সোমবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৪ | ৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

সংকট উত্তরণের রোডম্যাপ

বাংলাদেশের মতো বর্ধিষ্ণু অর্থনীতির দেশগুলোর জন্য সতেজ কৃষিখাত একটি প্রধানতম শক্তির জায়গা। অর্থনীতির দীর্ঘমেয়াদি টেকসই পুনরুদ্ধারে কৃষি খাতের ভিত্তিকে আরও মজবুত ও বহুমুখী করার কোনো বিকল্প নেই। এ কথা সত্য যে জ্বালানি ও সারের মূল্য বৃদ্ধির কারণে একটি চ্যালেঞ্জিং পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।

এ ছাড়াও সময় মতো কম বৃষ্টিপাত হওয়ার কারণে এক রকম খরা পরিস্থিতির মধ্য দিয়েই যেতে হচ্ছে এ দেশের কৃষি খাতকে। তাই এ অবস্থায় সার্বিক খাদ্য নিরাপত্তা নিয়ে চিন্তিত হওয়া অযৌক্তিক নয়। তবে আশার কথা এই যে, আমাদের নীতি-নির্ধারকেরা এই চ্যালেঞ্জগুলোর বিষয়েও সংবেদনশীলতার পরিচয়ই দিচ্ছেন। ইতোমধ্যেই মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে জ্বালানি তেলে দাম সমন্বয় করা হয়েছে। ভবিষ্যতে হয়তো আরও করা হবে। তবে ইউরোপ রাশিয়া থেকে তেল ও গ্যাস কিনতে পারছে না। বিশ্ব বাজার থেকে তাকে বেশি দামে জ্বালানি পণ্য কিনতে হচ্ছে। যে কারণে বিশ্ব জ্বালানি বাজারে সরবরাহ ঘাটতি সহজে কমবে বলে মনে হয় না। দামও খুব বেশি কমবে না। এসব ঝুঁকি মনে রেখেই সরকারকে তার জ্বালানি নীতি বাস্তবায়ন করতে হচ্ছে। এসব সত্ত্বেও সরকার কৃষির জন্য তার সহযোগিতার হাত সরিয়ে নেবে বলে মনে হয় না।

২০২২-২৩ অর্থবছরের বাজেট প্রস্তাব করার সময় অর্থমন্ত্রী দরকারবোধে কৃষি ভর্তুকি উল্লেখযোগ্য মাত্রায় বাড়ানোর যে প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেছেন সেটিও আমাদের ভরসা যোগাচ্ছে। দীর্ঘতর মেয়াদে সেচের জন্য জীবাশ্ম জ্বালানির ওপর নির্ভরশীলতা থেকে সরে এসে সোলার ইরিগেশন পাম্পের প্রসারের কথাও জোরেসোরে শোনা যাচ্ছে।

মনে রাখা চাই যে, কেবল কৃষির ওপর ভিত্তি করেই আমাদের সামষ্টিক অর্থনীতি একটি শক্তিশালী ভিত্তির ওপর দাঁড়িয়েছে- এমন নয়। একই রকম অবদান আছে তরুণ জনশক্তি আর উদ্ভাবনী উদ্যোক্তাদের নিরলস পরিশ্রমে গড়ে ওঠা বর্ধিষ্ণু শিল্প খাতেরও। এক্ষেত্রে প্রশ্নাতীতভাবে সবচেয়ে বড় ভূমিকা রেখেছে আরএমজি খাত। পাশাপাশি উঠে আসছে চামড়া ও চামড়াজাত পণ্যসহ আরও বেশ কিছু খাত। কাজেই অভ্যন্তরীণ কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধি এবং খাদ্য আমদানি বহাল রেখে খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করা একান্ত জরুরি হলেও টেকসই অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারের জন্য যথেষ্ট শর্ত হতে পারে না। এ জন্য শুরুতেই বলেছি বহিঃঅর্থনীতির চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবিলার জন্যও সরকার সুনির্দিষ্ট কৌশল নিয়ে এগোচ্ছে।

বিশ্ব বাজারে ডলার বিনিময়ের ক্ষেত্রে সৃষ্ট অস্থিতিশীলতা স্মরণকালের মধ্যে তীব্রতম পর্যায়ে ঠেকেছে মার্কিন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সুদের হার আগ্রাসীভাবে বাড়াতে থাকার কারণে। সে কারণে আমাদের পাশের দেশসহ প্রায় সকল দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংক তাদের মৌলিক সুদের হার বাড়িয়ে বাজার থেকে তারল্য শুষে নিচ্ছে। পুরো বিশ্বের বিনিয়োগ এখন ছুটছে মার্কিন ডলারভিত্তিক বন্ডের দিকে। তাই ডলারের বিপরীতে নিজস্ব মুদ্রার ব্যাপক অবমূল্যায়ন করতে বাধ্য হয়েছে প্রায় সবগুলো দেশ। বাংলাদেশও এর ব্যতিক্রম নয়। গত কয়েক মাস ধরে আমাদের ডলার বাজারেও ব্যাপক অস্থিরতা দেখা গেছে।

শুরুতে খানিকটা সমস্যা দেখা দিলেও এখন সব অংশীজনের ভেতর সমন্বয় যথেষ্ট বেড়েছে। আমদানি কমানোর জন্য সরকার ও কেন্দ্রীয় ব্যাংক একযোগে কাজ করে বেশ কিছু সময়োচিত পদক্ষেপ নিয়েছে। তার সুফলও দৃশ্যমান হতে শুরু করেছে। ডলারের বিনিময় হার নিয়ে সৃষ্ট জটিলতার কারণে পরিস্থিতি চ্যালেঞ্জিং থেকে যাচ্ছিল। তবে শেষ পর্যন্ত (১৪ সেপ্টেম্বর ২০২২ তারিখের খবর অনুসারে) আমরা মোটামুটি বাজারভিত্তিক বিনিময় হারের ওপর আস্থা রাখছি বলে মনে হচ্ছে।

১৩ সেপ্টেম্বর ২০২২ তারিখে বাজারের বিদ্যমান বাস্তবতার সঙ্গে সমন্বয় করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক আন্তঃব্যাংক বৈদেশিক মুদ্রা বিনিময় হার নির্ধারণ করেছে। এতে ডলারের বিপরীতে টাকার অবমূল্যায়ন হলো ১১ দশমিক ৭৩ শতাংশ, যা দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় মাত্রার অবনমন। সব মিলিয়ে গত এক বছরে ডলারের বিপরীতে টাকার অবমূল্যায়ন হলো ২৫ শতাংশ। সময় এসেছে রপ্তানিকারক ও প্রবাসী আয় প্রেরণকারীদের কাছে এক দামেই ডলার বিক্রির ব্যবস্থা করার। আমদানিকারকরা বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশ মতো এক টাকা বেশি দামেই ডলার কিনবেন। প্রবাসী আয়ে সরকারের দেওয়া নগদ সহায়তা অব্যাহত থাকতে পারে। তবে বিনিময় হারের কারণে এতটা লাভ হওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে রপ্তানিকারকদের দেওয়া নানা ধরনের সহায়তা (গত অর্থবছরে ৮,৭৮৪ কোটি টাকা) না দিলেও চলবে। জটিল এই ব্যবস্থায় নানা রকম অনিয়ম ও অযথা প্রশাসনিক কর্মব্যস্ততাও তাতে দূর করা যাবে। তবে সংশ্লিষ্ট অংশীজনদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করেই কেন্দ্রীয় ব্যাংক ও অর্থ বিভাগ এই সংস্কারে হাত দিতে পারে।

টাকার অবমূল্যায়নের খুব বড় প্রভাব আমদানি করা নিত্য পণ্যের ওপর না পড়ারই কথা। কারণ আনুষ্ঠানিক যে বিনিময় হার আগে ছিল বাস্তবে তার চেয়ে অনেক বেশি দামে ডলার কিনে আমদানি করছিলেন ব্যবসায়ীরা। বরং এখন আর এত চড়া মূল্যে আমদানি করতে হবে না বলে তারা কিছুটা স্বস্তিই পাবেন। তবে এটা ঠিক যে, সরকার যে সব আমদানির ক্ষেত্রে ভর্তুকি দিয়ে যাচ্ছিল (যেমন: জ্বালানি) সেখানে ভর্তুকির পরিমাণ এখন আরও বাড়াতে হবে। মনে হয় সরকারের অংশীজনেরা বৃহত্তর জনস্বার্থের প্রতি সংবেদনশীল থেকেই ভর্তুকির বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন। বিপিসির মতো সরকারি প্রতিষ্ঠানকেও বাজার মূল্যেই ডলার কিনতে হবে। তা নাহলে রিজার্ভ ক্ষয় রোধ করা যাবে না।

এটা স্পষ্ট যে অভ্যন্তরীণ উৎপাদন এবং বহিঃঅর্থনীতির ব্যবস্থাপনা দুই ক্ষেত্রেই শক্তিশালী সামষ্টিক অর্থনৈতিক ভিত্তি এবং সময়োচিত রাজস্ব ও মুদ্রানীতির কল্যাণে বাংলাদেশ একটি আশাব্যঞ্জক অবস্থানে রয়েছে। আগে থেকেই সচেতন অর্থনীতিবিদ ও আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সহযোগীরা বলে আসছিলেন যে চলমান বৈশ্বিক সংকট মোকাবিলার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ সমতুল্য অন্য দেশগুলোর চেয়ে অনেকখানি নিরাপদ অবস্থানে আছে। সাম্প্রতিক এই অগ্রগতিগুলোর মাধ্যমে আমরা এখন এর প্রমাণ চোখের সামনেই দেখতে পাচ্ছি। তবে এই বিশ্ব সংকট কতোদিন স্থায়ী হবে তা এখনো কারোও জানা নেই। কাজেই সামনে আরও বহু ঝুঁকি ও চ্যালেঞ্জ যে রয়ে গেছে তা ভুলে গেলে চলবে না।

এক্ষেত্রে লক্ষ্যণীয় যে আগামী দিনের চ্যালেঞ্জগুলো আমরা কতোটা সফলভাবে মোকাবিলা করতে পারব তা বহুলাংশে নির্ভর করছে বহিঃর্বিশ্বে বিশেষ করে বিনিয়োগকারীদের কাছে আমরা আমাদের অর্থনীতির সম্ভাবনাগুলো কতোটা আস্থার সঙ্গে তুলে ধরতে পারব তার উপর। এক্ষেত্রে স্মার্ট অর্থনৈতিক কূটনীতি একটি প্রধান নির্ণায়ক। এই চ্যালেঞ্জের মুখে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আমাদের হাল ধরে আছেন বলে আমরা বিশেষ আশাবাদী হতে পারছি। কারণ আন্তর্জাতিক মহলে একজন অভিজ্ঞ ও পরীক্ষিত নেতৃত্ব হিসেবে তিনি সমাদৃত। সম্প্রতি শেষ হওয়া ভারত সফরে আঞ্চলিক বাণিজ্য সংযোগ আরও মজবুতকরণের পথে অগ্রগতি হয়েছে। এখন তিনি নিউইয়র্ক সফল করছেন। সেখানেও নিশ্চয়ই তার ক্যারিশমার গুণে মার্কিন বিনিয়োগ আকৃষ্ট করার ক্ষেত্র প্রসারিত হবে।

লেখক: অর্থনীতিবিদ ও সাবেক গভর্নর, বাংলাদেশ ব্যাংক।

এসএন

Header Ad

মৃত্যুর আগে ফেসবুক লাইভে অডিও বার্তা, পত্নীতলায় সুমন হত্যা ঘিরে রহস্য

সুমন হোসেন। ছবি: সংগৃহীত

নওগাঁর পত্নীতলা-মহাদেবপুর সীমানার বিলছাড়া এলাকা থেকে এক যুবকের মৃতদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। ওই যুবকের নাম সুমন হোসেন। তিনি বিলছাড়া গ্রামের ময়েন উদ্দিনের ছেলে।

সোমবার (১৮ নভেম্বর) দুপুরে পত্নীতলা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এনায়েতুর রহমান ঢাকাপ্রকাশকে নিশ্চিত করে বলেন, ‘স্থানীয়রা গাছে ঝুলন্ত অবস্থায় সুমনের মৃতদেহ দেখতে পান। থানায় খবর দিলে পুলিশ গিয়ে মৃতদেহ উদ্ধার করে।’

ওসি বলেন, ‘সুমন ডিজিটাল মার্কেটে ব্যবসার সাথে জড়িত ছিলেন। গত কাল রাতে ‘সুমন হোসেন’ নামে একটি ফেসবুক আইডি থেকে করা লাইভে কিছু কথা শোনা যায়। পাঁচ মিনিট ৪৬ সেকেন্ডের ওই অডিওতে অভিযোগ করা হয়, বুলবুল নামে এক ব্যক্তির কাছ থেকে সুদের বিনিময়ে ৭০ হাজার টাকা ধার করেন সুমন। সাথে ফাঁকা ব্যাংক চেক ও স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর নেয়া হয়। কিন্তু পরে বুলবুল তার কাছ থেকে ১০ লাখ ৪৫ হাজার টাকা পান বলে চাপ দিতে থাকেন। এক পর্যায়ে গত রাতে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে ১০ লাখ টাকা নিয়ে বাড়ি ফেরার পথে তাকে ধাওয়া করা হয়। ওই রেকর্ডে দাবি করা হয় তার মৃত্যুর জন্য বুলবুল নামে ওই ব্যক্তিই দায়ী।’

তবে ওসি বলেন, ‘ওই ফেসবুক আইডিটি আসলেই সুমনের কিনা কিংবা লাইভের অডিও’র ওই ব্যক্তিটি কে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। বুলবুল নামে কোনো ব্যক্তির সাথে সুমনের আসলেই কোনো আর্থিক লেনদেন ছিল কিনা তা জানার চেষ্টা করছে পুলিশ। এসবের সত্যতা বের হলেই আসল রহস্য উন্মোচন হবে। মৃতদেহটি ময়না ‍তদন্তের জন্য নওগাঁ জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।’

সুমন হোসেন হত্যার বিচার দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল। ছবি: সংগৃহীত

এদিকে সোমবার (১৮ নভেম্বর) বেলা পৌনে ১২টায় নওগাঁর পত্নীতলা উপজেলায় নজিপুর বাসস্ট্যান্ডে এলাকায় ব্যবসায়ী সুমন হোসেন হত্যার বিচার দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করে সাধারণ ব্যবসায়ীরা।

Header Ad

গিলেস্পিই থাকছেন পাকিস্তানের প্রধান কোচ

ছবি: সংগৃহীত

গিলেস্পিকে সরিয়ে পাকিস্তানের প্রধান কোচের দায়িত্ব পেতে যাচ্ছেন পিসিবির নির্বাচক কমিটির আহ্বায়ক আকিব জাবেদ- রোববার (১৭ নভেম্বর) সন্ধ্যায় এমন একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে ইএসপিএন ক্রিকইনফো। তবে সেই খবর ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড। দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে টেস্ট সিরিজ পর্যন্ত গিলেস্পিই থাকছেন দলটির প্রধান কোচ।

তবে ক্রিকইনফোর সেই খবরকে ভিত্তিহীন দাবি করে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি) নিশ্চিত করেছে, দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে টেস্ট সিরিজ পর্যন্ত গিলেস্পিই প্রধান কোচের দায়িত্বে থাকছেন।

গত রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে ক্রিকইনফোর খবরটি শেয়ার দিয়ে পিসিবি লিখেছে, ‘পিসিবি এই গল্পকে (প্রতিবেদনকে) দৃঢ়ভাবে ভুল বা মিথ্যা প্রমাণ করছে। পূর্বঘোষণা অনুযায়ী, দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে দুটি লাল বলের ম্যাচে জেসন গিলেস্পিই কোচের দায়িত্ব পালন করবেন।’

পিসিবি গত এপ্রিলে গিলেস্পিকে টেস্ট এবং গ্যারি কারস্টেনকে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টির প্রধান কোচ হিসেবে নিয়োগ দেয়। তবে গত ২৮ অক্টোবর পাকিস্তান দল অস্ট্রেলিয়ার উদ্দেশে রওনা হওয়ার আগমুহূর্তে কারস্টেন গদত্যাগ করলে গিলেস্পিকে এই সফরের কোচের দায়িত্ব দেওয়া হয়।

পাকিস্তান দল বর্তমানে অস্ট্রেলিয়া সফর করছে। বাংলাদেশ সময় আজ দুপুরে দলটি অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে শেষ টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলতে নামছে। সেখান থেকে জিম্বাবুয়ে সফরে যাবেন বাবর আজম-মোহাম্মদ রিজওয়ান-শাহিন আফ্রিদিরা। এরপর জিম্বাবুয়ে থেকে দক্ষিণ আফ্রিকায়। জিম্বাবুয়েতে ৩টি করে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি খেলবে পাকিস্তান। দক্ষিণ আফ্রিকায় তাদের পূর্ণাঙ্গ সফর। প্রোটিয়াদের বিপক্ষে দুটি টেস্টের আগে ৩টি করে টি-টোয়েন্টি ও ওয়ানডে খেলবে পাকিস্তান।

পিসিবির ঘোষণা অনুযায়ী, গিলেস্পি দক্ষিণ আফ্রিকায় টেস্ট সিরিজে পাকিস্তানের প্রধান কোচ থাকছেন, তা নিশ্চিত। কিন্তু জিম্বাবুয়ে ও দক্ষিণ আফ্রিকায় সীমিত ওভারের সিরিজগুলোতে পাকিস্তানের প্রধান কোচ কে হবেন, তা এখনো জানানো হয়নি।

এদিকে পাকিস্তানের সাদা বলের কোচ হওয়ার ইচ্ছা একাধিকবার প্রকাশ্যে জানিয়েছেন সাবেক পেসার ও বর্তমান নির্বাচক আকিব জাভেদ। শেষ পর্যন্ত কাকে দায়িত্ব দেয় পিসিবি, তা জানতে আরও কিছুদিন অপেক্ষায় থাকতে হচ্ছে।

Header Ad

প্রাক্তনকে স্বপ্নে দেখা কিসের ইঙ্গিত?

ছবি: সংগৃহীত

সারাদিন পরিশ্রমের পর ক্লান্ত দেহকে বিশ্রাম দেওয়ার জন্য আমাদের ঘুম প্রয়োজন। তবে মজা ব্যাপার হলো আমাদের ঘুমের সময় সারা দেহ বিশ্রাম নিলেও মস্তিষ্ক সচল থাকে। বিভিন্ন গবেষণা থেকে জানা যায় ঘুমের মধ্যে মস্তিষ্ক সারা দিনের কর্মকাণ্ড বা ঘটনাবলিকে বাছাই ও সংরক্ষণের কাজ করে থাকে। এসবের মাঝেই আমরা স্বপ্ন দেখি। স্বপ্নে আমরা নানা জিনিস দেখি। কিছু বাস্তব আর কিছু অবাস্তব।

অনেক সময় স্বপ্নে আমরা সে মানুষদের দেখি যার সঙ্গে আমাদের যোগাযোগ নেই। অনেকে আবার স্বপ্নে তার প্রাক্তনকে দেখে থাকেন। যা অস্বস্তিকর। ভোগ ম্যাগাজিনের এক প্রতিবেদনে এ সব উঠে এসেছে। সিগমন্ড ফ্রয়েডের মতে, স্বপ্ন দমিত আকাঙ্ক্ষার প্রতীক, মানে আমরা যা গোপনে চাই সেটাই আমরা স্বপ্নে দেখি।
চলুন জানা যাক স্বপ্ন নিয়ে বিজ্ঞান কী বলে?

আমরা কেনো নির্দিষ্ট বিষয় স্বপ্ন দেখি তার নির্দিষ্ট কারণ কখনো বিজ্ঞান বের করতে পারে নি। সুইস মনস্তত্ত্ববিদ কার্ল জুং স্বপ্নকে প্রাকৃতিক সত্য বলে বর্ণনা করেছেন। তার মতে, স্বপ্ন আমাদের বাস্তব চেতনার বাইরে গিয়ে মূল মানসিক অবস্থার সঙ্গে মিলিয়ে দেয়। তবে তিনি এটাও বিশ্বাস করতেন যে স্বপ্ন সব সময় সরাসরি অর্থ প্রকাশ করে না।

তবে কেনো আমরা প্রাক্তনকে স্বপ্নে দেখি? স্বপ্নে প্রাক্তন সঙ্গীর দেখা পাওয়া অনেক কারণেই হতে পারে। যার কয়েকটি কারণ উল্লেখ্য করেছেন সাইকোলজিস্ট-

অমীমাংসিত আবেগ : প্রাক্তনকে স্বপ্নে দেখার অন্যতম কারণ হতে পারে অমীমাংসিত আবেগ। আপনাদের সম্পর্কের অসম্পূর্ণ অনুভূতি বা স্মৃতি আপনার অবচেতন মনে বারবার নাড়া দিলে এমন হতে পারে। যার ফলে সে ব্যক্তি আপনি স্বপ্নে দেখছেন।

শূন্যতা : বিশেষজ্ঞের মতে, জীবনে কোনো অভাব বা শূন্যতার প্রতীক হিসেবে প্রাক্তনকে স্বপ্ন দেখতে থাকি।

এলোমেলো স্মৃতি : কখনো কখনো কেবল অতীতের স্মৃতির কারণেই প্রাক্তন সঙ্গীকে স্বপ্ন দেখেন। এর পেছনে গভীর মানসিক কোনো যোগাযোগ নেই।

তাহলে প্রাক্তন সঙ্গীকে স্বপ্ন দেখার অর্থ কী?
প্রাক্তনকে স্বপ্নে দেখার মানে এই নয় যে আপনাকে সেই সম্পর্কের আবার ফিরে যেতে হবে। বরং এটি হতে পারে অতীত সম্পর্ক বা জীবনের সেই সময়ের কোনো অমীমাংসিত আবেগের প্রতিফলন। যদি স্বপ্নটি একবার বা দুবার দেখা হয় সেটা স্বাভাবিক। কিন্তু একই স্বপ্ন বারবার ফিরে এলে, এটি আপনার জীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় বা অতীতের সঙ্গে কোনো অমীমাংসিত ইঙ্গিত করতে পারে। সুতরাং, প্রাক্তনকে স্বপ্নে দেখে অস্বস্তি অনুভব করলেও, এটি আপনার মানসিক স্বাস্থ্য বা চেতনার কোনো গভীর দিক আবিষ্কার করার সুযোগও হতে পারে নাও পারে।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

মৃত্যুর আগে ফেসবুক লাইভে অডিও বার্তা, পত্নীতলায় সুমন হত্যা ঘিরে রহস্য
গিলেস্পিই থাকছেন পাকিস্তানের প্রধান কোচ
প্রাক্তনকে স্বপ্নে দেখা কিসের ইঙ্গিত?
তিতুমীর কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয় করার দাবিতে সড়ক ও রেলপথ অবরোধ
বেনাপোল বন্দর দিয়ে চাল আমদানি শুরু
অগ্রাহায়নের শুরুতেই চুয়াডাঙ্গায় জেঁকে বসেছে শীত, দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড
শীতকালে যেসব ইবাদতের কথা বলেছেন নবীজি (সা.)
প্রেমের টানে বিয়ের দাবিতে ভারতীয় তরুণী বাংলাদেশে
মাল্টিপ্লেক্সে রেকর্ড আয় করল শাকিবের ‘দরদ’
মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্ত ১৩ জন ট্রাইব্যুনালে হাজির
অন্তর্বর্তী সরকারের মেয়াদ চার বছরের কম হবে: ড. ইউনূস
দর্শকদের ‘ভুয়া ভুয়া’ স্লোগানে চলে গেলেন পরীমণি
সাকিবকে নিয়ে চেন্নাইয়ে জল্পনা!
নারায়ণগঞ্জে টিস্যুর গুদামে আগুন, নিয়ন্ত্রণে ১৪ ইউনিট
নিষিদ্ধ ‘ছাত্রলীগের আবরণে’ নতুন রাজনৈতিক দলের আত্মপ্রকাশ
নিখোঁজের চারদিন পর নদী থেকে শিশুর মরদেহ উদ্ধার
নির্বাচনের ট্রেন যাত্রা শুরু করেছে: প্রধান উপদেষ্টা
ঢাবি ছাত্রদলের ৬ নেতাকে অব্যাহতি
গাইবান্ধায় আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি কারাগারে
নখের পাশে চামড়া ওঠে কেন, করণীয় কী?