রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪ | ৭ পৌষ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

সংকট উত্তরণের রোডম্যাপ

বাংলাদেশের মতো বর্ধিষ্ণু অর্থনীতির দেশগুলোর জন্য সতেজ কৃষিখাত একটি প্রধানতম শক্তির জায়গা। অর্থনীতির দীর্ঘমেয়াদি টেকসই পুনরুদ্ধারে কৃষি খাতের ভিত্তিকে আরও মজবুত ও বহুমুখী করার কোনো বিকল্প নেই। এ কথা সত্য যে জ্বালানি ও সারের মূল্য বৃদ্ধির কারণে একটি চ্যালেঞ্জিং পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।

এ ছাড়াও সময় মতো কম বৃষ্টিপাত হওয়ার কারণে এক রকম খরা পরিস্থিতির মধ্য দিয়েই যেতে হচ্ছে এ দেশের কৃষি খাতকে। তাই এ অবস্থায় সার্বিক খাদ্য নিরাপত্তা নিয়ে চিন্তিত হওয়া অযৌক্তিক নয়। তবে আশার কথা এই যে, আমাদের নীতি-নির্ধারকেরা এই চ্যালেঞ্জগুলোর বিষয়েও সংবেদনশীলতার পরিচয়ই দিচ্ছেন। ইতোমধ্যেই মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে জ্বালানি তেলে দাম সমন্বয় করা হয়েছে। ভবিষ্যতে হয়তো আরও করা হবে। তবে ইউরোপ রাশিয়া থেকে তেল ও গ্যাস কিনতে পারছে না। বিশ্ব বাজার থেকে তাকে বেশি দামে জ্বালানি পণ্য কিনতে হচ্ছে। যে কারণে বিশ্ব জ্বালানি বাজারে সরবরাহ ঘাটতি সহজে কমবে বলে মনে হয় না। দামও খুব বেশি কমবে না। এসব ঝুঁকি মনে রেখেই সরকারকে তার জ্বালানি নীতি বাস্তবায়ন করতে হচ্ছে। এসব সত্ত্বেও সরকার কৃষির জন্য তার সহযোগিতার হাত সরিয়ে নেবে বলে মনে হয় না।

২০২২-২৩ অর্থবছরের বাজেট প্রস্তাব করার সময় অর্থমন্ত্রী দরকারবোধে কৃষি ভর্তুকি উল্লেখযোগ্য মাত্রায় বাড়ানোর যে প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেছেন সেটিও আমাদের ভরসা যোগাচ্ছে। দীর্ঘতর মেয়াদে সেচের জন্য জীবাশ্ম জ্বালানির ওপর নির্ভরশীলতা থেকে সরে এসে সোলার ইরিগেশন পাম্পের প্রসারের কথাও জোরেসোরে শোনা যাচ্ছে।

মনে রাখা চাই যে, কেবল কৃষির ওপর ভিত্তি করেই আমাদের সামষ্টিক অর্থনীতি একটি শক্তিশালী ভিত্তির ওপর দাঁড়িয়েছে- এমন নয়। একই রকম অবদান আছে তরুণ জনশক্তি আর উদ্ভাবনী উদ্যোক্তাদের নিরলস পরিশ্রমে গড়ে ওঠা বর্ধিষ্ণু শিল্প খাতেরও। এক্ষেত্রে প্রশ্নাতীতভাবে সবচেয়ে বড় ভূমিকা রেখেছে আরএমজি খাত। পাশাপাশি উঠে আসছে চামড়া ও চামড়াজাত পণ্যসহ আরও বেশ কিছু খাত। কাজেই অভ্যন্তরীণ কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধি এবং খাদ্য আমদানি বহাল রেখে খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করা একান্ত জরুরি হলেও টেকসই অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারের জন্য যথেষ্ট শর্ত হতে পারে না। এ জন্য শুরুতেই বলেছি বহিঃঅর্থনীতির চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবিলার জন্যও সরকার সুনির্দিষ্ট কৌশল নিয়ে এগোচ্ছে।

বিশ্ব বাজারে ডলার বিনিময়ের ক্ষেত্রে সৃষ্ট অস্থিতিশীলতা স্মরণকালের মধ্যে তীব্রতম পর্যায়ে ঠেকেছে মার্কিন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সুদের হার আগ্রাসীভাবে বাড়াতে থাকার কারণে। সে কারণে আমাদের পাশের দেশসহ প্রায় সকল দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংক তাদের মৌলিক সুদের হার বাড়িয়ে বাজার থেকে তারল্য শুষে নিচ্ছে। পুরো বিশ্বের বিনিয়োগ এখন ছুটছে মার্কিন ডলারভিত্তিক বন্ডের দিকে। তাই ডলারের বিপরীতে নিজস্ব মুদ্রার ব্যাপক অবমূল্যায়ন করতে বাধ্য হয়েছে প্রায় সবগুলো দেশ। বাংলাদেশও এর ব্যতিক্রম নয়। গত কয়েক মাস ধরে আমাদের ডলার বাজারেও ব্যাপক অস্থিরতা দেখা গেছে।

শুরুতে খানিকটা সমস্যা দেখা দিলেও এখন সব অংশীজনের ভেতর সমন্বয় যথেষ্ট বেড়েছে। আমদানি কমানোর জন্য সরকার ও কেন্দ্রীয় ব্যাংক একযোগে কাজ করে বেশ কিছু সময়োচিত পদক্ষেপ নিয়েছে। তার সুফলও দৃশ্যমান হতে শুরু করেছে। ডলারের বিনিময় হার নিয়ে সৃষ্ট জটিলতার কারণে পরিস্থিতি চ্যালেঞ্জিং থেকে যাচ্ছিল। তবে শেষ পর্যন্ত (১৪ সেপ্টেম্বর ২০২২ তারিখের খবর অনুসারে) আমরা মোটামুটি বাজারভিত্তিক বিনিময় হারের ওপর আস্থা রাখছি বলে মনে হচ্ছে।

১৩ সেপ্টেম্বর ২০২২ তারিখে বাজারের বিদ্যমান বাস্তবতার সঙ্গে সমন্বয় করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক আন্তঃব্যাংক বৈদেশিক মুদ্রা বিনিময় হার নির্ধারণ করেছে। এতে ডলারের বিপরীতে টাকার অবমূল্যায়ন হলো ১১ দশমিক ৭৩ শতাংশ, যা দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় মাত্রার অবনমন। সব মিলিয়ে গত এক বছরে ডলারের বিপরীতে টাকার অবমূল্যায়ন হলো ২৫ শতাংশ। সময় এসেছে রপ্তানিকারক ও প্রবাসী আয় প্রেরণকারীদের কাছে এক দামেই ডলার বিক্রির ব্যবস্থা করার। আমদানিকারকরা বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশ মতো এক টাকা বেশি দামেই ডলার কিনবেন। প্রবাসী আয়ে সরকারের দেওয়া নগদ সহায়তা অব্যাহত থাকতে পারে। তবে বিনিময় হারের কারণে এতটা লাভ হওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে রপ্তানিকারকদের দেওয়া নানা ধরনের সহায়তা (গত অর্থবছরে ৮,৭৮৪ কোটি টাকা) না দিলেও চলবে। জটিল এই ব্যবস্থায় নানা রকম অনিয়ম ও অযথা প্রশাসনিক কর্মব্যস্ততাও তাতে দূর করা যাবে। তবে সংশ্লিষ্ট অংশীজনদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করেই কেন্দ্রীয় ব্যাংক ও অর্থ বিভাগ এই সংস্কারে হাত দিতে পারে।

টাকার অবমূল্যায়নের খুব বড় প্রভাব আমদানি করা নিত্য পণ্যের ওপর না পড়ারই কথা। কারণ আনুষ্ঠানিক যে বিনিময় হার আগে ছিল বাস্তবে তার চেয়ে অনেক বেশি দামে ডলার কিনে আমদানি করছিলেন ব্যবসায়ীরা। বরং এখন আর এত চড়া মূল্যে আমদানি করতে হবে না বলে তারা কিছুটা স্বস্তিই পাবেন। তবে এটা ঠিক যে, সরকার যে সব আমদানির ক্ষেত্রে ভর্তুকি দিয়ে যাচ্ছিল (যেমন: জ্বালানি) সেখানে ভর্তুকির পরিমাণ এখন আরও বাড়াতে হবে। মনে হয় সরকারের অংশীজনেরা বৃহত্তর জনস্বার্থের প্রতি সংবেদনশীল থেকেই ভর্তুকির বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন। বিপিসির মতো সরকারি প্রতিষ্ঠানকেও বাজার মূল্যেই ডলার কিনতে হবে। তা নাহলে রিজার্ভ ক্ষয় রোধ করা যাবে না।

এটা স্পষ্ট যে অভ্যন্তরীণ উৎপাদন এবং বহিঃঅর্থনীতির ব্যবস্থাপনা দুই ক্ষেত্রেই শক্তিশালী সামষ্টিক অর্থনৈতিক ভিত্তি এবং সময়োচিত রাজস্ব ও মুদ্রানীতির কল্যাণে বাংলাদেশ একটি আশাব্যঞ্জক অবস্থানে রয়েছে। আগে থেকেই সচেতন অর্থনীতিবিদ ও আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সহযোগীরা বলে আসছিলেন যে চলমান বৈশ্বিক সংকট মোকাবিলার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ সমতুল্য অন্য দেশগুলোর চেয়ে অনেকখানি নিরাপদ অবস্থানে আছে। সাম্প্রতিক এই অগ্রগতিগুলোর মাধ্যমে আমরা এখন এর প্রমাণ চোখের সামনেই দেখতে পাচ্ছি। তবে এই বিশ্ব সংকট কতোদিন স্থায়ী হবে তা এখনো কারোও জানা নেই। কাজেই সামনে আরও বহু ঝুঁকি ও চ্যালেঞ্জ যে রয়ে গেছে তা ভুলে গেলে চলবে না।

এক্ষেত্রে লক্ষ্যণীয় যে আগামী দিনের চ্যালেঞ্জগুলো আমরা কতোটা সফলভাবে মোকাবিলা করতে পারব তা বহুলাংশে নির্ভর করছে বহিঃর্বিশ্বে বিশেষ করে বিনিয়োগকারীদের কাছে আমরা আমাদের অর্থনীতির সম্ভাবনাগুলো কতোটা আস্থার সঙ্গে তুলে ধরতে পারব তার উপর। এক্ষেত্রে স্মার্ট অর্থনৈতিক কূটনীতি একটি প্রধান নির্ণায়ক। এই চ্যালেঞ্জের মুখে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আমাদের হাল ধরে আছেন বলে আমরা বিশেষ আশাবাদী হতে পারছি। কারণ আন্তর্জাতিক মহলে একজন অভিজ্ঞ ও পরীক্ষিত নেতৃত্ব হিসেবে তিনি সমাদৃত। সম্প্রতি শেষ হওয়া ভারত সফরে আঞ্চলিক বাণিজ্য সংযোগ আরও মজবুতকরণের পথে অগ্রগতি হয়েছে। এখন তিনি নিউইয়র্ক সফল করছেন। সেখানেও নিশ্চয়ই তার ক্যারিশমার গুণে মার্কিন বিনিয়োগ আকৃষ্ট করার ক্ষেত্র প্রসারিত হবে।

লেখক: অর্থনীতিবিদ ও সাবেক গভর্নর, বাংলাদেশ ব্যাংক।

এসএন

Header Ad
Header Ad

আনিসুল হকের তিন ব্যাংকে ২১ কোটি টাকার সন্ধান পেয়েছে দুদক

সাবেক আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সাবেক মন্ত্রী আনিসুল হক। ছবিঃ সংগৃহীত

সাবেক আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সাবেক মন্ত্রী আনিসুল হকের ৩ ব্যাংকে মোট ১৬টি ব্যাংক হিসাবের সন্ধান পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এসব হিসাবগুলোতে প্রায় ২১ কোটি টাকা জমা থাকার তথ্য পাওয়া গেছে। যা ইতোমধ্যে ফ্রিজ করা হয়েছে।

রোববার (২২ ডিসেম্বর) দুদক সূত্রে জানা যায়।

আনিসুল হকের হিসাবগুলোর মধ্যে ব্র্যাক ব্যাংক বনানী শাখার ৬টি হিসাবের মধ্যে ফিক্সড ডিপোজিট হিসেবে ৫ কোটি টাকা এবং অন্য এক হিসাবে এসসি গোল্ডেন বেনিফিটস নামে ৫০ লাখ ৮১ হাজার টাকা জমা থাকার তথ্য পাওয়া গেছে। এছাড়া, সিটিজেন ব্যাংক ও স্ট্যান্ডার্ড চাটার্ড ব্যাংকের ৯টি হিসাব থেকে মোট ১৫ কোটি ১১ লাখ ৮৩ হাজার টাকা পাওয়া গেছে।

এ বিষয়ে দুদকের উপপরিচালক (জনসংযোগ) মো. আকতারুল ইসলাম গণমাধ্যমকে জানান, অনুসন্ধান কার্যক্রম চলমান রয়েছে। বর্তমানে নথিপত্র সংগ্রহ এবং যাচাই-বাছাইয়ের কাজ চলছে। অনুসন্ধান টিম প্রতিবেদন দাখিল করলে কমিশন আইন অনুযায়ী পরবর্তী সিদ্ধান্ত নিবে।

এ বিষয়ে দুদকের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, শত শত কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ ও পাচারের অভিযোগ থাকলেও দুদক দালিলিক প্রমাণ ছাড়া আইনি পদক্ষেপ নিতে পারে না। আমাদের তথ্য ও সংগ্রহ এবং যাচাই-বাছাইয়ের কাজ চলমান রয়েছে। যা অংশ হিসাবে তিন ব্যাংকে প্রায় ২১ কোটি টাকা জমা থাকার প্রমাণ পাওয়া গেছে এবং ফ্রিজ করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ওই টাকা তার আয়ের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ বলেই আপাতত মনে হয়েছে। চূড়ান্ত প্রতিবেদন হাতে পেলে বিস্তারিত বলা যাবে।

আনিসুল হক ও তার ঘনিষ্ঠ সহযোগী অ্যাডভোকেট তৌফিকা করিমসহ সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে গত ৭ অক্টোবর থেকে অনুসন্ধান শুরু করে দুদক। যার মধ্যে সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক এবং তার ঘনিষ্ঠ সহযোগী অ্যাডভোকেট তৌফিকা করিমের বিরুদ্ধে শত কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ রয়েছে। এছাড়া অপর এক সহযোগী ফারহানা ফেরদৌস নামে অপর এক নারীর বিরুদ্ধে আসা পৃথক আর একটি অভিযোগও আমলে নিয়ে অনুসন্ধান করছে দুদকের অনুসন্ধান টিম।

Header Ad
Header Ad

নরসিংদীতে ছাত্রদল কর্মীকে গুলি করে হত্যা

হুমায়ুনের মেহেরপাড়া ইউনিয়ন ছাত্রদলের যুগ্ম সম্পাদক। ছবি: সংগৃহীত

রাজনৈতিক প্রতিহিংসা, আধিপত্য বিস্তার ও জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে নরসিংদীর মেহেরপাড়ায় এক ছাত্রদল কর্মীকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে।

শনিবার (২১ ডিসেম্বর) দিনগত রাত ১২টার দিকে নরসিংদীর পাঁচদোনা মেহেরপাড়া বাড়ি আগিণার খেলার মাঠ থেকে তাকে ডেকে নিয়ে গুলি করে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা।

নিহত হুমায়ুন কবির (২৬) মেহেরপাড়া ইউনিয়নের নাগরারহাট এলাকার একরামুল হকের ছেলে। তিনি মেহেরপাড়া ইউনিয়ন ছাত্রদলের সদস্য।

নিহতের স্বজনরা অভিযোগ করে বলেন, আধিপত্য বিস্তার ও জমি সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে একই এলাকার বাদল মিয়া, শাহআলম ও আতাউর মেম্বারের সঙ্গে দ্বন্দ্ব চলছিল হুমায়ুন কবিরের। দ্বন্দ্বের জেরে ইতোমধ্যে দুই পক্ষ একাধিক মামলা করেছে। গতকাল শনিবার দিনগত রাতে নিহত হুমায়ুন বাড়ির পাশের আঙ্গিনায় ব্যাডমিন্টন খেলছিল। রাত ১২টার দিকে দুটি মোটরসাইকেল যোগে শাহ আলম ও টিপুসহ চারজন হুমায়ুনের বাড়ির সামনে আসে। ওই সময় তারা হুমায়ুনকে ব্যাডমিন্টন খেলা থেকে ডেকে পাঁচদোনা বাজার মাছের আড়ৎ মসজিদের দিকে ডেকে নিয়ে যায়। সেখানে সন্ত্রাসীরা তার বুকে, পিঠে ও ঘারে পরপর তিনটি গুলি করে। এ সময় সে মাটিতে লুটিয়ে পরে। গুলির শব্দ শুনে খেলার মাঠ থেকে লোকজন এগিয়ে এলে সন্ত্রাসীরা তাদের লক্ষ্য করে গুলিবর্ষণ করে আতঙ্ক সৃষ্টি করে। পরে তারা মটোরসাইকেল যোগে পালিয়ে যায়। মুমূর্ষু অবস্থায় হুমায়ুনকে হাসপাতালে আনার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এদিকে, হুমায়ুন হত্যার বিচার দাবিতে হাসপাতাল চত্বরে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন এলাকাবাসী।

নিহত হুমায়ুনের বন্ধু ও মেহেরপাড়া ইউনিয়ন ছাত্রদলের যুগ্ম সম্পাদক সুজন ভূইয়া বলেন, ‘স্বৈরাচার পতনের আন্দোলনে সক্রিয় ভূমিকা ছিল নিহত হুমায়ুনের। তার নেতৃত্বেই পাঁচদোনা মেহেরপাড়া ও মাধবদী আন্দোলন হয়েছিল। এসব ঘটনা নিয়ে সে এলাকার অনেকের রোষানলে পড়ে। এসবের জেরে তার বাড়ি ঘরে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। প্রাণ বাঁচাতে সে পালিয়ে থাকে। ৫ তারিখের পর এলাকায় আসে। এর মধ্যেই গতকাল তাকে বাড়ির আঙ্গিনা থেকে ডেকে নিয়ে গুলি করে হত্যা করা হলো।’

নিহতের বড় ভাই আল মামুন বলেন, ‘আমাদের ১৭ শতাংশ একটি জমি দখল করে নেয় বাদল মিয়ারা। পরে মামলার রায় পাওয়ার পর আমরা জমিটি দখলে নিই। এ নিয়ে তাদের সঙ্গে দ্বন্দ্ব তীব্র হয়। এরই জের ধরে তারা আমার ভাইকে গুলি করে হত্যা করেছে। এ ছাড়া স্বৈরাচার পতন আন্দোলনে তার সক্রিয় ভূমিকা ছিল। এসব নিয়ে অনেকে তাকে দমানোর চেষ্টা করছিল।’

মাধবদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নজরুল ইসলাম বলেন, ‘ব্যাডমিন্টন খেলা শেষে অজ্ঞাত দুর্বৃত্তরা তাকে গুলি করে পালিয়ে যায়। ধারণা করা হচ্ছে, পূর্ব শত্রুতার জেরেই তাকে হত্যা করা হয়েছে। হত্যার প্রকৃত কারণ উদঘাটনসহ হত্যাকারীদের গ্রেপ্তারে কাজ করছে পুলিশ।’

Header Ad
Header Ad

শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ইন্টারপোলের রেড নোটিশের বিষয়ে নিশ্চিত নয় ট্রাইব্যুনাল

শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ইন্টারপোলের রেড নোটিশ জারি। ছবি: সংগৃহীত

সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে রেড নোটিশ জারির বিষয়ে নিশ্চিত নয় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। নোটিশ জারি হলে তা পুলিশের এনসিবি শাখা জানাবে বলে জানান তাজুল ইসলাম। 

রবিবার (২২ ডিসেম্বর) দুপুরে এক সাংবাদিক ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা বলেন।

এদিকে শেখ হাসিনাকে বন্দি প্রত্যর্পণ চুক্তির মাধ্যমে ভারত থেকে দেশে ফেরাতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আবেদন করে রেখেছেন চিফ প্রসিকিউটর। সে বিষয়ে সরকারের তরফ থেকে অগ্রগতি জানানো হয়নি।

শুধু শেখ হাসিনাই নয়, দেশের বাইরে পালিয়ে যাওয়া আওয়ামী লীগ নেতা আসাদুজ্জামান খান কামাল, হাসান মাহমুদসহ বেশ কয়েকজনের বিরুদ্ধে ইন্টারপোলের রেড নোটিশ জারির পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছে প্রসিকিউশন।

গত ১০ নভেম্বর আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল গণমাধ্যমকে জানান, হাসিনাসহ জুলাই-আগস্ট গণহত্যায় অভিযুক্ত পলাতক সকল আসামিকে ফিরিয়ে আনতে ইন্টারপোলের মাধ্যমে রেড অ্যালার্ট নোটিশ জারি করতে যাচ্ছে সরকার।

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের পুরাতন ভবনের সংস্কারকাজ পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের তিনি বলেছিলেন, পলাতক ফ্যাসিস্ট চক্র পৃথিবীর যে দেশেই থাকুক, ইন্টারপোলের মাধ্যমে তাদের ধরে এনে বিচারের মুখোমুখি করা হবে।

শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে রেড অ্যালার্ট নোটিশ জারি করতে গত ১০ নভেম্বর ইন্টারপোলকে চিঠি দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছিলেন ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম।

১২ নভেম্বর ট্রাইব্যুনাল প্রাঙ্গণে প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি বলেন, শেখ হাসিনা গণহত্যা, গুমসহ অন্যান্য মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্ত এবং মামলার আসামি। তবে তিনি পালিয়ে গেছেন এবং বর্তমানে দেশের সীমানার বাইরে অবস্থান করছেন।

এরকম একজন অপরাধীকে গ্রেফতার করতে বা তার বিরুদ্ধে রেড অ্যালার্ট নোটিশ জারি করতে আন্তর্জাতিক সংস্থা হিসেবে ইন্টারপোলকে চিঠি দেয়া হয়েছে।'

তিনি আরও জানিয়েছিলেন, চিঠিতে শেখ হাসিনাকে গ্রেপ্তার করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে আহ্বান জানানোর পাশাপাশি ইন্টারপোলকে গ্রেপ্তার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তাকে ট্রাইব্যুনালে উপস্থিত করার বাধ্যবাধকতার কথা জানানো হয়েছে।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের মুখে গত ৫ আগস্ট দেশ ছেড়ে ভারতে আশ্রয় নেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপর থেকে তিনি সেখানেই অবস্থান করছেন বলে জানিয়েছে ভারতীয় কর্তৃপক্ষ।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

আনিসুল হকের তিন ব্যাংকে ২১ কোটি টাকার সন্ধান পেয়েছে দুদক
নরসিংদীতে ছাত্রদল কর্মীকে গুলি করে হত্যা
শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ইন্টারপোলের রেড নোটিশের বিষয়ে নিশ্চিত নয় ট্রাইব্যুনাল
ভারতের কাছে হেরে বাংলাদেশের স্বপ্নভঙ্গ
এক দশক পর ফিরলো ‘আমার দেশ’ পত্রিকা
৩০০ মিলিয়ন ডলার পাচার: হাসিনা ও জয়ের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু দুদকের
ইয়েমেনে হুথিদের লক্ষ্যবস্তুতে মার্কিন বিমান হামলা
লোকসানের মিথ্যা গল্প শোনাচ্ছে ব্রিডার ফার্মগুলো
একজন ঢাকা অন্যজন কলকাতায় সংসার ভাঙছে মিথিলার
আইনজীবী আলিফ হত্যা: তদন্ত কমিটির সব সদস্যের পদত্যাগ
যে কোন সময় বাংলাদেশের পাশে নতুন দেশ
গাজীপুরে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণ হয়ে আওয়ামী লীগ নেতার স্ত্রীর মৃত্যু
বাংলাদেশে ইসলামি চরমপন্থা আসবে না: ড. ইউনূস
  সংকট কাটছে, মেট্রোর যাত্রীদের সুখবর দিল ডিএমটিসিএল
ভারতের বিপক্ষে ১১৮ রান করলেই এশিয়া কাপ ঘরে ‍তুলবে বাংলাদেশ
বিরামপুরে শীতার্তদের মাঝে কম্বল বিতরণ
টাঙ্গাইলে আ.লীগ নেতা ও ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল আলীম আটক
শেখ হাসিনা নিজ হাতে তার বাবাকে দ্বিতীয়বার হত্যা করেছে: গয়েশ্বর
চুয়াডাঙ্গায় অবৈধ যানবাহন বন্ধ না হলে গণপরিবহন বন্ধের ঘোষণা
জুমার দিনে ফিলিস্তিনের মসজিদে আগুন দিল ইসরায়েলিরা