে বিশাল পরিমাণে তেল ও গ্যাস মজুদ রয়েছে। তবে অঞ্চলটি বিভিন্ন দেশের মধ্যে বিরোধপূর্ণ হওয়ায় অনেক ক্ষেত্রই এখনো অপ্রকাশিত রয়ে গেছে।

চীন দক্ষিণ চীন সাগরের প্রায় পুরোটাই নিজেদের বলে দাবি করে, তবে ফিলিপাইন, মালয়েশিয়া, ভিয়েতনাম, ইন্দোনেশিয়া এবং ব্রুনাই এই দাবির বিরোধিতা করে আসছে। ফলে নতুন এই তেলক্ষেত্র আবিষ্কারের পর ভূরাজনৈতিক উত্তেজনা আরও বাড়তে পারে বলে বিশ্লেষকরা মনে করছেন।

মার্কিন সরকারের এক বিশ্লেষণ অনুসারে, চীন বর্তমানে বিশ্বের সবচেয়ে বড় অপরিশোধিত তেল আমদানিকারক দেশ। গত বছর দেশটি প্রতিদিন ১ কোটি ১১ লাখ ব্যারেল তেল আমদানি করেছে।

সিএনওওসির প্রধান ভূতাত্ত্বিক জু চাংগুই এই আবিষ্কারকে ‘বড় সাফল্য’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন এবং বলেছেন, এটি চীনের জ্বালানি খাতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে।

সূত্র: সিনহুয়া ও রয়টার্স

Header Ad
Header Ad

রাজধানীতে সুলতানি আমলের আদলে ঈদ আনন্দ মিছিল

ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের উদ্যোগে রাজধানীতে সুলতানি আমলের আদলে ঈদ আনন্দ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে, যেখানে ঢাকার ৪০০ বছরের পুরনো ঐতিহ্যকে তুলে ধরা হয়েছে। এই আনন্দ মিছিলে অংশ নিয়েছেন বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার হাজারও মানুষ, যা আরও বর্ণিল ও প্রাণবন্ত হয়ে ওঠে তাদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে।

মিছিলটি সোমবার সকালে রাজধানীর আগারগাঁওয়ের পুরাতন বাণিজ্য মেলার মাঠের সামনে থেকে শুরু হয় এবং খামারবাড়ি মোড় হয়ে মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজার সামনে গিয়ে শেষ হয়।

ঈদের জামাত শেষ হতেই মিছিলের মধ্যে বাজতে থাকে ব্যান্ডপার্টির সুর, আর গাওয়া হয় ‘ও মোর রমজানের ওই রোজার শেষে’। মিছিলে ছিল সুসজ্জিত পাঁচটি শাহী ঘোড়া, ১৫টি ঘোড়ার গাড়ি, এবং ব্যান্ডপার্টি ও বাদ্যযন্ত্র। এছাড়াও, সুলতানি-মুঘল আমলের ইতিহাসচিত্র সম্বলিত পাপেট শো ছিল, যা অংশগ্রহণকারীদের আনন্দের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়।

মিছিল শেষে অংশগ্রহণকারীদের সেমাই ও মিষ্টি খাওয়ানো হয় এবং একটি সংক্ষিপ্ত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানও অনুষ্ঠিত হয়।

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ জানান, "আমাদের উদ্দেশ্য ঢাকার হারিয়ে যাওয়া ঐতিহ্যগুলো ফিরিয়ে আনা। এই ঈদ আনন্দ মিছিল তারই একটি অংশ। ভবিষ্যতে আরও বড় পরিসরে এই আয়োজন করা হবে।"

এদিকে, ঈদের এই আনন্দ আয়োজনের নিরাপত্তার জন্য পুরো এলাকায় কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা সার্বক্ষণিক তৎপর ছিলেন। অংশগ্রহণকারীরা জানিয়েছেন, এই ধরনের আয়োজন প্রতি বছর হলে ঈদের আনন্দ আরও বহুগুণ বেড়ে যাবে।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

যশোরের শার্শা সীমান্তে যুবকের লাশ উদ্ধার, আটক ১
চীনে বিশাল তেলক্ষেত্র আবিষ্কার, মজুদ ১০ কোটি টনের বেশি
রাজধানীতে সুলতানি আমলের আদলে ঈদ আনন্দ মিছিল
গাজীপুরে বাসচাপায় শিশুসহ দুই যাত্রী নিহত, আহত ৪
টাঙ্গাইলে কেন্দ্রীয় ঈদগাহ মাঠে পবিত্র ঈদুল জামাত অনুষ্ঠিত
ট্রাম্পের হুঁশিয়ারি: পরমাণু চুক্তি না হলে ইরানে বোমা হামলা ও নিষেধাজ্ঞা
লোহাগাড়ায় দুই বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে পাঁচজন নিহত
বাধা সত্ত্বেও নতুন বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যাশা প্রধান উপদেষ্টার
ঈদের সকালেও নাড়ির টানে ছুটছে মানুষ
ঈদের দিন ইসরায়েলি হামলায় নিহত ৬৪ ফিলিস্তিনি
দেশবাসীকে ঈদের শুভেচ্ছা জানালেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ইউনূস
টাঙ্গাইলে ঈদের মাঠে সংঘর্ষের শঙ্কায় ১৪৪ ধারা জারি
বছর ঘুরে এলো খুশির ঈদ, আজ দেশজুড়ে উদযাপন
যুক্তরাষ্ট্রে ৩ হাজারের বেশি ঈদ জামাত, প্রবাসীদের মাঝে উৎসবের আমেজ
মায়ের সঙ্গে ঈদ উদযাপনের ছবি শেয়ার করে যা বললেন তারেক রহমান
ময়মনসিংহে বাসের ধাক্কায় অটোরিকশার নারী-শিশুসহ নিহত ৪
ঈদের শুভেচ্ছা জানালেন খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান
ঈদের আগের দিন গাজীপুরে বন বিভাগের উচ্ছেদ অভিযান
ঈদুল ফিতরের ছুটিতে দুই দিনে রাজধানী ছাড়লেন ৪১ লাখ মানুষ
ঈদেও রেহাই নেই গাজার, ইসরায়েলি হামলায় নিহত ৯