সোমবার, ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ | ১০ ফাল্গুন ১৪৩১
Dhaka Prokash

সংকট উত্তরণের রোডম্যাপ

বাংলাদেশের মতো বর্ধিষ্ণু অর্থনীতির দেশগুলোর জন্য সতেজ কৃষিখাত একটি প্রধানতম শক্তির জায়গা। অর্থনীতির দীর্ঘমেয়াদি টেকসই পুনরুদ্ধারে কৃষি খাতের ভিত্তিকে আরও মজবুত ও বহুমুখী করার কোনো বিকল্প নেই। এ কথা সত্য যে জ্বালানি ও সারের মূল্য বৃদ্ধির কারণে একটি চ্যালেঞ্জিং পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।

এ ছাড়াও সময় মতো কম বৃষ্টিপাত হওয়ার কারণে এক রকম খরা পরিস্থিতির মধ্য দিয়েই যেতে হচ্ছে এ দেশের কৃষি খাতকে। তাই এ অবস্থায় সার্বিক খাদ্য নিরাপত্তা নিয়ে চিন্তিত হওয়া অযৌক্তিক নয়। তবে আশার কথা এই যে, আমাদের নীতি-নির্ধারকেরা এই চ্যালেঞ্জগুলোর বিষয়েও সংবেদনশীলতার পরিচয়ই দিচ্ছেন। ইতোমধ্যেই মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে জ্বালানি তেলে দাম সমন্বয় করা হয়েছে। ভবিষ্যতে হয়তো আরও করা হবে। তবে ইউরোপ রাশিয়া থেকে তেল ও গ্যাস কিনতে পারছে না। বিশ্ব বাজার থেকে তাকে বেশি দামে জ্বালানি পণ্য কিনতে হচ্ছে। যে কারণে বিশ্ব জ্বালানি বাজারে সরবরাহ ঘাটতি সহজে কমবে বলে মনে হয় না। দামও খুব বেশি কমবে না। এসব ঝুঁকি মনে রেখেই সরকারকে তার জ্বালানি নীতি বাস্তবায়ন করতে হচ্ছে। এসব সত্ত্বেও সরকার কৃষির জন্য তার সহযোগিতার হাত সরিয়ে নেবে বলে মনে হয় না।

২০২২-২৩ অর্থবছরের বাজেট প্রস্তাব করার সময় অর্থমন্ত্রী দরকারবোধে কৃষি ভর্তুকি উল্লেখযোগ্য মাত্রায় বাড়ানোর যে প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেছেন সেটিও আমাদের ভরসা যোগাচ্ছে। দীর্ঘতর মেয়াদে সেচের জন্য জীবাশ্ম জ্বালানির ওপর নির্ভরশীলতা থেকে সরে এসে সোলার ইরিগেশন পাম্পের প্রসারের কথাও জোরেসোরে শোনা যাচ্ছে।

মনে রাখা চাই যে, কেবল কৃষির ওপর ভিত্তি করেই আমাদের সামষ্টিক অর্থনীতি একটি শক্তিশালী ভিত্তির ওপর দাঁড়িয়েছে- এমন নয়। একই রকম অবদান আছে তরুণ জনশক্তি আর উদ্ভাবনী উদ্যোক্তাদের নিরলস পরিশ্রমে গড়ে ওঠা বর্ধিষ্ণু শিল্প খাতেরও। এক্ষেত্রে প্রশ্নাতীতভাবে সবচেয়ে বড় ভূমিকা রেখেছে আরএমজি খাত। পাশাপাশি উঠে আসছে চামড়া ও চামড়াজাত পণ্যসহ আরও বেশ কিছু খাত। কাজেই অভ্যন্তরীণ কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধি এবং খাদ্য আমদানি বহাল রেখে খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করা একান্ত জরুরি হলেও টেকসই অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারের জন্য যথেষ্ট শর্ত হতে পারে না। এ জন্য শুরুতেই বলেছি বহিঃঅর্থনীতির চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবিলার জন্যও সরকার সুনির্দিষ্ট কৌশল নিয়ে এগোচ্ছে।

বিশ্ব বাজারে ডলার বিনিময়ের ক্ষেত্রে সৃষ্ট অস্থিতিশীলতা স্মরণকালের মধ্যে তীব্রতম পর্যায়ে ঠেকেছে মার্কিন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সুদের হার আগ্রাসীভাবে বাড়াতে থাকার কারণে। সে কারণে আমাদের পাশের দেশসহ প্রায় সকল দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংক তাদের মৌলিক সুদের হার বাড়িয়ে বাজার থেকে তারল্য শুষে নিচ্ছে। পুরো বিশ্বের বিনিয়োগ এখন ছুটছে মার্কিন ডলারভিত্তিক বন্ডের দিকে। তাই ডলারের বিপরীতে নিজস্ব মুদ্রার ব্যাপক অবমূল্যায়ন করতে বাধ্য হয়েছে প্রায় সবগুলো দেশ। বাংলাদেশও এর ব্যতিক্রম নয়। গত কয়েক মাস ধরে আমাদের ডলার বাজারেও ব্যাপক অস্থিরতা দেখা গেছে।

শুরুতে খানিকটা সমস্যা দেখা দিলেও এখন সব অংশীজনের ভেতর সমন্বয় যথেষ্ট বেড়েছে। আমদানি কমানোর জন্য সরকার ও কেন্দ্রীয় ব্যাংক একযোগে কাজ করে বেশ কিছু সময়োচিত পদক্ষেপ নিয়েছে। তার সুফলও দৃশ্যমান হতে শুরু করেছে। ডলারের বিনিময় হার নিয়ে সৃষ্ট জটিলতার কারণে পরিস্থিতি চ্যালেঞ্জিং থেকে যাচ্ছিল। তবে শেষ পর্যন্ত (১৪ সেপ্টেম্বর ২০২২ তারিখের খবর অনুসারে) আমরা মোটামুটি বাজারভিত্তিক বিনিময় হারের ওপর আস্থা রাখছি বলে মনে হচ্ছে।

১৩ সেপ্টেম্বর ২০২২ তারিখে বাজারের বিদ্যমান বাস্তবতার সঙ্গে সমন্বয় করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক আন্তঃব্যাংক বৈদেশিক মুদ্রা বিনিময় হার নির্ধারণ করেছে। এতে ডলারের বিপরীতে টাকার অবমূল্যায়ন হলো ১১ দশমিক ৭৩ শতাংশ, যা দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় মাত্রার অবনমন। সব মিলিয়ে গত এক বছরে ডলারের বিপরীতে টাকার অবমূল্যায়ন হলো ২৫ শতাংশ। সময় এসেছে রপ্তানিকারক ও প্রবাসী আয় প্রেরণকারীদের কাছে এক দামেই ডলার বিক্রির ব্যবস্থা করার। আমদানিকারকরা বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশ মতো এক টাকা বেশি দামেই ডলার কিনবেন। প্রবাসী আয়ে সরকারের দেওয়া নগদ সহায়তা অব্যাহত থাকতে পারে। তবে বিনিময় হারের কারণে এতটা লাভ হওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে রপ্তানিকারকদের দেওয়া নানা ধরনের সহায়তা (গত অর্থবছরে ৮,৭৮৪ কোটি টাকা) না দিলেও চলবে। জটিল এই ব্যবস্থায় নানা রকম অনিয়ম ও অযথা প্রশাসনিক কর্মব্যস্ততাও তাতে দূর করা যাবে। তবে সংশ্লিষ্ট অংশীজনদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করেই কেন্দ্রীয় ব্যাংক ও অর্থ বিভাগ এই সংস্কারে হাত দিতে পারে।

টাকার অবমূল্যায়নের খুব বড় প্রভাব আমদানি করা নিত্য পণ্যের ওপর না পড়ারই কথা। কারণ আনুষ্ঠানিক যে বিনিময় হার আগে ছিল বাস্তবে তার চেয়ে অনেক বেশি দামে ডলার কিনে আমদানি করছিলেন ব্যবসায়ীরা। বরং এখন আর এত চড়া মূল্যে আমদানি করতে হবে না বলে তারা কিছুটা স্বস্তিই পাবেন। তবে এটা ঠিক যে, সরকার যে সব আমদানির ক্ষেত্রে ভর্তুকি দিয়ে যাচ্ছিল (যেমন: জ্বালানি) সেখানে ভর্তুকির পরিমাণ এখন আরও বাড়াতে হবে। মনে হয় সরকারের অংশীজনেরা বৃহত্তর জনস্বার্থের প্রতি সংবেদনশীল থেকেই ভর্তুকির বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন। বিপিসির মতো সরকারি প্রতিষ্ঠানকেও বাজার মূল্যেই ডলার কিনতে হবে। তা নাহলে রিজার্ভ ক্ষয় রোধ করা যাবে না।

এটা স্পষ্ট যে অভ্যন্তরীণ উৎপাদন এবং বহিঃঅর্থনীতির ব্যবস্থাপনা দুই ক্ষেত্রেই শক্তিশালী সামষ্টিক অর্থনৈতিক ভিত্তি এবং সময়োচিত রাজস্ব ও মুদ্রানীতির কল্যাণে বাংলাদেশ একটি আশাব্যঞ্জক অবস্থানে রয়েছে। আগে থেকেই সচেতন অর্থনীতিবিদ ও আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সহযোগীরা বলে আসছিলেন যে চলমান বৈশ্বিক সংকট মোকাবিলার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ সমতুল্য অন্য দেশগুলোর চেয়ে অনেকখানি নিরাপদ অবস্থানে আছে। সাম্প্রতিক এই অগ্রগতিগুলোর মাধ্যমে আমরা এখন এর প্রমাণ চোখের সামনেই দেখতে পাচ্ছি। তবে এই বিশ্ব সংকট কতোদিন স্থায়ী হবে তা এখনো কারোও জানা নেই। কাজেই সামনে আরও বহু ঝুঁকি ও চ্যালেঞ্জ যে রয়ে গেছে তা ভুলে গেলে চলবে না।

এক্ষেত্রে লক্ষ্যণীয় যে আগামী দিনের চ্যালেঞ্জগুলো আমরা কতোটা সফলভাবে মোকাবিলা করতে পারব তা বহুলাংশে নির্ভর করছে বহিঃর্বিশ্বে বিশেষ করে বিনিয়োগকারীদের কাছে আমরা আমাদের অর্থনীতির সম্ভাবনাগুলো কতোটা আস্থার সঙ্গে তুলে ধরতে পারব তার উপর। এক্ষেত্রে স্মার্ট অর্থনৈতিক কূটনীতি একটি প্রধান নির্ণায়ক। এই চ্যালেঞ্জের মুখে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আমাদের হাল ধরে আছেন বলে আমরা বিশেষ আশাবাদী হতে পারছি। কারণ আন্তর্জাতিক মহলে একজন অভিজ্ঞ ও পরীক্ষিত নেতৃত্ব হিসেবে তিনি সমাদৃত। সম্প্রতি শেষ হওয়া ভারত সফরে আঞ্চলিক বাণিজ্য সংযোগ আরও মজবুতকরণের পথে অগ্রগতি হয়েছে। এখন তিনি নিউইয়র্ক সফল করছেন। সেখানেও নিশ্চয়ই তার ক্যারিশমার গুণে মার্কিন বিনিয়োগ আকৃষ্ট করার ক্ষেত্র প্রসারিত হবে।

লেখক: অর্থনীতিবিদ ও সাবেক গভর্নর, বাংলাদেশ ব্যাংক।

এসএন

Header Ad
Header Ad

চট্টগ্রাম কলেজে ছাত্রদলের ওপর ছাত্রশিবিরের হামলা

ছবি: সংগৃহীত

চট্টগ্রাম কলেজ প্রাঙ্গণে ছাত্রদল নেতাকর্মীদের ওপর হামলার অভিযোগ উঠেছে ছাত্রশিবিরের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে। রোববার (২৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে শেরেবাংলা হলের সামনে এ হামলার ঘটনা ঘটে। এতে ছাত্রদলের অন্তত চারজন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। তবে ছাত্রশিবির এ হামলার অভিযোগ অস্বীকার করেছে।

আহতদের মধ্যে রয়েছেন ওমর ফারুক সাগর, রেদোয়ান ইসলাম, জাহিদুল ইসলাম, মোহাম্মদ কাইফ ও মোরশেদুল ইসলাম। তারা বর্তমানে চট্টগ্রামের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

এ ঘটনায় চট্টগ্রাম কলেজ ছাত্রদলের সদস্য সচিব ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক ওমর ফারুক সাগর বলেন, “চট্টগ্রাম কলেজে আজ ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ছিল। আমন্ত্রণ পেয়ে আমরা সেখানে যাই। কিন্তু শেরেবাংলা হলের সামনে পৌঁছানোর পর ছাত্রশিবিরের নেতাকর্মীরা আচমকা আমাদের ওপর হামলা চালায়। তারা আমাকে উদ্দেশ্য করে বলে, ‘ছাত্রদল নেতা ফারুক চট্টগ্রাম কলেজে থাকতে পারবে না।’ এরপর আমাদের নেতাকর্মীদের ওপর অতর্কিত হামলা চালানো হয়।”

তিনি আরও বলেন, "হামলাকারীরা শিবির নেতা শামীম আব্দুল্লাহর নেতৃত্বে ৩০-৩৫ জন কর্মী নিয়ে হামলায় অংশ নেয়। তারা আমাদের মারধর করে এবং কলেজে ছাত্রদলের উপস্থিতি নিষিদ্ধ করার হুমকি দেয়। বিষয়টি আমরা চকবাজার থানার ওসি ও বিএনপির সিনিয়র নেতাদের জানিয়েছি। তারা যে নির্দেশনা দেবেন, আমরা সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেব।”

তবে হামলার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রশিবিরের সভাপতি তানভীর হোসেন জুয়েল। তিনি বলেন, “আপনারা জানেন, চট্টগ্রাম কলেজে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ। তাই আমরা কোনো গ্যাদারিং করিনি এবং কলেজের বাইরে সংগঠনের কার্যক্রম চালাচ্ছি।

তিনি আরও বলেন, “সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আমরা দেখেছি, ছাত্রদল বহিরাগতদের নিয়ে কলেজে ফরম বিতরণ করছিল। তাদের কোনো কলেজ ড্রেস বা আইডি কার্ড ছিল না। তখন কিছু সাধারণ শিক্ষার্থী তাদের বাধা দেয় এবং জানায় যে এখানে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ। তখনই উভয়পক্ষের মধ্যে ধাক্কাধাক্কি ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। কিন্তু এটি রাজনৈতিক হামলা নয়। যদি ছাত্রশিবির হামলা করত, তাহলে তাদের নাম ও পদ-পদবি প্রকাশ করা হোক।”

এ বিষয়ে চট্টগ্রাম কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক মোজাহেদুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, "ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা আমার কাছে বিচার দিয়েছে যে, তারা লিফলেট বিতরণ করার সময় কিছু ছেলে এসে তাদের টানাহেঁচড়া করেছে। যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে, আমি তাদের ডেকে জিজ্ঞাসা করেছি। তারা জানিয়েছে, বার্ষিক ক্রীড়ার সময় ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা এসে জটলা করছিল এবং তারা বহিরাগত। এরপর আমি উভয়পক্ষকে কিছুক্ষণ কাউন্সেলিং করেছি।”

এই ঘটনায় কলেজ ক্যাম্পাসে উত্তেজনা বিরাজ করছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সতর্ক অবস্থানে রয়েছে, যাতে পরবর্তী কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি সৃষ্টি না হয়।

Header Ad
Header Ad

সেমিফাইনালের পথে ভারত, কোহলির সেঞ্চুরিতে পাকিস্তানের হার

বিরাট কোহলি। ছবি: সংগৃহীত

দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির হাই-ভোল্টেজ ম্যাচে পাকিস্তানের বিপক্ষে আধিপত্য বিস্তার করে জয় পেয়েছে ভারত। বিরাট কোহলির দুর্দান্ত সেঞ্চুরিতে ২৪২ রানের লক্ষ্য সহজেই পার করেছে রোহিত শর্মার দল।

টসে হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নামে পাকিস্তান। ভারতীয় বোলারদের দাপটে ব্যাটিংয়ে সুবিধা করতে পারেনি বাবর আজমের দল। সৌদ শাকিলের ৬২, মোহাম্মদ রিজওয়ানের ৪২ এবং খুশদিল শাহের ৩৮ রানের ইনিংসে ভর করে পাকিস্তান ২৪১ রান সংগ্রহ করে। ভারতের পক্ষে কুলদীপ যাদব, হার্দিক পান্ডিয়া ও মোহাম্মদ শামির বোলিং ছিল প্রশংসনীয়।

২৪২ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ভারতীয় ওপেনার রোহিত শর্মা ও শুবমান গিল ভালো শুরু করেন। উদ্বোধনী জুটিতে স্কোরবোর্ডে ৩১ রান যোগ করেন তারা। তবে পঞ্চম ওভারে শাহিন আফ্রিদির দুর্দান্ত এক ডেলিভারিতে বোল্ড হয়ে ফিরে যান রোহিত শর্মা। এরপর ক্রিজে আসেন বিরাট কোহলি এবং শুবমান গিলের সঙ্গে ৬৯ রানের জুটি গড়েন। ৫২ বলে ৪৬ রান করে গিল আউট হলে কোহলির সঙ্গী হন শ্রেয়াস আইয়ার।

কোহলি ও আইয়ারের ১১৪ রানের জুটি ভারতের জয়ের ভিত গড়ে দেয়। দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে ফিফটি তুলে নেন আইয়ার। তবে ৫৬ রানে খুশদিল শাহের বলে ক্যাচ দিয়ে আউট হয়ে যান তিনি। অন্যদিকে কোহলি ছিলেন অবিচল। ৪২.৩ ওভারে চার মেরে দলের জয় নিশ্চিত করার পাশাপাশি নিজের সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন ভারতীয় এই ব্যাটসম্যান। তিনি ১১১ বলে ১০০ রানে অপরাজিত থাকেন।

এর আগে পাকিস্তানের ব্যাটিং ইনিংসে বাবর আজম ও ইমাম-উল-হক ধীরে শুরু করলেও বড় ইনিংস গড়তে পারেননি। বাবর ২৬ বলে ২৩ রান করে হার্দিক পান্ডিয়ার বলে ক্যাচ দিয়ে আউট হন। অন্যদিকে রান আউট হয়ে ২৬ বলে মাত্র ১০ রান করে ফেরেন ইমাম। এরপর রিজওয়ান ও শাকিল ১০৪ রানের পার্টনারশিপ গড়ে দলকে শক্ত অবস্থানে নেওয়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু অক্ষর প্যাটেলের বলে বোল্ড হয়ে ৭৭ বলে ৪৬ রান করে সাজঘরে ফেরেন রিজওয়ান।

রিজওয়ান ফিরে গেলে পাকিস্তানের ব্যাটিং লাইনআপ ভেঙে পড়ে। ৬২ রান করে শাকিলও বিদায় নেন। এরপর শেষ দিকে খুশদিল শাহ ৩৯ বলে ৩৮ রানের ইনিংস খেলে দলের সংগ্রহ ২৪১ রানে নিয়ে যান। ভারতের বোলারদের মধ্যে কুলদীপ, শামি ও হার্দিক পান্ডিয়া গুরুত্বপূর্ণ উইকেট তুলে নেন।

বিরাট কোহলির অসাধারণ ব্যাটিং ও দলের দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের সুবাদে ৬ উইকেটের জয় তুলে নিয়ে সেমিফাইনালের পথে অনেকটাই এগিয়ে গেল ভারত।

Header Ad
Header Ad

নাহিদের পদত্যাগ নিয়ে যা জানা গেল

অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম। ছবি: সংগৃহীত

অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম জানিয়েছেন, তিনি এখনও পদত্যাগ করেননি। রোববার (২৩ ফেব্রুয়ারি) রাতে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

এর আগে, সন্ধ্যায় তার পদত্যাগের গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়লে গণমাধ্যমকে তিনি বলেন, "আমি পদত্যাগ করিনি। যে খবর ছড়িয়েছে, সেটা গুজব।"

এর আগে, গত মঙ্গলবার নাহিদ ইসলাম জানিয়েছিলেন, উপদেষ্টার পদ থেকে পদত্যাগ এবং নতুন রাজনৈতিক দলে যোগদানের বিষয়ে তিনি সপ্তাহের শেষ দিকে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন।

অন্তর্বর্তী সরকারের একটি সূত্র জানিয়েছে, উপদেষ্টা পরিষদের সাপ্তাহিক সভায় নাহিদ ইসলাম পদত্যাগ করতে পারেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

চট্টগ্রাম কলেজে ছাত্রদলের ওপর ছাত্রশিবিরের হামলা
সেমিফাইনালের পথে ভারত, কোহলির সেঞ্চুরিতে পাকিস্তানের হার
নাহিদের পদত্যাগ নিয়ে যা জানা গেল
দুর্ঘটনায় আহত ছেলেকে হাসপাতালে দেখতে যাওয়ার পথে সড়কে প্রাণ গেল মায়ের
অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা দ্রুত মৃত্যু ডেকে আনে!
জীবন থাকতে কোনো স্থানীয় নির্বাচন করতে দেওয়া হবে না: ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক
২৫ ফেব্রুয়ারি ‘জাতীয় শহীদ সেনা দিবস’ ঘোষণা, সরকারি ছুটি নিয়ে যা জানা গেল!
ঢাবির মধুর ক্যান্টিনে ছাত্রশিবিরের সংবাদ সম্মেলন, ছাত্রদলের নিন্দা
ভারতে ৫ বছর ধরে নিকটজনদের কাছে ধর্ষণের শিকার কিশোরী
ইলন মাস্ককে বাংলাদেশ সফর ও স্টারলিংক চালুর আমন্ত্রণ প্রধান উপদেষ্টার
পাঁচ দফা দাবিতে মেডিকেল শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ, একাডেমিক শাটডাউন ও লংমার্চের ঘোষণা
নির্বাচন নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের দুটি সময়সীমা নির্ধারণ: সিইসি
নিজ বাড়িতে গুলিবিদ্ধ অভিনেতা আজাদ, আহত মা ও স্ত্রী
আহতদের চিকিৎসা বন্ধে ‘নো ট্রিটমেন্ট, নো রিলিজ’ শেখ হাসিনার নির্দেশ ছিলো
এস আলম পরিবারের ৮,১৩৩ কোটি টাকার শেয়ার অবরুদ্ধের নির্দেশ
প্রথমবার বাংলাদেশ-পাকিস্তান সরাসরি বাণিজ্য চালু
৪ ডিআইজিকে বাধ্যতামূলক অবসর, জানা গেল নাম
পুলিশ প্রজাতন্ত্রের স্বাধীন কর্মচারী, কোনো দলের নয়: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
ধর্ষণের প্রতিবাদে আসাদ গেটে ছাত্র-জনতার সড়ক অবরোধ
স্ত্রীর সামনে বিএনপি নেতাকে পিটিয়ে হত্যা, গ্রেপ্তার ২