রবিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৫ | ১৪ বৈশাখ ১৪৩২
Dhaka Prokash

পর্ব-২

কৃষির পরেই প্রবাসী আয় বাংলাদেশের অর্থনীতিতে বড় চালক

এই প্রেক্ষাপটে প্রধানমন্ত্রীর বিশ্ব মহামন্দার হুঁশিয়ারিকে গুরুত্বের সঙ্গে গ্রহণ করে আমাদের খুবই বিচক্ষণতায় পা ফেলতে হবে। সেজন্য নিচে মোদ্দা কিছু নীতি অনুসরণ করা গেলে এই মহাসংকট মোকাবিলায় বাংলাদেশ অনেক দেশের চেয়েই ভালো করবে।

নীতি পরামর্শ:
এক. প্রধানমন্ত্রী যেমনটি বলেছেন কৃষিকেই আমাদের সবচেয়ে বড় রক্ষাকবচ হিসেবে গুরুত্ব দিতে হবে। সেজন্য যথোপযুক্ত বাজেটারি সহায়তা ছাড়াও সহজ শর্তে ঋণ, সম্প্রসারণ এবং মার্কেটিং সমর্থন দিয়ে যেতে হবে।

দুই. কৃষিভিত্তিক শিল্পের প্রসারের পাশাপাশি কৃষিপ্রক্রিয়াজাত পণ্যের রপ্তানি বাড়ানোর জন্য সবধরনের নীতি সমর্থন দিতে হবে।

তিন. বদলে যাওয়া গ্রাম বাংলায় অকৃষি খাতের প্রসারের জন্য ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তাদের হাতে প্রয়োজনীয় পুঁজি যোগান দিয়ে যেতে হবে। বাংলাদেশ ব্যাংক ছোট ও মাঝারি উদ্যোক্তাদের জন্য অল্প সুদে পঁচিশ হাজার কোটি টাকার যে পুনঃঅর্থায়ন কর্মসূচি হাতে নিয়েছে তা দ্রুত বাস্তবায়নের দিকে মনোযোগ বাড়াতে হবে। বাস্তবায়নের গতি কতোটা তা দেখার জন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংক ডিজিটাল মনিটরিং জোরদার করতে পারে। এই কর্মসূচি যেন অব্যাহত থাকে সেজন্য আরও পঁচিশ হাজার কোটি টাকার তহবিল পাইপলাইনে রাখা যেতে পারে।

চার. এই কর্মসূচির মধ্যে সোলার সেচ প্রকল্প যুক্ত করা উচিত। পাশাপাশি কৃষি যান্ত্রিকিকরণ কর্মসূচির অধীনে যে ভর্তুকির সুযোগ দেওয়া হচ্ছে তা এই সোলার সেচ উদ্যোগের জন্যও প্রযোজ্য করা হোক। বর্তমানে প্রায় চৌদ্দ লাখ ডিজেলচালিত সেচ পাম্প আছে। এর অর্ধেক পরিমাণও যদি সোলারে রুপান্তরিত করা যায় তাহলে একদিকে জ্বালানি আমদানি খরচ কমবে, অন্যদিকে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় বাংলাদেশের সাফল্যের ঝুড়িতে নয়া উপকরণ যুক্ত হবে। কৃষকেরও দীর্ঘমেয়াদি বিনিয়োগ বাড়বে।

পাঁচ. ব্যাংকগুলোকে ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোগে ঋণ দিতে উৎসাহী করার জন্য সরকার বাংলাদেশ ব্যাংক মাধ্যমে ক্রেডিট গ্যারান্টি স্কিমের জন্য অর্থ বরাদ্দ করেছে। সোলার পাম্পকেও এই কর্মসূচির সুবিধা দেওয়া যেতে পারে। তাহলে কৃষিতে বিনিয়োগের হার বাড়বে। প্রয়োজনে এই গ্যারান্টি স্কিমের জন্য বাজেটারি বরাদ্দ আরও বাড়ানো যেতে পারে।

ছয়. ন্যানো ক্রেডিট ও ছোট ব্যবসায়ীদের জন্য ডিজিটাল ফাইন্যান্সের আওতায় ট্রেড লাইসেন্স ছাড়াই ঋণ দেওয়ার যে উদ্যোগ বাংলাদেশ ব্যাংক নিয়েছে তা অবশ্যই প্রশংসনীয়। আধুনিক কৃষি উদ্যোক্তাদেরও এই সুযোগ দেওয়া হোক।

সাত(১). কৃষির পরেই প্রবাসী আয় বাংলাদেশের অর্থনীতিতে বড় এক চালক হিসেবে সক্রিয় ভূমিকা রাখছে। হালে নতুন করে অনেকেই প্রবাসী কর্মী হিসেবে বিদেশে যাচ্ছেন। এরা যাতে সহজেই উপযুক্ত রেটে তাদের বিদেশি আয় দেশে পাঠাতে পারেন সেদিকে নীতি সুবিধা নিশ্চিত করতে হবে। এক্সচেঞ্জ হাউজগুলো যেন তাদের ঠকাতে না পারে সেদিকে নজরদারি বাড়াতে হবে। একই সঙ্গে হুন্ডির ক্ষেত্রগুলো উপড়ে ফেলার যে উদ্যোগ বাংলাদেশ ব্যাংক ও আইনশৃঙ্খলা কর্তৃপক্ষ নিচ্ছে সেগুলোর ব্যাপ্তি আরও বাড়াতে হবে।

সাত(২). বড় আকারের প্রবাসী আয় দেশে আনার জন্য বিনিয়োগ বন্ড, ট্রেজারি বন্ডসহ নানাধরনের বিনিয়োগ যাতে সহজেই প্রবাসীরা করতে পারেন যে জন্য ডিজিটাল লেনদেনের যে উদ্যোগ বাংলাদেশ ব্যাংক নিয়েছে তা আরও সহজলভ্য করতে হবে। এ বিষয়ে যথেষ্ট তথ্যও প্রবাসীদের দিতে হবে। এনআইডি সম্পর্কিত জটিলতা এবং বন্ড রিনিউয়াল জটিলতা দ্রুত দূর করে প্রবাসীদের মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদি বিনিয়োগে উৎসাহী করতে হবে।

আট. প্রবাসীদের সার্বজনীন পেনশন স্কিমে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে যুক্ত করা ছাড়াও তাদের ছেলেমেয়েদের আগেভাগে বৃত্তি ও উপবৃত্তির ব্যবস্থা করতে হবে।

নয়(১). প্রবাসী কর্মীদের দক্ষতা বৃদ্ধির কর্মসূচিতে অগ্রাধিকার দেওয়া যেতে পারে। তারা যখন ছুটিতে দেশে আসেন অথবা চাকরি হারিয়ে দেশে ফেরেন তাদের জন্য বিশেষ দক্ষতা বৃদ্ধির প্রশিক্ষণ কর্মসূচিতে যুক্ত করার উদ্যোগ জাতীয় দক্ষতা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ নিশ্চয় নিতে পারে।

নয়(২). প্রবাসীদের যারা ওয়ার ট্রান্সফারের মাধ্যমে প্রবাসী আয় পাঠান এবং ফ্রিল্যান্সিং এর অর্থ যারা দেশে আনেন তাদের কম রেটে ডলার বিক্রি করতে হয়। সব বিদেশি আয়কারকদের একই হারে ডলার বিনিময় হার দেওয়ার জন্য যে দাবি উঠেছে তা আমার কাছে যুক্তিসংগতই মনে হয়। এ বিষয়ে দ্রুত সিদ্ধান্ত নেওয়ার প্রয়োজন রয়েছে।

দশ. এরই কথা রপ্তানিকারকদের বেলাতেও খাটে। তারাই বা কেন কম রেটে ডলার বাঁচবেন। আমদানিকারকরাই বা বেশি দামে ডলার কিনবে। একটি বাজার নির্ভর বিনিময় হার সবার জন্য তৈরি করতেই হবে আমাদের। ভারত তো তা করতে পেরেছে। আমরা কেন পারব না?

এগারো. যে সব ব্যাংক রপ্তানি বা প্রবাসী আয় বেশি সংগ্রহ করতে পারছে না তাদের আমদানি দায় মেটানো বেশ কঠিন হয়ে পড়ছে। সেজন্য যেসব ব্যাংকের বিদেশি মুদ্রার আয় বেশি তাদের একটি রেটের আশেপাশেই একটি ব্যান্ডের মধ্যেই ডলার বিক্রির নির্দেশনা কেন্দ্রীয় ব্যাংককেই দিতে হবে।

বারো. এ ছাড়া আন্তর্জাতিক উন্নয়ন বা আর্থিক সংস্থা থেকে কম সুদে দীর্ঘমেয়াদি ঋণ সংগ্রহে বাংলাদেশ যথেষ্ট পারদর্শিতা দেখাচ্ছে। গুণমাণের প্রকল্প বাস্তবায়নে গতি এনে এধরনের বিদেশি সহযোগিতা আরও বেশি বেশি সংগ্রহ করে যেতে হবে।

তেরো. বেশি সুদের কম সময়ের বাণিজ্যিক বা হার্ড টার্ম ঋণ নেওয়ার আগে দশবার চিন্তা করাই শ্রেয় হবে।
চৌদ্দ. বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলগুলোর দ্রুত বাস্তবায়ন শেষ করে বিদেশি সরাসরি বিনিয়োগ বাড়াতে আরও বেশি উদ্যোগী হতে হবে।

পনেরো. বাণিজ্যিক অর্থায়নের ওপর মনিটরিং বাড়িয়ে সহজেই বিদেশে অর্থ পাচারের ছিদ্রগুলো অবশ্যই বন্ধ করতে হবে।

এরকম আরও অনেক নীতি পরামর্শ দেওয়া যেতে পারে। সব অংশীজনের সঙ্গে বসে নিবিড় আলাপ করে নিয়মনীতি পর্যালোচনা করে নতুন করে স্মার্ট নীতি চালু করার সুযোগ নিশ্চয় আছে। এই সংকটকালে সবাইকে ধৈর্য ধরতে হবে। বাজারে প্যানিক ছড়ায় এমন কিছুই করা যাবে না। দীর্ঘদিন ধরে আমরা স্বকীয় দেশজ অনেক অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়ন নীতি কৌশল আমরা উদ্ভাবন করেছি। পরীক্ষিত এ সব নীতিকাঠামোর ওপর ভরসা করে হিসেব করে এগুলে নিশ্চয় চলমান মন্দা বা আগামী দিনের মহামন্দা মোকাবিলা করেই বাংলাদেশের উন্নয়নের সুনাম ধরে রাখতে পারব। এজন্য সবাইকে একযোগে কাজ করে যেতে হবে।

লেখক: বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ও বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর

আগের পর্বটি পড়ুন>>>

বিশ্ব মন্দা প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর সময়োচিত সতর্কবার্তা

আরএ/

Header Ad
Header Ad

টাঙ্গাইলে শ্রমিকদলের নেতাকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ

ছবি : ঢাকাপ্রকাশ

জমি বিরোধকে কেন্দ্র করে টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে ফজল হক (৫০) নামে এক শ্রমিকদলের নেতাকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে।

রবিবার (২৭ এপ্রিল) সকালে উপজেলার বংশীনগর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

ফজল হক উপজেলার বংশীনগর গ্রামের মৃত দেলোয়ার হোসেনের ছেলে। তিনি বাশতৈল ইউনিয়ন শ্রমিক দলের সভাপতি।

এ ঘটনায় নিহত ফজল হকের স্ত্রী মরিয়ম বেগম ও তার ছেলে মনির হোসনকেও পিটিয়ে আহত করা হয়। তারা দু’জনেই মির্জাপুর কুমুদিনী হাসপাতালে ভর্তি।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, ফজল হক ও তার ভাতীজা পারভেজের সাথে দীর্ঘ দিন যাবৎ জমি নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। রবিবার সকালে ভাতিজা পারভেজসহ অন্তত ২৫ জন নিহত ফজল হকের দখলে থাকা জমি দখল নিতে যায়। এতে ফজল হক ও তার পরিবারের লোকজন বাধা দেয়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে তারা ফজল হক, ছেলে মনির হোসেন ও স্ত্রী মরিয়ম বেগমকে পিটিয়ে রক্তাক্ত করে।

এরপর স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে মির্জাপুর কুমুদিনী হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ফজল হককে মৃত বলে ঘোষণা করে।

বাশতৈল ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ জানান, ওই জমি নিয়ে ইতোপূর্বে একাধিবার গ্রাম্য শালিস হয়েছে। রবিবার তার ভাতিজা পারভেজ, আনোয়ার, জিন্নাহসহ ২৫-৩০ জন ফজল হকের ওপর হামলা চালিয়ে তাকে হত্যা করে।

তিনি আরও জানান, ফজল হক বাশতৈল ইউনিয়ন শ্রমিকদলের সভাপতি হিসাবে আজই দায়িত্ব বুঝে নেওয়ার কথা ছিল।

এ ব্যাপারে মির্জাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোশারফ হোসেন জানান, হত্যা মামলা প্রক্রিয়াধীন।

Header Ad
Header Ad

পাকিস্তানের সঙ্গে বাণিজ্য বন্ধে ভারতের ১.১৪ বিলিয়ন ডলার ক্ষতির শঙ্কা

ছবি: সংগৃহীত

কাশ্মীরের পহেলগামে বন্দুকধারীদের হামলার পর ভারত-পাকিস্তান সম্পর্কে নতুন করে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে। এ হামলার জন্য ইসলামাবাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে নয়া দিল্লি সিন্ধু নদী পানিবণ্টন চুক্তি স্থগিতসহ একাধিক কড়া পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে।

এর প্রতিক্রিয়ায় পাকিস্তান গত বৃহস্পতিবার ভারতের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ও চুক্তি স্থগিতের সিদ্ধান্ত নেয়। পাশাপাশি, ভারতীয় বিমানের জন্য নিজেদের আকাশসীমাও বন্ধ করে দেওয়ার ঘোষণা দেয় ইসলামাবাদ। এমন তথ্য জানিয়েছে দ্য এক্সপ্রেস ট্রিবিউন।

রোববার (২৭ এপ্রিল) প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে পাকিস্তান বিজনেস ফোরামের (পিবিএফ) কর্মকর্তারা জানান, পাকিস্তানের সঙ্গে বাণিজ্য বন্ধ হওয়ার ফলে ভারত বছরে প্রায় ১.১৪ বিলিয়ন ডলার ক্ষতির মুখে পড়তে পারে। পিবিএফের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৪ সালের এপ্রিল থেকে ২০২৫ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত ভারত পাকিস্তানে প্রায় ৫০০ মিলিয়ন ডলারের পণ্য রপ্তানি করেছে, যেখানে একই সময়ে পাকিস্তান থেকে ভারতের আমদানি ছিল মাত্র ৪.২ মিলিয়ন ডলার।

এছাড়াও, পাকিস্তানের মাধ্যমে আফগানিস্তানে প্রবেশ করা ভারতীয় পণ্যের পরিমাণ ছিল প্রায় ৬৪০ মিলিয়ন ডলার। এই নিষেধাজ্ঞার ফলে সেই বাণিজ্যেও বড় ধরনের বিঘ্ন ঘটবে, যার ফলে ভারতের আর্থিক ক্ষতি আরও বাড়বে বলে সতর্ক করেছে পিবিএফ।

পাকিস্তান বিজনেস ফোরামের সভাপতি খাওয়া মেহবুব উর রহমান বলেন, "পাকিস্তান সশস্ত্র বাহিনীকে সমর্থন জানিয়ে ভারতের অগ্রহণযোগ্য প্ররোচনার বিরুদ্ধে আমাদের জাতীয় ঐক্য গড়ে তুলতে হবে।" তিনি আরও বলেন, "ভারত বারবার পাকিস্তানকে দোষারোপের পুরনো অভ্যাস থেকে বেরিয়ে আসতে পারছে না, যা আমাদের ধৈর্যের সীমা ছাড়িয়ে গেছে।"

পিবিএফের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট আমনা মুনাওয়ার আয়ান পাহেলগাম হামলার পর ভারতের আনিত অভিযোগগুলোকে ‘অবিচারপূর্ণ মিথ্যা’ বলে অভিহিত করেছেন এবং ভারতের কাশ্মীর নীতির তীব্র সমালোচনা করেছেন।

ফোরামের চিফ অর্গানাইজার আহমদ জাওয়াদ বলেন, "ভারতের সিন্ধু পানিচুক্তি স্থগিতের সিদ্ধান্ত অবৈধ এবং এটি দক্ষিণ এশিয়ার শান্তির জন্য মারাত্মক হুমকি।" তিনি আরও উল্লেখ করেন, "পারস্পরিক শ্রদ্ধা ও সমতার ভিত্তিতে সমাধান না হওয়া পর্যন্ত ভারত-পাকিস্তান বাণিজ্য বন্ধ রাখা উচিত।"

পাকিস্তান বিজনেস ফোরাম দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় জাতীয় ঐক্যের আহ্বান জানিয়েছে এবং একইসঙ্গে ভারতের আগ্রাসী নীতির বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছে।

Header Ad
Header Ad

দেশের পথে প্রধান উপদেষ্টা

দেশের পথে প্রধান উপদেষ্টা। ছবি: সংগৃহীত

চারদিনের কাতার সফর শেষে ইতালিতে পোপ ফ্রান্সিসের শেষকৃত্য অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে দেশের পথে রওনা হয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। রোববার (২৭ এপ্রিল) বাংলাদেশ সময় দুপুর ১টায় তিনি ইতালির রোম ত্যাগ করেন।

রোম সফরকালে ড. ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন ভ্যাটিকান সিটির প্রভাবশালী দুই কার্ডিনাল—সিলভানো মারিয়া টমাসি ও জ্যাকব কুভাকাদ। বৈঠকে তারা ভূ-রাজনৈতিক বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে আলোচনা করেন এবং বিশেষভাবে পোপ ফ্রান্সিস ও ড. ইউনূসের মানবকল্যাণমুখী কর্মকাণ্ড নিয়ে কথা বলেন।

কার্ডিনালরা প্রয়াত পোপ ফ্রান্সিসকে ইউনূসের একজন “ঘনিষ্ঠ বন্ধু” বলে উল্লেখ করেন এবং বলেন, দু’জনই বিশ্বজুড়ে দারিদ্র্য বিমোচনে কাজ করেছেন। তারা ড. ইউনূসের অবদানের ভূয়সী প্রশংসা করে বলেন, “আপনি যেমন দারিদ্র্যের বিরুদ্ধে লড়াই করেছেন, পোপ ফ্রান্সিসও তা-ই করেছেন নিজের পথ থেকে।”

শনিবার রোমের ব্যাসিলিকা অব সেন্ট মেরিতে পোপ ফ্রান্সিসকে সমাহিত করা হয়। এরপরই কার্ডিনালদের সঙ্গে ড. ইউনূসের পৃথক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। জানা গেছে, আগামী সপ্তাহেই ভ্যাটিকান সিটিতে নতুন পোপ নির্বাচনের জন্য কার্ডিনালদের মধ্যে বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে, যেখানে এই দুই কার্ডিনাল নিজরাও সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে বিবেচিত।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

টাঙ্গাইলে শ্রমিকদলের নেতাকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ
পাকিস্তানের সঙ্গে বাণিজ্য বন্ধে ভারতের ১.১৪ বিলিয়ন ডলার ক্ষতির শঙ্কা
দেশের পথে প্রধান উপদেষ্টা
রাজনীতির চেয়ারে ঘুণপোকা ধরেছে, এটি সংস্কার করা প্রয়োজন: ব্যারিস্টার ফুয়াদ
উত্তাল ইউআইইউ ক্যাম্পাস, ভিসি-ডিনসহ ১১ কর্মকর্তার পদত্যাগ
এপ্রিলেই দেশে ফিরছেন খালেদা জিয়া, সঙ্গে থাকবেন দুই পুত্রবধূ
বাংলাদেশ ব্যাংকের অধীনে বিশাল নিয়োগ, পদ ৬০৮
ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টায় ফ্যাসিবাদী শাসক পালাতে বাধ্য হয়েছে: আলী রীয়াজ
মহেশপুর সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে দুই বাংলাদেশি নিহত
যেকোনো মূল্যে নিজের পানির অধিকার রক্ষা করবে পাকিস্তান: ‍শেহবাজ শরীফ
স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম নির্বাসিত কবি দাউদ হায়দার মারা গেছেন
পাকিস্তানে সেনাবাহিনী-সন্ত্রাসী গোলাগুলি, দুই সেনাসদস্যসহ নিহত ১৭
টাঙ্গাইলে ট্রাক-সিএনজি মুখোমুখি সংঘর্ষে চালকসহ নিহত ২
হজের ফ্লাইট শুরু মঙ্গলবার, উদ্বোধন করবেন ধর্ম উপদেষ্টা
ইরানের বন্দরে ভয়াবহ বিস্ফোরণে নিহত বেড়ে ১৪, আহত সাড়ে ৭ শতাধিক
ধর্ষণের শিকার জুলাই আন্দোলনে শহীদের মেয়ের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার
সিন্ধুর পানি ছাড়ল ভারত, হঠাৎ বন্যায় ডুবলো পাকিস্তানের কাশ্মীর
রিয়ালের হৃদয়ভাঙা রাত, কোপা দেল রে চ্যাম্পিয়ন বার্সেলোনা
উত্তরায় সেলফি তুলতে গিয়ে ট্রেনের ধাক্কায় তরুণ-তরুণীর মৃত্যু
জাতীয় গ্রিডে যান্ত্রিক ত্রুটিতে ১০ জেলায় বিদ্যুৎ বিভ্রাট