শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫ | ৬ বৈশাখ ১৪৩২
Dhaka Prokash

সামরিক বাহিনী বেসামরিক ভাষা বোঝে না

মিয়ানমার সামরিক বাহিনী দেশের ভেতরে দিন দিন দুর্বল হয়ে পড়ছে। একটি কথা খুবই স্পষ্ট যে, অং সান সু চির দলের যে সমর্থন ছিল সেটি এখন আর নেই। একসময় বহু নাগরিক সামরিক বাহিনীর গুলিতে মারা গেছে। যে কারণে এক ধরনের সিভিল কনফ্লিক্ট তৈরি হয়েছে মিয়ানমারের ভেতরে। এই দুর্বলতা থেকেই সামরিক বাহিনী বেশ মরিয়া হয়ে উঠছে।

একটি দেশের সামরিক শক্তি যদি দেশের অভ্যন্তরেই দুর্বল হয়ে পড়ে, তখন তারা বহিঃবিশ্বে যুদ্ধের একটি আবহ তৈরি করার মাধ্যমে শক্তি বৃদ্ধির চেষ্টা করে থাকে। মিয়ানমারও আসলে সেই চেষ্টা করেছে। বাংলাদেশ যেহেতু প্রতিবেশী রাষ্ট্র— এখন বাংলাদেশের সঙ্গে যদি দ্বন্দ্ব তৈরি করতে পারে সেটিকে তারা শক্তির অংশ মনে করে। এটি শুধু মিয়ানমার না, অনেক বড় রাষ্ট্রেও আমরা এরকম নীতি দেখেছি। রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন যেটি ত্বরান্বিত হওয়ার কথা ছিল, সেটিকে বিলম্বিত করার এটি একটি উপায়। তার মধ্যে যদি ছোটখাট যুদ্ধ বাঁধিয়ে দিতে পারে বাংলাদেশের সঙ্গে তাহলে আরও ভাল হবে এমনটাই এরা মনে করছে।

প্রশ্ন হচ্ছে এখন বাংলাদেশ কি করবে? অনেকেই বলেছেন বাংলাদেশকে এর জবাব দিতে হবে। একইসঙ্গে বেসরকারি দল যারা আছে, তারা এজন্য সরকারকে দায়ী করছে। মিয়ানমার চায় বাংলাদেশের যদি বিভাজন বাড়ানো যায়, অর্থাৎ সরকারি দল অথবা বিরোধী দলে বিভাজন থাকলে তার রেসপন্সও দুর্বল হবে।

আমরা দেখতে পাচ্ছি, মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূতকে তলব করা হচ্ছে। একাধিকবার তলব করে বলা হচ্ছে যে, এটি কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। তার বাইরে আরও একটি বিষয় থাকে, আন্তর্জাতিকীকরণ বিষয়টি। সেখানে আমরা যেটি দেখেছি, বাংলাদেশের বাইরে বিদেশি কূটনীতিক যারা আছেন, তাদের ডেকে বলা এবং তারা কি করতে পারেন সেটি নিয়ে আলোচনা করা যায় কি না ভেবে দেখা।

জাতিসংঘে প্রধানমন্ত্রী যখন ভাষণ দেবেন, সেখানে তিনিও হয়ত বলবেন। অন্যদিকে আন্তর্জাতিকীকরণ বাড়ানো দরকার। এমনকি নিরাপত্তা পরিষদেও বৈঠকে আলোচনা দরকার। আন্তর্জাতিক অনেক ধরনের ফোরাম আছে। একইভাবে অঞ্চলিকীকরণের বিষয়টিও বাড়ানো দরকার। আমার মতে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কটিও বাড়ানো দরকার। দ্বিপাক্ষিক আলোচনায় এখন পর্যন্ত ফলাফল হয়নি যদিও, যেহেতু সামরিক বাহিনী মিয়ানমারের ক্ষমতায় আছে, তারা হয়ত সামরিক ভাষাই বোঝে। তারা সিভিলিয়ান (বেসামরিক) ভাষা বোঝে কি না তাতে সন্দেহ আছে। এটি যদি বাড়তে থাকে তাহলে সমস্যা আরও বাড়তে থাকবে।

এ ক্ষেত্রে মিডিয়ার একটি বড় ধরনের ভূমিকা আছে বলে আমি মনে করি। মিডিয়া বাংলাদেশের ভালো যেমন দেখতে ভালবাসে, ঠিক তেমনি কোথায় ঘাটতি আছে সেটিও দেখা দরকার। একইসঙ্গে মিয়ানমারের বিষয়টিও আমাদের দেখতে হবে। আমি মনে করি, সেই মনযোগটুকু জরুরি। সেক্ষেত্রে তাদের ইন্টিলিজেন্স বাড়াতে হবে এবং বড় ধরনের মনযোগ দেওয়া উচিত মিয়ানমারের উপরে। এখন পর্যন্ত আমি তার অভাব দেখি। সিভিল সোসাইটিও কিন্তু কার্যত তেমন কোনো ভূমিকা নিতে পারেনি। সেটি বাড়ানো দরকার।

আন্তর্জাতিক মহলকেও মনযোগ দিতে হবে মনে করি। সরকারের উপর বিষয়টিকে ফেলে রাখা উচিত নয়। বিশেষ করে জাতীয় সংকট মোকাবিলায় যেখানে যুদ্ধ ভাবাপন্ন অবস্থা, সেখানে সবাই যদি সচেতন না হোন সমস্যা বাড়তেই থাকবে। কাজেই আমি মনে করি, সচেতনতার সঙ্গে সঙ্গে বড় আকারে ভালো কিছু কীভাবে করা যায় সে ব্যাপারেও চিন্তা ভাবনার দরকার আছে।

লেখক: অধ্যাপক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও বিশ্লেষক

আরএ/

Header Ad
Header Ad

জাতীয় পার্টি কোনো সুবিধাবাদী দল নয়: জিএম কাদের

জাতীয় পার্টি (জাপা) কোনো সুবিধাবাদী দল নয় বলে দাবি করেছেন দলটির চেয়ারম্যান জি এম কাদের। আজ শনিবার সকালে রাজধানীর বনানীতে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানের কার্যালয়ে আয়োজিত বর্ধিত সভায় তিনি এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, আমাদের নামে অনেক ধরনের অপপ্রচার করা হচ্ছে। কিছু মানুষ আমাদেরকে নানাভাবে হেনস্তা করার চেষ্টা করছেন। সোশ্যাল মিডিয়া থেকে শুরু করে বিভিন্ন মাধ্যমে বক্তব্য-বিবৃতি দিয়ে জানাশোনা কথাকে তারা ভুলভাবে তুলে ধরছেন। তাদের কথা হলো- আমরা সুবিধাবাদী, সুবিধাভোগী।

জাপা চেয়ারম্যান বলেন, আমরা বলতে চাই জাতীয় পার্টির সিংহভাগ মানুষ সব সময় জনগণের পাশে ছিল। জনগণের স্বার্থে তারা সংগ্রাম করেছে। আগামীতেও তারা জনগণের পাশেই থাকবে।

 

Header Ad
Header Ad

প্রচণ্ড শ্বাসকষ্ট নিয়ে আইসিইউতে পরিচালক সৃজিত মুখার্জি

ছবি: সংগৃহীত

ওপার বাংলার জনপ্রিয় নির্মাতা সৃজিত মুখার্জিকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। গুরুতর সমস্যা নিয়ে শুক্রবার মধ্যরাতে কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে নেয়া হয় তাকে। পরে চিকিৎসকরা তাকে নিবিড় পর্যবেক্ষণের জন্য আইসিইউতে নিয়ে যান।

পরিচালকের ঘনিষ্ঠ সুত্রের বরাত দিয়ে ভারতীয় গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, গতকাল রাতে হঠাৎই শ্বাসকষ্ট শুরু হয় সৃজিতের। সেই সঙ্গে বুকে হালকা ব্যথাও অনুভব করছিলেন পরিচালক। এরপর রাত সাড়ে ১২ টার দিকে দ্রুত হাসপাতালে নেয়া হয় তাকে।

সেখানে রাতেই বেশ কিছু টেস্ট করানো হয়। শনিবার টেস্টের রিপোর্ট পাওয়ার কথা রয়েছে। আর তা দেখে চিকিৎসকেরা সিদ্ধান্ত নেবেন কতদিন পরিচালককে হাসপাতালে থাকতে হবে।

আরও পড়ুন: অন্তরঙ্গ দৃশ্যের আগে প্রেমিক ও পরিবারের অনুমতি নিয়েছিলেন কৌশানি। তবে হাসপাতাল সূত্র জানিয়েছে, সৃজিতের শারীরিক অবস্থা আপাতত স্থিতিশীল।

সদ্যই লিমকা বুক অফ রেকর্ডসের তালিকায় স্থান দখল করেছে সৃজিতের ‘অতি উত্তম’। ইনস্টাগ্রামে গর্বের কথা শেয়ার করেছেন তিনি। তাছাড়া এই নির্মাতার নতুন সিনেমা ‘কিলবিল সোসাইটি’ মুক্তি পেয়েছে গত ১১ এপ্রিল।

Header Ad
Header Ad

জুলাই গণঅভ্যুত্থান যেন কোনোভাবেই ব্যর্থ না হয় : নাহিদ ইসলাম

ছবি: সংগৃহীত

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেছেন, আমরা ৯০ গণঅভ্যুত্থানের কথা বইয়ে পড়েছি, কিন্তু যে আকাঙ্ক্ষায় জনগণ রাস্তায় নেমে আসে, সে আকাঙ্ক্ষাগুলো বিভিন্ন সময় আমরা দেখেছি, ব্যর্থ হয়েছে।

সেই ব্যর্থতার ফলেই ১৬ বছরের ফ্যাসিবাদের শাসন ব্যবস্থার প্রেক্ষাপট তৈরি হয়েছিল। তাই আমরা চাই, এবারের জুলাই গণঅভ্যুত্থান যেন কোনোভাবেই ব্যর্থ না হয়।

তিনি বলেন, জনগণের মধ্যে যে আকাঙ্ক্ষা তৈরি হয়েছে, তা অবশ্যই পূরণ করতে হবে। এটা জাতির প্রতি আমাদের সবারই অঙ্গীকার।

শনিবার (১৯ এপ্রিল) জাতীয় সংসদের এলডি হলে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে সংলাপের সূচনা বক্তব্যে এসব কথা বলেন নাহিদ ইসলাম।

২০২৪ সালের জুলাই মাসের গণঅভ্যুত্থান আজকের বৈঠকে বসার প্রেক্ষাপট তৈরি করেছে উল্লেখ করে নাহিদ ইসলাম বলেন, যে গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে ১৬ বছরের ফ্যাসিস্ট শাসককে পলায়ন করতে বাধ্য করেছিল বাংলাদেশের জনগণ। হাজারো মানুষের শাহাদাত বরণ ও আহত হওয়ার বিনিময়েই আজকের এই প্রেক্ষাপট।

তিনি বলেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থানের ধারাবাহিকতায় একটি নতুন রাজনৈতিক দল হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছে এনসিপি। যে দলের প্রধান শক্তি ও ভিত্তির জায়গাটা হচ্ছে এই দেশের তরুণরা। সেই জুলাই গণঅভ্যুত্থানের পরিপ্রেক্ষিতে আমাদের যে বক্তব্য ছিল, আমরা ফ্যাসিবাদের বিলোপ ও একটি নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত প্রতিষ্ঠা করতে চাই।

নাহিদ ইসলাম বলেন, এই গণঅভ্যুত্থান কেবল কোনো ব্যক্তির পরিবর্তন নয়, ক্ষমতা থেকে একটি দলকে সরিয়ে আরেকটি দলকে বসানোর পরিকল্পনা ছিল না। বরং কীভাবে রাষ্ট্র কাঠামোর মৌলিক ও গুণগত পরিবর্তনের মাধ্যমে জনগণের অধিকার রক্ষা করবে, এরকম একটি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার আকাঙ্ক্ষা ছিল।

এনসিপি সংস্কার বলতে মৌলিক সংস্কার বোঝানো হচ্ছে। নাহিদ আরও বলেন, যে সংস্কার করলে রাষ্ট্র কাঠামো গুণগত আমূল পরিবর্তন সম্ভব হবে। কারণ আমরা দেখেছি, বিগত সময়ে আমাদের সংবিধান থেকে শুরু করে রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর দলীয়করণ ঘটেছিল। আমাদের সংবিধানে এক ব্যক্তিকেন্দ্রিক কাঠামোর বীজ বপন ছিল। ফলে সেই রাষ্ট্র কাঠামোকে অক্ষুণ্ন রেখে যে ক্ষমতায় যাক, তার ভেতরেও ফ্যাসিবাদী প্রবণতা থাকবে, স্বৈরতান্ত্রিক হয়ে উঠার প্রবণতা থাকবে। সেই জায়গায় রাষ্ট্রের সংস্কার, সংবিধান, প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতা, বিচার ব্যবস্থা, নির্বাচন ব্যবস্থা ইত্যাদি বিষয়ে আমরা এনসিপি বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছি।

তিনি বলেন, জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের পক্ষ থেকে যে সুপারিশ আমাদের কাছে পাঠানো হয়েছে, সেগুলোতে আমরা আমাদের মতামত দিয়েছি। অধিকাংশ ক্ষেত্রে আমরা একমত হয়েছি। যে সব জায়গায় আমরা আংশিক একমত বা দ্বিমত হয়েছি, সেখানে আমরা আমাদের সুপারিশ সংক্ষিপ্তভাবে দিয়েছি। আজকে হয়তো আমরা বিস্তারিত আলোচনার সুযোগ পাবো। সেই সুযোগ করে দেওয়ার জন্য জাতীয় ঐকমত্য কমিশনকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।

এনসিপির ভাবনার কথা উল্লেখ করে দলটির আহ্বায়ক বলেন, এইবার যে সুযোগ তৈরি হয়েছে আমাদের জাতির সামনে, জাতীয় ঐকমত্য প্রয়োজন, জুলাই সনদ প্রয়োজন। জাতির সামনে আমাদের সবাই সেই অঙ্গীকার রাখতে হবে যেন আরেকটি স্বৈরতান্ত্রিক ব্যবস্থা, আরেকটি ফ্যাসিবাদ বাংলাদেশে আসবে তার সব রাস্তা আমরা বন্ধ করে সামনের দিকে এগিয়ে যাবো। একটি গণতান্ত্রিক সংবিধান ও রাষ্ট্র কাঠামো তৈরিতে আমরা সবাই যার যার জায়গা থেকে কাজ করবো।

বৈঠকে আরও উপস্থিত আছেন এনসিপির সদস্য সচিব আখতার হোসেন, নাসিরুদ্দীন পাটোয়ারী, হাসনাত আব্দুল্লাহ, শামান্তা শারমীন, নাহিদা সারওয়ার নিভা, জাবেদ রাসিন এবং সারোয়ার তুষার।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

জাতীয় পার্টি কোনো সুবিধাবাদী দল নয়: জিএম কাদের
প্রচণ্ড শ্বাসকষ্ট নিয়ে আইসিইউতে পরিচালক সৃজিত মুখার্জি
জুলাই গণঅভ্যুত্থান যেন কোনোভাবেই ব্যর্থ না হয় : নাহিদ ইসলাম
আ.লীগের মিছিল ঠেকাতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার নির্দেশ
হাসিনা-কাদেরসহ ১২ জনের বিরুদ্ধে ইন্টারপোলে ‘রেড নোটিশ’ জারির আবেদন
নিখোঁজের ১৪ ঘণ্টা পর সেই শিশু সেহেরিশের লাশ উদ্ধার
আগামী ঈদের আগেই রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে কাজ করছে সরকার
লাল কাপড়ে ঢাকা হবে দেশের সব পলিটেকনিকের ফটক
৬০ বছর বয়সে বিয়ে করলেন বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ
চুয়াডাঙ্গা সীমান্তে ১২ কেজি রূপার গয়না জব্দ
ফয়জুল করীমকে বরিশালের মেয়র ঘোষণার দাবি
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে অংশ নেওয়া বাংলাদেশি যুবক নিহত
গোবিন্দগঞ্জে সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আটক
বাংলাদেশি যুবককে ধরে নিয়ে বিএসএফের হাতে তুলে দিল ভারতীয়রা
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে এনসিপির বৈঠক শনিবার
বাংলাদেশের সঙ্গে বৈঠক নিয়ে বিজ্ঞপ্তিতে যা জানাল পাকিস্তান
গাজায় ইসরায়েলের বিমান হামলা, শিশুসহ একই পরিবারের ১৩ জন নিহত
ভারতীয় ক্রিকেটাররা আমাকে নগ্ন ছবি পাঠাত, অভিযোগ ট্রান্সজেন্ডার ক্রিকেটারের
১৮৭ জনকে নিয়োগ দেবে শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর
গাইবান্ধায় আগুনে পুড়লো ৫ দোকান, ৩০ লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি