বুধবার, ২২ জানুয়ারি ২০২৫ | ৮ মাঘ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

সংকট উত্তরণের রোডম্যাপ

বাংলাদেশের মতো বর্ধিষ্ণু অর্থনীতির দেশগুলোর জন্য সতেজ কৃষিখাত একটি প্রধানতম শক্তির জায়গা। অর্থনীতির দীর্ঘমেয়াদি টেকসই পুনরুদ্ধারে কৃষি খাতের ভিত্তিকে আরও মজবুত ও বহুমুখী করার কোনো বিকল্প নেই। এ কথা সত্য যে জ্বালানি ও সারের মূল্য বৃদ্ধির কারণে একটি চ্যালেঞ্জিং পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।

এ ছাড়াও সময় মতো কম বৃষ্টিপাত হওয়ার কারণে এক রকম খরা পরিস্থিতির মধ্য দিয়েই যেতে হচ্ছে এ দেশের কৃষি খাতকে। তাই এ অবস্থায় সার্বিক খাদ্য নিরাপত্তা নিয়ে চিন্তিত হওয়া অযৌক্তিক নয়। তবে আশার কথা এই যে, আমাদের নীতি-নির্ধারকেরা এই চ্যালেঞ্জগুলোর বিষয়েও সংবেদনশীলতার পরিচয়ই দিচ্ছেন। ইতোমধ্যেই মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে জ্বালানি তেলে দাম সমন্বয় করা হয়েছে। ভবিষ্যতে হয়তো আরও করা হবে। তবে ইউরোপ রাশিয়া থেকে তেল ও গ্যাস কিনতে পারছে না। বিশ্ব বাজার থেকে তাকে বেশি দামে জ্বালানি পণ্য কিনতে হচ্ছে। যে কারণে বিশ্ব জ্বালানি বাজারে সরবরাহ ঘাটতি সহজে কমবে বলে মনে হয় না। দামও খুব বেশি কমবে না। এসব ঝুঁকি মনে রেখেই সরকারকে তার জ্বালানি নীতি বাস্তবায়ন করতে হচ্ছে। এসব সত্ত্বেও সরকার কৃষির জন্য তার সহযোগিতার হাত সরিয়ে নেবে বলে মনে হয় না।

২০২২-২৩ অর্থবছরের বাজেট প্রস্তাব করার সময় অর্থমন্ত্রী দরকারবোধে কৃষি ভর্তুকি উল্লেখযোগ্য মাত্রায় বাড়ানোর যে প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেছেন সেটিও আমাদের ভরসা যোগাচ্ছে। দীর্ঘতর মেয়াদে সেচের জন্য জীবাশ্ম জ্বালানির ওপর নির্ভরশীলতা থেকে সরে এসে সোলার ইরিগেশন পাম্পের প্রসারের কথাও জোরেসোরে শোনা যাচ্ছে।

মনে রাখা চাই যে, কেবল কৃষির ওপর ভিত্তি করেই আমাদের সামষ্টিক অর্থনীতি একটি শক্তিশালী ভিত্তির ওপর দাঁড়িয়েছে- এমন নয়। একই রকম অবদান আছে তরুণ জনশক্তি আর উদ্ভাবনী উদ্যোক্তাদের নিরলস পরিশ্রমে গড়ে ওঠা বর্ধিষ্ণু শিল্প খাতেরও। এক্ষেত্রে প্রশ্নাতীতভাবে সবচেয়ে বড় ভূমিকা রেখেছে আরএমজি খাত। পাশাপাশি উঠে আসছে চামড়া ও চামড়াজাত পণ্যসহ আরও বেশ কিছু খাত। কাজেই অভ্যন্তরীণ কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধি এবং খাদ্য আমদানি বহাল রেখে খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করা একান্ত জরুরি হলেও টেকসই অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারের জন্য যথেষ্ট শর্ত হতে পারে না। এ জন্য শুরুতেই বলেছি বহিঃঅর্থনীতির চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবিলার জন্যও সরকার সুনির্দিষ্ট কৌশল নিয়ে এগোচ্ছে।

বিশ্ব বাজারে ডলার বিনিময়ের ক্ষেত্রে সৃষ্ট অস্থিতিশীলতা স্মরণকালের মধ্যে তীব্রতম পর্যায়ে ঠেকেছে মার্কিন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সুদের হার আগ্রাসীভাবে বাড়াতে থাকার কারণে। সে কারণে আমাদের পাশের দেশসহ প্রায় সকল দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংক তাদের মৌলিক সুদের হার বাড়িয়ে বাজার থেকে তারল্য শুষে নিচ্ছে। পুরো বিশ্বের বিনিয়োগ এখন ছুটছে মার্কিন ডলারভিত্তিক বন্ডের দিকে। তাই ডলারের বিপরীতে নিজস্ব মুদ্রার ব্যাপক অবমূল্যায়ন করতে বাধ্য হয়েছে প্রায় সবগুলো দেশ। বাংলাদেশও এর ব্যতিক্রম নয়। গত কয়েক মাস ধরে আমাদের ডলার বাজারেও ব্যাপক অস্থিরতা দেখা গেছে।

শুরুতে খানিকটা সমস্যা দেখা দিলেও এখন সব অংশীজনের ভেতর সমন্বয় যথেষ্ট বেড়েছে। আমদানি কমানোর জন্য সরকার ও কেন্দ্রীয় ব্যাংক একযোগে কাজ করে বেশ কিছু সময়োচিত পদক্ষেপ নিয়েছে। তার সুফলও দৃশ্যমান হতে শুরু করেছে। ডলারের বিনিময় হার নিয়ে সৃষ্ট জটিলতার কারণে পরিস্থিতি চ্যালেঞ্জিং থেকে যাচ্ছিল। তবে শেষ পর্যন্ত (১৪ সেপ্টেম্বর ২০২২ তারিখের খবর অনুসারে) আমরা মোটামুটি বাজারভিত্তিক বিনিময় হারের ওপর আস্থা রাখছি বলে মনে হচ্ছে।

১৩ সেপ্টেম্বর ২০২২ তারিখে বাজারের বিদ্যমান বাস্তবতার সঙ্গে সমন্বয় করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক আন্তঃব্যাংক বৈদেশিক মুদ্রা বিনিময় হার নির্ধারণ করেছে। এতে ডলারের বিপরীতে টাকার অবমূল্যায়ন হলো ১১ দশমিক ৭৩ শতাংশ, যা দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় মাত্রার অবনমন। সব মিলিয়ে গত এক বছরে ডলারের বিপরীতে টাকার অবমূল্যায়ন হলো ২৫ শতাংশ। সময় এসেছে রপ্তানিকারক ও প্রবাসী আয় প্রেরণকারীদের কাছে এক দামেই ডলার বিক্রির ব্যবস্থা করার। আমদানিকারকরা বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশ মতো এক টাকা বেশি দামেই ডলার কিনবেন। প্রবাসী আয়ে সরকারের দেওয়া নগদ সহায়তা অব্যাহত থাকতে পারে। তবে বিনিময় হারের কারণে এতটা লাভ হওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে রপ্তানিকারকদের দেওয়া নানা ধরনের সহায়তা (গত অর্থবছরে ৮,৭৮৪ কোটি টাকা) না দিলেও চলবে। জটিল এই ব্যবস্থায় নানা রকম অনিয়ম ও অযথা প্রশাসনিক কর্মব্যস্ততাও তাতে দূর করা যাবে। তবে সংশ্লিষ্ট অংশীজনদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করেই কেন্দ্রীয় ব্যাংক ও অর্থ বিভাগ এই সংস্কারে হাত দিতে পারে।

টাকার অবমূল্যায়নের খুব বড় প্রভাব আমদানি করা নিত্য পণ্যের ওপর না পড়ারই কথা। কারণ আনুষ্ঠানিক যে বিনিময় হার আগে ছিল বাস্তবে তার চেয়ে অনেক বেশি দামে ডলার কিনে আমদানি করছিলেন ব্যবসায়ীরা। বরং এখন আর এত চড়া মূল্যে আমদানি করতে হবে না বলে তারা কিছুটা স্বস্তিই পাবেন। তবে এটা ঠিক যে, সরকার যে সব আমদানির ক্ষেত্রে ভর্তুকি দিয়ে যাচ্ছিল (যেমন: জ্বালানি) সেখানে ভর্তুকির পরিমাণ এখন আরও বাড়াতে হবে। মনে হয় সরকারের অংশীজনেরা বৃহত্তর জনস্বার্থের প্রতি সংবেদনশীল থেকেই ভর্তুকির বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন। বিপিসির মতো সরকারি প্রতিষ্ঠানকেও বাজার মূল্যেই ডলার কিনতে হবে। তা নাহলে রিজার্ভ ক্ষয় রোধ করা যাবে না।

এটা স্পষ্ট যে অভ্যন্তরীণ উৎপাদন এবং বহিঃঅর্থনীতির ব্যবস্থাপনা দুই ক্ষেত্রেই শক্তিশালী সামষ্টিক অর্থনৈতিক ভিত্তি এবং সময়োচিত রাজস্ব ও মুদ্রানীতির কল্যাণে বাংলাদেশ একটি আশাব্যঞ্জক অবস্থানে রয়েছে। আগে থেকেই সচেতন অর্থনীতিবিদ ও আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সহযোগীরা বলে আসছিলেন যে চলমান বৈশ্বিক সংকট মোকাবিলার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ সমতুল্য অন্য দেশগুলোর চেয়ে অনেকখানি নিরাপদ অবস্থানে আছে। সাম্প্রতিক এই অগ্রগতিগুলোর মাধ্যমে আমরা এখন এর প্রমাণ চোখের সামনেই দেখতে পাচ্ছি। তবে এই বিশ্ব সংকট কতোদিন স্থায়ী হবে তা এখনো কারোও জানা নেই। কাজেই সামনে আরও বহু ঝুঁকি ও চ্যালেঞ্জ যে রয়ে গেছে তা ভুলে গেলে চলবে না।

এক্ষেত্রে লক্ষ্যণীয় যে আগামী দিনের চ্যালেঞ্জগুলো আমরা কতোটা সফলভাবে মোকাবিলা করতে পারব তা বহুলাংশে নির্ভর করছে বহিঃর্বিশ্বে বিশেষ করে বিনিয়োগকারীদের কাছে আমরা আমাদের অর্থনীতির সম্ভাবনাগুলো কতোটা আস্থার সঙ্গে তুলে ধরতে পারব তার উপর। এক্ষেত্রে স্মার্ট অর্থনৈতিক কূটনীতি একটি প্রধান নির্ণায়ক। এই চ্যালেঞ্জের মুখে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আমাদের হাল ধরে আছেন বলে আমরা বিশেষ আশাবাদী হতে পারছি। কারণ আন্তর্জাতিক মহলে একজন অভিজ্ঞ ও পরীক্ষিত নেতৃত্ব হিসেবে তিনি সমাদৃত। সম্প্রতি শেষ হওয়া ভারত সফরে আঞ্চলিক বাণিজ্য সংযোগ আরও মজবুতকরণের পথে অগ্রগতি হয়েছে। এখন তিনি নিউইয়র্ক সফল করছেন। সেখানেও নিশ্চয়ই তার ক্যারিশমার গুণে মার্কিন বিনিয়োগ আকৃষ্ট করার ক্ষেত্র প্রসারিত হবে।

লেখক: অর্থনীতিবিদ ও সাবেক গভর্নর, বাংলাদেশ ব্যাংক।

এসএন

Header Ad
Header Ad

বিএনপি ৩১ দফা বাস্তবায়নে জাতির কাছে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ: আমীর খসরু

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। ছবি: সংগৃহীত

দেশ ও প্রবাসীদের কল্যাণে ভবিষ্যতে নজর দেওয়া হবে জানিয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, আমরা শেখ হাসিনার পতনের আগেই ৩১ দফা এবং সাত বছর আগে ভিশন-২০৩০ ঘোষণা করেছি, যা বাস্তবায়নে আমরা জাতির কাছে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ।

বুধবার (২২ জানুয়ারি) জাতীয় প্রেসক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

আমীর খসরু বলেন, সরকারকে সহযোগিতা করছি, যাতে দেশ যত দ্রুত সম্ভব একটি স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসে। এর বিকল্প নেই। এর বাইরে অন্য কোনো রাজনৈতিক প্রক্রিয়া করতে গেলে মানুষের মনে সন্দেহ ও ভিন্ন ধারণা তৈরি হবে। সেটা হবে অগণতান্ত্রিক।

তিনি বলেন, স্বৈরাচার শেখ হাসিনা সরকার পতনের আন্দোলন ড্রাইভ করেছে বিএনপি। এই আন্দোলনের মূল চালিকাশক্তি ছিলো তারেক রহমান ও বেগম খালেদা জিয়া।

তিনি আরও বলেন, আজকে অনেকেই এই আন্দোলনের ক্রেডিট নিতে চায়। অথচ তারা আন্দোলন শুরুর অনেক পরে এসেছে। তারা জানে না বিদেশে কিভাবে আন্দোলন হয়েছে। লন্ডন, ইউরোপ, আমেরিকা, মধ্যপ্রাচ্যে কিভাবে আন্দোলন হয়েছে তারা জানে না।

এ সময় আন্দোলনে প্রবাসীদের ভূমিকাকে ডকুমেন্টস বা বই আকারে তুলে ধরার আহ্বান জানিয়ে আমীর খসরু বলেন, ইতিহাস সংরক্ষণ না করলে তা ভবিষ্যৎ ইতিহাসে জায়গা পাবে না। তাই প্রবাসীদের এই আন্দোলনে অংশগ্রহণ বই বা ডকুমেন্ট করে জাতির সামনে তুলে ধরতে হবে। এই প্রক্রিয়ায় বিএনপি সর্বোচ্চ সহায়তা করবে বলেও জানান তিনি।

আলোচনা সভায় প্রবাসীরা জাতীয় সংসদ ও মন্ত্রী সভায় তাদের প্রতিনিধিত্বের দাবি তুলে ধরেন।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির সাবেক সভাপতি আব্দুল লতিফ সম্রাট, গিয়াস আহমেদ, বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য আব্দুল লতিফ জুলি, সুইডেন বিএনপির সাবেক সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদ, ফ্লোরিডা বিএনপির সভাপতি এমরান হক চাকলাদার, আব্দুল খান হারুন, অস্ট্রেলিয়া স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতিব মুসলেমউদ্দীন হাওলাদার আরিফ প্রমুখ।

Header Ad
Header Ad

বাবা-মা চাচ্ছিলেন না আমি পৃথিবীতে আসি : অপু বিশ্বাস

অপু বিশ্বাস। ছবি: সংগৃহীত

ঢালিউড কুইন’খ্যাত অভিনেত্রী অপু বিশ্বাস। শোবিজে তার পথচলা দুই যুগেরও বেশি। ভক্ত-দর্শকদের তিনি উপহার দিয়েছেন অসংখ্য ব্যবসাসফল সিনেমা।

সাবলীল অভিনয় ও সৌন্দর্য দিয়ে সিনেমাপ্রেমীদের হৃদয়ে জায়গা করে নিয়েছেন এই চিত্রনায়িকা। দীর্ঘ এই পথচলায় কারণে-অকারণে অসংখ্য খবরের শিরোনাম হয়েছেন তিনি। কাজের পাশাপাশি উঠে এসেছে নায়িকার ব্যক্তিজীবনও।

দীর্ঘ এই পথচলায় অপ্রকাশিত এক সত্য এবার প্রকাশ্যে আনলেন অপু বিশ্বাস। জানালেন, নায়িকার জন্মের সময় তার বাবা-মা দ্বিধায় ছিলেন। তারা চাননি আর কোনো সন্তানের জন্ম দিতে। দেবাশীষ বিশ্বাসের উপস্থাপনায় ‘বিশ্বাসে মেলায় বন্ধু’তে হাজির হয়ে এসব কথা বলেন অপু।

নায়িকার কথায়, ‘বাবা মা ওই সময় তো এত বুঝতেন না। যতটুকু মার মুখে শোনা- পাঁচ মাস পর হওয়ার পর জানতে পেরেছেন যে, আমি আসছি। তখন মা-বাবা চাচ্ছিলেন না…। যেহেতু আমার তিন ভাই-বোন অলরেডি ছিলেন।’

বাবার চেয়ে কাকা ছিলেন অপুর সবচেয়ে কাছের মানুষ। সে কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘কাকা আমার সবকিছু। একদম স্কুল থেকে সবকিছু। বাবাও অনেক ভালোবাসেন। কিন্তু আমার সমস্ত আবদার ছিল কাকার কাছে।’

Header Ad
Header Ad

৪ দফা দাবিতে ম্যাটস শিক্ষার্থীদের শাহবাগ মোড় অবরোধ করে বিক্ষোভ

ছবি: সংগৃহীত

চার দফা দাবিতে ‘সাধারণ ম্যাটস শিক্ষার্থী ঐক্য পরিষদ’-এর ব্যানারে আজ বুধবার রাজধানীর শাহবাগ মোড় অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন ম্যাটস শিক্ষার্থীরা। বিক্ষোভের কারণে শাহবাগ মোড় এলাকায় যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।

আজ সকাল ১০টা ৪০ মিনিটে ম্যাটস শিক্ষার্থীরা প্রথমে কারওয়ান বাজার এলাকায় মেট্রোরেল স্টেশনের নিচে মূল সড়কের এক পাশে বিক্ষোভ শুরু করেন। বেলা সোয়া ১১টার দিকে তাঁরা শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরের সামনে গিয়ে সমাবেশ করেন এবং দুপুর ১২টা ৫০ মিনিটে শাহবাগ মোড়ে অবস্থান নিয়ে অবরোধ শুরু করেন।

শিক্ষার্থীরা জানিয়েছেন, তিন মাস ধরে আন্দোলন করেও তাঁদের দাবি পূরণ হয়নি। তাঁদের চার দফা দাবি হলো:

১. দশম গ্রেডে শূন্য পদে দ্রুত নিয়োগ ও নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি।
২. কোর্স কারিকুলাম সংশোধন এবং প্রতিষ্ঠানের নাম পরিবর্তন করে মেডিকেল ইনস্টিটিউট করা।
৩. ‘অ্যালাইড-হেলথ প্রফেশনাল বোর্ড’ বাতিল করে স্বতন্ত্র ‘মেডিকেল এডুকেশন বোর্ড অব বাংলাদেশ’ গঠন।
৪. আন্তর্জাতিক মানদণ্ডের ক্লিনিক্যাল বিষয়ে উচ্চশিক্ষার সুযোগ প্রদান।

শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ খালিদ মনসুর বলেন, আন্দোলনকারীদের বুঝিয়ে সরানোর চেষ্টা করা হচ্ছে, তবে তাঁরা এখনও কথা শুনছেন না।

আন্দোলনের ফলে শাহবাগ এলাকার যানবাহন চলাচল পুরোপুরি বন্ধ হয়ে গেছে, যা আশপাশের এলাকায়ও প্রভাব ফেলেছে।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

বিএনপি ৩১ দফা বাস্তবায়নে জাতির কাছে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ: আমীর খসরু
বাবা-মা চাচ্ছিলেন না আমি পৃথিবীতে আসি : অপু বিশ্বাস
৪ দফা দাবিতে ম্যাটস শিক্ষার্থীদের শাহবাগ মোড় অবরোধ করে বিক্ষোভ
নিজের সিনেমায় নিজের লেখা গান গাইলেন মোশাররফ করিম
আদালতে চকলেট খেতে চাইলেন সাবেক শিল্প প্রতিমন্ত্রী
আগামী ৩ দিনের আবহাওয়ার পূর্বাভাস নিয়ে যা জানা গেল
৯ বছরেও শেষ হয়নি রিজার্ভ চুরির মামলার তদন্ত, দায়িত্ব নিতে চায় দুদক
গাজায় ধ্বংসস্তূপ সরাতেই বেরিয়ে আসছে কঙ্কাল, পচাগলা ১২০ মরদেহ উদ্ধার
বোমা পাওয়া যায়নি বাংলাদেশ বিমানের ফ্লাইটে, নিরাপদে নামলো যাত্রীরা
কারওয়ান বাজারে পুলিশের সাথে আন্দোলনকারীদের ধস্তাধস্তি
প্রথমবার ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হারিয়ে বিশ্বকাপের আশা বাঁচিয়ে রাখল বাংলাদেশ
৭ টেলিকম প্রতিষ্ঠানের লাইসেন্স বাতিল
বাংলাদেশ বিমানের ফ্লাইটে বোমা হামলার হুমকি, চলছে তল্লাশি
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে গাছ থেকে ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার
জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের দায়িত্ব ছাড়লেন সারজিস আলম
শিশুদেরও গোপন কারাগারে রেখেছিলেন হাসিনা, দেওয়া হতো না মায়ের দুধ!
অভিযানকালে জুয়াড়িদের হামলা, ডিবি পুলিশের ৭ সদস্য আহত
৯ গোলের রুদ্ধশ্বাস ম্যাচে অবিশ্বাস্য জয়, নকআউট পর্বে বার্সেলোনা
চালের দাম বাড়ার আর সুযোগ দেব না, বরং কমবে: খাদ্য উপদেষ্টা
খালেদা জিয়ার লিভার প্রতিস্থাপন সম্ভব হচ্ছে না, চলছে বিকল্প চিকিৎসা