সোমবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৪ | ৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

পর্ব-২

কৃষির পরেই প্রবাসী আয় বাংলাদেশের অর্থনীতিতে বড় চালক

এই প্রেক্ষাপটে প্রধানমন্ত্রীর বিশ্ব মহামন্দার হুঁশিয়ারিকে গুরুত্বের সঙ্গে গ্রহণ করে আমাদের খুবই বিচক্ষণতায় পা ফেলতে হবে। সেজন্য নিচে মোদ্দা কিছু নীতি অনুসরণ করা গেলে এই মহাসংকট মোকাবিলায় বাংলাদেশ অনেক দেশের চেয়েই ভালো করবে।

নীতি পরামর্শ:
এক. প্রধানমন্ত্রী যেমনটি বলেছেন কৃষিকেই আমাদের সবচেয়ে বড় রক্ষাকবচ হিসেবে গুরুত্ব দিতে হবে। সেজন্য যথোপযুক্ত বাজেটারি সহায়তা ছাড়াও সহজ শর্তে ঋণ, সম্প্রসারণ এবং মার্কেটিং সমর্থন দিয়ে যেতে হবে।

দুই. কৃষিভিত্তিক শিল্পের প্রসারের পাশাপাশি কৃষিপ্রক্রিয়াজাত পণ্যের রপ্তানি বাড়ানোর জন্য সবধরনের নীতি সমর্থন দিতে হবে।

তিন. বদলে যাওয়া গ্রাম বাংলায় অকৃষি খাতের প্রসারের জন্য ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তাদের হাতে প্রয়োজনীয় পুঁজি যোগান দিয়ে যেতে হবে। বাংলাদেশ ব্যাংক ছোট ও মাঝারি উদ্যোক্তাদের জন্য অল্প সুদে পঁচিশ হাজার কোটি টাকার যে পুনঃঅর্থায়ন কর্মসূচি হাতে নিয়েছে তা দ্রুত বাস্তবায়নের দিকে মনোযোগ বাড়াতে হবে। বাস্তবায়নের গতি কতোটা তা দেখার জন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংক ডিজিটাল মনিটরিং জোরদার করতে পারে। এই কর্মসূচি যেন অব্যাহত থাকে সেজন্য আরও পঁচিশ হাজার কোটি টাকার তহবিল পাইপলাইনে রাখা যেতে পারে।

চার. এই কর্মসূচির মধ্যে সোলার সেচ প্রকল্প যুক্ত করা উচিত। পাশাপাশি কৃষি যান্ত্রিকিকরণ কর্মসূচির অধীনে যে ভর্তুকির সুযোগ দেওয়া হচ্ছে তা এই সোলার সেচ উদ্যোগের জন্যও প্রযোজ্য করা হোক। বর্তমানে প্রায় চৌদ্দ লাখ ডিজেলচালিত সেচ পাম্প আছে। এর অর্ধেক পরিমাণও যদি সোলারে রুপান্তরিত করা যায় তাহলে একদিকে জ্বালানি আমদানি খরচ কমবে, অন্যদিকে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় বাংলাদেশের সাফল্যের ঝুড়িতে নয়া উপকরণ যুক্ত হবে। কৃষকেরও দীর্ঘমেয়াদি বিনিয়োগ বাড়বে।

পাঁচ. ব্যাংকগুলোকে ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোগে ঋণ দিতে উৎসাহী করার জন্য সরকার বাংলাদেশ ব্যাংক মাধ্যমে ক্রেডিট গ্যারান্টি স্কিমের জন্য অর্থ বরাদ্দ করেছে। সোলার পাম্পকেও এই কর্মসূচির সুবিধা দেওয়া যেতে পারে। তাহলে কৃষিতে বিনিয়োগের হার বাড়বে। প্রয়োজনে এই গ্যারান্টি স্কিমের জন্য বাজেটারি বরাদ্দ আরও বাড়ানো যেতে পারে।

ছয়. ন্যানো ক্রেডিট ও ছোট ব্যবসায়ীদের জন্য ডিজিটাল ফাইন্যান্সের আওতায় ট্রেড লাইসেন্স ছাড়াই ঋণ দেওয়ার যে উদ্যোগ বাংলাদেশ ব্যাংক নিয়েছে তা অবশ্যই প্রশংসনীয়। আধুনিক কৃষি উদ্যোক্তাদেরও এই সুযোগ দেওয়া হোক।

সাত(১). কৃষির পরেই প্রবাসী আয় বাংলাদেশের অর্থনীতিতে বড় এক চালক হিসেবে সক্রিয় ভূমিকা রাখছে। হালে নতুন করে অনেকেই প্রবাসী কর্মী হিসেবে বিদেশে যাচ্ছেন। এরা যাতে সহজেই উপযুক্ত রেটে তাদের বিদেশি আয় দেশে পাঠাতে পারেন সেদিকে নীতি সুবিধা নিশ্চিত করতে হবে। এক্সচেঞ্জ হাউজগুলো যেন তাদের ঠকাতে না পারে সেদিকে নজরদারি বাড়াতে হবে। একই সঙ্গে হুন্ডির ক্ষেত্রগুলো উপড়ে ফেলার যে উদ্যোগ বাংলাদেশ ব্যাংক ও আইনশৃঙ্খলা কর্তৃপক্ষ নিচ্ছে সেগুলোর ব্যাপ্তি আরও বাড়াতে হবে।

সাত(২). বড় আকারের প্রবাসী আয় দেশে আনার জন্য বিনিয়োগ বন্ড, ট্রেজারি বন্ডসহ নানাধরনের বিনিয়োগ যাতে সহজেই প্রবাসীরা করতে পারেন যে জন্য ডিজিটাল লেনদেনের যে উদ্যোগ বাংলাদেশ ব্যাংক নিয়েছে তা আরও সহজলভ্য করতে হবে। এ বিষয়ে যথেষ্ট তথ্যও প্রবাসীদের দিতে হবে। এনআইডি সম্পর্কিত জটিলতা এবং বন্ড রিনিউয়াল জটিলতা দ্রুত দূর করে প্রবাসীদের মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদি বিনিয়োগে উৎসাহী করতে হবে।

আট. প্রবাসীদের সার্বজনীন পেনশন স্কিমে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে যুক্ত করা ছাড়াও তাদের ছেলেমেয়েদের আগেভাগে বৃত্তি ও উপবৃত্তির ব্যবস্থা করতে হবে।

নয়(১). প্রবাসী কর্মীদের দক্ষতা বৃদ্ধির কর্মসূচিতে অগ্রাধিকার দেওয়া যেতে পারে। তারা যখন ছুটিতে দেশে আসেন অথবা চাকরি হারিয়ে দেশে ফেরেন তাদের জন্য বিশেষ দক্ষতা বৃদ্ধির প্রশিক্ষণ কর্মসূচিতে যুক্ত করার উদ্যোগ জাতীয় দক্ষতা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ নিশ্চয় নিতে পারে।

নয়(২). প্রবাসীদের যারা ওয়ার ট্রান্সফারের মাধ্যমে প্রবাসী আয় পাঠান এবং ফ্রিল্যান্সিং এর অর্থ যারা দেশে আনেন তাদের কম রেটে ডলার বিক্রি করতে হয়। সব বিদেশি আয়কারকদের একই হারে ডলার বিনিময় হার দেওয়ার জন্য যে দাবি উঠেছে তা আমার কাছে যুক্তিসংগতই মনে হয়। এ বিষয়ে দ্রুত সিদ্ধান্ত নেওয়ার প্রয়োজন রয়েছে।

দশ. এরই কথা রপ্তানিকারকদের বেলাতেও খাটে। তারাই বা কেন কম রেটে ডলার বাঁচবেন। আমদানিকারকরাই বা বেশি দামে ডলার কিনবে। একটি বাজার নির্ভর বিনিময় হার সবার জন্য তৈরি করতেই হবে আমাদের। ভারত তো তা করতে পেরেছে। আমরা কেন পারব না?

এগারো. যে সব ব্যাংক রপ্তানি বা প্রবাসী আয় বেশি সংগ্রহ করতে পারছে না তাদের আমদানি দায় মেটানো বেশ কঠিন হয়ে পড়ছে। সেজন্য যেসব ব্যাংকের বিদেশি মুদ্রার আয় বেশি তাদের একটি রেটের আশেপাশেই একটি ব্যান্ডের মধ্যেই ডলার বিক্রির নির্দেশনা কেন্দ্রীয় ব্যাংককেই দিতে হবে।

বারো. এ ছাড়া আন্তর্জাতিক উন্নয়ন বা আর্থিক সংস্থা থেকে কম সুদে দীর্ঘমেয়াদি ঋণ সংগ্রহে বাংলাদেশ যথেষ্ট পারদর্শিতা দেখাচ্ছে। গুণমাণের প্রকল্প বাস্তবায়নে গতি এনে এধরনের বিদেশি সহযোগিতা আরও বেশি বেশি সংগ্রহ করে যেতে হবে।

তেরো. বেশি সুদের কম সময়ের বাণিজ্যিক বা হার্ড টার্ম ঋণ নেওয়ার আগে দশবার চিন্তা করাই শ্রেয় হবে।
চৌদ্দ. বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলগুলোর দ্রুত বাস্তবায়ন শেষ করে বিদেশি সরাসরি বিনিয়োগ বাড়াতে আরও বেশি উদ্যোগী হতে হবে।

পনেরো. বাণিজ্যিক অর্থায়নের ওপর মনিটরিং বাড়িয়ে সহজেই বিদেশে অর্থ পাচারের ছিদ্রগুলো অবশ্যই বন্ধ করতে হবে।

এরকম আরও অনেক নীতি পরামর্শ দেওয়া যেতে পারে। সব অংশীজনের সঙ্গে বসে নিবিড় আলাপ করে নিয়মনীতি পর্যালোচনা করে নতুন করে স্মার্ট নীতি চালু করার সুযোগ নিশ্চয় আছে। এই সংকটকালে সবাইকে ধৈর্য ধরতে হবে। বাজারে প্যানিক ছড়ায় এমন কিছুই করা যাবে না। দীর্ঘদিন ধরে আমরা স্বকীয় দেশজ অনেক অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়ন নীতি কৌশল আমরা উদ্ভাবন করেছি। পরীক্ষিত এ সব নীতিকাঠামোর ওপর ভরসা করে হিসেব করে এগুলে নিশ্চয় চলমান মন্দা বা আগামী দিনের মহামন্দা মোকাবিলা করেই বাংলাদেশের উন্নয়নের সুনাম ধরে রাখতে পারব। এজন্য সবাইকে একযোগে কাজ করে যেতে হবে।

লেখক: বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ও বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর

আগের পর্বটি পড়ুন>>>

বিশ্ব মন্দা প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর সময়োচিত সতর্কবার্তা

আরএ/

Header Ad

৩০ দিনের মধ্যে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে তদন্ত শেষ করার নির্দেশ

সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ছবি: সংগৃহীত

সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে জুলাই-অগাস্ট গণহত্যা মামলায় এক মাসের মধ্যে তদন্ত শেষ করার নির্দেশ দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। সোমবার (১৮ নভেম্বর) ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বে তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল এ আদেশ দেন।

আগামী ১৭ ডিসেম্বরের মধ্যে তদন্তের অগ্রগতি প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে। এদিন কার্যতালিকায় ছিল শেখ হাসিনার মামলা। এছাড়া ওবায়দুল কাদেরসহ ৪৫ জনের মামলাও রয়েছে কার্যতালিকায়।

গত ১৭ অক্টোবর শেখ হাসিনাসহ ৪৬ জনের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির মধ্য দিয়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের বিচারিক কার্যক্রম শুরু হয়।

এদিকে একইদিন সকাল ১০টার দিকে জুলাই-আগস্টের গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধে জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেফতার হওয়া সাবেক মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীসহ ১৩ জনকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়।

পরে বেলা ১১টার দিকে তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগের শুনানি শুরু হয়। শুনানিতে চিফ প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট তাজুল ইসলাম বলেন, গত ১৫ বছরের শাসনামলে এমন কোনও মানবতাবিরোধী অপরাধ নেই যেটা শেখ হাসিনা করেননি। আর উপস্থিত এই আসামিরা এসব অপরাধ সংগঠনে সহযোগিতা করে গেছেন।

Header Ad

মৃত্যুর আগে ফেসবুক লাইভে অডিও বার্তা, পত্নীতলায় সুমন হত্যা ঘিরে রহস্য

সুমন হোসেন। ছবি: সংগৃহীত

নওগাঁর পত্নীতলা-মহাদেবপুর সীমানার বিলছাড়া এলাকা থেকে এক যুবকের মৃতদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। ওই যুবকের নাম সুমন হোসেন। তিনি বিলছাড়া গ্রামের ময়েন উদ্দিনের ছেলে।

সোমবার (১৮ নভেম্বর) দুপুরে পত্নীতলা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এনায়েতুর রহমান ঢাকাপ্রকাশকে নিশ্চিত করে বলেন, ‘স্থানীয়রা গাছে ঝুলন্ত অবস্থায় সুমনের মৃতদেহ দেখতে পান। থানায় খবর দিলে পুলিশ গিয়ে মৃতদেহ উদ্ধার করে।’

ওসি বলেন, ‘সুমন ডিজিটাল মার্কেটে ব্যবসার সাথে জড়িত ছিলেন। গত কাল রাতে ‘সুমন হোসেন’ নামে একটি ফেসবুক আইডি থেকে করা লাইভে কিছু কথা শোনা যায়। পাঁচ মিনিট ৪৬ সেকেন্ডের ওই অডিওতে অভিযোগ করা হয়, বুলবুল নামে এক ব্যক্তির কাছ থেকে সুদের বিনিময়ে ৭০ হাজার টাকা ধার করেন সুমন। সাথে ফাঁকা ব্যাংক চেক ও স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর নেয়া হয়। কিন্তু পরে বুলবুল তার কাছ থেকে ১০ লাখ ৪৫ হাজার টাকা পান বলে চাপ দিতে থাকেন। এক পর্যায়ে গত রাতে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে ১০ লাখ টাকা নিয়ে বাড়ি ফেরার পথে তাকে ধাওয়া করা হয়। ওই রেকর্ডে দাবি করা হয় তার মৃত্যুর জন্য বুলবুল নামে ওই ব্যক্তিই দায়ী।’

তবে ওসি বলেন, ‘ওই ফেসবুক আইডিটি আসলেই সুমনের কিনা কিংবা লাইভের অডিও’র ওই ব্যক্তিটি কে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। বুলবুল নামে কোনো ব্যক্তির সাথে সুমনের আসলেই কোনো আর্থিক লেনদেন ছিল কিনা তা জানার চেষ্টা করছে পুলিশ। এসবের সত্যতা বের হলেই আসল রহস্য উন্মোচন হবে। মৃতদেহটি ময়না ‍তদন্তের জন্য নওগাঁ জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।’

সুমন হোসেন হত্যার বিচার দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল। ছবি: সংগৃহীত

এদিকে সোমবার (১৮ নভেম্বর) বেলা পৌনে ১২টায় নওগাঁর পত্নীতলা উপজেলায় নজিপুর বাসস্ট্যান্ডে এলাকায় ব্যবসায়ী সুমন হোসেন হত্যার বিচার দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করে সাধারণ ব্যবসায়ীরা।

Header Ad

গিলেস্পিই থাকছেন পাকিস্তানের প্রধান কোচ

ছবি: সংগৃহীত

গিলেস্পিকে সরিয়ে পাকিস্তানের প্রধান কোচের দায়িত্ব পেতে যাচ্ছেন পিসিবির নির্বাচক কমিটির আহ্বায়ক আকিব জাবেদ- রোববার (১৭ নভেম্বর) সন্ধ্যায় এমন একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে ইএসপিএন ক্রিকইনফো। তবে সেই খবর ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড। দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে টেস্ট সিরিজ পর্যন্ত গিলেস্পিই থাকছেন দলটির প্রধান কোচ।

তবে ক্রিকইনফোর সেই খবরকে ভিত্তিহীন দাবি করে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি) নিশ্চিত করেছে, দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে টেস্ট সিরিজ পর্যন্ত গিলেস্পিই প্রধান কোচের দায়িত্বে থাকছেন।

গত রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে ক্রিকইনফোর খবরটি শেয়ার দিয়ে পিসিবি লিখেছে, ‘পিসিবি এই গল্পকে (প্রতিবেদনকে) দৃঢ়ভাবে ভুল বা মিথ্যা প্রমাণ করছে। পূর্বঘোষণা অনুযায়ী, দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে দুটি লাল বলের ম্যাচে জেসন গিলেস্পিই কোচের দায়িত্ব পালন করবেন।’

পিসিবি গত এপ্রিলে গিলেস্পিকে টেস্ট এবং গ্যারি কারস্টেনকে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টির প্রধান কোচ হিসেবে নিয়োগ দেয়। তবে গত ২৮ অক্টোবর পাকিস্তান দল অস্ট্রেলিয়ার উদ্দেশে রওনা হওয়ার আগমুহূর্তে কারস্টেন গদত্যাগ করলে গিলেস্পিকে এই সফরের কোচের দায়িত্ব দেওয়া হয়।

পাকিস্তান দল বর্তমানে অস্ট্রেলিয়া সফর করছে। বাংলাদেশ সময় আজ দুপুরে দলটি অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে শেষ টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলতে নামছে। সেখান থেকে জিম্বাবুয়ে সফরে যাবেন বাবর আজম-মোহাম্মদ রিজওয়ান-শাহিন আফ্রিদিরা। এরপর জিম্বাবুয়ে থেকে দক্ষিণ আফ্রিকায়। জিম্বাবুয়েতে ৩টি করে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি খেলবে পাকিস্তান। দক্ষিণ আফ্রিকায় তাদের পূর্ণাঙ্গ সফর। প্রোটিয়াদের বিপক্ষে দুটি টেস্টের আগে ৩টি করে টি-টোয়েন্টি ও ওয়ানডে খেলবে পাকিস্তান।

পিসিবির ঘোষণা অনুযায়ী, গিলেস্পি দক্ষিণ আফ্রিকায় টেস্ট সিরিজে পাকিস্তানের প্রধান কোচ থাকছেন, তা নিশ্চিত। কিন্তু জিম্বাবুয়ে ও দক্ষিণ আফ্রিকায় সীমিত ওভারের সিরিজগুলোতে পাকিস্তানের প্রধান কোচ কে হবেন, তা এখনো জানানো হয়নি।

এদিকে পাকিস্তানের সাদা বলের কোচ হওয়ার ইচ্ছা একাধিকবার প্রকাশ্যে জানিয়েছেন সাবেক পেসার ও বর্তমান নির্বাচক আকিব জাভেদ। শেষ পর্যন্ত কাকে দায়িত্ব দেয় পিসিবি, তা জানতে আরও কিছুদিন অপেক্ষায় থাকতে হচ্ছে।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

৩০ দিনের মধ্যে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে তদন্ত শেষ করার নির্দেশ
মৃত্যুর আগে ফেসবুক লাইভে অডিও বার্তা, পত্নীতলায় সুমন হত্যা ঘিরে রহস্য
গিলেস্পিই থাকছেন পাকিস্তানের প্রধান কোচ
প্রাক্তনকে স্বপ্নে দেখা কিসের ইঙ্গিত?
তিতুমীর কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয় করার দাবিতে সড়ক ও রেলপথ অবরোধ
বেনাপোল বন্দর দিয়ে চাল আমদানি শুরু
অগ্রাহায়নের শুরুতেই চুয়াডাঙ্গায় জেঁকে বসেছে শীত, দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড
শীতকালে যেসব ইবাদতের কথা বলেছেন নবীজি (সা.)
প্রেমের টানে বিয়ের দাবিতে ভারতীয় তরুণী বাংলাদেশে
মাল্টিপ্লেক্সে রেকর্ড আয় করল শাকিবের ‘দরদ’
মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্ত ১৩ জন ট্রাইব্যুনালে হাজির
অন্তর্বর্তী সরকারের মেয়াদ চার বছরের কম হবে: ড. ইউনূস
দর্শকদের ‘ভুয়া ভুয়া’ স্লোগানে চলে গেলেন পরীমণি
সাকিবকে নিয়ে চেন্নাইয়ে জল্পনা!
নারায়ণগঞ্জে টিস্যুর গুদামে আগুন, নিয়ন্ত্রণে ১৪ ইউনিট
নিষিদ্ধ ‘ছাত্রলীগের আবরণে’ নতুন রাজনৈতিক দলের আত্মপ্রকাশ
নিখোঁজের চারদিন পর নদী থেকে শিশুর মরদেহ উদ্ধার
নির্বাচনের ট্রেন যাত্রা শুরু করেছে: প্রধান উপদেষ্টা
ঢাবি ছাত্রদলের ৬ নেতাকে অব্যাহতি
গাইবান্ধায় আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি কারাগারে