রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪ | ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

বিশ্ব শিক্ষক দিবস এবং বাংলাদেশের বাস্তবতা

'The transformation of education begins with teachers' শিক্ষকদের পরিবর্তনের সঙ্গেই শিক্ষার পরিবর্তন হয়।এটি এ বছর আন্তর্জাতিক শিক্ষক দিবসের শ্লোগান। শিক্ষাক্ষেত্রে যেকোনো পরিবর্তন অবশ্যই শিক্ষকদের দিয়ে শুরু করতে হয়, অর্থাৎ শিক্ষকের পরিবর্তন হলেই শিক্ষার্থীর পরিবর্তন হয় আর তখনই শিক্ষার পরিবর্তন ঘটে। আমাদের প্রশ্ন রাখতে হবে আমরা শিক্ষকরা কি নিজেদের পরিবর্তনের সঙ্গে খাপ খাওয়াতে পারছি, পরিবর্তনকে কি মেনে নিচিছ? আমি নিজে কি পরিবতর্ন হচিছ? হলেও কত শতাংশ শিক্ষক পরিবর্তন হচেছন? এই পশ্নগুলো রাখার দিন আজ।

মাঝে মাঝে ফেসবুকে কিছু স্ট্যাটাস দেখি। কেউ কেউ লেখেন দু’চারটি দেশের কথা যে এসব দেশে কোর্টে একমাত্র শিক্ষকদেরকেই বসতে চেয়ার দেওয়া হয়। তুলনা করেন ওই সব দেশের শিক্ষক এবং আমাদের দেশের শিক্ষকদের সঙ্গে। আমাদের দেশেও কি ওই রকম শিক্ষক নেই? প্রতিটি দেশেই ভিআইপিদের জন্য বিমানবন্দরে স্পেশাল লাউঞ্জ আছে। আমাদের দেশের নিয়ম অনুযায়ী জয়েন্ট সেক্রেটারি পদমর্যাদার কর্মকর্তারা ওই লাউঞ্জ দিয়ে ঢুকতে পারেন। ব্যবসায়ীদের মধ্যেও লেভেল অনুসারে ওই লাউঞ্জ দিয়ে ঢুকতে পারেন, আর এ জন্যই এসব পদ বাগাতে এত ’তেল’ খরচ করতে হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন অধ্যাপক কিন্তু সেই ভিআইপি লাউঞ্জ দিয়ে ঢুকতে পারেন না, তবে ভিসি পারেন। আর তাই ভিসি হওয়ার জন্য এত ধরা করা করেন। আমাদের দেশের জাফর ইকবাল স্যার, আবদুল্লাহ আবু সায়িদ স্যার তারা সেই লাউঞ্জ দিয়ে ঢোকেন না। তারা সাধারণ যাত্রীদের লাউঞ্জ দিয়েই ঢোকেন। কিন্তু তাদের দেখার সঙ্গে সঙ্গে সবাই এসে তাদের কাজগুলো অত্যন্ত সম্মানের সঙ্গে, দ্রুত করে দেন। সেই বিষয় তো অর্জন করে নিতে হয়, শুধু রাষ্ট্রকে বা সমাজকে দোষারোপ করে তো লাভ নেই। আমাদের দেশে কিছু শিক্ষক আছেন যারা অর্থনৈতিক কেলেঙ্কারির সঙ্গে জড়িত, কিছু কিছু শিক্ষক আছেন যারা সরাসরি কোনো পার্টির সদস্য হিসেবে কাজ করেন। যে কারুরই রাজনৈতিক স্বাধীনতা রয়েছে কিন্তু কিছু শিক্ষক স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় সর্বত্রই পাওয়া যাবে যাদেরকে দেখলে শিক্ষক মনে হয়না, মনে হয় কোন পার্টির সরাসরি সদস্য--শিক্ষার্থী ও সমাজ তো তাদেরকে সেভাবেই মূল্যায়ন করবে।

গত সপ্তাহে আমাকে একজন প্রধান শিক্ষক ফোন দিয়েছেন। শিক্ষকদের মধ্যে অনেকেই জানেন যে, আমি ব্র্যাক শিক্ষা কর্মসূচিতে কাজ করতাম। বর্তমানে নেই, অন্য একটি প্রতিষ্ঠানে কাজ করি সেটি হয়তো সবাই জানেন না, জানার কথাও না। উক্ত প্রধান শিক্ষক সরসারি ফোনে আমাকে বলছেন আমার স্কুলে ব্র্যাকের একটি গণকেন্দ্র আছে, সেখানে কতটাকা আছে আমার জানা দরকার। উনি জানতে চাইলেন না আমি কে? আমি কোথায় আছি, কি অবস্থায় আছি, কথা বলার সময় হবে কি না, । শুধু বললেন ’ আপনি ব্র্যাকে আছেন না?’ আমি ওনার নাম জানতে চাইলাম, কোথা থেকে বলছেন, গণকেন্দ্রের নাম কী? উনি একা যদি ওনার বিদ্যালয়ের লাইব্রেরিতে কত টাকা আছে তা না জানেন আমি কীভাবে ৩০০০ গণকেন্দ্রের (ব্র্যাকের ৩০০০ এর মতো গণকেন্দ্র আছে) কোথায় কত টাকা আছে জানবে? তিন হাজার লাইব্রেরির মধ্যে কার কত টাকা আছে সেটি তো কারওর মুখস্থ থাকার কথা নয়। একজন প্রধান শিক্ষক আমাকে স্যার বলে সম্বোধনও করছেন না, বলছেন আপনি তো ব্র্যাকের তাই না? উনি একজন অপরিচিত লোককে যদি ‘স্যার’ বলতে না পারেন, উনি কীভাবে আশা করেন যে, তাদেরকে ‘স্যার’ বলবে সমাজের সবাই? আমরা সম্মান চাই কিন্তু সম্মান অন্যকে দেইনা, দিতে জানি না, দেওয়ার মতো কাজও করি না। আমি কিন্তু না চিনেও তাকে স্যার স্যার বলছি। একজন শিক্ষককে তো ওয়েল কমিউনিকেটেড হতে হবে। শিক্ষক তো রোল মডেল, যাকে দেখে দেখে শিক্ষার্থীরা শিখবে। সমাজ শিখবে। শুধু সমাজের কাছে, রাষ্ট্রের কাছে কিছু দাবি করব আর সে রকম কাজ করব না, তা কী করে হয়? সমাজের অধঃপতন হচ্ছে এই দোষ দিয়ে বসে থাকলে বা সব হাল ছেড়ে দিলে হবে না। সমাজ কারা গড়বে? সমাজকে কারা নষ্ট করছে? এককভাবে কেউ না, সমাজ গড়ার ক্ষেত্রে শিক্ষকদের রয়েছে বিশাল ভূমিকা। আমরা কাকে দোষ দিয়ে বসে থাকব? সমাজের অধঃপতনের জন্য আমরা সবাই কম বেশি দায়ী।

শিক্ষকদের পেশাগত উন্নয়নে নিজেদেরকেই এগিয়ে আসতে হবে।ব্যক্তিগতভাবে বিভিন্ন সূত্র থেকে, উৎস থেকে সর্বশেষ তথ্যাবলি সংগ্রহ করে শিক্ষার্থীদের উন্নয়নে, নিজেদের পেশাগত উন্নয়নে, শিক্ষার উন্নয়নে ব্যবহার করতে হবে,কাজে লাগাতে হবে। সঙ্গে সঙ্গে টিচার সংগঠনগুলোকেও শিক্ষকদের পেশাগত উন্নয়নের দিকে বিশেষ নজর দিতে হবে। শুধুুমাত্র দাবি-দাওয়া নিয়ে আলোচনা, সমালোচনা, কথাবার্তা, মিটিং আর মিছিল করলে জনসমর্থন, শিক্ষার্থী সমর্থন পাওয়া কঠিন হয়ে পড়ে।

আবার এক হাজার ১০৮ জন শিক্ষককে খুজেঁ বের করা হয়েছে যাদের সার্টিফিকেট জাল। এমন শিক্ষকদের পেছনে সরকারি কোষাগার থেকে প্রায় ৫০ কোটি টাকা ব্যয় হয়েছে। এই অবৈধ নিয়োগে অন্যান্য প্রাপ্যতা হিসেবে আরও অতিরিক্ত খরচ হয়েছে ২৬৮ কোটি টাকা। বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে বের করা হয়েছে বহু ভূয় পিএইচডি ডিগ্রিধারী। এ ধরনের শিক্ষকরা কি পড়াচ্ছেন, কাদেরকে পড়া , কি উদ্দেশে পড়াচেছন সেগুলো কিন্তু বিরাট প্রশ্নের ব্যাপার। বিশ্ব শিক্ষক দিবসে এগুলো নিয়েও ভাবতে হবে।

বাংলাদেশের শিক্ষক সমাজ শিক্ষার জাতীয়করণ কেন চান? প্রথমত, অর্থনৈতিক নিরাপত্তার জন্য। দ্বিতীয়ত, পেশাগত সমতা ও পেশাগত সম্মানের জন্য। বর্তমানে যেভাবে বেসরকারি শিক্ষা চলছে তাতে শিক্ষকদের অর্থনৈতিক নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বিগ্ন থাকতে হয়। এলাকা ও ধরনভেদে প্রতিষ্ঠানের আর্থিক সক্ষমতা নির্ধারিত হয়। শহর ও শিল্পাঞ্চলের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের আর্থিক সক্ষমতা বেশি। গ্রামীন, হাওড়, উপকুলীয় ও পাহাড়িয়া এলাকার বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর অর্থিক সক্ষমতা খুবই দুর্বল। এসব এলাকার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শিক্ষকদের বেতনভাতা দিতে পারে না। ফলে, এক অসম পরিবেশের সৃষ্টি হয়। শিক্ষকদের সংসার চালাতে যেমন কষ্ট হয় তেমনি সামাজিকভাবেও নিজেদের হেয় মনে হয়। কারণ তার চারপাশের পেশায় নিয়োজিতরা, তাদের সহজাত শিক্ষক যারা সরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন একই ধরনের শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে তারা রাষ্ট্রের সকল ধরনের সুযোগ সুবিধা পেয়ে থাকেন ফলে এক অসমতা এবং পেশাগত অসম্মানের জায়গা তৈরি হয়। তারপরেই আসে প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা কমিটিতে যারা থাকেন তারা সাধারনত এলাকার প্রভাবশালী, শিক্ষার সাথে সম্পর্ক কম এবং বিশেষ করে ক্ষমতাসীন দলের ছত্রছায়ায় থাকা ব্যক্তিবর্গ যাদের আচার-আচরণ দৃর্ব্যবহার বেসরকারি শিক্ষকদের অতিষ্ঠ করে তোলে। এ অবস্থায় শিক্ষাদানের মতো মহৎ কাছে শিক্ষকগন আত্মনিয়োগ করতে পারেন না। তারা এই অবস্থা থেকে বাঁচতে চান জাতীয়করণের মাধ্যমে। এক প্রতিষ্ঠানে বছরের পর বছর চাকরি করে এক ধরনের এক ঘেঁয়েমি চলে আসে সেজন্য তারা চেয়েছিলেন বদলি পদ্ধতি চালু করতে। সেটিও কিন্তু হয়নি। সরকারি প্রতিষ্ঠানে যারা চাকরি করেন তাদের মোটামুটি তিন বছরের মাথায় বদলির নিয়ম, কোথাও সেটি মানা হয় কোথাও হয় না কিন্তু বেসরকারি শিক্ষকদের ক্ষেত্রে এই ব্যবস্থাটুকুও অন্তত চালু করা যেত, অধিক অর্থের প্রয়োজন হতো না,পেশায় কিছুট আনন্দ চলে আসতো, শুধু উদ্যোগের অভাবে এটি এখনো হয়নি। প্রশ্ন হচেছ শিক্ষকদের জন্য এই কাজগুলো করবেন কে? রাজনীতিবিদরা? প্রশাসকরা? নাকি শিক্ষকরা নিজেরাই? কোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়ায় শিক্ষক প্রতিনিধি থাকেন না, যারা থাকেন তারা সরকারি। সরকারি হলে তারা তো বেসরকারি শিক্ষকদের কষ্টের কথা বুঝবেন না। কাজেই বিশাল অংশের বেসরকারি শিক্ষকদের পক্ষে কথা বলার লোক তেমন নেই। তারাও তাই পেশাগত উন্নয়নের চিন্তা বাদ দিয়ে শুধুমাত্র অস্তিত্ব ও সম্মানের জন্য আন্দোলন করে যাচ্ছেন। শিক্ষক্ষেত্রে যে বিশাল পরিবর্তন আনার কথা, আনাটা প্রয়োজন, বৈশ্বিক এই যুগে শিক্ষকদের যেভাবে প্রস্তত করতে হবে, হতে হবে সেই দায়িত্ব না নিচ্ছেন শিক্ষকরা নিজেরা, না করছে রাষ্ট্র। শিক্ষক সংগঠনগুলোর রয়েছে এখানে বিরাট ভুমিকা কিন্ত তারা কি প্রকৃত অর্থে তাদের দায়িত্ব পালন করছেন, বিষয়টিতে প্রশ্নই থেকে যাচ্ছে। কোনো শিক্ষক সংগঠনকে সাধারনত পেশাগত উন্নয়নের জন্য কোনো ওয়ার্কশপ, সেমিনার বা সিম্পোজিয়াম করার কথা শোনা যায় না। এটি না হলে কিন্তু আসল জায়গায় পরিবর্তনটা আসতে খুব কষ্ট হয়, কঠিন হয় এবং তাই হচ্ছে।

অর্থনৈতিক নিরাপত্তাহীনতা, পেশাগত অসমতা, ব্যবস্থাপনা কমিটির দৌরাত্ম্যর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে শিক্ষার্থীদের অমনোযোগিতা, অসদাচরণ, শ্রেণিকক্ষে না আসা, শিক্ষার্থীদের মোবাইল আসক্তি, শারীরিক শাস্তির অনুপস্থিতি--এ সবকিছু মিলে শিক্ষকতা পেশাকে এ অসহনীয় পেশায় পরিণত করা হয়েছে। তাই, এ থেকে অনেকেই হাফ ছেড়ে বাঁচতে চান। শিক্ষকতার এই দশা কিন্তু শুধুমাত্র আমাদের দেশেই নয়, বিশ্বের বহু দেশে অবস্থাভেদে কিছুটা ভিন্নতা থাকলেও অবস্থা প্রায় একই। সারা পৃথিবীতে প্রতিবছর প্রায় অর্ধ মিলিয়ন শিক্ষক চাকরি ছেড়ে দেন, যেটি অন্যকোনো পেশাতে হয় কি না সন্দেহ। হাতে গোনা দু চারটি দেশ ছাড়া বিশ্বের প্রায় দেশেই শিক্ষকতা পেশাকে সেভাবে আকষর্ণীয় করা হয়নি। স্থানভেদে দু’একটি দেশে কিংবা দু’একটি দেশের দু’চারটি প্রদেশে কিংবা জায়গায় কিছু ব্যক্তি উদ্যোগের কারণে এই পেশায় কিছুটা ভিন্নমাত্রা দেওয়া হয়েছে। সবদেশেই শিক্ষকতা পেশার সম্মান এই পেশাটির মধ্যেই নিহিত, এটি অন্য যেকোনো পেশা থেকে আলাদা। আমরা ফেসবুকে তুরস্কের এক পাইলটের তার প্লেনের যাত্রী হিসেবে শিক্ষককে সম্মান প্রদর্শন করার নজির দেখতে পাই। এ রকম দু’চারটি ঘটনা ব্যক্তি পর্যায়ে ঘটে থাকে, রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে নয়। এই পেশাটিই এমন।

এখন দেশের যে প্রান্তেই যাই না কেন, যেখানেই ওয়ার্কশপ করি না কেন ঘুরেফিরে একটি কথাই প্রায় সকল শিক্ষক বলে থাকেন যে, শিক্ষার্থীরা মারাত্মকভাবে শ্রেণিকক্ষে এবং পড়াশুনায় অমনোযোগী। তাদের মনোযোগ ফিরিয়ে আনার জন্য তাদেরকে মোবাইলের জগত থেকে বিচিছন্ন করতে হবে আর শিক্ষকদের হাতে বেত (?) দিতে হবে যাতে শিক্ষার্থীরা তাদের ভয় পায়।
আসলে এ দুটোর কোনটিই সমাধান নয়। মোবাইলের সাহায্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সারাবিশ্বে শিক্ষার্থীদের বিচরণ আমরা ধরে রাখতে পারব না। তারা মোবাইল খুলেই যে জ্ঞানভান্ডারের ও অন্যান্য বিচিত্র বিষয়ের দেখা পায় শ্রেণিকক্ষের আলোচনায় তার শতভাগের একভাগও পায় না। তখন তার বয়সের অনুসন্ধিৎসু মন কোনদিকে আকৃষ্ট হবে? সেটি আমাদের বুঝতে হবে।

শ্রেণিকক্ষে আমাদের সেভাবেই প্রস্তুতি নিয়ে যেতে হবে যাতে শিক্ষার্থীরা নতুন কিছু পায়। শ্রেণিকক্ষ থেকে বেত সরিয়ে নেওয়াই শিক্ষার্থীদের বেয়াদব হওয়ার প্রধান কারণ বলে অনেক শিক্ষক বলছেন। আসলে রাজনীতিতে আমরা যে, লাঠির খেলা দেখতে পাই সেটি কি কোন আদর্শিক কাজ, সেটি কি কোনো সমস্যা সমাধানের পথ? অবশ্যই না। তাই, শিক্ষাদানের ক্ষেত্রে তো এটি নয়ই।

শিক্ষার্থীদের সাময়িকভাবে ভয় দেখিয়ে ,শারীরিক শাস্তি প্রদান করে শেখানো যায়না। এটি একেবারেই পুরনো ধারণা। আমাদের মনে রাখতে হবে, শিক্ষকতা পেশায় সবকিছু নেই তবে এমন অনেক বিষয় আছে যা কোনো পেশায় নেই। এই পেশায় এমনকিছু পাওয়া যায় যা দুনিয়ার কোনো অর্থ বা সম্পদ দিয়ে পাওয়া যায় না। এ পেশার এমনই ধরন, এর মধ্যে আনন্দ খুজে পেতে হলে শিক্ষকদের আরও গবেষণা করতে হবে, আরও ডেডিকেটেড হতে হবে,আরও মটিভেটেড হতে হবে। আমরা যখন নিজ পেশাকে প্রকৃত অর্থেই ভালবাসব, তখনই এ পেশায় পরিবর্তন আসবে।


লেখক: শিক্ষা বিশেষজ্ঞ ও গবেষক, প্রেসিডেন্ট, ইংলিশ টিচার্স এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ইট্যাব), সাবেক শিক্ষক, ক্যাডেট কলেজ, রাজউক কলেজ ও বাউবি

 

Header Ad

গোপনে দুইজনকে বিয়ে, কাউকেই অধিকার বঞ্চিত করেননি জান্নাতুল

ছবি: সংগৃহীত

একইসঙ্গে দুই স্বামীর সঙ্গেই সংসার করছেন জান্নাতুল ফেরদৌস নামের এক নারী। স্ত্রীর অধিকার থেকে বঞ্চিত করেননি দুই স্বামীর কাউকেই। গোপনে মন জয় করে চলছিলেন দুই স্বামীর। প্রায় দুই বছর দুই স্বামীর সংসার করার পর অবশেষে বিষয়টি জানাজানি হলে এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।

চার বছরের প্রেমের সম্পর্কের পর ২০২২ সালের ২৭ অক্টোবর নোটারি পাবলিকের কার্যালয়ে হলফনামার মাধ্যমে গোপনে বিয়ে করেন রাজবাড়ী সদরের আলীপুর ইউনিয়নের ইন্দ্রনারায়ণপুর গ্রামের আবু হানিফ শেখের ছেলে ইউটিউবার সাগর শেখ ও আলীপুর গ্রামের নুরুল ইসলাম ভূঁইয়ার মেয়ে জান্নাতুল ফেরদৌস।

বাবা, মা ও ভাই প্রবাসে থাকায় বাবার বাড়িতে একাই বসবাস করতেন জান্নাতুল। সেখানে যাতায়াত করতেন স্বামী সাগর শেখ। সংসার জীবন ভালোই চলছিল এ দম্পতির। হঠাৎ জান্নাতুলের বাবা প্রবাস থেকে দেশে ফেরায় শ্বশুরবাড়ি যাতায়াত বন্ধ হয়ে যায় সাগরের। এরই মধ্যে প্রথম বিয়ের কথা গোপন রেখে পরিবারের সিদ্ধান্তে অন্য এক যুবককে দ্বিতীয় বিয়ে করেন জান্নাতুল।

এদিকে স্ত্রীকে আনুষ্ঠানিকভাবে নিজের বাড়িতে তুলে না নেয়ায় শ্বশুরবাড়ি গিয়ে স্ত্রীর সঙ্গে নিয়মিত সময় কাটান জান্নাতুলের দ্বিতীয় স্বামী। প্রথম স্বামী সাগরের দাবি, প্রায় দুই বছর ধরে তার সঙ্গেও স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক ঠিক রেখে চলছিলেন জান্নাতুল।

স্ত্রীর পরিবার তাকে মেনে না নেয়ায় তার বোনের বাসাসহ বিভিন্ন স্থানে একান্তে সময় কাটাতেন স্বামী-স্ত্রী। চলতি মাসের ২ নভেম্বর তারা একসঙ্গে নিজেদের দ্বিতীয় বিবাহবার্ষিকী পালন করেছেন বলেও দাবি করেন সাগর।

তবে দুই সপ্তাহ আগে স্ত্রীর সঙ্গে দ্বিতীয় স্বামীর ঘনিষ্ঠতার বিষয়ে জানতে পারেন সাগর। আর এতেই বাঁধে বিপত্তি। তার সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করে দেন জান্নাতুল। এখন দ্বিতীয় স্বামী নিয়েই সংসার করতে আগ্রহী তিনি। বাধ্য হয়ে স্ত্রীকে ফিরে পেতে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদে অভিযোগ দায়েরের পাশাপাশি আদালতে মামলা করেছেন সাগর।

সাগর শেখ বলেন, জান্নাতুল ও আমার বিয়ের বিষয়টি জান্নাতুলের মা ও বোন জানতো। বিয়ের পর আমাদের সংসার জীবন ভালোই কাটছিল। তবে হঠাৎ করে জান্নাতুলের বাবা প্রবাস থেকে দেশে ফেরায় তাদের বাড়িতে আমার যাতায়াত বন্ধ হয়ে যায়। আমাদের বিয়ের চার মাসের মাথায় আমি ভিডিও কন্টেন্ট তৈরির কাজে কয়েকদিনের জন্য রাজবাড়ীর বাইরে যাই।

কাজ থেকে এসে শুনি আমার স্ত্রী জান্নাতুল অন্য এক ছেলেকে বিয়ে করেছে। আমি আমার স্ত্রীকে প্রশ্ন করলে সে বলে, ‘পরিবারের চাপে বিয়ে করেছি। ওই ছেলের সঙ্গে আমার কোন সম্পর্ক হয়নি। আমি তোমার স্ত্রী আছি, তোমারই থাকবো। আমার আম্মু দেশে আসলে আমি তোমার কাছে চলে আসবো।’

সাগর বলেন, ‘আমি জান্নাতুলদের বাড়ি যাতায়াত করতে না পারার কারণে বিভিন্ন সময় আমরা রাজবাড়ী শহরে আমার বোনের বাসায় ঘনিষ্ঠ সময় কাটাতাম। ওর কলেজে আনা-নেয়াসহ সবকিছু আমিই করতাম। এমনকি গত ২ নভেম্বরও আমরা আমার বোনের বাসায় আমাদের দ্বিতীয় বিবাহ বার্ষিকী পালন করেছি।

তবে বিবাহ বার্ষিকী পালনের দুদিন পরে আমি জানতে পারি জান্নাতুলের সঙ্গে ওই ছেলের (দ্বিতীয় স্বামীর) ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক চলছে। ওই ছেলে নিয়মিত জান্নাতুলের বাবার বাড়িতে এসে তার সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সময় কাটাচ্ছে। এ বিষয়ে আমি জান্নাতুলকে প্রশ্ন করলে সে আমাকে গালাগালি করে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়। এক পর্যায়ে সে আমার সঙ্গে সংসার করবে না বলেও জানায়।’

তিনি বলেন, ‘সম্প্রতি জান্নাতুলের মা প্রবাস থেকে দেশে ফিরেছে। তিনিও এখন আমাকে মেয়ের জামাই হিসেবে অস্বীকার করছেন। অথচ তার মেয়ের সঙ্গে আমার প্রেম থেকে শুরু করে বিয়ে পর্যন্ত সবকিছুই তিনি জানতেন।

এখন বাধ্য হয়ে আমি আমার স্ত্রীকে ফিরে পেতে আলীপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের কাছে গত ১১ নভেম্বর লিখিত অভিযোগ করেছি। এছাড়া ১৭ নভেম্বর রাজবাড়ীর বিজ্ঞ ১নং আমলি আদালতে মামলা করেছি।’

সাগর আরও বলেন, ‘আমাকে ডিভোর্স না দিয়ে আমার স্ত্রী অন্য আরেকজনকে বিয়ে করে আমার সঙ্গে প্রতারণা করেছে। সে আমাকেও ম্যানেজ করে চলেছে, একইভাবে তার দ্বিতীয় স্বামীকেও ম্যানেজ করে চলেছে।

এটা আইন ও ধর্মীয় দুই দিক থেকেই অপরাধ। এছাড়া আমি এ পর্যন্ত আমার স্ত্রীর পেছনে ২৫ থেকে ৩০ লাখ টাকা ব্যয় করেছি। তারপরও আমি আমার স্ত্রীকে ফেরত চাই। তাকে আমি আমার জীবনের চেয়েও বেশি ভালোবাসি।’

এদিকে, বিষয়টি নিয়ে ক্যামেরার সামনে কথা বলতে রাজী হননি জান্নাতুলের দ্বিতীয় স্বামী। তবে তার দাবি, জান্নাতুলের সঙ্গে সাগরের প্রেমের সম্পর্ক ছিল বলে তিনি জানতেন। সাগরের সঙ্গে বিয়ের বিষয়টি তিনি জানতেন না।

জান্নতুলের দ্বিতীয় স্বামীর বাবা বলেন, ‘কোন এক সূত্রে আমার শ্বশুর জান্নাতুলদের বাড়িতে বেড়াতে গিয়ে তাকে পছন্দ করে। পরে আমি গিয়ে তার বাবার কাছে বিয়ের প্রস্তাব দিলে বিয়ের দিন ধার্য হয়। বিয়ের আগের দিন সাগর নামে এক ছেলে আমার ছেলেকে ফোন করে বলে জান্নাতুলের সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক আছে।

সে জান্নাতুলের সঙ্গে নিজের একটি ছবিও আমার ছেলেকে পাঠায়। এরপর আমি ওই এলাকায় আমার আত্মীয়দের কাছে খোঁজ নিয়ে জানতে পারি জান্নাতুলের সঙ্গে সাগরের কোন সম্পর্ক ছিল না। এছাড়া জান্নাতুলকেও আমি সরাসরি প্রশ্ন করলে সেও সম্পর্কের বিষয়টি অস্বীকার করে।

পরে ঘরোয়া আয়োজনে জান্নাতুলের সঙ্গে আমার ছেলের বিয়ে হয়। এখন সাগর নামে ছেলেটি জান্নাতুলকে তার স্ত্রী হিসেবে দাবি করছে। আমি যতদূর জেনেছি সাগরের স্ত্রী ও সন্তান আছে। এখন বিষয়টি আইনগতভাবেই সমাধান হবে।

আর জান্নাতুল ফেরদৌসের সঙ্গে কথা বলতে তার বাবার বাড়িতে গেলে ভেতরে ঢোকার অনুমতি মেলেনি।’

বাইরে দাঁড় করিয়ে রেখে তার মা হাচিনা বেগম বলেন, ‘সাগরের সঙ্গে আমার মেয়ের বিয়ে হয়েছিল৷ তবে বিয়ের দুই মাসের মাথায় তাদের ডিভোর্স হয়ে যায়। আমার মেয়ে তো ছোট বুঝে নাই, যে কারণে সেসময় ওরা ডিভোর্সের কাগজ ছিঁড়ে ফেলেছে। এর ৪/৫ মাস পরে আমার মেয়ের আবার বিয়ে হয়েছে। সাগর আমার মেয়েকে চাপে ফেলে এতোদিন তার সঙ্গে সময় কাটাতে বাধ্য করেছে।’

আলীপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আবু বকর সিদ্দিক জানান, ‘সাগর ও জান্নাতুলের বিবাহ বিচ্ছেদ হলে তার নোটিশের একটি কপি ইউনিয়ন পরিষদে আসার কথা। এরকম কোন কপি কখনো পাননি তারা।’

তিনি বলেন, ‘সাগর আমার ইউনিয়ন পরিষদে অভিযোগ করেছে। আমিও খোঁজ নিয়ে জানতে পেরেছি সাগর জান্নাতুলের প্রথম স্বামী। সে সাগরকে তালাক না দিয়েই বিয়ের চার মাসের মাথায় অন্য এক ছেলেকে বিয়ে করে। প্রায় দুই বছর সে চালাকি করে দুই স্বামীর সঙ্গেই সংসার করেছে। সাগরের কাছ থেকে জান্নাতুল অনেক টাকা-পয়সা খেয়েছে বলেও আমি জানতে পেরেছি।’

আবু বক্কার বলেন, ‘সাগরের অভিযোগের ভিত্তিতে আমি জান্নাতুলের বাবাকে নোটিশের মাধ্যমে ইউনিয়ন পরিষদে ডাকি। তবে নোটিশ পেয়ে তিনি তার ছোটভাই ও তাদের এলাকার ইউপি সদস্য আবুল কালামকে সঙ্গে নিয়ে আমার বাড়িতে এসে বলেন, আমি যেন পরিষদে বসে বিষয়টি সমাধান করে দেই। তবে এর ১/২ দিন পরে তিনি জানান, এ বিষয়ে তারা বসতে চান না।

আইনগতভাবে তারা বিষয়টি সমাধান করতে চান। পরে আবার তারা বসতে সম্মত হলে জান্নাতুল ও তার বাবা এবং তাদের এলাকার ইউপি সদস্য আবুল কালামসহ পরিষদের অন্য সদস্যদের নিয়ে বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) সন্ধ্যায় ইউনিয়ন পরিষদে বসেছিলাম। সাগরও সেখানে ছিল। তবে সেখানে জান্নাতুল বলে দিয়েছে সে কোনভাবেই সাগরের সঙ্গে ঘর সংসার করবে না।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের পুরুষ শাসিত সমাজে নারীরা নির্যাতিত হয়। কিন্তু ছেলেরা যে কতোটুকু নির্যাতিত হয় তা এই সম্পর্কের জের দেখলে বোঝা যায়। আমাদের সমাজে ছেলেরা আরও বেশি নির্যাতিত হচ্ছে। সেটা নীরবে নিভৃতে ছেলেরা সহ্য করে যাচ্ছে। আমি আশা করবো আপনারা সাংবাদিক ভাইয়েরা বিষয়টি তুলে ধরবেন।

আপনাদের সংবাদের মাধ্যমে মানুষ যাতে সচেতন হতে পারে। আজকে আমার ইউনিয়নে এমন ঘটনা ঘটেছে। আর কোন ইউনিয়নে যেন এমন ঘটনা কোনদিন না ঘটে।’

Header Ad

শহীদ আব্দুল্লাহর বাড়িতে জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য মোবারক হোসেন

ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

২৪ এর গনঅভূ্থানে ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম যোদ্ধা, সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের তৃতীয় বর্ষের মেধাবী শিক্ষার্থী, শহীদ আব্দুল্লাহর বাড়িতে যান বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য মোবারক হোসেন।

এ সময় মোবাইল ফোনে লাউডস্পিকারে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা.শফিকুর রহমান বলেন, আব্দুল্লাহ দেশের জন্য মানুষের জন্য মানবতার কল্যাণের জন্য জীবনকে উৎস্বর্গ করে আল্লাহর দরবারে চলে গেছেন, আল্লাহ তাকে শহীদ হিসাবে কবুল করুন। শহীদরা মরে না। তারা আল্লাহর জীম্মায় জীবন্ত থাকে। এ সময় শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করেন তিনি।

শনিবার (২৩ নভেম্বর) দুপুর ১২ টার দিকে যশোরের বেনাপোল পোর্ট থানার বড় আঁচড়া গ্রামে বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য মোবারক হোসেন আব্দুল্লাহর বাড়িতে গিয়ে শোকসন্তপ্ত পরিবারের খোঁজ খবর নেন,কবর জিয়ারত করেন এবং তার রুহের মাগফেরাত কামনা করে দোয়া ও মোনাজাত করেন।

এর আগে তিনি নাভারণ দারুল আমান ট্রাষ্টে ওলামা সম্মেলনে যোগদান করেন। পরে ২০১৬ সালে গুম হওয়া ইসলামি ছাত্র শিবিরে নেতা রেজোয়ানের বাড়িতে যান এবং খোঁজ খবর ও সমবেদনা জানান।

এসময় তিনি জানান, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে মৃত্যু বরনকারী সকলে ন্যায় বিচার পাবেন বলে পরিবারের সদস্যদের সান্তনা দেন। এবং গনঅভূ্থানে নিহত সকল পরিবারের সাথে বাংলাদেশ জামায়াত ইসলাম আছে থাকবে।

এসময় উপস্থিত ছিলেন, কেন্দ্রীয় কর্ম পরিষদ সদস্য মাওলানা আজিজুর রহমান, যশোরের জেলা আমীর অধ্যক্ষ মাওলানা গোলাম রসূল, সাবেক জেলা আমীর মাওলানা হাবীবুর রহমান, জেলা জামায়াতের নেতা মাওলানা আবু জাফর, মাওঃ শিহাব উদ্দিন শার্শা থানা আমীর রেজাউল ইসলাম, সেক্রেটারী মাওলানা ইউসুফ আলী ও ঝিকরগাছা থানা আমীর মাওলানা আসাদুল আলম প্রমূখ।

Header Ad

বিরামপুরে আদিবাসী নারীর লাশ উদ্ধার

ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

দিনাজপুরের বিরামপুরে বিশনি পাহান (৫৫) নামের এক আদিবাসী নারীর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

শনিবার (২৩ নভেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টায় উপজেলার কাটলা ইউনিয়নের ময়না মোড় এলাকার ধানক্ষেত থেকে ওই নারীর হাতবাঁধা লাশ উদ্ধার করা হয়। নিহত বিশনি পাহান উপজেলার কাটলা ইউনিয়নের বেণুপুর গ্রামের সাধন পাহানের মেয়ে।

নিহতের ভাই চরকা পাহান বলেন, আমার ছোট বোনের স্বামী বিশনি পাহানকে ছেড়ে চলে গেছেন। সে প্রতিরাতেই নেশা করতো। বাবা মারা যাওয়ার পর থেকেই আমার বাড়িতে থাকতো আমার বোন। আমার বোন এলাকায় মানুষের জমিতে কৃষি কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করতো। শুক্রবার বিকেলে এলাকার এক ব্যক্তির জমিতে ধান কাটার কাজ শেষ করে আর বাড়িতে ফেরেননি। রাতে অনেক খোঁজাখুঁজির পরও তাকে কোথাও পাওয়া যায়নি। শনিবার সকালে ধানক্ষেতে হাতবাঁধা অবস্থায় তার লাশ পাওয়া যায়।

বিরামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমতাজুল হক জানান, এলাকাবাসীর দেওয়া খবরে ঘটনাস্থল থেকে আদিবাসী এক নারীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তবে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা যাচ্ছে তাকে কে বা কাহারা হত্যা করেছে। তদন্ত করলেই প্রকৃত ঘটনা বেরিয়ে আসবে।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

গোপনে দুইজনকে বিয়ে, কাউকেই অধিকার বঞ্চিত করেননি জান্নাতুল
শহীদ আব্দুল্লাহর বাড়িতে জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য মোবারক হোসেন
বিরামপুরে আদিবাসী নারীর লাশ উদ্ধার
বিএনপির কাঁধে অনেক দ্বায়িত্ব: তারেক রহমান
'জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় নির্বাচন হওয়া উচিত'- তোফায়েল আহমেদ
৩ মাসে জ্বালানি খাতে সাশ্রয় হয়েছে ৩৭০ কোটি টাকা : জ্বালানি উপদেষ্টা
জুটি বাধলেন মিঠুন চক্রবর্তী-আফসানা মিমি
দেশ ও মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠায় দ্রুত নির্বাচনের কোনো বিকল্প নেই : তারেক রহমান
২৪ ঘণ্টার মধ্যে বঙ্গোপসাগরে লঘুচাপের আশঙ্কা
অক্টোবরে সড়কে প্রাণ গেছে ৪৭৫ জনের
গায়ানায় দলের সঙ্গে যোগ দিলেন সাকিব
আইপিএল নিলামের আগেই নিষিদ্ধ হলেন ভারতের ২ ক্রিকেটার
গাজীপুরে পিকনিকের বাসে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ৩ শিক্ষার্থীর মৃত্যু
কবে বিয়ে করবেন জানালেন তামান্না ভাটিয়া
পঞ্চগড়ে ৫০০ টাকায় সন্তান বিক্রি, অতঃপর যা ঘটল...
অ্যান্টিগায় প্রথম দিন শেষে স্বস্তিতে টাইগাররা
সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারালেন পরীমণির প্রথম স্বামী
বিচারের আগে আ.লীগের মাঠে থাকার সুযোগ নেই: উপদেষ্টা নাহিদ
মাকে হত্যার পর থানায় হাজির ছেলে
৮ ক্রিকেটারসহ ৯ জনকে নিষিদ্ধ করলো বিসিবি